নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈশ্বিক গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সব সময়ই তলানির দিকে থাকে। এখানে গণমাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপ নতুন নয়। বাক স্বাধীনতা সব সময়ই সংরক্ষিত। বিএনপির শাসনামল, আওয়ামী লীগের শাসনামলসহ সকল সরকারের আমলে গণমাধ্যম মুক্তভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারেনি।
স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলে গণমাধ্যম ছিল একইভাবে শৃঙ্খলিত। তবু চেষ্টা ছিল গণমাধ্যমের ঘুরে দাঁড়ানোর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দেড় দশকের শাসনামলে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের বিপুল প্রসার লাভ করেছিল। অর্ধশতকের বেশি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। এই গণমাধ্যমগুলোর মালিকানা ব্যবসায়ীদের হাতে ছিল ঠিক, তবে তারা চেষ্টা করেছে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে টেলিভিশন-টেলিভিশনে যে টক-শোগুলো হতো সেগুলোতে শেখ হাসিনার সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করা হতো। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের হুমকি দেওয়া হতো, কিন্তু সরকার সেগুলোতে কোনোধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেনি। প্রথম আলো-ডেইলি স্টার নামের দুই পত্রিকার বিরুদ্ধে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উষ্মা প্রকাশ করতেন ঠিক, কিন্তু তাদের প্রকাশনা বন্ধের হুমকি দেননি। পত্রিকাগুলোর কার্যালয় দখলের ঘটনা ঘটেনি। কোন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করতে চাপ প্রয়োগ করেনি।
অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেল আওয়ামী লীগের মালিকানাধিন থাকলেও সেগুলোতে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করা হতো।
প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কেন্দ্রিক দেশে যে এলিট বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজের জন্ম ও বিকাশ লাভ করেছে সেটা আওয়ামী লীগের শাসনামলেই। আওয়ামী লীগের আমলে জন্ম ও বেড়ে ওঠেছে তারা আওয়ামী লীগের আদর্শের নগ্ন বিরোধিতা দিয়ে। দীর্ঘদিন টানা বিরোধিতা সহ্য করে গেছে আওয়ামী লীগ। ফলে শেখ হাসিনার শাসনামলে সরকারের চাইতেও শক্তিশালী ছিল দেশের গণমাধ্যম। এবং এটাই ছিল কাঙ্ক্ষিত।
সরকারের সমালোচনা করা, সরকারকে চাপে রাখা গণমাধ্যমের ধর্ম। আওয়ামী লীগের আমলে দেশের গণমাধ্যম তাদের সে ধর্ম পালন করে গেছে। এমনকি সরকার উৎখাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা কর্মসূচির সময় দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমের ধর্ম ও চরিত্র ভুলে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা এবং আন্দোলনকারীদের পক্ষাবলম্বন করলেও আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে বাধা দেয়নি। কিছু প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, মানবজমিন, যমুনা টিভি, যুগান্তরসহ অনেক গণমাধ্যম সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এখানে শেখ হাসিনা সরকার যে উদারনীতি গ্রহণ করেছিল সেটা গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের সম্মান প্রদর্শনের নমুনা।
দেশের সকল গণমাধ্যম যে আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়েছিল এমন না, অনেক গণমাধ্যম তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ নিয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। চিরায়ত সরকারবিরোধিতা কিংবা সরকারকে চাপে রাখার বিষয়টি তিরোহিত হয়ে গেছে। এখন দেশের গণমাধ্যমগুলো সরকারের স্তাবকশ্রেণি রূপে আবির্ভুত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এবং সরকারের নানা এজেন্সি সরকারবিরোধী সকল সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করতে বাধ্য করেছে, এবং সরকারের বিরুদ্ধে যায় এমন সংবাদ প্রকাশে আরোপ করা হয়েছে সেন্সরশিপ।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন বাংলাদেশে নেই।
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৮
sabbir2cool বলেছেন: তাও ঠিক
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:১০
এমজেডএফ বলেছেন: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যেদিন (১২ জানুয়ারি) রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে বললেন যে, “এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে এবং প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে সবার ক্রিটিসাইজ করা যাবে”— তার দুদিন পরেই নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বললেন, “ফ্যাসিবাদের পক্ষে লিখলে কলম ভেঙে দেয়া হবে। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব মিডিয়া, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী কথা বলবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেব।”
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: মানুষেরই স্বাধীনতা নাই আর গনমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে কি করে।
সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৩
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষেরই স্বাধীনতা নাই আর গনমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে কি করে।