![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন আমি থমকে পথের মোড়ে হঠাৎ দেখি বদলে গেলো সব চেনা পথে জারুল ফুলের রঙ্গে খুব ছিলো তার চেনা অনুভব! বদলে গেলো জেব্রা ক্রসিং, নিয়ন আলোর শহর অদল বদল খুব কার হাতে কার পরশ লেগে ছিলো সেসব কথা, বৃষ্টিতে নিখুত!
বিশ্বের ইতিহাসে যুগ যুগ ধরে দেখা যায় যেকোন জাতিকে দমন করার জন্য, নির্মূল করা জন্য দুটি অস্ত্র এক সাথে ব্যবহার করা হয়েছে; গণহত্যা এবং অপরটি ধর্ষন।
১৯৭১ সালে পাকি বাহিনী তাদের সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের সাহায্যে ঠিক এই কাজটাই করেছিল বাংলাদেশে।
একাত্তুরে এদেশের নারীদের উপর যৌন নির্যাতননের ব্যপকতা, নৃশংসতা এ যাবতকালে বিশ্বে সংগঠিত সকল যৌন নির্যাতনের শীর্ষে। এই নির্যাতন ছিল সুপরিকল্পিত, তারা বাঙ্গালীদের ধর্ষনের মাধ্যমে এক নতুন জাতির সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যাতে বাঙ্গালী জাতিয়তাবাদ আর কোনদিন মাথা তুলে না দাড়াতে পারে। সম্প্রতি জেনারেল খাদিম হুসাইন (২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনাকারী) ১৯৭১ সাল নিয়ে এক আত্মকথনে লিখেছেন .......
"১০ এপ্রিল একটি সভায় জেনারেল নিয়াজি উপস্থিত। সেখানে তিনি অকথ্য ভাষায় বাঙালিদের গালিগালাজ করতে লাগলেন এবং এক পর্যায়ে উর্দুতে বললেন, 'ম্যায় ইস হারামজাদি কওম কি নাসাল বদল দুন গা। ইয়ে মুঝে কীয়া সামাঝতি হ্যায়'(আমি এই হারামজাদা জাতির চেহারা বদলে দেবো, এরা আমাকে কি মনে করে)"
নিয়াজির এই উক্তিতে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তান আর্মি বাঙালিদের ;চেহারা বদলের' সুযোগ লুফে নেয়। আর এর জন্য সহজ রাস্তা ছিল বাঙালি মেয়েদেরকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাদেরকে দিয়ে সাচ্চা মুসলমান বাচ্চা পয়দা করানো।
যুদ্ধকালীন সময়ে সারা দেশের ৪৮০ টি থানা থেকে গড়ে প্রতিদিন ২ জন করে নির্যাতিত মহিলার সংখ্যা অনুসারে ২৭০ দিনে ধর্ষিতার নারীদের সংখ্যা দাড়ায় ২ লক্ষ। আন্তর্জাতিক প্লানড ফাদারহুড প্রতিষ্ঠানের ড. জিওফ্রে ডেভিস,যুদ্ধের পরপরই তিনি এসব মা ও তাদের শিশুদের সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন তাঁর মতে এই সংখ্যা আরও বেশি এবং সেটা ৪ লক্ষ।
এই নির্যাতন কোন তাৎক্ষনিক ঘটনা বা সৈনিকদের জৈবিক চাহিদার বিষয় ছিল না, আগেই বলেছি এটা ছিল সুপরিকল্পিত এবং সেই সাথে যোগ হয়েছিল প্রবল বিদ্ধেষ ও প্রতিহিংসা। এই বিদ্ধেষ নারীর প্রতি না, সমগ্র বাঙালী জাতির প্রতি বিদ্বেষ। এবং এই হিংসার অমানবিক ছাপ তারা রেখে গিয়েছিল বাঙলার ধর্ষিতা নারীদের উপর।
পাকি ক্যাম্প গুলোতে আটক নারীদের উপর অত্যাচারের যে বিবরন প্রতক্ষদর্শীগন দিয়েছেন তা এতই অবিশ্বাস্য রকমের নির্মম যে সেটা কোন মানুষ মানুষের সাথে করতে পারে বলে মনে হয় না........
'পাশবিক ধর্ষন শেষে এই নির্যাতিতা মেয়েদের হেড কোয়াটারের উপরের তলার বারান্দায় মোটা লোহার তারের সাথে চুল বেধে উলঙ্গ করে ঝুলিয়ে রাখা হতো, সেখানে চলতো সীমাহীন বর্বরতা।
বিরামহীন প্রহার আর অত্যাচারে মেয়েদের দেহের মাংস কেটে রক্ত ঝরছিল, কারো মুখের সামনের দিকে দাঁত ছিল না, ঠোটের দু'দিকের মাংস কামড়ে, টেনে ছিড়ে ফেলা হয়েছিল, লাঠি ও রডের আঘাতে হাতের আঙ্গুল, তালু ছিল থেতলানো। প্রসাব পায়খানার জন্যও তাদের হাত ও চুলের বাধন এক মুহূর্তের জন্য খুলে দেয়া হতো না। হেডকোয়াটারের বারান্দায় লোহার রডে ঝুলন্ত অবস্থায় তারা প্রসাব পায়খানা করতো।
অত্যাচারে কেউ মরে গেলে তখন অন্য মেয়েদের সামনে ছুরি দিয়ে দেহ কেটে কুচি কুচি করে বস্তায় ভরে ফেলে দেয়া হতো"
"অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তারা যখন একটু পানি চাইতো তখন হানাদার ও তাদের সহযোগীরা ডাবের খোসায় প্রসাব করে সেটা খেতে দিত"
"তাদের পরবার জন্য কোন শাড়ি দেয়া হতো না (যদি শাড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে তাই), দিনের বেলায় একটা তোয়ালে আর রাতে দেয়া হতো কম্বল! গোসলের প্রয়োজন হলে তিন জন করে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়া হতো, রাজাকার ও পাকিরা দড়ির এক প্রান্ত ধরে রেখে তাদের নিয়ে যেতে গোসলে'..... (বাংলাদেশের স্বাধীনতার দলীলপত্র, ৮ম খন্ড, হাসান হাফিজুর রহমান)
১৯৭১ পাকি বাহিনী তাদের দোস্ত রাজাকার ও দালালদের প্রতক্ষ্য সহযোগীতায় আট মাসে রক্ষনশীল হিসাবে বাংলাদেশে ৪ লক্ষেরও বেশি নারী ধর্ষন ও নির্যাতন করেছিল. বিশ্বের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি। ছয় বছর ব্যাপী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে 'গোটা ইউরোপে' নাৎসি ও ফ্যাস্টিট বাহিনী সম্মিলিতভাবে এত বেশি নারীকে ধর্ষন, নির্যাতন করেনি' (ড:এম এ হাসান, ২০০২, পৃ-৫)।
যুদ্ধ যখন চলছিল তখন বেঁচে থাকাটাই ছিল মৌলিক বিষয়, সুতরাং এই বিষয়টা তখন সেই সময়ে মুখ্য হয়ে দেখা দেয়নি আর মানুষ বুঝতেও পারেনি এই ভয়াবহ জাতি ভিত্তিক ধর্ষনের বিষয়টা। কিন্তু যুদ্ধোত্তর কালে যখন একজন দু'জন করে ঘরে ফিরতে শুরু করলো তখন সৃষ্টি হলো এক এক সামাজিক ও মানসিক সংকটের। কারণ এই চার লক্ষ ধর্ষিতা নারী শুধু নয়, তাদের সাথে সম্পর্কিত চার লক্ষ পরিবার, সকল পরিবারই তাদের কে উদার চিত্তে গ্রহণ করেনি, অনেক নারী পরিত্যাজ্য হয়েছিলেন, অনেকে আত্নহত্যা করেছেন, রোগাক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে মরে গেছেনে অনেকেই। সেই সাথে দেখা দিয়েছিল নারীদের দীর্ঘমেয়াদি শাররীক অসুস্থ্যতা, এই বিষয়ে ড: ডেভিস বলেছেন....
"৯ মাসে পাক বাহিনীদের দ্বারা ধর্ষিতা চার লাক্ষ মহিলার বেশির ভাগ মহিলাই সিফিলিস বা গনোরিয়া কিংবা উভয় রোগেরই শিকার হয়েছেন, এদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে ভ্রুন হত্যাজনিত অভিগতা লাভ করেছেন। তিনি বলেন এরা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারেন কিংবা জীবনভর বারবার রোগে ভুগতে পারেন।"
এর সাথেই যুক্ত হলো 'যুদ্ধ শিশু' বিষয়টার। নয় মাসের অত্যাচারে অনেকে ধর্ষিতা নারীই গর্ভবতী হয়ে পরেছিলেন, তবে তাদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। অসংখ্য গর্ভবতী মহিলা চলে গিয়েছিলেন ভারতে বা অন্য কোথাও গোপনে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। অনেক শিশু জন্মেছিল ঘরে দাইয়ের হাতে যার কোন রেকর্ড নেই। দুঃখজনক হচ্ছে যে, নির্ভরযোগ্য এবং ত্রুটিহীন কোন পরিসংখ্যানই নেই আমাদের হাতে, ফলে যুদ্ধ শিশুর সংখ্যা কত ছিল তার জন্য নির্ভর করতে হয় মুলত অনুমান এবং ধারণার উপর। সামান্য কিছু দলিলপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সরকারী এবং বেসরকারী সংগঠনের আর কিছু কিছু আছে বিদেশী মিশন এবং মিশনারী সংস্থাগুলোর কাছে। সরকারী এক হিসাবে জন্মগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা বলা হয়েছে তিন লাখ। ধর্ষণের পরও বেঁচে থাকা নারীদের মধ্যে ২৫ হাজার জন গর্ভধারন করেছিলেন বলে জানা যায় (সুসান ব্রাউনমিলার, ১৯৭৫ : ৮৪)।
এই প্রসঙ্গে ড: ডেভিসের বলেছিলেন ..........
'আমরা বিদ্যমান সমস্যা সম্পর্কে অবগত হবার আগেই অনিবার্য ও অবাঞ্চিত পরিস্থিতির চাপে আনুমানিক ১ লক্ষ ৭০ হাজার মহিলার গর্ভপাত করা হয়েছে গ্রামীন ধাত্রী বা হাতুরে ডাক্তারদের সাহায্য। সেবা কেন্দ্র গুলোতে ৫ হাজার জনের গর্ভপাত সরকারিভাবে ঘটানো হয়েছিল, তবে বেশির ভাগ নির্যাতিতারাই ক্লিনিকে আসতে পারেননি। (বাংলার বানী, ১৯৭২)।
সমসাময়িক পত্রিকা, বিচারপতি কে এম সোবহান, সিস্টার মার্গারেট মেরির ভাষ্য মতে ঢাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে হাজার তিন শত গর্ভপাত করানো হয়েছে। আবার অনেকেরই গর্ভপাত সম্ভব হয়নি ফলে সেই সব শিশুরা জন্মগ্রহণ করে 'যুদ্ধ শিশু' হিসেবে। কানাডিয়ান ইউনিসেফের চেয়ারম্যান যুদ্ধ চলাকালিন এবং যুদ্ধোত্তর সময়ে দু'বার বাংলাদেশে আশার পরে তার রিপোর্টে ১০,০০০ যুদ্ধ শিশুর কথা উল্লেখ করেছেন। সুসান ব্রাউনমিলারের মতে সন্তান জন্ম দিয়েছিল এমন বীরাঙ্গনার সংখ্যা পঁচিশ হাজার।
কি হয়েছিল এই বাচ্চা গুলোর?
বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় বাস্তবতায় সেই সময় এই শিশুরা সমাজে তৈরি করেছিল ভয়াবহ সংকট এবং সমস্যা। কেউ কেউ এই শিশুদেরকে বলে ‘অবাঞ্চিত সন্তান’, কেউ বলে ‘অবৈধ সন্তান’, কেউ বলে ‘শত্রু শিশু’ আবার কেউ বা নিদারুণ ঘৃণায় উচ্চারণ করে ‘জারজ সন্তান’ বলে।
অনেক নবজাতককে ইদুরের বিষ খাইয়ে, পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল এবং সর্বোপরি এই রাষ্ট্র তাদের এই দেশে থাকার অধিকার দেয়নি।
যুদ্ধ শিশুদের নিয়ে সেই সময়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন ড: নীলিমা ইব্রাহীম। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে বঙ্গবন্ধু বলেন....
"না আপা। আপনি দয়া করে পিতৃপরিচয়হীন শিশুদের বাইরে (বিদেশে) পাঠিয়ে দেন। তাদের সম্মনের সঙ্গে মানুষের মতো বড় হতে দিতে হবে। তাছাড়া আমি এসব নষ্ট রক্ত দেশে রাখতে চাই না’। (ইব্রাহিম, ১৯৯৮ : ১৮)"
তখনকার প্রেক্ষপটে হয়তো সেই সিদ্ধান্তটাই সঠিক ছিল। কারণ এই সংকট ছিল একটা জাতীয় সংকট, আর সত্যি কথা বলতে গেলে বলতে হয় বীরাঙ্গানা নারীদের পূর্নবাসন এবং যুদ্ধ শিশুদের নিয়ে যা ভাবার, করবার তা শুধু বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সবাই ধীরে ধীরে এদের কথা ভুলে যেতে থাকে এবং আজ সেটা এক অনুচ্চারিত অধ্যায়।
যাক সে কথা, বঙ্গবন্ধু তখন জেনেভা ইন্ট্যারন্যাশনাল সোস্যাল সার্ভিসকে অনুরোধ করেন যুদ্ধ শিশুদের জন্য 'কিছু একটা করবার'।
বিদেশী নাগরিকরা যাতে সহজেই যুদ্ধ শিশুদের দত্তক নিতে পারেন সে জন্য ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রজ্ঞাপিত হয় The Bangladesh Abandoned Children (Special Provisions) Order। এরই ধারাবাহিকতায় আই এস এস, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন ফর রিহ্যাবিলিশনের সাহায্যে যুদ্ধ শিশুরা আশ্রয় পেতে থাকে বিদেশী বাবা-মায়েদের কাছে। সর্ব প্রথম যে দেশটি এগিয়ে এসেছিল আমাদের বাচ্চাদের আশ্রয় দিতে সেই দেশ কানাডা (মুনতাসির মামুন, ২০১৩, পৃ-৪৮,৪৯)।
১৯৭২ সালে ১৯ জুলাই বাংলাদেশ থেকে ১৫ জন যুদ্ধ শিশু প্রথম কানাডার আশে- সেই সময়ে বিদেশী পত্রপত্রিকা গুলোতে এই বিষয়টা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল, তারা স্বাগত জানিয়েছিল এই উদ্যোগের। কলকাতার মাদার তেরেসা যুদ্ধ শিশুদের গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন এছাড়াও যে সব এগিয়ে এসেছিল যুদ্ধ শিশুদের দত্তক নিতে তার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, সুইডেন এবং অষ্ট্রেলিয়া।
কেমন ছিল এই যুদ্ধ শিশুরা ভিন দেশে, এই দুদ্ধ্যপোষ্য শিশুদের দিন কেমন করে কেটেছে, কি হয়েছিল তাদের ভাগ্যে?
বর্তমানে অষ্ট্রেলিয়ায়ন ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকতায় নিয়োজিত ডঃ বীনা ডি’কস্টা বিভিন্ন এডোপশন এজেন্সী, বাংলা ওয়েবসাইট এবং সংবাদপত্রে আবেদন জানিয়েছিলেন যুদ্ধ শিশুদের সাথে কথা বলার জন্য। খুব অল্প কয়েকজনই তাদের জীবন কাহিনী জনসম্মুখে প্রকাশ করতে আগ্রহী ছিল। বীনা ডি’কস্টাকে লেখা ই-মেইলে এক যুদ্ধ শিশু লিখেছিলেন......
‘আমার দত্তক বাবা ছিল মহা বদমাশ এক লোক। সারাক্ষণই আমাকে অপমান করার চেষ্টা করতো সে, আমি বছর চারেক আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম! আমি সবসময়ই ভাবি যে আমি কেন এই ক্যানাডিয়ায়ান দম্পত্তির কাছে দত্তক হয়েছিলাম, যারা আমাকে দত্তক নেয়ার তিনমাসের মধ্যেই তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটিয়েছিল।
আমার শৈশব ছিল বিভীষিকাময়। আমার যখন খুব প্রয়োজন ছিল তখন আমার নিজের দেশ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আমার দিক থেকে। আর সে কারণেই আমি বাংলাদেশকে ঘৃণা করি। আমি মাঝে মাঝে গলা ছেড়ে কাঁদি, কারণ আমার কোন শিকড় নেই। একারণেই আমি চেষ্টা করছি যেখানে আমি জন্মেছি সেই দেশ সম্পর্কে কিছুটা জানতে’।
আবার কেউ কেউ হয়তো বা নরওয়ে প্রবাসী কোহিনুরের অথবা জয়ের প্রতিষ্ঠিতও হয়েছেন তবে মোদ্দাকথা এই যে আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্র, এই দেশের মানুষ কখনোই তাদের মনেও রাখেনি, স্বীকার করেনি।
কোহিনুরের মতো কোন যুদ্ধশিশু তার মায়ের খোজে আশে এদেশে কিংবা রায়ানের মতো নিজের দূর্দশা ক্ষোভের কথা জানিয়ে কেউ চিঠি লিখবে তখন আমরা একটু নড়েচড়ে বসবো, তারপর আবার একদিন সব ভুলে যাবো!
অথচ এই দেশের রক্তাক্ত জন্ম প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ তারাও, এই দেশের প্রতিটি মাটির কণায়, বাতাসে, এই পতাকায় তারও অধিকার ছিল, সেই অধিকার কি কেড়ে নেয়া হয়নি? কি অপরাধে?
এই অসহায় শিশুদের সম্পূর্ন ইতিহাস কোনদিন জানা যাবে না। তাদের বীরাঙ্গনা উপাধি প্রাপ্ত মায়েদের মতো তারাও তারা হারিয়ে গেছে, কেউ মনে রাখেনি তাদের। বঙ্গবন্ধু এই মুক্তিযোদ্ধাদের বীরাঙ্গনা উপাধি দিলেও বৃহত্তর সমাজ এখনও মানসিক তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত না, এবং কিছু কিছু সময়ে শ্লেষাত্মক ভাবেও এই উপাধি ব্যবহার করা হচ্ছে.......এই বিষয়টা ভীষন লজ্জার, ভীষন কষ্টের।
বীরাঙ্গনা নামকরন সম্পর্কে সুলতানা কামাল বলেছিলেন.......
"স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সমস্ত নারীর ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল, যাদের ধর্ষন করা হয়েছিল, তাদের প্রতি সেই সময়ের যে নির্যাতন করা হয়েছিল, তাদের প্রতি সহানুভূতি এবং তাদের রক্ষা করতে না পারা ছিল জাতির জন্য এক অসহায় লজ্জা। অত্যন্ত অবেগআপ্লুত মনোভাব থেকে তাদের নাম দেয়া হয় বীরাঙ্গনা'।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকরী অন্য নারীকর্মীদের ক্ষেত্রেও এই বিশেষণটি ব্যবহার করা হয় যেমন, আওয়ামী লীগের তদানীন্তন মহিলা সাংসদ বদরুন্নেসা আহমেদের মৃত্যুতে সংসদে যে শোক প্রস্তাব আনা হয়েছিল তাতে তাকেও বীরাঙ্গনা বলে অভিহিত করা হয়। " (মুনতাসরি মামুন, ২০১৩, ৪৪)
তবে আমরা আজ যা দেখছি, বাস্তবতা খুবই কঠিন। একটা সময় থেকে শুধু ধর্ষিতাদেরই বীরাঙ্গনা হিসাবে বোঝানো হয়েছে এবং হচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে অন্তর্জাল রবাবরই সোচ্চার ছিল, ইদানিং একটু বেশি। ভাল লাগে দেখতে তবে খুব কষ্ট পাই যখন দেখি গালি হিসেবে বলা হচ্ছে ' তুই পাকি বাবাদের রেখে যাওয়া বীর্য' কিংবা 'কয়জন পাকি মিলে তোরে বানাইছে' কিংবা 'চাঁদের বুড়ি এখন বীরাঙ্গনা' নামের কার্টুন, বিরোধী দলীয় নেতাকে "বীরাঙ্গনা" বলে উপহাস সুচক রসালো আলোচনা........ এসব দেখে মনে হয় আমাদের এই প্রজন্ম আমাদের অনেক আবেগ আছে ঠিকই কিন্তু আমরা কি আসলেই 'বীরাঙ্গনা' 'যুদ্ধ শিশু' বিষয় গুলোর সম্পর্কে ঠিক ভাবে জানি, ঠিক ভাবে হৃদয়ে ধারণ করি?
আমরা কি জানি এই দুই বিশেষণের পেছনে কত বেদনা, অশ্রু, ত্যাগ আছে?
একটু ভেবে দেখবেন কি??
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের সামরিক পতিতালয়ে 'ধর্ষিত' কোরিয়ান ও ফিলিপিনো নারীরা দীর্ঘ ৫০ বছর পর তাঁদের কাছে জাপান সরকারের ক্ষমা ভিক্ষা করার দাবি জানিয়েছিল।
বাংলাদেশ কবে পাকিস্থানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই লক্ষ লক্ষ নারী নির্যাতন, ধর্ষন, খুন করার জন্য ক্ষমা চাইতে বলবে??
সাহায্যকারী বই গুলো:
*স্বাধীনতার দলিল পত্র, হাসান হাফিজুর রহমান, ৮ম খন্ড, ১৯৮২।
*বীরাঙ্গনা ১৯৭১, মুনতাসির মামুন, ২০১৩।
*আমি বীরাঙ্গনা বলছি, ডা: নিলীমা ইব্রাহীম, ১৯৯৯।
*যুদ্ধ ও নারী, ডা এম এ হাসান, ২০০২।
এবং
নেট।
এই সংক্রান্ত অবশ্যপাঠ্য তিনটি ব্লগ পোস্ট .....
* ফরিদ আহমেদের..আমাদের বীরাঙ্গনা নারী এবং যুদ্ধ শিশুরাঃ পাপমোচনের সময় এখনই
* ফারুক ওয়াসিফের..সেইসব বীরাঙ্গনা ও তাদের না-পাক শরীর
*অমি রহমান পিয়ালের বাংলাদেশের প্রথম যুদ্ধ শিশু জয়
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: সেই সাথে পাকিদের সহায়তাকরি রাজাকার দলেরও ক্ষমা নাই, সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
ধন্যবাদ
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: বাংলাদেশ কবে পাকিস্থানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই লক্ষ লক্ষ নারী নির্যাতন, ধর্ষন, খুন করার জন্য ক্ষমা চাইতে বলবে??
পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে আনুষ্ঠানিক ভাবে। বাংলাদেশ সরকারকেও আহবান জানাতে হবে। পোস্টে প্লাস এবং শেয়ার্ড।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: অবশই বাংলাদেশ সরকারে আহবান জানানো উচিত পাকিস্তানকেআনুষ্ঠনিক ভাবে ক্ষমা চাওয়া জন্য।
এবং সেই সাথে যুদ্ধ শিশুদের কাছেও বাংলাদেশের ক্ষমা চাওয়া উচিত তাদের এইভাবে বিতারিত করা জন্য। তখনকার প্রক্ষাপটে হয়তো সেটাই ঠিক ছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।
অনেক ধণ্যবাদ।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭
মৈত্রী বলেছেন:
ইতিহাসে কি ইস্কান্দার নামে কোন সম্রাট ছিলেন?
আলেকজান্ডার/ইস্কান্দার কি একই ব্যক্তি??
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: মালয় এপিকে আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট কেই ইসকান্দার বলা হয়েছে, পুরো নাম হায়াট ইস্কান্দার জুলকার নাইন! এবং সম্ভবত পবিত্র কুরআনেরএকটা সুরাতেও জুলকার নাইনের উল্লেখ আছে (নাম মনে নেই, মনে পরলে জানাবো)।
এখানে জুলকার নাইনের উপর একটা পিডিএফ থাকার কথা
View this link
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: মৈত্রি আপনাকে বলেছিলাম যে জুলকারনাইন মানে আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট কে নিয়ে পবিত্র কোরআন শরিফে একটা সুরা আছে, সেই সুরার নাম হলো 'সুরা কাহাফ'!
"ওরা বললো, হে জুলকারনাইন! ইয়াজুজ ও মাজুজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা এই শর্তে কর দেব যে, তুমি আমাদের এবং ওদের মধ্যে এক প্রাচীর গড়ে দেবে (১৮:৯৪)"
অনেকের মতে এই প্রাচীর বলতে চীনের মহাপ্রাচীরকেই বোঝানো হয়েছে।
ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭
মামুন হতভাগা বলেছেন: আপা,এখন তো মনে হয় সব কিছুই মিথ্যা।তা না হলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কেন ৩০ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত জামাতীদের কাছে বন্ধক রেখে সেই কুখ্যাত লোকদের বাচাতে তার সমর্থকদের লেলিয়ে দিচ্ছে।
জিয়া আদর্শের মানুষদের বিবেক বলে যে জিনিসটা ছিল সেটা মনে হয় এখন পাকিস্থানে পাঠানো হইছে না হলে শুধু অন্ধ দলবাজির জন্য কেন জামাতের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়া খালেদা জিয়ার সুরে সুর মেলাচ্ছে।আমার কেন জানি মনে হয় জিয়াউর রহমান আজ তার রাজনীতির আদর্শের এত উন্নতিতে আবেগে আপ্লুত।কারণ তিনি জামাতের শুরুটা করে দিয়েছিল আর আজ তার স্ত্রী জামাতের রক্ষক হিসেবে জামাতের অঘোষিত প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন।জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দল এখন জামাতের সাথে যোগ দিয়ে জাতীয়তাবাদী জামায়াতে ইসলাম হয়েছে।এটা কি কম উন্নতি ?
পোস্ট প্লাস সহ প্রিয়তে
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: বিষয়টা খুবই দু:খজনক! অথচ নৈতিকভাবেই এই দলটির উচিত ছিল সর্বোক্তভাবে রাজকার এবং পাকিপন্থিদের বিরোধিতা করা, এদের সংস্পর্শ ত্যাগ করা।
আমি খুবই হতবাক হয়ে পরেছিলাম যখন পড়লাম ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তারপরে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু এই সব বীরাঙ্গনাদের পূর্নবাসনের জন্য যে সব কর্মসূচি, কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন তার সব বন্ধ করে দেন। এমনকি ১৯৭৫ সালে সাফিনা লোহানী, সাফিনা হোসেন ও আমিনা বেগম মিনার নেতৃত্ব সিরাজগঞ্জে যে বীরাঙ্গনাদের পুর্নবাসন কেন্দ্রটি চলছিল, তা এক ফরমান জারি করে বন্ধ করে দেন।
ধন্যবাদ আপনাকে মামুন ভাই।
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
পোষ্ট শোকেসে রাখলা সাথে প্লাস।
রাতে এসে কমেন্ট করবো।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: পোস্টটা মনে হয় একটু বড় হয়ে গেছে!
পড়ে জানাবেন অবশ্যই .....
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১১
নিমচাঁদ বলেছেন: রেজোয়ানা , পাকিস্তানীরা ক্ষমা চাইলেই কি এই বেদনা মুছে ফেলা যাবে ? হয়তো কিছুটা যাবে কিন্তু এই বেদনা পূরণ হবার নয় । আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন , কিন্তু তার অবদান এই বিরাংগনা দের থেকে বেশী নয় - এটা আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি।পাকিস্তানীরা কি জিনিশ আজকের এই প্রজন্মের অনেকেই জানে না ।না জেনে , না বুঝে অনেক ধরনের গালি ব্যবহার করে ।এটা হয়েছে ইতিহাস কে আমাদের কিছু কিছু দেশ চালক পাতি হাস বানাইয়ে এই রকম করছেন ।প্রজন্মের আর দোষ কি !
আমার বড় ভাই বলেন , ৭১ যিনি স্বচক্ষে দেখেন নাই , উনি বুঝবেন না স্বাধীনতা র মূল্য কতো টুকু । আপনার দাবীটাকে গণ দাবী হিসাবে পরিণত করা যাবে , যখন এই দেশের কোন সরকার জামাতের সাথে সমঝোতা করবে না ।একটা পাকিস্তান নামক ব্যর্থ রাষ্ট্র যেভাবে চলে , বাংলাদেশের জামাত সেই ভাবে চলে ।এই ক্ষেত্রে আপনি কিভাবে দাবী করবেন পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে? গত ২০ দিনের অবস্থা দেখেন । কিভাবে জামাত বিভিন্নভাবে , বিভিন্ন নাম নিয়ে দেশের মানুষ্কে একটা সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে ? আর অন্যান্য রাজনৈতিক দল গুলার অবস্থা দেখেন ।এক দল আরেক দল রে বলতেছে পাদা আর ভাদা। স্বাধীনতা কি আমরা খুব কম মূল্য দিয়ে পেয়েছি?
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: নিমচাঁদ ভাই, আপনার মন্তব্যের প্রতিটি লাইনের সাথে দীর্ঘশ্বাস সহকারে সহমত জানালাম...
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪
মাহবু১৫৪ বলেছেন: পাকিস্তান ক্রিকেটার ইমরান খান গত ৬/৭ বছর ধরে বলে আসছেন যে বাংলাদেশের কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়ার সময় এসেছে। অথচ এখনো --------
শুধু ক্ষমা চাইলেই কি হবে? এই লাখ লাখ মা বোনের উপর যে অমানুষিক নির্যাতন তারা চালিয়েছে তা ক্ষমার ও অযোগ্য।
আর রাজাকার আর তাদের ব্রেনওয়াশ করা নব্য রাজাকারেরা যে মিথ্যাচার চালিয়ে আসছে তাদের ক্ষমা নাই। ইতিহাস বিকৃত কারীদের ক্ষমা নাই। ধিক্কার জানাই তাদের হীন মানসিকতার।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: অথচ এই রাজাকারদের বাচানোর জন্য এই স্বাধীন বাংলাদেশে আজ লাগাতার হরতাল দেয়া হয়, জনগনের প্রপার্টিতে ভাংচুর হয়, আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং রাজাকারের ফাঁসি যারা চাইছে তাদের ফ্যাসিবাদি বলা হয়, তাদের নাস্তিক বলা হয়.....লজ্জা, লজ্জা আর লজ্জা!
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেকক্ষণ সময় নিয়ে পড়লাম , চমৎকার পোস্ট । ++++++++
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: পোস্টখানি আকারগত দিক থেকে কিছুটা বড় হয়ে গেছে মনে হয়!
সময় নিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গিয়াস ভাই.....
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৬
বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: সময়করে দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই!
শুভ দুপুর ......
১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩১
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: রেজো আপা , এইসব নিষ্ঠুর সত্যকথাগুলো চোখের সামনে ফুটে উঠলে , নিজের সামনে দাঁড়ানো যায় না ! একদম যায় না ।
যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে অন্তর্জাল রবাবরই সোচ্চার ছিল, ইদানিং একটু বেশি। ভাল লাগে দেখতে তবে খুব কষ্ট পাই যখন দেখি গালি হিসেবে বলা হচ্ছে ' তুই পাকি বাবাদের রেখে যাওয়া বীর্য' কিংবা 'কয়জন পাকি মিলে তোরে বানাইছে' কিংবা 'চাঁদের বুড়ি এখন বীরাঙ্গনা' নামের কার্টুন, বিরোধী দলীয় নেতাকে "বীরাঙ্গনা" বলে উপহাস সুচক রসালো আলোচনা........ এসব দেখে মনে হয় আমাদের এই প্রজন্ম আমাদের অনেক আবেগ আছে ঠিকই কিন্তু আমরা কি আসলেই 'বীরাঙ্গনা' 'যুদ্ধ শিশু' বিষয় গুলোর সম্পর্কে ঠিক ভাবে জানি, ঠিক ভাবে হৃদয়ে ধারণ করি?
আমরা কি জানি এই দুই বিশেষণের পেছনে কত বেদনা, অশ্রু, ত্যাগ আছে?
একটু ভেবে দেখবেন কি??
এইকথাগুলো আমি কখনোই ভুলবো না ! কখনোই না !
ধন্যবাদ আপনাকে , অনেক ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১১
রেজোওয়ানা বলেছেন: মাশরুর ১৯৭১ এর নির্যাতিতা নারীরা কিন্তু সমাজের কাছে খুব বেশি কিছু চায়নি, তারা শুধু একটু আশ্রয় চেয়েছিল আর চেয়েছিল সমাজ তাকে যেন নিন্দিত চোখে না দেখে।
কিন্তু তুমি শুনে খুব কষ্ট পাবে ১৯৯২ এ যখন এলেজান যখন জনতার আদালতে ধর্ষন নামের যুদ্ধারাধের সাক্ষ্য দিয়ে নিজের গ্রামে ফিরে গেলেন তখন গ্রাম সু্দ্ধ মানুষ তাকে লাঞ্চনা দিয়েছে নানা ভাবে......এটাই আমাদের দেশের এখনকার সার্বিক চিত্র!
নীলিমা ইব্রাহিমকে একজন বীরাঙ্গনা বলেছিলেন
"আজ পথে পথে কত শহীদ মিনার, কত পথঘাট, স্কুল কলেজ উৎসর্গিত হচ্ছে শহীদদের নামে। শহীদদের পিতা-মাতা সন্তনাদের রাষ্ট্রীয় সহানিভূতি শুধু নয়, সন্মানও পাচ্ছে, কিন্তু আমরা কোথায়?
একজন বীরাঙ্গনার নামে কি একটি সড়কের নামকরন হয়েছে? তারা মরে কি শহীদ হয়নি? তাহলে এই অবিচার কেন? বিদেশে দেখেছি কত যুদ্ধবন্দী মহিলারা অনায়াসে তাদের জীবনের কাহিনী বলে গেছেন হাসি ও অশ্রুর মিশ্রণে। তাহলে আমরা কেন অসন্মানের রজ্জুতে বাঁধা থাকবো? এটা কোন মানবাধিকরা?""
