নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

http://www.icchaghuri.blogspot.com

এ পথ যদি না শেষ হয়,তবে.........

বিভ্রান্ত_পথিক

বিভ্রান্ত_পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কেমন তাবলীগ করব? বিদাতী তাবলীগ?নাকি সেই তাবলীগ যা আল্লাহ আমাদের উপর দিয়েছেন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৯

আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং প্রতিপালন করছেন। মহান আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবণ ব্যবস্থা। পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা মানে কি? আর এই জীবন ব্যবস্থা পরিবর্তন, পরিবর্ধণ পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন এর দায়ীত্ব কী আল্লাহ পাক কাউকে দিয়েছেন কিনা?



আমরা অনেকেই না বুঝে শুনেই অনেক কিছুতে বিশ্বাস স্থাপন করে নেই যেগুলো আমাদের শিরক পর্যন্ত পৌছে দেয়। অথচ আমরা তা ভালো কিছু ভেবে করেই চলেছি। ভেবে দেখিনা যে আমরা যেটাকে ভালো পন্থা ভাবছি আল্লাহ কি সেটা অনুমোদন করেছেন কিনা !!! আমি আপনি কি আল্লাহর রাসুলুল্লাহ ( সাঃ), সাহাবাগণ, তাবেঈগণ, তাবে তাবেঈগণ থেকে বেশি ঈমানদার? নিশ্চই না। সাহাবীদের থেকে নিশ্চই আমরা রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর অনুসারী বেশি হয়ে যাই নি।



বাস্তবিক জীবনের ছোট্ট একটা উদাহরণ এভাবে দেয়া যেতে পারে, কিছু লোক প্রচুর ঝাল খেয়ে অভ্যস্ত, যখন তাদের কাছে একটি আদর্শ খাবার যেটাতে লবণ, ঝাল সব স্বাভাবিক এবং পরিমান মত দেয়া আছে, পরিবেশন করা হয় তারা তাতে স্বাদ পায় না, তারা বলে যে এতে ঝালের পরিমান কম হয়েছে। পাঠক বুঝতে পারছেন বিষয়টা? অর্থাৎ অতিরিক্ত ইবাদত (বিদাতি ইবাদত) করতে করতে আসল ইবাদত (আল্লাহর নির্ধারিত এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিছছাল্লামের নির্দেশিত) তার কাছে কম মনে হয়।



তাবলীগ কি?



তাবলীগ হচ্ছে দাওয়াত, দ্বীনের দাওয়াত দেয়ার নাম ই হচ্ছে তাবলীগ। মুসলমান হিসেবে ইসলামের দাওয়াত দেয়া সকলের উপর ফরযে আঈন। অর্থাৎ আমাদের সকলের দাওয়াত দিতেই হবে। মানে হল ইসলামের প্রচার আমাদের সকলেরই করতেই হবে। না করলে গুনাহ হবে। তো আমাদের এই প্রচারটা কিরূপ হবে? আমাদের যটুকু জ্ঞান আছে ততটুকুই আমরা বলব। আমাদের বাবা মা, ভাই, বোন, বন্ধু প্রতিবেশি এদের কাছে আমাদের জ্ঞান অনুযাই আমরা বলব। কিন্তু এই জ্ঞান হতে হবে সহিহ জ্ঞান। ভ্রান্ত, আজগুবি গল্প, যেসবের অস্তিত্ব কোরান হাদিস এ নেই ওইসব নয়।



আর মুসলমানদের মধ্য থেকে অবশ্যই এমন একটা দল হতে হবে যারা সব সময়ই দাওয়াতের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। তাদের উপর এটা ফরযে ক্বেফায়া। এই দল যদি না থাকে তবে সকলের গুনাহগার হতে হবে।

এখন আসল আলোচনায় আসা যাক। আমরা যে তাবলীগ করব, কেমন তাবলীগ করব? বিদাতী তাবলীগ? ভ্রান্ত তাবলীগ? মানুষকে আসল পথ না দেখিয়ে ভ্রান্ত পথের দিকে নিয়ে যাওয়ার তাবলীগ? স্বপ্ন আর গল্প কাহিনীর তাবলীগ?

নাকি সেই তাবলীগ যা আল্লাহ আমাদের উপর দিয়েছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিছছাল্লামের ত্বরীকা অনুযাই।



বিদাত কি?



বিদআত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল: اَلشَّيْءُ الْمُخْتَرَعُ عَلٰى غَيْرِ مِثَالٍ سَابِقٍ অর্থাৎ পূর্ববর্তী কোন নমুনা ছাড়াই নতুন আবিষকৃত বিষয়।[ আন-নিহায়াহ, পৃঃ ৬৯, কাওয়ায়েদ মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ১৭] আর শরীয়তের পরিভাষায়- مَا أُحْدِثَ فِى دِيْنِ اللهِ وَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ عَامٌ وَلاَخَاصٌّ يَدُلُّ عَلَيْهِ অর্থাৎ আল্লাহ্‌র দ্বীনের মধ্যে নতুন করে যার প্রচলন করা হয়েছে এবং এর পক্ষে শরীয়তের কোন ব্যাপক ও সাধারণ কিংবা খাস ও সুনির্দিষ্ট দলীল নেই।[ কাওয়ায়েদ মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ২৪]



এ সংজ্ঞাটিতে তিনটি বিষয় লক্ষণীয় :

নতুনভাবে প্রচলন অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম ও সাহাবায়ে কিরামের যুগে এর কোন প্রচলন ছিল না এবং এর কোন নমুনাও ছিল না।

এ নব প্রচলিত বিষয়টিকে দ্বীনের মধ্যে সংযোজন করা এবং ধারণা করা যে, এটি দ্বীনের অংশ।

নব প্রচলিত এ বিষয়টি শরীয়তের কোন ‘আম বা খাস দলীল ছাড়াই চালু ও উদ্ভাবন করা।

সংজ্ঞার এ তিনটি বিষয়ের একত্রিত রূপ হল বিদআত, যা থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ শরীয়তে এসেছে। কঠোর নিষেধাজ্ঞার এ বিষয়টি হাদীসে বারবার উচ্চারিত হয়েছে।



রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন,

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ) رواه أبو داود والترمذى وقال حديث حسن صحيح

“তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭৬, তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]



নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম তাঁর এক খুতবায় বলেছেন:

إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ. رواه مسلم والنسائى واللفظ للنسائى

“নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।

সুত্রঃ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী, হাদীস নং ১৫৬০, হাদীসের শব্দ চয়ন নাসায়ী থেকে।

বিদাত হচ্ছে সেই সব আমল যার অনুমতি আল্লাহ দেননি, রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) করেননি, করতে বলেন নি, সাহাবারা করেন নি করতে বলেন নি, ত্বাবেঈগণ করেন নি করতে বলেন নি। অনেকে বিদাত কে বিদাত মনে করেন না, ভাল কাজ মনে করেন। রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) বলেন, ধর্মের নামে নতুন সকল কিছুই বিদাত। অতএব ইসলামে বিদাতের কোনো প্রকার ভেদ নেই, ভাল বিদাত বা খারাপ বিদাত বলে কিছু নেই। নতুন সব কিছু যা ধর্মের নামে করা হয় তাই বিদাত।



আল্লাহর রাসুলুল্লাহ ( সাঃ), সাহাবা গণ, তাবেঈগণ, তাবেতাবেঈগণ থেকে বেশি ঈমানদার হয়ে গেছি কি আমরা?



আল্লাহ বলেন,

মানব মধ্যে কতক এমন আছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী, মূলত ওরা বিশ্বাসী নয়। ধোকা দেয় ওরা আল্লাহ ও বিশ্বাসীদের অথচ ওরা স্বীয় আত্নাকেই ধোকা দেয়, ওরা বোঝে না। ওদের অন্তরে রোগ, সুতরাং আল্লাহ ওদের রোগ আরও বৃদ্ধি করে দেন, তাদের জন্য আছে কঠোর শাস্তি, মিথ্যাচারের জন্য। সূরা বাক্বারা ৯-১০.



রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন আমার সাহাবাদের একটি দল আমার কাছে উপনীত হবে এবং তাদেরকে হাউয থেকে পানি আহরণ করতে বাধা দেয়া হবে। আমি তখন বলব, “ইয়া রব! তারা আমার সহচরবৃন্দ।” আল্লাহ্‌ বলবেন, “নিশ্চয়ই তোমার পর তারা ধর্মের মধ্যে যে নতুন প্রথার প্রবর্তন করেছে, সে বিষয়ে তোমার জানা নেই। তোমার পরে তারা পিছু ফিরে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল।”

বুখারী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।



রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) বলেছেন- তোমাদের পূর্বেই আমি কাওসার নামক নির্ঝরনির কাছে উপনীত হব। অবশ্যই আমি একদল লোকের সাথে বিতর্ক করব এবং তাদের উপর বিজয়ী হব। অতঃপর আমি বলব, “হে রব! আমার সহচর, আমার সহচর।” আমাকে তখন বলা হবে, “আপনি জানেন না আপনার পরে এরা কি সব বিদ’আতী কাজ করছে।”

মুসনাদে আহমদ, বুখারী ও মুসলিমে হযরত ইবনে মাসউদ (রা) থেকে ও ইবনে শাইবায় আবূ হুযাইফা (রা) থেকে সংগৃহিত।



আল্লাহ বলেন,

সুপথ প্রকাশিত হবার পর যে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর বিরুদ্ধাচরন করে এবং বিপরীত পথে অনুগামী হয় তবে সে যাতে অভিনিবিষ্ট আমি তাকে তাতেই প্রত্যাবর্তিত করব ও তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব এবং ওটা নিকৃস্টতর প্রত্যাবর্তন স্থল। সূরা নিসা ১১৫।



চিল্লাঃ

চিল্লা আমাদের দেশের এমন একটি কাজ যা অনেক মানুষ ইবাদতের মাপকাঠি হিসেবে মনে করেন। ভাই আপনি কয় চিল্লা দিছেন? এখনো দেন নাই। দিয়ে দেন দিয়ে দেন। অনেকটা এমন ব্যপার যে ভাই হজ্জ্ব করেন নি এখনো এটাতো ফরয। চিল্লা কবে ফরয হল ভাই? আপনারা তো চিল্লাকে ফরযের গুরুত্ব দিয়ে ফেলছেন। এত গুরুত্বের দলিল দেখান।



অনেক মানুষ অসুস্থ মা বাবা ভাই বোন স্ত্রী রেখে চিল্লায় যান। চিল্লা করার (৭ দিন , ১০ দিন, ১৫ দিন ৩০ দিন, ৪০ দিন, ৮০ দিন যত দিনই হোক) একটা প্রমান বের করে দেখান কোরআন বা সহিহ হাদিস থেকে। আমরা মেনে নিব। একমাত্র রমজান মাসের এতেকাফ ছাড়া (১০ দিন) আর কোনো প্রমান বা দলিল নাই। এতেকাফ আর চিল্লা কি এক হল?

চিল্লার লোকেরা বলেন চিল্লায় গেলে কদমে কদমে সওয়াব। পাইলেন কোথায় এটা? ফযরের নামাজে মসজিদে গেলে, জুম্মা বারে জুম্মার নামাজে গেলে ইত্যাদি ক্ষেত্রে কদমে কদমে ক্ষমা ও মর্তবা উঁচু হবার হাদিস রয়েছে। চিল্লার হাদিস দেখান তো ভাই !!! মা বাবার সেবা করা ফরয চিল্লা কি ফরয? আর এই চিল্লা পাইলেন কোথা থেকে? মাত্র ১টা প্রমান দেন রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) বা সাহাবী আজমাঈন, তাবেঈ তাবে তাবেঈন গন বা এমনকি ইমামগন থেকে। মাত্র ১টা প্রমান ৪০ দিনের।



আরো মজার ব্যপার হল চিল্লায় বেশি বেশি পড়ানো হয় ইলিয়াস সাহেবের ফাজায়েলে বই সমুহ। কোথায় কোরআনের সঠিক তাফসীর পড়বে কোরআন জানবে নাআআআআআআ বিদাতেই মজা বেশি!!!



