নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চ‌লো অাল্লাহর রাস্তায় বের হই

সাঈদ ভাই

সাধারন মুসলমান

সাঈদ ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমান‌দের অধঃপত‌নের মূল কারন

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৫৫

যমীন ও আসমানের একমাত্র মালিক মহান আল্লহ তায়া’লার সত্য ওয়াদা রহিয়াছে যে, পৃথিবীর বাদশাহী ও খেলাফত একমাত্র মুমিনদের জন্য। পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ হইয়াছে–

وَعَدَ اللَّـهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ

তোমাদের মধ্যে যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং নেক আমাল করিয়াছে তাহাদের সহিত আল্লহ তায়া’লা ওয়াদা করিয়াছেন যে, অবশ্যই তাহাদিগকে যমীনের খলীফা বানাইবেন। (সূরা নূরঃ ৫৫)

আর ইহাও সান্ত্বনা দিয়াছেন যে, মুমিনগণ সর্বদা কাফেরদের উপর জয়ী থাকিবে এবং কাফেরদের কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী থাকিবেন না। যেমন পবিত্র কুরআন শরীফে এরশাদ হইয়াছে–

وَلَوْ قَاتَلَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوَلَّوُا الْأَدْبَارَ ثُمَّ لَا يَجِدُونَ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا

আর যদি এই কাফেররা তোমাদের সহিত যুদ্ধ করিত, তবে অবশ্যই তাহারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিয়া পলায়ন করিত এবং তাহারা কোন সাহায্যকারী ও বন্ধু পাইতনা। (সূরা ফাতহঃ ২২)

আর মুমিনদের মদদ ও সাহায্য আল্লহ তায়া’লার জিম্মায় রহিয়াছে এবং তাহারাই সর্বদা উন্নত শির ও মর্যাদাশীল থাকিবে।

وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ

আর মুমিনদিগকে সাহাযা করা আমার কর্তব্য (সুরা রুমঃ ৪৭)

وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

তোমরা হিম্মতহারা হইও না; দুখিতঃ হইও না, তোমরাই বিজয়ী থাকিবে যদি তোমরা পূর্ণ মুমিন হও। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৩৯)

وَلِلَّـهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ

আর ইজ্জাত শুধু আল্লহই এবং তাঁহার রসুলের এবং মুমিনদের (সূরা মুনাফিকুনঃ ৮)

উপরোক্ত আয়াতসমূহের গভীরভাবে চিন্তা করিলে জানা যায় যে, মুসলমানদের ইজ্জাত, শান-শওকত, উচ্চ মর্যাদা ও সম্মান এবং সর্বপ্রকার শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্য তাহাদের ঈমানী গুনাবলীর সহিত সম্পর্কযুক্ত যদি তাহাদের সম্পর্ক আল্লহ তায়া’লা ও রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের সহিত মজবুত থাকে (যাহা ঈমানের উদ্দেশ্য) তবে সবকিছু তাহাদের। আর খোদা না করুন যাদি এই সম্পর্কের মধ্যে ত্রুটি দুর্বলতা পয়দা হইয়া গিয়া থাকে, তবে সম্পূর্ণ ধ্বংস, অপমান ও জিল্লতি রহিয়াছে। যেমন পবিত্র কুরআন শরীফে স্পষ্ট বলিয়া দেয়া হইয়াছে–

وَالْعَصْرِ ﴿١﴾ إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ ﴿٢﴾ إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ ﴿﴾٣

যামানার কসম! মানব জাতি বড়ই ক্ষতি ও ধ্বংসের মধ্যে রহিয়াছে; কিন্তু যে সকল লোক ঈমান আনিয়াছে এবং নেক আমাল করিয়াছে এবং একে অপরকে হকের উপদেশ দিতে থাকে এবং একে অপরকে পাবন্দী করার উপদেশ দিতে থাকে। (সূরা আসর)

আমাদের পূর্বপুরুষগণ ইজ্জাত ও সম্মানের চরমে পৌঁছিয়াছিলেন আর আমরা অপমান ও জিল্লতির শেষ সীমায় পৌঁছিয়াছি অতএব বুঝা গেল যে, তাঁহারা ঈমানের গুণের গুণান্বিত ছিলেন আর আমরা এই মহান নেয়ামাত হইতে বঞ্চিত। যেমন সত্য সংবাদ দাতা রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম খবর দিয়াছেন–

অতিসত্ত্বর এমন সময় আসেবে যে, ইসলামের শুধু নাম বাকী থাকিবে আর কুরআনের শুধু লিখিত হরফ বাকী থাকিবে (মিশকাত)

