নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাহিদুল ইসলাম

নািহদুল

আমি বলতে চাই বলার অসাধ্য ভাষাটা আমি বলতে পারি না নেই সাহসের সংবিৎ। বাধাঁ ইচ্ছে গুলো শুধুই ছন্নছাড়া ।।

নািহদুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষার প্রবাদ-প্রবচন

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬





মানুষের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান বা নানা কাহিনীকে কেন্দ্র করে প্রচলিত অর্থবোধক উক্তি যা হতে পারে উপদেশমূলক, ইঙ্গিতপূর্ণ কিংবা ব্যাঙ্গাত্মক













প্রাচীন প্রবাদ প্রবচনের সমাহার,ভান্ডার

• বিড়ালের ভাগ্য শিকা ছেঁড়া- ভাগ্যক্রমে প্রত্যাশিত সুযোগ লাভ।

• বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধা- আসল ঝুঁকি নেওয়া।

• বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ- বৃদ্ধ বয়সে শিশু বা যুবকের মতো আচরণ করা।

• বুকে ঢেঁকির পাড় পড়া- তীব্র আতঙ্কে প্রবল বেগে হ্রদপিন্ডের স্পন্দন হওয়া।

• বুক দশ হাত হওয়া- আনন্দিত হওয়া বা অহঙ্কৃত হওয়া।

• বুকে পিঠ করে মানুষ করা- অত্যন্ত আদর যত্ন করে পালন করা।

• বুকে বসে দাড়ি উপড়ানো- আশ্রয়দাতা বা প্রতিপালকের অনিষ্ট সাধন করা।

• বুদ্ধির গোঁড়ায় ধোঁয়া দেওয়া -চিন্তা করতে বসা।

• মাথার উপরে শকুন উড়া- অতিশয় বিপদ সন্নিকটে।

• মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল-বিষম বিপদে পড়ে পাগল হওয়া।

• ঘাড়ে দুইটি মাথা থাকা-দুঃসাহসী।

• ঢেঁকির শব্দ বড়-ভিতরে যার কিছুই নেই তার বাজে বেশি।

• বামন গেল ঘর তো লাঙ্গল তুলে ধর-কর্মচারীদের উপর দৃষ্টি না রাখলে তারা কাজ করে না।

• বামন শুদ্দুর তফাৎ- আকাশ পাতাল পার্থক্য।

• বামনের গরু- যে ব্যক্তি বা বস্তুর নিকট অল্প ব্যয়ে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়।

• বাবু বাছা করা-পুত্রবৎ সস্নেহে বাক্য বলা।

• বাবু বাছা বলা-স্নেহ ও আদর করা।

• কূলে রাখা কি শ্যাম রাখা-উভয় সঙ্কটে পড়া।

• বাতাসের সঙ্গে লড়াই করা- বিনা কারণে ঝগড়া করা।

• হাড় ভাজা ভাজা হওয়া-জ্বালাতন হওয়া।

• গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেওয়া-উৎসাহ দিয়ে কর্মে প্রবৃত্ত করে অসহায় অবস্থায় সরে দাঁড়ানো।

• পাকা ধানে মই দেওয়া-লাভের মুখে সমূহ ক্ষতি করা।

• মাথা ঠোকাঠুকি হওয়া-অপ্রত্যাশিতভাবে দেখা দেওয়া।

• মুখ শুকিয়ে আমসি হওয়া-ভয় ব্যাধি উদ্বেগ ইত্যাদি হেতু মুখের রুগ্ন অবস্থা।

• যাহা বাহান্ন তাহাই তিপ্পান্ন-একটু ক্ষতির ভয়ে পশ্চাৎপদ না হওয়া।

• গদাই লস্করই চাল-অতি-মন্থর গতি।

• লেজে গোবরে ল্যাজে গোবরে-অক্ষমতার জন্য বিপদযস্ত অবস্থায় উপনীত।

• শিব গড়তে বাঁদর গড়া-খুব ভালো কিছু করতে গিয়ে খারাপ কিছু করা।

• সব শিয়ালেরা এক রা-সমদলবুক্ত সকল ব্যক্তির একই রকম মত।

• শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল-অসৎ ব্যক্তিকে অসৎ ব্যক্তি সমর্থন করে।

• শুকনো কথায় চিড়ে ভিজানো-শুধু মুখের কথায় কাজ হয়না।

• শুকরের পাল ধোয়ানো-অনভীস্পিত ও গুণহীন প্রচুর সন্তান।

• ষাঁড়ের গোবর ষাঁড়ের নাদ-অকর্মণ্য লোক,ষাঁড়ের গোবর যেমন হিন্দু ধর্মের ধর্মকার্যে ব্যবহার করা হয় না।

• গোকুলের ষাঁড়- বৃন্দাবনের মুক্ত ষাঁড়ের মত স্বেচ্ছা-বিহারী দায়িত্বহীন ব্যক্তি।

• ষেটের বাছা,ষেটের কোলের বাছা-যষ্ঠীদেবীর অনুগ্রহপ্রাপ্ত সন্তান।

• ষোল আনা বাজিয়ে নেওয়া-সর্বদিক থেকে বিচার করে নেওয়া।

• অনেক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট-বহু কর্তায় অত্যন্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