আল্লাহ বলেন,

আর এমন লোকও রয়েছে যে বিনা জ্ঞানে, বিনা দলিলে ও বিনা স্পস্ট কিতাবে আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে। আল্লাহর রাস্তা হতে লোকদের ভ্রষ্ট করার জন্য, তার জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা এবং কিয়ামতে আমি তাকে দহন আজাব ভোগ করাব। সূরা আল হাজ্ব ৮।



দেলোয়ার হোসাই সাঈদীর রেকর্ড করা ওয়াজ থেকে আমি নিজ কানে শুনলাম, চীনে যাওয়ার হাদিস, মায়ের মুখ দেখলে কবুল হজ্জ্বের সওয়াব, শহীদের রক্তের চেয়ে কলমের কালির শক্তি বেশি, ফাতেমা (র) কে নিয়ে কবরের ঘোষনা ইত্যাদি জাল, ভুয়া, মিথ্যা হাদিস। এগুলো কোথায় পেলেন উনি তা কি জানেন? একটা বই আছে জাল হাদিসের উপরে লেখা ঐ বই থেকে পড়ে উনি আমাদের শুনিয়ে দিলেন !! কি আশ্চর্য ওই গুলো জাল এটা মানুষকে না জানিয়ে হাদিস হিসেবে পেশ করে দিলেন উনি? প্রিয় মুসলিম ভাই, আমিও সাঈদি সাহেবের খুব ভক্ত ছিলাম। কিন্তু ঐ ভক্তি রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) থেকে কখনো বেশি ছিল না তাই উনার মিথ্যা বর্ননার প্রতিবাদ করছি।



মাওলানা হাবীবুর রহামন যুক্তিবাদীর ওয়াজ ইন্টারনেটে শুনতে পাবেন, উনি বলছেন এক বুজুর্গ বলেছেন, হযরত ওমর (র) এর নাম বাংলায় বা আরবীতে বুকে লিখে ঘুমালে শয়তান আসবেনা। ইংরেজীতে লিখলে হবে না। সুতরাং সকলে এটা করবেন। এটা কি শিরক নয়??



মাওলানা তূফাজ্জল হোসাইন বক্তব্যে বলেছেন কবর ঘুরে যাওয়ার কাহিনী, এক আলেমের কথায় আরেক মৃত আলেম কবর থেকে পা বের করে দিয়েছেন এবং ওই পা এখনো বের হয়েইই আছে !!! মাজার জিয়ারতের আহবান করছেন উনি। মাজার তো শিরক। এগুলো কী ইসলামিক ওয়াজ।





আল্লাহ বলেন,

ওদের দেবতারা দ্বীনের এমন বিধান ওদের দিয়েছে আল্লাহ যার অনুমতি দেন নাই, কিয়ামত ঘোষণা না থাকলে ওদের মাঝে বিচার মীমাংসা হয়ে যেত। যারা পাপাচারী তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে। সূরা শূরা ২১।



তাবলীগী জামাআত ইলীয়াসি জামাত , ফাযায়েলে আমল সু স্পষ্ট বিদাত এবং শিরক দ্বারা পরিপূর্ন ।



জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে উপদেশ, যদি আমরা জ্ঞানী হই। কতটা গাফেল কতটা নির্বুদ্ধিতা আমাদের আছে যে উদ্ভট কিচ্ছা কাহিনী আমরা বিশ্বাস করে নিচ্ছি।



ইসলাম কি কিচ্ছা কাহিনী থেকে এসেছে? ইসলাম কি স্বপ্ন থেকে এসেছে? কোনো কিছু না চিন্তা করেই আমরা অন্ধের মত মেনে নিচ্ছি ফাযায়েলে আমল বইয়ের কিচ্ছা কাহিনী, স্বপ্ন। ইসলাম অন্ধ বিশ্বাসের নাম নয়।



তাবলীগ জামাআতের বই ফাযায়েলে আমল বইয়ে কোরান হাদিছ এর যেমন আলোচনা রয়েছে তেমনি রয়েছে শিরক বিদাতের আলোচনা। এই ফাযায়েলে আমল হচ্ছে স্বপ্নের ধর্মের কিতাব। এখানে রয়েছে শুধু স্বপ্ন আর স্বপ্ন।

এই কিতাবের বিভিন্ন কিচ্ছায় রয়েছে যে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) স্বপ্ন যোগে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন এবং ইলীয়াস সাহেব তদানুযাই আমল করেছেন। এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে কিভাবে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে উনি রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কেই দেখেছেন। আর রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) ওই সব উদ্ভট কাজ করতে বলেছেন। যাদের বুঝার সামান্য জ্ঞান রয়েছে তারা সহজেই বুঝতে পারে কত বড় শিরক আর বিদাতি কথা বার্তা ওগুলো।



রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কে স্বপ্নে দেখার ভুল ব্যখ্যা

রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর সাহাবাগণ ছাড়া আর কেউ ১০০ ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারেন না যে তিনি রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কে দেখেছেন। কারন সাহাবাগণ রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) সামনা সামনি দেখেছেন, এখন উনারা যদি স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কে দেখেন তবে সত্যই দেখেছেন কেননা শয়তান রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) আকৃতি নিতে পারে না।

