![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
( হে নবী!) এটা আল্লাহর বড়ই অনুগ্রহ যে, তোমার ব্যবহার তাদের প্রতি বড়ই কোমল৷ নয়তো যদি তুমি রুক্ষ স্বভাবের বা কঠোর চিত্ত হতে, তাহলে তারা সবাই তোমার চার পাশ থেকে সরে যেতো ৷ তাদের ক্রটি ক্ষমা করে দাও৷ তাদের জন্য মাগফিরাতে দোয়া করো এবং দীনের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শে তাদেরকে অন্তরভুক্ত করো৷ তারপর যখন কোন মতের ভিত্তিতে তোমরা স্থির সংকল্প হবে তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করো৷ আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন যারা তাঁর ওপর ভরসা করে কাজ করে৷ (সূরা আল ইমরান ১৫৯)
.
এ আয়াতটি থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় কোমল ও নম্র ব্যবহারের গুরুত্ব। এ আয়াতটি থেকে এ কথাও বুঝা যায় যে লোকদের সাথে কোমল ব্যবহার করার ক্ষমতা যার আছে তার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষন করেছেন। এ রহমত সাধারন কোন রহমত নয়; এ রহমত সেই দুর্লভ রহমত যা আল্লাহ নাযিল করেছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল মুহাম্মদ (স) এর উপর।
আসলে এ রহমত অর্জন করার সৌভাহ্য সবার হয় না। কারন আল্লাহই ঘোষনা দিয়েছেন যে,
“আল্লাহ যাকে চান নিজের রহমত দানের জন্য বাছাই করে নেন।”
মানুষের আচার আচারনের সবচেয়ে বড় দিক হল তার মুখের কথা। সামাজিক বন্ধন রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে আমাদের এ মুখের কথা। মুখের কথার গুরুত্ব তাই লিখে শেষ করা যাবে না। কথার গুরুত্ব বুঝানোর জন্য আলাহ বলেন,
“একটি মিষ্টি কথা এবং কোন অপ্রিতিকর ব্যপারে সামান্য উদারতা ও ক্ষমা প্রদর্শন এমনই দানের চেয়ে ভাল যার পেছনে রয়েছে দুঃখ ও মর্মজ্বালা।”
এ আয়াতটি আমাদের আচারনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন দিক তথা মুখের কথার দিকে ইঙ্গিত করে।
হাত বা অস্ত্র দ্বারা কাউকে আঘাত করলে সে আঘাত লাগে শরীরে। কখনও হয়ত ঘটে রক্তপাত। তারপর এক সময় শুকিয়ে যায় সেই ক্ষত। কিন্তু কথার আঘাতটি লাগে সরাসরি হৃদয়ে যার ক্ষত কখনই শুকানোর নয়। তাইতো হযরত আলী (রা) বলেছিলেন, “মুখের কথার মাধ্যমেও এমন আঘাত করা যায় যে আঘাত তরবারির আঘাতের চেয়েও ভয়ঙ্কর।”
জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চাইলে আমাদের স্বভাবের মাঝে বিদ্যমান কঠোর দিকগুলো যতটা সম্ভব পর্দার আড়ালে রাখতে হবে। আর চারদিকে বিছিয়ে দিতে হবে কোমল স্বভাবের চাদর। আমার দৃষ্টিতে নম্র ব্যবহার ও সুমিষ্ট কথা বলার যোগ্যতার পেছনে দুটি গুরুত্বপূর্ন গুন কাজ করে।
১ ধৈর্যঃ মানুষের জীবনে ধৈর্যের গুরুত্ব অপরিসীম। ধৈর্য একজন মানুষকে সম্মানের অতি উচ্চ শিখরে আরোহন করিয়ে দিতে পারে। ধৈর্যের ব্যপারে আমি শুধু একটি আয়াতের ছোট একটি অংশ উল্লেখ করব। এ কথাটি আল্লাহ কুরআনের বেশ কয়েক স্থানে বর্ননা করেছেন।
“আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন”
আসুন আল্লাহর এ কথাটি সম্পর্কে একটু গভীরভাবে চিন্তা করি। এখানে আল্লাহ বলেছেন যে যারা ধৈর্যধারন করে আল্লাহ তাদের সাথে আছেন। আর একজন নিম্ন স্তরের ঈমানদারও একথা জানে যে আল্লাহ যার সাথে আছেন তার কোন কিছু নিয়েই চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। একটু চিন্তা করে দেখুন কত বড় সম্মান দিয়েছেন আল্লাহ ধৈর্যশীলদের।
ক্রোধ দমন এবং অন্যের দোষ ক্ষমাঃ মানব চরিত্রের আরও একটি সুন্দর দিক নিজের ক্রোধকে দমন করার ক্ষমতা। এ ব্যপারে আমি কুরয়ানের কয়েকটি আয়াত বর্ননা করতে চাই।
দৌড়ে চলো তোমাদের রবের ক্ষমার পথে এবং সেই পথে যা পৃথিবী ও আকাশের সমান প্রশস্ত জান্নাতের দিকে চলে গেছে, যা এমন সব আল্লাহভীরু লোকদের জন্য তৈরী করা হয়েছে যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে ও অন্যের দোষ –ক্রটি মাফ করে দেয়৷ এ ধরনের সৎলোকদের আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন৷ (সূরা আল ইমরান ১৩৩-১৩৪)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে উত্তম আচারনের গুরুত্ব অনুধাবন করার তৌফিক দিন। আমীন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
সাইফুল্লাহ আবিদ বলেছেন: জাঝাকাল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৮
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।