ভেবে দেখো এক ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিনী ছাড়া এই চার লাক্ষের কাউকে আমরা চিনি, কারো বর্তমান অবস্থা আমরা জানি?
কি গ্লানিকর অবস্থা!
১১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: বাংলার একটা মায়ের,একটা বোনের রক্তও বৃথা যেতে দিবো না ।
রাজাকারদের ফাসী হবে,পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে ।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: কিন্তু সেই পথে তো দেখছি লজ্জাজনক ভাবে অনেক বাঁধা মন্ত্রী মহোদয়.........
১২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৮
মঈনুল আহসান রাসেল বলেছেন: অনেক কেঁদেছি, আর কাঁদতে চাইনা।
সময় এসেছে সেইসব পাকিদের সহায়তাকারী রাজাকারদের বিচার আদায় করে আমার বীরন্গণা মা বোনদের কিছুটা সন্মান দেয়ার।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: বিদেশে পুনর্বাসনে ছিলেন এমন একজন বীরাঙ্গনা দীর্ঘদিন পরে দেশে ফিরে নীলিমা ইব্রাহিমের কাছে বলেছিলেন ..........
"একটি মুহূর্তের আকাঙ্খা মৃত্যু মুহূর্ত পর্যন্ত রয়ে যাবে। এ প্রজন্মের একটি তরুণ অথবা তরুণী এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, বীরাঙ্গনা আমরা তোমাকে প্রণতি করি, হাজার সালাম তোমাকে। তুমি বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঐ পতাকায় তোমার অংশ আছে। জাতীয় সংগীতে তোমার কন্ঠ আছে। এদেশের মাটিতে তোমার অগ্রাধিকার। সেই শুভ মুহূর্তের আশায় বিবেকের জাগরণ মুহূর্তে পথ চেয়ে আমি বেঁচে রইবো।"
.........আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের, সেই পথে এখনও এত বাঁধা কেন আসবে?
১৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩১
গেস্টাপো বলেছেন: শালার ফাকিস্তানির বাচ্চারা একটা জঘন্য
এদের ধইরা ব্রাস ফায়ার করে মেরে ফেলা উচিৎ ছিলো
একবার ফেসবুক এ এক ফাকিস্তানিকে এই নিয়া গালাগালি করছিলাম।পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শালা আমাকে বলছিলো তারা নাকি শুধু হিন্দু মেয়ে ধর্ষণ করছে বা ধর্ষিত মেয়েদের নব্বই পারসেন্ট হিন্দু।হিন্দুরা নাকি তাদের আর আমাদের মাঝে বিভেদ ছড়াইছে।
আচ্ছে ৯ মাসের যুদ্ধে কতজন ফাকিস্তানি সৈন্য মারা গিয়েছিলো এই ব্যাপারে কারো কাছে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে?
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: পাকিস্তানি নতুন যুগের বাচ্চাদের স্কুল থেকেই শেখানো হয় এসব নাকি অতিকথনা।
ওরা সেই সময়েই দেশীর রাজাকার গুলারে সাথে নিয়ে ধর্ম কে নিয়ে রাজনিতী করছিল, সেই কাজটা এখন আবার করছে জামাত শিবির। হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে, মেরে তারা মুসলামনদের বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল এই ভাবে যে, 'তোমারা নিরাপদ কারণ আমরা মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই"
অথচ শুধু নারী নির্যাতনের কথাই ধরেন, ১৯৭১ এ আমি আপনাকে এটা চার্ট দেই তাহলে এই বদমাশ গুলার ভন্ডামী দেখতে পাবেন......
মুসলমান-৫৬.৫০%
হিন্দু-৪১.৪৪%
খ্রিস্টান ও অন্যান্য-২.৬%
এমন কি মসজিদের ভেতর থেকেও মুক্তিযোদ্ধারা ধর্ষিতা নারীদের বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন।
কতজন পাকিস্তানী সৈনিক মারা গিয়েছিলেন সেই বিষয়ে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য আমার এই মুহূর্তে জানা নেই, জানতে পারলে জানাবো আপনাকে।
ধন্যবাদ।
১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩২
মূর্খ রুমেল বলেছেন: রেজো আপা , এইসব নিষ্ঠুর সত্যকথাগুলো চোখের সামনে ফুটে উঠলে , নিজের সামনে দাঁড়ানো যায় না ! একদম যায় না ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪২
রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক বলেছেন রুমেল, খুব অসহায়, অক্ষম, অস্থিত লাগে.....
১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: যুদ্ধশিশুদের নিয়ে খুব কমই জানা যায়। তবে এটা বুঝতে বেগ পেতে হয়না যে পাকিদের অনাচারের ফসল হিসেবে ভূমিতে আসার পর আমাদের কাছেও তারা পাচ্ছে ঘৃণা। সকল বীরাঙ্গনার জন্যে শ্রদ্ধা, যুদ্ধশিশুদের জন্যে ভালোবাসা। আর ফাকিস্তানী পশুগুলার জন্যে ঘৃণা আজীবন। ধন্যবাদ আপু লেখাটির জন্যে, বোধের উন্মেষ ঘটানোর জন্যে।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের জন্য, গণহত্যা চালানোর জন্য আমরা পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থনা দাবী করি। অথচ দেখো আমরা আমরা নিজেরা আমাদের সেইসব বীরাঙ্গনা এবং তাদের সদ্যজাত সন্তানদের উপর যে চরম অবিচার করেছি, অন্যায় করেছি! আমি পড়েছি অনেক মা তাদের বাচ্চাদের এডাপ্ট দিতে চায়নি, নিজের কাছেই রাখতে চেয়েছিল! সেই সব মায়েদের সিডাক্টিভ দিয়ে ঘুম পারিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কেমন লেগেছে তার ঘুম ভেঙে।
এই যে নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছি আমরা তার জন্য ক্ষমা চেয়েছি কখনো?এখনও কি সময় আসেনি?
১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমরা পাকিস্তানের কিছুই করতে পারবো না! যদি আমাদের সরকার এবং বিরোধী দলগুলো এই ইস্যুতে এক থাকতো তবে ঠিকই আমরা পাকিস্তানকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে পারতাম।
যেহেতু ওদের আমরা কিছুই করতে পারছি না, অন্তত এদেশের যেসব বেজন্মাদের কারণে আমাদের মা বোনরা ধর্ষিত হয়েছে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আবার আরেকটা ব্যাপার হলো যেসব বীরঙ্গনা এবং তাদের সন্তান আছে ওদের দিকে আমরা সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সরকার সবার অবশ্যই দায়ত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আর আমরা যে কোন মূল্যে রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।
জয় বাংলা।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: সবাই ভোটের রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত, নইলে এখনও কিভাবে একটা স্বাধীন দেশে যু্দ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর দাবিতে হরতাল ডাকা হয়, দেশ জুরে নৈরাজ্য চালানো হয় আর একদল বসে বসে দেখে আরেক দল তাদের সাথেই জোটবদ্ধ হয়!!
হ্যাঁ, আমরা সাধারন জনগন যে কোন মূল্যে রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।
জয় বাংলা।
১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২১
স্বপনবাজ বলেছেন: আমরা পাকিস্তানের কিছুই করতে পারবো না! যদি আমাদের সরকার এবং বিরোধী দলগুলো এই ইস্যুতে এক থাকতো তবে ঠিকই আমরা পাকিস্তানকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে পারতাম।
যেহেতু ওদের আমরা কিছুই করতে পারছি না, অন্তত এদেশের যেসব বেজন্মাদের কারণে আমাদের মা বোনরা ধর্ষিত হয়েছে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আবার আরেকটা ব্যাপার হলো যেসব বীরঙ্গনা এবং তাদের সন্তান আছে ওদের দিকে আমরা সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সরকার সবার অবশ্যই দায়ত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আর আমরা যে কোন মূল্যে রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।
জয় বাংলা।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০০
রেজোওয়ানা বলেছেন: সবাই ভোটের রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত, নইলে এখনও কিভাবে একটা স্বাধীন দেশে যু্দ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর দাবিতে হরতাল ডাকা হয়, দেশ জুরে নৈরাজ্য চালানো হয় আর একদল বসে বসে দেখে আরেক দল তাদের সাথেই জোটবদ্ধ হয়!!
হ্যাঁ, আমরা সাধারন জনগন যে কোন মূল্যে রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।
জয় বাংলা।
১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৭
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
এখন বলেন সেই সব বীরাঙ্গনার জন্য আমার কি করতে পেরেছি ? তাদের এই ত্যাগের বিনিময়ে আমরা তাদের কতুটুকু সনমান করতে শিখেছি ?
এখনও এইসব বীরাঙ্গনা ( যাহাদের পাদুকা জাতীর চামড়া দিয়ে তৈয়ার করিলেও রিন শুধিবার নয় । ) যারা সামান্য কয়টা টাকা পায় (শুধু কাগজে কলমে ) তাও আবার একজন রিকসাঅলার ইনকামের চাইতেও অনেক ক্ষুদ্র । (ধর্ষন চলছে কাগজে কলমে)
আর পোষ্টে উল্লেখীত বিষয়ের মদত দাতাদের কাধে চরে কখনো আপ্নি কখনো আমি সিংহাসন দখল করার লোভ করি ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: সব দলই ভোটের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত, নইলে রাজাকারের গাড়িতে কিভাবে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে, রাজাকারদের বাচাঁতে ১৮ দলীয় জোট কিভাবে হরতালে সমর্থন দেয় আর যারা রাজাকাদের ফাঁসির দাবি করে তাদের 'নষ্ট তরুন' বলে!
১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৫
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: লেখাটা পরা সুরু করলে শেষ না কোরে পারাজায়না। অনেক ওজানাকে জানলাম।ধন্যবাদ
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: সময় করে পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা......
২০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২২
রায়হান হোসেন রানা বলেছেন:
আমরা কিছুই দিতে পারিনি বীর মুক্তিযুদ্ধাদের , বীরঙ্গনাদের । উল্টো কতিপয় রাজাকারদের বিচার করতে গিয়েই আমরা হিমসিম খাচ্ছি । পাকিদের এমন নির্মমতা যারা কোনদিন শুনে নাই , বা জানার চেষ্টা করে নাই । শুধুই ইসলামের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে গেছে বা যাচ্ছে সর্বপ্রথম তাদের প্রতিহত করতে হবে ।
এবং আমাদের গভমেন্টকে সাথে সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই লক্ষ লক্ষ নারী নির্যাতন, ধর্ষন, খুন করার জন্য পাকিদেরকে ক্ষমা চাওয়ার দাবী জানাতে হবে ।
পোষ্ট প্রিয় + শেয়ার্ড
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রানা!
ভাল থাকবেন
শুভেচ্ছা....
২১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫২
আশিক মাসুম বলেছেন: আলাউদ্দিন আহমেদ সরকার বলেছেন:
আমরা পাকিস্তানের কিছুই করতে পারবো না! যদি আমাদের সরকার এবং বিরোধী দলগুলো এই ইস্যুতে এক থাকতো তবে ঠিকই আমরা পাকিস্তানকে আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতে পারতাম।
যেহেতু ওদের আমরা কিছুই করতে পারছি না, অন্তত এদেশের যেসব বেজন্মাদের কারণে আমাদের মা বোনরা ধর্ষিত হয়েছে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আবার আরেকটা ব্যাপার হলো যেসব বীরঙ্গনা এবং তাদের সন্তান আছে ওদের দিকে আমরা সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সরকার সবার অবশ্যই দায়ত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আর আমরা যে কোন মূল্যে রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।
সহমত ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: সবাই ভোটের রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত, নইলে এখনও কিভাবে একটা স্বাধীন দেশে যু্দ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর দাবিতে হরতাল ডাকা হয়, দেশ জুরে নৈরাজ্য চালানো হয় আর একদল বসে বসে দেখে আরেক দল তাদের সাথেই জোটবদ্ধ হয়!!