ইলীয়াস সাহেব কিভাবে প্রমান করবেন যে তিনি সত্যই রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কে স্বপ্নে দেখেছেন? উনি ত বাস্তবে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কে দেখেন নাই, এখন শয়তান যদি সুন্দর কোনো মানুষের রূপে এসে বলে আমিই রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) তবে কি তা বিশ্বাস করা যাবে? উনি কিভাবে জানলেন স্বপ্নযোগে দেখা ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ ( সাঃ)? কারন রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) সুন্দর ছিলেন কিন্তু কতটুকু তা তো আপনি জানেন না। কতটুকু লম্বা ছিলেন আপনি জানেন না। তো কিভাবে বুঝলেন স্বপ্নে দেখা মানুষটি রাসুলুল্লাহ ( সাঃ)? তবে হতে পারে সত্যই দেখেছেন, কিন্তু নিশ্চই রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কোনো মানুষকে নতুন ইবাদতের শিক্ষা স্বপ্নের মাধ্যমে দিবেন না। কারন ইসলাম তো পরিপূর্ণ। নতুন করে আসার কিছু নেই।



ইলীয়াস সাহেব তার কিচ্ছা কাহিনীতে যেভাবে বলেছেন যে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) স্বপ্নে বলেছে এই করতে ওই করতে এটা কি বিশ্বাস যোগ্য নাকি ভ্রান্ত?



এই তাবলীগ জামাত শুরু হয়েছে গত ৪০ কি ৫০ বছর থেকে। তবে আপনি কি মনে করেন এটা নতুন নয়? আল্লাহর রাসুলুল্লাহ ( সাঃ), সাহাবা গণ, তাবেঈগণ, তাবে তাবেঈগণ থেকে এমন কোনো প্রমান আছে যে তাঁরা ৩ দিনের ৭ দিনের ৪০ দিনের চিল্লায় গিয়েছেন? প্রমান কোথায়? এটাকি স্পষ্ট বিদাত নয়? আমল করছেন ভালো মনে করে, আপনার মন দিয়ে কি ইসলাম হবে?



আল্লাহ বলেন,



আর এমন লোকও রয়েছে যে বিনা জ্ঞানে, বিনা দলিলে ও বিনা স্পস্ট কিতাবে আল্লাহ সম্পর্কে বিতর্ক করে। আল্লাহর রাস্তা হতে লোকদের ভ্রষ্ট করার জন্য, তার জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা এবং কিয়ামতে আমি তাকে দহন আজাব ভোগ করাব। সূরা আল হাজ্ব ৮।



কোরান কে অস্বীকার করতে চান আপনি? কোথায় প্রমান আছে এই সব আমলের আল্লাহর রাসুলুল্লাহ ( সাঃ), সাহাবা গণ, তাবেঈগণ, তাবে তাবেঈগণ থেকে? যদি না থাকে তবে কি মানা যাবে? আপনিই চিন্তা করুন।



কোরান স্পষ্ট, সহিহ হাদিস স্পষ্ট এবং এগুলোর বাংলা তাফসীর ও তরজমা রয়েছে, দ্বীনের সকল বিষয় স্পষ্ট, এখানে নতুন কোনো কিছুরই প্রবেশের পথ বন্ধ।

আল্লাহ আমাদের জন্য ইসলামকে পরিপূর্ণ করেদিয়েছেন রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) জীবিত থাকতেই। নতুন করে ইলীয়াস সাহেবদের স্বপ্নে পাওয়া আজগুবি কথা ইসলাম নয়।



ইসলাম এসেছে মক্কা মদীনা থেকে। পারস্য কিংবা ভারত পাকিস্তান থেকে নয়। মক্কা মদীনায় আছে চিল্লা? ফাযায়েলে আমল আর ওই সব কিচ্ছা কাহিনী?



ফাযায়েলে আমল বইয়ের কিচ্ছায় লেখা আছে ইলীয়াস সাহেবের কবিতা শুনে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর হাত মুবারক কবর থেকে বের হয়ে এসেছিল এবং নব্বই হাজার মানুষ তা দেখেছে। কত বড় মিথ্যা কথা হতে পারে এটা !!!! আপনি বিশ্বাস করছেন এটা ??? কোন কিতাবে আছে? ওই নব্বই হাজার মানুষ থেকে আর কেউ কি এই কথা মানুষ কে জানালো না? তাও কবিতা শুনেই রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর হাত বেরিয়ে আসে? তাহলে তো কোরান শুনে হাদিস শুনেও রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) হাত বের হওয়া উচিত। কবিতা উত্তম না কোরান হাদিস ?

রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর স্ত্রী ছিলেন, কত সাহাবী ছিলেন, হাসান হোসেন ছিলেন তাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর হাত বের হল না আর বের হল কিনা বিদাতি ইলীয়াস সাহেবের কবিতা শুনেই? ইসলামে কি কবিতা আছে নাকি?



ইলীয়াস সাহেবে এই বইয়ে লিখেছেন, হে আল্লাহর নবী আপনি মেহেরবানী পূর্বক একটু দয়া ও রহমের দৃষ্টি নিক্ষেপ করুন।

এটা কি শিরক হল কি হল না? আপনি কার কাছে চাবেন? নবীর কাছে নাকি আল্লাহর কাছে? নবী নিয়ে বাড়াবারি করা হয়েছে ঈসা (আঃ) কে নিয়ে এখন আমাদের মাঝেও তার শুরু করা হয়েছে।

ফাযায়েলে হাজ্জ বইয়ে কিচ্ছা নং ৪ ও ১০ কিচ্ছা এখানে ব্যখ্যা করবনা। পাঠক গণ পড়লেই বুঝবেন কতবড় অনৈসলামিক কথা ওগূলো। ফাজায়েলে আমল দুরুদ হজ্জ্ব বইয়ে ''ফায়দা' নামে মানুষকে বিভ্রান্ত আর বিদাত কুফরির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।



স্পষ্ট কথা কোরানে, সহিহ হাদিছে যা নেই তা মানা আমার আপনার জন্য জরুরী নয়। আল্লাহ জবাব নেবেন কোরান এবং সহিহ হাদিছ থেকে (দূর্বল, জাল মিথ্যা হাদিছ নয়), বাকি যত বড় আলেমের যত বড় কিতাবই লিখেন না কেন কোরান হাদিছের অনুকূলে না হলে তা বাতিল।



