নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.heritagebangladesh.co/

পাখি উড়ে গেছে!

রেজোওয়ানা

সেদিন আমি থমকে পথের মোড়ে হঠাৎ দেখি বদলে গেলো সব চেনা পথে জারুল ফুলের রঙ্গে খুব ছিলো তার চেনা অনুভব! বদলে গেলো জেব্রা ক্রসিং, নিয়ন আলোর শহর অদল বদল খুব কার হাতে কার পরশ লেগে ছিলো সেসব কথা, বৃষ্টিতে নিখুত!

রেজোওয়ানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসহায় মানুষ ও ক্রুদ্ধ প্রকৃতি কিংবা অসহায় প্রকৃতি ও স্বার্থপর অগ্রাসি মানুষ

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

প্রকৃতির শক্তি কাছে মানুষ এখনও অনেকটাই অসহায়! মাঝে মাঝেই কিসের আক্রোশে কে জানে, খেপে ওঠে শান্ত প্রকৃতি, সব কিছু তোলপাড় করে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু মানুষ; সে তো চিরকালের যোদ্ধা, সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই জুঝে চলেছে এর সাথে। মাঝে মাঝেই বিরূপ প্রকৃতি তাকে ভেঙ্গে দিয়েছে, চুড়মার করে দিয়েছে তার তৈরি আবাস কিন্তু সেই ধ্বংস স্তুপের মধ্য থেকেই প্রকৃতিকে বশ মানিয়েই উঠে দাড়িয়েছে সে।



বাংলাদেশের মানুষ আমরা, প্রতি বছরই কালবৈশাখি, টর্নেডো, বন্যা, জ্বলোচ্ছাসের সাথে লড়তে হয় আমাদের, মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দেয় ভুমিকম্প!

বাংলা ভূখন্ডে অন্যতম প্রবল ভূমিকম্পটি হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ১২ই জুন। গ্রেট ইন্ডিয়ান ভুমিকম্প নামে পরিচিত এই ভূমিকম্প মাত্রা ছিল রেক্টর স্কেল ৮.৭ এবং বার্মা, দিল্লী ও বিশেষ করে ভূটানের হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সেই সময়ে।

বাংলাদেশেও যে ভাল ভাবেই আক্রান্ত হয়েছিল তার প্রমান আমরা এখনও অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনায় দেখতে পাই এত যুগ পরেও।



গ্রেট ইন্ডিয়ান ভুমিকম্পে আক্রান্ত ঐতিহাসিক স্থাপত্য গুলোর মধ্যে প্রথমেই বলবো বাংলাদেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন মন্দির 'কান্তজীর' কথা। পোড়ামাটির অলংকরন এবং চমৎকার স্থাপত্য শৈলির কারনে জগৎবিখ্যাত কান্তজীর মন্দিরটি আদতে ছিল একটা নবরত্ন মন্দির।

'রত্ন' শব্দটা হয়তো অনেকের কাছে কিছুটা ধোঁয়াটে লাগতে পারে, তাই এটার একটু ব্যাখ্যা দেই আগে। 'রত্ন' হলো মন্দিরের ছাদের উপরে তৈরি করা ক্ষুদ্রাকারের চুড়া, মূলত: অলংকরনের জন্য এগুলো বানানো হয়!

কান্তজীর মন্দিরে এক সময়ে, প্রথম তলায় ৪ টা, দ্বিতীয় তলায় ৪ এবং সব শেষে একটা এই বিন্যাসে সর্বমোট নয়টি চুড়া ছিল! তখন মন্দিরটিকে দেখতে কেমন লাগতো দেখুন............







১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে এই ৯টি চুড়োর সব গুলোই ভেঙ্গে পরেছিল, যা আর পরবর্তিকালে নতুন করে নির্মান করা সম্ভব হয়নি।





কান্তজীর মন্দির বর্তমানে।



এমন ভাবেই ভেঙ্গে গিয়েছিল সুলতান নাসির উদ-দীন শাহ নির্মিত বর্তমান রাজশাহীর বাঘায় অবস্থিত 'বাঘা মসজিদের দশটি গম্বুজ। এখন আমরা বাঘা মসজিদে যে গম্বুজ গুলো দেখি তার সবই পরবর্তী কালে তৈরি করা।



পুরানো ঢাকার হোসেনী দালানের কথা আপনারা সকলেই জানেন। শিয়া সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান হোসেনী দালানের আদিরূপটা এখন আর নেই, সেই একই ভুমিকম্পে পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছিল ১৭৯৬ সালে নির্মিত এই ইমারতটি।



হোসেনী দালান, ১৯০০ সাল!



পরবরর্তীকালে নবাব আহসান উল্লাহ এই হোসনী দালানটি পূর্ন:নির্মান করেন এবং অনেকবার মেরামতের পরে এখন সেই দালানটিই আমরা দেখি।





হোসেনী দালান বর্তমানে।



তাজাহাট প্যালেসের সাথে মর্মান্তিক ভাবে জড়িয়ে আছে ১৮৯৭ সালের এই ভূমিকম্প।

তাজহাটের জমিদার বংশের 'মহারাজা' গোবিন্দ লাল মারা গিয়েছিলেন এই ভূমিকম্পে নিজ বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে।

এখন আমরা যে তাজহাট প্যালেসটা দেখি সেটার গম্বুজ সহ বেশ কিছু অংশই পরবর্তি কালে তাঁর ছেলে মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায়ের আমলে নির্মিত!