হ্যাঁ, আমরা সাধারন জনগন যে কোন মূল্যে রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই।
জয় বাংলা।
২২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনি একটি চোখের আড়াল হওয়া ব্যাপার সামনে নিয়ে এসেছেন, অনেক দিন ধরে আমার এই সব যুদ্ধ শিশুদের ব্যাপারে কৌতুহল আছে, প্রচন্ড সমব্যাথী আমি এদের ব্যাপারে। জন্মই এদের আজন্ম পাপ।
অল্প কিছু যুদ্ধ শিশু তাদের দত্তক পরিবারের মহানুভবতায় সুন্দর জীবন লাভ করেছে কিন্তু বেশীর ভাগ ই কিন্তু বিনা ডি কস্টাকে লেখা সেই শিশুর মত ভাগ্য বরন করছে।
আমি জানছি এদের নিয়ে। ইচ্ছে আছে এদের নিয়ে আরো পরে কিছু লেখার ধারাবাহিক ভাবে। প্রচন্ড কষ্ট অনুভব করি এদের জন্য।
ভাল থাকুন বোন
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২০
রেজোওয়ানা বলেছেন: অবশ্যই লিখবেন, অনলাইনে এই সংক্রান্ত বাংলা লেখালেখি খুবই কম হয়েছে। আপনার তথ্য সমৃদ্ধ লেখা সেই অভাব পুরনে ভুমিকা রাখবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া,
ভাল থাকবেন।
২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০১
রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ব্লগে না আসলে এই ধরনের কত চমত্কার লেখা পড়তে পারতাম না..........এই বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
+++++
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রাজন!
সময় ভাল কাটুক আপনার...
২৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ কি চমৎকার লেখা। দূর্দান্ত।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়লেন বলে খুব ভাল লাগলো শরৎ,
শুভেচ্ছা নিরন্তর......
২৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
লুব্ধক০১ বলেছেন: অসাধারন লেখা , বিনম্র শ্রদ্ধা - সেইসব বীর'মাতাকে।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা - সেইসব বীর'মাতাকে।
২৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
হাসি .. বলেছেন: সকল বীরাঙ্গনার জন্যে শ্রদ্ধা
++
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: সকল বীরাঙ্গনার জন্যে শ্রদ্ধা.............
২৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
খুব ভাল লিখেছেন।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩১
রেজোওয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ মুবিন ভাই......
২৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হৃদয় ছুয়ে যাওয়া লেখা
বিনম্র শ্রদ্ধা বীরাঙ্গনাদের জন্য ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মনিরা আপা।
বিনম্র শ্রদ্ধা সকল বীরাঙ্গনাদের জন্য....
২৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
কামরুল হাসান জনি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। যুদ্ধের ইতিহাস জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে জনি!
খুব ভাল থাকবেন......
৩০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
++++++++++
প্রিয়তে।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪২
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লেখোয়াড়।
দিন গুলো ভাল কাটুক আপনার......
৩১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
অ্যানোনিমাস বলেছেন: আমি বাকরুদ্ধ +++++++++
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: হবারই কথা চয়ন!
৩২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অসম্ভব ভালো পোস্ট।
ড. নিলীমা ইব্রাহীমের আমি বিরাঙ্গনা বলছি বইটা পড়লে অনেক কিছুই ক্লিয়ার হয়ে যায়। আমি আসলে সহ্যও করতে পারিনা।
রেজু আপু, সেলিনা হোসেন সম্পাদিত, "আমি নারী, আমি মুক্তিযোদ্ধা" বইটাও রেফার করছি। এই বইটা পড়ে দেখো।
বীরাঙ্গনা এবং যুদ্ধশিশুদের ব্যাপারে অন্তর্জালে একটা আর্কাইভ গড়ে তোলা যায় না আপু ?
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: বইটা অবশ্যই সংগ্রহ করে ফেলবো! এই বিষয়ে আমার কালেকশন মোটামুটি ভালই, এটা নাই। কোন প্রকাশনী বলতে পারবে?
বীরাঙ্গনা এবং যুদ্ধ শিশুদের নিয়ে আমাদের অনলাইনে তেমন তথ্য সমৃদ্ধ নির্ভরযোগ্য লেখা নেই, এটা করতে পারলে খুবই ভাল হয়! তোমার যদি কেউ উদ্যোগ নাও, আমি সানন্দে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে রাজি আছি.....
ভাল থেকো তন্ময়।
৩৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
কয়েস সামী বলেছেন: ++++++++++
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া...
৩৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
লক্ষ্মীপেঁচা বলেছেন:
অসাধারন একটি লেখা । শ্রদ্ধা জানাই সেই বিরঙ্গনাদের প্রতি। আর যুদ্ধ শিশু সম্পর্কে খুবি কম জানি । এই বিষয়ে আপনার লেখার মাধ্যমে বেশ কিছু বিষয় জানলাম । যুদ্ধ শিশুদের প্রতি সমবেদনা জানাই ।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমাদের আসলে জাতিগত ভাবে বীরাঙ্গনা এবং যুদ্ধশিশুদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত...
ধন্যবাদ লক্ষ্নীপেঁচা
৩৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
এবং ব্রুটাস বলেছেন: আমি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই, তারপরও যখন খালেদা জিয়াকে বীরাঙ্গনা বলার পাশাপাশি লীগের উচু পর্যায়ের মানুষজন যুদ্ধকালীন সময়ের কথা বলে ফেসবুকে অশ্লীল ইংগিত করে তখন সত্যিই অবাক হই এই ভেবে যে আমরা কি আসলেই বীরাঙ্গনাদের সম্মান দিচ্ছি ?
পোস্টে অনেক ভালোলাগা ।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: খালেদা জিয়াকে সমালোচনা করার জন্য তার বর্তমান রাজনৈতিক কার্যকলাপই যথেষ্ট! এই জন্য তারা সেই অতীতকে টেনে আনে যার জন্য সে দায়ী ছিল না, যেটা ছিল একটা কষ্টকর অধ্যায়, সেই অধ্যায় কে উপহাস করা মানে সকল বীরাঙ্গনাদেরই অপমান।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য.....
৩৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কিছু কিছু জিনিস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয়। আপু, আপনি যেন তাই করলেন। কখনো চিন্তা করিনি এভাবে। তবে সময় বদলায়, চিন্তার ও বদল হয়। এখন সময় এসেছে। সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
আমাদের সবাইকে এক সাথে এই ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। উপর্যুপরি সকল দলকে চাপ দেয়া যেতে পারে এই ব্যাপারে।
চমৎকার লেখনি। এতটুকু মনে হয়নি বড় বা বোরিং।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধের এই অংশ গুলো নিয়ে অন্তর্জালে আরও বেশি বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্যমূলক লেখা আসা দরকার, সবার মধ্যে ছড়িয়ে চেতনা দেয়া দরকার। ক'জনই বা আর এই সংক্রান্ত বই কিনে পড়ে বলুন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাল থাকবেন....
৩৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মেলবোর্ন বলেছেন: খুবই মর্মস্পশী গুছানো পোস্ট আপু। বীরাঙ্গনাদের প্রতি অত্যাচারের বর্ননা অনেকটাই আপনার পোস্টে আছে এখানে আরো একটু বিস্তারিত পাবেন --এর পরেও যদি তোরা না জাগিস আর কবে জাগবি- মানুষ হইলে প্রতিবাদ কর??? (বিদ্র: পোস্ট টি অনুপোযুক্ত বয়সের এবং হার্টের রোগির জন্য নয়)
Click This Link
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১১
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার মতে এই চরম অত্যাচারের এই বিষয় গুলোর কিছুটা সহনযোগ্য করে মাধ্যমিক পর্যায়ের ইতিহাস বই গুলোতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, তাহলে অন্তত: অনেকেই রাজাকারের দল জামাত-শিবিরে নাম লেখাবে না।
আপনার পোস্ট পড়েছি, স্বাধীনতার দলিলপত্র অষ্টম খন্ডটা পড়লে অসহায় রাগ হয়, চোখ জ্বালা করে.....এখানে সব অত্যাচারের কাহিনী আছে।
৩৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
আরজু পনি বলেছেন: আমরা যতই দরদী, দেশপ্রেমিক হইনা কেন, তারপরও দেশপ্রেমের ঠেলায় আমরা্ও কখনো কখনো পাকি সেনাদের মতো আচরণ করি। ফেসবুকে যখন দেখি কোন দেশপ্রেমিক ফেসবুকার দেশপ্রেমের ঠেলায় কোন নারীর উপর আক্রোশ ঝারতে রেপ করার ঘোষণা দেয় আর অন্যরা তাতে বাহবা দিয়ে লাইক দেয় তখন অবাক হয়ে ভাবি তাহলে পাকি সেনাদের সাথে আমাদের তথাকথিত দেশপ্রেমিকদের তফাৎ কি?
অসাধারণ লিখেছেন রেজো্ওয়ানা। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম স্বাধীন বাঙলায় জন্মেছি মানে সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি। আমরা এখন্ও আমাদের মনটাকে ততোটাই বড় করতে পারি নি, যতোটা বড় করলে একজন "বীরাঙ্গনা" উপাধী প্রাপ্ত নারীকে করুণা নয় শ্রদ্ধার আসনে বসাবো।
আমরা যেন ভুলে না যাই, সেই জায়গায় আমি, আমার মা বা আমার বোন্ও থাকতে পারতো।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: অসামান্য মন্তব্যটার জণ্য অনেক ধন্যবাদ পনি আপু। সেদিন রাগ ইমন আপু ফেবুতে একটা কথা বলছিলেন সেটা শেয়ার করি`..................... "১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিলো নীতিহীনতার বিরুদ্ধে নীতিবানদের যুদ্ধ। এইজন্যই আপনারা শুনবেন না , একদল মুক্তিযোদ্ধা পাকিপন্থী নারীদের ধরে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ক্যাম্প চালাচ্ছে। নাহ, কোন মুক্তিযোদ্ধাই এই কাজটি করেন নাই। কারণ, ধর্ষণের মত ঘৃণ্য পাপ যে করতে চায়, তার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের মত আত্মত্যাগ করা সম্ভব না। অথচ ব্লগীয় জীবনে কিছু কীবোর্ড "তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা " পাওয়া গেলো যারা কথায় কথায় পাকিপন্থীদের ধর্ষণের ইচ্ছা প্রকাশ করে। এরা আসলে মুক্তিযোদ্ধা তো নয়ই, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেরও কেউ না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মূল চারনীতির সাথে "ধর্ষণ" বা "ধর্ষণের ইচ্ছার" মত জঘন্য মন মানসিকতা যায় না। এই সব কীবোর্ড বিপ্লবীদের থেকে সাবধান থাকুন। এই ইতরদের কারণেই মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধারা কলংকিত হয় বার বার। মনে রাখবেন, নীতিবান ভদ্র মানুষেরা জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই করে আর ধর্ষক ইতররা ইতরামি করে। এক ইতর আরেক ইতরকে খুন করে দেশ দখল করলে শেষ পর্যন্ত দেশ ইতরের দখলেই থাকে। আমরা নিশ্চয় তা চাই না।"
৩৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: বদ পাকিদের ক্ষমা চাইতেই হবে। আর, মুরতাদ নিয়াজিদের ক্ষমা নাই।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২১
রেজোওয়ানা বলেছেন: বদ পাকিদের ক্ষমা চাইতেই হবে। আর, মুরতাদ নিয়াজিদের ক্ষমা নাই.....
