নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.heritagebangladesh.co/

পাখি উড়ে গেছে!

রেজোওয়ানা

সেদিন আমি থমকে পথের মোড়ে হঠাৎ দেখি বদলে গেলো সব চেনা পথে জারুল ফুলের রঙ্গে খুব ছিলো তার চেনা অনুভব! বদলে গেলো জেব্রা ক্রসিং, নিয়ন আলোর শহর অদল বদল খুব কার হাতে কার পরশ লেগে ছিলো সেসব কথা, বৃষ্টিতে নিখুত!

রেজোওয়ানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ব্লগে নারীদের অংশগ্রহণ: একটি সুস্থ্য আলোচনা কি আশা করতে পারি?

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

আমরা নিজেদের যতই আধুনিক এবং উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন লোক বলি না কেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই আদিম স্বভাব এখনও ছাড়তে পারি নাই। ব্লগ এবং ফেইসবুক মানে অনলাইনে এখনও আমরা মেয়েদের লেখালেখির জায়গাটাকে গল্প, কবিতা, ছবি, ভ্রমন, রান্নাবান্না এই ধরনের নারী সুলভ নমনীয় এবং কমনীয় (!!) ঘরনায় দেখতে পছন্দ করি।

ফলে একটা মেয়ে যখন কোন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সমাজ সচেতনাতায় ভিন্নমত পোষন করে তাকে নানা ভাবে হেনেস্তা করতে একটু বেশিই আগ্রহী হয়ে ওঠে কেউ কেউ। তাকে শায়েস্তা করাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করে ঝাপিয়ে পরে একদল লোক (সবাই না)।

এছাড়াও অনেকদিনের অনলাইন জগতে বিচরনে আরও একটা জিনিস খেয়াল করেছি, যখন কোন মেয়ে তার নিজের যোগ্যতায়, লেখনীর জোড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার পিছনেও ফেউ লেগে যায় অবধারিত ভাবে (যে সমস্যাটা ছেলেদের কমই মোকাবেলা করতে হয়)।

বাস্তবে এই সব লোককে হয়তো ঢিড করা যায়, কিন্তু আমাদের সাইবার'ল এখনও তেমন পোক্ত না, যে কারণে অনলাইনের এই সব টিজাররা বেশ নিরাপদে বসেই অপকর্ম গুলো করতে পারে। এর ফলে দেখা যায় এক সময়ে অনেকেই অনলাইন, বিশেষ করে ব্লগ লেখাই ছেড়ে দেন। বিশেষ করে বাংলা ব্লগ গুলোতে বিগত দুই বছরে মেয়েদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে বলেই আমার ধারনা।



সম্প্রতি আমার একটা সুযোগ হয়েছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন এমন একটি সংস্থায় সাথে এই বিষয়টা নিয়ে মত বিনিময়ের, ইচ্ছে আছে কোন সমস্যায় না পড়লে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার।

ব্লগার আপুদের এই বিষয়ক অভিজ্ঞতা এবং মতামত জানতে চাই (সঠিক ভাবে আলোচনায় আসলে ভাইয়ারাও ওয়েলকাম)।







একটি সুস্থ্য আলোচনা কি আশা করতে পারি?

মন্তব্য ১৩০ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যখন কোন মেয়ে তার নিজের যোগ্যতায়, লেখনীর জোড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার পিছনেও ফেউ লেগে যায় অবধারিত ভাবে (যে সমস্যাটা ছেলেদের কমই মোকাবেলা করতে হয়)। সহমত। তবে মেয়েরা সহজে ভালঅবস্থানে যেতে পারেন। অনুশীলন ও ন্যায় নিষ্ঠার দ্বারা ।তবে একটা কথা কি প্রতিভা হলো আগুন। আর আগুণ কখনো চাপা থাকেন না। প্রথম কমেন্ট আমি ই কললাম।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্য।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

মদন বলেছেন: মতের অমিল না হলে চ বর্গীয় গালি সহ বাবা-মা গালি দেয়া অনেকের একটা ফ্যাশন। অনলাইনে বড় সুবিধা হলো আপনি তাকে সহজে ধরতে পারছেন না। তবে সেই সাথে আরেকটি সুবিধা হলো তার ভেতরে কালো দিকটি অনলাইনে সহজেই ধরা পড়ে। নারীদের ভুগতে হয় বেশি, কথা সত্য। কিছু হলেই চরিত্রের অপবাদ।

শুভ কামনা।

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, কিছু হলেই চরিত্রের অপবাদ এবং সেটা মাঝে মাঝে এতটাই অসহনীয় হয়ে ওঠে যে অনেকেই তখন অনলাইনে লেখালেখির প্রতিই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
গালি মাঝে মাঝে ফিজিক্যাল হ্যারাসমেন্টের চাইতেও অনেক বেশি মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়।
আর এই বিষয় গুলো নিয়ে অভিযোগ জানানোরও কোন জায়গা নেই।

খুব খুশি হলাম আপনার অংশগ্রহণ।

আমার শুভেচ্ছা জানবেন.....

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এমনটা যে শুধুমাত্র নারীদের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে ঠিক নয় অনেক ক্ষেত্রে ছেলেদেরকেও এমন রোষানলে পরতে দেখা যায়। তবে ভিন্নমত হলেই যে তাকে হেনস্থা করতে হবে সেটা ছেলে হোক অথবা মেয়ে কোন ভাবেই কাম্য নয়।

আর প্রতিভা কখনও চাপা থাকেনা। যদি সত্যি কারও ভেতর প্রতিভা থাকে তাহলে শত বাধা পেড়িয়ে একদিন সেই প্রতিভার বিকাশ হবেই। শুধু প্রয়োজন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বাধা জয় করে সামনে এগিয়ে যাওয়া । আমাদের সমাজের এটা একটা দিক যে কেউ একটু ভালো করতে শুরু করলে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। শুরু হয় পেছন থেকে পা ধরে টান দেয়া।

এমন যারা করেন তাদের সামাজিক ভাবে চলুন বয়কট করি।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই।
প্রতিভা অবশ্যই কখনো চাপা থাকবে না।
তবে আমি আসলে কি ধরনের সমস্য মেয়েরা ফেস করছে অনলাইনে সেই সব বিষয়ে আলোকপাত করতে চাইছিলাম, এক্সপেরিয়েন্স গুলো জানতে চাইছিলাম!
অবশ্য আমার নিজের এক্সপেরিয়েন্সও খারাপ না এ বিষয়ে......হা হা হা


আপনার শেষ কথাটা ভাল লেগেছে।

অনেক ধন্যবাদ আবারও......

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাইয়ারাও ওয়েলকাম , যাক অপশন খোলা রাখছেন :)

নারীকে নারী নয় , মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে , সেভাবেই সম্মান দিতে
হবে , যতটুকু আমি নিজে আশা করি অন্যের কাছ হতে ।
সমাধান সেদিনই আশা করতে পারি ।
ভাল থাকবেন ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: সবাই যদি এমন ভাবতো মাহমুদ ভাই তাহলে আজকে আর এই বিষয়ে 'সম্মেলন' করারই প্রয়োজনীয়তা থাকতো না।


অনেক ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ নেবার জন্য :)

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৬

ফারিয়া বলেছেন: একটা দিক থেকে প্রচন্ড সহমত, একটা মেয়ে যখন কোন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সমাজ সচেতনাতায় ভিন্নমত পোষন করে তাকে নানা ভাবে হেনেস্তা করতে একটু বেশিই আগ্রহী হয়ে ওঠে কেউ কেউ। তাকে শায়েস্তা করাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করে ঝাপিয়ে পরে একদল লোক (সবাই না)।

আমি ব্লগে প্রায় দুবছর লেখেছি, নিজস্ব এড়িয়ে চলার স্বভাব থাকা সত্তেও বেশ কয়েকবার কিছু হীনমনন্যদের মন্তব্য পেয়েছি। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করি কারো সাথে আমার মনমালিন্য না হয়, ইভেন আমার পোষ্টে কেউ আমার মতবিরোধ করলেও আমি সেটাকে নেগেটিভলি নেইনা। আমার ঝগড়া করার স্বভাব নেই, কারো সাথে বিবাদেও ইচ্ছা নেই, তাই আমার সাথে কেউ ঝামেলা করতে পারেনি এখনো! কিন্তু আমার মত ইগনোর করে চলার মনোভাব খুব বেশি মানুষের কি আছে? কিছু কিছু সময় এতটা নির্লিপ্ততা বজায় থাকে না।
ব্লগে একটা বিষয় আমার খুবি খারাপ লাগে, সেটা হল ফেভারেটিসম।
ধরুন আপনার কোনো ফেভারেট ব্লগারকে নিয়ে কেউ বলল কিছু, তখন আপনি কি না জেনেই কিছু ধারনা করবেন? কেনো? অনেকে ঝাপিয়ে পড়ে, আর সেই এক ব্লগারকে এখানে আসতেই দিবেনা, কিছু বলার সুযোগ ও দেয়না এমন আচরন করে। হোক সে ভুল, কিন্তু সবার বলার অধিকার আছে, এটা কারো একার ব্লগ নয়। খুবি বিরক্তিকর ও বাচ্চাদের মত কাজকর্ম। বিশেষত প্রবীন ব্লগাররা এমন করলে সেটা নবীনদের জন্য খারাপ এক্সাম্পল হয়।

একটাই আশা করব, আমাদের ব্লগ থেকে আর কিছু না হোক, প্রতিবাদ করার মানসিকতা জন্মাক, সহ্য করার ক্ষমতা হোক, আর মিলেমিশে পরিবারের মত চলার সুযোগ হোক। নারী পুরুষ নয়, মানুষ ভাবতে শিখি আমরা!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: ফারিয়া তোমার চমৎকার অংশগ্রহনের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্যের শেষ অংশটুকু নোট করে নিলাম....

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২১

আরজু পনি বলেছেন:

দারুণ একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন ।
শুধুমাত্র বিষয়টি দেখেই লগ আউট হয়ে গেলেও আবার লগইন করতে বাধ্য হলাম ।

(নারী ব্লগারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক ) অন্তর্জালে মেয়েদেরকে দেখা হয় চেহারা দিয়ে আর লুতুপুতু আচরণের প্রকাশ দিয়ে । অনেক সময় সস্তা পরিচয় বাড়ানোর আশায় অনেক নারীরা এই হীন পথটাকে বেছেও নেন।


আমার অনেক কথা বলার আছে । এক কমেন্টে পোষাবে না । অবশ্য আমার কথা যদি আর কেউ বলে না দেয় আবার কমেন্ট করার আগেই ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: পনি আপা, আপনি বস :)

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৫

ফারিয়া বলেছেন: কিছু আরো বিষয় মনে পড়ল। একজনা নারী ব্লগারকে প্রতিবাদ করতে দেখলে পুরুষদের পুরুষত্বে আঘাত লাগে। এটা অনেকবার ব্লগে পরিলক্ষিত হয়েছে। আমাদের এই মানসিকতাও পরিবর্তনের প্রয়োজন! ফেভারেটিসম, সেক্সিজম, ডিসক্রিমিনেশন এসব অনেক বড় সামাজিক ব্যাধি! এসব দুর করতে হবে, আমাদের মন হতে!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক বলেছো।
মেয়েরা প্রতিবাদ করবে এই দৃশ্য দেখতে আমার বাস্তবে যেমন অভ্যস্ত নই, সেই সম্ভাবটা অনলাইনেও ছাড়তে পারি না।

আসলে সামষ্টিক মানসিকতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হলে এটার সমাধানও সম্ভন না।


তোমার গুরুত্বপূর্ণ দুটো মন্তব্যের জণ্য অনেক ধন্যবাদ জানবে।





অট: আমাকে কোল্ড কাপাচিনোর রেসিপি তো দিলা না!!

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৮

শায়মা বলেছেন: বাংলা ব্লগে টিকে থাকতে চাইলে নারীদেরকে গা বাঁচিয়ে চলা প্রাকটিস করতে হবে। :(


যেমন একটা গালি দিলে বা খেলে আমার ধারণা ছেলেরা যতটুকু সহ্য করতে পারবে তার একশোভাগের এক ভাগও মেয়েরা পারবেনা। এটা মেয়েদের সহজাত সমস্যা।:(


জনপ্রিয় হলে তার পিছে লেগে যা যা করা হবে সেসব সহ্য করার ক্ষমতাও অবশ্যই ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক অনেক কম।


যতই বলো রেজুমনি তোমার মতে,
" একটা মেয়ে যখন কোন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সমাজ সচেতনাতায় ভিন্নমত পোষন করে তাকে নানা ভাবে হেনেস্তা করতে একটু বেশিই আগ্রহী হয়ে ওঠে কেউ কেউ। তাকে শায়েস্তা করাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করে ঝাপিয়ে পরে একদল লোক (সবাই না)। "

কিন্তু আমি দেখেছি তার চাইতে অনেক বেশী পুরুষ ব্লগারদেরকেই শায়েস্তা করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুরুষেরাই। তবুও তারা যে না পাত্তাটুকু নিয়ে এগিয়ে যায় তা যে কোনো মেয়ে হলে করবে না। মেয়েদের স্বভাবজাত অভিমান বা অক্ষমতায় তারা নীরব প্রস্থান করবে। মেয়েদের সেন্টিমেন্ট বা ইমোশনই এইখানে সবচাইতে বেশী সমস্যার কারণ।

এই ইমোশন বা সেন্টিমেন্টকে ছেলেদের মত না পাত্তা বলে উড়িয়ে দিলেই সমস্যা অনেক কমে যাবে।


এর চাইতে বলা যেতে পারে নারী পুরুষের সমতা ভিত্তিক সন্মান বজায় রেখে ব্লগে অবস্থান বা আমাদেরকেই প্রতিজ্ঞা করতে হবে নারী পুরুষ ভেদাভেদে নয় আমরা ব্লগ লিখবো, পড়বো কথা বলবো ঝগড়া করবো তবে অবশ্যই একে অন্যের সন্মান বজায় রেখে।


নয়তো সারকথা গালাগালি, ফেউ এর মত পিছে লাগা এটার শিকার একমাত্র নারীরা নয় বরং পুরুষেরা আরও বেশী আক্রান্ত হয় বলেই আমি দেখেছি। আর আবেগের ক্ষেত্রে অবশ্যই নারী পুরুষে ভেদাভেদ আছে আর তাই এত সমস্যা।

কাজেই অপেক্ষা করতে হবে সেইদিনের যদিন মানুষ হিসেবে মানুষকে বা ব্লগার হিসাবে ব্লগারকে দেখা হবে আর নারীরাও ভাববে না তারা নারী শুধুই নারী তারা ব্যতিক্রম তাই বুঝি তার সাথে এমন হলো।


উফফ বাবা আমি এত লেকচার দিতে পারি জানতাম না !:(

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: অবশ্যই শায়মা ছেলেদের সকল বিষয়ে অংশগ্রহণও অনেক বেশি যেমন, হয়রানিও তাদেরকেই বেশি পোহাতে হয়!
তবে সম্মেলনটা যেহেতু শুধু মাত্র অনালইনে মেয়েদের এক্সপেরিয়েন্স, হ্যারাসমেন্টকে নিয়ে তাই শুধু মাত্র তাদের বিষয়টাই জানতে চেয়েছি।
তুমি হয়তো খেয়াল করেছো গত দু'বছর যাবত শুধু মাত্র সামহোয়্যার ইন ব্লগেই মেয়ে ব্লগারদের অংশ গ্রহণ কতটা কমে গেছে, কারণ গুলো খুজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ।


তোমার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আর টিচাররা একটু আধটু এমন লম্বা লেকচার দেয়ই (নিজের বাবা, মা এবং জামাইয়ের অবস্থা দেখে জানি)......এইটা দোষের কিছু না :-B


ভাল থেকো।

শুভ রাত

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৯

নৈঋত বলেছেন: পোস্টে ভালো লাগা। এবং আপনার সাথে সহমত

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নৈঋত :)

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩২

আরজু পনি বলেছেন:

তবে কেউ কেউ (অনেকেই !) স্বভাবগতভাবেই লুতুপুতু স্বভাবের হওয়ায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজের চোখে নারীরা নরম কোমল স্বভাবের আচরনে নিজেদেরকে প্রকাশ করবে এটা ধরেই নেয়া হয় ।

এর বাইরে বেরিয়ে এসে যখন কোন নারী নিজের মতামত প্রকাশ করে তখন সেই নারীকে এতোদিনের পরিচিত শুভাকাঙ্খীরাই ভালো চোখে দেখে না অনেক সময়ই ।

অনেকেই আবার চেষ্টা করে সেই নারীকে নিজের/নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবার। শুরু হয়ে যায় প্রতিযোগিতা !

