নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকল বিষয়ে শূন্য-তাই আমি অনন্য

সাইফুলসাইফসাই

আমি স্বাধীন বাংলা মা এর ছেলে। মা আমার বাংলায় কথা বলে। কিন্তু মা আমার আদৌ বর্ণমালা জানে না। তাই তো আমরা বাংলা ভাল ভাবে বলতে, লেখতে পারি না।

সাইফুলসাইফসাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদাপাথর

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২২

সাদাপাথর
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

আমার ঘুরতে যাওয়া হয়েছে খুব কম দুরদুরান্তে। একদিন বন্ধু দেলোয়ার, সজল, রাজন, রাজু, সরোয়ার মিলে ঘুরতে যাবে সিলেট “সাদাপাথর”। আমাকেও বলল যাবি নাকি। আমি যেতে রাজি হলাম। তারিখ ঠিক করল। অপেক্ষা করতে লাগলাম কাঙ্ক্ষিত সময়ের জন্য। চলে আসলো সেই যথাযথ সময়। রিক্সা করে যাচ্ছিলাম আমি আর দেলোয়ার এয়ারপোর্টের দিকে। হঠাৎ রাস্তায় দেখা হয়ে গেলো বাকি বন্ধুদের সাথে। তারাও এয়ারপোর্টে দিকে যাচ্ছিল। কারণ ওরা অন্য এলাকায় থাকতো। তাই আমরা একসাথে রওনা দিতে পারিনি। খুব আনন্দ অনুভব করছিলাম। এয়ারপোর্টে আসা মাত্রই ট্রেন চলে আসলো। দীর্ঘদিন পরে ট্রেনে উঠছি। খুব ভালো লাগা শুরু হলো। বন্ধুরা সবাই একে অন্যে সাথে হাসি ঠাট্টা মেতে ছিল আর আমি চুপ চাপ বসে ছিলাম। ট্রেন চলছে ঝড়ের গতিতে ও চলার শব্দ মনে হচ্ছে সবকিছু ভেঙে চুরে যাচ্ছে। ট্রেনের ভিতরে এটা সেটা কিনে খেলাম। বিভিন্ন স্টেশন এসে থামছে আর মানুষ জন তার গন্তব্যে পৌছে যাচ্ছে। একসময় আমাদের গন্তব্য সিলেট স্টেশন এসে থামলো। তখন ভোররাত। রিক্স নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে নাস্তা করি। রেস্টুরেন্টে ও জায়গার নাম খেয়াল করতে পারছি না।

তারপর ভোলাগঞ্জ, সাদাপাথর এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। লোকাল বাসে উঠে যেতে লাগলাম, উঁচু নিচু পাহাড় তাতে চা বাগান খুব সুন্দর লাগছিল। আমি সামনের সিটে বসে ছিলাম তাই সামনের সবকিছু দেখা যাচ্ছিছিল। কী চমৎকার সব দৃশ্য দেখে মাতোয়ারা। ভোলাগঞ্জ, সাদাপাথর এর কাছাকাছি আসা মাত্রাই দেখতে পেলাম নীল আকাশ অতিশয় মনোহর সব পাহাড় দেখে বিস্মিত! ওখানে একটি বাজার, যারা ভ্রমণ করতে আসে তারা মূলত এখান থেকে কেনাকাটা করে থাকে। নদীর ঘাটে এসে নৌকা ঠিক করে উঠে পড়লাম তাতে। চলা শুরু করলো নৌকা যে যার মতো ছবি তুলছে আমরা ছবি তুলছিলাম। নৌকা চলার সাথে ছোট ছোট ঢেউ হাত দিয়ে স্পর্শে করতেই শীতলতা অনুভূত হলো। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। কিছুক্ষণ চলার পর নৌকা এসে থামলো সাদাপাথর। সাদা সাদা পাথর চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। প্রখর রোদ তাই আরো বেশি জ্বলজ্বল করছে। ঘুরতে আসা সবাই পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানিতে গোসল করছে আনন্দ চিত্তে। স্থানীয় এক ছেলে মানে হকার ঐ পানি খাচ্ছে দেখে অবাক হলাম। আমার বন্ধুরাও গোসল করলো আনন্দ করলো ছবি তুললো আমি খুব কম ছবি তুললাম। কারণ এত ছবি তুলতে আমার ভালো লাগে না। আমি কেবল নদীর পানির ছোঁয়া নিয়েছি। গোসল আর করিনি, বসে ছিলাম উপরে। সারাদিন এভাবে কেটে গেলো। সন্ধ্যার সময় ফিরে আসার জন্য রওনা দিলাম।

উত্তরা, ঢাকা।
২৮.১১.২০২৪

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.