![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হাজার বছর বাঁচিতে চাই মানুষের মাঝে কি সকাল কি দুপুর কি বিকেল কি তমিস্রার সাঁঝে।
মুনালিসা। আজিজ শেখের স্ত্রী। দেখতে খুব সুন্দরী। হেমামালিনীর মত। সেকালে কি সুন্দরী কি অসুন্দরী পর পুরুষের সহিত কথা বলিলেই যেন জাত যাইতো। একদিন স্বামী আজিজ শেখ নিজ চোখে দেখিল স্ত্রী মুনালিসা বাঁশঝাড়ের নীচে একজন সুদর্শন যুবকের সহিত ফিসফিস করিয়া কথা বলিতেছে। তাহা দেখিয়া আজিজ শেখের মনে ভীষণ ক্ষুভের জন্ম নিলো। বেশ কিছুদিন যাবত আজিজ শেখ ও তাহার স্ত্রী মুনালিসার মাঝে মনের বেশ অমিল চলছে। ভীষণ অমিল। তাই আজিজ শেখ প্রায়ই হেমামালিনীর কথা ভাবে।
সে অনেক আগের কথা। ষাটের দশক। আজিজ শেখ তখন তরুণ, যোবক। বিয়ে করেনি।
রামপাল চক্রবর্তী তখন গ্রামের মধ্যে প্রভাবশালী জমিদার। একদিন জমিদার কোন এক অপরাধের দায়ে আজিজ শেখের বাবা রইছ শেখকে দরবারে তলব করে। আজিজও বাবার সাথে জমিদারের সামনে হাজির হয়। জমিদার অপরাধের শাস্তি স্বরুপ বাবা রইছ শেখকে নিজ হাতে বেত্রাঘাত করেন। এহেন অকল্পনীয় দৃশ্য দেখে আজিজ শেখের মনে ভীষণ ক্ষুভের জন্ম নেয়। সেই থেকে জমিদারের প্রতি আজিজের বড় আক্রোশ। চোখের সামনে বাবার এহেন অপমান তাকে যেন প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফেরে। মনের যন্ত্রণা কাউকে শেয়ার না করে একাকী ভাবতে থাকে।
ভাবে কি করবে। কি করলে জমিদারের ইজ্জত যাবে। প্রতিটি ক্ষনে আজিজের মনে যেন একটাই চিন্তা। জমিদারের অপমানের প্রতিশোধ আজিজ নিবেই। আজিজ তখন ক্লাস টেন এ পড়ুয়া মেধাবী স্টোডেন্ট। ভাবতে ভাবতে একসময় বুদ্ধিও বের করে ফেলে।
দুরের স্কুল।
আজিজ শেখ যে স্কুলে পড়ে সে স্কুল টিচার কাজী শরাফত উরফে সাইন্স স্যার। সাইন্স এর টিচার তিনি। তাছাড়া কথায় কথায় সাইন্স বিষয়ে আলোচনা গবেষণা করেন বলেই সকলে তাকে সাইন্স স্যার বলেই ডাকেন। সাইন্স স্যার প্রতিদিন জমিদারের বাসায় গিয়ে জমিদারের একমাত্র মেয়ে হেমামালিনীকে পড়ায়ে আসেন। বিষয়টা আজিজ শেখ উদঘাটন করে। আজিজের সহিত সাইন্স স্যারের সম্পর্কটা একদম দাদা নাতির মত নিবিড়। তাই আজিজ বুদ্ধি খাটিয়ে একদিন অনেক প্রকার ফলমূল নিয়ে সাইন্স স্যারের বাড়িতে হাজির হয়। অনেক ধরনের দামীদামী ফল তাও আবার পরিমানে অনেক তা দেখে সাইন্স স্যারের চোখদু'খানা কপালে উঠে।
স্যার মানুষ।
স্টোডেন্টদের নিয়েই যার জীবনের বেশি সময় কাটে তাদের মনের মতিগতি আচ করতে খুব একটা সময় লাগেনা। সাইন্স স্যার বলে, কিরে নাতি কি মতলব নিয়ে এসেছিস। আজিজ হাসি মুখে উত্তর দেয়, কি আর মতলব নানা, ঐ যে জমিদারের মেয়ে হেমামালিনী ওর সহিত আমার না বিশেষ একটা কাজ ছিলো। ওর সহিত আমার একটু কথা বলাড় সুযোগ করে দিতে পারবে। অনেক কথার পর সাইন্স স্যার রাজি হয়।