লেখার প্রায় শেষদিকে চলে এসছি। এবার বলি আপনাদের আরেকটা খুব চেনা স্থাপত্যের কথা.......আহসান মঞ্জিল।

উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে এই শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত ঢাকা তথা পুরো পূর্ববঙ্গে প্রভাব বিস্তারকারী আহসান মঞ্জিলও কিন্তু রেহাই পায়নি বিরূপ প্রকৃতির তান্ডব থেকে। সেটা অবশ্য গ্রেট এশিয়ান ভূমিকম্প ছিল না, আহাসান মঞ্জিলকে আঘাত করেছিল ১৮৮৮ সালের টর্নেডো।

আবদুল গনি সাহেব যখন আহসান মঞ্জিলটি নির্মান করেছিলেন ১৮৭২ সালে তখন এতে কোন গম্বুজ ছিল না।



আহসান মঞ্জিলের আদিরূপ।



১৮৮৮ সালের টর্নেডোতে ভীষনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আহসান মঞ্জিল। স্থানীয় একটা পত্রিকায় সেটার বর্ননা দেয়া হয়েছিল এভাবে.......... "নবাববাড়ির দক্ষিন পশ্চিম দিকে একটা স্তম্ভ বা হাতীশূঁড় নামিতে দেখা যায়। দেখিতে দেখিতে ঐ জলস্তম্বটি দ্বিখন্ড হইয়া একভাগ পশ্চিম দিকে আরেক ভাগ নবাববাড়ীর দিকে ধাবিত হয়, উহা দ্বিখন্ড হওয়ার সময়েই উহা হইতে সহস্র সহস্র অগ্নিময় গোলা উড্ডীন হইতে লোকে দেখিয়াছিল। যখন উহা নবাববাড়ির ধ্বংস সাধনে নিরত হয়, তখন দূরবর্তী লোকে নবাববাড়িটাকে যেন প্রজ্জলিত অগ্নিময় দেখিয়াছিল!

বাত্যাবর্ত্তের শব্দ শুনিয়া নবাব সাহেবগণ আপনাপন প্রকোষ্ঠ ছাড়িয়া উত্তর দিকের বারান্দায় আসিয়াছিলেন, যেই তাঁহাদের আসা অমনি পরিত্যাক্ত প্রকোষ্ঠ গুলো চুরমার হইয়াছিল"।






টর্নেডোতে ভেঙ্গে যাওয়া আহসান মঞ্জিলের একটা ঘর




এই ঝড়ের পরে আহসান মঞ্জিল আবার পূন:নির্মান করা হয়েছিল, এবং বর্তমানের সুরম্য গম্বুজটা সেই সমেয়ই বানানো।





আহসান মঞ্জিল বর্তমানে





পরিশিষ্ট: এতক্ষন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত মানুষের কথা বললাম, এখন বলি মানুষ কিভাবে নিজের স্বার্থে প্রকৃতিকে বিপর্যস্ত করে তুলছে তার কথা।



আপনারা জানেন সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিমি দূরে ১৩২০ মেগাওয়াটের বিশাল এক কয়লা বিদুৎ প্রকল্প স্থাপনার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পরিবেশগত ছাড়পত্রের কোন রকম তোয়াক্কা না করেই ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসির সাথে বিদুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তিও হয়ে গেছে।

" এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাইঅক্সাইড(SO2) ও ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(NO2) নির্গত হবে যার ফলে পরিবেশ আইনে বেধে দেয়া পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার সীমার(প্রতি ঘনমিটারে ৩০ মাইক্রোগ্রাম) তুলনায় এইসব বিষাক্ত গ্যাসের মাত্রা অনেক বেশি হবে(প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রামের বেশি) যার ফলে এসিড বৃষ্টি, শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি সহ গাছপালা জীবজন্তুর জীবন বিপন্ন হবে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিমনী থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের তাপমাত্রা হবে ১২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা চারপাশের পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বছরে ৪ ৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়িয়ে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টন ফ্লাই অ্যাশ ও ২ লক্ষ টন বটম অ্যাশ উৎপাদিত হবে। এই ফ্লাই অ্যাশ, বটম অ্যাশ, তরল ঘনীভূতি ছাই বা স্লারি ইত্যাদি ব্যাপক মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করে কারণ এতে বিভিন্ন ভারী ধাতু যেমন আর্সেনিক, পারদ, সীসা, নিকেল, ভ্যানাডিয়াম, বেরিলিয়াম, ব্যারিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, রেডিয়াম মিশে থাকে! (দিন মজুর)




এখানে শুধু অল্প কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করা হলো, এই পরিবেশগত বিপর্যয় হবে আর ব্যাপক এবং বিস্তৃত।

প্রতিবছর ঘূর্নিঝড়, সিডর, আইলার মতো ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক তান্ডবের হাত থেকে উপকূলবর্তীয় অঞ্চল গুলোকে বাঁচিয়ে এসছে এই সুন্দরবন.....সেই বনটাই যদি না থাকে তাহলে অবস্থা কি হবে সেটা চিন্তাই করা যায় না।

আপনি হয়তো উপকূলে নেই, কিন্তু এই উপকূলীয় বিপর্যয় একসময়ে প্রভাব ফেলবে আপনার-আমার এলাকাতেই......বায়ূমন্ডল দূষিত হবে, মাটির লবনাক্ততা বাড়বে, বাড়বে ঝড়, ঝঞ্জা বা জলোচ্ছাসের প্রকোপ!

