![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মার্কেটের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ব্যাগ লাগেজের দোকানে এসে থমকে দাঁড়ালাম। খুব পরিচিত একটা মুখ হৈচৈ করে লাগেজ কিনছে। মেয়েটা আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড, গায়ে পড়ে খুব খাতির জমাতে চাইতো তখন, পাত্তা দিতাম না। জোর করে টিফিনের ভাগ দিতে চাইতো, খেলতে চাইতো আমার সাথে- অসহ্য লাগতো খুব। তাও মেয়েটা আমার সাথে ঘুরঘুর করতো। কলেজে উঠার পর আর যোগাযোগ হয় নাই, আমিও ভুলে গিয়েছিলাম। সাদামাটা গায়ে পড়ে ভাব জমানো মেয়েটাকে মনে রাখার কোন কারণ নেই। ছয় বছর পর আজ সেই মেয়েটাকে দেখে বুকে মোচড় দিলো- ঝলমলে গর্জিয়াস তরুনি হয়ে গেছে সে! এগিয়ে গিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে হলো একবার- পারলাম না। মেয়েটার সাথে বয়স্ক কালো এক লোক, আরে দুই তিনজন বয়স্ক মহিলা- এত মুরুব্বির মধ্যে গিয়ে তাকে ডাক দিতে সংকোচ হচ্ছিলো খুব।
.
মোবাইলে চার্জ শেষ- বাসায় পৌঁছেই প্রথমে পিসিতে বসে ফেসবুকে তাকে খুঁজে বের করতে হবে- ভাবলাম আমি। স্কুলে থাকতে এত পাগলামি করতো, এতদিন পর সেই বন্ধু ফেসবুকে নক দিলে কি খুশি হবে ভাবতেই ভালো লাগলো। বাসায় পৌঁছে ফেসবুকে ঢুকে ওর নাম লিখে ফেসবুকে সার্চ দিলাম। খুঁজেও পেলাম। তারো ওয়ালে ঢুকেই আমার চোখ ধাঁধিয়ে গেলো।
.
শেরওয়ানী পাগড়ি পরে বর সেজে বসে থাকা সেই মুরুব্বি চেহারার লোকটার পাশে বউ সাজে কি গর্জিয়াসই না লাগছে আমার স্কুল লাইফের বান্ধবিটাকে। এই মাত্র একটা স্ট্যাটাসও দিয়েছে- "লাগেজও কেনা শেষ, এখন বাকি শুধু গোছগাছ- কক্সবাজার উই আর কামিং ফর হানিমুন- feeling excited
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: Excellent
More+