• গণ্ডূষ জলে সফরীর ফরফরানি-অতি অল্প পানিতে পুঁঠি মাছের ফর ফর করে ঘোরা।

• ধরাকে সরা জ্ঞান করা-মৃৎপাত্র বা সরার ন্যায় ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ মনে করা।

• সস্তার কিস্তি মাত-পরিশ্রমে কোন বিষয়ে সাফল্য লাভ।

• সাত চড়ে রা করে না/ বেরোয় না-সমস্ত অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করে।

• সাত নকলে আসল খাস্তা-বার বার নকল করতে করতে সূচনার যার নকল করা হয়েছে তা বিকৃত হওয়া।

• সাত পুরুষে না শোনা- বংশানুক্রমে না শুনা।

• সাতেও নেই পাঁচেও নেই-সংশ্রবশূণ্য।

• সাপটা ধরে কেনা-একদামে সমস্ত জিনিস কেনা।

• সাপের হাঁচি বেদেয় চিনে-অভিজ্ঞ লোকের লক্ষণ দেখে চিনতে ভুল করে না।

• সাপের হাঁড়ি-অতিশয় কোপনস্বভাবা নারী।

• সোনার কাঠি রুপোর কাঠি-জীবনকাঠি ও মরণকাঠি।

• সোনার দোয়াত কলম হওয়া-বিদ্বান ও বিত্তবান হওয়া।

• স্বভাব যায় না মলে ইল্লত যায় না ধুলে- পানি দ্বারা ধুলে ও নোংরামি দূর করা যেরূপ অসম্ভব।

• ইস্তক জুতা সেলাই নাগাদ চণ্ডী পাঠ –সংসারের চোট বড় সবধরনের কাজ।

• ভোজনং যত্র তত্র শয়নং হট্টমন্দিরে-যেখানে সেখানে আহার এবং হাটের চলার নিচে নিদ্রা।

• হাটের দুয়ারে কপাট-অসম্ভব ব্যাপার।

• হাড়ে বাতাস লাগা-স্বস্তি-বোধ করা।

• হাড়ে দূর্বা গজানো-বিপল প্রতীক্ষা।

• হাতে পাঁজি মঙ্গলবার-মীমাংসার নির্ভরযোগ্য উপায় থাকতে তর্ক বিতর্ক করা।

• হাতির ভোগ মুখে দূর্বা ঘাস-যেখানে প্রভূত ভোজের প্রয়োজন সেখানে অল্প খাদ্যর আয়োজন।

• অন্ধের নড়ি ,অন্ধের যষ্টি-অসহায়ের সহায়।

• বজ্র আঁটুনি ফসকা গোড়া-কাজের আয়োজনের সময় খুব কড়াকড়ি কিন্তু কাজের সময় শিথিলতা।

• আঁত পাওয়া বার- মনের অভিপ্রায় জানা মুশকিল।

• আধার ঘরের বাতি-আঁধার ঘরের মানিক।

• আঁতুড়ে খোকা আঁতুড়ে ছেলে- সদ্যজাত শিশু।

• এঁড়ে তেল দেওয়া-চাটুবাক্য তোষামোদ করা।

• এক গ্লাসের ইয়ার এক সানকির ইয়ার-অন্তরঙ্গ বন্ধু।

• কড়ি গোনা,কড়ি কাঠ গোনা-বেকার অবস্থা যাপন।

• ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়া-মুরব্বিকে অতিক্রম বা অগাহ্য করে কার্যোদ্বায়ের চেষ্টা করা।

• ঘোড়া দেখে খোঁড়া হওয়া-কাজ করার লোক দেখে আলস্য দেখানো।

• ঘোড়ায় জিন দিয়ে আসা-অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত ভাব,তিলেক বিলম্বে অস্থিরতার ভাব।

• চোদ্দ চাকার রথ দেখানো-মুশকিলে ফেলা।

• চোর কুঠরি,চোর কুঠুরি-ঘরের ভিতরের চোট গুপ্ত ঘর।

• চোর মরে,সাত ঘর মজায়ে-চোর ধরা পড়লে অনেক মকদ্দমায় জড়ায়।

• বাড়িতে ছুঁচোর কেত্তন,বাইরে কোঁচার পত্তন-বাড়িতে চরম দরিদ্র অবস্থা বাইরে বড়লোকি প্রদর্শন।

• ছুঁচোর মেরে হাত গন্ধ করা- তুচ্ছ ব্যক্তিকে শাস্তি দিয়ে অখ্যাতি লাভ করা।

• ধারে কাটা আর ভারে কাটা-স্বাভাবিক ক্ষমতায় কাজ করা।

• যার ধন তার নয়,নেপোয় মারে দই-পরিশ্রমী ব্যক্তিকে বঞ্চনা করে ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি।

এইরকম আপনারা অনেক শুনেছেন। শেয়ার করুন জানা অজানা সব প্রবচন।।:):):):)

:D:D:D:D







মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো ।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৪

নািহদুল বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.