নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমার আর আমার দূরত্ব রাস্তার এপার ওপার।তুমি দাড়িয়ে আছো আমার আশায়আমি অপেক্ষায় আছি যাবো কখন!

মেঘ প্রিয় বালক

একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।

মেঘ প্রিয় বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ সম্বোধনে প্রিয় গুলমোহর।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৯


চিরকুট:-০৬
তারিখ :-০৩ বৈশাখ,১৪২৬ বাংলা,গ্রীষ্মঋতু।
প্রিয় গুলমোহর।
পত্রের প্রারম্ভে গ্রীষ্মঋতুর দাবদাহ গরমে পাকা ধানের আনকোরা ঘ্রানের পরিপাটি জড়ানো শুভেচ্ছা।
যথারীতি দেখতে দেখতে তোমাকে ষষ্ঠ নাম্বার পত্রে শেষ সম্বোধনে লিখছি চিটাগাংয়ের নৌবন্দর থেকে।
জানতে চাইছি কেমন আছো?
আমার ভালো থাকার গোপন রহস্য হাস্যকর পরিণতিতে তো পরিহাসের স্বর্ণকুটির।
ইচ্ছেগুলো অনেক আগেই বিদায়সম্ভাষণের আদলে মিশে গেছে কোন চক্ষুগোচর গোরে।
তোমার ছবির সাথে আমি কল্পনার ভয়াবহ খেলায় লিপ্ত হই। সে খেলায় আমি বারবার পরাজিত হয়ে জয়ের স্বাদ আস্বাদন করি।
তোমার ঐ দিঘল কালো চুলের ঘ্রান গতকাল প্রায় আমার দম বন্ধ করে দিচ্ছিল।
তোমার চোখখেকো অক্ষিপাতে আমি হয়ত আগের মত নেই।

অদৃশ্য বিমূঢ়তায় আমি তো কবেই স্মৃতিদের হারিয়ে ফেলেছি ডাইরীর ভাঁজে।
দ্বিপ্রহরের কাঠফাটা তপ্ত রোদে রীতিমত পুড়েছি তোমায় দেখার অপেক্ষা যেন অনন্তশয়ন অদ্যাপি।
দিবার শেষ অংশের সুবর্ণকমল আভায় তোমার পাশে হাটার দিনের ইচ্ছেটা এখনো দগদগে অন্তর্গৃহে।
তোমার হাসির মুগ্ধময়তায় আমি দীর্ঘদিবস পুড়তে চেয়েছিলাম।
কিন্তু খর্ব অধিকারের দাবানলে তার স্হিরতা ভেতর অবধি পৌঁছক তা তুমি কখনো চাওনী।
ধূসর জীবনের শেষ গোধূলিতে নিশিগন্ধ্যার ঘ্রান আর শুকতারার আলো নাক- চোখে মাখতে পারিনি।
সন্ধ্যালগ্নের সেঁজুতিতে আমার ব্যর্থতার দাপাদাপি তোমার অন্তস্পশী হতে পারেনি।
ভালবাসার লাগাম টেনে ধরেছে অদৃশ্য বেড়ি।
আদ্যাবধি নিশ-পিশ অনন্তযৌবনের মন্যতা তোমার মন দশেনি হুমশব্দ পর্যুদস্ত।
প্রতিয়মান অর্বাচীন তূর্যনিনাদ রুচিবাগীশ অস্তগমনোম্মুখে বসে আছে।
কোলাহলের উর্বশী গ্রীষ্ম পূর্ণিমা তিথিতে জানালায় রোষাগ্নিরুপ ধারণ করে আছে।
আজ যেন ঝিঁঝিঁপোকাদের নিস্তব্ধ আস্ফালন আমার কর্ণগোচরে আঘাত করেছে।
ইদানীন্তন পরাজয়ের মাল্য উন্মেষে অহর্নিশির আলো-আধাঁরীতে পান্হে পরিণত করেছে।
বিনা মেঘের বজ্রপাতে স্বপ্নদের গায়ে জলকলঙ্কেরর দাগ,আমার জীবন্তিকার দুর্বিষহের উপক্রম ছাড়া বৈ অন্য কিছু নয়।
উন্মীলিত চোখের আলোয় মরিচীকা বিভ্রমের উদ্দীপনে আমাকে গ্রাস করছে তোমার সর্বনাশা অধর।
ষষ্ঠ লিখা চিঠির ভাজে অনেক হরেক প্রশ্ন তোমাকে করা হয়েছে,কোন প্রতিউওর দেখা মেলেনি আর কবে মিলবে তাও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুয়ালে শিকলবদ্ধ।
অপেক্ষা না জানি কত যুগ দীর্ঘ হবে, তা আমার বোধগম্যতার সীমানা হয়ত পেরিয়ে গেছে।
কিছু অর্বাচীন স্বপ্নেরা আমায় বাচিয়ে রেখেছে আর বাচিয়ে রাখবে হয়ত আরো কিছু দিন কাল সপ্তাহ মাস সন তারিখ।
আজ আর নয়।দুর্বোধ্য আমার গল্পের মোড় পাল্টাতে নতুন নামের প্রিয়কে কাল থেকে আবার নতুন করে লেখা আরম্ভ করবো। তুমি ভালো থেকো প্রিয়।

Delonix Regia.

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

অজ্ঞ বালক বলেছেন: কটঠিন পোস্টমডার্ণ গদ্যকবিতা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৮

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: সময় একদিন ঠিকই প্রতিশোধ নিয়ে নেয়..!

১৯ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: এ শোধ-প্রতিশোধের খেলায় আমি বারবারয়ি পরাজিত।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সহজ সরল লেখা।

১৯ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: শুকরিয়া ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.