নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনে আমার অনেক কথা . . .

সাদাচোখ

ছুঁড়ে ফেলতে চাই চোখের রঙিন ঠুলি।সব কিছু দেখতে চাই সাদা চোখে।

সাদাচোখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা এবং বুয়েট/রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট নিয়ে কিছু কথা

২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:০১

ব্লগার কায়সার রুশোর এই লেখা পড়ে বুয়েটের একদল ছাত্রকে ফাল দিয়ে উঠতে দেখে বেশ মজা লাগছে। ঐ লেখা তাদের কাছেই ভাল না লাগার, কথা যারা বুয়েটে পড়েন দেখে হামবড়া ভাব নিয়ে চলেন। এই ধরনের প্রকৌশলী আর হবু প্রকৌশলীদের জন্য শুধুই করুনা রইল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বুয়েটের অধিকাংশ ছাত্রই এধরনের পোষণ করেন না। সেটা বোঝা যায় উপরে রাগিব ভাই সহ আরও কয়েক জন সহনশীল ব্লগারদের কমেন্ট পড়ে।



কমেন্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনলাইনে বুয়েট ব্যতীত অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অনেক কম একটিভ। তাই বুয়েটিয়ানদের অনেক ভ্রান্ত ধারনার জবাব দেওয়া হয়নি। সেজন্যই আমি লিখতে বসলাম। বুয়েট গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেনি সেটা তার প্রশাসনিক বিষয়। তবে তা ঠিক কি বেঠিক সেটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।



রাজশাহীতে রিকশাওয়ালাদের রুয়েট বললে তারা চেনে না। কিন্তু বিআইটি বললে তারা নিমিষেই চিনতে পারে। রিকশাওয়ালারা চিনতে না পারলে কোন সমস্যা নাই, কিন্তু এই ছোট্ট দেশে সবচেয়ে মেধাবী দাবী করা একদল মানুষ যদি জেনে শুনে বারবার এ কথা বলে তখন ব্যাপারটা আর সহজ ভাবে নেওয়া যায় না।



এই পোস্টের লেখক লেখার শুরুতেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে বুয়েটে দেশের সেরা ছাত্ররা লেখা পড়া করে। তারপরেও যারা “কোথায় আগরতলা, আর কোথায় চৌকির তলা “ জাতীয় মন্তব্য করেন তাদের মানষিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। যারা সমান ডিগ্রীধারীদের নিয়েই এমন মন্তব্য করতে পারে, আমার সন্দেহ হয় তারা অন্যান্য ননটেক বিশ্ববিদ্যালয় আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষ মনে করে কিনা। যদিও আমরা ভাল করেই জানি বুয়েটের প্রথম সারির সাবজেক্টগুলো ছাড়া তথাকথিত পেছনদিকের সাবজেক্টগুলোতে পড়তে যাওয়ার সময় সবাই একবার অন্তত চিন্তা করে বুয়েটে এই পেছনের বিষয় নিয়ে পড়বে, নাকি রুয়েট/কুয়েট/চুয়েটের অপেক্ষাকৃত প্রথম সারির বিষয়ে পড়বে কিনা। অনেক ক্ষেত্রেই তারা বুয়েট ছেড়ে রুয়েট/কুয়েট/চুয়েটে চলে আসে। (“তথাকথিত” কথাটি বলছি কারন “ভাল সাবজেক্ট” আর “খারাপ সাবজেক্ট” কথাগুলি আমার কাছে একদমই ভাল লাগে না। আমার মতে সব সাবজেক্টই ভাল, সব সাবজেক্টেই মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রয়োজন আছে।)



ছোট্ট একটা দেশ আমাদের। বিভক্তি এখানে চরম আকার ধারন করেছে। দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় ঢাকা শহরে শিক্ষিত মানুষের অবস্থানের ঘনত্ব শরীরে টিউমারের কথা মনে করিয়ে দেয়। ঢাকা কেন্দ্রীক শিক্ষাব্যবস্থা দূর না করা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হবে না। সে জন্য প্রয়োজন হবে ঢাকা শহরের বাইরে ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অথবা বর্তমানে চালু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মানোন্নয়ন করা। সেক্ষেত্রে এই গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি প্রথম ধাপ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। পরবর্তিতে প্রয়োজন অনুসারে শিক্ষক স্থানান্তর, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।



এবারে তাদের উদ্দেশ্য কিছু বলি যারা বুয়েটের ভর্তিপরীক্ষার মান নিয়ে খুব গর্ব করছেন, আর ভাবছেন যে রুয়েট/কুয়েট/চুয়েটে চোখ বন্ধ করে খাতায় হিজিবিজি এঁকে এলেই প্রথম সারির বিষয়গুলোতে ভর্তি হওয়া যায়। সাম্প্রতিক কালের রুয়েট/কুয়েট/চুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিষয়ে কি কোন ধারনা আছে? এখন সকলেই অর্ধেক MCQ আর অর্ধেক লিখিত পরীক্ষা নেয়। আগে থেকে কাওকে না জানালে এই চারটা ইউনির ভর্তিপরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে নিয়ে সে কনফিউজড হয়ে যবে কোনটা বুয়েটের, আর কোনটা রুয়েট/কুয়েট/চুয়েটের প্রশ্ন তা বের করতে। তবুও আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় কয়েকটা সমস্যা দেওয়া হয় তা সমাধান করা আসলেই বেশ কঠিন। গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষার কোথাও কি বলা আছে যে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার মান কমাতে হবে? মান কমানোর তো প্রশ্নই উঠছে না।



এবারে আসা যাক তাদের বিষয়ে, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের চিন্তায় মাথার চুল ছিঁড়ছেন, আর মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁসের উদাহরন দিচ্ছেন। মেডিকেলে সবচেয়ে বড় কারচুপি হয়েছে ২০০৬ সালে যারা HSC পাশ করেছে তাদের ভর্তি পরীক্ষার সময়। এর আগে ও পরেও বিভিন্ন সময় প্রশ্ন ফাঁসের কথা শোনা গেছে। তবে তা কোন মতেই “মুড়ি মুড়কির মত প্রশ্ন বিক্রি হয়” এমন মনে হয় নয়। আর নেগেটিভ উদাহরনকে কেন বারবার সামনে আনছেন? আমাদের সামনে কিন্তু অনেক পজিটিভ উদাহরন আছে। যেমন দেশের সবচেয়ে বড় দুইটি পরীক্ষা SSC এবং HSC কিন্তু দেশ ব্যাপী একসাথে অনুষ্ঠিত হয়। আর সম্প্রতি কয়েক বছরে কিন্তু এই দুই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সুতরাং সদিচ্ছা থাকলে দেশজুড়ে মাত্র চারটি ইউনিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া কি খুব কঠিন হবে?



বুয়েটে ভর্তিপরীক্ষার ঐতিহ্য নিয়ে অনেকেই কথা বলছেন। কিন্তু এর কোন ভিত্তি নেই। সময়ের সাথে সাথে সবকিছু পরিবর্তিত হয়েছে। এমনকি বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতিও পরিবর্তিত হয়েছে। আগে ছিল সম্পূর্ণ লিখিত, এখন হয়েছে অর্ধেক লিখিত আর অর্ধেক MCQ। আগে এখানে কোন পরীক্ষার্থী পরপর দু’বছর পরীক্ষা দিতে পারত, এখন পারে মাত্র এক বার। আগে SSC আর HSC তে অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পেয়েই ভর্তি ফরম তোলা যেত, এখন সেই ফরম তুলতে অনেক বেশি মার্কসের দরকার হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে বুয়েটও কোন নির্দিষ্ট ঐতিহ্যে থেমে নেই। তারা প্রয়োজন অনুসারে পদ্ধতির পরিবর্তন এনেছে বরেই আজ বুয়েটকে একবাক্যে সবাই দেশের সেরা প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে মেনে নেয়। এই পরীবর্তনে লজ্জার কিছু নেই। ভাল কিছুতে যে আগে যোগ দেবে, সে অবশ্যই এগিয়ে থাকবে। অসুখকে ঐতিহ্য বলে লালন করার মধ্যে গর্বের কিছু নেই।



দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বৈষম্য আর দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনতে সবচেয়ে সরব দেখা গিয়েছে মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং মনির হাসান কে। তারা নির্মোহ দৃষ্টিতে বিষয়টি অবলোকন করেছেন দেখেই এমন সমাধানের কথা ভেবেছেন। দেশে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। একেক বিশ্ববিদ্যালয় একেক পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। সেজন্য প্রস্তুতিও হয়, তাদের ভর্তি প্রক্রিয়াও বিভিন্ন। একজন ছাত্রের পক্ষে এতগুলো বিষয় মাথায় রেখে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া আসলেই অনেক কঠিন ব্যাপার। আবার এটা খুব সাধারন ঘটনা যে একই দিনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পড়া। তখন পরীক্ষার্থীকে পয়সা খরচ করে ফরম তোলার পরেও যে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কে বেছে নিতে হয় পরীক্ষা দেবার জন্য। অনেকে বলতে পারেন ঐ ছাত্রের এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম তোলার দরকার কি? উত্তর হল, কোন ছাত্র যে ইউনিতে ভর্তি হতে চাইছে, তাতে সে যে ভর্তি হতে পারবেই, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। কারন বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনের তুলনায় এতে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। সুতরাং পুরো বিষয়টিকে ১০ বছর আগের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে চলবে না। কারন তখন সারাদেশে হাতেগোনা কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আর হত কয়েক বছরে উচ্চ শিক্ষা নিতে আসা ছাত্রের সংখ্যা বেড়েছে অনেক গুন। একবার চিন্তা করুন মেডিকেলগুলো যদি ভিন্ন ভিন্ন করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া শুরু করত, তাহলে একজন ছাত্রকে ঘুরে ঘুরে সারাদেশ জুড়ে ১৩ বার পরীক্ষা দিতে হত। এ বিষয়ে মনির হাসান প্রথম আলোতে একটা কলাম লিখেছিলেন। পড়লেই বুঝতে পারবেন ভর্তি পরীক্ষার জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের কত দূর্ভোগ পোহাতে হয়। সেটা নিয়ে আমিও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।





আলোচ্য পোস্টে কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে নিজের বাবা থেকে শুরু করে শিক্ষকের রেফারেন্স দিয়ে রুয়েট নাকি, কুয়েট নাকি চুয়েটে ভাল তা নিয়ে রীতিমত লড়াই শুরু করে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হল, যে যেখানে পড়ে, তারকাছে সেটাই ভাল লাগবে। অন্যগুলো তার কাছে ম্রিয়মান।

সুতরাং আসুন নিজেদের অভিজাত প্রমাণের লড়াইয়ে না নেমে চেষ্টা করি কেমন করে দেশে একটি সময়োপযোগী শিক্ষা পদ্ধতির প্রচলন করা যায়। নিজেদের মাঝে কুকুরের মত মাংস টানাটানি না করে নিজেদের ইউনিগুলোকে বাইরের দেশের নামকরা ইউনিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতার চেষ্টা করি। সর্বোপরি কূপমন্ডুকতা দূর করি।



লেখক কে বলছি, আপনার শেষের কয়েকটা লাইনে আপনি বলেছেন যেহেতু বুয়েট গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি সরে গিয়েছে, আপনারাও আন্দোলন করে আপনাদের ইউনিকে এই পদ্ধতি থেকে সরিয়ে নেবেন। এই কথা সম্ভবত বুয়েটিয়ানদের খারাপ লেগেছে। না রুশো ভাই, ওরা যদি ভূল করে সরে যায়ও, আমাদের এখান থেকে সরে আসা বোকামি হবে। তবে এমন একটা পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।



অসুস্থতার জন্য কমেন্টটা দিতে দেরি হল।



পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +২০/-২

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:২৪

কলম.বিডি বলেছেন: আর কেউ কী বলবে জানি না, আমি ৫ বছর পড়ে বুয়েট নিএ একটা কথাই বলবো এখানের টীচাররা জীনিয়াস হতে পারেন, সিস্টেম ও খারাপ না, কিন্তু এখানে এমন ছাত্র দেখেছি যারা পাস কোর্সে ডিগ্রী পড়ার ও যোগ্যতা রাখে না। ভর্তি পরিক্ষায় দম বন্ধ করে ৩ মাস পড়েছে হয়তোবা।এখন পড়ালেখা অফ। ভাগ্যিস, টিউশনিতে সিজিপিএ বলতে হয় না।নইলে টেঁসে যেতো

২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩

সাদাচোখ বলেছেন:
সব জায়গাতেই ভাল-খারাপ দু ধরনেরই মানুষ থাকে। তাই শুধু খারাপদের উদাহন দিয়ে সবাইকে খারাপ বলা যাবে না।

কথা হচ্ছিল গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে আর কিছু বুয়েট ছাত্রের ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে। সে বিষয়ে কিছু বলুন।

ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:২৬

নষ্ট কবি বলেছেন: ভাল বলেছেন.....
বুয়েটের মান আগের মতো আর নেই
আমার নিজের দেখা ৩ বছর আগের বুয়েট আর এখনকার বুয়েটের অনেক পার্থক্য
ওরা আমাদের চেয়ে অনেক সুযোগ পায়
কিন্তু প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটি গুলো ও অনেক এগিয়েছে
এ বিষয়ে আর্কিটেক্ট বশিরুল হক বলেছিলেন-
তোমরা বুয়েট বুয়েট কর- আর দেখো প্রাইভেট ভার্সিটি গুলো এখন অনেক দুর এগিয়ে গেছে-

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪১

সাদাচোখ বলেছেন:
সবারই মনে রাখা দরকার আত্নসমালোচনার মানে নিজেকে ছোট করা নয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৩০

কলম.বিডি বলেছেন: সেটাই। একটু অপেক্ষা করেন, সো কলড বুয়েটিয়ানরা এলো বলে

২৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫

সাদাচোখ বলেছেন:
একজনকে দেখলাম।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৩৬

শাকালাকা বুম বলেছেন: আপনার পোস্টটি পড়ে ভাল লাগল। +++++++++++

বুয়েটিয়ান গুলো কেন যে এত ভাব নিয়ে চলে বুঝি না, অনেকে পড়াশুনা শেষ করে টিকই দেশের বাইরে চলে যায়। দেশের দিকে ফিরে ও তাকাই না অনেক সময়।

আপনার মত সার্বিক ভাবে যদি তারা ভাবতো........

২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

সাদাচোখ বলেছেন:
ব্লগার কায়সার রুশোর সেই পোস্টটি পড়ুন। অধিকাংশ বুয়েটিয়ানই কিন্তু ভাল ভাবে কথা বলেছেন। অল্প কয়েকজন শুধু ফালাফালি করেছেন। আমার সন্দেহ হয় তারা আদৌ বুয়েটিয়ান কিনা। আবার অনেক বুয়েটিয়ানের ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে যে বুয়েট/রুয়েট/কুয়েট/চুয়েটে চান্স পাওয়া খুবই সহজ আর সেখানে র্ভতি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে নিয়মিত ঘাপলা হয়। সেজন্যই এই পোস্ট লেখা।

ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪১

মেঘের ছায়া বলেছেন: সহমত

২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

সাদাচোখ বলেছেন:
ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

আদার বেপারী বলেছেন: গ্যালারীতে বসলাম। :-<

২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯

সাদাচোখ বলেছেন:
>>বুয়েটিয়ানরা এখনো ওগুলোকে B.I.T বলতেই পছন্দ করে.....:P

এই জাতীয় ফালতু কমেন্ট ঐ পোস্টে আপনিই করেছিলেন। সুতরাং পোস্টটির কিছু অংশ আপনাকে উদ্দেশ্য করেও লেখা হয়েছে।

নাহ, গ্যালারীতে বসে মনে হয় আপনাকে হতাশ হতেই হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে কম্পিউটার ল্যাব বন্ধ হয়ে যাবে। কাল বাকি কমেন্টগুলোর জবাব দেবার চেষ্টা করব।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৩০

রাশেদ_০৭৯ বলেছেন: খুবই ভাল লেগেছে...সহমত

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৪৩

পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন:
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অতি বাড় বেড়োনা, ঝড়ে ভেঙে যাবে।
অতি ছোট হয়োনা, ছাগলে মুড়ে খাবে।

তার চেয়ে দশে মিলে করি কাজ,
আর তাতে হারি-জিতি নাহি লাজ।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯

শেহাব বলেছেন: আমি মিটিংয়ের কিছুটা বর্ণনা শুনে বুঝেছি ইগোর কারণে আসে নাই বুয়েট।

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৩৫

সাদাচোখ বলেছেন:
বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০

সাইফ শামস বলেছেন: খুবই ভাল লিখেছেন। সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে বেশ কিছু শক্ত যুক্তি দিয়েছেন।এটা পরিস্কার, সম্মিলিত পরীক্ষা মানেই মান কমান নয়।
আমি মনে করি আমাদের দেশে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় রেজাল্টের ভিত্তিতে অথবা, সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা উচিত। একটি ছাত্র (অথবা ছাত্রী) শুধু ভর্তি পরীক্ষার খরচের জন্য কতটাকা ব্যায় করে তার হিসাব আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের দেশে বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় শুধু মাত্র টাকার লোভে, ভাল ছাত্রছাত্রী পাওয়ার লোভে নয়। যারা সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার বিরোধী তারা নিজের অজান্তেই ওই সব অর্থলোভীদের সহযোগিতা করছেন। আপনারা জ্ঞানী, মেধাবী, আপনারা ভেবে বের করুন কিভাবে, কম খরচে, সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের মেধা অনুযায়ী তাদের নিজেদের পছন্দমত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়া যায়।

আর জ্ঞানী মানুষদের কাছে আমার প্রশ্ন, আমরা শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা না দেখে, সমস্তদেশের সমস্যা নিয়ে ভাবতে শিখব কবে?

