নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের সাথে বদলে যাওয়া ইতিহাস আমাকে বড়ই বিভ্রান্ত করেছিল। আমাদেরর প্রজন্মের অনেকেই এই বিভ্রান্তির শিকার বলে আমার মনে হয়।

শফিকুল ইসলাম ৮সুজন

অতি সাধারন ও ভীতু

শফিকুল ইসলাম ৮সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈষয়িক জীবন

১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২১

শ্রেণিসংগ্রামের চেয়ে সমশ্রেণিভুক্ত বিভিন্ন দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব্ব চলে সেদিকে জনতার দৃষ্টি মূলত নিবদ্ধ। এখানে একনায়কতন্ত্র বা কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে, গণতন্ত্রহীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বক্তব্য আসে, দুর্নীতি, অনিয়ম, সুশাসনের অভাব, অন্যায়-অবিচার ও অনৈতিক আচরণের বিরুদ্ধে জনতাকে সোচ্চার হতে দেখা যায়। কিন্তু চিহ্নিত ধনীদের বিরুদ্ধে কোনো গোষ্ঠীকে জোরালো বক্তব্য রাখতে দেখা যায় না। বাংলাদেশে তো নয়ই। এ দেশে যে দুটি বড় দল রাজনীতির মূল নিয়ন্ত্রক, সম্পদবৈষম্য দূর করে সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা তাদের রাজনীতির মূল উপজীব্য নয়। যারা সমাজতন্ত্রের কথা বলে তারা ব্যক্তি হিসেবে সম্মানিত, কিন্তু তাঁদের দলের জনসমর্থন নেই। এখন নাগরিকরা ক্ষমতাকেন্দ্রিক। যে দল ক্ষমতায় আসতে পারবে তার প্রতি তারা আকৃষ্ট। প্রত্যন্ত গ্রামের সমর্থকও হিসাব করে তার দল ক্ষমতায় এলে তার বৈষয়িক তরক্কি কী হবে। কার নীতি ভালো, কে ভালো লোক এটি মূল বিবেচ্য নয়, কেন্দ্রে তার নেতা কত কোটি টাকা উপার্জন করল এটি জানতে সে আগ্রহী নয়, অত টাকা সম্পর্কে তার স্পষ্ট ধারণা নেই। সে এটুকু বোঝে, তার দল, তার নেতা সরকারে থাকলে গ্রামপর্যায়ে তার কয়েক হাজার টাকা আয়-উপার্জনের পথ সুগম হবে। অতএব দলের প্রতি তার আনুগত্য অবিচল থাকতে হবে। শহরে-বন্দরে, গ্রামগঞ্জে সাধারণ মানুষ, এমনকি মধ্যবিত্তরাও জানতে চায় না কোন ধনী পরিবারের কত হাজার কোটি টাকা আছে। এটি তাদের মাথায় ধরে না। তারা শুধু অবাক মুগ্ধতায় এসব শুনে যায়, এ নিয়ে রসাত্মক গল্প করে। একইভাবে বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট, কার্লোস স্লিম, আমানিকো ওরতেগা, প্রেমজি কিংবা আম্বানির বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের হিসাব আমাদের মাথায়ও তাত্ক্ষণিকভাবে ধরে বলে মনে হয় না। আমরা মুগ্ধ হই। আমাদের মধ্যে যারা বৈষয়িক ও চালাক, তারা এ সম্পদের ছিটেফোঁটা কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে অনুদান হিসেবে পেতে পারে কি না সে সম্পর্কে চিন্তা-ধান্দা করতে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে কারো কোনো ক্ষোভ নেই। নিজেদের আয়-উপার্জন ঠিক থাকলেই হলো। আয়-উপার্জন আরো বাড়ানোর জন্য তাদের একাংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুস্তর মরুভূমি কিংবা উত্তাল সাগর পাড়ি দিতেও রাজি। নগণ্যসংখ্যক কয়েকজন ছিনতাই, ডাকাতি কিংবা নানা ধরনের অনৈতিক ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে কুণ্ঠা বোধ করে না। অর্থের লোভে সন্ত্রাসী দলেও তারা নাম লেখায়। তবু তারা জীবনপণ করে ধনিক শ্রেণির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে রাজি নয়। যে কর্মসূচি থেকে নগদ কিছু পাওয়া যাবে না, সে কর্মসূচি সর্বতোভাবে পরিত্যাজ্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.