নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.heritagebangladesh.co/

পাখি উড়ে গেছে!

রেজোওয়ানা

সেদিন আমি থমকে পথের মোড়ে হঠাৎ দেখি বদলে গেলো সব চেনা পথে জারুল ফুলের রঙ্গে খুব ছিলো তার চেনা অনুভব! বদলে গেলো জেব্রা ক্রসিং, নিয়ন আলোর শহর অদল বদল খুব কার হাতে কার পরশ লেগে ছিলো সেসব কথা, বৃষ্টিতে নিখুত!

রেজোওয়ানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন বাবু ইংলিশ কিংবা হালের বাংলিশ এবং আমাদের ইংরেজী শিক্ষা

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫২







৬ শব্দের একটা বাংলা বাক্যের মধ্যে কমপক্ষে সাড়ে চারাট ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করাই বর্তমানের কথা বলার ফ্যাশান। এখন আমরা যেমন অনেকেই এই ধরনের ইংরেজী বাংলা জগাখিচুরী বাক্যকে যেমন বাংলিশ বলি, অনেক কাল আগে ইংরেজী শিক্ষার শুরুর যুগে কিছুটা এই ধরনের ভাষা প্রচলিত হয়েছিল 'বাবু ইংলিশ' নামে, খোদ ইংরেজীরাই তামাশা করে দিয়েছিল এ নাম।

এই বিচিত্র ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হতো দরখাস্ত লেখা, কোর্ট-কাচারির আরজি বা সভা-সমিতির বক্তৃতায় কিংবা সংবর্ধনা তৈরিতে এবং অবশ্যই ইংরেজ প্রভুদের ভুয়সী প্রশস্তি করা হতো তাতে। সে সময়ে অনেক বড় বড় ইংরেজ সাহেব 'বাবু ইংলিশের রসে মজেছিলেন নিছক বিনোদনের জন্য, এমন কি লর্ড কার্জনের মতো প্রতাপশালী শাসকও। তিনি তাঁর 'এ্য ভাইসরয়'স ডায়েরী: লিভস ফ্রম এ্য ভাইসয়'স নোটবুক" বইতে উল্লেখ করেছেন তাঁর দপ্তরে যে সব বিপুল সংখ্যক 'বাবু ইংলিশে' লেখা চিঠিপত্র, আরজি ইত্যাদি জমা পরতো সেখান থেকে তিনি রীতমত বাছাই করে 'বাবু ইংলিশ' সংকলন তৈরি করেছিলেন!



তবে যতই হাসাহাসি করা হোক না কেন ভাব প্রকাশে এই 'বাবু ইংলিশ' তেমন বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করা যাক.....



১৮৯১ সালের আগে উপমহাদেশে যে রেলগাড়ি গুলো চলতো তাতে কোন টয়লেটের ব্যবস্থা ছিল না। তো একবার এমনই এক গ্রীষ্ম কালে এক বাঙালি বাবু ভরপেট কাঁঠাল খেয়ে ট্রেনে চাপলেন। একসময়ে এই কাঁঠাল তার পেটে গুরুচাপের সৃষ্টি করলো, কিন্তু ট্রেনের ভেতরে কোন টয়লেট না থাকায় সে দাঁতে দাঁত চেপে অপেক্ষায় রইলো কখন পরের স্টেশন আসে।

কিছু সময় পরে ট্রেন থামতেই উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ালো সে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কিন্তু কপালে দূর্ভোগ থাকলে যা হয়.....আনুষাঙ্গিক কাজটা শেষ করার আগেই বদ গার্ড বাঁশি বাজিয়ে ট্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে দিল।

বেচারা চমকে গিয়ে ফিরে চেয়ে দেখে হায়রে ট্রেন তো চলে যাচ্ছে, তখন বদনা হাতে বাবু দৌড়ে ট্রেন ধরতে গিয়ে অশেষ নাকাল হয়ে রেগেমেগে ট্রেন কতৃপক্ষকে একটা চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটা ছিল এমন.......

"I am arrive by passenger train at Ahmedpur Station and my belly is too much swelling with jackfruit. I am therefore went to privy. Just i doing the nuisance the guard making the whistle blow for the train to go-off and i am running with bodna in one hand and dhoti in the next when i am fell over and exposed all my shocking to man and female women in the platform. This is too much but if passenger go to make dung the dam guard not wait for five minutes for him."

তবে তার এই এক সচিত্র চিঠিতেই কিন্তু কেল্লাফতে হয়েছিল। এই চিঠি পাবার পরই রেল কতৃপক্ষ ট্রেনের কামরায় টয়লেটের শুভ সূচনা করে।



আরেকবার এক ইংরেজী শিক্ষিত বাঙালির গায়ে একটা 'ফোড়াঁ' হলো, ফোঁড়ার ব্যাথায় কাতর হয়ে বেচারার অফিস করাটাই কষ্টকর হয়ে দাড়ালো। তখন সে বাধ্য হয়ে একটা ছুটির দরখাস্ত করেছিলেন। দরখাস্তটি ছিল এমন......... "সিন্স লাস্ট টু ডেজ আর মোর আই এ্যম মাচ ট্রাবল উইথ দি লারজেস্ট সাইজ বয়েল, এ্যজ পার মার্জিন".......উল্লেখ্য মার্জিনে একটা ফোঁড়ার ছবি আঁকা ছিল!

আরেকটা ঘটনার কথা না বললেই নয়। শিক্ষিত বাঙালির ইংরেজি ভাষা এবং তার অপপ্রয়োগ যে কি হাস্যকর অবস্থার সৃষ্টি করে সেটা এই ঘটনাটা পড়লে কিছুটা আঁচ করা যাবে।

জন বিমস নামের এক ভাষাবিদ জেলা অফিসার তার 'মেময়ার্স অব এ্য বেঙ্গল সিভিলিয়ান' বইতে লিখেছেন......"তিনি তখন চট্রগ্রামের কমিশানর হিসেবে কর্মরত, এই সময়ে ছোট লাট স্যার এসলি ইডেন আসবেন চট্রগ্রাম পরিদর্শনে। ছোট লাঠের আগমন বলে কথা, সেই উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারী অফিস, আদালত, রাস্তার মোড়ে মোড়ে তোরন বানিয়ে লাঠের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন টানানো হয়েছে। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন চট্রগ্রাম সরকারী হাসপাতালের এক কর্মকর্তা। তিনি হাসপাতালের ঢোকার পথে মহাকবি দান্তের 'ডিভাইন কমেডি'র কিছু লাইন লিখে টানিয়েছিলেন যা আক্ষরিক ভাবেই কমেডি হয়ে গিয়েছিল।

তিনি লিখেছিলেন..

"এ্যাবনডন হোপ, অল ইউ হু এন্টার হিয়ার"

মানে কি দাড়ালো বলুন তো? .....যারা এখানে প্রবেশ করবে, তাদের বেরুবার আশা ছেড়ে দিয়েই ঢুকতে হবে!!



যাই হোক ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যায় ১৮৩৫ সালের পর থেকে উপমহাদেশে ইংরেজির দ্রুত প্রসার ঘটতে থাকে এবং এই বিষয়ে ইংরেজ শাসকদের চাইতে এদেশীয়দের একান্ত আগ্রহই ছিল বেশি। উপমহাদেশে ইংরেজি ভাষাকে উচ্চ শিক্ষার বাহন করেছিলেন মেকলে-বেনটিক। একটি প্রচলিত জনপ্রিয় ধারনা রয়েছে যে মেকলে সাহেব জোড় করে বাঙালিদের ইংরেজি শিখিয়েছিলেন, আসলে ধারনাটি কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়। বাঙালি ইংরেজি শিখেছিল নিজের গরজে, চেষ্টায়, প্রায় অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে। ইংরেজির অনুকূলে প্রশাসনের শিক্ষানীতি ঘোষনার বহু আগে থেকেই।

এই দেশে ইংরেজী শিক্ষা বিস্তারের জন্য যে মানুষটির অবদান সব চাইতে বেশি তিনি হলেন ডেভিড হেয়ার। শোনা যায় সে সময়ে ইংরেজি শেখার জন্য মানুষের এত আগ্রহ জন্মছিল তিনি যখন রাস্তায় পালকি করে বের হতেন তখন দলে দলে ছেলেপিলে পাল্কী ধরে ধরে দৌড়াতো আর বলতো........"Me poor boy, me take in your school"!! উল্লেখ্য হেয়ার সাহেব স্কুলে গরিব মেধাবী ছাত্রদের বিনা বেতনে পড়াতেন।

রাজানারায়ন বসু বলেছেন সে সময়ে ইংরেজী শিখতে মানুষ এত আগ্রহী ছিল যে রীতিমত ডিকশনারী মুখস্ত করে ফেলতো। এ প্রসঙ্গে শিবনাথা শাস্ত্রী লিখেছিলেন......



"যে যত অধিক সংখ্যক ইংরেজি শব্দ ও তাহার অর্থ কন্ঠস্থ করিত, ইংরেজি ভাষায় সুশিক্ষিত বলিয়া তাহার তত খ্যাতি প্রতিপত্তি হইতো। এরূপ শোনা যায় শ্রীরামপুরের মিশানরীফন সে সময়ে এই বলিয়া তাহাদের আশ্রিত ব্যাক্তিদিগকে সার্টিফিকেট দিতেন যে, এই ব্যাক্তি দুইশত বা তিনশত ইংরেজি শিখিয়াছে



বাবু ইংলিশ নামের বাক্য রচনাহীন, ব্যাকরণহীন এই ইংরেজির প্ররচলন হয়েছিল মূলত: বিদেশী শাসকদের কৃপা ও অনুগ্রহ লাভের জন্য, জাগতিক সুবিধা লাভের উদ্দ্যেশ্য সাহেবভজনাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।

ইংরেজরা চলে গেছে বহুদিন হলো, সেই ইংরেজিতে অর্ধশিক্ষিত 'বাবু'রাও আজ আর তেমন নেই! সেই বাঙালিরা তারপরে বাংলায় কথা বলার জন্য, লেখার জন্য, গান গাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে,প্রাণ দিয়েছে কিন্তু দিন শেষে তাদের সেই ইংরেজি প্রেম কিন্তু এক বিন্দুও কমেনি!

মাঝে মাঝে যখন টিভিতে দেখি 'ডিয়ার ভিউয়ার্স এখন শুনবেন ওমুকের গান' কিংবা রেডিওতে 'ডিয়ার লিসনার্স শুনতে থাকুন অবিরাম অমুক তমুক" কিংবা কেউ বলছে "তুমি এমন করে কথা বলো, আমি একদম 'লাইক' করি না".......তখন মনে হয় এই ভাষাটা আসলে কাদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত হচ্ছে? কোন ভিন্নভাষী মানুষ কি এই কথা গুলো শুনে বুঝবে যে কি বলা হচ্ছে, না বুঝবে না কারণ অর্ধেক তো বাংলা। তাহলে? এটা কি ভাষার কোন অলংকারিক সৈন্দর্য্য বাড়াচ্ছে, তাও না..তাহলে?

সেদিন অতীশ দীপঙ্করের জন্মদিন উপলক্ষে চীনা এ্যম্বাসডের ও সাথে একদল চৈনিক এসেছিলেন বিক্রমপুরে। সেখান থেকে তারা আসলেন আমাদের নব আবিষ্কৃত বৌদ্ধ বিহারটা দেখতে....দেখি চ্যাঙ চুঙ করে নিজেরাই নিজেদের বোঝাচ্ছে কি জানি! আমাদের এখান থেকে একজন গেলো ইংরেজিতে বুঝাতে যে কি কি পাওয়া গেছে.....তারা পুরো সময়টা হাসি হাসি মুখ করে শুনলো সব কিছু! পরে যাবার সময়ে শুনি এরা একজনও ইংরেজি জানে না। অথচ সেটা নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই।

আর আমাদের বাংলা ভাষা নিয়ে এত এত ঐতিহ্য ও গর্বের ইতিহাস থাকলেও বাংলায় কথা বলতে অনীহা কেন জানি না। "আমি ভাল বাংলা জানি না' বা "আমার বাচ্চা তো বাংলায় ভাল করে কথাই বলতে পারে না" এটা অনেকেই প্রচ্ছন্ন গর্বের সাথে প্রায়ই বলে থাকেন।

কিছু দিন একটা বড় কর্পোরেট হাউজে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার, আমাদের কাজটা বাংলা ভাষাভাষীদের নিয়ে এবং দলের সকল সদস্য বাঙালি হলেও আমাদের মিটিং গুলো সব সময়েই হতো ইংরেজীতে .....জানি না কেন!

আর খুব বেশি রেগে গিয়ে ভাব গম্ভীর আধুনিক ভাষায় গালি দিতে কিংবা অনেক ভালবাসার কথা বলতে গেলে ইদানিং ইংরেজি ছাড়া কোন গত্যান্তর দেখি না।

সেদিন আমার মেয়ের স্কুলে গিয়েছি টিফিন টাইমে, শুনি এক মা তার বাচ্চাকে বেশ ধমকাচ্ছেন তার বাচ্চা খায় না তাই। বাচ্চার সাথে তার সংলাপটি ছিল এমন....."বেবী ওখানে যাচ্ছো কেন, যেও না জামায় 'ডার্টি' লেগে যাবে। আর তুমি তো কিছুই খাও নি, এই 'ম্যাঙ্গোটা' খাও আর 'এগ'টা শেষ করো। কোন কথা শোন না, তুমি একদম 'নটি' হয়ে গেছো"!!



যেখানে ভিনভাষীর কেউ নেই সেখানে ইংরেজীতে কথা বলার যৌক্তিকতা আমি আসলেই খুঁজে পাই না, এই জন্য মাঝে মাঝে নিজেকে কিছুটা ক্ষ্যাত বলে মনে হয়!

যাই হোক থাকবো আমি ক্ষ্যাত তবুও বাংলাই আমার কাছে সেরা।











তথ্যসূত্র:

মাহবুব আলম...গুপ্তধরনের খোঁজে


মন্তব্য ১৮৮ টি রেটিং +৪৭/-০

মন্তব্য (১৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই লেখাটা উৎসর্গ করলাম ফেইসবুকের বুভূক্ষু 'স্ট্যাটাস খাদক'দের! যারা ছাগলের মত সব ধরনের স্ট্যাটাসই খাবার চেষ্টা করে!