হেমামালিনী দেখতে খুব সুন্দরী। যেমন তার গায়ের রঙ তেমন তার গঠন। একবার চোখ পড়লে কয়েকবার তাকানো ছাড়া কারো গতি থাকেনা । কিন্ত সকলের চোখে যে পড়বে তার কোন কায়দাও নেই। চার চকিদারের তত্ত্বাবধানে পালকি করে রোজ মালিনী স্কুলে যায় আসে। সাইন্স স্যার অনেক কৌশল করে মালিনীর সহিত আজিজ শেখকে দেখা করায়ে দেয়। তাও আবার স্যারের নিজ বাড়ির কোন এক নির্জন কক্ষে। স্যার মানুষ তার কথা কেইবা না শুনে। মালিনীও শুনেছে সেদিন। কিন্তু মালিনীর জানা ছিলোনা যে, আজিজ শেখ তার কাছে আসবে।
বসে আছে মালিনী। একদম নির্ভয়ে। হঠাত আজিজ শেখ রুমে প্রবেশ করে। কোন কথা নয়। সংগে সংগে মালিনীর মুখ বেধে ফেলে। হাত দু'টিও বেধে জোর পূর্বক ইজ্জত হরণ করে। শুধু তাই নয় নরপিষাচের মত সমস্ত শরীরে জখম করে দিয়ে পালিয়ে যায়। মালিনী বিবস্রপ্রায় অচেতনতায় পড়ে থাকে।সাইন্স স্যার ইচ্ছা করেই দূরে অবস্থান করছিলো। হঠাত আজিজকে দৌড়ে পালানোর বিষয়টা স্যারকে ভীষণ ভাবে বিচলিত করে। স্যার দৌড়িয়ে যে রোমে মালিনীকে রেখে গিয়েছিলো সেই রোমে ঢুকে।
ভয়ানক দৃশ্য!
দৃশ্য দেখে স্যারের মাথায় বজ্রপাত হতে থাকে। প্রথমে মালিনীর বিবস্রতা দূর করে পরে নাড়াচাড়া দিয়ে দেখে বেহুশ অবস্থায় আছে। সগোপনে নিজেই তার মাথায় পানি ঢালে। জ্ঞান যখন ফিরে মালিনীর তখন দু'চোখ ভরে শুধু অশ্রু আর অশ্রু। স্যার মালিনীর পায়ে পড়ে। কাদে, কান্না চোখে ক্ষমা ভিক্ষা প্রার্থনা করতে থাকে। কারণ সে জানে এর পরিনতি কিরুপ ভয়ংকর হতে পারে।
হেমামালিনীও তা ভাল করেই জানে। স্যারের এমন কাকুতি মিনতিতে মালিনীর মনে দয়া হয়।
একদিকে নিজের ইজ্জত, জমিদার বাবার ইজ্জত অন্যদিকে স্যারের নিশ্চিত জীবন নাশের কথা ভেবে মালিনী আপন শরীরের ক্ষত গুলো ঢাকার নির্মিত্তে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। স্যার কে বলে, স্যার আপনি আমার স্যার, আমার এমন পরিস্থিতির কথা কেবল আপনি আমি আর সেই জানে যে আমার চরিত্র হরণ করেছে। আপনার কাজ থাকবে। ওর সহিত আমার বিয়ের ব্যবস্থা করা। যে আমার ইজ্জত দেখেছে আমি তার কাছেই সমর্পিত হতে চাই। বাকি সব আমি দেখবো।
স্যার যেন কিছুটা হলেও দেহে প্রাণ ফিরে পায়। মালিনীকে উদ্দেশ্য করে বলে, আমার জ্ঞানের শপথ- আমি তোমার কথা মত বাকী জীবন কাজ করে যাবো। তাই যেন থাকে-কথাটি বলেই ব্যাগটা কাধে ঝুলিয়ে মালিনী ঘর থেকে বের হয়।
এদিকে প্রতিদিনের মত মালিনীকে নিতে স্কুলে পালকী নিয়ে হাজির "চার" চৌকিদার। মালিনিও কাওকে কিছু বুঝতে না দিয়ে পালকীতে আরোহন করে। মালিনী হাস্যোজ্জ্বল বদনেই তার শয়নকক্ষে প্রবেশ করে। মুখে সুমিষ্ট হাসি কিন্তু দেহে বিষাক্ত সর্প ছুবলের নির্মম যন্ত্রণা।