অনেক সময় দেখেছি, আশে পাশের অভিজ্ঞতা থেকে কথা বললেও সেটাকে সেই নারীর জীবনের সাথে মিশিয়ে ফেলে কলুষিত করার অপচেষ্টাও চালানো হয় !

ফলে অনেক নারীই অনেক কিছু বলার ইচ্ছে থাকলেও নিজের কলুষিত হবার ভয়েও মুখ খোলে না !

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: এটাও একটা পয়েন্টে!


পনি আপু, জেন্ডার বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষন অনেক বেশি সূক্ষ, আপনার মন্তব্য তাই অনেকই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।


সময়দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

শুভেচ্ছা এবং শুভরাত :)

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪২

হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: আপনার লেখাটা খুবই ছোট কিন্তু খুবই গুরুত্ব পূর্ণ।

আমার পরিচিত দুই জন নারী আছে তারা দুই জনেই ব্লগে লিখে ও ব্লগের পোষ্ট পড়ে সারাক্ষণ, কিন্তু মজার ব্যাপার হলো তাদের দুই জনের নিজের নামে কোন নিক বা আইডি নেই।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় উল্লেখ করলেন......হ্যাঁ খুব কম সংখ্যক মেয়েই নিজের নামে ব্লগ লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, এটার মূল কারন সম্ভবত নিরাপত্তাবোধের অভাব।


ধন্যাবদ আপনাকে,

শুভেচ্ছা :)

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

এ বি এম হায়াত উল্লাহ বলেছেন: নারীরা আগের থেকে অনেক পরিনত ও সাহসী ব্লগিং করছে ।।
কাউকে হেয় করার যাদের মেন্টালিটি আছে, কি নারী, কি পুরুষ তারা কিছুই বাছে না !!
নারী নয় ব্লগারদের জন্য শুভকামনা !! :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: তাই কি?

গত দু'বছরে সিটিজেন জার্নালিজম (পলিটিক্যাল, ন্যাশনাল, র‌্যাশনাল এবং কালাচার ইস্যু) পোর্শনে মেয়ে ব্লগারদের অংশ গ্রহণ একদম শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে।

অনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্য, শুভেচ্ছা.......

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: অনলাইনে আসার (বিশেষ করে ব্লগিং শুরু করার) পর থেকে এরকম অসংখ্য ঘটনার স্বাক্ষী হচ্ছি।

এটা খুবি দুঃখজনক,

কিছুদিন আগে এক নারী ব্লগারের উদ্দেশ্যে অশ্লিল গালী উচ্চারিত হতে দেখেছি।

নারী ব্লগারদের অশ্লিল গালী অথবা নানা কুটুক্তির শিকার হতে দেখলে কষ্ট লাগে। বিব্রত হই।

যারা নারী ব্লগারদের গালী দেন অথবা গালী দেয়াকে উৎসাহিত করেন, তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন :-

আপনার বোনকে যদি কেউ এরকম গালী দেয়, অথবা আপনার বোনকে নিয়ে কেউ যদি এরকম অশ্লিল মন্তব্য করে তখন আপনার কেমন লাগবে ?

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: যেহেতু নালিশ করার কোন জায়গা নেই, কেউ আমাকে দেখছে না....সে কারণেই অনালাইনে অসভ্যতা গুলো একটু বেশি করে করার সাহস পায় কিছু মানুষ......






শুভ রাত

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০০

বৃতি বলেছেন: ব্লগে বা ফেইসবুকে খুব বেশি সক্রিয় না বলে হয়ত এ ব্যাপারে খুব বেশি জানি না, তবে ব্লগকে আমার অনেক স্বচ্ছ মাধ্যম বলে মনে হয়- নারীসুলভ বা পুরুষসুলভ একপেশে মানসিকতা এখানে তেমন নেই ।
মেয়েদের চলার পথ এখনও তুলনামূলকভাবে নাজুক - বাস্তবে বা ভার্চুয়ালী - এটা স্বীকার করতেই হবে ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার এক্সপেরিয়েন্স এখন পর্যন্ত তাহলে খুব ভাল।
পজিটিভ মন্তব্য দেখে ভাল লাগলো......


শুভেচ্ছা বৃতি।

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: আমি ৩ জন মেয়েকে উৎসাহ দিয়ে ব্লগে এনেছিলাম(যদিও ফাঁকিবাজ)।এতে একদিক দিয়ে ব্লগে মেয়ের রেশিও যেমন বেড়েছে অন্যদিকে আমি লেখালেখি বাদ দেয়ায় ছেলের রেশিও কমেছে। :-B :-B ....যাইহোক, ব্লগে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেই নারীরা আরেকটু কমফর্টেবল পজিশনে আসতে পারবে বলে আমার ধারণা।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: তাই কি পলক ভাইয়া?

গত দু বছরে কি ব্লগে এক্টিভ নারী ব্লগারদের সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়নি?

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৬

ম্যাভেরিক বলেছেন: ক্ষেত্রবিশেষে মানুষের বাজে কুৎসিত আলোচনাকে উপেক্ষা করতে হবে, কারণ সব জঞ্জাল প্রতিবাদের যোগ্য নয়। যদিও অধিকাংশ মানুষ আবেগের দরুন উপেক্ষার যথার্থ মূল্য বুঝতে পারেন না, তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা।

প্রতিবাদ ও উপেক্ষা দুটোই সুনির্বাচিতভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার মতামত এবং পরামর্শ সব সময়েই আমার কাছে গুরুতুল্য মনে হয়......


অনেক ধন্যবাদ আমার এই পোস্টে মতামত জানানোর জন্য স্যার!

ভাল থাকবেন,


শুভ রাত।

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৬

এবং ব্রুটাস বলেছেন: পুরুষরা যতোটা দোষী মেয়েরাও কি কম দোষী বলে আপনি মনে করেন?
অনেক মেয়েদের ঢং দেখে সত্যিই বিরক্ত লাগে এই ভেবে যে, মেয়েদের ব্লগিং মানেই কি ঢং করা না কি?

ব্লগে চাচা, মামা, খালা, আপুনি, ভাইয়ামনি সব এসে হাজির!
রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল ব্লগিং করলে তাকে কি ডাকা হতো? রবি আঙ্কেল, নজরুল ভাইয়ামনি?


আপনার মতো বোল্ড ব্লগিং করে এমন ব্লগার বাংলা ব্লগে হাতে গোনা কয়েকজনকে পাওয়া যাবে।
ভালো বিষয়ের অবতারণা করেছেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: এটা আপনার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি ব্রুটাস ভাইয়া।

সকল মানুষের মধ্যে সে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে নিজস্ব কিছু আচরন ভঙ্গি থাকে, এটা মানুষ মাত্রেই সহজাত প্রবৃত্তি........কেউ হয়তো একটু রুড, কেই হয়তো একটু নমনীয়, কেউ চুপচাপ....সুতরাং এটাকে আসলে ঢং' বলাটা কতটুকু যৌক্তিক সেই বিষয়টা একটু ভেবে দেখবেন।


আমি আসলে জানতে চাইছিলাম, কি ধরনের সমস্যা মেয়েরা ফেইস করছে ব্লগে, কিংবা ফেইসবুকে।

১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৩

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: ৭ম ভাললাগা আপু । অনেক ধন্যবাদ এমন একটি সুন্দর ও সময় উপযোগী পোস্ট লেখার জন্য। এই পোস্টটা এই মুহুর্তে খুব দরকারী ছিল।

সভ্য যুগে এসেও বাংলাদেশের নারী ব্লগারদের গল্প কবিতা রান্নাবান্না এসবে যারা সীমাবদ্ধ রাখতে চায় তাদের মানসিকতা কেমন বা তারা আসলে কি বা কারা সেটা নতুন করে বলার কোন দরকার
নায় ।

তবে এটাও সত্য যে যখনি কোন নারী ব্লগারকে ব্যাক্তি আক্রমন করা হয়েছে সেখানে কিছু পুরুষ ব্লগার যথা সাধ্য চেস্টা করেছেন নারীদের সেভ করতে।

আসলে আমাদের সমাজটাই এমন । ভাল এবং মন্দের মিশ্রন ।

সর্বশেষ Men are the ones who are given strength by God to protect women . So if you hurt a women, you are not a man !

নারীর দূর্বলতাকে পূঁজি করে যারাই নারীদেরকে হেনস্থা করেছিল করছে বা করবে তাদেরকে জন্য হিজড়া ছাড়া আমার ডিকসানারিতে আর কোন শব্ধ নায় ।

বাহ কি মগের মুল্লুক !! থু থু তোমাদের মানসিকতায় । একজন নারীকে তার নারীত্বের পরিচয় দিয়ে ব্লগিং করতে হবে !!!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩১

রেজোওয়ানা বলেছেন: একজন নারীকে তার নারীত্বের পরিচয় দিয়ে ব্লগিং করতে হবে, কিংবা একজন নারী রাত কয়টা পর্যন্ত ব্লগিং করবে, সে কি টপিকসের পোস্ট দেবে, কি ধরনের মন্তব্য করবে, মন্তব্যে কি ধরনের ইমো ব্যবহার করবে.....এই বিষয় গুলো নিয়েও অনেকেই অনেক হেনেস্তা করা হয়েছে এবং হচ্ছে।


ধন্যবাদ বিথী তোমার মন্তব্যের জন্য।

ভাল থেকো, শুভ রাত

১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপু আমিতো মেয়ে নই তাই আর কি এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করব তার চেয়ে আপনারা শেয়ার করেন আমি পড়ি আর বুঝে দেখি আসলে কি ঘটে থাকে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩২

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনি মেয়ে নন তো কি হয়েছে, দেখছেন না ব্লগে এতদিন ধরে :)

২০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৬

শায়মা বলেছেন: তা বটে ব্লগে অবশ্যই মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশী তাই তাদের হ্যারাসমেন্টও বেশি। তবে আমার বক্তব্য মেয়েদের কিছু সহজাত অভিমান বা সহনশীলতার মাপকাঠি থাকে যা থেকে সবাই বের হয়ে আসতে পারেনা। আর তাই অভিমান বলো অপমান বলো সে কারনেই তারা দূরে সরে যায়।


আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি
আমার গা বাঁচিয়ে চলার সিদ্ধান্তটাকে আমি সঠিক বলছি কেনো তার একটা উদাহরণ দেই।

তুমি বললে ব্লগে মেয়েদের পিছে মানুষ অকারণে লাগে। বিশেষ করে মেয়েরা জনপ্রিয়তা পেলে তা যে কারণেই হোক তাকে মেয়েলী ঢং বা তার নানা রকম দিক , ব্যাবহার টেনে এনে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হবে এবং তা ইতিমধ্যেই তোমার এই কমেন্টের ঘরেই তার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে! উপরের এক কমেন্টে দেখা যাচ্ছে আমার এক ব্লগার ভাইয়ামনি তোমার পো্স্টের সাথে সামন্জস্য নেই তেমন কথাই হঠাৎ টেনে আনলো।


তুমি চেয়েছিলে সুস্থ্য আলোচনা কিন্তু সেই আলোচনায় চাইলেই এখুনি অসুস্থ্যতা শুরু হতে পারে তার প্রমান সেই কমেন্ট।

হা হা হা হা শুধু তাই নয় তোমাকেও মেয়ে হিসেবেই সেই ভাইয়ামনি আমার তৈলপাত্র মাথায় ঢেলে দিচ্ছে।

যাইহোক আমি গা বাঁচিয়ে চলেও ভালো থাকতে চাই তাই গেলাম এই পোস্ট থেকে টা টা বাই বাই। :)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: কেউ তৈলপাত্র মাথায় ঢাললেও সেই তৈলপাত্র থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার অভ্যাস আমার আছে।

শোন এমন অনেক মন্তব্যই অনেকদিন ধরে তুমিও যেমন পেয়ে এসছো, আমিও কম পাই না।
গা বাচিঁয়ে চলার কারণে, মাঝে মাঝে প্রতিবাদ করেও ঠিকে আছি এতদিন, এক সাথে লিখতে শুরু করেছিলাম ব্লগে এমন অনেকেই আবার চলে গেছে সহ্য করতে না পেরে।
প্রতিবাদের কারণে কুৎসিত গালি হজম করেছি অনেক.....কিন্তু তাই বলে কি আর টা টা বাই বাই দিলে চলবে বলো?

তুমি আমার চাইতে অনেক দিন আগে থেকে আছো ব্লগে, দেখেছো অনেক বেশি.....তাই তোমার এক্সপেরিয়েন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে .......

২১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৪

শায়মা বলেছেন: স্যরি চলে যেতে গিয়েও আবার আসতে হলো।

ম্যাভেরিকভাইয়ার এই কথাটাই আমি বলতে চেয়েছিলাম যা তিনি খুব ভালোভাবে এক্সপ্লেইন করেছেন

ম্যাভেরিক বলেছেন: ক্ষেত্রবিশেষে মানুষের বাজে কুৎসিত আলোচনাকে উপেক্ষা করতে হবে, কারণ সব জঞ্জাল প্রতিবাদের যোগ্য নয়। যদিও অধিকাংশ মানুষ আবেগের দরুন উপেক্ষার যথার্থ মূল্য বুঝতে পারেন না, তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা।

প্রতিবাদ ও উপেক্ষা দুটোই সুনির্বাচিতভাবে প্রয়োগ করতে হবে।


(ম্যাভেরিক বলেছেন: ক্ষেত্রবিশেষে মানুষের বাজে কুৎসিত আলোচনাকে উপেক্ষা করতে হবে, কারণ সব জঞ্জাল প্রতিবাদের যোগ্য নয়।)

অতি যথার্থ কথা। কাজেই এমন সব জন্জান আমি এড়িয়েই চলি।:)


(যদিও অধিকাংশ মানুষ আবেগের দরুন উপেক্ষার যথার্থ মূল্য বুঝতে পারেন না, তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা।)

আমার মত আবেগী কমই আছে হয়তোবা পৃথিবীতে কিন্তু উপেক্ষাতেও আমি প্রায় ফার্সট!:) আমার এক্সপেরিয়েন্সে শেয়ার করলাম রেজুমনি। :)


প্রতিবাদ ও উপেক্ষা সুনির্বাচিত ভাবে প্রয়োগ করলাম। আর এমন একটা মুক্ত আলোচনার অবতারণা করেছিলে যেখানে গলা খুলে কিছু বলতে চাইবার ইচ্ছা থাকা সত্বেও গলা বন্ধ করে চলে গেলাম।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক সব জঞ্জাল প্রতিবাদ তুল্য নয়, আবার কিছু জঞ্জাল প্রতিবাদ না করলে মাথায় চড়ে বসে।

উপেক্ষা খুব যথার্থ একটা অস্ত্র, তবে যে নির্বোধ সে কিন্তু এর মূল্য বুঝবে না।

তুমি দয়া করে মন খারাপ করো না (জানি সেটা সম্ভব তোমার জন্য)।


মেজাজ ঠান্ডা হলে আমাকে হেল্প করতে আইসো আবার, রিকোয়েস্ট :(

২২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩১

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: ব্রুটাস@ একজন ব্লগার তার নিজের পছন্দ অনুযায়ীই ব্লগিং করবে । ভাইয়া ভাইয়ামনি মামা খালা এসব নেগেটিভলি না নিয়ে আন্তরিক ভাবে নেন । কতটা ইমোসান নিয়ে উল্লেখিত সম্বোধন গুলো করছে সেটা বুঝার মত মানসিকতা সৃষ্টি করুন করুন আগে ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: যার জন্য প্রযোজ্য....

২৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪০

এবং ব্রুটাস বলেছেন: ব্লগে মেয়েদেরকে শক্তিশালী ভুমিকায় দেখতে চাই বলেই মতামত দিলাম। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে উদ্দেশ্য করে কিছু বলি নি। তারপরও যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তার জন্য দুঃখিত।
আমি কারো সাতে পাচে নাই। যখন ইচ্ছা তখন ব্লগে আসি। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে ব্লগিং করি না। কিন্তু মেয়েদেরকেও ব্লগার হিসাবে দেখতে চাই, মেয়ে ব্লগার হিসাবে না। মেয়ে পরিচয়টাই যেন মুখ্য হয়ে না উঠে।
শুভেচ্ছা রইল।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: মেয়ে পরিচয়টা যেন মুখ্য হয়ে না ওঠে.......এমন কমান সবাই মুখে মুখে বলি আসলে, কাজের বেলায় করে সম্ভবত ১%।

যে কারণে আজকে এই বিষয়টা গুলো নিয়ে মিটিং, সন্মেলন, হ্যানত্যান কত কিছুই না করতে হচ্ছে।

২৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৩

বলাকা মন বলেছেন: লেখক বলেছেন: একজন নারীকে তার নারীত্বের পরিচয় দিয়ে ব্লগিং করতে হবে, কিংবা একজন নারী রাত কয়টা পর্যন্ত ব্লগিং করবে, সে কি টপিকসের পোস্ট দেবে, কি ধরনের মন্তব্য করবে, মন্তব্যে কি ধরনের ইমো ব্যবহার করবে.....এই বিষয় গুলো নিয়েও অনেকেই অনেক হেনেস্তা করা হয়েছে এবং হচ্ছে।


হ্যাঁ তার প্রমান আপনার ব্লগের ব্রুটাসের মন্তব্য। তিনিও একই কাজ করতে চলে এসেছেন। নারীরা কিভাবে কথা বলবেন, কাকে কি সন্মোধন করবেন, কেমনে কথা বললে উনার চোখে ঢং মনে হবেনা তার জন্য উনাকে একখানা বই লিখতে অনুরোধ জানাচ্ছি নিদেন পক্ষে একখানা পোস্ট।

আর আপনিও আপা তাকে আবার ভাইয়া ডাকতেছেন। এখন তো উনার চোখে আপনার মত বিশিষ্ঠ লেখকও অশিষ্ঠ বা বিরক্তিকর হয়ে যাবেন।

কিছু মনে করবেন না আমার আমার এমন মন্তব্যে।

তবে ব্রুটাসের মন্তব্য একশতভাগ আপনার পোস্টের বিষয়ের সাথে চলে যায়। উপযুক্ত প্রমান সহ সকলেই বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝবে। কিভাবে , কেমন করে আর কেনোই না নারীরা হ্যারাজমেন্ট হয় আর কোন অভিমানে তারা ব্লগ ছাড়ে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপা বা ভাইয়া বা মামা কিংবা চাচ্চা ডাকা তো ভব্যতার একটা অংশ বলাকা মন।

মানুষকে মানুষ সন্মোধন করবে সন্মানে সাথে আর আমি নিজেকে মানুষ'ই মনে করি, এটাই তো স্বাভাবিক তাই না?


বাই দ্যা ওয়ে, আপনার নিজের মন্তব্যটাও কি সেই একই লাইনে হয়ে গেলো না?

হা হা হা


এনি ওয়ে, পোস্টে আশবার জন্য অনেক ধন্যবাদ,

ভাল থাকুন।

২৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৪

কোজাগরী চাঁদ বলেছেন: @ ব্রুটাস পুরুষতান্ত্রিক মানষিকতায় ব্লগ করেন না তা বেশ বুঝা যাচ্ছে কারন যথার্থ পুরুষের মাঝে এমন হিংসা বা বিদ্বেষমূলক আচরনও পরিলক্ষিত হয়না।

আপনি কারো সাথে পাচে নেই বটে তবে আটে দশে যে আছেন তার প্রমান আপনার মূর্খের মত মেয়েরা কিভাবে কার সাথে কি আচরণ করবে তার বিবরণ দেবার হাস্যকর চেষ্টা।

অন্যকে ব্যাক্তিগতভাবে না নিতে বলার আগে নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে লাফ দিয়ে পড়ার আগে এর পর থেকে খেয়াল রাখবে আশা করি।

নারীকে অপমান করে আপনার মত হীন মানষিকতার মানুষেরা। যারা কোথা নারীর গন্ধ পেলেই ঝাঁপায় এসে পড়ে। কোথাকার সাথে কোথাকার তুলনা সে সম্পর্কে এ্যাটলিস্ট সম্যক ধারনা নিয়ে এর পর থেকে লাফ দিবেন আশা করি।


আপনার মত হীন স্বার্থান্বেষী, হিংসুক ও মূর্খ মানষিকতার মানুষের জন্যই নারীরা ব্লগ ছাড়ে। এ কথার কোনো অসত্যতা নেই।

২৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৮

বলাকা মন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপা বা ভাইয়া বা মামা কিংবা চাচ্চা ডাকা তো ভব্যতার একটা অংশ বলাকা মন।

মানুষকে মানুষ সন্মোধন করবে সন্মানে সাথে আর আমি নিজেকে মানুষ'ই মনে করি, এটাই তো স্বাভাবিক তাই না?


বাই দ্যা ওয়ে, আপনার নিজের মন্তব্যটাও কি সেই একই লাইনে হয়ে গেলো না?

হা হা হা



আপা আমার মন্তব্যে আপনি কি বুঝাতে চাইলেন বুঝলাম না। দয়া করে বুঝিয়ে বললে আমি উত্তরটা ক্লিয়ার করে দিতে পারি।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: আর আপনিও আপা তাকে আবার ভাইয়া ডাকতেছেন। এখন তো উনার চোখে আপনার মত বিশিষ্ঠ লেখকও অশিষ্ঠ বা বিরক্তিকর হয়ে যাবেন।

এই বিষয়ে বলছিলাম আর কি! মনে হয় বুঝতে ভুল করেছি।

আমার মনে হয় ব্রুটাস সংক্রান্ত বিষয়টার এখনই পরিসমাপ্তির দরকার, সে সরি বলেছে এবং তার রিপ্লাইতেও আমি ব্যাপারটা বুঝানোর চেষ্টা করেছি।

আপনাদের সহযোগীতা কাম্য।

এই বিষয়ে আর কোন মন্তব্য আমি আশা করছি না।

২৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন:
আমি পোস্টে একটা কথা উল্লেখ করেছি, সুস্থ্য আলোচানা!

পরবর্তীতে কেউ মন্তব্য করতে চাইলে বিষয়টা দয়াকরে একটু মাথায় রাখবেন।

২৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৭

আরমিন বলেছেন: রেজু, গঠনমুলক পোস্টে আপাতত প্লাস দিয়ে গেলাম।

বাকী কথা পড়ে বলবো, এখন একটু সমস্যা আছে, মন মেজাজ ভাল নাই।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: কেন মন মেজাজ আবার কি হইলো!

ওয়ে, আই ক্যান গেইজ!

ফেবুতে আসো.......

২৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২১

বলাকা মন বলেছেন: হ্যাঁ আপা আপনি ভুল বুঝেছেন।

আমি উনার যে আপা ভাইয়া ভাইয়ামনি ডাকা নিয়ে মেয়েদেরকে ঢং করছে মনে হয় এবং সেসব মেয়েরা ব্লগ লেখার অনুপযুক্ত যাচ্ছেতাই মনে হয় তারই পরিপ্রিক্ষিতে বলেছিলাম।

অন্তত উনার চোখে আপনি গুটিকয় বোল্ড লেখকদের একজন। কাজেই যখন আবার উনাকেই ভাইয়া ডাকলেন কাজেই আমি শঙ্কিত হয়েছিলাম যে আপনাকেও আবার উনার চোখে যাচ্ছেতাই নারী ব্লগারদের দলে পড়ে যেতে হয় নাকি।


বিশি্ষ্ঠ ও অশিষ্ঠ শব্দদুটি বৈপরীত্য মূলক বলেই কথাচ্ছলে এনেছিলাম তবে আপনি যেন এতে কিছু মনে না করে বসেন আবার তাই আগেই বলে নিয়েছিলাম মাইন্ড করবেন না।

এখন ক্লিয়ার করে দিলাম।

স্যরি আবার এ কারণে আপনার পোস্টে আমাকে ব্রুটাস সন্মন্ধীয় কমেন্ট করতে হলো। তবে আপা আমি বলি হয় আপনি আপনার এই সুস্থ্য আলোচনায় অসুস্থ্যতা সৃষ্টিকারী ব্রুটাসের মন্তব্যটি হয় মুছে ফেলেন নয় রেখে দিয়ে সকলকে বুঝার সুযোগ করে দিন আসলেই কি রকম মন্তব্য কটাক্ষ বা নারী বিদ্বেষপূর্ণ কারন গুলোতে নারীরা অভিমান বা অপমানে ব্লগ ছাড়ে।

আবার অন্য ভাবে নিয়েন না। আমি জাস্ট আমার মতে যা মনে হয় তারই কিছু কথা আপনাকে জানালাম।

ভালো থাকবেন।
শুভরাত্রি।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: বিষয়টার শেষ হোক, নতুন আলোচনা শুরু হোক!



ধন্যবাদ

৩০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৪

ফারিয়া বলেছেন: একটু আগে ভাবছিলাম, আপনার এখানে কিছু মন্তব্য নিয়ে। কাউকে দোষারপ নয়, কিন্তু এড়িয়ে চলার মনোভাবকে আমি কখনো ১০০% সাপোর্ট করিনা। কেউ ভুল বললে সেটাকে শুধরে দেয়াটা জরুরি, কিন্তু সেটা রুক্ষভাবে বললে গ্রহনযোগ্যতা কমে যাবে এটাও ভুলা যাবে না।

উপরোক্ত কথাগুলোতে কাউকে আমি নির্দিষ্ট করে বলছি না, শুধু একটা কাউন্টার এক্সাম্পল দিলাম। মানুষ তো মানুষই। আর সবাই একি মানসিকতা নিয়ে হাটেনা এটা আমি আপনি সবাই জানি। আমাদের পারিপার্শিকতাকে ছাপিয়ে আমদের সমচিন্তা করাতে পারাটা অনেক বড় কথা। আর কারো অভ্যাসকে দোষ হিসেবে দেখার আগে তার অবস্থান জানা জরুরি। ব্লগে সম্মোধন কে কিভাবে করবে সেটা আলাদা। অনেকেই আপু ভাই বলে ডাকবে, এতে আমি মনে করি একটা সুন্দর বন্ধন দেখা যায়। তবে কারো ভালো না লাগলে সেটাকে দোষারপ করবনা, তবে তাই বলে সবাই একভাবে ভাববে ভাবা যায়না। আর আমাদের বলার তো কখনই এক ভঙ্গি হবেনা, তাই সর্বপরি চেষ্টা থাকতে হবে মানিয়ে চলার। আর ভালো কিছু না বলত পারলে না বলাটাই ভালো!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: এড়িয়ে চলার মনোভাবকে আমিও কখনো পূর্ণাঙ্গ ভাবে সমর্থন করি না, কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের দরকার আছে, নইলে এরা মনে করবে এটাই স্বাভাবিক, এমন তো করাই যায়.....

মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশের সাথে একমত।

৩১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৭

নিয়েল হিমু বলেছেন: রেজুবু @ মানবাধীকার সংস্থা এখানে অন্তত ভার্চুয়াল ব্যপার নিয়ে কিছু করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না । আমি নিজেই দুই জন ব্লগারকে ফিরাতে পারিনি মানষিক সাপোর্ট দিয়েও । সবার আগে দরকার আমাদের নিজেদের দৃষ্টিভংগির পরিবর্তন ।
তবুও সুযোগ যেহেতু পাচ্ছেন কথা বলে দেখতে পারেন সংস্থাটির সাথে ।
যাই হোক অসাধারণ আইডিয়া এবং কিছু করার মানষিকতার পোষ্টে ভাল লাগা জানবেন ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫২

রেজোওয়ানা বলেছেন: একদিনেই কিছু হবে সেটা আমিও মনে করি না, তবে আমরা সমস্যা গুলো তুলে ধরতে পারি, কিভাবে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা যায় সেটা নিয়ে কথা বলতে পারি......আসলে আলোচনায় সব সময়েই কিছু না কিছু ফল তো পাওয়াই যায়।


মাঝে মাঝে টিজিং গুলো শাররীক আক্রমনের চাইতেও বেশি বিধস্ত করে মন কে, এক কিল ঘুষি বা একটা চড়ের চাইতে কিছু কুৎসিত বাক্য মানুষকে অনেক বেশি ক্লান্ত করে মাঝে মাঝে......


অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।

৩২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৩

নিয়েল হিমু বলেছেন: ব্রুটাস আংকেল @ কে কিভাবে ব্লগিং করবে বা নিজেকে কিভাবে উপস্থাপণ করবে এখানে সে ব্যপারে কথা হচ্ছে না । আপনি মনে হয় পোষ্টের টপিক ধরতে পারেন্নাই তাই ত্যানা পেচাইতেছেন । এক কাজ করেন অন্য পোষ্ট খুজে ঐখানে গিয়ে ত্যানা পেচানোর চেষ্টা নেন । এটা ভদ্রলোকের জায়গা ।
go to hell

৩৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, কিছু হলেই চরিত্রের অপবাদ এবং সেটা মাঝে মাঝে এতটাই অসহনীয় হয়ে ওঠে যে অনেকেই তখন অনলাইনে লেখালেখির প্রতিই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
গালি মাঝে মাঝে ফিজিক্যাল হ্যারাসমেন্টের চাইতেও অনেক বেশি মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাড়ায়।
আর এই বিষয় গুলো নিয়ে অভিযোগ জানানোরও কোন জায়গা নেই।

খুব খুশি হলাম আপনার অংশগ্রহণ।

আমার শুভেচ্ছা জানবেন...

আপু আপনার এই কমেন্টে নারী ব্লগারদের সমস্যাটা অল্প কথায় খুব ভালো এসেছে।

আশাকরি একদিন এই সমস্যাগুলো দূর হবে, নারীরাও পুরুষের মত নির্বিঘ্নে ব্লগিং করতে পারবে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: "আভিযোগ" জানানোর জায়গা নেই এটা আসলেই একটা বড় সমস্যা।


অনেক ধণ্যবাদ তনিমা,

ভাল থাকবেন.....

৩৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

কোজাগরী চাঁদ বলেছেন: ব্রুটাস সাহেবের ব্লগ পর্যালোচনা


● নিজের অথবা বাপের ধন সম্পদের ফুটানী করবেন, আপনার/আপনার বাপের টাকা/পয়সার খবর জেনে অনেকেই আপনাকে তেল/হিট দিবে, যদিও সেই পয়সার কানাকড়ি কোনদিন আপনি পাবেন না।
● নিজেকে যতো ভাবে এক্সপোজ করা যায়, করবেন, লুলদের অভাব নেই, হিট দিবেই (এটা আপুদের জন্য)।
● যে কোন একটা পাশে চলে যান, হয় ঢংগীবালা অথবা গালিবাজ...মাঝে থাকাদের দাম দেয় না কেউই। গালিবাজ আপুরা স্মার্ট হিসাবে বিবেচিত হয়, এটা মনে রাখবেন।


###কেচালবাজ ও নারী অবমাননায় তিনি আগে থেকেই সক্রিয় কর্মী।

আমি নিজে ভালো লিখতে পারি না, তাই নিয়মিত পোস্ট দেই না। কিন্তু অফলাইনে পোস্ট পড়ি নিয়মিতই।

তা পারেন না বটে তবে অন্যের লেখা দেখ গা জ্বলে আর নারীদের লেখা দেখলে তো তেল নিয়ে ছুটে আসেন হয় ছুড়ে মারতে নয় মাথায় ঢালতে এই ক্ষেত্রে আপনিও বেশ লুল


আহা মধু মধু কি সুন্দর সব পো্স্ট! পুরুষ বোল্ড ব্লগারদের মধ্যে একজন বোল্ড ব্লগার তিনি তাই একমাত্র উনারই অধিকার আছে েই রুপ নারীদের নিয়ে তাদে স্টাইল নিয়ে সমালোচনার


হিটাকাঙ্খীরাই তো আসল হিতাকাঙ্খী
Click This Link

মডারেটর, পোস্ট নির্বাচকদের রুচির প্রতি আস্থা রাখতে চাই।
Click This Link



ওয়াও! তিনি আবার শুধু সুলেখকই নয় । রূপবানও বটে।
সেটাও আবার পোস্ট লেখার বিষয়- বাহ!

আমার চেহারা নাকি ড্যানিয়েল ক্রেইগ এর মতো

Click This Link

samu blog aj DHONNO. Eirup Ekjon Mohan blogar O shomalochokke peye.