২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

মামুন রশিদ বলেছেন: পুত্তুম পিলাস++



বাকি কমেন্ট পোস্ট পড়ার পর /

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: আরেহ, এই অকালের দিনে আরও একটা কমেন্ট প্রাপ্তির আশায় আনন্দে উদ্বেলিত হইলাম মামুন ভাই !:#P

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আরজে দের বাংলিশ শুনলে এমন রাগ লাগে !

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: এগুলার বিরূদ্ধে ভাষা বিকৃতকরনের মামলা ঠুকে দেয়া দরকার।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: আরো কিছু মজার বাবু ইংলিশ আছে, ব্রিটিশ আমলে উকিল-মোক্তার সাহেবরা কোর্টে বলতেন ;)



স্ট্যাটাসখোর ছাগলদের ধিক !

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া তা আর বলতে..

সেই যে 'মাস্টার ক্যান লিভ, মাস্টার ক্যান ডাই' (হজুর বাঁচান বাঁচি, মরেন মরি) :-B

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: নাইস পোস্ট

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪১

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুম ভাই :)

৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্টে ধন্যবাদ । আগে ই পড়া শেষ। লাইক দিতে ও কমেন্ট দিতে লগ ইন করলাম্।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪২

রেজোওয়ানা বলেছেন: এটার কিছু অংশ প্রথমে ফেইসবুকে লিখেছিলাম সেলিম ভাই :)

৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩

মাহাবুব১৯৭৪ বলেছেন: তা যা বলেছেন।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪২

রেজোওয়ানা বলেছেন: বলচেন দাদা?

৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪

আরজু পনি বলেছেন:

হে হে স্ট্যাটাস খাদকের ধইন্যবাদ দেই এই কারণে যে, স্ট্যাটাস খাইয়া তারা প্রমাণ করিয়াছে যে, আপনে সেলিব্রিটি ...যতই অস্বীকার করেন :>

আর আরো ধইন্যবাদ দেই এই কারণে যে, ফেসবুকে স্ট্যাটাস খা্ওয়ার কারণেই মনে হয় ব্লগে পোস্টাইছেন :P

স্ট্যাটাস খাদকদের উদ্দেশ্যে বলতেছি...আমার প্রিয় ব্লগারগোর সব স্ট্যাটাস তুমরা খাইয়া দা্ও...যেন তারা বাধ্য হইয়া নিয়মিত ব্লগে পোস্ট দেয় B-)) B-))

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমি অতি সামান্য একজন ফেবু ইউজার, কালেভদ্রে মনের কথা লিখি। মাঝে মাঝে কিছু লাইক টাইক পাইলে খুশি খুশি লাগে! টাইম লাইন একটু পর পর দেখি, ভালই লাগে....সেই মূল্যবান নিরীহ জিনিসটারে গাপ করে দিলে মেজাজ খারাপ হয় না বলেন?

:(

৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১০

কালীদাস বলেছেন: হেই বাডি, এঘুলা কি রাইট করছেন? ডোনট বি ড়াগী, বি কুল ম্যান!!

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: আরেহ কালিদাস!

লং টাইম নো সি!

কেমন আছেন, ডে এবং টাইম কেমন চলছে ? |-)

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৯

কয়েস সামী বলেছেন: যাই হোক থাকবো আমি ক্ষ্যাত তবুও বাংলাই আমার কাছে সেরা।

পোস্টে ভাললাগা রইল।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ কয়েস ভাই!

ভাল থাকবেন :)

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৮

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: Oh Shit!

ধূর বাল।

কোনটা সুন্দর লাগে?

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: কোনটাই শুনতে ভাল লাগে না!

আর দুটার অর্থও মনে হয় ভিন্ন!!

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৯

নীল_সুপ্ত বলেছেন: দুঃখ দিলেন বেশ... এইসব মনে পড়লেই মনটা খারাপ হয়ে যায়... মনে হয় যে আমরা জাতি হিসেবে কতটা অকৃতজ্ঞ !!

যাই হোক (অ্যানিওয়ে লিখতে গিয়েছিলাম, পোষ্ট পড়ে নিজের ভুল সংশোধনের সুযোগ হলো) , আমার কথা বলতে গেলে এত কঠিন বাংলা চলে আসে যে সহজে বুঝাতে পারিনা অনেক কিছু... এ নিয়ে এক ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি, রবি ঠাকুরকে দোষ দিতে ইচ্ছে জাগে, কি দরকার ছিল বলার "সহজ কথা যায়না বলা সহজে" ...

সাধারণত এ ধরনের লেখার হুমড়ি দেখা যায় ফেব্রুয়ারি মাসে। আপনি বুঝিয়ে দিলেন ফেব্রুয়ারি মাসটাই শুধু বাংলার জন্য নয়।

+++ এবং নিশ্চিন্তে প্রিয়তে...

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫০

রেজোওয়ানা বলেছেন: বাংলা শব্দে তো ভাইয়া আরও অনেক বিদেশী শব্দই প্রচলিত হয়ে গেছে, সেগুলো এমন ভাবে আত্তিকরণ হয়েছে যে আসলেই সেটা বাংলা ভাষারই একটা অংশ হয়ে গেছে। এমন টুকটাক ইংরেজিজে আমিও ব্যবহার করি না তা তো নয়, সেটা আসলে আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।
এবং এই যে অভ্যাস তৈরিকরনের পুরো ধাপটা, সেটা নিয়েই মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে।

পোস্টটা আপনার ভাল লেগেছে মানে আমার চিন্তাধারার সংগী আরও একজন বাড়লো.....এটা ভাবতে ভাল লাগছে।

অনেক ধন্যবাদ..

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৯

চানাচুর বলেছেন: সিস...আমি এতক্ষণ room এ ছিলাম। then dad phone দিলে কথা বললাম। আমি now ছাদে!! what a nice বাতাস!! 8-| বাতাস ইট করতে করতে ইয়োর post টা পড়লাম #:-S

ইউ এত রাগ করেন কেন? ইউ কি জেলাস? /:)

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: ওহ ইউ নটি মেয়ে!
এখনও লাইক দাও কেন, কুইকলি লাইক দিয়ে দাও তো সুইট সিসি!

হু ইউ নো আমি ইংরেজিতে কথা বলতে পারি না, তাই সামটাইম একটু একটু জেলাস ফিল করি :|

১৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৯

যোগী বলেছেন:
ম্যাম, স্ট্যাটাস কে ইংরেজিতে যেন কি বলে?
আমার অনেক দিনের ইচ্ছা সব বাংলা শব্দের ইংরেজীটা শিখে ফেলব।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: হা হা হা!

আচ্ছা!

বাংলা ভাষায় এমন অনেক শব্দই আছে ইংরেজি বা ফরাসি সেটা বাংলার অংশই হয়ে গেছে। এখন আমি যদি সেটা বাংলায় লিখি তাহলে হয়তো অনেকেই ধরতে পারবে না, কারণ সেই শব্দে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

মনে করে আমি টেবিল লিখলাম চারপায়া, চেয়ার লেখলাম কেদারা, চায়ের কাপ লিখলাম পেয়ালা......সেটা কি সবার জন্য বোধগম্য হবে?

আর আমি আসলে আমার লেখার উদ্দেশ্যটা আপনাকে সম্ভবত বোঝাতে পারিনি!
আমি এটা বলতে চাইনি যে ইংরেজি নিষিদ্ধ হোক বা ইংরেজির ব্যবহার না হোক.....আমি শুধু একুটুই বলতে চেয়েছি 'এটার অপব্যবহারটা আসলে কতটুকু শোভনীয়"!

যাই হোক এসবই একান্তই আমার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা, সবারই ভাল লাগবে তা তো নয়!

তবুও কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন।

১৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২

চানাচুর বলেছেন: স্ট্যাটাসের অর্থ স্থিতিবার্তা!! :) @যোগী

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: যাই মুখবইতে একটা স্হিতিবার্তা দিয়ে আসি /:)

১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

সৌম্য বলেছেন: মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেটদের বাংলায় কথা বলা মানা। যদিও অর্ডার্লিদের সাথে কিংবা ইন্সট্রাক্টরদের (এরা সৈনিক, র‍্যাঙ্ক থাকে কর্পোরাল বা সার্জেন্ট) সাথে বাংলায় কথা বলা বাকী সবসময় কথা বলতে হবে ইংরেজীতে। অল্প কিছু বিদেশী ক্যাডেট যারা বাঙ্গালীদের সাথে ট্রেনিং করতে আসে তারা সবাই দির্ঘসময় থাকার কারনে ভালো বাংলা শিখে যায়। কিন্তু তারপরেও ক্যাডেট ব্যাটালিয়নে বাংলা হারাম। এমনকি যুদ্ধের ভার্বাল অর্ডার কিংবা সৈনিকদের মাঝে যুদ্ধের সময় যেই সব ইন্সট্রাকশন বা রেডিও কমিউনিকেশন এগুলোও শিখতে হতো বাংলায়। অথচ বাস্তবে সেটা অর্থহীন। ব্যাপারটা এমন ক্যাডেটরা থার্ড টার্ম পর্যন্ত ভার্বাল অর্ডার শিখে "ডিয়ার সোলজার্স"! আর ফাইনাল টার্মে গিয়ে বাধ্য হয়ে শিখে "প্রিয় সৈনিক ভাইয়েরা"।
একবার ফার্স্ট টার্মে এক বন্ধু গেছে সিএমএইচএ। মেডিক্যাল অফিসারের সাথে তো বাংলায় কথা বলা যাবেনা। সে তার সমস্যা বুঝাতে গিয়ে বলছে- স্যার, দিস প্লেস কিচিং! ডাক্তার সাহেব টাশকি খেলেন, হোয়াট ইস কিচিং?? বাংলায় বলো কি সমস্যা! স্যার, এই জায়গাটা চুলকায়।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: হা হা হা

আহারে!

'আমার চুলকায়' এই কথাটাও যদি ইংরেজী বলতে হয় তাইলে সেই দু:খের কোন সীমা থাকবে না :>

১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: সেরাম হৈসে আপু...পারলে এইবার খাক..++++

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: হ!

পারলে এই পোস্ট খায়া দেখা :-0

১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
হিট হিজ এ বেড়ী বেড়ী প্যান্ঠাষ্টিক ফুষ্ট :-B
ঐ যে ১টা কৌতুক আছে 'কাটিং দা বাঁশের বেড়া' - ওটার কথা মনে পড়ে গেল।
রেডিও শুনিনা প্রায় ২-২.৫ বছর হবে কমপক্ষে।এত কথার পরেও তারা যদি এখনো বাংলা-ইংরেজী মিশায়ে কথা বলা বন্ধ না করে তাহলে আর কি ই বা বলার আছে ||

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: কাটিং দ্যা বাঁশে বেড়া

ঢুকিং দ্যা ডোর

টেকিং দ্যা মালপত্র

গোয়িং দ্যা ডোর

:-B

এখন শুধু আর রেডিও জকি না, গান এবং সিনেমা সম্পর্কিত বেশির ভাগ অনষ্ঠান তা সে রেডিও হোক আর টিভি....সংকর বাংলায় কথা বলে!!

১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

যোগী বলেছেন:

@ওয়াও! গ্রেট চানাচুর! আই এ্যাম রিয়েলি ইমপ্রেস্ড!
হেয় ডু ইউ টিচ ইন এ্যানি স্কুল?
আই হ্যাভ টু ফাইন্ড দ্যাট।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: @চানাচুরের জন্য প্রযোজ্য :)

২০| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

নীল জানালা বলেছেন: স্ট্যাটাস খোর মানে কি? জিগাইলাম এই কারনে যে আমি ফ্যাছভুকের কিসুই জানিনা।
লেখাটা পৈড়া মজাক পাইলাম।

কয়দিন আগে একটা অনলাইন পত্রিকায় জনৈক ইউজারের ইংলিশ একটা কমেন্ট পাইসিলাম...রিতিমত কোট করার যোগ্য। কপি পেস্ট করতাসি। পৈড়া বলবেন এই লোকের ইংলিশরে কি ইংলিশ কৈবেন।

One judge said I will go in jumona bridge without toll and toll kipper stop judge to pay toll judge said to police arrest him. Police arrest him this our Bangladesh now. according to my thought judge should be arrested because he is guilty. He want to go free this is his father bridge. this kind judge awamilig's ashole.

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: ফেইসবুকে ইদানিং এক শ্রেনীর লোকের উদ্ভব হয়েছে যারা বিশেষ চোরামি পদ্ধতিতে রিপোর্ট করে মানুষের সাধের স্ট্যাটাস মুছে ফেলে। এটা ফেইসবুক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির জন্য হয়!

এই বিষয়ে দূর্যোধনের একটা পোস্ট দিয়েছিলেন গত মাসে, বিস্তারিত জানতে চাইলে সেটা দেখতে পারেন!

আপনার উদ্বৃতিটা তো একদম খাঁটি 'বাবু ইংলিশ' হয়েছে!!!

২১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট আপু !

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধণ্যবাদ অভি :)

২২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

পিঙ্গলক বলেছেন: দ্যা পিকচার উইচ ইউ হ্যাভ গিভেন ইন দ্যা পোস্ট, সিমস লাইক সিন ইট সামহোয়ার। আর ইউ রিলেটেড টু জিপি?

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: ছবিটা নেট থেকে নিয়েছি, দেখাটাই স্বাভাবিক!
এক সময়ে ছিলাম, এখন আর নাই।

যাই হোক, আপনাকেও কেমন জানি পরিচিত ঠেকছে :|

২৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০০

আপেল বেচুম বলেছেন: এই বিষয়ে কোথায় যেন পড়েছিলাম, সম্ভবত প্রথম আলোর শুক্রবারের সাময়িকিতে । আপনি যেসব ইংরেজদের কথা লিখেছেন, তাদেরই কেউ, অথবা এর বাইরের কেউ, এই বাবু ইংলিশে লেখা চিঠি সংগ্রহ করতেন । তারপর ইংল্যান্ড নিয়ে গিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের দেখিয়ে বাঙালিদের নিয়ে মজা করতেন ।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: হ্যাঁ এটা এক সময়ে তাদের বিনোদনের উৎস ছিল! লর্ড কার্জন নিজেই তো সংকলন করেছিল যদিও সে পরে এটা নিয়ে বিস্তর সাফাই গেয়েছে!



আপেল বেচা কেমন চলে?

২৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: যেখানে ভিনভাষীর কেউ নেই সেখানে ইংরেজীতে কথা বলার যৌক্তিকতা আমি আসলেই খুঁজে পাই না, এই জন্য মাঝে মাঝে নিজেকে কিছুটা ক্ষ্যাত বলে মনে হয়!
যাই হোক থাকবো আমি ক্ষ্যাত তবুও বাংলাই আমার কাছে সেরা।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: যাক দলে আরো লোকজন পাওয়া যাচ্ছে দেখছি :)

২৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৩

যোগী বলেছেন:
ম্যাম, আমি আসলে অনেকেরমত মজা করেছি ঐ কমেন্টে, সম্ভবত আমার উচিৎ হয়নি।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: আরেহ উচিত হবে না কেন!

ধুর, ভাই কি যে বলেন! পোস্টে এমন যুক্তির উথ্থাপন হলে আমার ভাল লাগে, অনেক কথা যে গুলো বলা হয়নি, সে সব বলার সুযোগ হয়!

এমন মন্তব্য সব সময়েই কাম্য।

যাই হোক, এবার বলেন চেরী উৎসব কেমন হলো?

২৬| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা খুব ভালো লাগলো।


'বাংলিশ' গ্রহণযোগ্য নয়। তবে পৃথিবীর কোনো ভাষার শব্দভাণ্ডারই কেবল সে দেশের ভাষার সংকলন নয়, বিভিন্ন কারণে ও বিভিন্ন ভাবে তাতে বিদেশি ভাষার আগমন ঘটে। আমাদের ভাষা 'বাংলিশ' হয়ে যায় যখন আমরা 'শো-অফ' করি, যা 'ওভারস্মার্টনেস'-এর শামিল।

এখানে আমি ইচ্ছে করেই দুটি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেছি। এটাকে 'বাংলিশ' বলা ভুল হবে। এমন ব্যবহার বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, প্রমুখের মধ্যেও বিদ্যমান ছিল। যখন ইংরেজি বাহুল্যে 'রচনাশৈলি' ক্ষুন্ন হয়, সেটা অবধারিতভাবেই 'বাংলিশ'।

তবে আমাদের কালচারে এখন 'আরজে বাংলিশ', 'ভিজে বাংলিশ', আর ঘরে ঘরে আরও ভয়ঙ্করভাবে বাড়ছে 'বাংদি' কিংবা 'হিন্দি'। এটা কিন্তু বাংলা ভাষার উপর হাঙরের মতো তেড়ে আসছে; কীভাবে সামলাবেন?


অবশেষে সৌম্য ভ্রাতা: দয়া করে সংযত হোন।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পোস্টের বাড়তি সংযোজন হলো!

অনেক ধন্যবাদ খলিল ভাই সময় নিয়ে পড়ে এমন একটা মন্তব্যের জন্য।

ভাল থাকবেন

শুভ রাত.....

২৭| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৫

এরিস বলেছেন: "I am arrive by passenger train at Ahmedpur Station and my belly is too much swelling with jackfruit. I am therefore went to privy. Just i doing the nuisance the guard making the whistle blow for the train to go-off and i am running with bodna in one hand and dhoti in the next when i am fell over and exposed all my shocking to man and female women in the platform. This is too much but if passenger go to make dung the dam guard not wait for five minutes for him." চমৎকার কিছু তথ্য জানলাম। এই লাইনগুলো বারবার পড়েছি। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লেখা, তবে সিরিয়াস মনে হয়নি একদম। রম্যের মতো পুরো লেখাটাতে হাসির খোরাক ছিল, বাঁকা কিছু ইঙ্গিত ও ছিলো। যদি একটি গাধাও এই লেখা পড়ে লজ্জা পায়, দেশবাসী উপকৃত হবে। পোস্টে প্লাস।

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১০

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়া এবং এমন চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এরিস!

আমি আসলে আমার নিজস্ব কিছু চিন্তা আপনাদের কাছে জানাতে চেয়েছি এবং দেখে ভাল লাগছে যে এমন চিন্তাধারায় আমারও আরও অনেক সংগী আছে।

আবারও ধন্যবাদ

শুভ রাত :)

২৮| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
কাজের পোস্ট!

এইসব বাংলিশ বলা লোকদের বয়কট করতে হবে।

না হয় একদিন আমাদের প্রাণের ভাষাটার বারোটা বাজাবে...

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১২

রেজোওয়ানা বলেছেন: সেটাই ভাইয়া!

এক সময়ে না প্রথেম ভিনদেশী মুসলিম শাসক, পরে ইংরেজ শাসকদের সাথে মৌখিক যোগযোগের সুবিধার জন্য বাংলা ভাষায় ফারসি, পর্তুগীজ বা ইংরেজী অনেক শব্দের প্রচলন করেছি যেটা এখন 'বাংলাই' হয়ে গেছে।
কিন্তু এখন যখন আমরা পরস্পর কথা বলছি তখন বাংলায় কথা বললে অসুবিধা কোথায় সেটা আমি বুঝি না।

অনেক ধন্যবাদ

শুভ রাত।

২৯| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আনলাকি তের হতে মুক্তি দিলাম।

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার অনেক দয়া :D

৩০| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১

ৈজয় বলেছেন: আচ্ছা ভাষার যে আজকের রূপটা আমরা দেখছি, আগ্ওে কি ঠিক এমন ছিল? নাকি বিভিন্ন দেশীয় শব্দের অন্তর্ভূক্তিতে বিবর্তিত হতে হতে আজকের অবস্থায় আসছে?

আমরা ব্যকরণে পড়েছি বাংলাভাষায় নানা রকম বিদেশী(ইংলিশ, পর্তুগীজ, তামিল প্রভৃতি) শব্দ আছে। এগুলো সময়ে-অসময়ে বাংলাভাষায় ঢুকে গেছে, বেড়া দিয়ে আটকে রাখা যায় নি। অবশ্য জানিনা, বেড়া দেয়া হয়েছিলো কিনা। এসব বিদেশী শব্দের বাংলা প্রতিশব্দগুলোও কালের হা্ওয়ায় আমরা ভুলে গেছি। এখন বিদেশীটাই আমাদের সম্পত্তি হয়ে গেছে।


নজরুল ইসলাম বা আরো অনেক কবি কবিতার আবেগ উত্তেজনা আভিজাত্য বাড়ানোর জন্যে বিদেশী শব্দ ধার করেছেন। কেন? দেশে কি শব্দ কম পড়েছিল? আমরাতো বলছি এতে ভাষার শবদসম্ভার বেড়েছে। তাহলে কথাবার্তার মধ্যে ইংরেজী ঢুকে গেলে এত সমস্যা কি?


আপু আপনি আবার চেতে যাইয়েন না। আমি কিন্তু বাংলিশ বাহিনীর দালালী করছি না। শুধু আমি চিন্তা করছি এ বিবর্তন কি চিল্লাপাল্লা করে থামানো যাবে নাকি এ এক নিরন্তর অনিবার্য প্রক্রিয়া?





০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২২

রেজোওয়ানা বলেছেন: বাংলা ভাষায় ভিনদেশী শব্দের প্রচলনের একটা প্রেক্ষিত ছিল, এক সময়ে ভিনদেশী মুসলিম শাসক, পরে ইংরেজ শাসকদের সাথে মৌখিক যোগযোগের সুবিধার জন্য বাংলা ভাষায় ফারসি, পর্তুগীজ বা ইংরেজী অনেক শব্দের প্রচলন করেছি যেটা এখন 'বাংলাই' হয়ে গেছে।

সেটা ছিল প্রয়োজনের তাগিদে। কিন্তু এখন কি সেই প্রয়োজনটা আছে?
আমরাই তো বলি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনের কথা, তবে সেটা মৌখিক ক্ষেত্রে কেন নয়? আর এভাবে সংকর প্রজাতির ভাষায় উদ্ভব মূল ভাষাকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে সেটা আসলে বলে পারবে ভাষাবিদগন!

আমি তো জৈয় ভাই ভাষাবিদ না, সাধারন একজন মানুষ, আমার সাধারন চিন্তায় মনে হয়েছে নিজেদের মধ্যে কথ্য ভাষায় ইংরেজির এই ধরনের প্রয়োগ আসলে আমার ভাষায় মূলধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং এটার কোন প্রয়োজন নেই। আমি ইংরেজি আমার কথ্য ভাষায় তখনই ব্যবহার করবো যখন সেটার প্রয়োজন হবে, মানে যখন ভিনভাষী কাউকে আলোচনায় সামিল করার দরকার হবে।

আর বৈশ্বিক বিষয়ের কথা বললেন, ফরাসি, চৈনিক, কোরিয়ান আরও অনেকেই খুব প্রয়োজন ছাড়া ইংরেজি ব্যবহার করে না, সেই জন্য তারা কি পিছিয়ে পরেছে?


সাংস্কৃতিক বিবর্তন তো জৈয় ভাই নিজস্ব এবং সামাজিক চেতনার বিষয়। কখনো কোন আইন প্রয়োগ বা 'চিল্লাচিল্লী' করে এটা ঠেকানো যায় নি যাবেও না, যতদিন না নিজের ভেতরে, সমাজের ভেতরে সেই 'চেতনার সঞ্চার হবে।


আর রেগে যাবো কেন!
কি যে বলেন, পোস্টে গঠন মূলক আলোচনা আমি সব সময়েই পছন্দ করি। উপরে যোগী ভাইকেও একই কথা বলেছি।

আলোচনা-সমালোচনা না হলে নতুন নতুন ভাবনার পথ খুলবে কিভাবে? :)

৩১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
বাংলাদেশের একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার, বল নরম হয়ে গেছে তাই বল টা পরিবর্তনের আবেদন জানান আম্পায়ারের কাছে -

"স্যার স্যার, বল ইস ড্যাব ড্যাব নো সুইং নো বাউন্স "



বাংলীশের ইতিহাস ভালো লাগছে।

++++++

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: হা হা হা!

বল ইস ড্যাব ড্যাব নো সুইং সো বাউন্স!!!


কমেন্ট ইজ জম্পেস :D

৩২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৭

ডি মুন বলেছেন:
হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন; –
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
কাটাইনু বহুদিন সুখ পরিহরি!
অনিদ্রায়, অনাহারে সঁপি কায়, মনঃ
মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি; –
কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন!
স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে –
“ ওরে বাছা মাতৃ-কোষে রতনের রাজি,
এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?
যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!”
পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে
মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মনিজালে।

( বঙ্গভাষা, মধুসূদন দত্ত)

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: মধুসুদন দত্ত....অথচ সে লেখা শুরু করেছিল কিনা ইংরেজীতে, বাংলাকে নেটিভ ডার্টি ল্যাঙ্গুয়েজ বলে কটাক্ষ করতেন, বলতেন এই ভাষায় ভাল কিছু সৃষ্টি সম্ভব নয়।

তারপর যখন তার আসলেই হৃদয় জাগ্রত হলো তখন একের পর এক কি অসাধারন সব উপহার দিয়ে গেলে বাংলা ভাষায়!

৩৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৭

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। আমার মনের কথা আর ব্যথাগুলোই যেন উঠে এসেছে আরও পরিশীলিত আকারে। আজকালকার কিছু এফএম রেডিও শুনে দারুন হতাশ হই। কয়েক বছর আগেও ভাতকে 'রাইস' এবং গানকে 'সঙ' বলার প্রচলন ছিলনা। এথনিকালি ('জাতিতাত্তিকভাবে' শব্দটি ব্যবহার করলামনা, কারণ 'জাতি' শব্দটি নানা অর্থে ভুলভাবে আমরা ব্যবহার করি, যেমন মুসলিম জাতি, গরিব জাত ইত্যাদি) আমরা দারুণ সমন্বয়বাদী। কাজেই আমাদের সংস্কৃতি এবং ভাষাতেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু এ সমন্বয় দু'ভাবে হতে পারে। এক. সমন্বয়ের নামে নিজেকে বিজাতীয় সংস্কৃতির মাঝে বিলিন করে দিয়ে; দুই. অন্য সংস্কৃতির (বা ভাষার) ভাল বা গ্রহণযোগ্য বিষয়গুলোকে আত্তীকরণ করে নিজেকে ঋদ্ধ করে তুলে। কিন্তু এ দু্য়ের মাঝে একটি সূক্ষ্ম বিভেদরেখা রয়েছে, যা নিরূপণ করা দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়। তদুপরি, শিক্ষা, রুচির বিকাশ, এবং আত্ম পরিচয় অনুধাবনের সচেতন প্রয়াসের মাধ্যমে কোনটা গ্রহণ করব আর কোনটা করবনা তা নির্ধারণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আর সে প্রয়াসের পেছনে আপনার লেখাটির মতো লেখা অত্যন্ত মূল্যবান ভূমিকা পালন করতে পারে।

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার অসাধারণ এই মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আর কিছু বলার নেই, যা বলার সবই আপনি বলে দিয়েছেন......


অনেক অনেক ধন্যবাদ তৈফিক ভাই!

৩৪| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৮

মামুন হতভাগা বলেছেন: যেখানে ভিনভাষীর কেউ নেই সেখানে ইংরেজীতে কথা বলার যৌক্তিকতা আমি আসলেই খুঁজে পাই না, এই জন্য মাঝে মাঝে নিজেকে কিছুটা ক্ষ্যাত বলে মনে হয়!
যাই হোক থাকবো আমি ক্ষ্যাত তবুও বাংলাই আমার কাছে সেরা।
সহমত ++++++

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: একমত হলে বলে ভাল লাগছে মামুন!
নিজের চিন্তাধারার সাথে অন্যের মিল দেখলে ভাল লাগে, মনে সাহস বাড়.....

৩৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট আপু :)

০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বিথী!

আশাকরি তোমার বাবা ভাল আছেন এখন!

ভাল থেকো.....

৩৬| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

ৈজয় বলেছেন: আমার মাথা দেখি চুলকায় :)

অনেক ভাল বলেছেন। তবে কি, তৃতীয় বিশ্বের একটা গরীব দেশ হ্ওয়ায় ইংরেজী ভাষা জানাটা আমাদের ভীষণ প্রয়োজন। এই যে কদিন আগেই আমরা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভয়াবহভাবে নাকাল হলেন, আমার সবাই লজ্বা পেলাম। আন্তর্জাতিক ফোরামে আমরা শুধুমাত্র ইংরেজীতে পারদশীতার অভাবে আমরা বিতর্কে ভাল করিনা। বায়ারদের ভালভাবে প্রভাবিত করতে পারিনা।


মাঝে মাঝে এই হতাশায় মনে হয়, ধুর দুনিয়াতে এত ভাষার দরকার কি? একই আকাশের নিচে এত দেশের দরকার কি?