ইলীয়াসী তাবলীগী ভাইয়েরা ফাযায়েলে আমল পড়েন কিন্তু তাদের দেখা যায় না কোরানের তরজমা পড়তে, সহিহ বুখারী সহিহ মুসলিম পড়তে। আল্লাহ কি ফাযায়েলে আমল নির্ধারণ করেছেন নাকি? সহজ কথা বুঝে আসে না অনেকেরই। ভাই ফাজায়েলে আমল পড়েন কিন্তু শিরকি বিদাতি গুলো বাদ দিয়ে পড়েন।



ভাইয়েরা হক কথা বুঝার তওফিক্ব আল্লাহ আমাদের দেন। আমীন।



সুত্রঃ (All Praise Belongs to Allah সকল প্রশংসা একমাত্র মহান আল্লাহ'র ) ফেসবুক গ্রুপ থেকে নেওয়া।

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০২

রাকি২০১১ বলেছেন: ভাই , রাসূলুল্লাহ (সা) এর জামানায় কি মাদ্রাসা ব্যবস্থা ছিল?? তাহলে বর্তমানের মাদ্রাসাগুলো কি বিদআত্?
সময়ের অভাবে লিখতে পারতেছিনা। ইনশাআল্লাহ পরে লিখব।
তবে বলি , You must know the difference between the Ahkam and administration. Don't mixture Ahkam with Administration.
ভাল থাকুন।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৪

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৪

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: বিদআত কি?
বিদআত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল: اَلشَّيْءُ الْمُخْتَرَعُ عَلٰى غَيْرِ مِثَالٍ سَابِقٍ অর্থাৎ পূর্ববর্তী কোন নমুনা ছাড়াই নতুন আবিষকৃত বিষয়।[আন-নিহায়াহ, পৃঃ ৬৯, কাওয়ায়েদ

মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ১৭]

আর শরীয়তের পরিভাষায়- مَا أُحْدِثَ فِى دِيْنِ اللهِ وَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ عَامٌ وَلاَخَاصٌّ يَدُلُّ عَلَيْهِ অর্থাৎ আল্লাহ্‌র দ্বীনের মধ্যে নতুন করে যার প্রচলন করা হয়েছে এবং এর পক্ষে

শরীয়তের কোন ব্যাপক ও সাধারণ কিংবা খাস ও সুনির্দিষ্ট দলীল নেই।[কাওয়ায়েদ মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ২৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন,

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ) رواه أبو داود والترمذى وقال حديث حسن صحيح

“তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং

৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭- তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম তাঁর এক খুতবায় বলেছেন:

إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ. رواه مسلم والنسائى واللفظ للنسائى

“নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত

প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী, হাদীস নং

১৫৬০, হাদীসের শব্দ চয়ন নাসায়ী থেকে।]

হাদিসদুটো লক্ষ করেন বার বার। বলা হয়েছে
১. দ্বীনের মধ্যে
২. প্রত্যেক
৩. নতুন বিষয় বিদআত এবং
৪. প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা
৫. প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।

১.দ্বীনের মধ্যেঃ-

অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে। ধর্মের মাঝে। ইবাদতের মাঝে। এখানে সমাজের মাঝে বলা হয় নি। জীবন যাত্রার মানের ক্ষেত্রে বলা হয় নি। যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রে বলা হয়নি। জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন সংক্রান্ত ব্যবহারিক দুনিয়াবি জিনিসপত্রের কথা বলা হয় নি। বলা হয়েছে দ্বীনের মধ্যে।

আপনার প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ (সা) এর জামানায় কি মাদ্রাসা ব্যবস্থা ছিল?? তাহলে বর্তমানের মাদ্রাসাগুলো কি বিদআত্?

এরকম প্রশ্ন হতে পারেঃ ব্লগ,ফেসবুক, ইন্টার্নেট, রেলগাড়ি এগুলোও কি বিদআত?

আমার প্রশ্ন তাদেরই কাছেঃ-মাদ্রাসা, ফেসবুক, ইন্টার্নেট রেলগাড়ি ইত্যাদি কী দ্বীন? এগুলো কী ইবাদত হিসেবে করা হয়? এগুলো ব্যবহার না করলে কী কোনো গুনাহ আছে। এগুলো ব্যবহার করলে কী কোনো সোয়াব আছে?

আমার উত্তরঃ- মাদ্রাসা হচ্ছে দীনি শিক্ষার মাধ্যম।

ব্লগ,ফেসবুক ব্যবহার করে ইসলামের প্রচার বা তাবলীগ করা বিদআত নয়। ব্লগ,ফেসবুকে কোনো সোয়াব নাই গুনাহও নাই। ফেসবুক কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটার উপর গুনাহ এবং সওয়াব নির্ভর করে। আপনি খারাপ কাজ করলে গুনাহ। আর যদি ব্লগ, ফেসবুক ব্যবহার করে "ভাল কাজ" করেন তাহলে সওয়াব। সওয়াবটা কোথা থকে আসছে? "ভাল কাজ থেকে"ব্লগ, ফেসবুক থেকে নয়। এটা শুধুমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম মাত্র। আপনার কাছে বার্তা পৌঁছে দেবার মাধ্যম মাত্র।

এখন যদি কেউ বলে ব্লগ,ফেসবুকে ইসলাম প্রচার করলে প্রতিটি অক্ষর টাইপ করলে ১ নেকী তাহলে এটা বিদআতের মধ্যে পড়ে যাবে।

বুঝাতে না পারলে এটা অবশ্যই আমার ব্যার্থতা।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৩

জাফর০০৭বেসট বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=AAuLmgX-Bjs

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৩

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: জানতাম
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৬

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: লেকচার দাউলোড দিতে ক্লিক করুন।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৬