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৩

সাদাচোখ বলেছেন:

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাইফ শামস। সারাদেশের সাধারন জনগনের জন্য যে পদ্ধতি সহজ হবে, সেটাই আমাদের বেছে নিতে হবে। ইগোর লড়াইয়ে মেতে ওঠা উঁচুশ্রেণীর কথা চিন্তা করলে দেশে বৈষম্য বাড়বে বৈ কমবে না।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৭

নামহীন আমি বলেছেন: বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৪৮

সাদাচোখ বলেছেন:
পড়লাম।

১২| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১

অবিবর্তিত বলেছেন: আর্কিটেক্ট বশিরুল হক বলেছিলেন-
তোমরা বুয়েট বুয়েট কর- আর দেখো প্রাইভেট ভার্সিটি গুলো এখন অনেক দুর এগিয়ে গেছে


কয়দিন আগে ফেসবুকে একটা ভিডিও পেয়েছিলাম । এশিয়ান ইউনি , এ আই ইউ বি র ভিসি যা বললেন তা শুনে না হেসে পারি না।
কথাগুলো অনেকটা এরকম” সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলায় পড়ায়। ই্ঙরেজীতে পড়ার জন্য মানুষ এতদিন বিদেশ যেত। এখন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলে ইংরেজী মাধ্যম হওয়ায় সবাই দেশেই পড়তে পারছে দেশের অনেক টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।” এভাবে নাকিপ্রাইভেটগুলো এগিয়ে যাচ্ছে।

ইউটিউব ‍লিংক দেখুন

http://www.youtube.com/watch?v=wCi0yPX0X7E


প্রাইভেট ইউনিগুলো কিভাবে অগ্রসর দেখতে পারেন এখান থেকে।আর্কিটেক্ট বশিরুল হক সাহেব কিসের ভিত্তিতে বলছেন জানতে পারলে ভাল হত।
সেশন জট ছাড়া অন্য প্রায় সব বিচারেই বুয়েট থেকেই অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এগিয়ে আছে। বুয়েটের বরাদ্দ বেশী। বুয়েট পাশদের অপেক্ষাকৃত ভাল জব পা্ওয়ার রেট ও বেশী।(রেফারেন্স দিতে পারলাম না জাস্ট চারপাশ দেখে মনে হল)।
এমন ছাত্র দেখেছি যারা পাস কোর্সে ডিগ্রী পড়ার ও যোগ্যতা রাখে না।
এরকম স্টুডেন্ট আপনি সব জায়গায় পাবেন ...গ্যারান্টি। ন্যাশনাল ইউনিতে বা ঢাকা পলিটেকনিকে এমন স্টুডেন্ট পেতে পারেন যাকে দেখে আপনার মনে হতে পারে তার হযতো বুয়েটে পড়া উচিৎ ছিল।ব্যতিক্রম ধর্তব্য নয়। প্র বি গুলোর মধ্যে বুয়েট সবচে প্রচীন ,বেশী সরকারী পৃষঠপোষকতা পায় । তাই বুয়েট এর মান অন্য সবার থেকে উপরে । কোন সন্দেহ নেই।বুয়েটের কয়েকটা নাক উচা বলদের কথার জবাব দিতে গিয়ে বুয়েটকে হেয় করার মানে নেই।

প্র বি গুলোর মধ্যে কারওই ভর্তি পরক্ষিার মান নিয়ে সমস্যা নেই । গত দশ বছরের প্রশ্ন দেখলে বোঝা যায়। পায় একই মানের প্রশন।প্রশ্ন ফাসের কলংক মনে হয় কখনো প্রবি গুলোকে ছুতে পারে নি।গুচ্ছ পরীক্ষায় গেলেই প্র বি গুলো একটা ভাল মডেল হতে পারত ।বুয়েট যদি ইগোর কারনে গুচ্ছ পদ্ধতিতে না যায় সেটা বুয়েটের দীনতা। কিন্তু মনে রাখবেন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বুয়েটের সে অধিকার আছে।

রুয়েট চুয়েট কুয়েটকে বিআই টি বললে আপনারা মাইন্ড করেন এটা আমার জানা ছিল না। আমার অনেক বন্ধু আছে ঐ সব প্র বি তে। ওরা কখনও মাইন্ড খায় না। অভ্যাস বশত বলে ফেলা হয়।

ইউনিভার্সিটি অব কার্লসরুহ এর নাম শুনেছেন? বিখ্যাত ভার্সিটি......হার্জ এর মত বিজ্ঞানীরা কাজ করতেন ওখানে। প্রয়াত ড: ওয়াজেদ মিয়া ওখানে স্কলার ছিলেন। সেই ইউনিভার্সিটি অব কার্লসরুহ এখনকার নাম কি জানেন? কার্লসরুহ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (কে আই টি) । কেআইটি নামে আরেকটা ছোট (বিষয় বৈচিত্র ও আয়তনে , রিপুটেশনে) প্রতিষ্ঠানের সাথে মার্জ করে সেই ছোট প্রতিষ্টানের নামটাকেই গ্রহন করেছে তারা ।দুই বিশ্ববিদ্যালয় এর কেউ বিষয়টা নিয়ে কোন বাকবিতন্ডায় গেছে এমনটা শুনি নাই। আমরা যখন রুয়েটকে বিআইটি বলি কসম খেয়ে বলছি আপনাদের অপমান করার জন্য বলি না। ভুল করেই বলি।

ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে হচ্ছে তাতে ভার্সিটির মান সম্মান এতটুকুও নিভর্রশীল নয়। নির্ভর করে তার পড়াশোনার পরিবেশ, শিক্ষক ছাত্র সম্পর্ক, গবেষনা, শিক্ষাউপকরন এর প্রাপ্যতা,সিলেবাস আধুনিক ও যুগোপযোগী কিনা, গ্রাজুয়েটদের প্লেসমেন্ট সব এর উপর। কোন ভাবেই ছাত্র কিভাবে রিক্রুট করা হচ্ছে তার উপর নয়।আমি জার্মানী,সু্ইডেন , যুক্তরাষ্ট্র কানাডাতে মাষ্টার্স লেভেলে রিক্রুটমেন্ট এর কথা জানি। এখন বলি সুইডেনে সিলেকশনটা হচ্ছে গুচ্ছ প্রক্রিয়ার , আর বাকি সবখানে আলাদা। আমার সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিন্তু র‌্যাং কিং এ অনেক আগে ছিল বাকীগুলোর তুলনায়।এমন কি সুইডেনের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় টার নামও কিন্তু রয়েল ইন: অব টেকনোলজি।( সুইডিশ ভাষায়- কে টি এইচ)।

রুশো সাহেবের লেখায় আমার অনেক কমেন্ট আছে। এগুলো আমি একজন সাধারন বুয়েট ছাত্র হিসেবেই করেছি।গুচ্ছ পরীক্ষায় আসলে আমরা যারা ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে গেছি তাদের কিছু যায় আসে না। এতে মান সম্মান বাড়ার বা কমার কোন প্রশ্ন নেই ।গুচ্ছ পদ্ধতি হলে ভতির্চ্ছুদের সুবিধা।তাদের কষ্ট কমে । রুয়েট চুয়েট কুয়েট এই পদ্ধতি অবলম্বন করছে বলে তারা হাজার হাজার ভর্তিচ্ছুর অভিনন্দন পাচ্ছে বলেই আমার ধারনা।