৪০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
সায়েম মুন বলেছেন: পোস্টটা অফলাইনে পড়েছিলাম। পড়তে পড়তে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যুদ্ধে নারী এবং শিশু সবচেয়ে বিপদাপন্ন হয়।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: তবে বাংলাদেশে এত কম সময়ে পাকিস্তানীরা তাদের সহযোগী রাজাকারদের সাহয্যে যে পরিমানে নারী নির্যাতন, শিশু হত্যা করেছে.......সেটা বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন!
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য সায়েম।
৪১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য। এ সম্পর্কে আমারও বেশ কিছু বলার আছে। আপাতত পোস্টটা প্রিয়তে রাখছি। পরে বিস্তারিত একটা মন্তব্য করব।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২
রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম, কিংবা আপনি একটা পোস্টও দিয়ে ফেলতে পারেন! এই বিষয় গুলো নিয়ে আমাদের বাংলা অন্তর্জাল বেশি সমৃদ্ধ নয়, অনেক বেশি লেখালেখি হওয়া উচিত।
ধন্যবাদ নাজিম ভাই।
৪২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪
আহসান ০০১ বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল একটা পোস্ট, অনেক কিছু জানা গেল, খুব ভাল লিখসেন।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়লেন বলে খুব ভাল লাগল আহসান।
ভাল থাকুন......
৪৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৭
আহসান ০০১ বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল একটা পোস্ট, অনেক কিছু জানা গেল, খুব ভাল লিখসেন।
৪৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫২
ভিয়েনাস বলেছেন: যেখানে আমরা নিজেদের বিভেদ ভুলে এক হতে পারিনা সেখানে অন্যদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আশা করা বৃথা ।
পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানা হল । সকল বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের জন্য শুভ কামনা ।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: নিজেদের মধ্য বিভেদ ভুলতে না পারলে আমাদের কপালে অনেক দু:খ অপেক্ষা করচে সামনে.........
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভিয়েনাস।
৪৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪১
শুভ আত্মা বলেছেন: আমি এই হারামজাদা জাতির চেহারা বদলে দেবো,
জেনারেল নিয়াজির এ বক্তব্যে যতটা দম্ভ আছে তার চেয়ে সহস্রগুন বেশী আছে পশুত্ব। তিনি তার পশুত্বকে উন্মোচন করেছেন এ উক্তিতে।
আমার চোখে এদেশের সকল মানুষই এক, সেখানে যুদ্ধ শিশুদের জন্য আলাদা কোন কামড়ার ব্যাবস্থা নেই, সবাই এক কামড়ারই বাসিন্দা আমরা।
আপনার শুভ আত্মাটি দেখা গেল লেখায়।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: "আমার চোখে এদেশের সকল মানুষই এক, সেখানে যুদ্ধ শিশুদের জন্য আলাদা কোন কামড়ার ব্যাবস্থা নেই, সবাই এক কামড়ারই বাসিন্দা আমরা।".......এমন যদি হতো সেটা খুবই ভাল হতো! তা কিন্তু হয়নি, এরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পায়নি, যে সব দেশে তারা এডাপ্টেড হয়েছিল, সেই সব দেশের নাগরিক হয়েছেন।
ধন্যবাদ সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য...
৪৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৫
নস্টালজিক বলেছেন: এ রকম লেখা পড়তে আমি ঠিক সাহস পাইনা!
শূন্য লাগে পড়া শেষে!
এ রকম পোস্ট মনোযোগ দিয়ে লিখে পোস্ট দিতেও সাহস লাগে!
শুভেচ্ছা, রেজ!
ভালো থাকো নিরন্তর!
আর, শুভ জন্মদিন! বেঁচে থাক সুন্দর!
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার মতে এই সব ঘটনা গুলো, মু্ক্তিযুদ্ধের দলিল পত্রের অষ্টম খন্ড থেকে অত্যাচারের কাহিনী গুলো মাধ্যমিক শ্রেণী থেকে প্রতি ইতিহাসের বইতে পড়ানো উচিত, তাহলে নিশ্চয় একদিন নতুন কোন প্রজন্ম আর রাজাকারের সপক্ষে ভাংচুরে রাস্তায় নামবে না।
সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ রানা, দিন ভাল কাটুক তোমার...
৪৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪২
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: প্লাস ও প্রিয়তে
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১২
রেজোওয়ানা বলেছেন: দাড়াও আগে চেক করে দেখি আসলেই প্রিয়তে নিস কিনা
৪৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৯
কামরুল হাসান শািহ বলেছেন:
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমারে নিয়া যে কার্টুনটা বানাইসি, সেইটা দিবো ব্লগে পোস্ট করে? :-<
৪৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৫৯
বোরহান উদদীন বলেছেন:
অনেক সাহসী এবং প্রতিবাদী লেখা ধন্যবাদ ... আপু।
শুভ জন্মদিন। সামনের দিনগুলা অনেক অনেক সুন্দর হউক এই কামনায়......... মাসুম।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২১
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন বোরহান ভাই!
সবুজ গোলাপ কি সত্যি সত্যি আছে......অনেক সুন্দর।
৫০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১০
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: কে ভাববে এসব নিয়ে ? এদের নিয়েতো আর রাজনীতি করা যায় না !!
শুভ জন্মদিন আপু।আপনাকে ফেবুতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইছিলাম, এক্সেপ্ট করেন প্লিজ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি তো পেন্ডিং লিস্টে অনেক খুজেও আপনাকে পেলাম না!
রেজা নুর নামের একজন আছেন, উনিই কি আপনি?
৫১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২২
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: হেফি বাড্ডে
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: থ্যাংকু
৫২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২৮
মুনতাসীর রোমান বলেছেন: নির্লজ্জ জঘন্য বাঙ্গালি নামের কলঙ্ক কিছু কুলাঙ্গার এখনও পাকিস্তানীদের পতাকা টাঙ্গিয়ে বলে খেলা আর রাজনীতিতো আর এক না । এইসব শুকর শাবকদের ঘাড় ধরে এনে পোস্টটা দেখানো উচিত ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে মনে হয় এদের বাবা, মা আত্মীয় স্বজন কেউই কি মুক্তিযুদ্ধের কথা, বাংলাদেশীদের সংগ্রামের কথা একবারও এদের শোনায়নি!!
৫৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৪২
এম এম ইসলাম বলেছেন: পাকিস্তান ক্ষমা চাওয়া না চাওয়াতে ভূক্তভূগী বীরঙ্গনাদের কিছু আসে যায় না। উক্ত ৯ মাস ও পরবর্তীতে আমৃত্যু এ সকল বীরঙ্গনা যে যন্ত্রনা ভোগ করেছে ক্ষমা চাইলে তার কি বিন্দু পরিমান উপশোম হবে? তবে নৈতিক কারনে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এ দেশ ক্ষমা করবে কিনা সেটা ভিন্ন বিষয়।
আর আন্তঃর্জাতিক আইনে ক্রিমিনাল পাকিস্তানীদেরকে বিচার করতে পারলে কিছুটা শান্তি পাওয়া যেত। বিচারের ওয়াদা করে ভূট্ট সাহেব অপরাধীদের নিরাপদে পাকিস্তানে নিয়ে গেলেন। তারপর ওয়াদা ভঙ্গ করলেন। অপরাধীদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে ভিক্টিমেরও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বিচারের বাণী শুধু নিরবে নিভৃতে কেঁদেছে।
যুদ্ধ শিশুদের প্রতি রইল সমবেদনা। তারা নিরপরাধ, নিঃস্পাপী। পিতা- মাতা, মাতৃভুমি সব কিছু থেকে তারা অবহেলিত, বঞ্চিত, পরিত্যজ্য। নিষ্ঠুর বাস্তবতায় শেখ মুজিবের সিদ্ধান্ত হয়তো ঠিক ছিল। যুদ্ধ শিশুরা এদেশে প্রতি পদে পদে অবহেলা,অপমান, লাঞ্ছনা ছাড়া কিছুই পেত না।
চমৎকার বিষয়বস্তু নির্বাচন ও তথ্যবহুল লেখার জন্য রেজোওয়ানা আপুকে অনেক ধন্যবাদ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১১
রেজোওয়ানা বলেছেন: এমন চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া!
ব্লগ পড়লেন বলে ভাল লাগলো।
ভাল থাকুন
শুভ রাত...
৫৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯
অচিন্ত্য বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট আপু। যুদ্ধের এই পর্বটি নিয়ে কোনদিন এভাবে ভাবিনি। আমার শুধু মনে হত যুদ্ধশিশুরা বোধ হয় এই মাটিতেই বেড়ে উঠেছে। আর তাদের প্রতি আমার মনোভাব কেমন হবে তা কিছুতেই ঠিক করতে পারতাম না। ওসব ছোটবেলার কথা। আস্তে আস্তে তাদের কথা আর মনে আসে না। আপনি বলেছেন এই অনুচ্চারিত অধ্যায়টি মহান মুক্তিযুদ্ধের অংশ ছিল। সত্যিই তো। যুদ্ধ তো শুধু নয় মাসের রক্তক্ষরণ নয়। এর অন্তরালে আরো কত ক্ষরণ তার খবর আমরা রাখি না। আপনার পোস্টটি পড়ে আমি এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশুনা করার তাগিদ অনুভব করছি।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: না, অধিকাংশ যুদ্ধশিশুদেরই দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল যতদূর জানা যায়! তবে এই বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট নথিপত্র না থাকায় আসলেই কতজন যুদ্ধ শিশু ছিলেন এবং তারা সবাইকি ভিনদেশে এডাপ্টেড হয়েছিলেন কিনা সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ ভাবে কিছু জানা যায়নি, বাংলাদেশের এই অধ্যায়টাকে অসম্পূর্ণ ইতিহাস বলতে পারো!
অবশই পড়াশুনা করবে, আমাদের সকলেরই জানা উচিত এই বিষয় গুলো!
আমি বেশ কিছু সোর্সের লিংক আর বইয়ের নাম দিয়েছি। চেক করে দেখো....গা শিউরে উঠবে।
৫৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
মামুন রশিদ বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম, অসম্ভব ভালো আর পরিশ্রমী পোস্ট ।
শুভ জন্মদিন রেজোওয়ানা
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাইয়া!
আর লিলি ফুলের জন্যও, টাইগার লিলি আমার খুব পছন্দের ফুল
৫৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০১
মিথানল বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়লেন বলে ভাল লাগলো মিথানল!
ভাল থাকুন...
৫৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
এম হুসাইন বলেছেন: "শুভ জন্মদিন" আপু।
অনেক অনেক শুভকামনা।
ভালো থাকুন, নিরন্তর।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ হুসাইন ভাইয়া
৫৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
ইখতামিন বলেছেন:
পোস্টে ভালো লাগা.
শুভ জন্মদিন.
আপনার প্রতিটি দিনই শুভ হোক.
প্রতিটা ক্ষণ মঙ্গল বয়ে আনুক.
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইখাতামিন!
সময় ভাল কাটুক আপনারও......
৫৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: শুভ জন্মদিন আপু। সারাদিন শুধু নয় সারাজীবন কাটুক আনন্দে।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সজীব ভাই!