এখন গভীরভাবে চিন্তার বিষয় এই যে, সত্যিই আমরা ঐ প্রকৃত ইসলাম হইতে বঞ্চিত হইয়া থাকি যাহা আল্লহ তায়া’লা ও রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পছন্দনীয় এবং যাহার সহিত আমাদের দ্বীন ও দুনিয়ার কল্যাণ ও কামিয়াবী সম্পর্কযুক্ত। তবে কি উপায় রহিয়াছে যাহা অবল্বন করিলে আমরা সেই হারানো নেয়ামাত ফিরিয়া পাইতে পারি আর ঐ সকল করণই বা কি যদ্দরুন ইসলামের রুহ আমাদের মধ্য হইতে বাহির করিয়া লওয়া হইয়াছে? আর আমরা প্রাণহীন দেহ হইয়া পড়িয়া রহিয়াছি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুল কারণ কোনটা?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

সাঈদ ভাই বলেছেন: ঈমান

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৫৪

বিজন শররমা বলেছেন: মুসলমান‌দের অধঃপত‌নের মূল কারন এইগুলি না নীচে দেয়া এই ধরনের পোষ্ট য়

স্বামী স্ত্রী যৌন সম্পর্ক বা সহবাস!!! রমযান মাসে করনিও (কুরআন হাদিসের আলোকে)।
২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
রোজায় যে জিনিসগুলো থেকে বিরত থাকতে হয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে যৌন সম্পর্ক বা সহবাস। কেউ যদি এই কাজটি রোজার দিন করে বসে তবে রোজা ভেঙ্গে যাবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন “রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে”। [আল-বাকারাঃ ১৮৭] এই আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে রোজার দিনে সহবাস হালাল করা হয়নি।

যৌন সম্পর্ক বলতে বোঝানো হচ্ছে পুরুষাঙ্গের সাথে স্ত্রী-অঙ্গের মিলন। এক্ষেত্রে বীর্যপাত শর্ত নয়। অর্থাৎ এই দুই অঙ্গ সংস্পর্শে আসলেই রোজা ভেঙ্গে যাবে, বীর্যপাতের ঘটনা না ঘটলেও। শায়খ সালেহ ইবন আল-‘উসায়মীন এই মতটিই ব্যক্ত করেছেন। যৌন মিলনের দ্বারা কেউ রোজা ভাঙলে সেই রোজা পরবর্তীতে কাযা করতে হবে এবং “ভারী কাফ্‌ফারা” দিতে হবে।

কোনো স্বামী যদি জোর করে স্ত্রীর সাথে যৌনসম্পর্ক করেন সেক্ষেত্রে স্বামীর রোজা ভেঙ্গে গেলেও স্ত্রীর রোজা ভাঙবে না।
‘আব্বাস বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করেছেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ আমার উম্মতের ওপর থেকে ত্রুটিবিচ্যুতি, ভুলে যাওয়া ও জোর করিয়ে করানো কাজকে মার্জনা করেছেন”।

১. শারীরিক স্পর্শ বা চুম্বন
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কামনাবসত শারীরিক স্পর্শ যেমন স্রেফ চুমুর কারণে রোজা ভাঙবে না। তবে এর ফলে যদি বীর্যপাত ঘটে সেক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তাই রোজার সময় এগুলো পরিহার করাই উত্তম। চুম্বন যদি কামনাবশত না হয় সেক্ষেত্রে ক্ষতি নেই।

২. স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বীর্যপাত ঘটানো
যদি কেউ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজের বীর্যপাত ঘটান সেক্ষেত্রে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে। যেমন নিজে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে অথবা স্ত্রী কর্তৃক হস্তমৈথুনের মাধ্যমে যদি বীর্যপাত ঘটে তাহলে রোজা ভাঙবে। কোনো ব্যক্তি যদি যৌনউত্তেজক কোনো কিছু দেখে, শোনে বা পড়ে – এক্ষেত্রে বীর্যপাত ঘটলে তার রোজাও ভাঙবে। এক্ষেত্রে অর্থাৎস্বতঃপ্রণোদিত ভাবে করা কোনো কাজের ফলে বীর্যপাত ঘটলে রোজা ভাঙবে।
এভাবে রোজা ভেঙ্গে গেলে কাযা করাই যথেষ্ট, যৌনমিলনের ক্ষেত্রে যে ভারী কাফ্‌ফারা দিতে হয় সেটি দিতে হবে না। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ঘটানো বীর্যপাতের ফলে যে রোজা ভাঙবে তার প্রমাণ হচ্ছে হাদীস কুদসীতে আল্লাহ বলছেনঃ “সে (বান্দা) আমার জন্যই খাদ্য, পানীয় ও কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করে”। [বুখারী]

তবে বীর্যপাত যদি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে না হয় সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না। যেমন স্বপ্নদোষের ফলে রোজা ভাঙবে না। কোনো ব্যক্তির চিন্তায় যদি আচমকা কোনো যৌন ভাবনা এসে উদয় হয় বা কোনো যৌন উত্তেজক চিন্তা চলে আসে যা সে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মাথায় আনেনি এবং এর ফলে যদি বীর্যপাত ঘটে সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না।