প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্তিত্ব এক সুতায় বাঁধা, সুতরাং নিজের অস্তিত্বের জন্যই মানুষকে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষনের ব্যবস্থা নিতে হবে।



পৃথিবীর অষ্টমাশ্চর্যকে বাঁচাতে, আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে রুখে দাড়ান এই অপচেষ্টার।

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

রেজোওয়ানা বলেছেন: সে অনেক অনেক অনেক দিন আগের কথা, দূর্যোধন সাহেবকে বলসিলাম ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্প নিয়ে কিছু আগডুমবাগডুম লেখবো!

সেটা এতদিন পারলাম!

পোস্ট উনাকেই উৎসর্গ করে দিলাম /:)

২৬ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: :-< |-)

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: ভালো লাগলো।। এই ধরনের পোস্ট আসলেই মুগ্ধ করে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহতাব সময় করে পড়ার জন্য।


ভাল থাকুন.......

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

বাকপটু বলেছেন: ভূমিকম্প ডরাই


পুত্তম +

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভুমিকম্প ভয় পেলে বাসায় ব্যাঙ বা ইদুঁর পালতে পারেন। কারণ এই প্রাণী দুটো ভুমিকম্পের সম্ভাবনা আগে টের পায়, আর তখন নাকি ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে চায়!!!



শুভেচ্ছা :)

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

বুলেট কিংবা কবিতা বলেছেন:

গোবিন্দ লাল রায়ের কাহিনী আমি জানতাম না, অথচ... :(

===

এইখানে দেখেন, খুবই অল্প মাত্রায় রেডিও অ্যাকটিভ আইসোটোপও থাকে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবহৃত কয়লার যা আশপাশের পরিবেশে রেডিও অ্যাক্টিভ ফ্লাই আশ এর সাথে নির্গত হয় । এইসব আশেপাশের মানুষ নিঃশ্বাষে টেনে নেয় আর ক্রমশ কঙ্কালসার হয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় । কয়লার ফ্লাই আশ থেকে নির্গত রেডিয়েশন একটা নিউক্লিয়ার প্লান্ট এর স্বাভাবিক রেডিয়েশনের চেয়ে একশত গুন বেশি ।

আবার, একটা ৬০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে বছরে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন টন এর সম পরিমান কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয় । এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র হইতে যাইতেছে দেশের অন্যতম কার্বন ডাই-অক্সাইড সাপ্লায়ার/নির্গতকারী ।

এখানে আরো ডিটেইল পাবেন ক্ষতিকর দিক গুলো।


সরকার সুন্দরবন ইসুতে 'রাজাকার' এর মতই ভুমিকা নিচ্ছে । আমি কখনও কাউরে ট্যাগ ট্যুগ দেই নাই, তবে এই প্রজেক্ট হৈলে আওয়ামীরে আমি ছাগু ট্যাগ দিব । রাস্ট্রবিরোধী প্রজেক্ট এটা ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমাদের জাবিতে একবার কয়েকটা লেক লিজ দেয়া হয়েছিল, সেই থেকে দুই তিন বছর জাবিতে কোন অতিথী পাখি আসে নাই। আগে গাড়ি ঢুকতো ভেতরে, ইচ্ছা মত প্যা প্যু করে হর্ন বাজাতো........পাখিরা জাবি ত্যাগ করেছিল।

এরপরে লেক গুলোর লিজ বাতিল করলো, শাপলা আর জলজ উদ্ভিদ বাড়তে দেয়া হলো, পাখি যে সব লেকে বসে সেখানে খুব কড়াকড়ি করে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ হলো....পাখিরা আবার সাইবেরিয়া থেকে আশা শুরু করলো!


পরিবেশের প্রতি পশু, পাখি, গাছ এমনই সেনসেটিভ হয়, সেখানে সুন্দরবনের কাছে যে মচ্ছব করতে যাচ্ছে তাতে যে কি অবস্থা হবে সেটা ভাবতেও ভয় হচ্ছে.....আর এটা হলে এর মূল্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে দিতে হবে।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

আরজু পনি বলেছেন:

এমনই হয়! সেলিব্রেটিরা সেলিব্রেটিগোরে পোস্ট উৎসর্গ করে...খেলুম না /:)

পোস্টে মাইনাস দাগাইয়া গেলাম। রাগ কমলে পাঠ পূর্বক প্লাস দাগানোর চিন্তা আছে X(

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

রেজোওয়ানা বলেছেন: কি যে বলো আপু, সেলিব্রেটির লেজ ধরে নিজেও একটি সেলিব্রেটি হইতে চাইসিলাম, আর তুমি তাই বলে আমাকে মাইনাস দিবা!! :(

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

বোকামন বলেছেন:


প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্তিত্ব এক সুতায় বাঁধা, সুতরাং নিজের অস্তিত্বের জন্যই মানুষকে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষনের ব্যবস্থা নিতে হবে

পোস্টে কৃতজ্ঞতা সম্মানিত লেখক।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই বিষয়ে একমত হবার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বোকামন!