যা হোক এটা ভিন্ন বিষয়।


বাংলার মধ্যে ইংরেজী ঢুকানো আর ইংরেজী ভাল করে জানা আলাদা বিষয়, এই জিনিসটাই অনেকে ভালভাবে বুঝে না। এ দুটো ভাষার দক্ষতাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কোনটাই ভাল করে জানা হয়না।++++++++

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: ইংরেজী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা আমি অস্বীকার করছি না জয় ভাইয়া, আমার সামাণ্য আপত্তি এটার অপব্যহারে।

আমাদের দেশের পাঠ্যসূচীর প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের ইংরজী শিক্ষার অবস্থা মোটেও সুবিধার না, আন্তর্জাতিক মাধ্যমে কথা বলার জন্য বা কোন কিছু লেখার জণ্য সেই দক্ষতা তাই তৈরি হয় না স্বাভাবিক ভাবেই।

আমার যা কিছু আপত্তি সেটা এই আধখেচার বাংলা ইংলিশের কথ্য রূপে। এই সংকর ইংরেজি দিয়ে না যাবে কোনদিন ভাল কোন লেখা তৈরি করতে, না পারা যাবে ভীনভাষী কাউকে পূর্নাঙ্গ ভাবে কোন বক্তব্য বোঝাতে। এতে করে শুধু মাত্র ভাষার গঠনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আর ভাষা মাত্রই পরিবর্তনশীল এটা সবারই জানা, তবে এই আধখেচারা ইংরেজি বা বার্তমানে হিন্দীর মিশেলে যে পরিবর্তনটা হচ্ছে ধীরে ধীরে (অবশ্যই শহুরে শ্রেনীর মধ্যে) এটা কি ভাল কোন সুফল বয়ে আনবে বলে আপনার মনে হয়?
আমার তো মনে হয় না :(


অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

শুভ দিন :)

৩৭| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

ম্রিয়মাণ বলেছেন: কিছু বিষয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে:
কাঁঠাল পাকবেই। কিন্তু কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো ভালো নয়।
ভাষায় পরিবর্তন আসবে, কিন্তু জোর করে কিছু করা ভালো নয়।
সুধী দর্শকমন্ডলী, শ্রোতামন্ডলী এসব শব্দতো বাংলায় ছিল। তবে কেন জোর করে নতুন শব্দ চালুর চেষ্টা। বিবিসি বাংলার অনুষ্ঠান কি শুনতে খারাপ লাগে?
বাংলায় আরও নতুন শব্দ আসবে, ক্ষতি নেই। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে শব্দ আমদানী দৃষ্টিকটু।
যারা ভাবছেন ইংরেজী শব্দ ব্যবহার না করলে জাতে ওঠা যায় না, তারা মনে হয় ভুল করছেন।
অনেকে বলেন, "ইভেন কি"। কথাটার মানে কি? "এমন কি" শব্দটি কি খারাপ?
তবে চর্চা ছাড়া ইংরেজী শেখা সম্ভব নয়। এই চর্চাটা নিজেদের মধ্যে করাটা দোষের নয়।
প্রতিভাবান এবং পর্যাপ্ত ভাষাজ্ঞান সম্পন্ন স্ক্রিপ্ট লেখকের অভাব দেখা দিয়েছে মনে হয়। নইলে ওসব বমি আসা আরজে আর টিভি উপস্থাপকদের মুখে বাংলায় আকর্ষণীয় সংলাপ তুলে দিতেন তারা।
আমি আবার বলছি, আমার সন্দেহ নব্য ধনীরা হয়ত এসব ভাষা ব্যবহার করে জাতে উঠতে চাইছে। বাংলা পারে না, তবে হিন্দি পারে এটা তাদের কাছে গর্বের।
সেদিন টেলিভিশনে দেখলাম এ প্রজন্মের জনপ্রিয় একজন সংগীত শিল্পী সাক্ষাতকার দেবার সময় হিন্দি শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না।

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভেবে দেখুন আমরা কত ইংরেজী শব্দ অপ্রয়োজনে ব্যবহার করি সাধারণ বিষয়েও। যে সব শব্দ, তা বিশেষ্য হোক, বিশেষন হোক, অব্যয় হোক বহুকাল ধরে বাঙলা ভাষায় চলে আসছে প্রাত্যহিক জীবনে- সাহিত্যে- সংবাদে তার বদলে আমরা ইংরেজী শব্দ প্রয়োগ করি, কেন করি সেটা আমি সত্যিই বুঝতে পারি না। এটা দিয়ে কি আসলেই ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করা সম্ভব? এই প্রসঙ্গে একটা উদ্বৃতি দেই...
"একমাত্র ক্রিয়াপদগুলির বেলায় বাঙলা আমল পায়। আমরা 'breakfast' করি 'জলখাবার' ভুলেই গেছি, আমদের 'বর' বা বউ (বধু) হয় না-- থাকে 'husband' বা 'wife'। (এমন কি যে সব মহিলারা পুরুষের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা ঘৃণা করেন তাঁরাও খেয়ালে রাখেন না 'husband' শব্দের অভিধানগত প্রতিশব্দ 'প্রতিপালক'।) হাজার হোক, 'after all' না বললে কি করে বোঝাই আমরা শিক্ষিত। 'ইতিমধ্যে' বললে কি শ্রোতা বুঝবে 'already' বলতে চেয়েছি। 'এসো' বা 'আসি' এই দুটি শব্দের বদলে 'easily' অর্থাত্ 'সহজে' মুখে আসে 'bye' (ভেবে দেখি না 'goodbye' শব্দের মধ্যে 'God be with you' জড়িয়ে আছে তাই 'bye' বললে শিক্ষার ধোবিছাপ দেখানো যায় আর নিরীশ্বরবাদীর চেয়ে 'atheist' অনেক বেশী সম্মানজনক অর্থাত্ 'respectable', ভগবানের প্রশ্নই আসে না God তবু ঠাঁই পেতে পারেন দূরে।)"

এই রকম সংকর ভাষা দিয়ে কি ইংরেজীতে কথা বলার চর্চা করা অদৌ সম্ভব??


অনক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ভাল থাকবেন :)

৩৮| ০৮ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:০৭

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: অসাধারন পোস্টে প্লাস।

অনেকেই আছেন, যারা বাংলা কথার মধ্যে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন। এদের দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়। যারা আমার সাথে বাংলিশে কথা বলার চেষ্টা করেন, আমি তাদের কথা থামিয়ে সম্পুর্ণ বাংলা ভাষায় কথা বলার অনোরোধ করি।

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২০

রেজোওয়ানা বলেছেন: মামুব ভাই, শব্দকরদের নিয়ে জীবনান্দদাশ ভাইয়া একটা মানবিক আবেদনের পোস্ট দিয়েছেন, দেখেছেন?

কিছু একটা করা দরকার!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা উপস্থাপন করার জন্য......

৩৯| ০৮ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:১১

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: অসাধারন পোস্টে প্লাস।

অনেকেই আছেন, যারা বাংলা কথার মধ্যে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন। এদের দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়। যারা আমার সাথে বাংলিশে কথা বলার চেষ্টা করেন, আমি তাদের কথা থামিয়ে সম্পুর্ণ বাংলা ভাষায় কথা বলার অনোরোধ করি।

৪০| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আচ্ছা, অভ্যস্থতারও তো একটা ব্যাপার আছে। সব সময় কিন্তু এটা শো অফ করার জন্য বলা হয় না। এই যে শো অফ, এটাকে বাংলায় বললে বলব, লোক দেখানো? কিন্তু কেউ যদি শো অফ বলায় অভ্যস্ত থাকে, সে কিন্তু অটোমেটিক (আরেকটা) শো অফ বলবে। আমি স্কুলের লাঞ্চ রুমে আরেকটা বাংলাদেশী মেয়ের সাথে বসি। সেখানে যখন আমরা খাবার নিয়ে কথা বলি, তখন কিন্তু রাইস, চিকেন, ক্যারটস, সুইট পটেটোস এভাবেই বলি। কারণ, ওভাবে বলে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু আপনার কি মনে হয় বাংলা ভাষার প্রতি আমার কোনো অবজ্ঞা আছে? আমি মাঝে মাঝে মন্তব্যের মধ্যে ইংলিশে মন্তব্যে দেই, এটা স্বীকার করি। কিন্তু এছাড়া বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা থাকলে কিন্তু আমি একটা বাংলা ওয়েবসাইটে এত সময় স্পেন্ড (আরেকটা) করতাম না।

কয়েকটা বাংলা অনুষ্ঠান দেখেছি, উপস্থাপক ইংলিশে উপস্থাপনা করে। সেটা কিন্তু দেখেই বুঝা যায় যে ইচ্ছে করে করছে, নিজেদের আধুনিক মনে করছে। আরেকটা ব্যাপার, আমার এখানে আমি দেখেছি, যত শিক্ষিত অথবা ফেমাস কেউই হোক না কেন, কোন স্প্যানিশ ব্যক্তি যদি স্প্যানিশ পারে ও সে অন্য কোন স্প্যানিশ মানুষকে ইংলিশ না পারতে দেখে, সে অবশ্যই স্প্যানিশে কথা বলে। যেটা আমাদের মধ্যে দেখা যায় না। কিছু মানুষ তো আরো বেশি করে ইংলিশ বলে। ওই যে, শো অফ।

আমাকে স্কুলে মাঝে মাঝে বাংলায় ট্রান্সলেট করতে দেয়া হয় প্যারেন্টসদের মধ্যে। তখন, স্প্যানিশরা শুনলে অবাক হয় যে, আমি ট্রাস্লেশানেও কিছু ইংলিশ শব্দ ইউজ করছি, সেগুলো ট্রান্সলেট করছি না কেন। স্প্যানিশরা আবার সব শব্দ স্প্যানিশে বলে। 'কম্পিউটার', 'ল্যাপটপ', 'প্রিন্টার' ওদের এসব শব্দও আছে স্প্যানিশে।

কয়েকদিন আগে আমার বাংলা স্পিকিঙ টেস্ট ছিল। টেস্টের আগে আমি আমার সেই বাংলাদেশী ফ্রেন্ডের সাথে একদম শুদ্ধ বাংলা ও কোন ইংলিশ শব্দ বলা ছাড়া বাংলা বলা প্র্যাকটিস করছিলাম। সেটা একটু ডিফিকাল্ট হয়ে গিয়েছিল। খুব ধীরে ধীরে ভেবে বলতে হচ্ছিল। এখন দোষ কি দিবেন আমাদের? এটার কারণ মনে হয় অন্য কিছু। আমাদের সমাজের অনেক অশিক্ষিত ব্যক্তিরাও কিন্তু বিভিন্ন শব্দ ইংলিশে বলেন, যেটা মনে হয় পৃথিবীর অনেক দেশেই নাই। অন্তত আমার অন্যন্য দেশীয় ফ্রেন্ডদের মধ্যে দেখিনি। এটায় আমাদের ভাষা, সমাজ বা অন্য কোন কারণ আছে মনে হয়। আমি অবশ্য 'ইউর পোষ্টটা পড়লাম' এভাবে বলি না। কমেন্টের মধ্যে যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছি, সেভাবে বলি। 'তুমি এমন করে কথা বলো, আমি একদম 'লাইক' করি না' অনেকটা এরকম।

আমার বাংলা শিক্ষক বলেছিলেন, উনি যেখানে থাকেন সেখানে পিওন না কে যেন, পড়ালেখা করেন নি। তাকে যখন তারা বলে এই জিনিসটা চেইঞ্জ করে আনো, তখন সে বুঝে। কিন্তু যদি বলে এই জিনিসটা পরিবর্তন করে আনো, সে নাকি বুঝে না।

আশা করি আপনার পোষ্ট না বুঝেই এত কিছু বলে ফেলিনি।

জবাবের অপেক্ষায়।

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনাকে রাজশেখর বসুর একটা উদ্ধৃতি দেই, তিনি তাঁর 'বাংলা ভাষার গতি: ইংরেজীর প্রভাব' নামের নিবন্ধে বলেছিলেন "ইংরেজী অতি সমৃদ্ধ ভাষা। মাতৃভাষার অভাব পুরণের জন্য সাবধানে ইংরেজী থেকে শব্দ আর ভাব আহরণ করলে কোনও অনিষ্ট হবে না। কিন্তু যা আমাদের আছে তাকে অবহেলা করে যদি বিদেশী শব্দ বা বাক্যের নকল চালানো হয়, তবে অনর্থক দৈন্য প্রকাশ পাবে এবং মাতৃভাষা বিকৃত হবে"

রাজশেখর বসুর এই কয়টা লাইনে আসলে অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়।

ভিনদেশী সংস্কৃতি এবং ভাষার যে অগ্রাসন হয় সেটা কিন্তু এভাবেই নিভৃতসারে হয় এবং এর প্রভাব পরে সুদুর প্রসারী।

বাঙলা ভাষায় বিদেশী শব্দের ব্যবহার ক্ষেত্রবিশেষে থাকতেই পারে, কারন দীর্ঘদিন আমরা ভিনদেশী শাসনের অধীনে থেকেছি। ভাষা এবং তার অন্তর্গত- ব্যবহৃত শব্দ, ভাবের আদান প্রদানের সাধন। আমাদের জীবনে যা প্রয়োজনীয় ভাবে আছে তার একটা নাম থাকে। যে জিনিষ আমাদের কাছে বাহির থেকে এসেছে তার নাম এবং নামবাচক শব্দটি বাইরে থেকে আসবে স্বাভাবিক ভাবে; এতে কোন বিবাদ- বিরোধ নেই। Police তো ইংরেজ শাসনের ফল তাই শব্দটাও আমাদের কথা-বার্তায় ঢুকে গেল-- বানানটাও আমাদের মত করে নিলাম 'পুলিস'। সেই রকম ইংরেজ শাসনপ্রথার আমদানী 'hospital' আমাদের জীবনে ঢুকেছে হাসপাতাল হয়ে।
কিন্তু সে সব শব্দ আমাদের শব্দভান্ডারে বাংলাতেই রয়েছে বাংলায় কথা বলার সময়ে সেগুলোর ইংরেজী বা হিন্দী করনে কতটুকু যৌক্তিক.....যেমন: ভাত কে ইদানিং বলা হয় রাইস, ঠিক আছে' না বলি বলি 'ঠিক হ্যায়"!!

