নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাঙ্গলবন্দ পূণ্যস্নান - ফটো ব্লগ

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৩৮



পাপ থেকে মুক্তি লাভের আশায় প্রতি বছর চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে দেশের বিভিন্ন এলাকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থীরা ছুটে আসেন পবিত্র নদ ব্রহ্মপুত্রে স্নান করতে । ভারত, নেপাল, তিব্বত, শ্রীলঙ্কাসহ দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পূণ্যার্থীর পদভারে প্রতি বছর মুখরিত হয়ে উঠে লাঙ্গলবন্দের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা।



লাঙ্গলবন্দ কাহিনী:

হিন্দু পুরাণ মতে, ত্রেতাযুগের সূচনাকালে মগধ রাজ্যে ভাগীরথীর উপনদী কৌশিকীর তীর ঘেঁষে এক সমৃদ্ধ নগরী ছিল, যার নাম ভোজকোট। এ নগরীতে ঋষি জমদগ্নির পাঁচ পুত্র সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তানের নাম রুষন্নন্ত, দ্বিতীয় পুত্রের নাম ছিল সুষেণ, তৃতীয় পুত্রের নাম বসু, চতুর্থ পুত্রের নাম বিশ্বাসুর ও পরশুরাম ছিলেন সবার ছোট। পরশুরামের জন্মকালে বিশ্বজুড়ে চলছিল মহাসঙ্কট।একদিন পরশুরামের মা রেণুকা দেবী জল আনতে গঙ্গার তীরে যান। সেখানে পদ্মমালী (মতান্তরে চিত্ররথ) নামক গন্ধবরাজ স্ত্রীসহ জলবিহার করছিলেন (মতান্তরে অপ্সরীগণসহ)। পদ্মমালীর রূপ এবং তাদের সমবেত জলবিহারের দৃশ্য রেণুকা দেবীকে এমনভাবে মোহিত করে যে, তিনি তন্ময় হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকেন।অন্যদিকে, ঋষি জমদগ্নির হোমবেলা পেরিয়ে যাচ্ছে, সেদিকে তার মোটেও খেয়াল নেই। সম্বিত ফিরে পেয়ে রেণুকা দেবী কলস ভরে ঋষি জমদগ্নির সামনে হাত জোড় করে দাঁড়ান। তপোবলে ঋষি জমদগ্নি সবকিছু জানতে পেরে রেগে গিয়ে ছেলেদের মাকে হত্যার আদেশ দেন।প্রথম চার ছেলে মাকে হত্যা করতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু পরশুরাম পিতার আদেশে মা এবং আদেশ পালন না করা ভাইদের কুঠার দিয়ে হত্যা করেন। পরবর্তীকালে পিতা খুশি হয়ে বর দিতে চাইলে তিনি মা এবং ভাইদের প্রাণ ফিরে চান। তাতেই রাজি হন ঋষি জমদগ্নি।কিন্তু মাতৃহত্যার পাপে পরশুরামের হাতে কুঠার লেগেই থাকে। অনেক চেষ্টা করেও সে কুঠার খসাতে পারেন না তিনি। একপর্যায়ে পিতার কথামতো পরশুরাম তীর্থে তীর্থে ঘুরতে লাগলেন। শেষে ভারতবর্ষের সব তীর্থ ঘুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পূণ্যজলে স্নান করলে তার হাতের কুঠার খসে যায়।পরশুরাম মনে মনে ভাবেন, এই পূণ্য বারিধারা সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে মানুষ খুব উপকৃত হবে। তাই, তিনি হাতের খসে যাওয়া কুঠারকে লাঙ্গলে রূপান্তর করে পাথর কেটে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে মর্ত্যলোকের সমভূমিতে সেই জলধারা নিয়ে আসেন। লাঙ্গল দিয়ে সমভূমির বুক চিরে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হন তিনি।ক্রমাগত ভূমি কর্ষণজনিত শ্রমে পরশুরাম ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় এসে তিনি লাঙ্গল চালানো বন্ধ করেন। এই জন্য এই স্থানের নাম হয় লাঙ্গলবন্দ। এরপর এই জলধারা কোমল মাটির বুক চিরে ধলেশ্বরী নদীর সাথে মিশেছে। পরবর্তীকালে এই মিলিত ধারা বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে।