ভাল থাকুন......

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:
পৃথিবীর অষ্টমাশ্চর্যকে বাঁচাতে, আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে রুখে দাড়ান এই অপচেষ্টার।


চমৎকার পোস্ট! স্থাপত্যের দুর্যোগের আগে পরের তুলনা পড়ে একরকম ভালো লাগা, আর সুন্দরবনের বিদ্যুত প্রকল্পে আশংকা জাগলো!

আমরা সবাই মিলে রুখে দাঁড়ালে আশা করি আমরা সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পারবো!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: সুন্দরবনের বিদ্যুত প্রকল্পের বিস্তারিত পরিবৈশিক রিপোর্টটা পড়লে আতংকিত হতে হয়!


আশাকরি বাংলাদেশ রুখে দাড়াবে, সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে নিজেদের জন্য, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য....


অনেক ধন্যবাদ

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

আরমিন বলেছেন: +

পোস্টের টাইটেল দূর্দান্ত হয়েছে, পোস্টও ভালো হয়েছে!

সুন্দরবনের জন্য আসলেই চিন্তা হচ্ছে অনেক! কি হবে রেজু? আমরা কি পারবো স্বার্থপর আগ্রাসী লোভী মানুষগুলোর হাত থেকে বাংলাদেশের ফুসফুসটাকে বাঁচাতে?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: এটা পারতেই হবে! সুন্দরবন শুধু আমাদের দেশের না এটা বিশ্বের সম্পদ, বিশ্বের ঐতিহ্য। আর আমাদের অস্তিত্বের অংশ, রক্ষা একে করতেই হবে......নিজের জন্যই।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

নেক্সাস বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট। ভাল লাগলো।

পৃথিবীর অষ্টমাশ্চর্যকে বাঁচাতে, আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে রুখে দাড়ান এই অপচেষ্টার।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

রেজোওয়ানা বলেছেন:

আশাকরি বাংলাদেশ রুখে দাড়াবে, সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে নিজেদের জন্য, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য.......


অনেক ধণ্যবাদ নেক্সাস ভাই!

ভাল থাকবেন......

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

মামুন হতভাগা বলেছেন: পৃথিবীর অষ্টমাশ্চর্যকে বাঁচাতে, আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে রুখে দাঁড়াতে হবে এই অপচেষ্টার।
ধন্যবাদ,+++++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আশাকরি বাংলাদেশ রুখে দাড়াবে, সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে নিজেদের জন্য, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য.....এই বিষয়ে কোন দ্বিতমের সুযোগ নেই!

ধন্যবাদ মামুন!

অনেক ভালো থেকো.....

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

স্বপনবাজ বলেছেন: মামুন হতভাগা বলেছেন: পৃথিবীর অষ্টমাশ্চর্যকে বাঁচাতে, আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে রুখে দাঁড়াতে হবে এই অপচেষ্টার।
ধন্যবাদ,+++++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: নিজেদের অস্তিত্বের জন্যই সুন্দরবনকে আমাদের খুব প্রয়োজন..


ধন্যবাদ স্বপনবাজ

সময় ভাল কাটুক আপনার......

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩২

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: কয়লা বিদুৎ প্রকল্প স্থাপনার সাথে যদিও ভূমিকম্পের সম্পর্ক নাই কিন্তু প্রাকৃতিক ক্ষয়ক্ষতি হবে প্রচুর। এসিড বৃষ্টি, ছাড়াও টোটাল সুন্দরবনের ইকোসিস্টেমেই মারাত্মক ব্যাঘাত হানবে। আমাদের এখনই সজাগ হওয়া লাগবে।

তারপরও আপনি প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ের সাথে চমৎকার সমন্বয় সাধন করেছেন। প্রকৃতি আমাদের পরিবেশকে যতটা না ঝামেলায় ফেলছে আমরা মানুষরাই বরং কয়েকশ গুন বেশি ঝামেলা তৈরি করছি। আমরাই এ পৃথিবীকে ধ্বংসের খুব কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নাই। সবাই সজাগ হোন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভুমিকম্পের বিষয়টা এনেছি কেন বলি, আসলে অনেকদিন ভাগে দূর্যোধন ভাইকে প্রমিস করেছিলাম ১৮৯৭ সালের গ্রেট ইন্ডিয়ান ভুমিকম্প আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা দিয়ে একটা পোস্ট দেবো!
তথ্যের অপ্রতুলতার কারণে সময়টা বছর গড়িয়ে গেলো, এরপর সামান্য কিছু যা জানলাম সেটা নিয়ে লিখতে বসলাম যখন তখন আমারা নিজেরাই আবার 'প্রকৃতি'র সর্বনাশ করতে নেমে পরেছি.......তাই ভাবলাম দুটোই এক সাথে যোগ করে দেই.....এই ছিল প্রেক্ষিত!