কেকটাতো সত্যি সত্যি খেতে ইচ্ছে করছে
৬০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: শুভ জন্মদিন আপু
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: থ্যাংকিউ মন্ত্রী সাহেব
৬১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: শুভ জন্মদিন।
পোস্ট আগেই পড়েছি, ভাল লেগেছে।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আহসান ভাই!
শুভ দিন
৬২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
অনীনদিতা বলেছেন: শুভ জন্মদিন
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
রেজোওয়ানা বলেছেন: থ্যাংকস অনিন্দিতা!
প্রোপিকটা খুবই মিষ্টি
৬৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
শ্রাবণ জল বলেছেন: শুভ জন্মদিন, আপুনি।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রাবণ জল!
বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো!!
৬৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: শুভ জন্মদিন আপু
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!
ভাল থেকো
৬৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: এই অসাধারন পোষ্টটা Miss করে গেছিলাম । সাম্প্রতিক মন্তব্যে পেয়ে খুব ভাল লাগতেছে ।
কিছু শিক্ষা নিলাম এখান থেকে যেগুলো অবস্যই মেনে চলব ।
আর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানবেন আপু
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি জানতাম এই ধরনের লেখা আপনার পছন্দ, তাই না দেখে একটু অবাক হচ্ছিলাম !
অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন
৬৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
শুভ জন্মদিন আপু
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৬৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২
শান্তা273 বলেছেন: আপনার লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে আপু।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল।
শুভ জন্মদিন।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়লেন বলে খুশি হলাম শান্তা!
অনেক ধন্যবাদ
শুভ দিন
৬৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পোষ্ট সরাসরি প্রিয়তে নিলাম।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: গ্রেট অনার ফর মি
৬৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯
সায়েম মুন বলেছেন: দ্যাখো দিকি কান্ড তোমার জন্মদিনে আমার ল্যাপু হয়েছে গড়বড়। সারাদিন গেল ল্যাপু ঠিক করতে।
জন্মদিনের লেট শুভেচ্ছা।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
রেজোওয়ানা বলেছেন: ল্যাপ্পির এই ফ্যাসিবাদি আচরনের তীব্র নিন্দা জানাইলা!
যাক, ৫ টাকা জরিমানা হইসে, দিয়া ফেলাও
৭০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
হাসি .. বলেছেন: শুভ জন্মদিন আপু
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসি!
ভাল থেকো
৭১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি সামান্য দৌড়ের উপ্রে আছি! দৌড়াদৌড়ি শেষ হলেই ফিরে আসছি।
আমার হ্যাপি বাড্ডেতে উইশ করার জন্য (যারা এখনও করেন নাই কইরা ফেলান বলে দিলুম ) সবাই অনেক অনকে এবং অনেক ধন্যবাদ
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: মুসাফির মাম্মা বলসে, 'নিজের পোস্ট নিজে কমেন্ট করলে, কমেন্টের সংখ্যা বাড়ে'
৭২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: এই লেখা গুলো পড়তে কষ্ট লাগে....... নতুন কিছু তথ্য জানতে পারলাম ........
অনেক নবজাতককে ইদুরের বিষ খাইয়ে, পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল এবং সর্বোপরি এই রাষ্ট্র তাদের এই দেশে থাকার অধিকার দেয়নি।
অপরাধ ছিল কার আর অপরাধী হল কে..........? ধিক্কার রাষ্ট্র ........
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
রেজোওয়ানা বলেছেন: তখনকার সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিততে হয়তোবা সেই সিদ্ধান্তটাই ঠিক ছিল!
তবে এখন সময় এসেছে ক্ষমা চাইবার!
অনেক ধন্যবাদ তুহিন ভাই...
৭৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৭
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: শুভ জন্মদিন আপু।
পোস্ট পড়ে খারাপ লাগলো। বিশেষ করে সেই লেখাটি পড়ে যেখানে কানাডিয়ান যুদ্ধশিশুটা বলছে যে সে বাংলাদেশকে ঘৃণা করে। আমি এই কয়েকদিন আগে থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র পড়া শুরু করেছি। ধীরে ধীরে তা থেকে অনেক কিছু জানতে পারবো আশা করছি।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: সকল বাংলাদেশীরই মানুষেরই মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র পড়ে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি!
অনেক ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য।
ভাল থাকুন
৭৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
শাহেদ খান বলেছেন: এসব পোস্ট পড়ে শেষ করতে পারি না আপু !
বাংলাদেশ কবে পাকিস্থানকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই লক্ষ লক্ষ নারী নির্যাতন, ধর্ষন, খুন করার জন্য ক্ষমা চাইতে বলবে??
শুধু ক্ষমা পাওয়ার অধিকার কি ওরা রাখে? রবীন্দ্রনাথ তো পরম ক্ষমাশীল স্রষ্টা'র উদ্দেশ্য পর্যন্ত প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন,
"যাহারা তোমার বিষায়ছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ? তুমি কি বেসেছো ভালো?"
আমরা বিচার চাই, আপু। ওরা তো স্বীকার পর্যন্ত করে না !
অনেক দেরীতে হলেও, জন্মদিনের শুভেচ্ছা !
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক বলেছো শাহেদ এরা আসলে ক্ষমারও অযোগ্য!
তবে আমরা মানসিক শান্তির জন্য এটা দাবি করতে পারি এবং যে ১৫৯ জন যুদ্ধবন্দি পাকিদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান তাদেরো বিচার দাবি করতে পারি এবং এটা আমাদের দায়িত্ব!
অনেক ধন্যবাদ
৭৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫২
আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
প্রিয় আপু,অসাধারণ লিখেছেন।এত সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ,কৃতজ্ঞতা এবং সেই সাথে জন্মদিনের উষ্ণ শুভেচ্ছা রইল।
বাংলার সব ভাইয়েরা বীর আর বোনেরা বীরঙ্গনা
আমরা জীবন দেব তবু কখনো মান দেব না!!!
ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: সুন্দর এই মন্তব্যে অনেক ভাল লাগা!
ভাল থাকবেন
৭৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৬
আরজু পনি বলেছেন:
পোস্ট পড়ার পর প্রিয়তে নিতে যেয়ে শেয়ার করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
শেয়ার্ড।
২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
৭৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
তাসজিদ বলেছেন: পাকিস্থানিদের জন্য জাহান্নাম হল আদর্শ স্থান।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১২
রেজোওয়ানা বলেছেন: সবাই কিন্তু খারাপ না!
৭৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
তাসজিদ বলেছেন: পাকিস্থানিদের নিয়ে কথা বলতেও ঘেন্না লাগে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: বাংলাদেশি রাজকার, জামাতীদের নিয়ে কথা বলতে আমারও ঘেন্না লাগে।
৭৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালো লাগলো প্রিয়তে নিলাম...জন্মদিনের শুভেচ্ছা
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৬
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই!
শুভ রাত
৮০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
নীলপথিক বলেছেন: দেরীতে হলেও শুভ জন্মদিন রেজওয়ানা।
আপনি কি কোন প্রত্নতত্ত্ববীদ? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের?
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ নীল পথিক
হু, জাবির, প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে পড়েছি কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববীদ হতে পারি নাই
৮১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
অদৃশ্য বলেছেন:
একটি ব্যপার হলো ক্ষুধার তাড়নায় করা..... আর একটি ব্যপার হলো ইচ্ছাকৃত বা পরিকল্পিত ভাবে করা....
ক্ষুধার তাড়নায় হলে হয়তো তা ক্ষমার যোগ্য হতো.... কিন্তু ইচ্ছাকৃত হলে তা কখনোই ক্ষমার যোগ্য নয়...
জানি ক্ষমা মহৎ গুন.... কিন্তু এইসব ব্যপারে ওদের কোন ক্ষমা হতে পারে না...
যুদ্ধ এক জিনিস.... আর নিরিহ নারীদের ধর্ষন করে গর্ভবতী করবার ব্যপারটা আলাদা...
ওরা এই ইহকালেও জ্বলবে পরকালেও জ্বলবে...
সেইসব গল্প, দৃশ্য...... বিভীষিকাময়
_________
লিখাটি দারুন হয়েছে....
শুভকামনা...
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২০
রেজোওয়ানা বলেছেন: "সেইসব গল্প, দৃশ্য...... বিভীষিকাময়"............ঠিক বলেছেন! আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখি নাই, মা-বাবার কাছে গল্প শুনেছি!
আমি বীরাঙ্গনা বলছি' বইটা পড়লে এত অক্ষম ক্রোধ হয়, রাগ হয়....চোখ জ্বালা করতে থাকে.....
শুভ রাত,
অদৃশ্য!
৮২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৫
অচীনপুরের চেনা মুখ বলেছেন: ++++++++
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: যোগচিন্থের প্রাচীরের জন্য অনেক ধন্যবাদ অচীনপুরের চেনা মুখ (নিকটা সুন্দর হয়েছে)!!
৮৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: যুদ্ধ শিশু নিয়ে কাউকে কথা বলতে খুব একটা শুনা যায় না। বিষয়টা কেমন সবাই আড়ালে রেখে দেয়।
যুদ্ধ শিশুর ইমেইল টা মনটা সিক্ত করে তুলল!
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: যুদ্ধশিশুদের নিয়ে খুব জানতে ইচ্ছে করছিল, বইপত্র খুজলাম অনেক! কিন্তু আপনি শুনলে অবাক হবেন এই বিষয়টা নিয়ে তেমন কোন তথ্য, উপাত্ত, লেখালেখি কিছুই নেই! এমনকি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা গবেষণা করছেন, তাদের কাছেও এরা অপাংন্তেয়!!
ভাল থাকুন মাসুম ভাই...
শুভ রাত
৮৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: +++
"বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধ শিশু" এদের এক বিরাট অংশ আমাদের দেশে আছে ।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: যুদ্ধ শিশুদের কেউ কি এই দেশে আছেন কিনা, সেই বিষয়ে অনেক খুঁজেও কিছুই জানতে পারিনি!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ সিদ্ধার্থ
ভাল থাকুন......
৮৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভ জন্মদিন শুভ হোক।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: ওয়াও, দারুন একটা গোলাপিত ড্রেস
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
শুভ রাত.......
৮৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
বাংলার হাসান বলেছেন: শুভ জন্মদিন শুভ হোক।
চমৎকার পোষ্ট ++++++ রইল।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: লেখাটা পড়লেন বলে ভাল লাগলো!
অনেক ধন্যবাদ হাসান
ভাল থাকুন.....
৮৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
রুদ্র মানব বলেছেন: এসব পোস্ট পড়ার পর মনটা এমনিতেই খারাপ হয়ে যায় । পাক পাক বাহিনীর নারকীয় অত্যাচার , নরকের অত্যাচারকেও অনেক ক্ষেত্রে হার মানায় ।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: এমন অত্যাচার, নির্যাতন কোন মানুষ' মানুষের সাথে করতে পারে না.....
শুভ রাত
রুদ্র!
৮৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
ড. জেকিল বলেছেন: সব দেশ খুজলেই হয়তো একজন নিয়াজী খুঁজে পাওয়া সম্ভব, তাই বলে এতো জন কি করে পশু হয় ?? ............ওরা আসলেই একটা শয়তান জাতি
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩১
রেজোওয়ানা বলেছেন: নির্বোধ, বর্বরের দল ......
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ড.জেকিল!
(আচ্ছা মি. হাইড নামে কোন নিক আছে?!!)