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: কোজাগরী চাঁদ, আপনি ইচ্ছে করলে এই বিষয়ে আলাদা পোস্ট দিতে পারেণ, কিন্তু আমার এই পোস্টে আমি আসলে কারো ব্লগিং প্রোফাইল দেখতে এবং রাখতে চাইছি না।

আশাকরি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

ধন্যবাদ

৩৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:০৮

মুকুল সালাহউদ্দীন বলেছেন: সালাম নিবেন রেজোওয়ানা মেডাম। সেহেরী খেতে ঘুম তেকে জাগলাম কুয়েত সময় এখন রাত ১ টা বেজে ৫৫ মিনিট। দেখলাম আপনার পোষ্টটি,

খুবই গুরুত্ব পূর্ণ কথা লিখেছেন।

আমি কিছু দিন আগে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম, আমার বাড়ী গ্রামে, দেখলাম আমাদের বাড়ীতে আমার তিন জেঠাতে ভাইয়ের তিন মেয়ে সহ আমার স্ত্রী মোবাইলে ফেসবুক ব্যাবহার করে, দেখলাম তারা টাইপিং ও কম্পিউটারের অভাবে লিখতে পারেনা, কিন্তু তাদের ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার ব্লগে লিখা ও পোষ্ট পড়ার খুবই সখ।

আমার মনে হয় সবচেয়ে মেয়েদের বড় প্রতিবন্ধকতা কম্পিটার ও ইন্টানেট খরচ।

মেয়েরা একটি কম্পিটার ও ইন্টার নেট কানেকশন পেলে তারা ছেলেদের মত ইন্টার নেট জগতে দাপটের সহিত বিচরণ করবে।


আবার আমার এক ভাগিনি তার বাবা মায়ের সহিত স্পেনের মাদ্রিদে তাকেন তাকে সারা দিন ফেসবুকে অনলাইনে পায়, সে সামু ব্লগ সহ অনেক গুলো ব্লগে লিখে ও পোষ্ট পড়ে ও কমেন্ট করে। তার লেখা , মন্তব্যের ষ্টাইল দেখে কেউ বলতে পারবেনা সে একটা মেয়ে।



১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০০

রেজোওয়ানা বলেছেন: অবশ্যই ইন্টারেনট এর সহজলভ্যতা অনলাইনে নারীদের অংশ গ্রহণে একটা বড় প্রতিবন্ধকতা। কারণে আমরা অনেকেই অফিস বসে অনালইনে আসি, বা অফিস এটা প্রভাইড করে, কিন্তু যারা হাউজ মেনেজমেন্টে থাকনে তাদের এই সুবিধাটা নেই। আবার সবার পক্ষে বাড়িতে ল্যাপটপ, ব্রাউজিং এবং বাংলায় লেখা যায় এমন মোবাইল ব্যবহার করা, নেটের খরচ পোষান সম্ভব না, এটা খুবই স্বাভাবিক বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের প্রেক্ষিতে।


আপনার তিন বোন এবং আমাদের ভাবীর জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। নেটে মোবাইলে বাংলা লেখার জন্য সাইট আছে একটা, আমি লিংক দেবো আপনাকে, ওখান থেকে ইচ্ছে করলে বাংলায় টাইপ করে ফেবু বা ব্লগে লেখা যেতে পারে, যদিও বিষয়টা আমার কাছে বেশ হেকটিক লাগে।


আলোচনার অংশ নেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভাল থাকুন........

৩৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একটা ব্যাপার যথেষ্ট পীড়াদায়ক কোন গুরুত্ব আলোচনা হলে ই সেখানে কেমন করে যেন..ক্যাওয়াসের সূত্রপাত হয়।পলে মূল বিষয় থেকে সরে আলাপ অন্যদিকে চলে যায়........মেয়ে ছেলে দুজনকে সহ্য শক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।উপভোগ্য ব্লগিং করতে হলে নিয়ন্ত্রিত মাতা্রায় হাস্যরস এর অবতারণা বাঞ্চণীয়।দোষের কিছু নয়। এ রকম একটি পোস্টে ১ম কমেন্ট করতে পেরে আনন্দিত প্রিয়তে নিলাম ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: ক্যাওয়াসে ব্লগিং এর অবিচ্ছেদ্য অংশ সেলিম ভাই :|

৩৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++

মাঝে মাঝে দেখেছি কিছু চিহ্নিত তথাকথিত পুরুষ বলগার , নতুন কোন নারী নিক / ব্লগার এলেই তার নারীত্ব প্রমাণ করা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে । সে নারী কি না , নারী হলে ছবি কোথায় । প্রমাণ দেও ব্লা ব্লা ব্লা ! অনেক নারী ব্লগারই এরকমটা সহ্য করতে না পেরে ব্লগ ছেড়ে দেন । আমি নিজেই ৭/৮ জনকে দেখেছি । আবার কিছু কিছু নারী ব্লগার এধরনের ঘটনার কঠিন প্রতিবাদ করে এখনও ব্লগে টিকে আছেন । তাদের নাম দিতে চাচ্ছি না । আমরা যারা রেগুলার ব্লগে আসি , তারা জানি । আমার কথা হল ঐ ধরনের নপুংশক পুরুষদের যেমন ঘৃণা করি , প্রতিবাদ করি তেমনি নারী ব্লগারদের বলি - আপনারা থমকে যাবেন না , প্রতিবাদ করবেন অবশ্যই , আপনার অধিকার একজন পুরুষ ব্লগারের চেয়ে কোন অংশেই কম নয় ।
আর আমি নারী ব্লগার / পুরুষ ব্লগার এই শব্দগুলোর পক্ষপাতী নই । ব্লগার মাত্রেই একজন ব্লগার ! ব্লগারের আবার নারী পুরুষ কি !!!
তবে আরও একটা কথা মনে রাখা উচিৎ , আপনি যে ব্লগারই হন না কেন , আপনি যদি ভুল কিছু বলে ফেলেন , তা স্বীকার করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ । আপনি ভুল বলতেই পারেন । কিংবা আপনি যুক্তি তর্কে কারও সাথে হেরে যাচ্ছেন , তাতে উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই । এই দুই কারনে অভিমান করে ব্লগ ছেড়ে দেওয়াও কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ নয় । একথা বললাম একারনেই যে , একজন নারী ব্লগার আরও কয়েকজনের সাথে আমার উপরও ক্ষুব্ধ হয়ে এমন কাজ করেছিলেন । আমরা কিন্তু তাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম , কিন্তু তিনি ভুলও স্বীকার করেন নি , যুক্তিতেও পেরে উঠেন নি বরং উত্তেজিত হয়ে আমাদের ( সেখানে নারী ব্লগারও ছিলেন ) নামে মডারেটরদের কাছে বেশ কয়েকবারই কমপ্লেইন করে মেইল করেছিলেন !!!! সম্ভবত তাতেও কোন ফল না পেয়েই তিনি ব্লগ ছেড়ে দিয়েছিলেন । এরকম কিছু যেন কেউ না করেন , সেই অনুরোধ করি । কারণ কোন ব্লগার যখন এমন করে ব্লগ ছেড়ে চলে যান , তখন আসলেই খুব খারাপ লাগে ।

ভালো থাকবেন ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেক কিছুই বের হলো আসলো আপনার মন্তব্য থেকে অপূর্ণ!

ব্লগে এই বিষয়ে কোন প্রসঙ্গের অবতারণা হলেই সবাই একটা কথা বেশ জোড় দিয়ে বলেন যে ব্লগারের মধ্যে আবার নারী-পুরুষ কি ব্লগার মানেই ব্লগারই......অথচ এরাই আবার পোস্টের হিট বা মন্তব্যের সংখ্যা আলোচনায় একটা কথা বলতে খুব ভালবাসেন যে, "মেয়ে নিক হলে এই পোস্টে এত এত মন্তব্য বা হিট হতো".........তারমানে কি দাড়ায় যে মেয়েটা কি শুধু মাত্র তার স্ত্রীবাচক নামের কারণেই এত মন্তব্য বা জনপ্রিয়তা পেয়েছে?......বিষয়টা ভেবে দেখার মতো।


অনেক ধন্যবাদ অংশগ্রহণ করার জন্য,

ভাল থাকুন......

৩৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

কয়েস সামী বলেছেন: এর উল্টো দিকও আছে, আপি।একটা মেয়েকে কিন্তু ব্লগে জনপ্রিয় হতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না বলেই মনে হয় আমার। নতুন একটা মেয়ের একটা পোস্টে যতগুলা হিট পরে অথবা যতগুলো মন্তব্য হয়, নতুন একটা ছেলের পোস্টে সেরকম কিন্তু হয় না। নারীদের জন্য ব্লগে পরিচিত হওয়া পুরুষের তুলনায় অনেক সহজ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: এটার কারণটা কি এমন যে "একজন মেয়ে ব্লগিং করছে, অন্যসবার সাথে ইন্টারএকশন করছে দেদারছে এটা আসলে খুব অভুতপূর্ব দর্শনীয় বস্ত" এই জন্য সবাই তার পোস্টে হামলে পড়ে? বিষয়টা কি এমন যে, গার্লস স্কুলের সামনে স্কুলে ছুটি বা বন্ধের সময় এক শ্রেণীর ছেলেদের অনেক ভীর থাকে?
সে কতটা ভাল লেখে তার চাইতে কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার স্ত্রীবাচক নামটি, ক্ষেত্র বিশেষে ছবিটি?
এই অতিআগ্রহ কি ব্লগিং এর জন্য ক্ষতিকর নয়, এর জন্য আসলে দায়ী কাদের কি ধরনের মানসিকতা?
আমাদের সামাজিক গঠনবৈশিষ্ট্যই কি এর দায়ী নয়?

বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ অবশ্যই।



ধন্যবাদ সামী ভাই পোস্টে আশার জন্য,

শুভেচ্ছা।

৩৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আমার সমস্যা হলো আমি ব্লগার ছেলে না মেয়ে খুব একটা বুঝতে পারি না।

:(

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: সেটা একদিক থেকে খারাপ না অবশ্য!!

৪০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এখানে আবার নারী-পুরুষ কী পার্থক্য, আমার বুঝে আসে না। ব্লগে মেয়েদের অংশগ্রহণে অনেক ভালো লেখা আমি পেয়েছি। কেউ অহেতুক টিজিং করলে উল্টো টিজিং করুন!

অন্তত ব্লগে এসে কোন বৈষম্য দেখতে চাই না। মেয়েরা কোনভাবেই নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগে স্বাভাবিকভাবে লেখালেখি করলে, তা ব্লগালয়কে সত্যিকারভাবে সমৃদ্ধ করবে এবং লেখায় ও চিন্তায় আসবে বৈচিত্র।

ব্লগে বা সাইবার জগতে ছেলে-মেয়ে বিভেদ করার কোন কারণ আমি পাই না। মেধা এবং লেখার মানই হোক টিকে থাকার একমাত্র কৌশল।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: ব্লগ তো আসলে আমাদের সমাজ জীবনেরই একটা অংশ, বাস্তবে আমরা যে আচরন করি অনলাইনে এসেও সেটার প্রকাশ ঘটে থাকে। যে কারণেই সমস্যা গুলোর সূত্রপাত হয়, আপনার নিশ্চয়ই ব্লগার শাহানা আপার কথা মনে আছে এবং ব্লগ ডায়েরি টাইপের লেখা লেখার কারণে কি পরিমান টিজিং তাকে করা হয়েছিল, যার কারণে এক সময়ে সে ব্লগ লেখাই ছেড়ে দিলেন। এই ধরনের ঘটনা কিন্তু একটা নয় অনলাইনে।

আপনার শেষ বাক্যটির সাথে একমত "মেধা এবং লেখার মানই হোক অনলাইনে টিকে থাকার একমাত্র কৌশল।"


অনেক ধন্যবাদ পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।

ভাল থাকুন.....

৪১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:


রেজোওয়ানা বলেছেন:
আমি পোস্টে একটা কথা উল্লেখ করেছি, সুস্থ্য আলোচানা!

পরবর্তীতে কেউ মন্তব্য করতে চাইলে বিষয়টা দয়া করে একটু মাথায় রাখবেন।


বুঝতে পারছেন এখানে কিসের অভাব !!!




মনে করুন আপনার পরিচিত ব্লগার বা ব্লগে সিণ্ডিকেট বা জনপ্রিয় একজন ব্লগার কোন নারী'র সাথে বাজে ব্যবহার করলো আপনিই (ধরে নিলাম) হয়ত সেখানে যাবেন না। আমি বলতে চাইছি নারী অবমাননায় নারীরাই প্রতিবাদ করে না। নারীদের অংশগ্রহনটা খুব জরুরী।

তবে আমার মনে হয় গত ১ বছরে ব্লগে নারীদের অংশগ্রহন বেড়েছে তবে রাজনৈতিক/ সামজিক বিষয়গুলোতে তুলনামুলক অনেক কম।
নারীরা বেশি ব্লগিং করে না বা করতে পারে না তার আরো একটা কারন থাকতে পারে তাহলো তার পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ। বিয়ে'র আগে একজন নারী'র পক্ষে যতখানি সহজ বিয়ের পরে তা সবসময় সহজ হয়ে উঠে না।


সামগ্রিকভাবে একজন নারী্কে নারী ব্লগার থেকে ব্লগার হয়ে উঠতে হবে তা তার নিজগুনে ও চেষ্টায়।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আসলে প্রতিবাদের অভ্যাসটা হঠাৎ করে গড়ে ওঠে না। বাস্তবে আমাদের মানে মেয়েদের সব সময়েই একটা কথা পাখি পড়ার মতো করে শিখিয়ে দেয়া হয়...."মানিয়ে নাও, এড়িয়ে যাও, তুমি মেয়ে তোমার এটা বলা সাজে না, সেটা করা সাজে না".....সেই অভ্যাসতো আসলে অনলাইনে হুট করে চলে যাবে না। অনলাইন যতই আমরা ভার্চুয়াল জগত বলি না কেন, এটা তো বাস্তব জগতেরই প্রতিফলন।

রাজনৈতিক এবং সামাজিক ইস্যুতে নারী ব্লগাদের অংশ গ্রহণ শূণ্যের কোঠায় নেমে এসেছে, ফেইসবুকে বেশ এক্টিভিস্ট এই বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করলেও তাদের যে পরিমান স্লেজিং, টিজিং করা হয়, ফেইক আইডি খোলা থেকে শুরু করে ছবি, ফোন নাম্বার ছড়িয়ে দেয়া, কুসিৎ সব অপবাদ দেয়া চলে যে স্বাভাবিক ভাবেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে অনেকেই একসময়।


অবশ্যই নিজের গুণ এবং সকলের সহযোগীতায় অনলাইন নারীদের পদচারণার জন্য নিরাপদ ক্ষেত্র হয়ে উঠবে, এই আশা আমিও করি।


অনেক ধন্যবাদ আমিনুর ভাইয়া।

ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা.......

৪২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি কি বলব আপু বুঝতে পারছি না ! কি নিয়ে মতামত দিবো ?

রাজনৈতিক ব্যাপারে আমার ধারণা শূন্যের কোটায়। এসব ব্যাপার এড়িয়ে চলি পারতপক্ষে। যে কোনও এক ব্লগারের কাছে শুনলাম মেয়েরা লুতুপুতু লেখা লিখে বেশি , লুতুপুতু টাইপ ছবি , কান্নাকাটি টাইপ লেখা লিখলেই ব্লগে যেমন অনেক জনপ্রিয় হওয়া যায় , অনেক অনুসারি ব্লগ আর ফেবুতেও পাওয়া যায়। তাই যখনই সেই লুতুপুতু টাইপ নারী ব্লগাররা ঝামেলায় পরে তাদের সাপোর্ট দিতে আসল নিক , ফেইক নিকে শয়ে শয়ে নিক স্ট্যান্ড বাই হয়ে যায়।

এক্ষেত্রে এসব শুনে আমার কিছু বলার ছিল না। শুধু শুনেছি। দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক ইস্যুর অবতারণা হয় সেক্ষেত্রে নারী বা পুরুষ সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। নারী বলে সে অন্যায্য কিছু লিখলে বললে তার পাল্টা মন্তব্যও শালীন ভাষায় দেয়া যাবে না , আমি সেটা মনে করি না। পারষ্পারিক আলোচনা একজন কে সহনশীলতার ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ করতে পারে বলে মনে করি।

নারী ব্লগারই যে ব্যক্তিগত আক্রমনের স্বীকার হয় সকল ক্ষেত্রে তাই নয়। পুরুষরাও হয়। আমার এই সামু ব্লগে অভিজ্ঞতা এখন পর্যন্ত বেশ ভালো। কয়েকজনই বলেছে সামুর সুদিনে এসেছি আমি যখন ক্যাচাল, গ্রুপিং ইত্যাদি এখন নেই। তবে অন্য ব্লগে যে মাল্টি নিকের আক্রমনের স্বীকার হয় নি , নারী বলে লাঞ্ছিত হইনি সেটা নয়।

আপু কি কি ধরণের অভিজ্ঞতার কথা বলব বা মতামত দিবো বুঝতে পারছি না। পরামর্শ দিন।

হ্যাপি ব্লগিং আপু

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: কি ধরনের টিজিং হয়েছিলেন সেটা বলতে পারেন।
আমি আমার কথা বলি, একবার হুমায়ূন আহামেদকে নিয়ে করা একটা বাজে পোস্টের প্রতিবাদ করায় জঘন্য ধরনের গালি দেয়া হয়েছিল আমাকে, যেটা অন্যদেরকে দেয়া হয়নি। আরেকবার, এক আপুকে একজন ব্লগে প্রকাশ্যে বিয়ের প্রস্তাব সহ নানা রকম ভাবে উত্তক্ত্য করতো এক ব্লগার, সেই ব্লগারের ব্যান চেয়েছিলাম বলে ক্রমাগত ভাবে আমাকে গালিগালাজ করা হয়েছে! এমন ঘটনা অনেক হয়েছে অনেক, যেখানেই প্রতিবাদ করতে গিয়েছি.....এমন সব কথা শুনেছি সেটা শুধু মাত্র আমার স্ত্রীবাচক নামের কারণেই শুনেছি.....


