নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন আমার বাংলাদেশ

সাইফুল ইসলা৯১২৬

হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ

সাইফুল ইসলা৯১২৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ এর শকুনেরা রক্তের নেশায় জোট বেঁধেছিল।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

৭১ এ মহান মুক্তি যুদ্ধে পাকসেনার পাশাপাশি প্রবল পতিপক্ষ হিসাবে একাধিক সংগঠন আবির্ভূত হয়েছিলো। শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনি এদের মধ্যে অন্যতম।

শান্তি কমিটিঃ-১৫ ই এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে শান্তি কমিটি নামে সদ্য পরিচিত একটি সংগঠনের নাম বদল করে পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি রাখা হয়। পাক সেনাবাহিনী তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নৈতিক ও সামাজিক সমর্থন পেতে বাঙালীদের সমর্থনের প্রযোজনীয়তা অনুভব করে। মূলত তাদের ইন্ধনেই শুরু হয় শান্তি কমিটি নামের সংগঠনটির পথচলা। প্রথমিক ভাবে ৩৪ সদস্যের শান্তি কমিটি হলেও পরে সব জেলায় এর শাখা কমিটি গঠন করা হয়। সৈয়দ খাজা খায়রুদ্দিন, একিউ এম শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম আযম, প্রমুখ ব্যাক্তি বর্গ শান্তি কমিটির প্রথম সারির নেতা ছিলেন।

আলবদরঃ- ১৯৭১ সালের ২২ শে এপ্রিল ময়মনসিংহ জেলা ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি মোহাম্মাদ আশরাফ হোসাইন এর নেতৃত্বে জামালপুর শহরে আলবদর বাহিনী গঠিত হয়। পূর্বাঞ্চালীয় পাকিস্তান সেনাবাহীনির প্রধান জেনারেল নিয়াজীর পৃষ্ঠ পোষকতায় মে মাসে রাজারকার বাহিনী গঠনের আগেই আলবদর বাহিনী গঠিত হয়েছিলোএ রাজাকার বাহীনি সরাসরী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। আল বদর বাহিনী সৃষ্ঠকরা হয়েছিলো রাজনৈতিক চেতনা তৈরীর লক্ষে। পরবর্তিতে সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক গনহত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এদের মূল কাজ হয়ে দাড়িয়ে ছিলো। ১৯ সদস্যের বিশিষ্ট আলবদর বাহিনীর কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন মতিউর রহামন নিজামী এবং অন্যতম নেতা ছিলেন আলী আহসান মোঃ মোজাহিদ, মীর কাশেম আলী, মোহাম্মাদ ইউনুছ প্রমুখ।

রাজাকার বাহিনীঃ ১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনায় প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠিত হয। খানজাহান আলী রোড সংলগ্ন আনসার ক্যম্পে ৯৬ জন জামায়াতে ইসলামীর কর্মীর সমন্বয়ে জামায়াতে ইসরামী পূর্ব পাকিস্তান শাখার সহকারী আমীর মাওলানা একে এম ইসুফ প্রথমে রেজাকার বাহিনী গঠন করেন। পরবর্তিতে শব্দটির পরিবর্তন পূর্বক রাজাকার রুপ নেয়।

৭ জন পরিচালক মন্ডলী নিয়ে কেন্দ্রীয় রাজাকার হাই কমান্ড গঠন করা হয়েছিলো। পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন এ.এস এম জহুরুল হক, উপ-পরিচালক যথাক্রমে মফিজউদ্দিন ভুইয়া, এম আই মৃধা ও এম এ হাসনাত, ঢাকা-শহর এ্যডজুট্যান্ট ফরিদ আহামদ কমান্ডার ইন চিফ, মোহাম্মাদ ইউনুছ ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির এর দায়িত্বে ছিলেন মীর কাশেম আলী। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্থান সেনা বাহিনী কর্তৃক গঠিত একটি আধাসামরিক বাহিনী রাজাকার। অখন্ড পাকিস্থানপন্থী বাঙালী এবং উর্দূভাসী আধাবাঙালী অভিবাসীদের নিয়ে এই সশস্ত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ কালে তদানীমত্মন হায়দারবাদ ভারতভুক্ত করতে অনিচ্ছুক থাকায় ভারতের সামরিক বাহিনীকে প্রাথমিক প্রতিরোধের জন্য রাজাকার নামে একটি স্বেচ্ছসেবক বাহিনী গঠন করেন হায়দারাবাদের শাসক নিজাম। হায়দারাবাদের রাজাকার এর অনুকরনে মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। পরবর্তিতে দেশের অন্যান্য অংশেও রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলা হয়। প্রথম পর্যায়ে এ বাহিনী ছিলো এলাকার শামিত্ম কমিটির নেতৃত্বাধীন। ১৯৭১ সালে পহেলা জুন জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তান রাজাকার অডিন্যান্স ১৯৭১ জারি করে আনসার বাহিনীকে রাজাকার বাহিনীতে রুপান্তরিত করেন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় ৭ সেপ্টেম্বার জারিকৃত এক অধ্যাদেশ বলে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের সেনাবাহিনীর সদস্যরুপে স্বকৃতিদেন।

আল শামসঃ ১৯৭১ সালের আগষ্টের আগে আল শামসের জোরালো তৎপতা ছিলো না বলে জানা যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালে পাকিস্থান সাময়িক বাহিনীর মদদে নিজামী ইসলামীর তত্বাবধানে গঠিত হয় আল শামস। মূলত মুক্তি বাহিনীকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে আল শামস গঠন করা হয় বলে তথ্য পর্যালোচনায় জানা যায়।

সূত্রঃ ৭১ এর যুদ্ধ অপরাধীরা কে কোথায়, উইকিপিডিয়া, জাতীয় গনতদমত্ম কমিশনারের রিপোর্ট, ৭১ যুদ্ধ অপরাধ এবং যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার গ্রন্থ।







মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.