অাতিক বলেছেন: ফাযায়েলে আমল বইয়ের কিচ্ছায় লেখা আছে ইলীয়াস সাহেবের কবিতা শুনে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর হাত মুবারক কবর থেকে বের হয়ে এসেছিল এবং নব্বই হাজার মানুষ তা দেখেছে।
উত্তর: আমি দশ-বার বছর এই বই পড়ছি। কোথাও এই কথা পাইনাই। আপনি পৃষ্ঠা নাম্বার দেন।
আর ফাজায়েলে আমলের লেখক ইলিয়াস(র.) না। ফাজায়েলে আমলের লেখক জাকারিয়্যা(র.)। আপনে যে কত পন্ডিত(মূর্খ) আমার বুঝা হয়ে গেছে । যে বড় লিংক দিছেন তার অধিকাংশ ই আপনার ভুল জানা। এবং অনুমান নির্ভর। একটার উদাহরনত দিলামই। সবগুলোর উত্তর আমার জানা আছে। কিন্তু লেখার অবসর নাই। ইজতেমার দাওয়াত রইল। নাহয় ২০-২১-২২ তারিখ তিনটা দিন একটু ন্ষ্ট করলেন। ওখানে আসলে আমাকে জানাবেন (১৮ তারিখের আগে)। আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করব(ইনশাআল্লাহ)।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ফাযায়েলে আমল বইয়ের কিচ্ছায় লেখা আছে ইলীয়াস সাহেবের কবিতা শুনে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর হাত মুবারক কবর থেকে বের হয়ে এসেছিল এবং নব্বই হাজার মানুষ তা দেখেছে।

আমি দুঃখিত এই ভুলের জন্য। বইটি নাম আসলে ফাযায়েল হাজ্জ্ব । পৃষ্টা ২৫৮ (২৩ নং কটেশন)।

ভাই পণ্ডিত আমি হতে যাব কেন, পণ্ডিত তো আপনি!!!!
কে লেখক আর কে আনুবাদক ভালো করে দেখে নেবেন।

বেদআত মুক্ত তাবলীগ করুন । আমীন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১০

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ফাযায়েলে আমল বইয়ের কিচ্ছায় লেখা আছে ইলীয়াস সাহেবের কবিতা শুনে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) এর হাত মুবারক কবর থেকে বের হয়ে এসেছিল এবং নব্বই হাজার মানুষ তা দেখেছে।

আমি দুঃখিত এই ভুলের জন্য। বইটি নাম আসলে ফাযায়েল হাজ্জ্ব । পৃষ্টা ২৫৮ (২৩ নং কটেশন)।

ভাই পণ্ডিত আমি হতে যাব কেন, পণ্ডিত তো আপনি!!!!

বেদআত মুক্ত তাবলীগ করুন । আমীন।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩০

রিফাত হোসেন বলেছেন: ++

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৭

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ বোঝার জন্য

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৭

ই এইচ মািনক বলেছেন: না জেনে অনেক কিছু লেখা যায়। ভালভাবে স্টাডি করে লেখা উচিত

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৫

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আপনার এমন মনে হওয়ার কারন কি?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫১

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: সৌদিআরবের ফতোয়া বোর্ড চিল্লা এবং এই ইলিয়াসী তাবলীগ জামাতের কর্ম কাণ্ড কে বিদআত বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন,
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ) رواه أبو داود والترمذى وقال حديث حسن صحيح
“তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭৬, তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।] আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছা বুঝার তৌফিক দেন। আমিন।

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৭

আজিজুল হাকিম শাওন বলেছেন: আপনি বলেছেন,মাজার তো শিরক-নাউজুবিল্লাহ
আর ফাজায়েলে আমলের প্রতিটি হাদিসের নিচেই উৎস উল্লেখ আছে আর সেগুলো মুসলিম,বুখারী এই সব সহীহ হাদীস গ্রন্থ থেকে নেয়া।বিশ্বাহ না হলে পড়ে দেখেন ও একটা হাদীস দেখান যা সহীহ নয়, আমি আপনাকে চ্যালেনজ জানাই।
আর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যে কেউ মিত্থ্যা স্বপ্নে দেখতে পারবে না তা আপনার জ্ঞানের বাইরে মনে হয়।আপনি বলেছেন-ইলীয়াস সাহেব কিভাবে প্রমান করবেন যে তিনি সত্যই রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কে স্বপ্নে দেখেছেন? উনি ত বাস্তবে রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) কে দেখেন নাই, এখন শয়তান যদি সুন্দর কোনো মানুষের রূপে এসে বলে আমিই রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) তবে কি তা বিশ্বাস করা যাবে?-শয়তান যে এই কাজটা করতে পারবে না, এই ক্ষমতা আল্লাহ তাকে দেন নাই তা আপনাকে আজ জানিয়ে দিলাম।মনগড়া থিউরি প্রচার করবেন না।
আপনি আরো বলেছেন-এই তাবলীগ জামাত শুরু হয়েছে গত ৪০ কি ৫০ বছর থেকে।-খ্যাক খ্যাক।আগে ইতিহাস জেনে আসুন।কোথা থেকে কার কাছ থেকে কি শুনেছেন,চলে আসছেন ব্লগে বিদাত চিনাইতে-লুল।
আপনি আরো বলেছেন-ইসলাম এসেছে মক্কা মদীনা থেকে। পারস্য কিংবা ভারত পাকিস্তান থেকে নয়। আমি বলবো ভারত পাকিস্তান থেকেই এসেছে।খাজা মইনুদ্দিন চিশ্তি (রঃ) ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচার করেন।আমাদের এই উপমহাদেশে কোন নবী ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসেন নাই।তাবেঈ, তাবে তাবেঈন ও না।উনারা তো সারাজীবনই তাবলীগের মত করে ঘর বাড়ি ছেড়ে মানুষকে দাওয়াত দিয়ে গেছেন।৪০ দিন নিয়া আপনার পশ্চাতদেশে এতো চুলকানী! উনাদের জীবনী পড়লে তো চুলকাইতে চুলকাইতে ঘা হইয়া যাইবে।
আপনি আর বলেছেন-ইলীয়াসী তাবলীগী ভাইয়েরা ফাযায়েলে আমল পড়েন কিন্তু তাদের দেখা যায় না কোরানের তরজমা পড়তে, সহিহ বুখারী সহিহ মুসলিম পড়তে।-আপনি তো আল্লাহকেও দেখেন নাই।যা দেখেন না তা কি আসলেই নাই?উনারা প্রকাশ্যে ফাজায়েলে আমল পড়েন কারন এই বইটি সহীহ হাদীসের কিছু সংকলন-যাতে দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কাজে লাগবে এমন হাদিসই লিপিবদ্ধ হয়ছে।শুধুমাত্র সহীহ বুখারীর ৬টা খন্ড আপনার কাধে তুলে দিলেই আপনার মুখখানার যে কি হতো-পড়ার কথা না হয় বাদই দিলাম।
সবশেষে-আপনার লিখার উৎস-সহিহ হাদিস প্রতিদিন) ফেসবুক গ্রুপ থেকে নেওয়া।আহাম্মকীর একটা সীমা থাকে।নিজের উৎসের ঠিক নাই,আসছেন আরেকজনের পশ্চাতদেশ চুলকাইতে!
আল্লাহ আপনার মত ফেবু উলামাদের হেদায়াত করুন।সাথে আমাকে ও সকল পাঠককেও।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২০