যাই হোক, পোস্টে এলেন বলে খুব ভাল লাগলো মন্ময় আপু!

খুব ভাল থাকবেন,

হ্যাপি ব্লগিং

৪৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
বাস্তব জীবনে যারা আত্ম মর্যাদা সম্পূর্ণ বিনয়ী, ভার্চুয়াল লাইফেও তাদের পার্সোনালিটিতে তার ব্যত্যয় ঘটবেনা। ব্লগে বা ফেসবুকে যে টিজার বাস্তব জীবনেও সে টিজার বা ইভ-টিজার।

দুর্ভাগ্য ও অপমানজনক বিষয় হচ্ছে আজ ভার্চুয়াল জীবনের ইভ-টিজিং নিয়েও মা-বোনদের সম্মেলন করতে হচ্ছে। যদিও ব্লগ শিক্ষিত ও উচ্চ-শিক্ষিতদের(?) প্লাটফর্ম বলে আমরা দাবি করি।

আপনাদের সম্মেলন সফল হোক।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০১

রেজোওয়ানা বলেছেন: বাস্তব জীবনে যারা আত্ম মর্যাদা সম্পূর্ণ বিনয়ী, ভার্চুয়াল লাইফেও তাদের পার্সোনালিটিতে তার ব্যত্যয় ঘটবেনা। ব্লগে বা ফেসবুকে যে টিজার বাস্তব জীবনেও সে টিজার বা ইভ-টিজার। ..........এটা একদম ঠিক বলেছেন!

তবে ভার্চুয়ালে এই সব অপারাধী নিজেকে গোপন রাখার সুযোগ পায়, কোন সুনির্দিষ্য় কোন আইন না থাকার কারণে এদের আরো বেশি পোয়াবারো হয়ে যায়.....

৪৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজোওয়ানা,
খুব জটিল একটি জিনিস চেয়ে ফেলেছেন আপনি শিরোনামে এবং লেখার শেষ লাইনটিতে ।

আপনার লেখার প্রথম লাইনেই , কেন আপনার চা্ওয়াকে জটিল বললাম তার উল্লেখ আছে ।

একটি সুন্দর আলোচনা হতে পারতো, যদি আমরা সবাই লেখাটিকে পজিটিভলি নিতে পারতাম । তা হয়ে উঠবেনা হয়তো । এজন্যে আমাদের হতাশ হবার কোনই কারন নেই ।

দেখলাম অনেকেই সুন্দর অভিমত দিয়েছেন । যারা দিয়েছেন তাদেরকে আপনার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখছি ।

এর বাইরে সকল অভিমতকে যদি আমরা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখি তবে আলোচনাটি আপনার আকাঙ্খাকে পূর্ণ করে তেজী হয়ে উঠতে পারতো । আশা করি , তাই-ই হোক ।

দীর্ঘ আলোচনায় না গিয়ে সবার জন্যে এককথায় বলি - যুদ্ধ কিছু মাটির মালিকানা হয়তো আপনাকে দিতে পারে সত্য কিন্তু মানুষের হৃদয় নামের জিনিষটির মালিকানা হারিয়ে ফেলবেন মূহুর্তেই.....

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আহমেদ ভাইয়া, আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভাল থাকবেন

শুভকামনা......

৪৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বাংলা ব্লগিং এর সুস্থ ধারায় শীর্ষ কয়েকজন এর নাম আসলে কয়েকজন নারী ব্লগারের নাম আসবে।
তবে ব্লগার সংখ্যা গুনলে নারীদের অংশগ্রহন সীমিতই।

নারী ব্লগারদের অংশগ্রহন কম কেনো?
এর পেছনেও মনে হয় সেই যুক্তিই, আমাদের সামাজিক দৈন্যতা।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সামাজিক কাঠামো এবং সমাজিক দৈনতা ও সঠিক সাইবার'ল না থাকা......



দূর্জয় ভাই, পোস্টে আশার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভাল থাকবেন.......

৪৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ম্যাভেরিক বলেছেন: ক্ষেত্রবিশেষে মানুষের বাজে কুৎসিত আলোচনাকে উপেক্ষা করতে হবে, কারণ সব জঞ্জাল প্রতিবাদের যোগ্য নয়। যদিও অধিকাংশ মানুষ আবেগের দরুন উপেক্ষার যথার্থ মূল্য বুঝতে পারেন না, তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা।

প্রতিবাদ ও উপেক্ষা দুটোই সুনির্বাচিতভাবে প্রয়োগ করতে হবে।


ভালো একটা লেসন পেলাম । শীঘ্রই কিছু তর্ক-বিতর্কে জড়ানোর ইচ্ছে ছিলো, আপাতত উপেক্ষা করে গেলাম..

ব্লগে নারী-পুরুষ সবার জন্য এই লেসন খুব উপকারি ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: ম্যাভেরিক ভাই বলেছেন 'সকল জঞ্জালের' প্রতিবাদের দরকার নেই.....তারমানে "কিছু কিছু জঞ্জাল" প্রতিবাদ যোগ্য, তা নইলে যে পরিবেশ নোংড়া করে সে কিভাবে বুঝবে যে ইচ্ছা মতো সব জায়গায় জঞ্জাল ছড়ানো যাবে না?


মামুন ভাই, অনেক ধণ্যবাদ!

ভাল থাকবেন.......

৪৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

সায়েম মুন বলেছেন: আমাদের মানসিক দৈন্যতা বাংলা ব্লগিং জগতে মেয়েদের হয়ত পিছিয়ে রাখে। যারা প্রকৃত যোদ্ধা তারা কখনো মাঠ ছেড়ে যাবেন না। ব্লগে থেকেই তার প্রকৃত অবস্থান আদায় করে নিবেন। অনেকেই ব্লগের অস্থির অবস্থা দেখে চলে যায়। সেটা নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিছুটা দায় ব্লগ মালিকদের নিতে হবে। পোস্ট এবং কমেন্ট মডারেট এর ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান নিলে এ অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে বলে মনে করি। সেই সাথে যাদের নিয়ে ব্লগিং তাদের দৈন্যতা কাটাতে হবে। স্বল্প কিছু বিকৃতমনা মানুষের জন্য একটা সমাজ উচ্ছ্ন্নে যেতে পারে না। তেমনি স্বল্প সংখ্যক বিকৃত মস্তিস্ক/ কূটবাজ ব্লগারের কারণে ব্লগের স্বত:স্ফূর্ততা কমে যেতে পারে না। এর জন্য আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষ নয়, ব্লগিং এর ক্ষেত্রে ব্লগার নামটিই প্রস্ফূটিত হোক। নারী পুরুষ নিয়ে পরিবার, সমাজ তথা দেশ। নারী পুরুষ নিয়েই ব্লগিং। তবে ইদানীং আমাদের এই প্লাটফর্মটির অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয়। এজন্য কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। আপুরা অনেকেই তাদের মতামত জ্ঞাপন করছেন। তোমার নিজস্ব ধারণা, সবার মতামত/ আলোচনায় আশা রাখি সঠিক বিষয়গুলো জানতে পারা যাবে।

মাঝখানে কিছু কমেন্টের সূত্র ধরে পোস্টটির মূল বিষয়বস্তু ভিন্নখাতে প্রবাহের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এরকম গঠনমূলক পোস্টে অবাঞ্ছিত কিছু মন্তব্য দিক পরিবর্তন করে ফেলে। এজন্য মন্তব্যের ব্যাপারে আমরা আশা রাখি সহনশীলতার পরিচয় দিবো।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: সায়েম মুন বলেছেন: আমাদের মানসিক দৈন্যতা বাংলা ব্লগিং জগতে মেয়েদের হয়ত পিছিয়ে রাখে। যারা প্রকৃত যোদ্ধা তারা কখনো মাঠ ছেড়ে যাবেন না। ব্লগে থেকেই তার প্রকৃত অবস্থান আদায় করে নিবেন।.........যথার্থ বলেছো সায়েম।

মাঝখানের মন্তব্য গুলো পোস্টটা যে বিষয় নিয়ে জানতে চেয়ে দিয়েছিলাম, মনে হচ্ছে সেটার জলজ্যান্ত প্রমান রেখে যাবার জন্যই করা হয়েছে /:)

৪৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আমার মন্তব্য কতটুকু প্রাসঙ্গিক এখানে জানিনা। তবে কিছু কথা/ভাবনা রেখে গেলাম। ভেবে দেখবেন।

আমি মনে করি নারীরা তাদের ভাল কিভাবে হবে, তা' তারা বুঝে না। গড্ডালিক প্রবাহে থাকে।

আমি মনে করি - নারীর জন্য সবচেয়ে মূল্যবান জিনিষ হচ্ছে "পরিবার"। এই পরিবার ব্যবস্থা এখন হুমকির মুখে। একে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হবে।

'পরিবার ব্যবস্থা' হুমকির পিছনে যে সমস্ত কারণ রয়েছে, তা' চিহ্নিত করা এবং তা' প্রতিরোধে করণীয় ঠিক করা।

রাজনীতিতে সেই এজেন্ডা থাকতে হবে। সামাজিক আন্দোলনেও তা' সঞ্চালিত করতে হবে।

অবাধ যৌনতা ও উগ্র নারীবাদ - নারীর দুই শত্রু।

যদি একমত হন, তবে, আমি আপনার সাথে আছি। নচেৎ নাই।

ধন্যবাদ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: বিষয়টা হয়তো অন্যকোন পোস্টে আলোচনা করা যেতে পারে, এই পোস্টে আসলে এটা নিয়ে কথা বলতে চাইছিলাম না।


মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মুন্না,

ভাল থাকুন......

৪৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

সাদেকুর বলেছেন: আমি একটা জিনিস ভেবে হয়রান হই, প্রতিভা, সাহিত্য, বুদ্ধিমত্তার আবার নারী, পুরুষ আছে নাকি???

নেই, কক্ষনো থাকতে পারে না। যদি এসে পড়ে তাহলে তা আর প্রতিভা, সাহিত্য,--- --- থাকে না, তা হয়ে যায় লিংগান্তরিত ব্যাপার স্যাপার।

:( :( :(

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২১

রেজোওয়ানা বলেছেন: সেটা তো ভাই মুখে মুখে সবাই বলে, কাজে কয়জন প্রমাণ করে বলেন তো?

আচ্ছা এই ব্লগে এমন মন্তব্য নিশ্চয় অনেক দেখেছেন যে 'মেয়ে নিক হলে অনেক মন্তব্য ও হিট পাওয়া যায়" এবং এরকম মন্তব্যের সমর্থনেও অনেকেই কথা বলতে দেখেছেন না?
তখন কি মনে হয় যে মেয়েটি অনেক মন্তব্য পেয়েছে.....সে আসলে তার লেখার জন্যই পেয়েছে?

তখন কিন্তু কেউ এসব কথা বলে না!!


ধন্যবাদ সাদেকুর মন্তব্যের জন্য,

ভাল থাকবেন

৫০| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

পুচকে ফড়িং বলেছেন:
পোস্ট পড়িনাই। অনেক মাইন্ড করলাম

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০২

রেজোওয়ানা বলেছেন: :(

৫১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

দূর্যোধন বলেছেন: চৌক্ষ রাক্লাম ....

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: তেমন কাজের কথা হচ্ছে না, সবাই শুধু বলে নারী আর পুরুষ ব্লগার আবার কি.....সবাইকে ব্লগার ভাবুন!
আহা এটা যদি সবার ভাবনা হতো তাইলে তো আর অমুকে ছাইয়া না মাইয়া, আপনি ছেলে না মেয়ে, অমুক আপা, আপনি এত রাত জেগে ব্লগে কি করেন,আমুক আপা, আপনি ১৮+ পোস্টে কেন কমেন্ট করেন, মেয়ে ব্লগাররা ১৮+ পোস্ট অফলাইনে পড়ে.......ইত্যাদি ইত্যাদি আরও বহুবিধ ইস্যু নিয়ে দুই দিন পরপর ব্লগে সরগরম হইতো না!

৫২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আপনি মেয়ে নন তো কি হয়েছে, দেখছেন না ব্লগে এতদিন ধরে

আপনার এই কথার সুত্র ধরে ফিরে এলাম আবারও। আপনি আপনার পোস্টে লিখেছেন

এছাড়াও অনেকদিনের অনলাইন জগতে বিচরনে আরও একটা জিনিস খেয়াল করেছি, যখন কোন মেয়ে তার নিজের যোগ্যতায়, লেখনীর জোড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার পিছনেও ফেউ লেগে যায় অবধারিত ভাবে (যে সমস্যাটা ছেলেদের কমই মোকাবেলা করতে হয়)।

যদি অভিজ্ঞতার কথাই বলেন তবে দেখেছি এই ক্ষেত্রে ছেলেদেরকেই এমন সমস্যা মোকাবেলা করতে হয় বেশি। মেয়েরা এই ক্ষেত্রে অনেকটা নিরাপদ।

তবে দেখেছি যখন কোন মেয়ে ব্লগার এমন আক্রমনের শিকার হন তখন খুব কম মেয়েই এগিয়ে যান অথচ সেখানে ছেলেরাই যেয়ে দৃঢ় অবস্থান নেন উক্ত নারী ব্লগারের পক্ষে।

তবে অনেক নারী ব্লগারকেও দেখেছি এমন আক্রমণাত্মক ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে। সে সব কথা নাহয় বাদ দিলাম।

তবে সামগ্রিকভাবে একজন নারী্কে নারী ব্লগার থেকে ব্লগার হয়ে উঠতে হবে তা তার নিজগুনে ও চেষ্টায়।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১২

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুব কম নারী ব্লগারই প্রতিবাদ করতে জানে কারণ পারিপার্শ্বিকতা তাকে ছোট বেলা থেকেই শিখিয়ে সকল ঝামেলা থেকে গা বাচিয়ে চলতে, মাথা নিচু করে হাটতে! বখাটেরা যখন টিজ করে তখন কয়জনই বা দাবড়ানি দেবার সাহস রাখে বলেন, অনলাইনে সেই বাস্তব এক্সপেরিয়েন্সেরই প্রভাব পরে।
আমি সম্ভবত আমার পোস্টের মেসেজটা ঠিক ভাবে তুলে ধরতে পারি নাই, নারী-পুরুষের তুলনামূলক আলোচনা মূল উদ্দেশ্য ছিল না।

আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভাল থাকবেন,

শুভ দিন

৫৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: সেলিম আনোয়ার, কান্ডারী অথর্ব, ম্যাভেরিক, আমিনুরভাইসহ আরও অনেকেই মন্তব্য করেছেন। ব্লগে নারী উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম থাকায় এখানেও কম সংখ্যক নারীরা মন্তব্য করেছেন।

আমার মতে ম্যাভেরিক ভাইয়ের নীতি অনুসরণই সর্বত্তোম পন্থা।জঞ্জালসম ডিস্টার্বেন্সদেরকে উপেক্ষা করতে হবে।ব্লগ যেহেতু ভারচুয়াল জগতের একটা অংশ কাজেই কে কি বললো মানে যারা টিজার বা সমস্যাসৃ্ষ্টিকারী তাদের তেমন দায়বদ্ধতা থাকেনা। কাজেই এই সব ডিস্টারবেন্স বা টিজাররা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবেই। যেহেতু এদেরকে বাস্তবে শিক্ষা দেবার তেমন উপযুক্ত পদ্ধতি এখনও চালু হয়নি তেমন কাজেই এদেরকে প্রতিহত করার জন্য মডারেশন টিমকে শক্ত হতে হবে।

