![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইরূপ লোক খুবই কম
*********************
হযরত অাবু যর (রাঃ) বলেন, অামি একবার রসুলুল্লাহ (সাঃ) খেদমতে হাজির হইলাম। তিনি কাবা শরীফের দেওয়ালের ছায়াতে বসিয়াছিলেন। অামাকে দেখিয়া রসূল (সাঃ) বলিলেন, কাবার রবের কসম! ঐ সমস্ত লোক বড় ক্ষতির মধ্যে রহিয়াছে। অামি অারজ করিলাম, অামার পিতা মাতা অাপনার উপর কোরবান হোক, ঐ সমস্ত লোক কাহারা? রসুল (সাঃ) বলিলেন, যাহাদের নিকট বেশী সম্পদ রহিয়াছে। তবে যাহারা ডানে, বামে, সামনে, পিছনে এইভাবে, এইভাবে, এইভাবে খরচ করিবে তাহারা ব্যতীত। কিন্তু এইরূপ লোক খুবই কম। *( মিশকাতঃ বুখারীঃ মুসলিম)
বিশ্লেষন ঃ হযরত অাবু যর (রাঃ) দুনিয়াত্যাগী সাহাবীদের মধ্যে ছিলেন বলে রসূল (সাঃ) তাহাকে দেখিয়া এই কথা প্রকৃতপক্ষে তাহার সান্তনার জন্য বলে ছিল যে, নিজের অভাব অনটনের প্রতি কখনও যেন খেয়াল না করেন। ধন সম্পদের এই প্রাচুর্য প্রকৃত পক্ষে কোন প্রিয় জিনিষ নয়, বরং বড় ক্ষতি ও লোকসানের জিনিষ। অার ইহা স্পষ্ট যে, ধন সম্পদ অাল্লাহ তায়ালা হইতে উদাসীনতার কারন হয়। দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, দরিদ্রতা ব্যতীত অাল্লাহ তায়ালার প্রতি মনোনিবেশ খুব কমই হইয়া থাকে। তবে অাল্লাহ তায়ালা যাহাদেরকে তৌফিক দান করিয়াছেন, তাহারা ক্ষেত্র অনুপাতে যেখানে এবং যেই দিকে প্রয়োজন মনে করে চারিদিকে দানের হাত প্রসারিত করিয়া রাখে । তাহাদের জন্য সম্পদ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু রসুল ( সাঃ ) নিজেই বলিয়া দিয়াছেন যে, এইরূপ লোক খুবই কম হয়। সাধারনতঃ দেখা যায়, সম্পদের প্রাচুর্যই অন্যায় অপরাধ ও ভোগ বিলাসিতা লইয়া অাসে । অপাত্রে খরচ করা, লোক দেখানোর জন্য খরচ করা সম্পদের সাধারন কৃতিত্ব। বিবাহ শাদী ও অন্যান্য অাচার অনুষ্ঠানে অনর্থক হাজার হাজার টাকা করিয়া ফেলিবে, কিন্তু অাল্লাহর নামে অভাবগ্রস্ত ও ক্ষুধার্ত ব্যাক্তিদের জন্য খরচ করার সুযোগই হয় না।
এক হাদিসে অাছে, যে সমস্ত লোক দুনিয়াতে অধিক সম্পদশালী হইবে, তাহারাই অাখারাতে কম সম্পদের অধিকারী হইবে। তবে যে ব্যাক্তি হালাল উপায়ে উপার্জন করে এবং এইভাবে এইভাবে খরচ করে । ( কানয)
পূর্বে বর্নিত হাদিসের মতো এইভাবে এইভাবে দ্বারা এদিক সেদিক খরচ করার প্রতি ঈশারা করা হইয়াছে । প্রকৃতপক্ষে, সম্পদ ঐ ব্যক্তির জন্য সৌন্দর্য ও সন্মানের কারন হয় , যে উহাকে এদিক সেদিক খরচ করে । অার যে সম্পদকে হিসাব করিয়া জমা করিয়া রাখে , তাহার জন্য এই সম্পদ সব ধরনের বিপদের কারন হয়। মালিককেও ধ্বংশ করে এবং নিজেও তাহার নিকট হইতে শেষ হইয়া যায়। এই নির্লজ্জ সম্পদ ততক্ষন পর্যন্ত কাহারও দ্বীনি অথবা দুনিয়াবী উপকার করেনা, যতক্ষন সে তাহার নিকট হইতে পৃথক না হইয়া যায়।
(অাল্লাহ তায়ালা অামাদেরকে বুঝার তৌফিক দান করুন । অামিন )
©somewhere in net ltd.