আমার মতে প্রত্যেকটা ইউনভার্সিটির নিজস্ব স্বার্থ চিন্তা করা উচিৎ এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে।অন্য একটা ভার্সিটির কয়েকটা অচেনা ছেলে ,তারা আপনাকে ছোট মনে করল কিনা এটা কোন ফ্যাক্টর হওয়া উচিৎ না।
আন্দোলন যদি করতে হয় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় যেন বুয়েটের সমান সুযোগ সুবিধা লাভ করে তা নিয়ে করেন।গুচ্ছ পদ্ধতি বর্জন করতে চাইলে ভাল কোন কারনে তা করুন। বুয়েট গুচ্ছ পদ্দতিতে যায়নি তাই আপনিও যাবেন না এরকম একটা কারনে বর্জন করলে এটা ভবিষ্যতে বুয়েটের নাক উচা পোলাপানের নাক আরও উচা করবে। আপনাদের কোন লাভ হবে না।

অনেক বড় কমেন্ট পড়তে কষ্ট হলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০০

সাদাচোখ বলেছেন:
ভাই, আমি কিন্তু পোস্টে একবার বলেই দিয়েছি--“বুয়েট গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেনি সেটা তার প্রশাসনিক বিষয়। তবে তা ঠিক কি বেঠিক সেটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।“ আপনি সম্ভবত ওভারলুক করে গেছেন। বোল্ড করে দিচ্ছি।

রুয়েট চুয়েট কুয়েটকে বিআই টি বললে যে খুব অসন্মান হয় না, তা আমি খুব ভাল করেই জানি। কেউ কেউ বিষয়টা ভুল করে বলেন, কিন্তু অনেকেই আছেন সেটাকে ব্যবহার করেন রুয়েট/কুয়েট/চুয়েটিয়ানদের হেয় করার জন্য। আমি আমার ক্ষোভের কথা তাদের উদ্দেশ্য করেই বলেছি। সুতরাং দয়া করে বিষয়টি গা পেতে নেবেন না।

ছোট খাট ইউনিতে পড়ি। আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর নেওয়ার মত হয়ে যায় দেখে বিশ্বের নামকরা ইউনির নামগুলো ঠিক শোনা হয়ে ওঠেনি। তারপরেও আপনার দয়ায় ইউনিভার্সিটি অব কার্লসরুহ এর নাম শুনে ধন্য হলাম। কিন্তু কথা হল ঠিক যে কারনে সারা বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে -- “আহসানউল্লাহ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” না বলে “বুয়েট” বলে ডাকে, ঠিক একই কারনে আমারা দাবী করি আমাদের “বিআইটি” না বলে “রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট” বলে ডাকা হোক। ছোট্ট একটা দেশে যেসব বুয়েটিয়ান বাকি কয়েকটা সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জানে না, আমার ক্ষোভ তাদের উদ্দেশ্য, আপনার উদ্দেশ্য নয়। সুতরাং বিষয়টা তাদেরকে সামলাতে দিন, নিজের গা পেতে নেবেন না।

বিশ্বের নামকরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে "ইউনিভার্সিটি"-র বদলে "ইন্সটিটিউট" আছে, এ জাতীয় শিশুকে বোঝানোর মত কথা শুনতে ভাল লাগছে না। আমার যা নাম, আমাকে সেই নামে সবাই ডাকলেই আমি খুশি হবে।

বুয়েটে আমারও অনেক বন্ধু আছে। তাদের সাথে আমার কখনোই এমন বিআইটি/রুয়েট নিয়ে ঝামেলা হয়নি। বরং তারা যথেষ্টই ভদ্রতার সাথে আমাদের ইউনি নিয়ে কথা বলে। ব্যক্তিগত ভাবে বন্ধুর কাছে অনেক ভূল-ভাল বলা হয়েই থাকে। তবে কমিউনিটি ব্লগে এসে কিছু বলার আগে অবশ্যই একটু ভেবেচিন্তে কথা বলতে হবে। সবাই আপনার কথা বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে নাও নিতে পারে।
একটা কথা হচ্ছে উদাহরন দিতে গেলেই আমরা ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোর উদাহরন দিই কেন? এসব দেশের উদাহরন আমরা দিই, কিন্তু একবারও ভাবি না আমাদের দেশের জনগনের মাথাপিছু আয় তাদের দেশের জনগনের মাথাপিছু আয়ের হাজার ভাগের একভাগেরও সমান নয়। তাই আমাদের কোনটা ভাল হবে, তা ওদের সাথে তুলনায় গেলে চলবে না। সুতরাং আপনার দেওয়া জার্মানী,সু্ইডেন , যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার উদাহরন এখানে খাটে না।

আমিও মনে করি “রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট” গুচ্ছ পদ্ধতিতে গিয়ে যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে। এটা থেকে বেড়িয়ে যাবারতো প্রশ্নই ওঠে না। বরং আমাদের আন্দোলন করতে হবে আমাদের এডুকেশন এবং ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ যাতে বুয়েটের সমপর্যায়ে বা তারচেয়েও ভাল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এটা অসম্ভব কিছু নয়। কারন আমাদের এই স্যারেরাই কিন্তু দক্ষতার সাথে বিশাল সেশনজাম কমিয়ে এনেছেন, যেটা বুয়েটের পক্ষেও সম্ভব হয়নি।

অফটপিক: আপনার এককালের ছাত্র রেদওয়ান আর বাসিত আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড। রেদোয়ানকে আমি কাউসার রুশোর পোস্টটি দেখিয়েছি। আপনার কমেন্ট সেও পড়েছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।

১৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১

সুবিদ্ বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে.......

অবশ্যই গুচ্ছপদ্ধতি অ্যাপ্লাই করা উচিত.......

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০১

সাদাচোখ বলেছেন:
ধন্যবাদ।

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮

শয়তান বলেছেন: অকাট্য যুক্তি :#)

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০৩

সাদাচোখ বলেছেন:
;)

ধন্যবাদ।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মেঘের পরে মেঘ বলেছেন: পাইওনিয়ার হিসেবে বুয়েটেরই উচিৎ ছিল দেশের জন্য, ছাত্রদের জন্য সুবিধাজনক গুচ্ছপদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা মেনে নেয়া। আমরা জাতি হিসেবে সংকীর্নমনা। বুয়েট কর্তৃপক্ষও সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেননা।

রাগিব ভাইয়ের কমেন্ট আমি পড়েছি। আমি কুয়েটের সাথে সংশ্লিষ্ট আছি। কুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে অন্তত আমার বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। এর সপক্ষে অহরহ প্রমাণ আছে। সবচেয়ে বড় প্রমাণ, তৎকালীন একটিং ভিসি এবং রেজিষ্ট্রারের ছেলেরা চান্স পায়নি।

আর পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ডের ব্যাপারে বলতে চাইলে, পরীক্ষার ধরন কম বেশি সবারই একই। শুধুমাত্র কুয়েটে মনে হয় এখন পুরোটাই এমসিQ টাইপে হয়। স্ট্যান্ডার্ড আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করে নেয়া কোন ব্যাপার না।

গুচ্চাকারে পরীক্ষা হলে যে উপকারগুলো পাওয়া যেত, সেগুলো হল:

১। অভিভাবকদের অনেকগুলো টাকা বেঁচে যেত।

২। এতগুলো ছেলেমেয়ে সারা দেশময় ঘুরে বেড়ায় বাধ্য হয়ে, তাদের পরিবহনে অহেতুক দেশের জ্বালানি তেল খরচ হয়। সেটা সেভ হত।

৩। আমাদের যানজটের সমস্যা, রাস্তাঘাটের সমস্যা। এসবের উপর ভর্তিপরীক্ষাজনিত চাপ অনেকাংশে কমবে।

এখন অপ্রিয় হলেও কিছু কথা না বলে পারছিনা, সেটা হল, ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সিজনাল ব্যাবসা। এখন যদি গুচ্ছাকারে পরীক্ষা চালু হয় তাহলে সহজ বাংলায় তাদের ব্যাবসার পেটে লাত্থি। আলাদা আলাদা পরীক্ষা না হয়ে গুচ্ছাকারে হলে আয় চার ভাগের এক ভাগে নেমে আসবে। অন্যরা মেনে নিতে পারলেও বুয়েটের সম্মানিত শিক্ষকরা অতটা উদার হতে পারছেননা।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:০৮

সাদাচোখ বলেছেন:
সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

অল্প কয়েকজন ছাড়া বেশির ভাগ ব্লগারই কিন্তু এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯

আবু নাসের তনু বলেছেন: গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া প্রস্তাব করা হয়েছিল যে সব বিষয় কে মাথায় রেখে তার মধ্যে অন্যতম ছিল সেই সব স্টুডেন্টদের কথা, যারা আর্থিক ভাবে কিছুটা সমস্যাগ্রস্ত।

