ওজন কমাবে পানীয়

০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

শরীরের মেদ ঝরাতে আমরা প্রতিনিয়ত নানা রকমের ডায়েট চার্ট ও ব্যায়াম অনুশীলন করি। আবার কাজের চাপে শরীরের যত্নআত্তির সময় মিলবে কিনা- সে ভাবনারও অন্ত নেই। অতিরিক্ত ওজন কমানোর সাধারণ নিয়ম হলো স্বাস্থ্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহন, হালকা ব্যায়াম বা প্রতিদিন এক থেকে দেড় ঘণ্টা হাটা। এছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি পানীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।



পানীয়গুলো হচ্ছে -



টক জাতীয় ফলের রস : তাজা ফলের রসে ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য উপাদান রয়েছে। শুধুমাত্র তাজা ফল কিংবা ফল ও সবজি দুটিই মিশিয়ে আপনি জুস তৈরি করে নিতে পারেন। বিশেষ করে টক জাতীয় ফলের রস। কমলা/লেবুজাতীয় ফলের রস শরীরের ভিতরের সব বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারে, একইসঙ্গে সাহায্য করে ওজন কমাতে। প্রতি সপ্তাহে এমন ফলের রস প্রায় আট আউন্স করে খেলে শরীরে মেদ ও গ্যাস সৃষ্টির সমস্যা দূর হবে। তবে অবশ্যই পান করবেন চিনি ছাড়া।

পানি : সাধারণ পানি ওজন কমাতে সবচাইতে কার্যকরী পানীয়। দিনে অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি বা তরল খাবার আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। যদি শুধু পানি খেতে ভালো না লাগে তবে লেবুর রস, শসা বা টমেটোর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

গ্রিন টি : গ্রিন টি বিপাক ক্রিয়া জোরদার করে ও ওজন কমায় বলে গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন। গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়ায় ও বাড়তি ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। গ্রিন টিয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া লিকার চা বেশ উপকারী। দিনে অন্তত দুই কাপ গ্রিন টি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে দারুন সহায়ক। খাওয়ার পর গ্রিন টি পানে খাবার দ্রুত হজম হয়।

কালো কফি : সকালে ও বিকেলে এক কাপ করে কফি ওজন হ্রাসে অত্যন্ত সহায়ক। তবে এতে দুধ ও চিনি একেবারে না দেওয়াই ভাল। তাতে ওজন কমার বদলে উল্টো বাড়বে।

দুধ : দুধ প্রোটিন, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। দুধ শরীরের পেশি গঠন ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। সকালে নাস্তায় দুধ পান দীর্ঘসময় ক্ষুধামুক্ত রাখে ও হজম ক্ষমতা বাড়ায়। তবে অবশ্যই সর ও ফ্যাট ছাড়া স্কিম মিল্ক পান করবেন। দুধের সঙ্গে নানান রকম ফল যেমন- স্ট্রবেরি, পেঁপে ইত্যাদি মিশিয়ে মিল্ক শেক তৈরি করেও পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া।

০ টি +০/-০