নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমার আর আমার দূরত্ব রাস্তার এপার ওপার।তুমি দাড়িয়ে আছো আমার আশায়আমি অপেক্ষায় আছি যাবো কখন!

মেঘ প্রিয় বালক

একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।

মেঘ প্রিয় বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পঁচিশ পয়সা বনাম পঁচিশ টাকা

২৯ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩


দৃশ্যপট:১৩
তারিখ:-১০ জৈষ্ঠ্য ১৪২৬ বাংলা।
আজ আমার শৈশব থেকে একটি গল্প বলবো আপনাদের।
ক্লাস টু তে পড়ি সম্ভবত
তখন সবে গুনতি আর যোগ-বিয়োগ শিখেছি। একদিন সকালে মাদরাসায় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি। সুয়েটারের পকেটে হাত দিতেই হাতে ঠাণ্ডা কিছুর স্পর্শ পেলাম। বের করে এনে দেখি একটা কয়েন। ছোট্ট করে লেখা "২৫ পয়সা"। মনে মনে বেশ খুশি হলাম- বাহ! পঁচিশ পয়সাআ! খুশি মনে কয়েনটা আবার পকেটে রেখে তৈরি হয়ে মাদরাসার পথ ধরলাম।
বাসা থেকে বের হয়ে গলির মুখেই দোকান। দোকানে গিয়ে বললাম, "আঙ্কেল একটা কোকোলা বিস্কুট দেন"। বিস্কুটের প্যাকেট হাতে নিয়ে, পকেট থেকে কয়েনটা দোকানির হাতে দিয়ে বললাম- বাকি টাকা দেন।
দোকানি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। উনি বোধহয় হাসবেন না কাঁদবেন বুঝতে পারছিলেন না। কোনোরকমে আমাকে বললেন, "বাবু এটা তো পয়সা, টাকা না।"
আমাকে বুঝানোর সাধ্য কার! আমিও দ্বিগুন উৎসাহের সাথে বললাম, "হ্যাঁ, ২৫ টাকার পয়সা। এখন আমার বাকি টাকা দেন।"
দোকানি আমার কথায় হেসেই খুন। "আরে বাবু পয়সা আর টাকা তো এক না!"
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম, "এক হবে না কেন? ৫ টাকার পয়সা নিতে পারলে ২৫ টাকার পয়সা নিবেন না?"
কি মনে করছেন নিজেকে? নিজেকে খুব চালাক ভাবেন? আমি হিসেব বুঝি,পড়ালেখা করি,কাজেই কোন ভাবেই আমাকে ঠোকাতে পারবেন না। ছোট মানুষ দেখে মনে করছেন ঠকিয়ে জিতে যাবেন?? এতো সোজা না! দোকানীর সাথে আমার কঠিন তর্ক যুদ্ধ। এক পর্যায়ে ওনি আমাকে বললেন ঠিক আছে তোমার কথা। তুমি একটু ঠান্ডা মাথায় বুঝার চেষ্টা কর আমার বাপ।
উনি আমাকে বুঝিয়ে বললেন, " এটাকে ২৫ টাকার পয়সা বলে না, বলে কয়েন। এইটা ২৫ পয়সার কয়েন, টাকার না। এইরকম চারটা কয়েন হইলে এক টাকা হবে। মানে ১০০ পয়সায় এক টাকা। এইবার বুঝছো?"
আমি ভ্রু কুচকে আবার বললাম দোকানীকে,দেখেন গোলকধাঁধায় ফেলবেন না। আর কি সব আজে-বাজে পাগলের মত কথা বলছেন? দোকানী তখন দোকানের কাঠের বাক্সের সিন্দুক থেকে ২৫ টাকা আর ২৫ পয়সার চারটা কয়েন বের করে আমাকে বুঝালেন। টাকা আর পয়সা দুইটাই অর্থ,তবে টাকার মূল্য বেশি,আর পয়সার মূল্য কম,টাকার পরে পয়সার স্হান। তুমি যদি ২৫ পয়সার চারটা কয়েন এক কর তাহলে হবে এক টাকা,আর যদি ৫ টাকার ৫ টা নোট এক কর তখন হবে ২৫ টাকা। বুঝছো???
আমি মাথা নাড়লাম। এত বিশাল প্যাঁচ আমার বাবু মস্তিকে ঢুকেনি। এইটুকু বুঝলাম যে বিস্কুট কেনা হবে না। আমি নিরাশ হয়ে বিস্কুটের প্যাকেট ফেরত দিলাম। দোকানি সম্ভবত আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছিলেন। বিস্কুটের প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, "টাকা লাগবে না। এই প্যাকেট তোমার"
আমি দু'কদম পিছিয়ে গিয়ে বললাম, "নাহ। থাক। আব্বু কিনে দিবে কালকে।"
উনি হেসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, "আচ্ছা তুমি এখন এই প্যাকেট নাও, আমি এই যে লিখে রাখছি। তোমার আব্বু টাকা দিয়ে দিবে।"
কিন্তু আমার মাথায় তখনো পয়সা আর টাকার "ফারাক" ঘুরছিলো। কি মনে করে বিস্কুটের প্যাকেট না নিয়েই মাদরাসার দিকে ভোঁ দৌড় দিলাম। বহুপরে পয়সা আর টাকার সেই প্যাঁচ মাথায় ঢুকেছিলো।
আমার শৈশব।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসায় পড়লে ২য় ক্লাশেও পয়সা ও টাকার পার্থক্য বুঝা সম্ভব নয়; আমি স্কুলে যাবার আগেই বাজার করে এনেছি শতবার