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: মাজার সম্পর্কে আপনার ভ্রান্ত ধারনা দেখে সত্যিই কষ্ট পেলাম ।



হেদায়েত দেওয়ার মালিক নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌।আল্লাহ্‌ আমাদের হেদায়েত দান করুন।

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৪

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: তাবলীগকে আমার মুর্খতা মনে হয়। ওদের কিছু জিনিষ অপছন্দ। আকাম কুকাম করে শেষে ১ চিল্লা দিলেই তাকে ওরা ফেরেস্তা মনে করে। মনে করে ইসলাম মানে শুধু চিল্লা দেয় যারা তারাই। ওরা দেখবে না আপনি ইসলাম কিভাবে মানেন। জিজ্ঞাসা করবে আপনি চিল্লা দিয়েছেন কিনা।

৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৬

্েজাহা বলেছেন: আপনার লেখাতে আপনি বললেন তাবলীগ বিদাত!!!! :| :| :|

এখন তো মনে হচ্ছে আপনার জানার ভিতর সমস্যা আছে। আবার কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মুসলমান নাম ধারী হয়ে ইসলামকেই ক্ষতি সাধন করে যেমন কাদীয়ানিরা।

এখন তো আমার মনে হচ্ছে আপনি তেমন কিনা??? X( X( X( X(( X((

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৩

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আমার লেখার হেডিংটা আমরা কেমন তাবলীগ করব? বিদাতী তাবলীগ?নাকি সেই তাবলীগ যা আল্লাহ আমাদের উপর দিয়েছেন।
কোথায় বললাম তাবলীগ বিদাত।
এখন তো মনে হচ্ছে আপনার পড়ার ভিতর সমস্যা আছে।


আমাকে নিয়ে এরকম অহেতুক চিন্তা বাদ দিতে পারেন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৬

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ফাজায়েলে হাজ্জ্ব পৃষ্ঠা ২৫৮, ফাজায়েলে দুরুদ পৃষ্ঠা ১৩৮, বলা হয়েছে কবিতা শুনে রাসুলুল্লা (সঃ) এর হাত বের হয়ে এসেছে। (আস্তাগফিরুল্লাহ)।

১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৮

অাতিক বলেছেন: @ আবিরে রাঙ্গানো
আপনার মন্তব্য লেখকের মতই মনগড়া অথবা তবলীগ সম্বন্ধে অজ্ঞতা।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৩

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: মাসের পর মাস থাকেন কোনো প্রব্লেম নাই ৪০ দিন ফিক্সড কেনো? ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কয় চিল্লা দিছেন? ইমাম শাফি (রঃ), ইমাম মালেক (রঃ)? বর্তমান সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি কয় চিল্লা দিছেন? আর আপনাদের ইলিয়াসী তাবলিগ জামায়াত সম্পর্কে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি বলেছেন যে এইটা বিদাত, বিস্তারিত জানতে শায়খ মতিউর রহমান মাদানীর তথ্য বহুল সহিহ হাদীস প্রমান সহ লেকচার শুনুন। অন্ধের মত অনুসরন করবেন না। আর সত্যই যদি আপনারা বিদাতি না হোন সেটাও প্রমান করেন আমরা আপনাদের সঙ্গী হই। সঠিক প্রমান দিতে হবে। অবশ্যই আপনারা পারবেন না। আপনারা কোরানের ভুল ব্যাখ্যা আর জাল দুর্বল হাদিস শুনিয়ে বিভান্তিতে ফেলেন। ঈলিয়াস সাহেব যে বললেন রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর হাত বের হয়ে আসছে ৯০ হাজার লোক সেটা দেখছে কোথায় আপনাদের বাকি ৮৯৯৯৯ জন লোক? এত বড় মিথ্যা শিরকি কথা বলার পরও আপনারা তাদের মান্য করেন কিভাবে? জ্ঞান বুদ্ধি কি কিছুইই নাই আপনাদের। না কি শয়তান বিদাতি ইবাদতের স্বাদ এমন ভাবে দিয়েছে যে আর ছুটে আসতে পারতেছেন না?