ভাষার অগ্রাসনে কিন্তু এভাবেই হয়, এমন ধীরে ধীরে, অসচেতন ভাবে! এমন না যে আমরা বাংলা ভালবাসি না বলে এটা করছি, কিন্তু আমার কাছে যেটা মনে হয় দীর্ঘ দিনের উপনিবেশিক শাসন, দূর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি কারণে 'ইংরেজি' সব সেই অষ্টাদশ শতকেও যেমন আমাদের কাছে মহার্ঘ ছিল এখনও তাই আছে।

তখন আমরা 'বাবু ইংলিশ' ব্যবহারের মাধ্যমে জাতে ওঠার চেষ্টা করেছি সচেতন ভাবে আর এখন বাংলায় ৮০ ভাগ ইংরেজি বা হিন্দী ব্যবহার করে নিজেকে আধুনিক প্রমানের চেষ্টা করছি অসচেতন ভাবে।

যাই হোক, আমি কিন্তু আমি ইংরেজী ভাষার বিরোধী ন, আমার আপত্তি বাংলা ইংরজী সংকর ভাষায়!

অনেক ধন্যবাদ পড়ার এবং আলোচনা মূলক মন্তব্যের জণ্য!

দিন ভাল কাটুক আপনার।


শুভেচ্ছা।

৪১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

দি সুফি বলেছেন: দারুন পোষ্ট। পোষ্টের পুরো কথার সাথেই একমত। এর বাইরেও কিছি জিনিস আছে, যেগুলোকে এড়িয়ে যেতে পারছি না।
ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, ইউনিভার্সিটিতে ৪ বছর ইংরেজীতে পড়ালেখা করা, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশে গুগল, ফেইসবুকেরমত ওয়েবসাইটগুলোতে নিয়মিত হওয়া, বোনোদনের নিমিত্তে নিয়মিতভাবে ইংরেজি মুভি, কম্পিউটারে গেইম খেলা - সব জায়গায় ইংরেজীই চলে আসছে। তাই অভ্যাস হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বাংলার চর্চা করারওতো সুজোগ নেই! বাংলা মুভি দেখবেন? অল্প কিছু বাদে বাকিগুলোর যা অবস্থা! বাংলা নাটকের কথা বলব? সেখানেও আজ অবস্থা খারাপ। ভালো কোন কাহীনি নেই, অভিনয় দেখলেও হাসি আসে! আর সেখানেও ভরে আছে এইরকম বাংলিশে।
পেশাগত কারনেও ইংরেজি ছাড়া উপায় নেই। বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই যে মার্কিন মূলুকে! সফট্‌ওয়্যার বিদ্যায় পড়ালেখা করার কারনে, ওখানেও ইংরেজি ছাড়া কোন উপায় নেই! সকল কোডিং ভাষাগুলোই যে ইংরেজিতে!
সুতরাং অভ্যাস হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আগে যেখানে ঠিক আছে বলতাম, এখন সেখানে মনের অজান্তেই ওকে বলা হয়ে ওঠে!

যতই লেখা-লেখি হোক না কেন, দিনশেষে উপায় নাই গোলাম হোসেন :(

লেখনীতে (পোষ্টে) কিন্তু একটা যোগ (প্লাস) দিছি B-)) B-))

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫১

রেজোওয়ানা বলেছেন: ইংরেজি শেখা বা বলায় আমার কোন আপত্তি নেই, আপত্তি শুধু মাত্র আধখেচারা বাংলিশে! কারণে এটা দিয়ে আমার আমাদের ভাষাটাকে বিকৃত করছি......


চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুফি, এই ধরনের মন্তব্য উৎসাহ দেয়!


ভাল থাকবেন.......

৪২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪২

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সুন্দর লেখা ! বাংলা পড়া বা চর্চা মাঝে কয়েক বছর আমার ছিলই না। ব্লগে এসে আবার ফিরে পেয়েছি ! বিশ্বাস করি নিজ ভাষায় সমৃদ্ধ না হলে সে জাতির কোনো উন্নতি হবে না।


পোষ্ট খেয়ে দেয়ায় মন খারাপ একটু হয়, তার উপর এমন সুন্দর তথ্যবহুল পোষ্ট। এধরনের পোষ্টগুলো ব্লগে সংরক্ষন করাই ভালো। ভবিষ্যতে অনেকে কাজে লাগে।

ধন্যবাদ আপু।

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: নিজ ভাষায় সমৃদ্ধ না হলে জাতির উন্নতি সম্ভব না....ভাল বলেছেন! আর আমাদের 'ভাষা'র ইতিহাস, সাহিত্য অনেক বেশি সমৃদ্ধ!

ফেবুতে আসলে একটা খুব বাজে সংস্কৃতি চালু হয়েছে.....



পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দানা!

ভাল থেকো.....

৪৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:০২

ৈজয় বলেছেন: ও আরেকটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি, আমার নাম কিন্তু "জৈয়" না, "জয়"। তখনো বাংলা লেখা শিখিনি তাই ভুলভাল নাম নিয়ে ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। তারপর প্রাগঐতিহাসিক কাল ধরে মডুদের দড়জায় কড়া নেড়ে যাচ্ছি, কাজ হচ্ছে না। ভাঙাচুরা নাম নিয়ে ব্লগে ঘুরতেও ভাললাগে না। মাঝেমধ্যে টুকটাক উঁকিঝুঁকি দিয়ে যাই আরকি।

ভাল থাকবেন :)

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: ওহ!

মেইল করেছেন?


তবে জৈয় নামটাও কিন্তু খারাপ না!

আপনার সাথে আলোচনাটা উপভোগ করেছি,

অনেক ধন্যবাদ জয়!

ভাল থাকবেন.....

৪৪| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

আশিক মাসুম বলেছেন: রেজোওয়ানা বলেছেন: এই লেখাটা উৎসর্গ করলাম ফেইসবুকের বুভূক্ষু 'স্ট্যাটাস খাদক'দের! যারা ছাগলের মত সব ধরনের স্ট্যাটাসই খাবার চেষ্টা করে!


সবাই ফেবুর উপর ক্ষ্যাপা কেন ভুজলাম না !! =p~ :P




আমি কিন্তু স্ট্যাটাস খাই না :)


থাকবো আমি ক্ষ্যাত তবুও বাংলাই আমার কাছে সেরা।

পোস্ট এ +++

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: স্ট্যাটাসের মতো রসকষ, ঝাল, মিষ্ট বিহীন জিনিস খেয়ে মানুষ যে কি মজা পায় /:)


ধন্যবাদ আশিক!

ভাল থাকবেন....

৪৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপু ভালো জায়গায় লেখা পোস্ট এবং উৎসর্গ করছেন, এখান থেক এপস্ত কেউ খেতে পারবে না :P

ইংরেজি চিঠি গুলো মজার --

This is too much but if passenger go to make dung the dam guard not wait for five minutes for him."

--- ;)

পোস্ট খুব ভালো লাগলো । বাংলিশের দখলে ইংলিশ কেন কাঁদে !!!

প্রিয়তে রাখলাম এই এপিক বাংলিশ চিঠির কারণে।
শুভকামনা আপু :)

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: কেউ প্রিয়তে পোস্ট রাখছে শুনলে আনন্দ আমার একটা দৌড় দিতে ইচ্ছা করে :!>



ভাল থাকবেন অপর্না!

৪৬| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: কথা দিয়েছিলেন ফেবুতে মুছে দিতে সমর্থ হলেও সামুতে পুর্নাঙ্গভাবে দিবেন। তা রেখেছেন। দেখা যাক এবার ওরা পারে কিনা ।

ছিলাম ফেবুতে। আঁতেলদের আঁতলামিতে বিরক্ত হয়ে এলাম সামুতে। আবার ছাগুদের ছাগলামীতে অতিষ্ঠ হবে ফিরে গেলাম ফেবুতে। ফাজিলদের ফাজলামী সহ্য করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। জানিনা শেষ কোথায় ?

টপিকটা আসলেই সেইরাম হইছে...........তারসাথে লেখাটাও.......

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই করে করে আসলে আমরা আমাদের নিজেদের মতপ্রকাশের জায়গা গুলোকে সংকোচিত করে ফেলছি......খুব অদ্ভুত লাগে মাঝে মাঝে! জানি না বিশ্বের অন্য কোথাও, অন্য কোন দেশের মানুষ এমন করে কিনা!


আচ্ছ ভাইয়া, আমি কি আপনার ফেবু ফ্রেন্ড লিস্টে আছি নাকি?
ঠিক বুঝতে পারছি না :)


ভাল থাকবেন,

শুভ রাত

৪৭| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

জাতির নানি বলেছেন: নিকটা আমার ফানি হলেও , এসব ব্যাপারে আমি একটা সিরিয়াস পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছে পোষন করছিলাম অনেক আগে থেকেই। যাক আপনি দিয়ে দিয়েছেন, ভালই হয়েছে।


অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট। প্রিয়তে রাখলাম।

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার নিক এবং প্রোপিক দুটোই মজার আর 'নানী' বলে সম্মোধন করতে আমারও খুব মজা লাগে!

আমি লিখেছি তাতে কি, আপনিও একটা পোস্ট দেবেন আশাকরি!

প্রিয়তে রেখেছেন জেনে খুব ভাল লাগছে, নিজের ভাবনার সংগী পেলে ভাল লাগে অনেক!


শুভ রাত :)

৪৮| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: বাবু ইংলিশ সম্পর্কে কোনো ধারনাই ছিলোনা। যদিও শরৎচন্দ্রে এরূপ ইংলিশের অনেক সন্ধান পাওয়া যায়। আজ নিশ্চিৎ হলাম বা সম্পর্ক খুঁজে পেলাম এটাই সেই বাবু ইংলিশ।

ধন্যবাদ রেজোয়ানা।

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১১

রেজোওয়ানা বলেছেন: এমন ইংলিশ আসলেই পড়েছি অনেক বইতেই, আমার জানা ছিল না! সম্প্রতি দু'টো বই পড়ে জানলাম!

পড়ছেন বলে খুশি হলাম ময়ূরাক্ষী!

ভাল থাকবেন

শুভেচ্ছা নিরন্তর.......






৪৯| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০২

নস্টালজিক বলেছেন: বাবু ইংলিশ আর স্ট্যাটাস খাদক- দু'টোই বিনোদন!

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: সময় করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রানা (বিশেষ করে পোস্ট দেবার সপ্তাহ পার হবার আগেই পরার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ |-) :-<



ভাল থেকো,

বৃষ্টির জন্য একটু তোড়েজোড়ে প্রার্থনা করো!!

৫০| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আমরা নিজেদের ভাষা নিয়ে এত লাফালাফি করি, অথচ উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি বিশাল গুরুত্ব দেই। জানি, এই বিষয়ে অনেকেই অনেক যুক্তি দাড় করাবে কিন্তু সব যুক্তিই আমার কাছে খোঁড়া যুক্তি বলে মনে হয়।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১

রেজোওয়ানা বলেছেন: সহমত নাজিম ভাই.....

৫১| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মজার সব গল্পে বাঙলা ভাষা নিয়ে বর্তমান সময়ের অবহেলার দারুন প্রকাশ করেছেন।
ব্রিটিশ শাসনামলের ইংরেজি প্রীতির গল্পগুলোয় যেমন আনন্দ পেয়েছি, আর এখনকার ডিজুস রেডিও/টিভি উপস্থাপনার বিপরীতে চাইনিজ, স্পেনিশদের স্বদেশী ভাষার টান মন খারাপ করে দেয়।
এতো বড় জনগোষ্ঠীর ভাষা বাঙলা হয়েও কত অবহেলিত।

পোস্টে প্লাস।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: এটা আমাদের রক্তে ঢুকে গেছে যে আধুনিক আর উন্নত জনগোষ্ঠী হতে চাইলে ইংরেজী ছাড়া আর কোন উপায় নেই.....কোরিয়া, চীন, জার্মান, ফারাসীদের খুব ভাল লাগে এ জন্য যে তারা এই আদিখ্যেতা দেখায় না।


অনেক ধন্যবাদ দূর্জয় ভাইয়া,

ভাল থাকবেন.....

৫২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

সোহাগ সকাল বলেছেন: এই মুহূর্তে আমি পিসিতে থাকলে বিশাল একটা কমেন্ট করতাম। অনেক ভালো লিখেছেন আপু।
বাবু ইংলিশের মৃত্যু হোক!

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: বিশাল মন্তব্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ সোহাগ!

ভাল থাকবেন :)

৫৩| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

বাংলিশ শুনতে মজাই লাগে। একটি খাঁটি বিনোদন।


ওই আর লুকিং ফর শত্রুস
B-) B-) B-)







মধুসূদন দত্ত তার বঙ্গভাষা কবিতায় বলেগেছেন ঃ-

হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন; –
তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,
পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ
পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।
কাটাইনু বহুদিন সুখ পরিহরি!
অনিদ্রায়, অনাহারে সঁপি কায়, মনঃ
মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি; –
কেলিনু শৈবালে, ভুলি কমল-কানন!
স্বপ্নে তব কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা পরে –
“ ওরে বাছা মাতৃ-কোষে রতনের রাজি,
এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি?
যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!”
পালিলাম আজ্ঞা সুখে; পাইলাম কালে
মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মনিজালে।





পোস্টে++++++



আমরা সকলে বাংলা ভাষার প্রতি বেশি করে মনোযোগ দেই সে কামনা করছি।



মোদের গর্ব
মোদের আশা
আমরি বাংলাভাষা।।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই মুধুসূদনই শুরুতে বাংলাকে কি তুচ্ছ তাচ্ছিল্যই না করেছিলেন, দেখেন মানুষের সঠিক সময়ে বধোদয় হলে কত অসাধারণ কিছুর তৈরি হবে পারে......এর প্রমাণ মধুসূদন!


অনেক ধন্যবাদ শোভন!

ভাল থাকবেন.....

৫৪| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

পুচকে ফড়িং বলেছেন:
অনেক আগে ছাগল পালতাম। এদের একটা বাজে স্বভাব হলো একলা থাকলে এমন ভাবে ডাকতে থাকে যেন কেউ জবাই করছে। কাছে গিয়ে দাড়ালেই চুপ। তাই বলে কতক্ষন আপনি ছাগলের কাছে দাড়িয়ে থাকবেন?? তার থেকে বরং গোলাপী পোস্ট রেডি করেন।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: সেটা ঠিক বলেছেন, ছাগলে কখনো ব্যা ব্যা করা থেকে আটকানো যায় না!