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে এভাবেই প্রায় ১ কিলোমিটার হেটে যেতে হয় স্নান ঘাটে, আর এমন লাখো মানুষ ঠেলেঠুলে যাওয়া যথেষ্ট কষ্টকর ।





ফুল, বেলপাতা, ধান, দুর্বা, হরিতকি, ডাব ইত্যাদি দিয়ে পিতৃকূলের তর্পণ করে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করলে সব পাপ মুক্ত হয়ে আশাতীত পুণ্য সঞ্চয় হয়। এই প্যাকেটে সব রয়েছে, শুধু টাকা দিয়ে কিনে নিতে হবে ।







শুধু পাপ মুক্তিই নয়, এখানে পাবেন বিশাল এক মেলার আমেজ ।











পাপ কতটা মোচন হল, পূণ্যও কিছুটা জুটল কিনা হাত দেখিয়ে অনায়াসেই জেনে নিতে পারেন এই জ্যোতিষের কাছ থেকে







সম্ভবত ওনার নাম নুরা পাগলা, মাইকে ওনার নাম জপে যাচ্ছে সাগরেদরা, আর আম পাবলিকরা টাকা ছুড়ে দিচ্ছে ওনার প্যান্ডেলের ভেতর । এ এক আজব দুনিয়া.....







নুরা পাগলার পেছনে ভক্তকূলের অবস্থান ।





দুনিয়াটা পাগলেরই মেলা, পাশাপাশি অবস্থান রত দুই পাগল ।





দূর দুরান্ত থেকে আগত পূণ্যার্থিরা এখানে রান্নাবান্না করেই খেয়ে থাকে ।





সামনেই স্নান ঘাট ।

















পূণ্যার্থিদের স্নানে পূণ্যের সঠিক হিসাব দিতে না পারলেও এই বালকের যে পূণ্য হচ্ছে তা অনায়াসেই বলা যায়, কারণ পানিতে ফেলে দেওয়া ওদের টাকা কড়ি কিংবা ফল ফলাদি কুড়য়ে নিতে সে মহা পারঙ্গম ।













স্নান সেরে আরো কিছু আনুষ্ঠানিকতা





মহাদেব আর পার্বতীর সাজে ওদের আজ ভালো ইনকাম ।







স্নানের কারণে ঢা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জানজট ।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৫২

মেংগো পিপোল বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :-B

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৫৬

জারনো বলেছেন:

আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের যদি এখানে স্নান করানো যেতো তা হলে হয়তো
তাদের মনের কালিমা কিছুটা হলেও দূর হতো। তাতে তাদের কোন লাভ না হলেও জনগণের উপকার
হতো তা নিশ্চিত। তাদের সকলের মনের কালিমা দূর হোক এই প্রত্যাশায়

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদের এই আশা কখনো পূর্ণ হবার নয়, রাজনীতিবিধরা সবাই সুযোগ সন্ধানী ।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:১২

ব্লুম্যাজিক বলেছেন: জারনো বলেছেন:

আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের যদি এখানে স্নান করানো যেতো তা হলে হয়তো
তাদের মনের কালিমা কিছুটা হলেও দূর হতো। তাতে তাদের কোন লাভ না হলেও জনগণের উপকার
হতো তা নিশ্চিত। তাদের সকলের মনের কালিমা দূর হোক এই প্রত্যাশায়

shomot!

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদের এই আশা কখনো পূর্ণ হবার নয়, রাজনীতিবিধরা সবাই সুযোগ সন্ধানী ।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব পগলের বসল মেলা নদে এসে
ওরে মন নদে এসে
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে..

পাগলের সংগে যাবি পাগল হবি
বুঝবি শেষে
তোরা কেউ যাসনে
ও পাগলের কাছে।।

;)

অনেক কিছু জানা হলো। ধণ্যবাদ। পরশুরামের কঠোর কুঠার তাহলে এই মিথ থেকেই এসেছে?

আবারো ধন্যবাদ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: গানটা প্রচন্ড ভালো লেগেছে, পরশুরামের কঠোর কুঠার তাহলে এই মিথ থেকেই এসেছে? হয়তোবা.....