২৯ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী,ঘটনা কেমন লাগলো তা বললেন না,,বললেন মাদ্রাসায় পড়লে ২য় ক্লাশেও পয়সা ও টাকার পার্থক্য বুঝা সম্ভব নয়,কথাটা সঠিক না, টাকা আর পয়সার পার্থক্য অনেক হয়তো স্কুল বা মাদ্রাসায় যাওয়ার আগেই বুঝে ফেলে,এর জন্য আপনি এমন কথা বলতে পারেন না। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

২| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:২৭

বলেছেন: তাহলে কি মাদ্রাসায় যারা পড়ে তাদের আই, কিউ কম!!!
আবশ্য আমি আর আমার ভাই একি ক্লাসে পড়তাম,
হঠাৎ আমার সহোদর অসুস্থ হয়ে গেলে মা মানত জরলেন মাদ্রাসায় দিবেন। শেষমেশ তাই হলো তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে ইউর্টান করে মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় দু'টোতেই স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পাশ করে। মাদ্রাসার ছাত্ররা মনে হয় স্কুলের ছাত্রদের থেকে বেশি সাবজেক্ট পড়ে কিন্তু,,, তবুও কিন্তু থেকে যায়।।।।

স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।।।।

২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আই কিউ কম না,,,,আর মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্হা অনেক উন্নত। আপনি একটি জায়গায় সব পাচ্ছেন,দ্বীনের শিক্ষা থেকে ধরে সব। আর ইসলামী শিক্ষা ফরয। একটা বিষয় কখনো খেয়াল করেছেন কি?? আপনি যত শিক্ষায় শিক্ষিত হোন না কেন,যদি কোরআন না পড়তে পারেন,নামায কিভাবে পড়তে হয়,ধর্মীয় বিধি-মালা, আদেশ নিষেধ যদি আপনার জানা না থাকে,তাহলে তো অনেক কিছুই জানা বাকী থেকে গেল। অথচ আপনি একজন মুসলিম। এ মুসলিমকে নাম-ধারী মুসলিম বললেই চলে। যে কিনা নিজ ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানেনা,,,আমার পোস্ট দ্বারা আমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্হাকে ছোট করছি না,,,এটা শুধু অতীত জীবনের একটি ঘটনা। যা আপনাদের সাথে ভাগ করলাম। এটাকে টেনে অন্যদিকে নিবেন না। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন।

৩| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৮:২৯

বলেছেন: ভের নয় - বের করে,
গোলকধাঁধা হবে।

২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়েছেন,আমিও সংশোধন করে নিয়েছি।