গোলাপী পোস্ট রেডি B-)

৫৫| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

আরমিন বলেছেন: হেই রেজুমেজু , আমি লগিন করতে পেরেছি!!!!!!

(লগিন এর বাংলা কিরে বাবা! :-* আবার না বাবু ইংলিস বলে মামলা ঠুকে দেয়! B:-) )

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: অভিনন্দন, অভিনন্দন !:#P


লগইনের বাংলা বললে আমি সহ অনেকেই বুঝবো না, সে সব শব্দের উৎপত্তি ইংরেজি ভাষায় সেই সব শব্দ সেই ভাষাতে বলা দোষনীয় কিছু নয় বলেই আমার মনে হয় :)

৫৬| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

ড. জেকিল বলেছেন: ফেসবুকে সাধারনত বাংলাতেই লিখি (সেটা না যতখানি বাংলার প্রতি ভালবাসা, তার চাইতে বেশি ইংরেজীর প্রতি দুর্বলতা :#> :#> )

আপনার লেখা পড়ে টেনিদার একটা গল্পের অংশ মনে পরে গেলো "go to ঝরনা, tiger come, i do boxing, all tooth break, tiger cut down" . ঝরনার পাড়ে গিয়ে কি করে একটি হিংস্র বাঘের দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছিলো, সেই বর্ণনা এক ব্রিটিশ কে এভাবেই দিয়েছিল টেনিদা।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমাদের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার কারনেই ইংরেজী শুদ্ধ ভাবে লেখা এবং বলায় সমস্যা হয়! আমি যখন প্রাথমিক শ্রেণীতে পড়েছি সেই সময়ে ক্লাস ফাইভে উঠে পাঠ্যসূচীতে (১৯৯০ সাল) ইংরেজি পড়েছি.....এখন সম্ভবত অবস্থার কিছয় পরিবর্তন হয়েছে।


তবে টেনিদার মতো ইংলিশে ইংলিশ এবং বাংলা দুটোই মৃত্যুর মুখে পরে /:)

৫৭| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

চানাচুর বলেছেন: সিস... আমি your পোস্টটা অনেক আগে like করেছি!! Youকে কে বলেছে you ইংলিশ কইতারো না!! you তো very nice করে সিসি কল করলেন :| :|

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: হে হে হে হে, একটু টোকা দিয়ে জেনে নিলাম আরকি যে আসলেই পেলাস দিছো কিনা :-B

৫৮| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

চানাচুর বলেছেন: যোগী, আমি আসলে অনেকেরমত মজা করিনি ঐ কমেন্টে, সম্ভবত আমার উচিৎ হয়নি। :| :|

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: :| :|

৫৯| ০৮ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ম্যাভেরিক বলেছেন: Your post is the very pineapple of blogging. :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: লং টাইম নো সি ইন মাই পোস্ট ব্রাদার ম্যাভেরিক!

মি ভেরি ভেরি হ্যাপি টুডে, মি হ্যাপিনেস নোস নো বাউন্ডারি :D

৬০| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৬

শাহেদ খান বলেছেন: যেখানে ভিনভাষীর কেউ নেই সেখানে ইংরেজীতে কথা বলার যৌক্তিকতা আমি আসলেই খুঁজে পাই না, এই জন্য মাঝে মাঝে নিজেকে কিছুটা ক্ষ্যাত বলে মনে হয়!
যাই হোক থাকবো আমি ক্ষ্যাত তবুও বাংলাই আমার কাছে সেরা।


আমারও একই মত, আপু ! পোস্টে ভাল লাগা।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহেদ,

চীনে সময় ভাল কাটুক তোমার :)

৬১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৩

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: বেপার্না একসময় আর জে দের বাংলিশই চলিত ভাষায় পরিনত হবে ।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: ইতিমধ্যে হয়ে গেছে!!!

৬২| ০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ! আপনার ঐ স্ট্যাটাসটা খেয়ে ফেলসিলো! যাক ব্লগে তো থাকলো আরো বিস্তৃতভাবে। একইসাথে মজার এবং ভাবার মত টপিক।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: হ, দেখো দেখি ভাই আমার মতো এমন অখ্যাত মানুষের স্ট্যাটাস খেয়ে কি লাভ হলো বুঝলাম না!

এটা মনে হয় একধরনের মানসিক রোগ :|

৬৩| ০৯ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সমাজের প্রায় সবাইকে এখন দেখি মানিয়ে চলার চেষ্টা করে জাতে উঠতে। সেই 'জাত'টা কি জাত তা সৃষ্টিকর্তা জানেন। এমন করে পুরো সমাজটাই যদি জাতে উঠে যেতে চায়, তবে মুখের ভাষা নিয়ে চিন্তা হয়।

বাংলা ভাষাকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসি আমরা সবাই, দেখবেন বাংলার বিরুদ্ধে কোন কথা উঠলে সেটা কিভাবে সবাই মিলে প্রতিহত করে, কিন্তু এখন যে পরিবর্তন হচ্ছে তাঁকে পরিবর্তন বলতে আমি রাজি নই। ভাষার এই তথাকথিত পরিবর্তন সামগ্রিক নয়, শ্রেণী-নির্ভর। দুঃখজনক হলেও, 'শিক্ষিত' মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীই বাইরের অক্ষরগুলো টেনে এনে ঢোকাচ্ছে বাংলা ভাষায়। এটা পরিবর্তন না, ভাষার নিঃশব্দ হত্যা মাত্র।

প্রচলিত শব্দ আর আরোপিত শব্দের মাঝে বিশাল পার্থক্য আছে। চেয়ার-টেবিলের ইংরেজি এক কথা, আর দৈনন্দিন জীবনে বিনা কারণে অন্য ভাষার অনুপ্রবেশ ঢুকিয়ে মাধুর্য নষ্ট করা আরেক কথা। এই দিকে ভালমত নজর ফেলা দরকার, নইলে একটা সময় 'আমাদের' বাংলা ভাষা বলে কিছু থাকবে না। সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার দায়ভার আমাদের, বাংলা ভাষা বিপন্ন হলে ইংরেজরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ভাষা শিখতে আসবে না।

ভাল লেখায় ভালো লাগা রইল। বিষয়টায় সবারই ভাবার অবকাশ আছে।

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: প্রফেসর শঙ্কু, আপনার মন্তব্যটা এতটাই যথার্থ যে এই বিষয়ের প্রত্যুত্তরে আসলে নতুন কিছু বলার নেই!

যা বলার আপনিই সব বলে দিয়েছেন।

মন্তব্যটা পোস্টের প্রাসঙ্গিকতাকে আরও গতিশীল করলো।


অনেক অনেক ধন্যবাদ,

সময় ভাল কাটুক আপনার.....

৬৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১১

শশী হিমু বলেছেন: থাকবো আমি ক্ষ্যাত তবুও বাংলাই আমার কাছে সেরা।


পোষ্ট অনেক ভাল লাগলো আপু, অনেক কিছু জানলাম, শিখলাম। :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫১

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়েছো বলে খুশি হলাম শশী!


ভাল থেকো,

শুভেচ্ছা নিরন্তর.......

৬৫| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++++++++++


ভালো থাকবেন সবসময় :)

১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পরে ব্লগে দেখলাম, ফেইসবুকেও দেখিছ না!

ভাবছিলাম কি হলো আপনার!!

কোথায় ডুব দিয়েছিলেন?

ভাল আছেন তো?

৬৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: "তখনও ইংরেজি শব্দের বানান আর মানে-মুখস্থর বুক-ধড়াস সন্ধেবেলার ঘাড়ে চেপে বসে নি । সেজদাদা বলতেন আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি , তার পরে ইংরেজি শেখার পত্তন । তাই যখন আমাদের বয়সী ইস্কুলের সব পোড়োরা গড়গড় করে আউড়ে চলেছে I am up আমি হই উপরে ,He is down তিনি হন নীচে , তখনও বি-এ-ডি ব্যাড এম-এ-ডি ম্যাড পর্যন্ত আমার বিদ্যে পৌঁছয় নি । --- রবীন্দ্রনাথ, ছেলেবেলা"
সেজদাদারা যেটা ১৫০ বছর আগে বুঝলেন, সেটা মনে আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। তাই একদিকে যেমন, "আমার বাচ্চা তো বাংলায় ভাল করে কথাই বলতে পারে না", আরেকদিকে উট্ভট আতেঁলগন...।
ভারতীয়দের strong accent এর ইংরেজী শুনলে এখন কিন্তু কেউ হাসে না, একমাত্র আমদেরর মত মূর্খরা ছাড়া। তাদের ঐ বাবু ইংলিশ আজকে তাদের অবস্থানের গুরুত্বপূর্ণ কারন গুলোর একটা। বাবু ইংলিশ খুবই দরকারি, কিন্তু অবশ্যই "আমার বাচ্চা তো বাংলায় ভাল করে কথাই বলতে পারে না" এই মানসিকতাটা একেবারে নয়। আর এই দুটো একেবারে ভিন্ন বিষয়।
আমার মনে হয়, দুটো বিষয় জাতি হিসেবে আমাদের রক্ষা করতে পারে, এক সর্বস্তরে ইংরেজি শিক্ষা আর এক তথ্য প্রযুক্তি.....।

৬৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

তপাই বলেছেন: হেহেহেহে, আমার এই নিকটা আপনার থেকে সিনিয়র /:)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: ও আপনে তো তাইলে বস!

:-< |-)

৬৮| ১২ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

আরমিন বলেছেন: এই নিজের পোস্টের কমেন্টের উত্তর দাও না কেনো? দশ বারো বার আসলাম তোমার এই পোস্টে কমেন্টের উত্তর দেখতে!

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক অনেক ব্যস্ত সময় যাচ্ছে আরমিন!

তোমার এই মন্তব্যের মাধ্যমে সবার কাছে দু:খ প্রকাশ করছি....

৬৯| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৮

আসফি আজাদ বলেছেন: বড্ড বেশী সত্য কথন...নিজেকে আলাদা (স্বভাবতই উচ্চ শ্রেণীর) প্রমাণের জন্য ইংরেজীর এইরূপ ব্যবহারও বোধকরি অন্য কোন জাতি করে না :( X(

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২১

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমারও সেটাই মনে হয়! আরও অনেক দেশই ইংরেজ উপনিবেশের অধীনে ছিল, কিন্ত ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত এতটা প্রভাব বোধকরি আর কোথাও পরেনি!


ভাল থাকবেন আসফি ভাই.......

৭০| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৩

পুচকে ফড়িং বলেছেন:
"গোলাপী পোস্ট রেডি" তাইলে "গোলাপী পোস্ট" পোস্ট করেন।।


আমিও অনেকবার এসেছি কমেন্টের উত্তর দেখতে :(

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩২

রেজোওয়ানা বলেছেন: ব্লগে খুব কম আসা হচ্ছে :(

এটা নিয়ে ব্যস্ত....
http://www.heritagebangladesh.co/

৭১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:০৭

অচিন্ত্য বলেছেন: ওহ দারুণ পোস্ট। অসাধারণ ! ‘বাবু ইংলিশ’ বিষয়টা জানতাম না। আপনার পর্যবেক্ষণের তুলনা নেই। আমারও প্রশ্ন জেগেছিল একবার। ডোরেমন বন্ধ করার দাবী যখন তুঙ্গে, তখন টেলিভিশনে একটা অনুষ্ঠানে এক মা অত্যন্ত তেজের সাথে বলছিলেন, “আমার মেয়ে হিন্দিতে কথা বলবে কেন ? হিন্দি কি আমাদের মাতৃভাষা ?” আমার তখন মনে হয়েছিল, এই মা-ই তো মেয়ের মুখে প্রায় ইংরেজদের মত উচ্চারণে গর্বিত হয়ে ওঠেন। সারাদিনে একবারও বাংলা না বলে শুধু ইংরেজি বললে তিনি আনন্দে আরো উদ্বেল হয়ে ওঠেন। তাহলে এই ক্ষেত্রে এত ক্ষোভ কেন ? এটা কি শুধু এই কারণে যে ইংরেজি একটি অর্থকরি ভাষা ? এবং এই কারণে যে ইংরেজি জানার সাথে ‘জাতে ওঠা’র সম্পর্ক আমরা স্বীকার করে নিয়েছি ? এই স্বীকার কি নিজেকে অসম্মান করা নয় ?

আমিও দেশের (এবং বিশ্বের) সবচেয়ে বড় এনজিওতে কিছুদিন কাজ করার সময় এই উদ্ভট বিষয় খেয়াল করেছি। আমি এর একটি নীরব প্রতিবাদ করতাম। আমার সাথে যখন কেউ অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলত আমি তখন অনর্গল প্রমিত বাংলা বলতাম, একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করে। আমার এই আচরণে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মনে হয়েছিল আমি ইংরেজিতে কথোপকথনে স্বচ্ছন্দ নই। আমি একথা অস্বীকার করাতে আমাকে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। একবার এক বিদেশিকে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানানোর ভার পড়েছিল আমার উপর। এই পরীক্ষায় পাস করার পর তারা আমার ‘যোগ্যতা’ সম্পর্কে নিশ্চিত হলেন।

চিনের লোকজনের পরিদর্শনের ঘটনাটি পড়ে মনে পড়ল ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’ তে পড়া একটি ঘটনার কথা। আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে ফরাসি দেশের সেই ব্যক্তির কথা যিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ইংরেজি প্রশ্নের উত্তরে ফরাসিতেই উত্তর করেছিলেন। সুনীল বাবু ভেবেছিলেন সেই ব্যক্তি ইংরেজি জানেন না। পরে জেনেছিলেন ইনি ইংরেজি কবিতার ফরাসি অনুবাদ করে থাকেন।

আত্মসম্মান এমন একটি বিষয় যা ভেতরে না থাকলে অন্য কেউ প্রবেশ করিয়ে দিতে পারে না। I am finish comment saying to happy read
i am finish comment saying to happy read

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: এখন তো হিন্দ বলাও ফ্যাশান! মানুষজন সব হিন্দিতে স্ট্যাটাস দেয় ফেবুতে, কথায় কথায় ঠিক হ্যায়, কিউ .....ইত্যাদির ব্যবহার! সাংস্কৃতিক অগ্রাসন এভাবেই হয়!