সবার সজাগ হওয়া ছাড়া আর কোন গতান্তর নাই!


দিন ভাল কাটুক আপনার.....

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট - অনেক কিছু জানলাম!

সুন্দরবন নিয়ে যদি এখন কোন ষ্টেপ না নেয়া হয় তাহলে কিন্তু আমাদের কপালে অনেক ভুগান্তি আছে - দাঁত পরে যাওয়ার আগে দাঁতের যত্নের ব্যাপরে সচেতন হওয়া উচিত

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক বলেছেন....শুধু ভোগান্তি না, নিজেদের অস্তিত্ব নিয়া টানাটানি পরে যাবে......দাঁত পরে যাওয়ার আগে দাঁতের যত্নের ব্যাপরে সচেতন হওয়া উচিত....একমত।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোষ্ট মানেই দারুন একটা ব্যাপার আপু। পুরানো ছবি গুলো দেখি আর অবাক হই, মাঝে মাঝে ভাবি যে, আপনার কোন টাইম মেশিন আছে নাকি? B:-) B:-) এত পুরানো ছবি গুলো কোথা থেকে পান?

আর রামপাল নিয়ে যা বললেন আপু, তার সাথে একমত। বিদ্যুত আমাদের চাই, কিন্তু তাই বলে নিজেদের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিয়ে নয়।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: টাইম মেশিন.....হে হে হে!

নাহ, এই বিষয়ে আমরা আসলে বদ বৃটিশদের কাছে কিঞ্চিত ঋণি! এরা যখন ছিল এদেশে তখন এখানকার সব ঐতিহাসিক, সুন্দর স্থাপনা, এলাকা, নেচার ইত্যাদির ছবি তুলেছে, স্কেচ করেছে এবং সেগুলো বৃটিশ মিউজিয়াম সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রিজার্ভ করেছে....সেখান থেকে যা কিছু জানতে পারি আমরা এখনও।

"বিদ্যুত আমাদের চাই, কিন্তু তাই বলে নিজেদের অস্তিত্বকে বিলীন করে দিয়ে নয়".........আমিও তাই বলি!

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫১

দূর্যোধন বলেছেন: ধন্যবাদ রেজোওয়ানা !


অনেক অনেক ধন্যবাদ , আপনি বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন বলে । পড়ছি , পড়ার পর কিন্তু প্রশ্ন থাকতে পারে- তহন উত্তর দিতেই হবে ;)
এখন গেল প্রিয়তে !

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আসলে ভাইয়া এটা নিয়ে অনেকদিন থেকেই খোজাখুজি করছিলাম, কিন্তু কোথাও কোন বিস্তারিত তথ্য নাই। বিভিন্ন জায়গায় খুজে পেতে যা পাওয়া গেছে, সেটা দিয়েই জোড়াতালি দিতে দিতে বছর ঘুরে গেলো :(

যাই হোক, পোস্ট কেউ প্রিয়তে নিলে এম্নিতেই আমার খুশিতে লাফ দিতে ইচ্ছা করে, আর দূর্যোধনের মতো সেলিব্রেটির শোকেসে গেছে এটা জেনে তো এখন একটা ১০০ মি: দৌড় দিতে ইচ্ছা করতাছে B-))


পরীক্ষা দেয়ার বয়স নাই আর /:)

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি," যারা কিনা প্রকৃতির সর্বোচ্চ দান, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট উজাড় করে কারেন্টের প্ল্যান্ট বানানোর মতো আত্মঘাতী পরিকল্পনা করে। যেখানে শুধু বিরল রয়েল বেঙ্গল টাইগারই বাস করে না, অন্যান্য হাজার প্রাণীকুলের সাথে যেখানে আরও আছে বিরল সব উদ্ভিদ। সর্বোপরি যে বনটি প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিজের বুক পেতে দেয় ঠেকাবার জন্য। মানুষ বাঁচাবার জন্যে, তাদের আবাস বাঁচানোর জন্যে। "সকল দেশের (আহাম্মকিতে) সেরা আমার জন্মভুমি।"

ব্যক্তিগত একটা ইচ্ছাঃ আসছে কালবৈশাখই যেন প্ল্যান করা ওইসব কুলাঙ্গারগুলার ঘরবাড়ি উড়ে যাক। বুঝুক সুন্দরবনের মর্ম কতপ্রকার ও কি কি!!

চমৎকার লেখা, আপু। এরকম করুণ পরিণতি সুন্দরবনেরও হোক চাই না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঐ কুলাঙ্গারদের কিছুই হবে না, তারা এবং তাদের ছেলেপিলে, নাতিপুতিরা তো আর বাংলাদেশে থাকবে না! তাই তাদের কোন চিন্তা নাই, পকেট মোটা হলেই হলো!

আশাকরি সবাই মিলে ঠেকানো যাবে এই ষড়যন্ত্র!