৩. মাযী ও মানীর মাঝে পৃথকীকরণ
বীর্যপাত প্রসঙ্গে আমাদের দুটি তরলকে আলাদা করতে হবে। এদের একটি হচ্ছে মাযী । এটি একটি স্বচ্ছ পিচ্ছিল পদার্থ যা চূড়ান্ত বীর্যপাতের আগে নিঃসরিত হয় ফোঁটায় ফোঁটায়। মাযী নিঃসরণের ফলে রোজা ভাঙে না (যদি না সেটা যৌনমিলনের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, যেক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের সাথে যোনির মিলনই যথেষ্ট রোজা ভাঙার জন্য)। শুধু মাযী নিঃসরণের ফলে যেহেতু রোজা ভাঙে না, কাযারও প্রশ্ন আসছে না। যদিও ইমাম মালেকের একটি বর্ণনা অনুযায়ী তিনি মাযী নিঃসরণকে রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেছেন, কিন্তু অধিকাংশ ‘উলামা একে রোজা ভাঙার কারণ হিসেবে দেখেন না।
মানী হচ্ছে যাকে বাংলায় বীর্য। মানী বের হয়ে আসে চূড়ান্ত বীর্যপাতের সময় দফায় দফায়। এটির সাদা থিকথিকে একটি পদার্থ। মানী বের হলেই কেবল রোজা ভাঙবে উপরেল্লিখিত কারণগুলোতে। এ ব্যাপারে কোনো ইখতিলাফ নেই।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫১

রামন বলেছেন: উলঙ্গ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। যদিও এই অবৈধ কাজটি অনেকে জেনে বা না জেনে করে থাকে।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আর কারণই বা কি?
যদ্দরুন ইসলামের রুহ আমাদের মধ্য হইতে বাহির করিয়া লওয়া হইয়াছে?

আর খোদা না করুন যাদি এই সম্পর্কের মধ্যে ত্রুটি দুর্বলতা পয়দা হইয়া গিয়া থাকে, তবে সম্পূর্ণ ধ্বংস, অপমান ও জিল্লতি রহিয়াছে।

কি উপায় রহিয়াছে?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

সাঈদ ভাই বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাইজান , পরবর্তী লেখায় মন্তব্য করার চেষ্টা কর‌বেন অাশা রা‌খি

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "অতিসত্ত্বর এমন সময় আসেবে যে, ইসলামের শুধু নাম বাকী থাকিবে আর কুরআনের শুধু লিখিত হরফ বাকী থাকিবে (মিশকাত)"। যদিও কথাটা আপনারা না, আপনি শুধু কোট করেছেন, আমার প্রশ্ন হল কোরআন অনুযায়ী এই কথার সত্যতা কতটুকু।

কোরআন খুব স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে যে ভবিষ্যৎ বা অদৃশ্যের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর আছে, অন্য কারো কাছে নয়, পীর ঈমাম ত দূরে থাক, কোন নবী রাসুলের কাছেও নেই (আল্লাহ যা জনিয়েছেন তা ব্যতীত) । এই সম্পর্কে কোরআনের কিছু রেফারেন্স হচ্ছে ঃ
(৩৯:৪৬, ৬ঃ৫৯, ৫৩ঃ৩৫, ৬ঃ৫০,৭ঃ১৮৮, ১০ঃ২০,)

আল্লাহ নিজের ইচ্ছা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এই ভবিষ্যৎ বা অদৃশ্যের জ্ঞান নবী এবং রাসুলদের কাছে প্রকাশ করেছেন। এবং আল্লাহ যা কিছু বলেছেন তা কোরআনে সংরক্ষিত আছে। (৭২ঃ২৬-২৮, ৩ঃ১৭৯)

সুতরাং সবগুলি আয়াত একসাথে পড়লে বুঝা যায়ঃ
১। এই জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ
২। আল্লাহ ব্যতিত কারো কাছে এই জ্ঞান নাই
৩। নবী বা রাসুলদেরকে আল্লাহ যা বলেছেন তা ছাড়া উনাদের কাছে কোন ভবিষ্যৎ বা অদৃশ্যের জ্ঞান নাই।
৪। কোরআন একমাত্র ওহী আমাদের নবীর উপর, কোরআন ছাড়া আল্লাহ নবীর কাছে আন্য কোন ওহী অবতীর্ণ করেন নাই।
৫। সুতরাং, আল্লাহ নবীর কাছে যা কিছু প্রকাশ্য এবং ভবিষ্যৎ প্রকাশ করেছেন সব কিছুই কোরআনে লিখিত আছে। এই ব্যতীতে আর কোন ভবিস্যতের জ্ঞান নবীর ছিলনা। (৬ঃ৫০, ৭ঃ১৮৮)

সুতরাং, এইসব মিশকাত/ হাদিস লেখকদের এই সব কথা বিশ্বাস করার কোন কারন নাই, যদি না আপনি বিশ্বাস করেন তাদের উপরেও একই রকম ওহী এসেছিল।
ধন্যবাদ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

সাঈদ ভাই বলেছেন:
মূল বিষ‌য়ের দি‌কে নজর রাখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.