| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকদিন যাবৎ বাংলাদেশে ধর্মের লেবাসে ছোটখাট সকল হামলায় আইএসআই দায় স্বীকার করত আর বাংলাদেশ তা অস্বীকার করত। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলত দেশে এসব কিছুর অস্তিত্ব নাই এসব দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীরা করছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ক্ষমতায় যাবার জন্য। স্পষ্ট করেই সরকারের উঁচু মহলে বিএনপি-জামাত কে দোষারোপ করত।
গুলশান ঘটনায় কি বোঝা গেল?
আইএসআই রাতেই টুইট করেছে ২০ জন মারা গেছে আমরা ১৩ ঘন্টা পরে তাই দেখলাম, ওরা যে ছবি প্রচার করেছে পুলিশের প্রচারিত জঙ্গিরাও এক। তাহলে কি দাঁড়ালো??
এই ঘটনা আইএসআই করেছে এটা এখন নিশ্চিত। এই জঙ্গি কারা? এরা কি মাদ্রাসার ছাত্র? এরা কি শিবিরের লোক? এরা কি বিএনপি করে? এরা কারা?
এরা সমাজের উচ্চ শ্ৰেণীর দামী মানুষের সন্তান, এরা অনেক দামি ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া।
তাহলে এতদিন যে কিছু হলেই শিবিরের ছেলেদের গ্রেফতার করা হত, আবার ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যাও করা হত (গতকালও করা হয়েছে) এসব কি ভুল??
বাংলাদেশে আইএসআই কেন থাকতে পারবেনা? ইউএসএ, ফ্রান্সে কিভাবে আইএসআই থাকে? ওরা কি বিএনপি জামাত করে? এখন সময় এসেছে সম্মিলিত ভাবে এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার।
আইএসআই কোন ইসলামী সংগঠন নয় ওরা সন্ত্রাসী। সিরিয়া, পাকিস্তানে কেন প্রতিহত করা যায়না কারণ ওখানে মানুষ বিভক্ত। ফলে হামলার পাশাপাশি ওখানে বংশবিস্তারও হচ্ছে। হামলা যেকোন স্থানেই করা যায় কিন্তু বংশ বিস্তারের সুযোগ যেন আমরা এই সন্ত্রাসীদের না দেই। কারন বিভক্তিই এই সন্ত্রাসীদের বংশবিস্তারের স্থান। এখন উচিৎ দল-মত নির্বিশেষে এই শক্তির বিপক্ষে দাঁড়ানো।
টেরোরিজমের কোন ধর্ম নেই কোন দল নেই। কুমিল্লায় এক মেয়ে মারা গেল আমরা সেখানে যেমন জঙ্গি খুঁজছি, চট্টগ্রামে পুলিশের স্ত্রী মারা গেল সেখানেও জঙ্গি খুঁজছি। আর এই জঙ্গি কোথায় খুঁজছি শিবির অধ্যুষিত এলাকায় এতে আসল জঙ্গিরা নিয়মিতই সেইফ জোনে থাকত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলত এটা শিবির করেছে, সরকার বলতো এটা শিবির করেছে, মানবাধিকার সংস্থা বলতো শিবির করেছে, গনজাগরন মঞ্চ বলতো শিবির করেছে, মুরগি কবিররাও বলত (গতকালও বলেছে), এই সুযোগে জঙ্গিরা এখন মহীরুহ ধরা ছোঁয়ার বাইরে যাবার চেষ্টা করছে এখনই সময় ঐক্যবদ্ধভাবে ওদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার।
দোহাই এই গুঁটি চালাচালি বন্ধ কর।
দেশ আজ মহা বিপদে। সারা পৃথিবীতে আমরা আগে ছিলাম ভিক্ষুক, তারপর হলাম কারো কাছে গণতন্ত্র হত্যাকারী, কারো কাছে মুক্তমনা (ব্লগার) হত্যাকারী, কারো কাছে ইসলামী ব্যক্তিত্ব হত্যাকারী, কারো কাছে সংখ্যালঘু হত্যাকারী । বাকি ছিল আমরা জঙ্গি এই ঘোষণার। আজ তাও হবে। বাংলাদেশ এর জাতীয় আয়ের প্রধান অংশ আসে প্রবাসীদের রেমিটেন্স থেকে প্রায় দেশ আমাদের থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে এখন যারা ওই দেশ গুলোতে আছে তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখবে হেনস্তা করবে। আমাদের জন্য প্রবাস হয়ে যাবে বিভীষিকা।
পাকিস্তানে যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হত তখন তারা কত শক্তিশালী ছিল আর এখন কেমন আছে। এই ঘটনার পর আর কোন বিদেশী টিম আমাদের দেশে কি আসবে? কামনা করি এমন ঘটনা যেন না ঘটে।
সবশেষে
এই যে ঘটনা ঘটল এতে কার লাভ? আওয়ামীলীগ/ বিএনপি/জামাত? আসলে এদের কারোই লাভ নেই। আমাদের দ্বন্দ্ব পুঁজি করে ওরা ওদের স্বার্থ হাসিল করছে। ওই দেশের মানুষ আমাদের পুলিশ বাহিনীতে, ফায়ার সার্ভিসে এবং সেনাবাহিনীতেও নিয়োগ পাচ্ছে। ট্রেনের গায়ের রঙে ওদের পতাকা আমাদের জন্য শুধু অসম্মানের নয় এখন ভাববার সময় এসেছে এটা নিরাপদ কিনা? আসুন এসব দ্বন্দ্ব ভুলে আমরা দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। দোয়া করি আল্লাহ আমাদের এসব অপশক্তি থেকে হেফাজত করুন, আমিন।
২|
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
শাহাদা্ত শাওন বলেছেন: ১০০% সহমত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৪৯
সাগর মাঝি বলেছেন: কষ্ট হয় যখন জঙ্গিরা মানুষ হত্যা করে আর আমরা একে অন্যের প্রতি কাদা ছুড়ি।
জঙ্গিদের বিরোদ্ধে সম্মেলিতভাবে সবাই রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।
সোচ্চার হউন।
জাগো বাঙ্গালি জাগো!!!