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৭

অচিন আলো বলেছেন: এমন পোস্ট দেখার জন্যই সামুতে আসা।

প্রিয়তে নিলাম, ++++++ তো দিলামই


বাংলাদেশ ভারতের প্রদেশ হলে ভারত ও এমন সিদ্ধান্ত নিত কিনা সন্দেহ। কাণ্ড কারখানা দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ না হয়ে ভারতের প্রদেশ হলে ভাল হত। :( :( :(

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য! ভারত তার দেশের স্বার্থ দেখেছে, এটাই স্বাভাবিক আর আমরা দেখছি নিজের ব্যক্তি স্বার্থ আর দলীয় স্বার্থ......এটা দু:খজনক!


ভাল থাকুন অচিন আলো.......

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
আরজুপনি বলেছেন:

এমনই হয়! সেলিব্রেটিরা সেলিব্রেটিগোরে পোস্ট উৎসর্গ করে...খেলুম না /:)

পোস্টে মাইনাস দাগাইয়া গেলাম। রাগ কমলে পাঠ পূর্বক প্লাস দাগানোর চিন্তা আছে X(


০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: কাট কপি মন্তব্য!! হু: X(

১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬

সায়েম মুন বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট।
ভূমিকম্পের ব্যাপারটা ভিন্ন। সেটা এমনিতেই হবে। কিন্তু এখানকার সূর্যসন্তানরা যে কোন প্রকার বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার উপায় বের করছে তাতে তো নিজের পায়ে না এই জনগনের গলায় ছুরি মারা হবে। খুব কষ্ট হয় যখন দেখি স্বঘোষিত দেশপ্রেমিকরা এরকম ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আসলে লিখতে চাইসিলাম ভূমিকম্প নিয়েই, তোমাকে একদিন জিগেসও করছিলাম মনে আছে?

লিখতে লিখতে সুন্দরবনের ঘটনা চলে আসাতে ঐটা যোগ করে দিলাম, এই আরকি!

তোমার শেষের লাইন গুলোর সাথে একমত!

২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: পৃথিবীর অষ্টমাশ্চর্যকে বাঁচাতে, আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে রুখে দাড়ান এই অপচেষ্টার।
সহমত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এই কথাগুলো সুন্দর ভাবে বলার জন্য।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে স্বপ্নবাজ!

স্বপ্ন দেখা চলুক নিরন্তর :)

২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: শুনছি অই বিদ্যুত কেন্দ্র চালু হলে সুন্দরবনের সব গাছ মইরা সাফা হয়া যাইবো ! আর তখন কয়টা পিলাস্টিকের গাছ অইখানে রোপন করা হইবো , পানি দেয়া, অতি বৃষ্টি, খরা এসবে নো টেনশুন , ঝড়ে ভেংগে গেলে সুপার গ্লু দিয়া লাগাইয়া লইলেই হইবো !

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই না হলে ঘুড্ডির বুদ্ধি /:)

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ।সুন্দরবণ ওজার করতে চাইলেএর বিরুদ্ধে প্রটেস্ট করতে হবে।সরকারের অবিবেচকের মত কাজ সহ্য করা ঠিক হবে না ।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: অবশ্যই, আমরদের অস্তিত্বের জন্য এটা জরুরী!!


ধন্যবাদ সেলিম ভাই.....

২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: দারুণ মহিলা বস

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০

রেজোওয়ানা বলেছেন: বস কি আমি!!!??

B-)

২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সবচেয়ে আশার কথা এইযে যদি সুন্দরবন ধ্বংস করে দেয়া যায় তবে বাংলাদেশের অর্ধেক অংশ অর্থাৎ ঢাকা জেলা পর্যন্ত পুরোটা বঙ্গোপসাগরের তলদেশে হারিয়ে যাবে কারন প্রতিনিয়ত সমুদ্রের পানির উচ্চতা এমনিতেই বেড়ে চলেছে হিমালয় পর্বত গলতে থাকার কারনে। সেই ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে যে দেশটির জন্য সীমান্ত রক্ষা সমস্যা নিরসন হবে এবং সাগরের উপর আধিপত্য বিস্তার সম্ভব হবে সেই দেশটি হল ভারত।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: সেদিন আইনুন নিশাত স্যারের একটা প্রজেক্টে আরও সব ভয়ের কথা শুনলাম, লবনাক্ততা বাড়বে মাটির, যে সব ধান এখন উৎপন্ন হচ্ছে সেগুলো আর জন্মাবে না!

কি যে অবস্থা হবে কে জানে!

২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

অরণ্য রাত্রি বলেছেন: আপনার এই পোস্ট কিছু মানুষকে হলেও যাতে নাড়া দিয়ে যেতে পারে সেই আশা করি। ভালো থাকুন।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ!

ভাল থাকুন অরণ্য রাত্রি........

২৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২০

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর পোস্ট ....উপস্থাপনা প্রশংসনীয়...+++

আমাদের সুন্দরবনকে বাচাতেই হবে....

ধন্যবাদ ... ভাল থাকবেন......।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: অবশ্যই বাচাঁতে হবে, এটা আমাদের অস্তিত্ত্বের সাথে জড়িত...


