অসুস্থ হলেও জোর করে কাজ করায়

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের ধারাবাহিক ‘উজান গাঙের নাইয়া’ রবিবার রাত সাড়ে আটটায় প্রচার হবে। এ নাটকে কিছুটা নেতিবাচক চরিত্র সুলতানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু।

নাটকের চতুর্থ পর্বে দেখা যাবে, শাহাজাদা আর মৌয়ের প্রেমের কথা জেনে যান সুলতান। ছোটভাই শাহাজাদাকে বোঝানোর চেষ্টা করে সে। মৌ গরিব তাই কোনদিনই এ সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে না। মৌয়ের ব্যাপারে কোনোভাবেই শাহাজাদার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে না পেরে একসময় ভাইয়ের গায়ে হাত তোলেন সুলতান। অন্যদিকে আরিফকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য শত অনুরোধ করেও কোনো ফল না পেয়ে, এক পর্যায়ে একাই স্বামী হালিমের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আনিকা।

‘উজান গাঙের নাইয়া’য় কারখানা মালিক সুলতানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাবু। চরিত্রটি কিছুটা নেতিবাচক হলেও বেশ আনন্দ নিয়েই অভিনয় করেছেন বলে জানালেন তিনি। বললেন ‘খুব খারাপ একটা লোক সুলতান। নিজের কারখানার শ্রমিকদের ঠিকমতো সুযোগ-সুবিধা দেয় না। অসুস্থ হলেও জোর করে কাজ করায়।’

ভালো হোক আর খারাপ হোক- চরিত্রকে সব সময় নিজের মধ্যে আত্মস্থ করে নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে কয়েকটি ধারাবাহিক আর ঈদের নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি।

বিবিসি’র সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছেন তিনি। এবারের কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জানালেন, বিবিসি পুরোপুরি পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করে। এ কাজগুলোও হয় আন্তর্জাতিকমানের। দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করতে গেলে যে সমস্যাটি হয় তা হলো- কমসময় এবং স্বল্প বাজেটে কোনো ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট ছাড়াই কাজ করতে হয়। বিবিসি’র নাটকে এ সমস্যাগুলোর কোনোটিই থাকে না। শুধু বাজেটই নয়, মানের ব্যাপারেও কোনো সমঝোতা করে না বিবিসি।

গুণী এ অভিনেতা জানালেন, উজান গাঙের নাইয়া’য় কাজ করার সময় নাটকের ইউনিটটি ঘিরে পুরো একটা পরিবার গড়ে উঠেছিল যেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ব্যাডমিন্টন খেলা, একসঙ্গে গান গাইতে গাইতে বা গান শুনতে শুনতে শুটিং স্পটে যাওয়া, খুঁটিনাটি সবগুলো বিষয়েই আনন্দ পেয়েছেন তিনি।

তার সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রথম দিকেই সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। তিনি বলেন ‘আমি শুরু করি আরণ্যক নাট্যদলের মাধ্যমে। এরপর টেলিভিশন নাটক আর চলচ্চিত্রেও কাজ করেছি। প্রতিটি মাধ্যমেই শুরুতে কাজ করা ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জের মতো। আর যে চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, পেশাদার গায়ক না হলেও আমার গাওয়া গানটিই কিন্তু তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মঞ্চনাটক কিন্তু উপমহাদেশের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এর সংস্কৃতি আর কলাকুশলীদের অভিনয়ের জোরে। কিন্তু টেলিভিশন নাটক বা চলচ্চিত্র শুধু অভিনয় দিয়ে উতরে নেওয়া যায় না। এখানে কারিগরি বিষয়গুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা নির্ভর করে বাজেটের ওপর। এ জায়গাটায় এখনও খুব বেশি দূর এগোতে পারিনি আমরা।’

গিয়াসউদ্দিন সেলিম ও বাশার জর্জিস পরিচালিত এ নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশিদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, চঞ্চল চৌধুরী, দীপা খন্দকার, অর্চিতা স্পর্শিয়া, কাজী নওশাবা আহমেদ, শ্যামল মাওলা, শাহেদ, আলী, ইশরাত নিশাত, মোমেনা চৌধুরী প্রমুখ।

নাটকটি প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রতি রবিবার রাত সাড়ে আটটায় এবং এটি পুনঃপ্রচার হয় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে।

০ টি +০/-০