৮৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: আপু ইটালিক অংশ গুলো পড়ে খুব খারাপ লাগছে , খুব ।
এত কষ্ট আমরা মনে হয় না উপলব্ধি করতে পারব , কত কষ্ট ।
আমরা কি জানি এই দুই বিশেষণের পেছনে কত বেদনা, অশ্রু, ত্যাগ আছে?
প্রিয়তে নিলাম । মাঝে মাঝে পড়ব ।
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: প্রিয়তে স্থান পেয়েছে জানতে পেরে খুব ভাল লাগলো অদ্বিতীয়া!
আপনি যদি এই বিষয়ে আরও পড়তে চান তাহলে পোস্টে যে বই গুলোর নাম লিখেছি সেগুলো সংগ্রহ করতে পারেন!
খুব ভাল থাকুন
শুভ দিন
৯০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০১
রেজোওয়ানা বলেছেন: ব্লগ আর ক্যাচাল.....এক সুতোয় বাঁধা
৯১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন পোষ্ট আপু। আমি সেদিন অফলাইনে পড়েছিলাম।
আজকে কমেন্ট করার জন্য ঢুকলাম।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক দেরি হলো রিপ্লাই করতে!
ব্লগে ইদানিং একদমই ভাল লাগছে না....
৯২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ফারিয়া বলেছেন: কষ্টটা বাড়ছিল যতটা পড়ছিলাম। আপু সত্য করে বলতে পারি, এসব আমি নিজেই কয়েকজন লেখকের লেখাতে আংশিকভাবে পড়েীলাম, এবং পাঠ্য-বইয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দুই লক্ষ নারী ধর্যন হয়েছে পড়েছিলাম, কিন্তু তারপর তাদের কি হয় কেউ জানায় নি! কেউ জানতে চায়নি; আমাদের তো বিকৃত আর মনগড়া ইতিহাস দিয়ে আসছে শেখার প্রথম দিন থেকে। আর তাদের কাছে এমন তুচ্ছ বিষয় কিভাবে অর্থ রাখবে, যারা আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করতে অপেক্ষা করে আর সুজোগ খোজে?
উদাহরন, আমি পড়েছিলাম বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভুটান, আর এখন বাচ্চাদের পড়ায় ভারত! তা কার পড়া ভুল? আমার নাকি তাদের, নাকি উভয়ের?
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: ইতিহাসের ভুল উপস্থাপন একটা জঘন্যতম অপরাধ, অথচ এই অপরাধের জন্য কারো কোনদিন শাস্তি হয় না.....
ভাল থেকো ফারিয়া
শুভ দুপুর!
৯৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: nice post.
war child bishoye amar ekta likha ase.
smy kre porben.
Click This Link
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
রেজোওয়ানা বলেছেন: অবশ্যই আপনার লেখাটা পড়বো!
লিংকের জন্য ধন্যবাদ তোরাব,
ভাল থাকবেন....
৯৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
সোহানী বলেছেন: এতো ভালো লিখা দেরিতে হলেও চোখে পড়েছে। আমরা কি পারি না এ বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে। আমরা কি বার বার ভুলে যাবো তাদের...একটু কিছু কি করতে পারি না এ ৪২ বছর পরও। বিদেশী অনেককে তো সম্মাননা দিচ্ছি আমরা, তারা কি একটু নজর পেতে পারে না আমাদের ????
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
রেজোওয়ানা বলেছেন: এদেশ দেবে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি!!!
এদেশে এখন নারীদের অন্ত:পুরে ঢোকানোর জন্য দাবি করা হচ্ছে, সেই দাবীতে এক রাজনৈতিক দল সমর্থন দিচ্ছে আরেক রাজনৈতিক দল সেই দাবির বাস্তবায়ের কথা 'ভেবে দেখা' হবে বলে জানাচ্ছে........
যাই হোক, পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সোহানী
ভাল থাকুন....
৯৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৫
বাঘ মামা বলেছেন: .....................................................
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: বাঘ মামা,
কেমন আছেন?
খুব অস্থিরতা চারিদিকে তাই না?
সময় ভাল কাটুক আপনার.....
৯৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
বাঘ মামা বলেছেন: জী রেজওয়ানা আমি ভালো আছি
আপনি কেমন আছেন?
হুম আসলেই চারদিকটা বিষাক্ত হয়ে গেছে
খুব বেশি ভালো সময় আর পাবোনা মনে হয়
কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবো আমরা হয়তো।
তবুও সুন্দর কিছুর আশা ছাড়িনা
ভালো থাকুন
শুভ কামনা সব সময়
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: বাংলাদেশীরা কঠিন একটা সময় পার করছে এখন!
সকলের মঙ্গল হোক, সবাই ভাল থাকুক.......
শুভ নববর্ষ
৯৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোষ্ট । বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধ শিশু দের খুব বেশি আলোচনা আর তাদের জন্য কারো কিছু করার দায়টাও দেখা যায় না।
পাকিস্তানকে হয়ত চাপ দিলে এত দিনে ক্ষমা প্রার্থনা করানো যেতো কিন্তু যে দেশে রাজনৈতিক দলগুলো এখন তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য জাশিদের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে জাশিদের আরো প্রতিষ্ঠিত করছে তখন পাকিস্তানকে চাপ দিবে কখন !!!! আর পাকিস্তান ক্ষমা প্রার্থনা চাইলেই কি আর না চাইলেই কি যেখানে রাজাকারদের বিচারই ৪২ বছরে কিছু হচ্ছে না
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন পোষ্টের জন্য।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫০
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়লেন বলে খুব ভাল লাগলো আমিনুর ভাই।
ভাল থাকবেন
শুভ নববর্ষ
৯৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
আরমিন বলেছেন: তোমার এই পোস্ট অনেকবার অফলাইনে পড়ে গেছি, কমেন্ট করিনি কারন, মন খারাপ হয়ে যায়!
ডুব দিলা যে হতাৎ? নতুন পোস্ট দাও।
মন খারাপ, জন্মদিনের শুভেচ্ছা, নব বর্ষের শুভেচ্ছা সব এক পোস্টে!!
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১২
রেজোওয়ানা বলেছেন: এই সব কথা গুলো পড়লে আসলেই খুব মন খারাপ হয়ে যায়, তবুও আমি বই গুলো পড়ি, বারবার পড়ি......একটা একরোখা জেদ চেপে যায় আমার.......
ব্লগে আগের মতন আর আশা হচ্ছে না, বার রকমের কাজে জড়িয়ে গেছি
৯৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
বড় বিলাই বলেছেন: বীরাঙ্গনারা কেন ক্ষমা চাইতে বলবে? এই অপরাধের তো কোন ক্ষমা নেই। কষ্টটা হল এই অপরাধের কোন শাস্তিও তারা পায়নি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: এই অপরাধের জন্য আমরা এখনও কারো শাস্তি দাবি করি না.....কি ভীষন লজ্জার কথা বলেন আপা!
আপনি কেমন আছেন?
অনেকদিন ব্লগে দেখি না, অবশ্য আমিও আর আগের মতো নিয়মিত নেই
১০০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৮
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: বীরঙ্গনা বা যুদ্ধ শিশুদের নিয়ে কখনও এভাবে চিন্তা করিনি। আসলেই এই অসহায় শিশুদের সম্পূর্ণ ইতিহাস কখনই সঠিকভাবে জানা যাবে না। প্রচুর তথ্য জানা গেল। আনেক পরিশ্রমের লেখা, পড়ে অসাধারন লাগলো। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য।
ব্লগে নিয়মিত না হওয়ায় আপনার জন্মদিন মিস হয়ে গেল। একমাসের পুরোনো জন্মদিন আর ৬ দিনের বাসি নববর্ষের শুভেচ্ছা এবং অনেক অনেক শুভকামনা।
শুভেচ্ছা বাসি হতে পারে তবে আন্তরিকতায় কোন ভেজাল নেই।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি জানি আপনার আন্তরিকতায় কোন ভেজাল নেই
গান গাওয়া আর লিরিক লেখা কেমন চলছে?
খুব ভাল থাকবেন বাঙ্গি মহাশয়
১০১| ১০ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
রেটিং বলেছেন: এই যুদ্ধ শিশুদের সবাই ভুলে গেছে। শিশুরা বড় হয়েছিল, নাকি মরে গেছে কেও জানে না। হয় তো কেও কেও ভালো আছে, তবুও আমরা এখন পাকি'র জারজ বাচ্চা বলে ওদেরকে গালি দেই!
আপনার লেখাটা পড়ছিলাম, আর কষ্ট পাচ্ছিলাম। ...তখন এটাই মনে হয়েছে, "এভাবে কি বেচে থাকা যায়!"
সবাই কোহিনূরের মত ভাল থাকুক এই কামনা করি!
২৬ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
রেজোওয়ানা বলেছেন: সেটাই, ভাল থাকার প্রর্থনা করা ছাড়া আমরা আর কিইবা করতে পারি!!
অনেক ধন্যবাদ রেটিং,
ভাল থাকুন,
শুভ দিন!
১০২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাইয়া!
দিন ভাল কাটুক আপনার......
১০৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৯
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এই ধরণের পোস্ট পড়তে পারি না, পড়া যায় না
ওদের জন্য ঘৃণা...
...
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: আমার যখন খুব রাগ লাগে, মন খারাপ হয়----তখন পড়ি! বিষে বিষ ক্ষয়ের চেষ্টা আর কি-----------
১০৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
আমি ইহতিব বলেছেন: বীরাঙ্গনাদের ব্যাপারে বেশী কিছু জানতামনা আপু। কিছুদিন আগে ড: নীলিমা ইব্রাহিমের লেখা "আমি বীরাঙ্গনা বলছি" বইটি পড়লাম। প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে বইটি শেষ করতে। এক একটা ঘটনা পড়তে গিয়ে অনেক জায়গায় এসে থমকে ছিলাম অনেকক্ষণ। তখন মনে হয়েছে যে এসব ইতিহাস প্রতিটি বাঙ্গালীর জানা উচিত। আপনার পোস্ট থেকে যুদ্ধ শিশুদের ব্যাপারে জানলাম। সত্যিই কি দূর্ভাগ্য তাদের!!! পাক বাহিনীর পাপের ফল তাদের ভোগ করতে হয়েছে সারাজীবন। দেশের মাটিতে জায়গা হয়নি ওদের অনেকের। নিজের জন্মের পেছনে এসব শিশুর তো কিছু করার ছিলোনা তবুও শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে।
আরও খারাপ লাগে এই ভেবে যে আমরা এত উদারতা কেন দেখাচ্ছি। কেন পাকিস্তানীদের আমরা এসব অপকর্মের দায়ভার বহণ করতে বাধ্য করতে পারছিনা।
১০৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আপু একটা প্রশ্ন ছিল । কতজন যুদ্ধ শিশুকে সেই সময়ে বিদেশে দত্তক দেওয়া হয়েছিল তার কি কোন হিসাব আছে ? বা আনুমানিক কতজন হবে ?
১০৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অনেক কষ্ট লাগলো ------ সোজা প্রিয়তে
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ক্ষমা চাইতে হবে এবং ক্ষমা চাইলেই শুধু হবেনা তারাও মুসলমান
আমরাও মুসলমান
মুসলমান হয়ে মুসলমান মা বোনের নির্যাতন করা প্রসংগে বিশ্ব
বুকে বাঙালি জাতীর হারানো সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে ।
নয়ত আল্লাহর দরবারে কবিছ , মুরতাদ নিয়াজিদের ক্ষমা নাই ।
ক্ষমা নাই , ক্ষমা নাই