ধরা যাক একজন ছাত্র/ছাত্রী চাচ্ছে বুয়েটে পরীক্ষা দিতে। তার বাসা ঝিনাইদহ বা রংপুর বা সিলেটে বা বাংলাদেশের অন্য কোন জায়গায় এবং ঢাকায় তার কোন রিলেটিভ নেই। এখন ধরাযাক ফর্মের দাম ৪০০ (বর্তমানে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফর্মের দাম কত আমি জানিনা) টাকা। তাহলে শুধু ফর্ম কিনে জমা দিতে তার খরচ হবে ১৭০০ টাকা (যাতায়ত + ফর্মের দাম + থাকা + খাওয়া)। এর পর যখন সে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসবে তখন খরচ পরবে ১৩০০ টাকা। তাহলে এক ভর্তি পরীক্ষা দিতেই মোট খরচ দাঁড়াবে ৩০০০/= টাকা(আনুমানিক)।

এখন সে যদি বুয়েটে চান্স না পায় তখন সে কুয়েট, রুয়েট বা চুয়েট এ পরীক্ষা দিবে। এবং প্রতিবার প্রায় ৩০০০ টাকা করে খরচ হবে। এখন যদি একজন পরীক্ষাথী বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট এবং চুয়েট এ পরীক্ষাদেয় তাহলে তার মোট খরচ হবে ১২০০০/= টাকা।

গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটা কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব। ভতির ফর্ম বিক্রি করতে হবে সেল ফোনের মাধ্যমে (গতবার শাবিপ্রবি যেভাবে করেছে)। তাহলে ফম কিনা বাবদ খরচ হবে ৪০০ টাকা। যখন সে ভতি পরীক্ষা দিতে আসবে তখন খরচ পরবে ১৩০০ টাকা। তার মানে দাড়াচ্ছে গুছ ভতি প্রক্রিয়ায়(বুয়েট+রুয়েট+কুয়েট+চুয়েট) এ ভতি পরীক্ষা দিতে মোট খরচ হবে মাত্র ১৭০০/= টাকা !!!!!!!!

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আর একটা উদ্দ্যেশ্য হল কোচিং সেন্টার গুলোর ফর্ম ব্যবসা বন্ধ করা। সেল ফোনের মাধ্যমে ফর্ম বিক্রি করা হলে তা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। আর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মান কমার কোন প্রশ্নই আসে না।

তারপর ও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কেনো রাজি হচ্ছেনা এটা তারাই ভাল বলতে পারবে। হয়ত ভর্তি মানেই বিভিন্ন কমিটি, উপকমিটিতে থাকা। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কি হবে এসব চিন্তা করেই কেউ সামনে আসতে চাইছেনা।

কিন্তু সব কিছুকে পিছনে ফেলে আমাদের উচিত সাধারন স্টুডেন্টদের সুবিধা হয় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:১১

সাদাচোখ বলেছেন:
সুন্দর করে অংক কষে বিষয়টি দেখানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পরীক্ষার্থীর অবস্থান থেকে সকলেরই এই বিষয়টি দেখা দরকার।

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮

স্কোয়ার ওয়েভ বলেছেন: গুচ্ছ পরীক্ষা নিলে ছাত্রদের সুবিধা হয় মানি। কিন্তু এখানে দুটো ব্যপার আছে। প্রথমত, বুয়েট একটা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। তাই এর একলা পরীক্ষা নেওয়ার স্বাধীনতা আছে। দ্বিতীয়ত, গুচ্ছ পরীক্ষা নিঃসন্দেহে ভর্তি পরীক্ষার ইন্টেগ্রিটি নষ্ট করবে, অন্তত যে দেশে বিসিএসের কোশ্চেন আউটের নিদর্শন আছে।

সত্যিকার অর্থে বুয়েটকে ঠিক বিশ্ববিদ্যালয় বলা যায় কী না, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। এইটা আইটি ধরনের কিছু হওয়াটাই যৌক্তিক ছিল। হ্যাভিং সেইড দ্যাট, আমার মনে হয়েছে বুয়েটের আন্ডারগ্র্যাডের মান অসম্ভব ভালো। তবে এই ভালো হওয়ার পেছনের কারন দুটো। প্রথমত, ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের দেশে ইন্জিনিয়ারিং এখনো অনেক ছাত্রেরই পছন্দের তালিকায় সবার উপরের দিকে থাকে এবং তাদের সবারই ফার্স্ট চয়েজ থাকে বুয়েট। দ্বিতীয়ত, স্টুডেন্ট ভর্তি এবং শিক্ষক নিয়োগ এ দুটোতে বুয়েট এখনো প্রচন্ডভাবেই অনেস্ট। এজন্য বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা স্রেফ ভর্তি পরীক্ষাই না, বুয়েটের কোয়ালিটি ধরে রাখার কর্ণারস্টোন।

বুয়েট তার ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গর্ব করতে পারে। এটার মান নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখতে গুচ্ছ পরীক্ষায় যেতে আপত্তি করতে পারে। কারন বুয়েট এটা অর্জন করে নিয়েছে। আপনার মনে আছে কিনা জানি না, বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একবার বুয়েটের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের সাথে বুয়েটের অন্য ডিপার্টমেন্টগুলোর ঝামেলা হয়। তখন এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী বুয়েটের ভিসিকে ফোন করেছিলেন। এই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে বুয়েটের ভিসি, সব হলের প্রভোস্ট, সব ডিপার্টমেন্ট হেড, ডীন সহ প্রায় পচাত্তর জন শিক্ষক একদিনে রিজাইন করেছিলেন। স্বাধীনতার পরে এইটুকু হ্যাডম কোন বিশ্ববিদ্যালয় দেখাইসে এইটা আমার জানা নাই। বুয়েট হ্যাজ এভরি রাইট টু বি কনসারভেটিভ অ্যাবাউট ইটস অ্যাডমিশন প্রসেস।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৩

সাদাচোখ বলেছেন:
আমি কিন্তু পোস্টেই বলে দিয়েছি যে- "বুয়েট গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেনি সেটা তার প্রশাসনিক বিষয়। তবে তা ঠিক কি বেঠিক সেটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।"

আর পরির্বতন মানেই কিন্তু খারাপ কিছুতে যাওয়া নয়। SSC & HSC ক্ষেত্রে কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি।

না, বুয়েটের এই গণ পদত্যাগের কাহিনী জানতাম না। আমি সেই শিক্ষকদের সাহসকে টুপি খোলা অভিবাদন জানাচ্ছি। তবে বুয়েটের একঘরে হয়ে থাকার সিদ্ধান্তটির নিন্দাও করছি।

সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৪৫

চাল কুমড়া বলেছেন: আপনার কথায় কিছু যুক্তি আছে মানছি (এই যেমন ভর্তি পরীক্ষায় টাকা কম লাগবে+ যাতায়াত) কিন্তু

১. প্রশ্নপত্র মান ঠিক থাকবে ?? (আমি বুয়েট এ ভর্তি পরীক্ষার পর প্রায় মাস দুই বই না ধরেই আপনার বলা একটা উনিতে মেধা তালিকায় প্রথম দিকে ছিলাম আর বুয়েটে পড়াশুনা করে মাঝা মাঝি জায়গায় প্রশ্নপত্র মান একই থাকলে আমি পড়াশুনা করে বুয়েটে মাঝামাঝি আর দুইমাস বই না ধরে এমনকি আগের দিন ও না আপনার ইউনি তে প্রথম এ কেন ?বুয়েটের প্রথম দ্বিতীয় রা টিচার হয় আর আপনার ইউনিতে টিচার হয় বুয়েটের মাঝারি মানের একটা ছাত্র যে কিনা বুয়েট থেকে পাশ করা ? ঠিক কিনা ?)