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:১৯

সরদার হারুন বলেছেন: উল্লেখিত যে কাহিনি লেখক লিখেছেন তার সাথে কিছু যোগ করছি:-
পরশুরাম বাবার খুব ভক্ত ছিলেন । জমদগ্নীর সাথে হই হইর রাজা কার্তবির্য্যরে কাম ধেনু নিয়ে বিবাদ হয়। রাজা জমদগ্রূর মাথায় পদাঘাত করে । সে দিন হতে পরশুরাম কাঠের কুঠার নিয়ে
ক্ষত্রিয় নিধনে নেমে পরে। যেখানে যখন ক্ষত্রিয় দেখে সে খানেই হত্যা করে । তার বাবা যখন তা মাকে হত্যা করতে আদেশ দেয় তখনও তার হাতে কুঠার ছিল।তাই তার হাতে কঠার আটকে যায়।
এখানে প্রথমে পরশুরাম মাকে মারতে চায়নি।তখর তার বাবা বলে," পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম পিতহি পরমাং তব,পিতরী পৃতিমা পন্নে পৃয়ন্তে সর্ব দেবতা" তখন পরশুরাম মাকে হত্যা করে।

( বহুদিন আগের পড়া তাই লিখায বানান ভুল হতে পারে । ক্ষমা করে দিবেন)












০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ, মিথগুলো আসলে এমনি, বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে ।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:২৯

~মাইনাচ~ বলেছেন: ভাল লাগল

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :D

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:১০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: আর কতদিন চলবে স্নান?

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তিথি অনুযায়ী ৩০ মার্চ শুক্রবার সকাল ৮টা ১৯ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে লগ্ন শুরু হয়ে পরদিন ৩১ মার্চ শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:২৪

সুইট টর্চার বলেছেন: পাপ পূণ্যের কথা জানিনা তবে ঘটনাটা জানতে পারলাম মজাও পাইলা.............।

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মিথটা পড়লে সত্যিই ভালো মজা পাওয়া যায় :)

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

দৈববানী বলেছেন: পাশাপাশি অবস্থান রত দুই পাগলের একজন নিশ্চই আপনি....... =p~ =p~ =p~ =p~

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই তো বুঝতে পারছেন :D

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫

কাউসার রুশো বলেছেন: দারুন পোস্ট
+++ :)
আমি মনে হয় পুরো বাংলাদেশটা চষে বেড়িয়েছেন! বাংলার লোক সংস্কৃতিকে কাছ থেকে দেখেছেন!
এটা দারুন এক অভিজ্ঞতা

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার এমন মন্তব্যে উৎসাহিত হওয়ার যথেষ্ট রসদ আছে ।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮

সরদার হারুন বলেছেন: আরও কিছু অজানা কথা লিখতে চেয়েছিলাম।হঠাৎ কে যেন কাগজ কেড়ে নিল তাই বিরত হলাম।

০১ লা এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হারুণন সরদার, অজানা কথাটা জানতে খুবই মু্ন্চায়, বলবেন কি ??

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৫০

তিতাস একটি নদীর নাম বলেছেন: আমি ১৯৮৩ বা ৮৪ সালে মায়ের হাত ধরে একবার গেছিলাম কুমিল্লা থেকে। তখন অনেক সময় লাগত যেতে। ছোট ছিলাম বলে অনেক খাবার দাবার পেয়েছিলাম। অনেক ভীড় ছিল। তারপরে আর যাওয়া হয়নি।
আপনার ছবিগুলো দেখে বাশ ভাল লাগল।

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ছোটদের কজা করার জন্য ওখানে রয়েছে প্রচুর গ্রামীন খাবার ও খেলনা । সুতরাং ভালো না লাগার উপায় কি আছে ?

১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০১

ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: দারুন পোস্ট !

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমার প্রিয় সংগঠন ।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫১

শার্লক হোমস্‌ বলেছেন: ভাবতে ই ভালো লাগে যে এইটা আমাড় গ্রাম।
আমার জন্ম ভূমি।
লাঙ্গলবন্দ
শৈশোব এর নানা সৃতি এই গ্রাম

০২ রা এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শার্লক হোমসের বাড়ি লাঙ্গলবন্দ আজই জানলাম :D ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.