ভাল থাকবেন স্পাইসিস্পাই :)

২৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: কালকেই একটা লেখা পড়ছিলাম রাশিয়ার একটি কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে। সেখানে নাকি এয়ার পলিউশন কমিয়ে আনা হয়েছিল কিন্তু বেড়ে গিয়েছিল ওয়াটার পলিউশন। পশুর নদে ফারাক্কা এবং চিংড়ি চাষের প্রভাবে এমনিতেই লবণাক্ততার পরিমাণ বেশী। আমি একবার সুন্দরবন বেড়াতে গিয়ে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে মরো মরো অবস্থার শিকার হয়েছিলাম। ওখানকার লোকজনেরও পেটের পীড়া কমন একটা ব্যাপার। এখন যদি এই বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রের কারণে পশুর নদের পানি দূষিত হয়ে পড়ে তাহলে পশুর নদের মাছ তো দূরের কথা এর পানির সংস্পর্শে আসা কোন পশুও বাচবেনা।

সময় পেলে এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: পোস্ট লিখুন ভাইয়া, এটাই হাই টাইম!

যত বেশি লেখালেখি হয় ততই ভালো, এম্নিতেই সাভার বিপর্যয়ের কারণে বিষয়টা প্রায় ধামাচাপা পরে গেছে!


ভাল থাকবেন.......

২৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

যুবায়ের বলেছেন: চমতকার পোষ্ট...তথ্য সমৃদ্ধ লেখা...
ভূমিকম্প এবং ঐতিহাসিক স্হাপনা ধংস সম্পর্কে জানা হলো...

পোষ্টে ভালোলাগা++

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়লেন বলে খুব ভাল লাগলো যুবায়ের ভাই!


ধণ্যবাদ :)

২৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

যুবায়ের বলেছেন: প্রতিবছর ঘূর্নিঝড়, সিডর, আইলার মতো ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক তান্ডবের হাত থেকে উপকূলবর্তীয় অঞ্চল গুলোকে বাঁচিয়ে এসছে এই সুন্দরবন.....সেই বনটাই যদি না থাকে তাহলে অবস্থা কি হবে সেটা চিন্তাই করা যায় না।
আপনি হয়তো উপকূলে নেই, কিন্তু এই উপকূলীয় বিপর্যয় একসময়ে প্রভাব ফেলবে আপনার-আমার এলাকাতেই......বায়ূমন্ডল দূষিত হবে, মাটির লবনাক্ততা বাড়বে, বাড়বে ঝড়, ঝঞ্জা বা জলোচ্ছাসের প্রকোপ!
প্রকৃতির সাথে মানুষের অস্তিত্ব এক সুতায় বাঁধা, সুতরাং নিজের অস্তিত্বের জন্যই মানুষকে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

পৃথিবীর অষ্টমাশ্চর্যকে বাঁচাতে, আমাদের বাংলাদেশকে বাঁচাতে রুখে দাড়ান এই অপচেষ্টার।
সহমত জানাচ্ছি

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ ছাড়া আর কোন উপায় নেই!


ভাল থাকবেন ভাইয়া......

৩০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩১

সোহাগ সকাল বলেছেন: আসলেই খুব চমৎকার পোষ্ট!

ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর পুরোনো ছবিগুলো চরম!

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সকাল!


ভাল থাকুন নিরন্তর.....

৩১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: এই স্থাপত্যগুলোর প্রাচীন রুপ দেখে বিমোহিত । সত্যি ঐ ভূমিকম্প আমাদের অনেক ক্ষতি করে দিয়ে গেছে । এমনিতেই আর্দ্র আবহাওয়ার এই ভূখন্ডে পুরানো স্থাপত্য খুব একটা টিকতে পারেনা । তার উপর ভূমিকম্প এসে কি পরিমানে ক্ষতি করেছে, তা এই ছবিগুলো দেখেই বুঝতে পারছি । প্রতিটি স্থাপত্যই পূননির্মানে আভিজাত্য আর জৌলশ হারিয়েছে ।


চমৎকার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আর ভালোলাগা জানবে রেজোওয়ানা ।

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: দারুন মন্তব্য মামুন ভাই!

আমি ইদানিং কারো পোস্টে ক্রিয়েটিভ কোন মন্তব্যই করতে পারছি না :(

৩২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেদিনই পড়েছিলাম, আজ মন্তব্য দিতে গিয়ে বারবার অশুভ একটা চিন্তা মাথায় আসছে। কিছু ছবি ঘুরছে। থাক...

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: মরুকরন শুরু হয়ে যাবে............

৩৩| ০২ রা মে, ২০১৩ ভোর ৬:০৯

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: চমৎকার লেখা, আপু।জানিনা সুন্দর বন খুনের চেষ্টা কখন বাতিল হবে.. খেয়ে যাচ্ছে সব শালা সব কিছু.. দেশটার ভালো হোক..

কান্তজির মন্দিরটা গম্বুজ সহ তাজমহল তাজমহল লাগছিল.. মুন্ডু ছাড়া দেহটাও বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছে তাও খারাপ না... জানতে পেরে ধন্য হলাম আপু..

০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: মুন্ডু ছাড়া কান্তজীর মন্দিরটাই দেখতে দেখতে আসলে আমাদের চোখ সয়ে গেছে......মুন্ডু ওয়ালাটা আমার কাছে কেমন জানি বেখাপ্পা লাগে :(

৩৪| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:১৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ধন্যবাদ

নিরব প্রতিবাদ

আচ্ছা আপু আমরা কেন শুধু নিজেদের ক্ষতিই করি। ক্ষুদ্র সার্থের জন্য নিজের জীবনের, সমাজের এত বড় ক্ষতি কি আর কোন জাতি করেছে?

