নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চ‌লো অাল্লাহর রাস্তায় বের হই

সাঈদ ভাই

সাধারন মুসলমান

সাঈদ ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শয়তা‌নের সর্ব‌শেষ কৌশল, মুসলমান‌দের ম‌ধ্যে পু‌রো‌নো মত‌বি‌রোধ বিষয়গু‌লো জা‌গি‌য়ে তোলা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৪

মুসলমান‌দের মত‌বি‌রোধ অাজ‌কের ন‌হে, পঞ্চাশ বা শত বৎস‌রের ন‌হে, বরং ইসলা‌মের স্বর্নযুগ এমন‌কি হযরত নবী ক‌রিম (সাঃ) প‌বিত্র যুগ হই‌তেই চ‌লিয়া অা‌সি‌তে‌ছে।

রসূল (সাঃ) অাপন জুতা মোবারক অালামত স্বরুপ হযরত অাবু হোরায়রা (রাঃ) কে দিয়া এই ঘোষনা ক‌রি‌তে পাঠাই‌লেনঃ

যে ব্যা‌ক্তি 'লা ইলাহা‌ ইল্লাল্লাহ ব‌লি‌বে সে অবশ্যই জান্না‌তে প্র‌বেশ ক‌রি‌বে। প‌থে হযরত ওমর (রাঃ) এর সা‌থে সাক্ষাত হয়। তি‌নি অাবু হুরায়রা (রাঃ)‌কে ব্যাপার জিজ্ঞাসা ক‌রি‌লে তি‌নি ব‌লেন অা‌মি রসুল (সাঃ) এর বার্তাবাহক।

কিন্তু তবু ওমর (রাঃ) তাহার বু‌কের উপর এত জো‌রে দুই হা‌তে অাঘাত ক‌রি‌লেন যে, উ‌নি প্রায় চিৎ হইয়া পিছন দি‌কে প‌ড়িয়া গে‌লেন।

কিন্তু ইহার পর ওমর (রাঃ) এর বিরু‌দ্ধে কোন পোষ্টার প্রচার করা হয় নাই এবং কোন সভা হইয়া ইহার প্র‌তিবাদে কোন রেজু‌লেশনও পাশ হয় নাই।

সাহাবা‌য়ে কেরাম‌দের ম‌ধ্যে হাজা‌রো মাসা‌য়েল মত‌বি‌রোধপূর্ন র‌হিয়া‌ছে।

চার ইমা‌মের নিকট সম্ভবতঃ ফিকহ শাখাগত এমন কোন মাসালা নাই যাহা‌তে মত‌ভেদ হয় নাই।

‌ কিন্তু মতবি‌রোধপূর্ন এতসব মাসা‌য়ে‌লের ম‌ধ্যে 'র‌ফে ইয়াদাইন' (উভয় হাত উঠা‌নো), জো‌রে অা‌মিন বলা এই দুই তিন‌টি মাসঅালা ছাড়া অন্য কোন মাসঅালা না শুনা যায়, না পোষ্টার ছাপা হয়, না কোন বিতর্ক সভা হই‌তে দেখা যায়।

কারন সাধারন মুসলমান এই সব মত‌ভেদপূর্ন মাসা‌য়েল সম্প‌র্কে মো‌টেও প‌রি‌চিত নয়।

ম‌দিনা‌তে অানছার‌দের দুই‌টি গোত্র ছিল ঃ অাউস ও খাজরাজ। তাহা‌দের ম‌ধ্যে পুরুষানুক্র‌মে দুশম‌নী ও বি‌রোধ চ‌লিয়া অা‌সি‌তে‌ছিল।

রসূল (সাঃ) যখন হিজরত ক‌রিয়া ম‌দিনা‌তে তাশরীফ নি‌লেন ও অানছার‌দের ইসলা‌মের সৌভাগ্য হই‌লো তখন রসূল (সাঃ) ও ইসলা‌মের বরক‌তে তাহা‌দের পূ‌র্বের বি‌রোধ খতম হইয়া গেল।

ইহা দে‌খিয়া ইয়াহু‌দীরা প্ল্যান তৈরী করল যে, তাহা‌দের পুনরায় কিভা‌বে বি‌রোধ লাগা‌নো যায়।

একটা মজ‌লি‌শে ঐ উভয় গো‌ত্রের মানুষ ছিল। একজন কূট‌নৈ‌তিক তাহা‌দের পু‌রো‌নো বি‌রোধ সম্ম‌ন্ধে কিছু ক‌বিতা প‌ড়িল ও উভ‌য়ের মা‌ঝে উ‌ত্তেজনা সৃ‌ষ্টি ক‌রাইল।

প্রথমত মৌ‌খিক এ‌কে অপরের বিরু‌দ্ধে কথা অারম্ভ ক‌রিল, তারপর উভয় দিক থে‌কে অস্ত্র অানা হইল।
রসূল (সাঃ) কে কেহ খবর দি‌লে তি‌নি স‌ঙ্গে স‌ঙ্গে তাশরীফ নিয়া গে‌লেন ও ব‌লি‌লেন অা‌মি থাকা অবস্থায় তোমরা পরস্পর কাটাকা‌টি ক‌রি‌বে?