২. ভর্তি প্রক্রিয়া সচ্ছ হবে (মেডিকেল এ কিন্তু এখনও টাকা দিয়ে ভর্তি হওয়া যায়, এই সিস্টেম চালুর পর , এটাকে আপনি কি বলবেন ? বিসিএস মেডিকেল এ তো প্রশ্ন প্রায়ই আওউট হয় ? বুয়েটে কি হয়? বাংলাদেশে কি আপনি এটা বন্ধের উপায় জানেন ?)
৩.আপনি বুয়েট/রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট একই পরীক্ষা যেমন চান তেমন বুয়েটের আমারও কিন্তু আমেরিকা/কানাডা এবং ইন্ডিয়ান ইন্জিনারিং ইউনি গুলার সাথে একই আপনার মতো পরীক্ষা ব্যবস্থায় এক পা তুলে রাজি ঠিক আপনি যেমন বুয়েট/রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট এক পা তুলে রাজি

আপনার মতো করে লিখলে আরো অনেক লজিক লিখতে পারবো ,টাইম নাই ইচ্ছাও নাই তবে আমি আপনার সিস্টেম সেই দিন সমর্থন করবো যেদিন যোগ্য প্রতিদন্দী হবে আমার মনেহয় তখনই এটা বেশি ভালো হবে

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:১৯

সাদাচোখ বলেছেন:
১.আপনি জ্ঞানী মানুষ তা আপনার কমেন্টর বিজ্ঞাপন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কারও ব্যক্তিগত অধ্যয়ন ক্ষমতা নিয়ে এখানে কথা হচ্ছেনা। কথা হচ্ছে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার একাংশ নিয়ে। আর শিক্ষক নিয়ে বলছেন? আপনাদের ক্লসের ২য়, ৩য় স্থন অধীকারিদের আপনি মাঝারী মানের ছাত্র মনে করেন? নিজেদের ছাত্রদেরকে নিয়ে এই আপনার মূল্যায়ন? বাহ বাহ আপনি তো দেখি চরম আত্ন তুষ্টিতে ভুগছেন। আমাদের বেশ কিছু স্যার কিন্তু আপনাদের ইউনির ২য়, ৩য় স্থান অধীকারি। আমাদের যেমন বুয়েট থেকে পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার আছে তেমন কিন্তু রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট থেকেও নিয়মিত টিচার নেওয়া হয়। এমনকি রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট থেকে বুয়েটের টিচারও আছেন। দয়া করে দাম্ভীকতা কমান। নিজের প্রতিষ্ঠানের মান এভাবে কমাবেন না।
২. মেডিকেলের কথা আমিও লিখেছি। কেন বারবার নেগেটিভ বিষয়কে উদাহরন হিসেবে নিচ্ছেন? পজিটিভ বিষয়টা কিন্তু আমাদের চোখের সামনেই আছে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী কিন্তু SSC, HSC পরীক্ষা দিচ্ছে নিজেদের পুরো বোর্ড জুড়ে একই সাথে। গ্রাম গঞ্জে আনাচে কানাচে কিন্তু পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। কোথাও কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসের উদাহরন পাওয়া যায়নি। বরং সেখানেই কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাবনা রয়েছিল। সুতরাং সদিচ্ছা থাকলে কিনা হয়। কয়েকটা দূবৃত্তের জন্য তো ভাল কিছু বন্ধ করে দেওয়া চরম বোকামি হবে।

৩.আপনার ৩নং কথার জবাবে আরও অনেক কথা শোনানো যেত। কিন্তু তা হয়ে যেত টিপিক্যাল বুয়েট বিরোধী লেখা। আমার বুয়েটের বন্ধুরা আর সমমনা বুয়েটিয়ান ব্লগাররাও আহত হত। তাই আর বেশি এগুলাম না।
নিজেদের ছোট্ট দেশে যে ব্যবস্থার প্রচলন আপনি বিশ্বাস করেন না, অন্য দেশের কাছে তা দাবী করেন কেমন করে। ব্যাপারটা ভিক্ষে চাওয়ার মত হয়ে গেল না? বরং দেশে গুচ্ছ পদ্ধতি চালুর জন্য অনেক যুক্তি আছে। আপনি মহামান্য “সেকেন্ড আইনস্টাইন” হয়ে বুয়েট থেকে যে ডিগ্রী নিয়ে বেরহবেন, আমরা রুয়েট/কুয়েট/চুয়েটের গর্ধবরা কিন্তু একই ডিগ্রী নিয়ে বেরুব। আর যেখানে
আন্তর্জাতিক রাংকিংয়ে আপনাদের কোন নামগন্ধই নেই, সেখানে আপনারা চাইছেন পশ্চিমাদের সাথে গুচ্ছ পরীক্ষা? হাসালেন।

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে আইনস্টাইন হতে হবে এমন কোথাও লেখা আছে নাকি? মিনিমাম যে যোগ্যতা থাকলে ইঞ্জিনিয়ারীং পড়া যায়, তারচেয়ে অনেক বেশি মেধা থাকার সত্ত্বেও অনেকে ইঞ্জিনিয়ারীং পড়তে পারছে না শুধু মাত্র যথেষ্ট আসনের অভাবে। এই আমার নিজের চোখে দেখা ভর্তিপরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থাকা ছাত্রকে সিজিপিএ তে শেষের দিক থেকে প্রথম হতে দেখেছি। আবার উল্টোটাও দেখেছি।
ভাল থাকবেন।

** এই উত্তর শুধু মাত্র এই দাম্ভিক ব্লগারকে উদ্দেশ্য করে লেখা। দয়া করে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না।
ধন্যবাদ।

১৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:১৮

রাজসোহান বলেছেন: দারুন যুক্তি

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:২০

সাদাচোখ বলেছেন:
ধন্যবাদ।

২০| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১০:৩১

অপ্রয়োজন বলেছেন: ইগো নিয়ে যুদ্ধ না করে যত দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ইনইফিশিয়েন্ট খাতে সম্পদের অপচয় (আলাদা ভর্তি পরীক্ষা) রোধ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে ততই মন্গল। এন্ট্রান্স টেস্ট একটা সিগন্যালিং প্রসেসের বেশি কিছু না, এটা নিয়ে এভাবে ইগোর যুদ্ধ না করে বরঞ্চ পরবর্তী চার বছরের শিক্ষার উপরে বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার। আলাদা ভাবে পরীক্ষা নিলে সিগন্যালিং প্রসেসটার ভেতরেই খুত থেকে যাবে যেটা অন্তত শিক্ষার ক্ষেত্রে কাম্য নয়। এক ধরনের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (যেমন মেডিকেলে হচ্ছে) এক ধরনের পরীক্ষাই হওয়া উচিৎ, সেক্ষেত্রেই এফিসিয়েন্সি গ্রো করা সম্ভব। আমাদের মতন একটা গরীব দেশে যেখানে মানবসম্পদই বলতে গেলে সবচেয়ে বড় সম্পদ সেখানে ইগোর যুদ্ধের মাধ্যমে অর্থ ও সময়ের অপচয় কাম্য নয়।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:২০

সাদাচোখ বলেছেন:
ধন্যবাদ অপ্রয়োজন।

আপনি আমার মনের কথা সুন্দর করে অল্প কথায় বলে দিয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষা তো শুধু মাত্র শুরু। আর মূল কাজতো ভর্তির পর বাকি চার বছরে করতে হবে। সময়, অর্থ, শক্তির অযথা অপচয়ের কোন মানেই হয় না।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০১

আদার বেপারী বলেছেন: আপনি নাম সংক্রান্ত ব্যাপারে আমার মন্তব্যে অহেতুক কষ্ট পেয়েছেন। :(

BIT নামটি IIT, KIT, বা MIT এর অনুরূপ।

আর হ্যা, আমিও গুচ্ছ পদ্ধতির পক্ষে*।

বুয়েট এর এডমিশন টেস্টে আরও বেশি পরীক্ষার্থীকে সুযোগ দিক। সিট সম্পূর্ণ হবার পর বাকি ছাত্ররা সিদ্ধান্ত নিক যে কে কোন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাকার বাইরে) যাবে।

ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:২৫

সাদাচোখ বলেছেন:
বিশ্বের নামকরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে "ইউনিভার্সিটি"-র বদলে "ইন্সটিটিউট" আছে, এ জাতীয় শিশুকে বোঝানোর মত কথা শুনতে ভাল লাগছে না। আমার যা নাম, আমাকে সেই নামে সবাই ডাকলেই আমি খুশি হব।

বাকি বিষয়গুলো পরিষ্কার করে বলার জন্য ধন্যবাদ।

২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৩৫

চাল কুমড়া বলেছেন: ১.আপনি যে বলছেন বুয়েটের ইগো তে লেগেসে এই কথার ভিত্তি কি ??? ইগোতে লাগলে কতিপয় ছাত্রের লাগতে পারে সবার না , কর্মকর্তারা decision নেবার সময় কি তারা বলেছেন এই কথা ? যদি বলেই থাকতো তাহলেতো পত্র পত্রিকাতেই আসতো যে বুয়েটের ইগোতে প্রবলেম , তাই কতিপয় ছাত্রের ইগোকে কর্মকর্তাদের উপর কেন চাপছেন ??? Decision তো কর্মকর্তারা নেয়, ছাত্ররা না

২.আপনি বুয়েট নিয়ে খেপা বুঝা যাচ্ছে ,ইউনিগুলা কেন মানে নাই তার কারণই আপনি জানেন না , জানলে নিজের মনগরা "ইগো কে" দায়ী করতেন না , কেন মানে নাই তা খুব সম্ভবত আপনার/ রুশো এর পোস্ট এ একাধিক ব্লগার বলেছেন , আপনার যদি দেশের প্রতি সত্যিকার ভালোবাসা থেকেই থাকে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম,ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও তো Decision মানে নাই আপনি তাদের নিয়ে কেন লিখেন নাই


আপনার মতলব নিয়েই তো এখন প্রশ্ন জাগে মনে

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৩৪

সাদাচোখ বলেছেন:
১. আমি কোথাও কিন্তু বলি নাই বুয়েটের ইগো তে লেগেছে। লিখে থাকলে বের করে দেখান। আপনি শুধু কথা প‌্যাঁচাচ্ছেন। ভাল করে পোস্ট টি পড়ুন, তারপর কথা বলুন।

২. বুয়েটকে নিয়ে আমা খেপতে যাব কেন? কথা কি অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন?

