নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বার বার মুছি আবার নতুন করে লিখি। শব্দ সংকট প্রকট ভাবেই দেখা দিয়েছে। এমন হয় কিছু কিছুদিন শেষে শুন্যতা প্রগাড় ভাবে ঘিরে ধরে,কেমন যেনো চাপা হাহাকার,কারন ছাড়াই অনর্থক কিছু বিষন্নতা,অথবা অনাগত আগামীর নির্মমতা মেনে নেয়ারভয় ।

শাহরীন মাহাদী

শাহরীন মাহাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি ইউনিক! নিজেকে সম্মান করতে শিখো

০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

বুঝতে চাইলে ব্যাপারটা আসলে খুবই সহজ- "এই পৃথিবীর সবাই এক রকম না"- সবার ভিতরে অপরাধবোধ, বিবেক, ভালো মন্দের বিবেচনা মাত্রা সমান্তরাল হয় না। একটা ছেলে হয়তো একের পর এক মেয়ের সাথে ফিজিকাল রিলেশনে গিয়ে তারপর তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে হাশিখুশি নিশ্চিন্ত লাইফ কাটাতে পারে, তাদের একটুও পাপ-বোধ হয় না, হয়তো এই মূহুর্তেই কোন নতুন শিকারকে বাগে টানছে। আবার তার ক্লাসেরই আরেক ছেলে হয়তো মেয়েদের সাথে কথা বলতেই অস্বস্তি বোধ করে! আরেকটা ছেলে হয়তো কবে কোন চির-অধরার দেওয়া কষ্ট বুকে পুষে আর কাউকে আসতেই দেয় নি কাছে। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুটিই হয়তো একই সাথে তিনটা মেয়েকে একই ম্যাসেজ কপি করে পাঠাচ্ছে বিপুল পরিমাণ চুম্মার ইমু সহ! কেন এমন হয়? কারণ সবার মোরাল গ্রাউন্ড এক লেভেলের না, কারো কাছে যেটা নেহাতই বিনোদন, একই জিনিস তোমার শরীরে ঘিন ঘিনে লাগতে পারে। নিজেকে সবার সাথে মেলাতে যেও না।
.
আবেগে আমাদের বোধ-চিন্তা শক্তি আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আমরা ভালোমন্দের পার্থক্য করতে পারিনা। অন্য কেউ সেটা ধরিয়ে দিলে বা সাবধান করে দিলে উলটো রাগ উঠে তাদের প্রতি। কিছু মেয়ে ভালোবাসার এতটাই কাঙ্গাল হয়, বড় বড় ভুলগুলো করে ফেলে কিছু না ভেবেই। তারপরের কনসিকুয়েন্স সবাইকে সমান ভাবে ভোগায় না। কোন মেয়ে হয়তো ভাবে এভাবে- "হ্যা, তাকে ভালোবেসেছিলাম, ঘনিষ্ঠ হয়েছিলাম, মজা করেছে, মজা পেয়েছি। এখন ভালোবাসা নাই, তাই আমরাও একসাথে নাই। এখন যাকে ভালোবাসি তার সাথে ঘনিষ্ঠ হবো। আমার শরীর, আমার ইচ্ছা, কার কি আসে যায়?" আর তার সাথে গালেগাল লাগিয়ে সেলফি তোলা বিএফএফ বান্ধবিটাই হয়তো তার প্রাক্তন প্রেমিককে কোনদিন ক্ষমা করতে পারবে না একটা জোরপূর্বক চুমুর জন্য-"চুমুই যদি খাবি তো আমাকে ছেড়ে চলে গেলি কেনোরে লম্পট?!" -সি? এদের মোরাল গ্রাউন্ডে কত তফাত।
.
এই লিখাটা তাদের জন্য যারা "অন্যরা করছে, আমি করলে কি দোষ" টাইপের চিন্তা-ভাবনা মাথায় নিয়ে কাউকে কিছু না বলে হুট করে কিছু করে ফেলতে যাচ্ছো তাদের জন্য। "বন্ধু বান্ধব সব গার্লফ্রেন্ড নিয়ে পার্কে যায়, লিটনের ফ্ল্যাট খুঁজে- আমি বসে থাকবো ক্যান? যাই, এতদিন কাঠ-খড় পুড়িয়ে জয় করা ভালোবাসার মানুষটিকে গিয়ে এসব প্রস্তাব দেই!! না রাজি হলে তার লাইফটা হেল করে দেই!!" তারপর দেখা গেলো এইকথা শুনে ভালোবাসার মানুষটার নাম কালো হয়ে গেলো সারাজীবনের জন্য!! কিংবা- বয়ফ্রেন্ড কেমন জানি ইগ্নোর করছে, দূরে দূরে থাকছে- তাকে নিজের বাঁধনে শক্ত করে জড়াবার জন্য একদিন তাকে খালি বাসায় ডেকে আনবে ভাবছো? তার আগে একবার এই দৃশ্যগুলো কল্পনা করো- সে আসবে নাচতে নাচতে, তোমার পুরোটুকু নিবে, তারপর নাচতে নাচতে চলে যাবে, পরিসংক্ষ্যাণ আমাদের বলছে একবার সব পেয়ে যাবার পর এই ছেলের চাহিদা আরো বাড়বে, এবং তোমাকে নিংড়ে নিঃশ্বেস করা পর্যন্ত সে থামবে না, এবং মহা-মানব পর্যায়ের কেউ না হলে তোমাকে তারপর বিয়ে করে পার্মানেন্ট ভাবে ঘরে তোলার তার তেমন আগ্রহ থাকবে না। থাকলে এট দা ফার্স্ট প্লেস সে ইগ্নোরিং শুরু করতো না। ভালোবাসা আর ইগ্নোরিং পাশাপাশি হাঁটে না কখনো।
.
একটা ঘটনা ঘটাবার আগে মাথার ভেতরে নিজেকে সেটার ভেতর দিয়ে একবার নিজেকে নিয়ে যাও। ঘটনার পর কনসিকুয়েন্স গুলো কি হবে সেগুলো নিজেই কল্পনা করে দেখে নিও- তুমি মানুষ, তোমার মস্তিষ্কের ক্ষমতা অপরিসীম, সেটা কাজে লাগাও। তোমার ভালো-মন্দের বিবেচনা বোধ অন্য কাউকে নির্ধারণ করতে দিও না। কারণ এরপর থেকে প্রতিটা রাতে লাইট টা নিভিয়ে দিয়ে যখন ঘুমাবার আগে যখন চোখ বন্ধ করবে তখন তুমি একদম একা- অতীতের ভুল গুলো সমুদ্রের ঢেউএর মত এসে তোমাকে আঘাতের পর আঘাত করবে, সেই নির্ঘুম রাত আর চোখের পানির সঙ্গী হবে না কেউ। তাই স্রোতের সাথে গা ভাসিয়ে দিও না ... তুমি স্রোত নও ... তুমি এক ও অদ্বিতীয় ... তুমি ইউনিক! নিজেকে সম্মান করতে শিখো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৭

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লাগল এই পোস্ট।
++++

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: ভালো লিখেছেন, সমসাময়িক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.