নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্বাসিত

রক্ষনশীল বিতার্কিক

মনের কথাগুলি একটু গুছিয়ে বলার জন্যই অনেক সময় লেখার প্রয়োজন হয়। তাই বলে, সেটাকে শিল্পরুপ দান করা আমার কাজ নয়..........।।।

রক্ষনশীল বিতার্কিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১২

সময়ঃ গতকাল সন্ধ্যা ৭ টা বেজে ৪০ মিনিট

আমি লাইব্রেরি বিল্ডিং এর থার্ড ফ্লোরে ঠিক উত্তর-পূর্ব কোনে বসা। হুমায়ুন আহমেদের 'বৃষ্টি ও মেঘমালা' শেষ করে একটু আবেগ আপ্লুত হয়ে বাসায় যাবার মানসিক প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। হঠাৎ একটি স্থানে ( অডিটরিয়াম ও লাইব্রেরীর মধ্যকার ফাঁকা জায়গা ) আমার চোখ আটকে যায়।

যেইটা আগে জি-স্পট ও বর্তমানে নিষিদ্ধ পল্লী ( মানুষ চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপের কারনে ) বলে খ্যাত। সেখানে দুজন কপোত কপোতীর সাহসী অবস্থান। তারা দুচোখ ভরে নবনির্মিত 'লাল-নীল' ফোয়ারার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

হঠাৎই তাদের অবস্থানে পরিবর্তন। গাছের আড়ালে তাদের মধ্যে ঘটে যাওয়া রোমান্টিক দৃশ্যের চুম্বক অংশ অবশ্যই চুম্বনের মধ্যে সীমাবধ্য থাকে নাই। আশেপাশের মৃদু আলো ও মৃদু কোলাহল উপেক্ষা করেই তারা কিছুক্ষনের জন্য হারিয়ে যায় রোমান্টিকতার 'শেষ আশ্রয়ে'। শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ ( নটি আমেরিকায় এর ভিডিও পাওয়া যেতে পারে ) wink emoticon

অবশেষে, বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্যে পুলিশের আগমনের মত আমাদের ইউনিভার্সিটির তিন জন 'বেরসিক' গার্ডের ঘটনাস্থলে আগমন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে যুদ্ধে লিপ্ত তরুন তরুনী একে অপরের থেকে নিরাপদ দূরুত্বে সরে এসে জামা কাপড় ঠিক করতে ব্যস্ত হতে দেখা গেল। হাতে নাতে ধরা না খাওয়াতে গার্ড ত্রয়ী তাদের মৌখিক সতর্ক বার্তা দিয়ে স্থান পরিত্যাগের আদেশ দিলেও, ঠিক ১০ হাত উপরে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও অনিচ্ছাকৃত ভাবে আমার চোখ তাদের রেহাই দেয় নি। :V

যারা ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত তারা হয়ত এই পোষ্টটি পরে থাকলে ওখানে থাকা ক্যামেরা সম্পর্কে ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন। কিন্তু, এখন আর জেনে লাভ কি? যা হওয়ার তাতো হয়েছে। তাই, যাদের সামনে ক্যাম্পাসে এরকম ঘটনা ঘটানোর সম্ভাবনা আছে, তাদের জন্য এটি একটি সচেতনতামূলক পোষ্ট হতে পারে। :)

( সত্য ঘটনা অবলম্বনে )

#ইউনিভার্সিটির নাম জিজ্ঞেস করে কেউ আমাকে বিব্রত করবেন না দয়া করে। আর যদি জেনে থাকেন, মেনশন করবেন না প্লিজ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

যোগী বলেছেন:
যুদ্ধ করার জন্য মোটেই সেগুলা ভালো গ্রাউন্ড না, এই জিনিশটা গাধা পাবলিক কেন বুঝে না।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

মাঝিবাড়ি বলেছেন: যাক বাঁচা গেল, প্রশাসনিক কেমরা! কিছু ঘুষ-ঘাস দিয়ে ডিলিট করা যাবে! আজকালের স্মার্ট ছেলেরা তো মেয়েদের বাসায় নিয়ে অগোচরে লীলাখেলা ভিডিও করে রাখছে! আর সময়মত ‘ভি-টেনেল’ এ ছেড়ে দিচ্ছে!! অবশেষে এখানে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে অজ্ঞহাত তরুণীর লাশ!!!!!

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

মিউজিক রাসেল বলেছেন: যুদ্ধ কতক্ষন চলছিল...???

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১২

কাহাফ বলেছেন: সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে এ সব অাজ-কাল!!!

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

নিলু বলেছেন: বুঝলাম , মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.