নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Come gladly in my heart\nRandomly going life like inexpert!\n\nDo you want to know my insight? \nIt is very nice and presents light.

সাইফুলসাইফসাই

আমি স্বাধীন বাংলা মা এর ছেলে। মা আমার বাংলায় কথা বলে। কিন্তু মা আমার আদৌ বর্ণমালা জানে না। তাই তো আমরা বাংলা ভাল ভাবে বলতে, লেখতে পারি না।

সাইফুলসাইফসাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষতিগ্রস্ত অব্যাহত

২০ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

ক্ষতিগ্রস্ত অব্যাহত
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

বাবা বেবিট্যাক্সি গ্যারেজ এর মালিক ও মিস্ত্রি ছিলেন। নিজেই পুরাতন বেবিট্যাক্সি বিকল কিনে মেরামত করতেন। পুরাতন সারানো গাড়ি ভাড়া দিতেন। মেরামত করা বেবিট্যাক্সি ছিলো তার ছয়টি। এক ছেলে কোলে আর এক মেয়ে হাটতে পারে, স্ত্রীসহ বসবাস করতেন ঢাকার কোনো এক সরকারি কোয়ার্টার-এ। কারণ তিনি তার ব্যবসার পাশাপাশি রেলওয়ে গেটম্যান ছিলেন। বাবা’র নাম ইউনুছ মিয়া, মা’র নাম ফিরোজা বেগম। তিন বোন আর তিন ভাই-এর মধ্যে বাবা ছিলেন বড়। ইউনুছ মিয়া’র আয়ে পরিবারের সবাই চলতেন। বলল আমির হোসেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়। অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকান্ড চালানো হয়। ইউনুছ মিয়ার গ্যারেজ ঢাকার প্রাণকেন্দ্র হওয়ার কারণে পাকিস্তানির সেনার আক্রমণে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সারাদিন গাড়ি চালিয়ে, গ্যারেজে বেবিট্যাক্সির ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলো তার গাড়ি চালকরা। যারা গাড়ির মধ্যে ছিলো তারা সবাই দগ্ধ হয়ে মারা যায়। এই অবস্থা দেখে ইউনুছ মিয়া স্তব্ধ, নির্বাক হয়ে যায়। সব হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে ইউনুছ মিয়া গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়া সহজ ছিল না। গাড়ি-ঘোড়া সব বন্ধ! তাহলে যাবে কিভাবে? সিদ্ধান্ত নিলো পায়ে হেটেই বাড়ি যাবে। রওনা দিলো বাড়ির দিকে হেটে হেটে কোনাকুনি পথ ধরে চলতে লাগলো। খুব বিপদ, তবুও চলছে পথ…! অনেক দিন বা কয়েকদিন হেটে একদিন বাড়ি পৌঁছোতে পারল। বাড়িতে উদ্বিগ্ন, অপেক্ষমান স্ত্রী তাকে পেয়ে খুবই খুশি! দুখের বিষয় ইউনুছ মিয়া যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। যাইহোক, যুদ্ধ শেষ হলো দীর্ঘ নয় মাস পর আবার নতুন করে পথ চলা শুরু হলো।

সেক্টর-০৫, উত্তরা, ঢাকা।
২০.০৩.২৪






মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ওকে, জানলাম! উনি এখন কি করেন? কোথায় আছেন? সিএনজির গ্যারেজ দিয়েছেন নাকি?

২০ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: উনি ১৯৮৮ সালে মারা গেছেন। উনার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে বেঁচে আছেন।

২| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

পুরানমানব বলেছেন: পাকিস্তান সয়তানের আখড়া। উহা এখনো সয়তানের আখড়াই রহিয়া গেছে।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

এম ডি মুসা বলেছেন: ভালো একটা কাহিনী এমন কাহিনী আসলেই আমার কাছে ভালো লাগে

৪| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১

নাহল তরকারি বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।

৫| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম কাহিনী আছে অসংখ্য লোকের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.