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: নানা ধরনের ইস্যুর ভিরে সুন্দরবনের বিষয়টা কেমন করে ধামাচাপা পরে গেলো তাই দেখছি তাকিয়ে তাকিয়ে...



ভাল থাকবেন সুপান্থ ভাই!

৩৫| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: পোস্টের শিরোনামটা চমৎকার লাগলো। আপনার পোস্টগুলা অনেক তথ্যবহুল। পড়তে ভাল লাগে।

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২০

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বাঙ্গি সাহেব (আপনার নামটা এখনও চেইঞ্জ হলো না...হা হা হা)

আশাকরি সব কিছু নিয়ে ভাল আছেন,


শুভ রাত :)

৩৬| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১:১২

নস্টালজিক বলেছেন: রামপাল ইস্যু ধামাচাপা পরে গেলো! এত তাড়াতাড়?


যাই হোক, ভালো লিখসো! সময় করে আবার পড়বো!


শুভেচ্ছা, রেজ!

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: ধামাচাপাই তো মনে হচ্ছে, কোন বাতচিত তো দেখি না এটা নিয়ে!!

সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ,

শুভেচ্ছা....

৩৭| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

অদৃশ্য বলেছেন:




আপু
আপনার লিখায় সবসময়ই নতুন কিছু পেয়ে যাই... আজ যেমন স্থাপত্যগুলোর অতীত ও বর্তমান দেখলাম...

আর সুন্দরবনের শরীরের ভেতর কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে অনেকগুলো লিখা পড়া হয়েছে এর মধ্যে... ক্ষতির মাত্রাটা অনেক...


শুভকামনা...

২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: রামপাল ইস্যুটা নিয়ে জোড়েসোরে কেউ কিছু বলছে না!
হতাশ লাগছে...


অনেকদিন পর রিপ্লাই করলাম দু:খিত!

ভাল থাকুন,

শুভ বৃষ্টি সময়.....

৩৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১৯

শাহেদ খান বলেছেন: দারুণ পোস্ট আপু ! +

জানি না কতজন এসব বিষয়ে সচেতন হবে, আর জানি না যারা সচেতন হবে - তারাই বা কী পদক্ষেপ নিবে; তবু মনে করি, এসব বিষয় সবার জানা দরকার।

ইতিহাস আর ভূগোল - শব্দ দু'টা অনেকের কাছে যতই একঘেঁয়ে লাগুক, নিজেদের ইতিহাস আর নিজেদের ভূগোল সম্পর্কে সবারই সচেতনতা আর জ্ঞান থাকা দরকার মনে করি।

ক্রমাগত এমন সব পোস্ট করে যাওয়ার জন্যে অনেক কৃতজ্ঞতা, রেজু'পা। সোহা'কে আদর।

২৬ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: সেদিন দেখলাম কক্সবাজার আর সেইন্টমার্টিনে অনেক কচ্ছপ মরে মরে উপকূলে ভেসে আসছে......এর জন্য দায়ী কিন্তু আমরাই। আমাদের অসচেতনতায় মরে যাচ্ছে প্রকৃতির বড় একটা অংশ!
যারা রামপাল সুন্দরবন নিয়ে সরকারের উপর কঠিন চাপ দিতে পারতো তারা কেউই তো কিছু বলছে না, সবাই ভোটের চিন্তায় ব্যস্ত!!


তোমার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগলো!

দু'জনার জন্যই শুভেচ্ছা আর ভালবাসা রইলো :)

৩৯| ২৩ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

রাইসুল সাগর বলেছেন: চমৎকার লিখা। শুভকামনা রইল আপু।

২৬ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সাগর ভাইয়া!

শুভেচ্ছা জানবেন :)

৪০| ২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: মুগ্ধতা বাঁধ ছাড়াল ! হলুড তাঁরা ।

২৬ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১১

রেজোওয়ানা বলেছেন: হলুদ তারা' লেখাটা দেখেই খুশিতে ডগমগ হয়ে গেলাম আপু!!!


অনেক ধন্যবাদ পড়া এবং হলুদ তারায় মনযোগ দেয়ার জন্য !:#P :D

৪১| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন শিরোনাম দিয়েছো আপু,,,,,,,,,,,,,আর ভিতরের ছবি আর বর্ণনা সবই মুগ্ধতার স্বাক্ষর রেখে যায়,,,,,,,,,,অনেক কিছু জানা হলো

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ লায়লা আপা :)

৪২| ২৭ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

আরজু পনি বলেছেন:

মাস পার হয়ে যায়...নতুন পোস্ট কৈ?! X(

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: নতুন আরও দুইটা পোস্ট লেখলাম আর তুমি বলো নতুন পোস্ট কই!!
হাহ :P

৪৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

কালীদাস বলেছেন: গিয়ানের কথা শুনলেই চক্ষু বন হৈয়া আসে :-< |-) |-) |-)

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি আরেকটা পোস্ট গিয়ানী পোস্ট দিছি সেইটা পড়েন আগে তারপর অন্য কথা :#>

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.