৭২| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আবারও কমেন্ট করছি আপু। কারণ, টপিকটা খুবই ইন্টারেস্টিং এবং কমেন্টগুলোও।

‘বাবু ইংলিশ' যাকে বলা হচ্ছে আর অধুনা আমরা যে ইংলিশের কথা বলছি, দুটো কিন্তু এক নয়। যখন বাঙালিরা কেবল ইংরেজি শিখছিলেন, তখন ইফেক্টিভ কমিউনিকেশনের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ইংলিশ জানা অপরিহার্য ছিল না। গ্রামারবিহীন সেই ইংলিশ পড়ে আজ হয়তো আমরা হাসি আটকাতে পারবো না, কিন্তু ঐ সময়ে এটুকুই অনেক ছিল।

যিনি ইংরেজি ভালো জানেন না, কিন্তু ‘শো-অফ‘ করতে চান, তাঁর ইংরেজি আজও ঐরকম ‘বাবু ইংলিশ‘ হয়ে উঠবে। তবে যিনি ইংরেজি জানেন তিনি যে-কোনো উপায়েই শুদ্ধ এবং ভালো ইংরেজিতেই কথা বলেন। তাঁর বাচনে বাংলা-ইংরেজির মিশেল দূষনীয় গণ্য করা ঠিক নয়। এটা ভাষার নিজস্ব গতির ফলেই ঘটে থাকবে।

ইংরেজি জানার কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে নিয়ে যেতে হলে ইংরেজির বিকল্প একদম নেই। ইংরেজি জানার মধ্যে যত গৌরব ও অহঙ্কার, হিন্দি বা অন্য বিদেশি ভাষা জানার মধ্যে তা নেই। তবে, স্প্যানিশ বা ফ্রেঞ্চ ভাষার গুরুত্বও দ্রুত বাড়ছে। প্রাইভেট টিউশনির জন্য আপনি ইংরেজির টিউটরকে কতো চড়া ফি‘স দিচ্ছেন ভেবে দেখুন। এজন্য, ইংরেজির প্রতি নাক ছিঁটকানো আমাদের চরম বোকামি ছাড়া আর কিছু না। ইনডিয়া আর শ্রীলংকার মানুষরা এ দিক দিয়ে আমাদের চেয়ে কম পক্ষে ৮০ বছর এগিয়ে, আর আন্তর্জাতিক ফিল্ডেও এজন্যই তাঁরা আমাদের চেয়ে ১৫০ বছর বেশি অগ্রসর। আর বাংলাদেশ গত কয়েক দশকে যটতুকু এ্যাডভান্সমেন্ট প্রত্যক্ষ করেছে, তার কারণ এ দেশের কিছু ইংরেজি জানা লোকই।

আপনি ইংরেজি শব্দের ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন প্রায় প্রতিটা শব্দই ল্যাটিন, গ্রিক, ইত্যাদি ভাষা থেকে এসেছে। তারা ভাষায় প্রবেশকৃত প্রতিটা বিদেশি শব্দকে সানন্দে গ্রহণ করেন। তাঁরা বিদেশি শব্দকে নিজস্ব গ্রামার অনুযায়ী ব্যবহার করেন। আমাদেরও ঠিক ঐ কাজটাই করতে হবে। সর্বোপরি, বাবু ইংলিশ ও স্ট্যান্ডার্ড ইংলিশের মধ্যে পার্থক্যটা আগে বুঝতে হবে।

মোটের উপর বাঙালিদের পাওয়ার অফ এক্সপ্রেশন হলো খুব দুর্বল। আমরা বাংলায়ও মনের কথাটা খুব কার্যকরীভাবে প্রকাশ করতে পারি না। এর সত্যতা পাবেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বাংলায় করা ‘টক শো‘গুলো শুনলেই। সেখানে ইংরেজির কথা বলাই বাহুল্য। অতএব, বাংলা-ইংরেজির মিশেলকে দোষের না ভেবে পজিটিভলি নেয়াই আমি মঙ্গলজনক মনে করি। ভাষার ভবিষ্যত এভাবেই এগোচ্ছে।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার গুরু্ত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ খলিল ভাই এবং আপনার মতমতের সাথে একমত।

আমি মূলত: সেই জন্যই ট্রেনের টয়লেট সংক্রান্ত ঘটনার উল্লেখ করলাম, কারণে তিনি সেই বিচিত্র ঘটনামূলক বর্ণনা দিয়ে ভীনভাষী লোকদের অন্তত সমস্যা বোঝাতে পেরেছিলেন!
কিন্তু আমরা যে ফ্যাশানেবল সংকর প্রজাতির বাংলা বা ইংলিশ ব্যবহারে অভ্যস্ত হচ্ছি এতে করে আসলে কোন কুলই রক্ষা হবে না।



অনেক ধন্যবাদ ফিরে দেখার জন্য!

আপনার মন্তব্য পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোজন হয়ে রইলো.........

৭৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

প্রিয়ভাষিণী বলেছেন: ফর শোয়িং মাই স্মার্টনেস আই শুড স্পিক ইন ইংলিশ ;)

আই শুড শেয়ার মেটাল সং অফকোর্স নট ব্যাঙ্গলী সং /:)

ইফ আই শেয়ার এ্যানি ব্যাংগলী ম্যুভি উইথ আদার্স দে উইল কল মি ক্ষ্যাত ..ওহ নো আই উইল নট বদার দ্যাট :-0

ওহ ম্যাম, প্লিজ ডোন্ট ডিসকারেজ মি টু শো মাই স্মার্টনেস :|

এ্যানিওয়ে...রিয়েলি গুড পোস্ট। :)

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: হা হা হা ......একদম মোক্ষম বলেছেন প্রিয়ভাষিনী....জবাব নেই!







শুভ রাত :)

৭৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++++++++

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০১

রেজোওয়ানা বলেছেন: যোগের মেলা :)

৭৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: বাংলিশ!!!! জয় বাবা বাংলিশ ....


০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০১

রেজোওয়ানা বলেছেন: দূর্মুখ তুহিন লা!!

৭৬| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: মুখবইতে আপনাকে অনুসরন করছি গত কয়েদিন ধরে। অনুসরন করার আগে আপনার অবস্থাতে মন্তব্যের ব্যাবস্থা ছিল। অনুসরন করার পর দেখি খালি পছন্দ আর ভাগ করা যাচ্ছে কিন্তু মন্তব্য করতে পারছি না।
কবি চন্দ্রাবতীর ঘটনাটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমার দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জ টাউনেই। আমার বাসার এত কাছে এত ফাটাফাটি জায়গা আছে জানতাম না।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনি আমাকে একটা মেসেজ দিয়েন তো ফেবুতে......

৭৭| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

পুচকে ফড়িং বলেছেন:
"গোলাপী পোস্ট রেডি" বলে গায়েব হয়ে গেলেন কেন??

ফেসবুকে তো প্রায় নিয়মিত কিছু না কিছু লিখছেন, ব্লগ বেচারা কি দোষ করলো??

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: ব্লগে অনেকটা সময় হাতে নিয়ে আসতে হয়! আর ফেবুতে তো তেমন কিছু না হুটহাট আসলে গেলেই হয়...সেই জন্যই এই অবস্থা!

আপনাকে একটা লিংক দিয়েছে, এটা এখনও ডেভেলপিং পর্যায়ে আছে। কোন মতামত থাকলে জানাবেন আশাকরি :)

৭৮| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন:
যেখানে ভিনভাষীর কেউ নেই সেখানে ইংরেজীতে কথা বলার যৌক্তিকতা আমি আসলেই খুঁজে পাই না, এই জন্য মাঝে মাঝে নিজেকে কিছুটা ক্ষ্যাত বলে মনে হয়!
যাই হোক থাকবো আমি ক্ষ্যাত তবুও বাংলাই আমার কাছে সেরা।

- ভাল কথা। আমিও এমন।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: নিজের ভাবনার সংগী পাওয়া আনন্দের.....


অনেক ধণ্যবাদ সাহাদাত ভাইয়া পোস্টে আসবার জন্য!

৭৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

গোঁফওয়ালা বলেছেন: আফটার অল ইটস এ গুরুত্বপূর্ন ম্যাটার। খুব ভালো লেগেছে। শুভ কামনা রইলো।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: মেনি মেনি থ্যাংকস ফর য়্যুর মন্তব্য :D


অট: আপনার নিক এবং প্রোপিক জাঁদরেল হয়েছে। এক সময়ে নাকি বাংলাদেশে বড় বড় গোঁফের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য গোঁফওয়ালাদের আলাদা খোরপোশ দেয়া হতো, এখনও হয় কিনা খোঁজ নিয়ে দেইখেন :D

৮০| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১১

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: কিছু কিছু বাংলিশ দরকার আছে। কিন্তু যথাসম্ভব শুদ্ধ ভাষা চর্চা করা সবারই উচিৎ।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১০

রেজোওয়ানা বলেছেন: যে সব শব্দের উৎপত্তিই ইংরেজিতে সেগুলো আসলেই ইংরেজীতেই ব্যবহার করা উচিত, নইলে অনেকেই বুঝে না আসলে!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভাইয়া.....

শুভ রাত।

৮১| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর সাথে একদম একমত। চীন/জাপান তো ইংরেজী না জেনেই এত উন্নতি করে ফেলল এটা ভেবে ইংরেজী কে উপেক্ষা যেমন করা যাবে না, ঠিক তেমনি শো অফ এর জন্য ইংরেজী বলাটাও আমাদের বন্ধ করতে হবে।

ইংরেজী অনীহা যেমন আমাদের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনবেনা, ঠিক তেমনভিাবে একে বাংলার চেয়ে উচ্চাসন দেয়াটা আবার আমাদের মানসিক দৈনতা প্রকাশ করবে।

ইন্ডিয়ান রা যেহেতু ইংরেজী শিক্ষায় অনেক অগ্রসর, ওদের মধ্যে আর ইংরেজী জানাটা কোন শো অফের বিষয় নয়, কিন্তু শুধু এই একটা গুণ ওদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছে বিশ্বের যেকোন কোণে চাকুরী খুঁজে পেতে..
আর এটা সম্ভব হয়েছে সর্বস্তরে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনার ব্যবস্থা চালু করার কারণে। ইংলিশ মিডিয়ামে শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পড়বে এই ধারণা থেকে ওরা অনেক আগেই বেরিয়ে এসেছে, এখন মধ্যব্ত্তি/নিম্নবিত্ত সকল পরিবারের সন্তানই ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করতে পারে।

আর পরিশেষে আরও একটা জিনিষ না বললেই নয় - যে কোন ভাষা হোক না কেন তাতে গুছিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করাটা খুব জরূরী। বেশীরভাগ বাংলাদেশীদের মত আমারও এ ব্যপারে ভাল দূর্বলতা আছে।

এটার জন্য অনেকাংশেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দায়ী। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের থট প্রসেস ডেভেলপ করার কোন ব্যবস্থায় নেওয়া হয় না।

আশা তো করতে দোষ নেই - হয়ত অতি শীঘ্রই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কোন যোগ্য লোকের স্পর্ষে হয়ে উঠবে অনেক বেশী প্র্যাকটিকাল, আমরা বাংলাদেশীরা গুছিয়ে কথা বলতে/মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখব, মধ্যবিত্ত/নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশোনার সুযোগ থাকবে, বৈশ্বিক চাকুরীর বাজারে শুধু ইংরেজী ভাল না জানার কারণে কোন বাংলাদেশী আর পিছিয়ে থাকবে না, আর সবশেষে আমার শিক্ষা ব্যবস্থা আমাকে তৈরী করবে এমন একজন মানুষে যে ভালবাসবে বাংলা ভাষাকে - হৃদয় থেকে।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার মতামতের সাথে একমত আমিও, শিক্ষা ব্যবস্থার এখনও পর্যন্ত কোন ফলপ্রসু সংস্কার হয়নি আমাদের দেশে। যে কারণে কোন বিষয়ই পরিপূর্ণ ভাবে কেউ শিখতে পারছে না, বাংলা মাধ্যম ইংরেজী মাধ্যম এবং মাদ্রাসা শিক্ষায় এত এত তারতম্য থেকে যাচ্ছে।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!


ভাল থাকবেন

শুভ রাত......

৮২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৮

আরজু পনি বলেছেন:

অনেকদিন তো হয়ে গেল ! নতুন পোস্ট আসতে আর কত দেরী ?

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আর পোস্ট :(

৮৩| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫০

বাঘ মামা বলেছেন: মানুষ প্রয়োজনে অন্য ভাষা আয়ত্ব করবে সেটা দোষের কিছুনা,কিন্তু যখন দেখি অন্য ভাষা না জানার লজ্জা বাঙ্গালীকে কুড়ে কুড়ে খায় তখন অবাক হতে হয়।কিন্তু এমন অনেক দেশ আছে সে দেশের মানুষ ইংরেজি বলতে না পারা নিয়ে বিন্দু মাত্র সংকোচ নেই।ওরা ওদের ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দেখাতেই অন্য ভাষার প্রতি ওদের অনাগ্রহতা দেখি।

আমি গতবছর চিনের গুয়াংজুতে একটা তারকা মানের হোটেলে উঠি , এক সকালে আপেল কাটার ছুরি রুমে না পেয়ে রুম বয়কে বললাম আমার জন্য নাইফ নিয়ে আসুন। সে মুখের দিকে চেয়ে থাকায় বুঝলাম সে বিষয়টা বুঝেনি। অতপর আমি আমার এক হাতের উপর অন্য হাত বসিয়ে ছুরি চালানো দেখাচ্ছিলাম, একটু পর সে বড় একটা ঢালাতে লাল কাপড়ে ঢেকে সেই রাজা বাদশাহদের মত একটা মোটামুটি বড় সর তরবারি নিয়ে হাজির।পরে যখন হোটেল কর্তৃপক্ষকে বুঝাতে গেলাম যে একটা তারকা মানে হোটেলে ভাষাগত বিষয়ে বিদেশিদের কথা ভাবা উচিৎ,তার হাব ভাব দেখে মনে হলো সে এই বিষয় নিয়ে একটু চিন্তিত না।

সে যাই হোক আরেকবা দুবাই দেইরাতে এক রেষ্টুরেন্টে খেতে বসে পাশে এক পাকিস্তানির সাথে পরিচয় হতে গেলে সে বাংলা ইংরেজি জানেনা সেটা সাফ জানিয়ে দিয়ে উল্টো আমাকে উর্দু ভাষায় প্রশ্ন করলো আমি কেন উর্দু হিন্দি জানিনা,তার জিজ্ঞাসার ভঙ্গিমায় মনে হলো এটা অপরাধ হয়েছে বাংলী হয়ে উর্দু না জানাটা।
ব্লগের এক বড় ভাইকে বলতে শুনেছি যে =আসলে আমরা ভাষার জন্য কিছুই করিনি, বরং পাকিস্তানিদেরি ভাষা দিবস পালন করা উচিৎ,আমরা শুধু অসহায়ের মত গুলি খেয়ে মরেছি,কিন্তু পাকিস্তানিরা ভাষাকে এত বেশি ভালোবাসেন যে তার মরেনি বরং ভাষার জন্য মানুষ মেরে ফেলেছে।ভাষার জন্য তারা এতটাই হিংস্র হয়েছিলো।

অনেক কথাই বল্লাম পরিশেষে একটা কথাই বলি-নিজের ভাষা কে একক ভাবে চালিত করি,অন্য ভাষার মধ্যে আমাদের শব্দ গুলো অথবা আমাদের ভাষার মধ্যে অন্য ভাষা মিশ্রণে ভাষাকে অসন্মান ও দুর্বল না করি।

আপনার এমন মুল্যবান পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যাবাদ জানাই

শুভ কামনা সব সময়

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা অনেকবার পড়লাম!