৪| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার শৈশব সৃতি।
নিজের শৈশবের সৃতি মনে পড়ে গেল।

২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর,লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানিবেন।

৫| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
আহা!! ছোটবেলায় কত সরল মনে থাকে শিশুরা।
শৈশব স্মৃতি ভালো লাগলো+++

২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ মুক্তা নীল,সুন্দর একটি কথা বরেছেন মন্তব্যে, হাসনা হেনা ফুলের ঘ্রান বিলানো শুভেচ্ছা জানিবেন।

৬| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কবের ঘটনা?
৫ টাকার কয়েন তো বেশিদিন আগে চালু হয়নি !

২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:০২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: দুঃখিত,৫ টাকার কয়েন ঘটনা মিলানো বা বুঝানোর জন্য ব্যবহার করেছি।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১:০৩

ওমেরা বলেছেন: @ লতিফ ভাইয়া যারা মাদ্রাসায় পড়ে তাদের আইকিউ কম এটা মাদ্রাসার দোষ না। আমাদের দেশে যে ছেলেটার ব্রেন খারাপ, পড়, শুনায় অমনোযোগী, বা অন্য কোন প্রবলেম আছে বাবা সেই ছেলেটাকে মাদ্রাসায় পড়তে পাঠায়। সমস্যা হল এখানে।

আপনার স্মৃতিচারন ভালো লাগল।

৩০ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৪০

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা,পোস্ট দিয়েছি সবাই যেন গল্পটা পড়ে মুখে হাসি ফুটে,এটা না হয়ে বরং এর বিপরীত হচ্ছে। এখানে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্হা নিয়ে মন্তব্যে করছে,এরা আ্দৌ কি সুশীল ব্লগার? আমার মনে হয় না? গল্প পড়ে আনন্দ না নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্হা নিয়ে উল্টাপাল্টা বলতেছে।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো শৈশব স্মৃতি

৩০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা,লাল গোলাপের শুভেচ্ছা জানিবেন।

৯| ৩০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ ।

শুভকামনা

৩০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: মধ্যরাতের হাসনা হেনা ফুলের ঘ্রাণ ছড়ানো শুভেচ্ছা জানিবেন। ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম,লেখা স্বার্থ খুজে পেয়েছে।

১০| ৩০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গল্পটা ইন্টারেস্টিং ছিলো। যদিও আমার এমন কোনো গল্প নেই বা এমন কোনো স্মৃতি মনে পড়ছে না।

৩০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ জুনায়েদ বি রহমান,টগবগে তাজা গোলাপের শুভেচ্ছা আপনার তরে,ভালবাসা নিরন্তর। শৈশবের স্মৃতি মনে হলে,আবার শৈশবে ফিরে যেতে মন টানে,যা আর সম্ভব না।

১১| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার শৈশব কথন :)

৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় আর্কিপটেরিক্স ভালো লেগেছে আর ভাল লাগা থেকেই ভালবাসার স্হান। শুভকামনা জানবেন।

১২| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার শৈশব কথন :)

৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আজ সকাল থেকেই সামু অনেক ধীর গতির চলতেছে। কয়েকদিন ভালো চলছিলো। ওয়েবসাইটে প্রবেশের আগে সতর্কবার্তা প্রদান করতেছে। এ ব্যাপারে কিছু জানা থাকলে বলবেন। আবারো ধন্যবাদ।

১৩| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার সর্বশেষ পোস্টটা দেখুন। এ বিষয়ে জানতে পারবেন :)

৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:১১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: অবশ্যই,দেখা হচ্ছে আপনার পোস্টে।

১৪| ৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা শৈশব !!
সব কিছু যে কত সহজ ছিল, হাতের মুঠোয় মনে হত সব। একেবারে সরল আনন্দ।
চমৎকার স্মৃতি।

৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:১০

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: সেই হারানো ধুলোমাখা দিন, বুকের ভেতর আজো রঙিন শৈশব ডাকে শুধু আয়, আয়, আয়। নাগরিক কোলাহলে সবাই কুড়িয়ে তোলে শৈশব। ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা। শুভকামনা অশেষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.