আর নারীকে শিখতে হবে উপেক্ষার সাথে প্রতিবাদ করতে। কারণ উপেক্ষা করলেও যারা টিজার তারা স্বভাবগতভাবে তাদের কাজ করেই যাবে, গায়ে পড়ে এসে লাগবে।কাজেই উপেক্ষা ও প্রতিবাদের সুচিন্তিত প্রয়োগ ঘটুক। একজনে টিজার কাকে কি বললো সে লজ্জা যাকে বলা হলো তার নয়। বরং টিজারই সেখানে হাসির ও অবজ্ঞার পাত্র। কারন সেখানেই তার শিক্ষা দীক্ষা ও রুচির প্রকাশ তার ব্যবহারেই ঘটে থাকে।

আর একটা কথা এসেছে ব্লগে নারী পুরুষ ভেদাভেদ না করে ব্লগার হিসাবে দেখা উচিৎ। এখানে একটা কথা আছে ব্লগে নারী পুরুষ হিসাবে না দেখে ব্লগার হিসাবে দেখা উত্তম বটে তারপরও আমরা নিশ্চয় পারবোনা আমাদের নারী স্বত্বা বাদ দিয়ে গলা বাড়িয়ে ঝগড়া বা গালাগালিতে সামিল হতে। যাচ্ছেতাই শব্দ ব্যাবহারে নিজের শিক্ষা,দীক্ষা, রুচি ও পরিবারের অসন্মান ঘটাতে। তাহলে তো তাসলিমা নাসরিনের মত সেই নারী পুরুষের একই দাবী জানাতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের নারীদের সভ্যতা ভব্যতা বিসর্জন দিতে হবে।

প্রতিবাদ মানেই যাচ্ছেতাই ভাষার ব্যাবহার না। প্রতিবাদ মানেই গলায় গলা মিলিয়ে রুচিহীন ঝগড়া না।

আমি অবশ্যই মনে করি আমরা নারী পুরুষ সম অধিকার চাইলেও আমাদের নারীদের নিজেদের সন্মান রাখবার জন্যও কিছু জিঘাংসামূলক অপরিছন্ন রুচিহীন বাক্য প্রয়োগ ও ব্যাবহার এ সংযত হতে হবে। নারী পুরুষের সাম্যতা চাই বটে। সম অধিকারও চাই বটে তাই বলে নারীসত্বা বিসর্জন দিয়ে নয়। কারণ প্রকৃতিগতভাবেই নারী নমনীয়, শান্ত, কোমল, মায়া ও দয়ার আঁধার।

এ বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল ফলিয়াছে যত ফল
নারী দিলো তাতে রুপ রস মধু গন্ধ সুনির্মল।

কাজেই প্রতিবাদ হোক রুচিশীল, পরিমার্জিত ও যৌক্তিক। যদিও কিছু কিছু অবাঞ্ছিত মানুষ ভদ্রতাকে দূর্বলতা ভেবে বসে। তারপরও বলবো ঠান্ডা মাথায় এসব সমস্যার মোকাবেলা করে পথ চলতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে। আর নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের বিবেক জাগ্রত হোক।

এই সুন্দর পোস্টটার মাঝখানে কিছু অপ্রত্যাশিত কমেন্টে আমরা একে অন্যকে ঘাত প্রতিঘাত করার চেষ্টা, অপমানিত করবার আকাঙ্খা ও ধৈর্য্যহীনতার পরিচয় পেয়েছি।

আমার মতে আমাদের লিঙ্গীয় বৈষম্য, অকারণ বিদ্বেষ, হিংসা, ক্ষোভ এসব বাদ দিয়ে সুস্থ মানষিকতা নিয়ে চিন্তাশীল লেখা ও কমেন্ট করা উচিৎ। ব্লগে সবার থেকে একই মানের লেখা, একই আচরণ আমরা পাবোনা বটে তবে সেটা যদি একে অন্যের ক্ষতি বা মনোকষ্টের কারণ না ঘটে থাকে তাতে তো কোনো সমস্যা নেই।

আমি ব্রুটাসভাইকে বলবো ব্যাপারটা ভেবে দেখতে। কিছুদিন আগে আমার একটি পোস্টে উনার সুন্দর একটি মন্তব্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম আমি, যেখানে নারীদের সমতার ব্যাপারে নারীদের আগে পুরুষদেরকেই যেন আমরা ভাবতে শেখাই এমনি একটি মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

কিন্তু এই পোস্টে তার মন্তব্যে নারীদের ব্যাপারে আবার বিদ্বেষমূলক কন্ট্রাডিকটরী মন্তব্য দেখে একটু অবাক হলাম। ব্রুটাসভাই নারী পুরুষ নির্বিশেষে একটু পজিটিভলি ভাবতে চেষ্টা করলে হয়তো আমরা আরও উন্নত হবো।

লেখক এইখানে বলেওছেন আপনার কথার ভিত্তিতে যে মুখে অনেক কিছুই আমরা বলি যার বাস্তব প্রতিফলন ঘটানো তো দূরের কথা স্বপ্নেও তা আনিনা। কাজেই শুধু বলার জন্য বলা নয়। কর্মেও সুচিন্তার বাস্তব প্রোয়োগ ঘটাতে হবে।

এইখানে আমিনুর ভাই যে কথাটি বলেছেন সিন্ডিকেট বা দলীয় পারসিয়াল্টি বা চোখ বুঁজে থাকার ব্যাপারটির কথা সে কথাটিও ভাববার মত। আসলে শুধুই নারী বা পুরুষ বলে নয়। আমাদেরকে ইন জেনারেল উন্নত মানষিকতার চর্চা চালাতে হবে।

আর হ্যাঁ অবশ্যই নারীদের সাথে সাথে এইখানে পুরুষদের সহযোগিতা অবশ্য প্রয়োজন। তবুও নারী চলুক এগিয়ে সকল প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা পরিহার করে উপেক্ষা করে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: আর নারীকে শিখতে হবে উপেক্ষার সাথে প্রতিবাদ করতে। কারণ উপেক্ষা করলেও যারা টিজার তারা স্বভাবগতভাবে তাদের কাজ করেই যাবে, গায়ে পড়ে এসে লাগবে।কাজেই উপেক্ষা ও প্রতিবাদের সুচিন্তিত প্রয়োগ ঘটুক।
প্রতিবাদ মানেই যাচ্ছেতাই ভাষার ব্যাবহার না। প্রতিবাদ মানেই গলায় গলা মিলিয়ে রুচিহীন ঝগড়া না।
আমাদেরকে ইন জেনারেল উন্নত মানষিকতার চর্চা চালাতে হবে।

আর হ্যাঁ অবশ্যই নারীদের সাথে সাথে এইখানে পুরুষদের সহযোগিতা অবশ্য প্রয়োজন।



আপনার চমৎকার অংশগ্রহণের জণ্য অনেক ধন্যবাদ ময়ুরাক্ষী!

ভাল থাকবেন,

শুভদিন

৫৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আমার ব্লগীয় জীবনে এখন পর্যন্ত এরকম কোন উদাহরণ দেখিনি যে শুধু নারী হওয়ার কারণে কাউকে ব্লগে আক্রমন করা হয়েছে। খুব বেশদিন হয়নি ব্লগিং করছি, হয়ত এ কারণে এরকম কোন কিছু চোখে পড়েনি।

মতের অমিল হলে মানুষ বিরূদ্ধমত প্রকাশ করবেই, এটাই স্বাভাবিক। তবে অশ্লীলভাবে কাউকে আহত করা সেটা পুরুষ/নারী যাকেই করা হোক না কেন কোন ভদ্র/সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।

অফটপিক : হুবহু এই লেখাটাই যদি রেজোওয়ানা না হয়ে কোন রাজু বা রাজন লিখতেন তাহলে ১০ টার বেশী মন্তব্য পাওয়া যেত কিনা এ নিয়ে আমার যঠেষ্ট সন্দেহ আছে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার অফটপিকে দৃষ্টি আকর্ষণ হলো বিধায় স্কিপ করে এখানে আসলাম, একটা আলোচনার সুযোগ দেখতে পাচ্ছি।

"হুবহু এই লেখাটাই যদি রেজোওয়ানা না হয়ে কোন রাজু বা রাজন লিখতেন তাহলে ১০ টার বেশী মন্তব্য পাওয়া যেত কিনা এ নিয়ে আমার যঠেষ্ট সন্দেহ আছে।"....................তার মানে কি এই যে 'রেজোওয়ানা' নামক স্ত্রীবাচক নামের জন্য এত মন্তব্য এবং রাজু বা রাজন যেহেতু একটি পুরুষ বাচক না সেই কারণে তারা মন্তব্য কম পেত?

তার মানে কি এটা দাড়ায় যে ব্লগারা আসলে স্ত্রী বাচক না দেখে পোস্টে মন্তব্য করে, ব্লগার কি লিখলো না লিখলো সেটার কোন গুরুত্ব দেয় না?
যেমন রেজোওয়ানা গত চার বছরে প্রায় দেড় শতাধিক মৌলিক পোষ্ট দিয়েছে ব্লগে, সকলের সাথে মোটামুটি একটা বন্ধুত্ব সূলভ ইন্টারেকশন আছে তার.....এখন তার পোস্টে মন্তব্যের জন্য একজন ব্লগার কোন বিষয়টা দেখে....সেটা কি তার স্ত্রীবাচক নাম, নাকি তার এতদিনের লেখালেখির কারণে যে মোটামুটি একটা অবস্থানের তৈরি হয়েছে সেটা?

আপনার কি মনে হয় না, যে এই পোস্ট যদি দূর্যোধন বা হাসান মাহবুব দিত তাহলে আরও বেশি মন্তব্য আসত?


আলোচনা এটা নিয়ে চলতে পারে, কি বলেন?

৫৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

তীর্থক বলেছেন: প্রথমত, আপনি কেন নিজেকে নারী ব্লগার ভাবছেন? নিজেকে শুধু একজন "ব্লগার" ভাবুন তাহলেই দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়ত, কে কাকে কি বলছে, টীজ করছে কি না, কেন করছে এগুলো নিয়ে ভাবা কি জরুরী? ব্লগে আপনি এসেছেন; আপনার যা খুশি তাই লিখুন । ভাল লেখা পড়ুন সেটা যে বিষয়েই হোক। আর মন্তব্য করুন সেটাও যেকোন বিষয়েই। আপনার মন্তব্যে কারও গা'জ্বলুনি হল কি না তা নিয়ে আপনার ভাবনা কেন?

তৃতীয়ত, "বাংলা ব্লগে নারীদের অংশগ্রহন" বিষয়ে এই লেখাটি'র অবতরন কোনও ছেলের পক্ষে কি করা সম্ভব? সম্ভব, তবে যদি ব্যাংঙ্গ শোনার মত সাহস থাকে। আপনি অবতরন করেছেন আর আমি ২০১৩তে এসেও এ বিষয়ে কোনও লেখার অবতরন হতে পারে তা ভাবতেই পাড়ি না।

চতুর্থত, আমি সামুতে প্রথম আসি ২০০৬ এর ১৭ ই ফেব্রুয়ারী। তখন থেকেই একটা বিষয় এস্টাব্লিষ করতে চাচ্ছিলাম আর তা হচ্ছে সামু'কে যেন অশ্লীলতায় পেয়ে না বসে। মানে অশালীন শব্দচায়ন এড়িয়ে চলা। "স্রেয়শী বসু", "মহুয়া মন্জুরী" এবং "মাসুদা ভাট্টি" সে সময়ন লিখত, যাদের লেখায় অনেক অশালীন শব্দ পাওয়া যেত। তারা ইসলাম নিয়েও অনেক নোংরা কথা লিখত যা আমি ঘৃনা করি। ব্লগের স্বাধীনতা বলতে আমি বুঝি আমি আমার মত যা খুশি লিখতে পাড়ি কিন্তু তা যেন অন্যকে হেয় না করে বা অন্যের বিশ্বাস'কে আঘাত না করে। ঐসব লেখকদের এবং তাদের লেখার অনেক ভক্তও ছিল যারা অশ্লীলতাকে এবং সাম্প্রদায়িতাকে উসকে দিতে পছন্দ করে। কিন্তু এক সময় তারা ঝরে গেছে। অথবা নিক চেইন্জ করে অন্য কোন নামে লিখছে।

এবার নিচের অংশটি পড়ে বলুন অশ্লীল কি না। এটা লেখকের প্রতি আমার প্রশ্ন।

"ভালোবাসা হচ্ছে শারীরিক আকর্ষন, তারপর নির্ভরতা আর শেষ পর্যন্ত অভ্যাস।"
আমার প্রীয়তমা আমাকে কখনই ভালোবাসতোনা যদি সে জানত আমি শারীরিকভাবে সক্ষম নই। আমার ক্ষেত্রেও তাই। কোনও মেয়েকে ভালোলেগেছে আর তার বুকের দিকে তাকাই নি, কিংবা চোরের মত তার শরীরে'র বাঁকে বাঁকে কি সুর বেজে চলেছে তা একবারও দেখতে চাইনি এটা কখনো হতেই পারেনা। আমি চোর হতে পাড়ি কিংবা ডাকাতও। তবু তাকে স্পর্শ করার জন্য, তার বুকের সিম্ফনি'তে ডুবে যাওয়ার জন্য আমি যুগ যুগ অপেক্ষা করতে পারতাম। আমি বহুবার অনুভব করেছি, আমার প্রীয়তমার ভেজা শরীরটা একবার শুধু একবার বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরার জন্য আমি ব্যকুল হয়ে থাকতাম। আমার ভিতরটা কেঁপে কেঁপে উঠত। আমি সব ভুলে শুধু আমার প্রীয়তমার কথাই ভাবতাম। ঐ কথা বলা চোখ, ঐ নিকষ রাতের মত কালো চুল, ঐ বিকেলের সোনা রোদের মত গাল, ঐ ভেজা ঠোট.......। আমার শরীরে ভিসুভিয়াসের লাভা টগবগ করত। আমি জীবন বাজি রাখতে পারতাম শুধু তাকে একবার জড়িয়ে ধরার বিনিময়েই।

আমি আর তেমন করে আমার প্রীয়তমা'কে ভালোবাসতে পারিনা। ওর শরীর আর এখন আমাকে আগের মত টানেনা। সেই ত একই চোখ, একই চুল, একই গাল, একই ঠোট....। এতে আর নতুনত্ব কি আছে? তার মানে এই নয় যে আমি আর ওকে চাইনা। আমি এখনও ওকে ছাড়া কোনও কিছুই ভাবতে পারিনা। আমার সব হিসেব নিকেশ, সব ভালো মন্দ, সব চওয়া পাওয়া এখনও ওকে ঘিরেই। কিন্তু একই সঙ্গে খুব ভালোমতই অনুভব করি এটা আর সেই পুরোন ভালোবাসা নয়। এটা নির্ভরতা। পাশাপাশি থাকতে থাকতে আর একই রকম করে ভাবতে ভাবতে যার জন্ম হয়ে যায় নিজের অজান্তেই।

তারপর ভালোবাসা আরও ফিকে হবে। নির্ভরতা আরও বাড়বে। আর বাড়তে বাড়তে একটা সময় সব কিছু অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাবে। তখন চলতে থাকব যে যার মত। সকালে নাস্তা, বিকেলে ভাত, সন্ধায় চা'য়ে ডুবিয়ে বিস্কুট আর রাতে... হয়ত দুধ-ভাত। ঠান্ডায় গা'য়ে সাল জড়িয়ে নেয়া আর আঁর চোখে লক্ষ করা, আমার প্রীয়তমা গায়ে সালটা ঠিকভাবে জড়িয়েছে ত। তখন হয়ত স্মৃতিরা মাঝে মাঝে হানা দেবে। সপ্নের ডানায় ভর করে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেই কুশুম কুশুম ভালোলাগা আর ভালোবাসার মুহুর্তগুলোতে।

তাহলে? ভালোবাসা কি? আঁর চোখে লক্ষ করা, আমার প্রীয়তমা গায়ে সালটা ঠিকভাবে জড়িয়েছে ত?

