![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোটর সাইকেলে, খুভ বেশী স্পীড না। খামার বাড়ী মোড়ের কিছু আগে। চোখ পরল বামে ৬-৭ জন পুলিশ দাড়ানো। একজন লোক সংসদ ভবনের দিকে মুখ করে নামায আদায় করছেন। ঠিক ফুটপাথ ঘেসে। ফরমাল ড্রেসকোড। দেখতেও সুন্দর। জিন্স আর শার্ট পড়া। নামায আদায় করছেন, কেন এই খানে। আর পুলিশই বা তাকে ঘেড়াও করে রেখেছে কেন। আমি জানি এবং মানি এইসব ব্যাপারে নাক গলানো উচিত না। আবার উটকো কোন ঝামেলা চলে আসবে নিজের কাধে। তারপরও মোটর সাইকেল স্লো করলাম, থামালাম, নামলাম। হেলমেট না খুলে এগিয়ে গেলাম। ততক্ষনে লোকটির নামায প্রায় শেষ। সালাম ফিরাচ্ছেন। আমার আগ্রহ দেখে দাড়ানো এক পুলিশ জিগ্গেস করল চিনি কিনা। উত্তর কি দিবো, আমিতো চিনি না, এমনিই নেমেছি। উত্তর দিলাম, চেনা মনে হয়েছিলো, কিন্তু সামনে এসে দেখে সিউর হলাম চিনি না। তাইলে যান, ভীর কইরেন না। আমাকে হালকা করে হাত দিয়ে সরিয়ে দিলেন। আমি হেলমেট খুলে পুলিশ ভাইদের উদ্দেশ্যে জিগ্গেস করলাম কেউ কি উনার সাথে কথা বলেছেন। একজন উত্তর দিলো, অই মিয়া, দেহেন না নামায পড়তাছে, কথা কমু কেমনে। আমি উনার কাছে যেতে যেতে উনি মোনাজাত ধরেছেন। কপালে রাস্তার পিচ এর গুড়া পাথর লেগে আছে। হাতেও। আমি কাধে হাত দিলাম, ভাই এইখানে আপনি নামায আদায় করতেছেন - it is ok, I myself read it on Sahih Muslim that you could pray anywhere in the world. সারা পৃথিবীই মসজিদ। আপনি এই পৃথীবির যে কোন যায়গায় নামায আদায় করতে পারবেন। মনে হলো উনি শুনেছেন। হ্যা শুনেছেন। বিরবির করে কি যেন বলছেন। আমার দিকে হাত ইশারা করলেন এবং বুঝালেন উনি খুব আস্তে বলবেন তাই উনার মুখের কাছে আমার কান নেয়ার জন্য ইশারা করলেন। আমি আরো কাছে যাওয়ার আগেই উনি জোড়ে ই বললেন- I am praying for parliament. বলতে বলতে মোনাজাতের মাঝখানে হাতের শাহাদাত আংগুল দিয়ে উনার নাক বরাবর সংসদের দিকে ইশারা করলেন। আমি বললাম, আলহামদুলিল্লাহ। অবশ্যই এইটা আপনি করবেন, এবং আপনি যা করছেন তা ভালো But this is not the right place. Even so many people are gathering here just watch you and so many of them are making fun of you. So you should take a look around you. উনি শুনলেন এবং চোখ খুললেন। চারদিকের লোকজনদের দেখে একটু লজ্জাই পেলেন মনে হলো। দাড়ালেন। এর আগে উনি হাতের ইশারায় মুখে পানি দেয়ার জন্য বলেছিলেন, কেউ শুনেনি এবং পানিও দেয়নি। এবার উনার মোবাইল বের করলেন কল রিসিভ করার জন্য। আমি যখন এসেছি তখন থেকেই মোবাইলটা বাজতেছিলো। নামাযের মধ্যে ছিলেন বলে ধরেন নাই বলে মনে হলো। ফোন ধরলেন আর কথা বলা শুরু করলেন। পুলিশগুলো তাকিয়ে দেখছিলো। আর আশেপাশে যারা ভীর করেছেন তারাও মনে হলো অখুশি হয়ে হ্যাবলার মতো আমার দিকে দেখছে। লোকটি ফুটপাতের পাশেই একটা যায়গায় বসে কথা শুরু করলেন। কিন্তু কি বলছে শুনা যাচ্ছে না। আমি আমার মোটর সাইকেলের দিকে ফেরত আসতে আসতে পেছন ফিরে দেখছিলাম। উনি এখনও কথা বলছেন। আমি আবার গেলাম তার কাছে। এবার উনার কানের কাছে গিয়ে বললাম, সবাই আপনার দিকে দেখছে, আপনার উচিত এখান থেকে চলে যাওয়া। উনি আমার কানে কানে বললেন ভাই আমাকে আপনি একটু নিয়ে যান। সিওর, কোথায় যাবেন, আসেন আমার বাইকে। ফার্মগেট। কিন্তু আমি তো যাবো পান্থপথ। তাহলে একটু সামনেই নামিয়ে দেন। আমি বললাম হ্যা আসেন। আমি সামনের দিকে এগুলাম। উনি পেছন পেছন হাটা শুরু করলেন। কিন্তু আমি বাইকে উঠলাম আর উনি আমার বাইকে না উঠে সামনের দিকে হেটে চলে গেলেন।
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পুলিশ কিছু করলো না? এটা কী সম্ভব?
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ওমেরা বলেছেন: ঢাকা শহরে কি মসজিদের অভাব !!
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৩
কালীদাস বলেছেন: জিন্স আবার ফরমাল ড্রেসকোডে ঢুকল কবে থেকে? আর ঢাকা শহরে মসজিদের এত আকাল পড়ল কবে থেকে যে ফুটপাতে দাঁড়াতে হবে?
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৭ কোটীর মাঝে অনেক ধরণের মানুষ আছেন
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লোক দেখানো