আর আমি অন্যন্য ভার্সিটির সমস্যা নিয়ে যে লিখিনি, তা আপনাকে কে বলল? আমি অনেক আগেই সেটা নিয়ে পোস্ট দিয়েছি। দয়া করে মাথা ঠান্ডা করে কথা বলুন। বেলাইনে কথা বললে আপনার এবং আপনার ভর্সিটির মান কোন ভাবেই বাড়বে না।

জনাব, এখানে কি ধরনের মতলব বাজি দেখলেন, তা যদি একটু ক্লিয়ার করতেন। আর এটা কমিউনিটি ব্লগ, কিছু কথা একটু সামলে বলা দরকার। সেটাই কার্টেসি, আশা করি তা আর নতুন করে শেখাতে হবে না।

ধন্যবাদ।

২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০১

পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: গরীব, দুর্নীতিবাজদের দেশে মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ডের কিছু এট্টা থাকলেই পাবলিক সেইটা মাথায় তোলে; আর আমরা তো হুজুগে বাঙালি। কমেন্ট পইড়্যা মনে হইলো যে দুইন্যায় ভার্সিটিই আছে দুইডা, এক ক্যালটেক আর আমাগো বুয়েট।

এইরম পাক-পবিত্র পর্দা-পুশিদা করা ভার্সিটির লগে অন্যান্য নাপাক ভার্সিটিরে একসাথে দেখা করা(নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক!!) এর চিন্তা করাডাই জাফর ইকবাল আর মুনির হাসানের মহাপাপ হইছে।


দ্যাশের আম-পাবলিক নিয়া চিন্তা কইর‌্যা লাভ কি? বুয়েট চিন্তা করবো বুয়েটিয়ানগো লাইগ্যা। এইরম বিগো ইগো আছে বইল্যাই তো বৈদেশের ফান পেপারে হেডলাইন হয়-
"বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার জন্য বাংলাদেশের সরকারী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা!!!!" পরিণাম ভালা না ভাইগো, পরিণাম ভালা হইবো না। সময়েই দেখবেন।

খেতা পুড়ি এইসব অহংকারের। রুয়েট-চুয়েট-কুয়েট-সাস্ট বরং বুয়েটরে বাদ দিলেই ভালো করবো গুচ্ছ সিস্টেমে। এইরম এভারেস্ট ওজনের ইগোর খানিকটা ঘাড়ে গেলেই তাগো খবর আছে।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৩৭

সাদাচোখ বলেছেন:
অহংকার কিন্তু মাত্র কয়েকজন করছেন। তাদের বাদ দিলে সবাই কিন্তু একমত হচ্ছেন যে গুচ্ছ পদ্ধতিটিই ভাল।

হুমম.. ঠিক বলেছেন। বুয়েট যদি পরীক্ষার্থীদের ভাল না চায়, তাহলে সে থাকুক তার পুরান নিয়মে। রুয়েট-চুয়েট-কুয়েট-সাস্ট চালিয়ে যাক নতুন পদ্ধতিটি।

মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩০

পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: হ

২৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৪৩

সাদাচোখ বলেছেন: হ

২৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০০

কলম.বিডি বলেছেন: অপ্রয়োজন বলেছেন: ইগো নিয়ে যুদ্ধ না করে যত দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ইনইফিশিয়েন্ট খাতে সম্পদের অপচয় (আলাদা ভর্তি পরীক্ষা) রোধ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে ততই মন্গল। এন্ট্রান্স টেস্ট একটা সিগন্যালিং প্রসেসের বেশি কিছু না, এটা নিয়ে এভাবে ইগোর যুদ্ধ না করে বরঞ্চ পরবর্তী চার বছরের শিক্ষার উপরে বেশি গুরুত্ব দেয়া দরকার। আলাদা ভাবে পরীক্ষা নিলে সিগন্যালিং প্রসেসটার ভেতরেই খুত থেকে যাবে যেটা অন্তত শিক্ষার ক্ষেত্রে কাম্য নয়। এক ধরনের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (যেমন মেডিকেলে হচ্ছে) এক ধরনের পরীক্ষাই হওয়া উচিৎ, সেক্ষেত্রেই এফিসিয়েন্সি গ্রো করা সম্ভব। আমাদের মতন একটা গরীব দেশে যেখানে মানবসম্পদই বলতে গেলে সবচেয়ে বড় সম্পদ সেখানে ইগোর যুদ্ধের মাধ্যমে অর্থ ও সময়ের অপচয় কাম্য নয়।

২৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩

সাদাচোখ বলেছেন:
সেটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।

২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:২১

চাল কুমড়া বলেছেন: ভাই আমার কমেন্টের যা উত্তর দিলেন তাতেই বুঝছি আপনি কোন দুনিয়ায় আছেন ধন্যবাদ.....


আপনারে এইভাবে লিখা বুঝানের সাধ্য বোধয় আমার নাই, রাজনীতিবিদদের মতো বললে তো আর চলে না....আপনার কথা হলো "যা মনেহয় তাই হোক তাল গাছ আমার "

এগুলা বাদ দিয়ে নিজের ইউনির মান উন্নয়নে কিছু করুন যাতে কলেজ পাশ ছাত্রদের জীবনের টার্গেট থাকবে বুয়েটে না অন্যগুলাতে ভর্তি হবার .... তখন আপনার এই সিস্টেমে আমরা রাজি আছি তার আগে না



ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন

০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:০২

সাদাচোখ বলেছেন:

চালকুমড়া ভাই কি এখন ফার্স্ট ইয়ারে নাকি? কথা শুনে সে রকমই মনে হচ্ছে। আর যদি তা না হয়েও থাকেন, তবে বয়সের সাথে আপনার মানষিকতার পরিপক্বতা এখনও আসেনি। আপনি প্রতিবার পিছলাইয়া যাচ্ছেন।

আমি কি একবারও বলেছি যে আমাদের ইউনির মান খুবই ভাল? এম আই টির পরই আমাদের ইউনির স্থান, আমরা অনেক উঁচু লেভেলের পড়াশুনা করি, বুয়েটের এক দমই বেইল দিই না। এরকম কিছু বলেছি? বরং আপনার প্রতিটি মন্তব্যে রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট বিরোধিতা আর বুয়েট স্তুতি ঝড়ে পড়ছে।
তালগাছ বগলে চেপে ধরে আপনিই কথা বাড়াচ্ছেন, আমি নই। আমি কোনটা বেঠিক বলেছি, তা একটু দেখিয়ে দিয়ে কথাগুলো বললে ভাল হত।

আমি ভাল ভাবেই জানি আমার ইউনির অবস্থান কোথায়। আর সেটার উন্নয়নের জন্যই চিন্তা করছি। আপনার মত দাম্ভিক একচোখা মানুষগুলো বুয়েটে বেশি নেই বলেই বুয়েট মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। আপনার মত আর কয়েকটা "আইনস্টাইন" বুয়েটে থাকলে তার বারটা বাজতে আর বেশি সময় লাগবে না।

আপনি যে ইউটোপিয়ার দুনিয়ায় আছেন, সেখান থেকে আসলে দেশের সমগ্র পরিস্থিতি দেখা যায়না। নিচে নেমে আসুন, বাকি সবার সাথে আশেপাশে তাকানোর চেষ্টা করুন।

আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই কামনাই করি।

২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৯:২২

চাল কুমড়া বলেছেন: ভাই আমার কমেন্টের যা উত্তর দিলেন তাতেই বুঝছি আপনি কোন দুনিয়ায় আছেন ধন্যবাদ.....