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার প্রথম কথার উত্তর আমি নিজেকে কখনোই 'নারী ব্লগার' বলে দাবি করি নাই, সেই ধরনের কোন আচরনও করি নাই......এই পোস্টটা একটা বিশেষ সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে ব্লগারদের মতামত জানতে চেয়ে দেয়া হয়েছে, যেটা আমি পোস্টের নীচেই উল্লেখ করেছি। যেহেতু সেই আলোচনাটা হবে শুধু মাত্র 'নারীদের' নিয়ে তাই শিরোনামটা এমন দেখতে পাচ্ছেন।


কে কি বলেছে, কি মন্তব্য করছে সেটা ভাবা জরুনী না এটা শুনতে খুব ভাল শোনালেও শুধু মাত্র এই 'বলা' এবং 'কথার' কারণে গত তিন বছরে ব্লগ থেকে ঝরে গেছে বেশ কয়েকজন প্রতিশ্রুতিশীল ব্লগার......আপনি যেহেতু অনেকদিন ধরেই আছেন ব্লগে, পুরো ঘটনা প্রবাহ গুলো আপনার চোখে পড়ার কথা।

ব্লগে মেয়েদের হেনেস্তাকরণ নিয়ে সব চাইতে প্রথম এবং কার্যকরি পোস্টটি ছিল দূর্যোধনের.....সুতরাং ছেলেরা কেন এই বিষয়ে পোস্ট দিতে পারবে না, এবং পোস্ট দিলে সেটা হাস্যস্পদ হলো সেটা আমার বোধগম্য হলো না।
একজন পুরুষ যদি "ধর্ষন থেকে বাঁচার উপায়" শিরোনামে পোস্ট দিতে পারে, এবং সেটায় নারী-পুরুষভেদে সবাই স্বত:স্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে তাহলে "বাংলা ব্লগে নারীদের অংশ্র গ্রহণ' শীর্ষক পোস্ট কেন তার জন্য অসম্ভব হবে?

২০১৩ তে এসে যদি এমন কথা ব্লগারদের (নারী) শুনতে হয় যে সে এত রাত জেগে ব্লগে কি করে, কেন সে অমুক ব্লগারের পোস্টে বেশি মন্তব্য করে, কেন সে তমুক ব্লগারের পোস্ট বেশি প্রিয়তে নেয়, অমুক নিকটা ছেলে না মেয়ে, কোন ব্লগারকে দিনের পর দিন ব্লগেই বিয়ের এবং প্রেমপত্র লিখে লিখে বিব্রত করা হয় তখন এই শিরোনামে পোস্ট আসাটাই খুব স্বাভাবিক বলেই আমার মনে হয়।



সব চাইতে শেষের যে বিষয়টা জানতে সে বিষয়ে বলি সাহিত্যে শ্লীলতা এবং অশ্লীলতা বিষয়টা সময়, প্রেক্ষিত এবং উপস্থাপনের উপর নির্ভর করে। এক সময়ে শরৎচন্দ্রের 'চরিত্রহীন' উপন্যাসটাকেও অশালীন বলা হয়েছিল, এখন আমাদের কাছে সেটা কোন রকমই মনে হয় না

আশাকরি বোঝাতে পেরেছি।

আলোচনায় অংশ নেবার জন্য ধন্যাবাদ,

ভাল থাকুন

শুভ দিন.......

৫৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: প্রথমত একটা জিনিশ কমন যেটা হলো মেয়েদের কমনীয় মোহনীয় রুপে দেখে অভ্যস্ত পুরুষরা মেয়েদের বোল্ডনেস বা রাজনৈতিক মন্তব্য দেখে মেয়েটি নারী না পুরুষ সেটা নিয়ে খোচাখুচি করেন কিছু সহব্লগার। উপরে একজন বলছেন নিজেকে ব্লগার ভাবতে মেয়ে নয়। হ্যাঁ তাই। কিন্তু সমস্যা হলো কেউই তা করতে পারেন না। মেয়েদের একচুয়েলি ভার্চুয়েলি উভয় যায়গাতেই ইভটিজিং এর শিকার হতে হয়। যেটা উপরের অনেকের মন্তব্যে ক্লিয়ার হচ্ছে। এখানে আমি বিচার দিতে আসি নি শুধু মতামত দিতে এসেছি। কিন্তু মেয়েরা যখন যুক্তি পাল্টা যুক্তি দিতে যায় তখন তাদের খুব সুন্দর করে বোল্ড করে দেয়া যায় বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলে। আমি নিজে এর শিকার হয়েছি কেউ চাইলে লিঙ্কও দিতে পারবো। সে যাই হোক। পোস্ট এর মোটিভ অনেকে ধরতে পারছেন না উপরের অনেক কমেন্টে যেটা স্পষ্ট। তবে এটাই সত্য যে সবাই নেগেটিভ না। সহব্লগারদের (পুরুষ) হেল্প না পেলে অনেকেই ব্লগ ছেড়ে চলে যেত।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: তোমার চমৎকার এবং পরিস্কার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, এই বিষয়টাই আসলে আমি চাইছিলাম।

সম্ভবত আমি আমার পোস্টটার মোটিভটা পরিস্কার করে তুলে ধরতে পারি নাই.........



ভাল থেকো,

শুভ দিন

৫৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩০

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: আমিনুর রহমান বলেছেন " মনে করুন আপনার পরিচিত ব্লগাররা ব্লগে সিণ্ডিকেট বা জনপ্রিয় একজন ব্লগার কোন নারী'র সাথে বাজে ব্যবহার করলো আপনিই (ধরে নিলাম) হয়ত সেখানে যাবেন না। আমি বলতে চাইছি নারী অবমাননায় নারীরাই প্রতিবাদ করে না। নারীদের অংশগ্রহনটা খুব জরুরী। "

এটার অনেক গুলো প্রমান আমার কাছে আছে ।তার মধ্য থেকে একটার কথা বলি। সামুতে যখন এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা নতুন এসেছিল তখন ওকে অনেকেই হেনস্থা করেছিল । সে সময় কোন নারী ব্লগার তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি , শেষে অবস্থা যখন বেশি ভয়াবহ তখন আমিই প্রথম ওকে নিয়ে Click This Link এই পোস্টাট দিয়ে প্রথম প্রতিবাদ করেছিলাম। শুধুমাত্র একটা এক্সাম্পল দিলাম।

একজন নারী ব্লগার এর বিপদে আর একজন নারী ব্লগারকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

তা নাহলে একজন নারী ব্লগার এর সবচেয়ে বড় শত্রু আর একজন নারী ব্লগার এই অপবাদ থেকে নারী ব্লগাররা বের হতে পারবেনা।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুব কম নারী ব্লগারই প্রতিবাদ করতে জানে কারণ পারিপার্শ্বিকতা তাকে ছোট বেলা থেকেই শিখিয়ে সকল ঝামেলা থেকে গা বাচিয়ে চলতে, মাথা নিচু করে হাটতে! বখাটেরা যখন টিজ করে তখন কয়জনই বা দাবড়ানি দেবার সাহস রাখে.....এটা আমাদের সমাজিক প্রেক্ষিতে খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা বলেই মনে করি আমি!

আজকে যেমন তুমি স্বর্ণার পাশে এসে দাড়িয়েছো, অতীতেও এমন 'ভেবে ভেবে বলি বা রেজোওয়ানা বা সরলতা বা রাগইমন বা সুরঞ্জনা এমন অনেক অনেক নাম; কারো না কারো হাত ধরেছে এবং ভবিষ্যতেও কেউ না কেউ, একজন হলেও এগিয়ে আসবে......এভাবেই আসলে এগিয়ে যাবার রাস্তাটা শক্ত করে গড়তে হয়।

৫৮| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪০

রোজেল০০৭ বলেছেন: নারী বা পুরুষ নয়, সব ব্লগারের সমন্বয়ে একটি সুস্থ ধারার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠুক বাংলা ব্লগ এর এই ক্রমবর্ধমান বিকাশ ধারা।

সকল ব্লগ এবং ব্লগারদের জন্য শুভকামনা রইলো ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ রোজেল ভাই!


ভাল থাকবেন,

শুভ দিন

৫৯| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪০

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: বাংলা ব্লগ গুলোতে মেয়েদের অংশগ্রহন বিগত দুই বছর কম হলেও ফেইসবুকে কিন্তু দিগুন হারে বাড়ছে :)

আমার খুব কাছের দুইজন মানুষকে আমি পোস করেছিলাম ব্লগিংয়ে কিন্তু কেন জানি তারা আসেন নাই, কিন্তু তারা দুইজন খুব ভাল লেকেহন, ফেসবুকে খুব একটিভ এবং জনপ্রিয়!

** টিজাররা হয়ত এখানে একটা অন্যতম কারণ তয় একমাত্র কারণ নয়!

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: ফেইসবুকে অংশ গ্রহন বেড়ে যাবার অনেক কারণ গুলোর মধ্যে একটা সেই নিরাপত্তাবোধ! ফেইসবুকে কে কে ইন্টারেকশনে আসবে সেটা নিজে নিয়ন্ত্রন করা যায়, ব্লগে সেই সুযোগ নাই..........এটা একটা অন্যতম কারণ বলে আমার মনে হয়! যে কারণে অনেক কিছুই যেখানে ফেইসবুকে অবলীলায় লিখতে পারি, ব্লগে সেটা করা সম্ভব নয়!



ধন্যবাদ মাসুম ভাই,

শুভ দিন

৬০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫০

অচিন্ত্য বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, আপনার এই ব্লগখানা পড়ে মনে হয়েছে এই জায়গায় আপনি কো-অর্ডিনেটর। আমরাই মূল আলোচক। তাই বড় করে লিখতে দ্বিধা করলাম না।

বাজনা
এক সময় খেয়াল করলাম যে ছোটবেলা থেকেই আমি কোন সচেতন চেষ্টা ছাড়াই লিংগীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধমনোভাব পোষণ করে আসছি। ছোটবেলাতেই মনে হত ফুটবল দলে শুধু পুরুষ খেলোয়াড় কেন, এখানে তো ‘পুরুষদের ফুটবল’ বলা হয় নি। মহিলা হওয়ার কারণে যেসব জায়গায় বৈষম্যের স্বীকার হতে হয়, সে জায়গাগুলো কীভাবে যেন আমার চোখে পড়ত। এক সময় বুঝতে শিখলাম সব বৈষম্য সমতাযোগ্য নয়; কারণ সব বৈষম্য বৈষম্য নয়। প্রাকৃতিক নিয়মে পুরুষ-মহিলার বৈসাদৃশ্যঘটিত অনেক বিষয়কে অনেক সময় বৈষম্য মনে হয়ে থাকে।

একটা সময় ছিল যখন মনে মনে পুরুষ-মহিলাকে ভেদহীন সমতলে দেখার চেষ্টায় অনেক বাস্তবতাকে হয় এড়িয়ে গিয়েছি না হয় অস্বীকার করেছি। অর্থাৎ যা একজন পুরুষ করতে চায় বা করে বা করতে পারে বলে মনে হয়, একজন মহিলার ক্ষেত্রেও তা করতে চাওয়া, করা বা করতে পারার সক্ষমতা ধরে নেওয়াকেই আমি এই সমতলের ভূমি ধরেছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝতে শিখলাম যে এই ভেদহীনতার নির্দেশক এতটা সরল নয় এবং এর সাথে সামাজিক-সাংস্কৃতিক বাস্তবতার যথাযথ প্রাসঙ্গিকতাকে আমলে না নিলে এর জটিলতার প্রকৃতিটা আড়ালেই থেকে যায়। তারপরে একটা সময়ে এসে মনে হল সবার আগে চারপাশের বাস্তবতাটার দিকে নির্লিপ্ত চোখে তাকাতে হবে। এই নির্লিপ্তিই হবে লিংগীয় বৈষম্য বিষয়ক যাবতীয় চিন্তার মূল ভিত।

এই নির্লিপ্তির অনুপস্থিতি মারাত্মক; যিনি লিংগীয় বৈষম্য বিষয়ে সচেতন তার জন্যও, যিনি নন তার জন্যও। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। বাসে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত সিট বিষয়ে বিচিত্র ধরণের মানসিকতা দেখা যায়। একদল বলে থাকে পুরুষ মহিলার যদি সমান অধিকারই হবে তাহলে সংরক্ষিত সিট কেন। আরেক দল মনে করে মহিলাদের সংরক্ষিত সিট বাদে বাকি সিটগুলোতে মহিলাদের বসার অধিকার নেই। বিষয়টিকে এভাবে দেখা যেতে পারেঃ প্রথম দলটি যদি বিদ্যমান বাস্তবতার দিকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তাকাত তবে দেখত যে বিশ্বের ‘অগ্রসরমান’ অঞ্চলের তুলনায় আমাদের এখানে মহিলারা অনেক বেশি পিছিয়ে আছে; তাই এখানে মহিলাদেরকে বেশি সুযোগ দিয়ে সমতাবিধানের চেষ্টাকে তখন তাদের চোখে অসংগত কিছু মনে হত না। দ্বিতীয় দলটি যদি সভ্যতা প্রত্যয়েরও বেশি বয়সী পুরুষতান্ত্রিক মনোকারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ‘সংরক্ষিত’ বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করত তাহলে তারাও দেখতে পেত যে অবশিষ্ট সিটগুলো পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত নয়।

আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ বাংলা ব্লগে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টিও লিংগীয় বৈষম্যজনিত একটি পরিস্থিতি। তাই এখানেও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বাস্তব অবস্থাটা দেখা প্রয়োজন। তার উপরে সুস্থ আলোচনার দোহাই এই প্রয়োজনকে আরো জোরালো করেছে।

খাজনা
আমরা ছোটবেলা থেকে পুরুষ এবং মহিলার ‘জেন্ডার রোল’ অপরিহার্য এবং স্বাভাবিক বলে ধরে নিতেই শিখে থাকি। এ কারণেই আমরা কোমলতাকে নারীসুলভ বলে শিখে থাকি। এর ব্যত্যয় দেখলে অনভ্যস্ত চোখ প্রথমে জিজ্ঞাসু হয়। পরে প্রতিক্রিয়া দেখায়। প্রতিক্রিয়া দেখানোর ক্ষেত্রে আমরা বিশ্লেষণধর্মী হতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি না। নারীকে সুদীর্ঘকাল ধরে চলে আসা ভূমিকায় না দেখাকে এক ধরণের সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের সঙ্গেও মিলিয়ে দেখা হয়ে থাকে। এই অবস্থার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট মহলকে আমার দোষী মনে হয়। আমাদের মধ্যে একটি দল আছে যারা প্রগতির মেকাপ নিয়ে সং সেজে আছে। আমার প্রশ্ন জাগে- ময়ূরের পেখম পরে কাকের ময়ূর হওয়ার চেষ্টার নাম প্রগতি ? সামাজিক সাইটে অন্যের বিশ্বাসকে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করার নাম প্রগতি ? সেইসব প্রগতিসংদের বলতে চাই, প্রগতি কথাটার ভেতরে অনেক বিবেচ্য বিষয় রয়েছে। এবং প্রতিটি বিষয়ের পরিমিত মিথষ্ক্রিয়া ছাড়া বিভ্রান্তি অনিবার্য। আর এই ধরণের বিভ্রান্তি প্রতিটি শুভ উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে। এই দলেরই সুবাদে প্রগতিকে ধর্মবিরোধী অবস্থানে দেখার কিংবা নারীমুক্তির আহ্বানকে শালীনতার উল্টোপথ হিসেবে চিহ্নিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ক্ষোভের কথা থাক। যেভাবেই হোক, নারীকে তার চিরাচরিত ভূমিকায় দেখতেই আমরা স্বছন্দ এবং এর ব্যতিক্রমের প্রতি আমরা সহনশীল নই; আমরা এই ব্যতিক্রমের কারণ বা যৌক্তিকতা খুঁজে দেখতে প্রস্তুত নই। প্রস্তুতির এই অভাব কিন্তু আমাদের প্রগতির বাণীকে নিছক তত্ত্ব হিসেবেই প্রতীয়মান করে।

দু’টি পর্যবেক্ষণ
আমি এই সাইটে প্রায় আড়াই বছর হল লিখছি-পড়ছি। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি নারী ব্লগারের পোস্টে ক্লিক তুলনামূলক বেশি পড়ে। নারী ব্লগারের ব্লগে প্রশংসার পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে বলে মনে হয়; অবশ্য এই ব্লগগুলো যদি কোমলস্বভাব হয়। ব্লগ যদি কঠিনস্বভাব হয়, তারপরও ক্লিক তুলনামূলক বেশিই মনে হয়েছে। এই ধরণের ব্লগে নারী-পুরুষ উভয় ব্লগারকেই যথেষ্ট কথা শুনতে হয়। তবে নারী ব্লগারদের ক্ষেত্রে এই কথার ধারা প্রায়শই বেপথু হতে দেখি। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই এমন সব কথা দেখি যা একজন পুরুষের চেয়ে একজন নারীকে বেশি মর্মাহত করবে। এবং মন্তব্যকারী ব্লগারের নারী পরিচয়টিকে ঘিরেই তার গোপন প্রবৃত্তি ক্রমশ প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। ব্লগার নারী হলে তাকে নিয়ে ইতি/নেতি দুই হৈচৈই বেশি হতে দেখে থাকি। আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে একজন নারী ব্লগার গত বছর এই সাইটে লেখালেখি শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই একই নিক’এ আরো একটি ব্লগ শুরু হয়। এই বিষয়টা নিয়ে সেই নারী ব্লগারকে কম হেনস্তা করা হয় নি। ব্লগার নারী হলে তাকে নিয়ে বেশি হৈচৈ করার কারণ ফ্রয়েড বেঁচে থাকলে ভাল বলতে পারতেন।

