![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক দিন পর আজ মাহীন হৃদি কে কল করে বিকেলে দেখা করতে বলেছে । বলেছে মাহীন একটা জরুরী সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা দেখা করে হৃদি কে জানাবে আজ ।একথা শুনার পর থেকে তো হৃদি মনে মনে খুব খুশি । ভাবছে এতদিন পর তার অপেক্ষা বুঝি শেষ হতে চলল । ৫ বছরের প্রেমটা বুঝি এবার শেষতক বিয়ের দিকেই যাচ্ছে । একটা চাকরির জন্য গত ২ বছর ধরে কি চেষ্টাটাই না করেছে মাহীন । আর আল্লাহর কাছে কাঁদতে কাঁদতে শেষ হৃদি । অবশেষে গত ৬ মাস আগে ভাল একটা প্রাইভেট কোম্পানীতে জুনিয়র অফিসারের চাকরি পায় মাহীন ।তারপর থেকে হৃদি শুধু মাহীনের কাছ থেকে বিয়ের কথাটাই শুনতে চাইছে ।" যাক এত দিন পর বাবুর হুশ ফিরল " , এটাই ভাবছে হৃদি ।
অনার্স পাশ করার পর থেকে গত ১ বছরে হৃদির বিয়ে নিয়ে ওর বাবা-মা যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছিলেন , হৃদির তো প্রতিনিয়ত উৎকণ্ঠায় কাটতো কখন না মা এসে বলেন , " হৃদি কাল তোর বিয়ে ।" কত বুঝিয়ে সুঝিয়ে যে ও মাস্টার্স এ ভর্তি হয়েছে তা শুধু হৃদিই জানে ।
" আজকের সময় যেন কাটছেই না । ঘড়ি যেন থমকে গেছে । অথচ মাহীনের সাথে থাকলে যেন ঘড়িটা লাফিয়ে লাফিয়ে চলতে থাকে ," এসবই ভাবছিল দুপুর থেকে হৃদি ।
আর থাকতে না পেরে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাসা থেকে বের হয়ে গেল টিউশনির কথা বলে ।
আস্তে আস্তে হেঁটে ওদের নিজেদের দেখা করার জায়গায় বসে অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভাবতে লাগলো হৃদি । নতুন সংসারের নতুন পর্দা,নতুন চাদরের রংগুলো যেন ওর চারপাশে ভাসছিলো । কিভাবে ও সুন্দর করে মাহীন কে রেঁধে খাওয়াবে ওর পছন্দের খাবার , কি কি দুষ্টুমি করবে , কোথায় কোথায় বেড়াতে যাবে এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেলো হৃদি বুঝতেই পারেনি ।
হঠাত খেয়াল হতেই তাড়াতাড়ি মাহীন কে কল করলো হৃদি , " কি ব্যাপার এখন
এলে না তুমি ? আমি সেই কখন থেকে বসে আছি । তুমি কি ভুলে গেছ যে আজ আমাদের দেখা করার কথা ? "
কিছুক্ষন চুপ করে থেকে মাহীন বলল , " হৃদি , আমি আর কোনদিন আসবো না । আমাকে কাল অফিস থেকে আমেরিকায় পাঠাচ্ছে ২ বছরের জন্য । তোমাকে সামনা সামনি কিভাবে বলবো বুঝে উঠতে পারিনি , তাই আর আসিনি । "
হৃদি চুপচাপ সব কিছু শুনে গেল , তারপর বলল , " আর আমি ? "
মাহীন কিছু বলার খুজে না পেয়ে বলল , " পারলে ক্ষমা করে দিও ।"
তারপর কলটি কেটে যায় । হৃদি আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে চলে যায় । আর তার সাথে হারিয়ে যেতে থাকে তাঁর না বাধা সংসারের পর্দার রং , না রাঁধা খাবারের স্বাদ । যা হয়তো আর কখনো আলোর মুখ দেখবে না ।
এই ঘটনার মাস দুই পর হঠাত মাহীনের এক কলিগের সাথে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় হৃদির । সে বিভিন্ন কথার পর হৃদিকে জানায় যে মাহীন আমেরিকায় যাওয়ার আগের দিন ম্যানেজারের মেয়েকে বিয়ে করে প্রমোশন নিয়ে তারপর আমেরিকায় যায় ।
একথা শুনে হৃদি আর কিছু না বলে ওখান থেকে বাসায় চলে আসে । এসে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে এই কটা দিন চোখের পানিতে ভেজানো চিঠিগুলো বের করে । তারপর একটা একটা চিঠি কুটিকুটি করে ছিড়ে বারান্দা দিয়ে আকাশে উড়িয়ে দেয় , আর বলে , " ধন্যবাদ , অসংখ্য ধন্যবাদ । আমাকে সারাজীবনের বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করার জন্যে । আজ থেকে আমি সব প্রতিজ্ঞা থেকে মুক্ত ।"
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
শাহরীন মাহাদী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
রানার ব্লগ বলেছেন: প্রেমের গল্প গুল এত আধার ঘেরা হয় কেন ? প্রেম যেমন আনন্দদায়ক ছেকাও তেমনি আনন্দ দায়োক হওয়া উচিৎ
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দুঃখজনক পরিণতি। তবে গল্প খুব ভালো লাগলো।গতানুগতিক হলেও সাবলীল।শুভকামনা।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯
শাহরীন মাহাদী বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++++