কয়েকদিন হেমামালিনী আর স্কুলে যায়না। কিন্তু গৃহ শিক্ষক সাইন্স স্যার নিয়মিতই পড়াতে মালিনীর গৃহে হাজির হয়। আগের মত সচ্ছল হাসিখুশি নেই। মনে বিষন্নতার মেঘ নিয়েই সাইন্স স্যার প্রবেশ করে জমিদার বাড়িতে।বিষয়টি কেউ উপলব্দি করতে না পারলেও হেমামালিনী তা নিশ্চিত উপলব্দি করে। মালিনীও যতক্ষণ স্যারের পাশে থাকে ততক্ষন সেও মনমরা হয়ে থাকে। আগে যে টেবিলে পড়া লেখা হত এখন সেই টেবিল ভরে যেন ঔষধের ছড়াছড়ি। স্যার এখন আর পাঠ্য বইয়ের জ্ঞান দেন না, জ্ঞান দেন তার অসুখের। জ্ঞান দেন সমস্যা সমাধানের।
হেমামালিনীর একদিকে শারিরিক অসুস্থ্যতা অন্যদিকে মানসিক চাপও প্রকট। এমনি চাপ যে, অন্য কাউকে তা শেয়ার করাও যায়না। তাই সাইন্স স্যার এখন মালিনীর সবচেয়ে কাছের বন্ধু। দু'জনে শলা পরামর্শ করে। কি করা যায়। কি উপায়ে আজিজ শেখকে ফিরে আনা যায়। মালিনীর এহেন মনের কথা যেন সাইন্স স্যারের বুঝতে কিছুটা সমস্যা হয়। মনে মনে ভাবে- জমিদারের একমাত্র মেয়ে। তাছাড়া ধর্মের কি বিরাট ব্যবধান। অথচ হেমামালিনী আজিজ শেখকে বিয়ে করতে চায়। এ কি করে সম্ভব! কিন্তু হেমামালিনীর একটাই কথা তার আজিজকে চাই। তাকে শাস্তিতে ঝুলাবে নাকি বাগদত্তা বলে প্রনাম করবে এই নিয়েও সাইন্স স্যার যেন রীতিমত ভাবনায় পড়ে থাকে।
যতই দিন যায় সাইন্স স্যারের উপর মালিনীর চাপ বাড়তে থাকে। কোন উপায় খোজে পায়না। সারাক্ষণ ভাবতে থাকে স্যার, আজিজ শেখকে কোথায় পাবে সে কিভাবে পাবে। তাকে যে মালিনীর চাই ই চাই। এদিকে আজিজ শেখ বাড়ি ছাড়া হয়েছে। কোথায় গিয়েছে তাহা কেউ জানেনা। মাঝে মধ্যে সাইন্স স্যার একজন স্কুল টিচার হিসাবে খোঁজ খবর নেয়। তার বাবা রইছ শেখ এর সহিত শলা পরামর্শ করে। এ গ্রাম সে গ্রাম থানা পুলিশ সবার কাছেই তথ্য দেয়। নীরবে হন্যে হয়ে খোঁজ করে।
কোথাও আজিজের খোঁজ মিলেনা। আর ওদিকে এতোদিনে প্রতিশোধ নয় হেমামালিনী যেন মনের রাজ্যে আজিজ শেখকে মনের রাজা বানিয়ে বসেছে। কোন ক্ষোভ যেন আজ আর তাকে তাড়া করেনা।
মালিনী ভাবে-কি দুঃসাহসী পুরুষ। জীবনের সংগী হিসেবে এমন সাহসী পুরুষ থাকা চাই। জমিদারের কন্যা আমি জেনেও যে এতোটা সাহস দেখাতে পারে সেই আমার মনের রাজ্যের রাজা হবে। শরীরের সকল ক্ষত যেন আজ স্মৃতির পসরা হয়ে দাড়িয়েছে মালিনীর। অনুভব করে সে সকল স্পর্শের। স্পর্শ কাতর হয়।শিহরিত হয়। পুলকিত মনে কবিতা চয়ন করেঃ
"এমন স্পর্শে তুমি আনিলে গো শিহরণ
আমি চকিত চয়নে খুজি তোমায়
তূমি যে কাড়িয়াছ মন।"
মালিনী রোজ সাইন্স স্যারকে ডাকে। আগে স্যারকে খুব বেশি জব্দ করতো। এখন আর করেনা। এখন যেন অনুরোধ অনুনয় বিনয় এর সাথে কথা বলে। মাঝে মাঝে জোশ গল্পেও দু'জনে হাসি খুশিতে ভরে থাকে। সাইন্স স্যারের এখন আর আগের মত ভয় কাজ করেনা। কিন্ত ভয় একটাই যদি আজিজ শেখকে কোনদিন ফিরিয়ে না আনা যায় তবেই যে তার প্রাণ নাশের হুমকি ফের হবে।