আপনারে এইভাবে লিখা বুঝানের সাধ্য বোধয় আমার নাই, রাজনীতিবিদদের মতো বললে তো আর চলে না....আপনার কথা হলো "যা মনেহয় তাই হোক তাল গাছ আমার " নিজের চাওয়া ঠিকই বুঝেন অন্যের বেলায় নাই

এগুলা বাদ দিয়ে নিজের ইউনির মান উন্নয়নে কিছু করুন যাতে কলেজ পাশ ছাত্রদের জীবনের টার্গেট থাকবে বুয়েটে না অন্যগুলাতে ভর্তি হবার .... তখন আপনার এই সিস্টেমে আমরা রাজি আছি তার আগে না



ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন

২৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:০৮

চাল কুমড়া বলেছেন: আপনাদের রাটিং জানুন এখানে

০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৪

সাদাচোখ বলেছেন:
সারাবিশ্বে ২,৯১৬ তম, দক্ষিণ এশিয়ার 'শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়' এর মধ্যে (২৩) স্থানে রয়েছে বুয়েট আর সারা বাংলাদেশে এখানে স্থান পেয়েছে মাত্র ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ ভারত থেকে ৭২ টি বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে স্থান করে নিয়েছে। আপনা মত চিন্তাধারা থাকলে ভারতে ৪/৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় রাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকত, আর বাকিগুলোর কোন স্থানই থাকত না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে এনেছে দেখেই এমন সম্ভব হয়েছে। আমিও সেই একই ঘটনা বাংলাদেশে প্রয়োগ করতে বলছি। আমাদের প্রয়োজন প্রচূর সংখ্যক প্রযুক্তিবীদ। হাতেগোনা অল্প কয়েকজন দূর্দান্ত মেধাবী দিয়ে দেশের সামগ্রীক উন্নয়ন হবে না। এজন্য প্রয়োজন বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা।


আর একটা কথা এই রাংকিং কিন্ত দেওয়া হয়েছে অনলাইন প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে, এজন্য বেশ কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আগে চলে এসেছে। দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই অনলাইন প্রকাশনায় এখনও শিশু পর্যায়ে আছে। সুতরাং এই রাংকিং কতটুকু গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়।
তবে আমি কিন্তু বলছি না যে "রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট যেহেতু এই তালিকায় নেই, তাই এটা ভূয়া"। আমি ভাল করেই জানি রুয়েট/কুয়েট/চুয়েট বুয়েটের চেয়ে অবকাঠামো এবং গবেষণায় কতদূর পিছিয়ে আছে।

২৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৩৬

মোসারাফ বলেছেন: রাজশাহীতে রিকশাওয়ালাদের রুয়েট বললে তারা চেনে না। কিন্তু বিআইটি বললে তারা নিমিষেই চিনতে পারে।

আগে হলে আপনার সাথে একমত হতাম। কিন্তু এখন রিক্সাওয়ালাদের রুয়েট বললে তারা চিনে। আমরা রুয়েটে পড়ার সময় থেকে রিক্সাওয়াদের বলতাম রুয়েট যাবেন? না চিনতে পারলে বলতাম BIT. এখন কিছু সংখক বাদে বেশির ভাগই চিনে।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:০৭

সাদাচোখ বলেছেন:
দুঃখিত, তাড়াহুড়ো করে লিখতে গিয়ে এমন হয়েছে। আসলে লেখা উচিৎ ছিল ...."রাজশাহীতে কিছু কিছু রিকশাওয়ালাদের রুয়েট বললে তারা চেনে না। কিন্তু বিআইটি বললে তারা নিমিষেই চিনতে পারে।..."

ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

আপনি কি রুয়েটের?

৩০| ৩০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৩:২৬

পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: চালকুমড়া ভাই, ও চালকুমড়া ভাই-

এত্ত ইগো ক্যামনে রাখেন ভাই? আপনারা কি খান ভাই? কোন টুথপেস্ট দিয়া দন্ত মঞ্জন করেন? কোন টয়লেট টিস্যু ইউজ করেন জানতে মঞ্চায়। আমিও আপনাগো লাহান ছেলিব্রেটি আইনস্টাইন মার্কা বিরিলিয়ান্ট এঞ্জিনিয়ার হইতাম চাই!!!!!

০১ লা আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:২৬

সাদাচোখ বলেছেন:
হা হা হা . . .

বস, স্যাটায়ার নামাবেন নাকি একখান?

;)

৩১| ৩০ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৩২

চাল কুমড়া বলেছেন: লাঠিয়াল ভাই, ও লাঠিয়াল ভাই-

হাস্যকর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এর থেকে বেশি আশা করি নাই যাই হোক আপনাদের রেটিং জানুন এখানে আপনাদের এক গুচ্ছ বন্ধুর রেটিংই কিন্তু নাই !!!!!!!! আশা করি এটা জানার পর আর লজ্জা বলতে কিছু থাকলে আজাইরা মন্তব্য করবেন না

নিজের অবস্থার উন্নতি করুন তারপর গুচ্ছ তে রাজি আছি তার আগে না


ধন্যবাদ

১১ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৪

সাদাচোখ বলেছেন:
বহুত বলদামি করছ চান্দু।

বুয়েট যেসব ছাত্রের জন্য গর্ব করতে পারে, তেমন একজনের লেখা পইড়া দেখ।

চিলের হাতে বিপন্ন কান, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং নিয়ে বিভ্রান্তি

এইবার চিন্তা কইরা দেখ তুমার লজ্জা শরম আছে কিনা। না জাইনা শুইনা হুদাই একখান ড়্যাংকিংয়ের কথা কৈলা। উপ্রের লিংকের লেখাটা পইড়া দেখ। কত্ত বড় বলদা তুমি।

৩২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৪১

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: চাল কুমড়া ভাই বুয়েট যদি গুচ্ছ তে আসে তাহলে কি যে ছেলে পরীক্ষায় প্রথম দিকে থাকবে সে বুয়েত ছেড়ে কি রুয়েটে/কুয়েটে আসবে?আর যে র‌্যাংকিং দিয়েছেন তা নিয়ে মেলা ক্যাচাল আছে,নিজেদের অবস্থা উওন্নত করা বলতে আপনি অবকাঠামো গত উন্নতি বুঝাচ্ছেন নিশ্চয়?অবকাঠামো গত দিক দিইয়ে + অন্য দিক দিয়ে বুয়েট এগিয়ে এটা মানি কিন্তু তাই বলে গুচ্ছ তে আসাই যাবে না এটা বলা উচিত না।

১৩ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:৫৪

সাদাচোখ বলেছেন:
মতামত দেবার জন্য ধন্যবাদ।

তবে চালকুমড়ো কে কিছু বোঝানো একেবারেই অসম্ভব মনে হচ্ছে।

৩৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:৪১

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: চাল কুমড়া ভাই বুয়েট যদি গুচ্ছ তে আসে তাহলে কি যে ছেলে পরীক্ষায় প্রথম দিকে থাকবে সে বুয়েত ছেড়ে কি রুয়েটে/কুয়েটে আসবে?আর যে র‌্যাংকিং দিয়েছেন তা নিয়ে মেলা ক্যাচাল আছে,নিজেদের অবস্থা উওন্নত করা বলতে আপনি অবকাঠামো গত উন্নতি বুঝাচ্ছেন নিশ্চয়?অবকাঠামো গত দিক দিইয়ে + অন্য দিক দিয়ে বুয়েট এগিয়ে এটা মানি কিন্তু তাই বলে গুচ্ছ তে আসাই যাবে না এটা বলা উচিত না।

৩৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সাদাচোখ বলেছেন:
এই পোস্টের প্রাসঙ্গিক একটা লেখার লিংক দিয়ে রাখলাম।

দুঃখটাকে ভাগাভাগি করি। ---মুহম্মদ জাফর ইকবাল

৩৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৪

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: একটা ব্যাপার খুবই অদ্ভুদ লাগে যেটা হলো ইংরেজীতে যেগুলো এইরকম : Bangladesh University of Engineering & Technology (BUET, not BET ), Chittagong University of Engineering & Technology (CUET), Khulna University of Engineering & Technology (KUET), Rajshahi University of Engineering & Technology (RUET) সেটা বাংলায় :- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট, নট বেট ) , চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) , খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।
এটাকি গ্রামাটিক্যাল ভুল নাকি রেজিস্ট্রেশনের সময় এরকম করা হয়েছে।

৩৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: একটা ব্যাপার খুবই অদ্ভুদ লাগে যেটা হলো ইংরেজীতে যেগুলো এইরকম : Bangladesh University of Engineering & Technology (BUET, not BET ), Chittagong University of Engineering & Technology (CUET), Khulna University of Engineering & Technology (KUET), Rajshahi University of Engineering & Technology (RUET) সেটা বাংলায় :- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট, নট বেট ) , চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ,রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) , খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)।
এটাকি গ্রামাটিক্যাল ভুল নাকি রেজিস্ট্রেশনের সময় এরকম করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.