এত চমৎকার একটা মন্তব্যের প্রতি উত্তরে আসলে কি লেখা যায় তা ভেবে পাচ্ছি না, শুধু বলি প্রতিটা লাইনের সাথে একমত।

আমার লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং তার প্রেক্ষিতে এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখছেন, এটা অনেক বড় প্রাপ্তি!


খুব ভাল থাকুন.....

শুভ রাত!

৮৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: অনেক আগে, প্রথম আলোতে বাবু ইংলিশ নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম। আজ এই বিষয়ে আপনার এই লেখাটি পড়ে যারপরনাই পুলকিত হলাম। জটিল লাগলো। চালিয়ে যান।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪২

রেজোওয়ানা বলেছেন: প্রথম আলোর লেখাটা পড়া হয়নি!

পোষ্ট আনন্দ দিতে পেরেছে জেনে ভাল লাগছে।

অনেক ধন্যবাদ :)

৮৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৭

কয়েস সামী বলেছেন: পোস্টে++++++

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ কয়েস ভাইয়া!

শুভ সন্ধ্যা :)

৮৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭

জাতির নানি বলেছেন: চানাচুর বলেছেন: সিস... আমি your পোস্টটা অনেক আগে like করেছি!! Youকে কে বলেছে you ইংলিশ কইতারো না!! you তো very nice করে সিসি কল করলেন


ডিয়ার নাতীন, আই অলসো পারি ইংলীশ। আমি ক্যান টক ইঙরেজি, সো মাই সামনে ফটর ফটর নো।

নাতীন হাউ র তুমি? গুড না ব্যাড? আই প্রে য়ু্ গুড

:D

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১

রেজোওয়ানা বলেছেন: নানী কার এত বড় সাহস যে আপনার সামনে ফটর ফটর করে ইংরেজি টক করে! আর চানাচার তো বেবি গার্ল বুঝতে পারে নাই, ওকে ফরগিভ করে দেন প্লিজ ডিয়ার গ্রান্ডমা!!

লিটল ঠান্ডা কাশিতে সাফার করতেছি, আর সব আলহামদুলিল্লাহ ভাল!

আপনিও ভাল থাকবেন,

শুভ সন্ধ্যা :)

৮৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ঠিক আছে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: :)

৮৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: অনেক দিন পর এলাম আপনার লেখা পড়তে। ওমা এযে কী সাংঘাতিক লেখা লিখে রেখেছেন, আর আমি পড়লাম এত দিন পর! সত্যি খুব ভালো লাগলো।

নিশ্চয়ই ভালো আছেন আপু।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই জন্য আপনার ৫ টাকা জরিমানা হইসে 8-|

৮৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:২১

ফারিয়া বলেছেন: কিছু বিষয় ছোটবেলায় মস্তিস্কে দিয়ে দেয়া হয়, যেমন ইংরেজি মিডিয়ামে পড়ানোর জন্য বেশি করে ইংরেজি অনুবাদ শেখানো! তারপর আরো রয়েছে, ইংরেজি শব্দের নিত্য ব্যবহার, যেমন, চেয়ার। বাংলা করলে কেদারা হবে, কিন্তু কয়জন বাঙ্গালি এই শব্দের সাথে পরিচিত বা একে কথার ব্যবহার করতে আগ্রহী? তারপর, লাইক, অনেক প্রচলিত শব্দ এটি বর্তমানে! আরো আছে, অনেক অনকে শব্দ যার বাংলায় কোন শব্দ নেই, হয়ত তআই আমরা কিছুটা ঝুকে পরি ইংরেজিতে। তারপর, কাজ খুজবেন? ইংরেজিতে বায়োডাটা লিখতে হবে। বায়োডাটার বাংলা শব্দ কি আমার নিজেরই জানা নেই। খুব অবাক হই, এত ভাষার মিশ্রন করি, টেরও পাইনা!
আমি নিজেও এখন শুদ্ধ বাংলা বলতে পারিনা, ইংরেজি মিলিয়ে বলে ফেলি, কিন্তু দোষটা আসলেই কি আমার? নাকি আমাদের শিক্ষা-সমাজ ব্যবস্থার? জেখানে বাচ্চাদের এ ফর এপল বাংলায় ঠিকমত কথা বলার আগেই শেখানো হয়, সেখানে কি এর চেয়েও ভালো পরিবেশ হতে পারে?

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২০

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভাষার মিশ্রন হবার খুব যৌক্তিক কিছু কারণ আছে, দীর্ঘ দিন আমারা ইংরেজ শাসনের অধীনে ছিলাম, তো সেই থেকেই অনেকটা বাধ্য হয়েই ইংরেজি প্রাধান্যের বিষয়টা আমাদের শিক্ষানীতিতে ঢুকে গেছে। অনেক দেশ এ থেকে বেরিয়ে আসলেও আমারা কেন জানি বেরুতে পারিনি।

অনেক ধন্যবাদ ফারিয়া, ভাল থেকো.......

৯০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: নতুন করে কিচ্ছু বলার নাই। বরাবরের মতই আজও নতুন কিছু জানলাম। :) থ্যাংকস আপু। :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২১

রেজোওয়ানা বলেছেন: তুমি একদমই অনিয়মিত হয়ে গেলে সোনিয়া।

ব্লগে নিয়মিত হও :(

৯১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

অদৃশ্য বলেছেন:





সিস্‌

এই লিখাটি সাম ডেজ আগেইতো রিড করেছিলাম... বাট কমেন্ট করিনাই দেখে খুবই অবাক হলাম... হোয়াট এ টপিক আর হোয়াট এ লিখা আপনার !

______

সকাল বেলাতেই একটু গালি খেতে ইচ্ছা করছিলো তাই ওভাবেই লিখলাম...

লিখাটি আগেই পড়েছিলাম... সম্ভবত পরে করবো ভেবে রেখে ভুলে গেছিলাম, পছন্দটা আগেই দিয়ে গেছিলাম ( কথাটা কি ঠিকমতো হলো )...

দারুন লিখা...

এটাও ঠিক যে এই বাংলার অধিকাংশ মানুষ বাংলাই ঠিকঠাক জানেনা ! ব্যপারটা বিষ্ময়ের হলেও মনে হয় স্বাভাবিক... আমিও মাঝে মাঝে ভাবি বাংলা এতো কঠিন কেন...

নিজ ভাষাকেই প্রাধান্য দেওয়াটাই ঠিক কথা... পরে অন্যের টা... যেহেতু আমরা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হই তাই, বাংলিশ, হিংলাগুলো খুব তাড়াতাড়িই আমাদের মাঝে এসে পড়ে... আমার মনে হয় এর সমাধান হওয়া খুব কঠিন, এটার হার বাড়ছেই...

ভালো থাকুন সর্বদা
শুভকামনা...


১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২২

রেজোওয়ানা বলেছেন: হা হা হা


অদৃশ্য ভাই, আপনার মন্তব্যের প্রথমাংশ পড়ে খুব মজা পেলাম।


শেষ অংশ একদম আমার মনের কথা :)

৯২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

রোমেন রুমি বলেছেন: পুরো লেখাটা এবং মন্তব্যগুলো বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করলাম । আমার নিজের একটা গুরুত্বপূর্ণ দোষ আবিষ্কার করলাম; অবশ্য এটা যে একটা অপরাধ তা আমি আগে থেকেই জানতাম। আমারও বাংলার সাথে ইংরেজি শব্দ মিশিয়ে কথা বলার একটা বদ অভ্যাস আছে । ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রী পড়ানোর কারনে এই ঝামেলাটা বাঁধিয়েছি বেশ বুঝতে পারছি।

আমদের অতি আধুনিক অভিবাবকগন বলেন-

"স্যার আপনার স্টুডেন্টতো বেঙ্গলিতে খুব উইক , ওকে বেঙ্গলি টার্মগুলো একটু ইংলিশে ট্রান্সলেট করে না দিলে ও ক্যাচ করতে পারে না "

মনে মনে বলি শালা তোদের জন্ম কি সত্যি এই মাটিতে !!
( বাজে শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখিত )

এই ক্যাচ করানোর ক্যাঁচক্যাঁচানিতে আমি যে একটা দীর্ঘ সময়ে কট আউট হয়ে গেছি এখনও সেই ঘানি টানছি ।

গত মাসে রাগ করে চাকরীটাও ছেড়েছি ।
কিন্তু ঝামেলাটা থেকে মুক্ত হই নি ।

ভাল থাকবেন ।
শুভ দুপুর ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনাকে একটা ঘটনা বলি শোনেন, সেদিন আমার বাচ্চার স্কুলের এক অভিভাবক বললেন তার বাচ্চাকে অন্য স্কুলে দিয়ে দেবেন। আমি বল্লাম কেন, এখানে তো ভাল পড়ায়। তখন উনি বললেন যে, সেই স্কুলের প্রিন্সিপাল ইংরেজীতে কথা বলে......তাই!!!!


ইংরেজী শিক্ষা নিয়ে আমার কোন আপত্ত নাই, আপত্তি হলো মিশেল দেয়ায়! হয় পুরো ইংরেজি বলো- নয় পুরো বাংলা বলো, এই করে করে তারা ইংরেজীর শিক্ষারো বারোটা বাজাচ্ছে আবার বাংলাটাকেও এক রকমের অপভ্রংশ করে ফেলছে।


অনেক শুভকামনা আপনার জন্য রুমি :)

৯৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে ব্যাপরটা যথেষ্ট ঝামেলাপূর্ণ বলতে হবে..শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে জানা লোক খুব কম আছে..দাপ্তরিক শব্দগুলোতে আরো জটিল অবস্থা। রেজোয়ানা আপু নতুন পোস্ট চাই।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: শুদ্ধ বাংলা বিষয়টা আসলেই কঠিন আমি এত কিছু চাই না.....শুধু চাই বাঙালী বাঙালী কথায় পূর্ণ বাংলার ব্যবহার হোক, ভাষার বিন্যাসটা নির্ভেজাল থাকুক।


নতুন পোস্ট কি লিখমু খুজে পাই না :(

৯৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৮

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: আপু পোস্টটি পড়িও Click This Link

১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক আছে বীথি :)

৯৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩০

সংবাদ সংযোগ বলেছেন: ভালোইতো

ভালো লাগলো

বলা যায় অসাধারণ

উপহার সরূপ কিছু সংবাদের লিংক দিলাম
সময় পেলে পড়বেন আশা করি....

মিউজিক ভিডিওর নামে রমমরা দেহ ব্যবসা! [ভিডিওসহ] http://lnkd.in/bPnAAKw

ত্রিপুরায় ৩ বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যা http://lnkd.in/bY3GaYg

তরুণীকে গণধর্ষণের ছবি মোবাইলে http://lnkd.in/bHjt5sU

মোটা কণের জন্য বাড়তি যৌতুক! http://lnkd.in/bTrMTDw

মিথি-আরিফের বাসা ছিল বন্ধুদের ডেটিং স্পট http://lnkd.in/bcSm--G

পহেলা বৈশাখে ইত্যাদি'র নতুন চমক! http://lnkd.in/b4q5xCA

'বিজেপি ক্ষমতায় এলে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে' http://lnkd.in/bpQpFG2

মহিলার ৬ অন্তর্বাস থেকে ২.১৪ কেজি সোনা আটক http://lnkd.in/bx-a5pq

সর্বত্র বাংলা চালুর নির্দেশনা : ছয় সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ http://lnkd.in/bPZBnXu

মা হবেন সানি লিওন! http://lnkd.in/bqQbCkm

অভিনব কৌশলে ঢাকায় চলছে রমরমা যৌন ব্যবসা (ভিডিওসহ)!- See more at: http://lnkd.in/b3eCPbb

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার আনতে পারে বন্ধ্যাত্ব! http://lnkd.in/bMPFXQj

স্বার্থের রাজনীতিতে দেশের সর্বনাশ http://lnkd.in/bGRZ2pG

নায়ক রাজ রাজ্জাকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি http://lnkd.in/buRr6RU

বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়িতে ১৩ দিন! http://lnkd.in/bwaa2PJ

ভারপ্রাপ্ত সিইসিকে হত্যার হুমকি http://lnkd.in/bgfyhrN

বিডিবিএল এ ৩ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের প্রস্তুতি http://lnkd.in/bM2D3NS

স্বার্থের রাজনীতিতে দেশের সর্বনাশ http://lnkd.in/bGRZ2pG

১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১০

রেজোওয়ানা বলেছেন: কিসের উদাহরণ স্বরুপ লিংক বিতরণ করলেন বুঝতে পারলাম না!!

সময় পেলে আপানর নিউজ সাইট দেখবো,

ধন্যবাদ

৯৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০০

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
আমিও এক সময় কথা বলতে গিয়ে দুই একটা ইংরেজি ওয়ার্ড ইচ্ছা করে যোগ করতাম । কিন্তু বলতে গিয়ে বুঝলাম আমাকে দিয়ে এই ধরনের মেকিপনা সম্ভব নাহ ! একটা ঘটনা মনে পড়ল , এক জনের জন্য গোলাপ নিয়ে গেছি সে গোলাপরে বার বার 'রোজ' বলতেছিল ঐ টাইমে আমার নিজেরে খ্যাত মনে হচ্ছিল :!> এখনও আমি গোলাপরে গোলাপই বলি , রোজ বলতে গেলে নিজের কাছেই কেমন যেন অদ্ভুত লাগে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.