দিন যায় যতই হেমামালিনীর চাহিদা যেন ততই বাড়তে থাকে। কিন্ত সাইন্স স্যারের নিশ্চিত আশার বাণী মালিনীকে শান্ত করে রাখে। এদিকে আজিজ শেখ যেদিন হেমামালিনীর ইজ্জত হরণ করিল সেদিনই নিরুদ্দেশ হইল। যখন রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনের অপেক্ষায় বসেছিল লাইনের উপর বিষন্ন মনে। কেউ তাকে এতটুকু মনেও করিয়ে দেয়নি যে এই লাইনেই ট্রেন আসছে। রেললাইনে বসে বসে আজিজ শেখ ভাবে কত বড় অন্যায় কাজই না করিল সে। যার শাস্তি স্বরুপ নিশ্চিত বাপের মায়ের গলা কাটা যাবে। ভাবতে ভাবতে দিশেহারা হয়ে পড়ে আজিজ শেখ।
এ আমি কি করলাম। ট্রেন আসছে। হুইসেল বাজছে। আজিজ শেখের কানে যেন কোন শব্দই যায়না। ভাবতে ভাবতে যেন সে পাথর হতে বসেছে। ট্রেন একদম নিকটবর্তী। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশের চোখে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে ধাক্কা দিলে লাইন থেকে দূরে সরে যায়। ভাগ্যক্রমে আজিজ শেখ বেচে যায়। দ্রুতগামী ট্রেনটি পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এমন পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তাকে জব্দ করলে সে বিচলিত হয়ে পরে। উল্টাপাল্টা উত্তর দিলে পুলিশ তাকে এরেস্ট করে।
বেশদিন যাবত আজিজ শেখ পুলিশের হেফাজতে আছে। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও আজিজ শেখের মুখ থেকে কোন তথ্য বের করতে না পারায় তাকে জেলখানাতেই বন্দী করে রেখেছে।
দিনতো অনেক হলো।
এদিকে আজিজ শেখকে না পেয়ে থানায় জিডি করা হলো। একদিন হঠাৎ আজিজ শেখের বাবা রইছ শেখের মোবাইলে অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে কল আসলো। আগ্রহ ভরে রইছ শেখ ফোনটা রিসিভ করলো। রেলওয়ে থানা থেকে বলছি- ফোন পেয়ে একদিকে রইছ শেখ খুশি হলেও অন্যদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ভীষণ ভাবে বিচলিত করলো। না জানি কোন অপরাধের দায়ে ছেলেকে পুলিশে ধরেছে। পুলিশ আগামীকাল দেখা করতে বলেছে। রইছ শেখ একবার ভাবে সাইন্স স্যারকে সংগে নিয়ে যাবে। আবার ভাবে শত হলেও সাইন্স স্যার অপর মানুষ। একবার সমাজে জানাজানি হয়ে গেলে মানসন্মান যে পুরোটাই যাবে তাই ভেবে তার আপন চাচাতো ভাই আবেদ শেখকে সংগে নিয়ে পুলিশের কাছে গেলো।
বাবা রইছ শেখ ও চাচা আবেদ শেখ থানায় মুচলেকা দিয়ে আজিজ শেখকে মুক্ত করলো। প্রথমে আজিজ শেখ ভয়ে হোক, লজ্জায় হোক বাড়ি ফিরতে অসন্মতি জ্ঞাপন করলে তাকে জোর পূর্বক বাড়ি আনা হয়। অনেকদিন পর আজিজ শেখ বাড়ি ফিরেছে। খবরটা যেন রীতিমত পাড়া মহল্লায় থৈথৈ। সাইন্স স্যারের কানে যখনই পৌছিল স্যার ততক্ষনাৎ হ্যামামালিনীর বাড়িতে হাজির হয়।