রসূল (সাঃ) খুবই সং‌ক্ষিপ্ত কিন্তু মহব্বত ও দর‌দে প‌রিপূর্ন এক‌টি বয়ান দি‌লেন । উভয় দল বুঝ‌তে পা‌রি‌লেন‌ যে,

তাহা‌দের‌কে শয়তান উ‌ত্তে‌জিত ক‌রিয়া‌ছে। উভয় দল কান্নাকা‌টি ক‌রি‌লেন ও মি‌লিয়া গে‌লেন।

তারপর এই অায়াত তেলাওয়াত ক‌রি‌লেনঃ

‌ হে মুসলমান তোমরা অাল্লাহ‌কে ভয় কর, যে রূপ ভয় করা দরকার এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত পুরাপু‌রি মুসলমান ও অাল্লাহর বাধ্যগত বান্দা হইয়া থাক। (সূরা অাল ইমরান)
(লেখা লম্বা হচ্ছে ব‌লে ঈশারা ক‌রে যা‌চ্ছি অাপনারা কোরঅান ও তাফসীর প‌ড়ে দেখ‌বেন)

সূরা অাল ইমরান এ এই বিষ‌য়ে অ‌নেক গু‌লো অায়াত পেশ করা অা‌ছে যা এই ঘটনার প্রে‌ক্ষি‌তে না‌যিল হ‌য়ে‌ছে।

সারমর্ম কথা যা ‌কোরঅা‌নে বলা হ‌য়ে‌ছে তা হ‌লো দ্বীন‌কে মজবুতভা‌বে ধরা, খন্ড বিখন্ড না হওয়া, জাহান্না‌মের কিনারা থে‌কে ফি‌রে অাসা, যারা ভাঙ্গন সৃ‌ষ্টি ক‌রে তা‌দের কি হ‌বে? যারা জুড়া‌নোর চেষ্টা ক‌রে তা‌দের কি হ‌বে? এবং এই জন্য অামা‌দের করনীয় কি তাও উ‌ল্লেখ করা অা‌ছে। দয়াক‌রে এগু‌লো বুঝার চেষ্টা কর‌বেন। অার এগু‌লো বু‌ঝে
অা‌সি‌লে‌ নি‌জের ও সবার কল্যান সা‌ধিত হ‌বে ইনশাঅাল্লাহ।

সর্ব‌শেষ কথা হ‌লো অামরা যেন শয়তা‌নের চক্রা‌ন্তে ফে‌সে না যাই।

ঐ অনুযায়ী কাজ করাটাই মুসলমা‌নের কাজ যেভাবে অাল্লাহ ও তাহার রসূল পথ দে‌খি‌য়ে‌ছেন।

‌ হিংসা, বিদ্ধেস, ঝগড়া, ফ্যাসাদ, ভাগাভা‌গি, অপর‌কে তুচ্ছ করা, পর‌নিন্দা করার জন্য ইসলামে হুকুম ক‌রে‌নি বরং জু‌ড়ে থাকার, জু‌ড়ি‌য়ে রাখার জন্যই ইসলাম।

দ্বী‌নের সমস্ত জি‌নিষ জুড়ার জন্য অা‌সিয়া‌ছে। নামা‌জের ম‌ধ্যে জোড় অা‌ছে, রোজার ম‌ধ্যে জোড় অা‌ছে, হ‌জ্জের ম‌ধ্যে বি‌ভিন্ন গোত্র , দেশ, ও ভাষার মানু‌ষের জোড় অা‌ছে, মুসলমা‌নের ইজ্জত, পরস্পর মহব্বত, এ‌কে অপর‌কে হা‌দিয়া দেওয়া ও নেওয়া এই সবগু‌লি জোড়ার ও জান্না‌তে নি‌য়ে যাওয়ার জি‌নিষ।

সং‌ক্ষিপ্ত করার চেষ্টা ক‌রেও দীর্ঘ হ‌য়ে গেল, অাশা রা‌খি মু‌মিন‌দের ফায়দা হ‌বে ইনশাঅাল্লাহ।

চলুন ব‌লি "মু‌মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই" এবং
প্রকাশ্য শত্রু শয়তান‌কে পরা‌জিত ক‌রি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.