প্রসঙ্গত একটি বিষয় উল্লেখ করি। দু’একজন নারী ব্লগারকে আমি ঠিকমত পাঠ করতে পারি না। আমার কেন যেন মনে হয় তাদের ব্লগ প্রায়ই রুক্ষ্ম অবস্থার মুখোমুখি হয় ঠিক এই কারণে নয় যে ওগুলো কঠিনস্বভাব বা তিনি নারী ব্লগার। আমি এমন একজন নারী ব্লগারকে চিনি যার ব্লগ যথেষ্ট কঠিনস্বভাব; তিনি অনেক ক্লিক পেয়ে থাকেন এবং তাকে অনেক আলাপ এবং প্রলাপ ভোগ করতে হয়। মজার বিষয় হল তিনি তার ব্লগের এই ক্লিকের পরিমাণটা উপভোগ করেন এবং এই বিষয়টিকে তার ব্লগের মানের একটি সূচক মনে করেন। তার যে বিষয়টি আমার খুব একটা ভাল লাগে না তা হল- তিনি নিজে প্রচলিত অনেক কিছুর বিরুদ্ধ মনোভাব দেখালেও তার ব্লগের বিরুদ্ধমত তিনি সহজে গ্রহণ করতে পারেন না। একবার তার মতের বিরুদ্ধে একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি লিখেছিলেন যে তার ব্লগ হাজারের উপর ক্লিক পেয়েছে এবং শ’এর উপর প্রিয়তে নেওয়া হয়েছে; কাজেই এই মতের বিরুদ্ধে মত দেওয়াটা বোকামি। তারপরও তার ব্লগ আমি উপভোগ করি। অনেক দিন তিনি এই সাইটে লেখেন না। এবং তার সর্বশেষ ব্লগের বিষয়বস্তু দেখে মনে হয় তিনি রুক্ষ্ম অবস্থায় মর্মাহত হয়ে এই সাইটে আর লেখেন না।

এবার শেষ করি
আমরা প্রগতির কথা বলতে এবং শুনতে যতটা পছন্দ করি, তা বাস্তবে প্রয়োগ করতে ততটা মনে হয় করি না। যদি না করি, তাহলে আমাদের বাক্যাচার ভণিতা আর ভণ্ডামির নামান্তর। যদি করি, তাহলে ব্লগে আমরা তার প্রতিফলন দেখাই না কেন। শেষ হইয়াও হয় না শেষ, প্রশ্ন থাকে- কারা কারা মিলে আমরা।

[খাজনার চেয়ে কি বাজনা বেশি হইল ? যাহা হোক, ইউ আর থ্যাংক্স ফর টাইমিং রিড টু দিস কমেন্ট (আমার ছোটবেলার ডাক নাম ছিল ‘বাবু’, তখন থেকেই ‘ইংলিশ’ চর্চা করি)]

মতবিনিময় এবং সম্মেলনপরবর্তী অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন- এই অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: অচিন্ত্য, আমার পোস্টের মোটিভ বুঝতে পেরে এই ই অসাধারণ মন্তব্যটি করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবে..........

৬১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

গোর্কি বলেছেন: কেন মানবগোষ্ঠীর মধ্যে লিঙ্গ, ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম প্রভৃতির ভেদাভেদ, সেটা আমার বোধগম্য নয়। তবে একটা জিনিস খুব ভাল বুঝি " শুনহ মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই "। পৃথিবীর প্রত্যেক সমাজে এ জাতীয় কুলাঙ্গার বিদ্যমান। এদেরকে সমূলে উৎপাটন করা যাবে কিনা জানি না, প্রতিহত করা সম্ভব।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক, প্রতিহত করা সম্ভব......


মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!


সময় ভাল কাটুক আপনার......

৬২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ম্যাভেরিক ভাইয়ের সাথে সহমত। প্রতিবাদ ও উপেক্ষা দুটোই সুনির্বাচিতভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!


সময় ভাল কাটুক আপনার......

৬৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১১

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: হুম । সবাই মেয়েদের গল্প, কবিতা, ছবি, ভ্রমন, রান্নাবান্না এই ধরনের নারী সুলভ নমনীয় এবং কমনীয় (!!) ঘরনায় দেখতে পছন্দ করি । কিন্তু এটা কেন হবে? মেয়েরা কি রাজনীতি বোঝে না? ধর্ম বুঝে না ? অনেকেই আমাকে বিরত থাকতে বলেছেন এসব পোস্ট দেয়া থেকে এমনকি লাইক দেয়া থেকেও । এদের মধ্যে কেউ কেউ আমার খুব প্রিয় মানুষ । তারা আমাকে ঝামেলা মুক্ত রাখতে এ অনুরোধ করেছেন । আমার বাসাতেও আমাকে কঠিন ভাবে বলে দেয়া হয়েছে কোন বিতর্কিত পোস্ট এ যেন না যাই । ব্লগে গল্প বা কবিতাতেই যেন সীমাবদ্ধ থাকি ! আমি প্রতিবাদ করেছি । আমি অনেক কম জানি । তারমানে কি আমি জানতে চাইতে পারি না? আমার স্বল্প জানা নিয়ে আমি চেষ্টা করবো না? আমি শিখবো না ? না ! আমাকে বলে দেয়া হয়েছে এসব ভালো মেয়েরা করে না। ওসব মেয়ে উদ্ধত । তারা স্বামী সংসার মানে না। আমার নিজের মা বলেন , কি হয় এবব লিখে ? কবিতা না লিখলে হয় না? সেই সময়টুকু আল্লাহ খোদা করো বা মেয়েদের যত্ন নাও । স্বামী সেবা করো। স্বামী রাগ হলে আল্লাহ কঠিন গুনাহ দেবেন । এই হচ্ছে আমাদের চারপাশ । এদের মধ্যে দিয়েই ফেসবুকিং বা ব্লগিং ! চেষ্টা করতেই হবে। একজন মেয়ে বা ছেলে বলে কেন? যে কোন ব্লগার বা ফেসবুকার পারে তার স্বাধীন মতামত জানাতে । তার ভুল হলে কেউ তাকে ভুল ধরিয়ে দাও । তাকে হেয় করো না। কেউ সবজান্তা শমশের না । এটা ছেলে মেয়ে সবার মাথায় থাকা উচিত । ভালো থেকো সবাই ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

রেজোওয়ানা বলেছেন: তিতির আপু, তোমার মন্তব্যটা এমন প্রেক্ষিতময় হয়েছে যে আমি স্কীপ করে এসে ধন্যবাদ জানাতে বাধ্য হলাম!
ঠিক এই বিষয়টাই আমি হাইলাইট করতে চেয়েছি, এই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা হোক সেটা চেয়েছি।

আমার কথা আমি বলি, যখন গনজাগরন মঞ্চ নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করতে থাকলান ফেইসবুকে, সরকার বা মাঝে মাঝে বিরোধীদলের সমালোচনায় নামলাম তখন আমার আত্মীয় বন্ধুরা বারবার আমাকে নিষেধ করছে এই বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলতে। আমাকে বলা হয়েছে তুমি ইতিহাসের মানুষ, ঐ সব নিয়ে লেখো সেটা তোমাকে সন্মানজনক অবস্থান দেখে.....রাজনীতি, সমাজনীতির মতো বিষয় গুলো বিতর্কিত করবে। সুতরাং আমি 'সন্মানজনক' অবস্থান (!!) ধরে রাখার জন্য এবং "বিতর্কিত' না হবার মহান উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের বাগানের ফুল, বই'য়ের উদ্ধৃতি, নিজের রান্নার ছবি ইত্যাদি ইত্যাদি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে থাকলাম। কিন্তু আমার ভেতরের যে 'সত্যি কথাটা বলতে চাওয়া মানুষ'টা আছে তাকে প্রতিনিয়ত দমিয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে লাগালাম!!

জানি না এই সব হেজিমনি থেকে আমাদের সমাজব্যবস্থা কবে মুক্তি পাবে.......


অনেক ধন্যবাদ আপু অসাধারণ অংশগ্রহণের জন্য,

ভাল থেকো।

৬৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

অদৃশ্য বলেছেন:

আপু

এলাম আপনার লিখা পড়লাম, সবার মন্তব্য বড়লাম... হুম, মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের সংখ্যাই বেশি... আপনার এই লিখাটিতে প্রত্যেক মেয়ে ব্লগারের কমেন্ট থাকলে বেশি ভালো হতো... পুরাতন কিছু নারী ব্লগার অংশগ্রহন করলে আরও ভালো হতো... কিন্তু তাদের কাছে এই বার্তা নিয়ে যাবে কে...

যা হোক, এই আলোচনায় আমি চুপ থাকি বরং

তবে আপনার কথার উপরে অন্য প্রসঙ্গে কিছু বলি...

'' আমরা নিজেদের যতই আধুনিক এবং উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন লোক
বলি না কেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই আদিম স্বভাব এখনও ছাড়তে পারি
নাই। ব্লগ এবং ফেইসবুক মানে অনলাইনে এখনও আমরা মেয়েদের
লেখালেখির জায়গাটাকে গল্প, কবিতা, ছবি, ভ্রমন, রান্নাবান্না এই ধরনের
নারী সুলভ নমনীয় এবং কমনীয় (!!) ঘরনায় দেখতে পছন্দ করি। ''


___ মানুষ যতই সভ্য হবার চেহারা দেখাক না কেন, তারা তাদের আদিম স্বভাব ছাড়তে পারবে না..... কি নারী কি পুরুষ

___ কবিতা, গল্প, ছবি, ভ্রমন, রান্নাবান্না এই সবগুলোরই ধরনটা কি নারী সুলভ !!
... ভাবছিলাম কথাটি নিয়ে...


চমৎকার পোষ্ট... আশাকরছি আবার এলে আরও নতুন কিছুই দেখতে পারবো... আলোচনা চলুক

শুভকামনা...

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: কবিতা, গল্প, ছবি, ভ্রমন, রান্নাবান্না এই সবগুলোরই ধরনটা কি নারী সুলভ !!
... ভাবছিলাম কথাটি নিয়ে...
.........মেয়েদের বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই আসলেই তাই মনে করা হয়, যেমন পারফেক্ট জব মনে করা হয় শিক্ষকতাকে।



অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য পোস্টে আসার জন্য।

শুভ দিন :)

৬৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

তীর্থক বলেছেন: আপনি কেন ব্যপারটা পার্সোনালি নিলেন সেটা বুঝিনি। আমি কিন্তু জেনারেলাইয করতে চেয়েছিলাম।

আমি আমার মতামতে এখনও স্টিক করব যে কে কি বলছে তা কেয়ার করার সুযোগ অ্যাটলিষ্ট ব্লগ জগতে নেই।

হুম! সামুর একদম শুরু থেকেই আছি। লিখতে না জানলেও পড়তে ত বাঁধা নেই।

কে কেন ঝরে গেছে সেটা নিয়ে অন্তত আমি মাথা ঘামাই না কারন আমি জানি সে ই টিকে থাকবে যে নিজেকে বিশ্বাস করে। আপনি ৩ বছরের কথা বলছেন আর আমি বলছি সাত বছরে কথা। সামুর একেবারে গোড়ার দিকের কথা।

ব্লগে মেয়েদের হেনেস্তাকরণ নিয়ে সব চাইতে প্রথম এবং কার্যকরি পোস্টটি ছিল দূর্যোধনের??? তাই নাকি??? জানা ছিল না। আমি ভেবেছিলাম অন্য কেউ হবে। আসলে ছেলেরা মেয়েদের প্রথম দিন থেকেই হেনেস্তা করার চেষ্টা করছে ত তাই সবচেয়ে সফলভাবে কে করতে পারলো তা মনে রাখিনি, ইনফ্যাক্ট মনে রাখার চেষ্টা করিনি :-) খুব বাচ্চামি মনে হচ্ছে। আপনি মেয়ে নাকি? আমি ত ভেবেছিলাম আপনি একজন ব্লগার মাত্র!
আমি মাসুদা ভাট্টি, স্রেয়ষী বসু আর মহুয়া মন্জুরী'র কথা বলেছি। ওরা ছেলেদের হেনেস্তা করত। তবে নোংরা ভাষায়। ডিফরেন্সটা হচ্ছে ছেলেরা জন্মায় নিজেদের কে সুপেরিয়র ভেবে (ঘর থেকেই শেখানো হয়)। আর মেয়েরা ভোগে ইনফেরিয়রিটি কমপ্লেক্সে (ঘর থেকেই শুরু হয়)।

ছেলেরা কেন পোষ্ট দিতে পারবে না? পুরোপুরি এভাবে বলবেন না। ছেলেরাও চাইলে এই বিষয়ে পোষ্ট দিতে পারে তবে তাকে প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে সে আসলে ব্লগে নারী ব্লগারদের রক্ষার ব্রত নিয়ে এসেছে কি না। আপনি কেন এইভাবে চিন্তা করছেন না যে জেন্ডার বিভাজন নিয়ে না ভেবে আমাদের এখন সব জেন্ডার (ক্লিব সহ) মিলে আরও বেশি বেশি দেশকে নিয়ে ভাবা উচিৎ। আপনি হয়ত বলবেন মানুষ নিয়েই দেশ। আর আমি বলব, না, আগে দেশ তারপর মানুষ। কেন বলছি জানতে চাইলে তারও ব্যাখ্যা দিতে পারি। আর হ্যা "ধর্ষন থেকে বাঁচার উপায়" শিরোনামের কোনও লেখা একটা ছেলেই পোষ্ট করতে বেশি উৎসাহিত হওয়ার কথা একটা মেয়ের চাইতে।

আর আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে আমি নারী-পুরুষ জাতীয় শব্দগুলো আলাদা করে দেখতেই চাইনা, অন্তত ব্লগে!

২০১৩ তে এসে একজন ব্লগার কার কাছে কি শুনল আর তা নিয়ে নিজেকে নারী ভেবে বসে রইল যদি এই হয় অবস্থা তাহলে তার পক্ষে ব্লগে টিকে থাকাটা একটু কঠিনই হবে। আপনি কি ভাবছেন শুধু বাংলা ব্লগেই পুরুষ ব্লগার'রা নারী ব্লগারদের টিজ করে? করতে দিন না। আপনি সামুতে অনেক ব্লগার পাবেন যারা মেয়েদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা করে। তাদের লেখা পড়েন, মন্তব্য করেন, ঝগরা করেন, যুদ্ধ করেন, যা খুশি তা ই করেন। আপনাকে বাঁধা দিচ্ছে কে? আর সবচেয়ে ভাল হয় যদি ভুলে যান আপনি একজন নারী।

শ্লীলতা এবং অশ্লীলতা নিয়ে আপনার সাথে সহমত।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনার এড্রেসিংটার জন্য......


যাই হোক সময় করে অংশ নেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

শুভদিন।

৬৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

সাগর রহমান বলেছেন: ব্যক্তিগত সময় স্বল্পতায় এমন একটা প্রয়োজনীয় ও ঋদ্ধ আলোচনায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অংশগ্রহণ করতে পারছি না, কিন্তু বেশ কিছু কমেন্ট পড়লাম, দারুন আলোচনা হচ্ছে।আপনি অত্যন্ত জরুরী একটা বিষয়কে সামনে নিয়ে আসছেন।
আপনার সম্মেলনে অংশগ্রহণ সার্থক হোক, এ প্রার্থণা করছি।
যে কথাটার সংগে পুরো সহমত পোষণ করছি:

এছাড়াও অনেকদিনের অনলাইন জগতে বিচরনে আরও একটা জিনিস খেয়াল করেছি, যখন কোন মেয়ে তার নিজের যোগ্যতায়, লেখনীর জোড়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার পিছনেও ফেউ লেগে যায় অবধারিত ভাবে (যে সমস্যাটা ছেলেদের কমই মোকাবেলা করতে হয়)।

ভাল থাকবেন আপু।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভাল লাগছে সাগর ভাই!


ভাল থাকবেন,

দিন ভাল কাটুক আপনার.......

৬৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

রেজোওয়ানা বলেছেন: সবাইকে সময় করে এখানে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আশাকরি আবারও কথা হবে, হয়তো এই ইস্যু বা ভিন্ন কোন কিছু নিয়ে।

সকলের জন্য শুভকামনা...........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.