মালিনী খবরটি শুনে খুব খুশি হয়। সাইন্স স্যারকে বলে, স্যার আমিও আপনার সহিত আজিজ শেখের বাড়িতে যাবো। শলা পরামর্শের পর মালিনীর সেদিন আর যাওয়া হলো না। প্রস্তুতি চললো একেবারেই ঘর ছাড়ার। অলংকার সামগ্রী এমনভাবে নিলো যেন সারা জীবন কষ্ট করতে না হয়। সাইন্স স্যার খুব কৌতুহলে যখন আজিজ শেখের বাড়ি পৌছিলো দেখতে পেলো, সবার চোখ বেঁয়ে নীরব কান্না ঝরছে। কি হয়েছে। সাইন্স স্যার জানতে চাইলে এভাবেই উত্তরটা এভাবেই আসলো যে সাইন্স স্যার ফের দশ হাত মাটির নীচে নিমজ্জিত চটকিয়া পড়িলো। আজিজ শেখ যে ফের পালিয়ে গেছে।
অনেক বছর পর-
আজিজ যখন বিয়ে করা বউ মুনালিসাকে নিয়ে বাড়ি ফিরিল তখন সব শেষ। বাবা রইছ শেখ মা রাবেয়া শেখ উভয়েই মারা গেছে। সেদিন সকল ভয়ভীতিকে দূরে ঠেলে আজিজ শেখ এক গভির রজনীতে সাইন্স সারের বাড়িতে হাজির হয়। সাইন্স স্যারও তখন শয্যাশায়ী। যেন কোন রাগ নেই, কোন ক্ষোভ নেই , নেই কোন মান অভিমান। সাইন্স স্যার আজিজ শেখকে কাছে বসিয়ে সুদীর্ঘ দিনের জমানো সকল কথা বলে। আজিজ নীরবে চোখের জল ঝরঝর করে ঝরাতে থাকে। আপন ভুলের প্রায়শ্চিত্তের প্রয়াসে জমিদারের বাড়িতে আজিজ শেখ হাজির হয়। অনেক চেষ্টার পর আজিজ শেখ জানতে পারে হেমামালিনী আর ইহধামে বেঁচে নেই। কি এক অমানসিক যন্ত্রণায় নিজেকে তিলে তিলে ভুগাতে ভুগাতে একদিন হঠাত জমিদার বাড়ির আনাচে কানাচে খবর ছড়িয়ে পড়লো যে, হেমামালিনী আর বেঁচে নেই। বিষপানে সে আপন প্রাণকে আত্মহুতি দিয়েছে।
০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
ডাকঘর সাহিত্য পত্রিকা বলেছেন: অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমি ঠিক করে নিচ্ছি
২| ০১ লা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
ডাকঘর সাহিত্য পত্রিকা বলেছেন: অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি
আমি ঠিক করে নিচ্ছি
আচ্ছা ভাইয়া,
পোষ্ট করছি তো করছি কিন্তু ব্লগের কোন অংশেই প্রকাশ দেখছিনা। তবে কি ব্লগে আসা বন্ধ করে দিবো? জানাবেন প্লীজ।
৩| ০১ লা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সময় তাড়াহুড়া করবেন না।
০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪
ডাকঘর সাহিত্য পত্রিকা বলেছেন: অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।
গল্পটা ভাল হয়েছে । কিন্তু কিছু সমস্যা আছে।
১। গল্পের ভিতর ইংরেজী শব্দ পড়তে খারাপ লেগেছে-সাইন্স টিচার, স্টুডেন্ট..... এগুলো বাংলায় হলে ভাল হতো। বিজ্ঞানের শিক্ষক, ছাত্র ।
২। জমিদার আমলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ছিলনা। লোক মারফতে খবর দেওয়া বা চিঠি পত্রের কথা উল্লেখ করতে পারতেন। বর্ননা আরেকটু সাবলীল হলে বেশ হতো।
ধন্যবাদ।