১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

মোঃ মোশারফ হোসেন বলেছেন: ভুলে ভরা পোস্ট। এ ব্যাপারে সাবধান হওয়া উচিত। কারন এ ধরনের লেখা মানুষ পথভ্রষ্ট করতে পারে। ভালোভাবে স্টাডি করে পোস্ট লিখবেন। আল্লাহ আপনার মত ফেবু উলামাদের হেদায়াত করুন। ধন্যবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১১

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দিলে আমিও উপকৃত হতাম।

১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৬

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: তাবলীগকে এই লেখায় যেভাবে আক্রমন করা হয়েছে সেটা ঠিক নয়। মুলত ইসলাম একটি ব্যাপক বিষয় - একমাত্র রাসুল(স.) ছাড়া এর সকল বিষয় পুর্ণ রুপে অনুধাবন ও পালন করা অন্য কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষের মধ্যে যাদের কাছে যে বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্বপুর্ণ মনে হয় সেটিকেই ধারনের চেস্টা দেখা যায়। এ'ভাবে ইসলামের পুরো বিষয়টি বিভিন্ন ধারার মুসলমানের মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে - এটাকে নেতিবাচক দৃস্টিতে না দেখে বরং ইতিবাচক ভাবে দেখা উচিত।

যদি মুসলমানগন সবাই একই ধারার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকত তাহলে তাদের পক্ষে এত ব্যাপক একটি বিষয়কে পরিপুর্ণ রুপে ধরে রাখা সম্ভব হত না - ফলে ইসলামের অনেক চেতনাই হারিয়ে যেত। তার চেয়ে একে এক ধারার জনগোষ্ঠি এক একটি দিক ধরে রাখার ফলে সবগুলি বিষয়ই টিকে আছে। আমাদের উচিত সবারকাছ থেকে ভাল দিকগুলি গ্রহন করা এবং ভুল-ত্রুটিগুলি সংশোধনের চেস্টা করা।

তাবলীগের মাঝে আত্মত্যাগের বিষয়টি বেশ জোরালোভাবে দেখা যায়। দীনের দাওয়াত প্রচারের জন্য ঘর-সংসার ত্যাগ করে পথে পথে ঘুরে বেড়ান মোটেই সহজ কাজ নয় - এবং নি:সন্দেহে বড় সওয়াবের কাজ।

কিন্তু তাদের মধ্যেই আবার দেখা যায় অন্য বিষয়ে ব্যাপক দুর্বলতা। যেমন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দাওয়াত প্রচারের বিষয়। তারা নিজেদের ব্যাক্তিগত জীবনে উড়জাহাজ, মোবাইল, ইন্টারনেটের মত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহারেও অনিচ্ছুক নয় - কিন্তু দ্বীনি কাজে সামান্য মাইক ব্যাবহারেও আপত্তি। দেখা যায় মাইক ছাড়া বড় জামাতে নামাজ আদায় করতে গিয়ে ব্যাপক বিশৃংখ্যলা তৈরী হচ্ছে। আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ারমত এতবড় হাতিয়ারকেতো তারা রীতিমত অস্পৃশ্য মনে করে - অথচ এই হাতিয়ার ব্যাবহার করেই ইসলাম বিরোধীরা সমাজ ধ্বংসের কাজ খুব সাফল্যের সাথে করে যাচ্ছে।

এরা হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর সাথে প্রতিযোগিতা করে ডাক্তারী/ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির সময় খুবই বলবান থাকেন অথচ দ্বীনি দাওয়াত বা অন্যায় প্রতিরোধে জিহাদের প্রশ্ন আসলেই হয়ে যান কমজোর, শেষ জমানার দুর্বল ইমানদার।

এই দুর্বলতাগুলি কাটিয়ে উঠে যদি তারা দ্বীন প্রচার ও জিহাদের কাজে প্রচলিত সকল আধুনিক প্রযুক্তি/হাতিয়ার ব্যাবহারের মাধ্যমে সমাজের সকল অন্যায় জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভাবে অবস্থান নিতে পারেন তাহলে হয়ত এদের দ্বারা ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার অনেক বড় কাজ হতে পারে - কিন্তু এ'ব্যাপারে তাদের কোন উদ্যোগ এখনও চোখে পড়ছে না - এটাই হতাশা জনক।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০০

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ভাই এক সময় আমারও এটাকে ভালো লাগত। আসলে যখন শিখলাম বিদআত কাকে বলে তখন বুঝলাম এই চিল্লাটাও বিদআত। এই চিল্লা হচ্ছে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে এই চিল্লা পার্টি অনেক অনেক ভালো কাজ করে পাশাপাশি শিরক এবং বিদআত ও শেখায়। তা ভাই শিরক করলে কি আমল করে লাভ আছে? আর বিদআতি আমলের কোনই মূল্য নাই তা যত বেশিই করা হোক না কেন। তাদের কার্যক্রম দেখলে মনে হয় তারা ধর্মের খুব কাছে অথচ তারাই ধর্ম থেকে অনেক দূরে। যেখানে বিদআত ঢুকে সেখান থেকে সুন্নত বেড়িয়ে যায়।

১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৪

যে শহর চোরাবালি বলেছেন: দেখুন ফাজায়েলে আমাল পড়েছেন কিনা জানি না (সম্ভবত পড়েন নাই),যে হাদীস গুলোর সনদগত দূর্বলতা আছে সেগুলো তিনি উল্লেখ করে দিয়েছেন আর একটা বিষয় উল্লেখ করেছেন মাসায়েল সম্পর্কিত হাদীসে সনদগত দূর্বলতা ধর্তব্য,কিন্তু ফাযেয়েলগত হাদীসে ছাড়ের সুযোগ আছে।

আর এর লেখক জাকারিয়া (রহ) কে এটা জানতে আপনার নিকটস্হ ইমাম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করুন।খালি এতটুকু বলি তাকে ওলামা হযরতরা শায়েখে মাশায়েখ বলেন মানে শায়েখ দের শায়েখ ।

তার সম্পর্কে শুধু একটা ঘটনা বলি(সরাসরি হজরতের ছেলের বয়ানের আগে হজরতের এক ছাত্ররের বয়ানে শুনা)একবার হজরত কে ওনার ওস্তাদ মাদ্রাসা থেকে বাজারে যেতে বল্লেন ,হজরত তারাতারি রওনা হলেন,একটু পর ওনার ওস্তাদ বাইরে এসে দেখলেন উনি তখনো যেতে পারেন নি আর কি জানো খুজতেসেন ?তখন বল্লেন তুমি কি খুজতেসো? তিনি বল্লেন স্যান্ডেল ।তোমার স্যানডেল কই?নাই।তাহলে বাহিরে যাও কিভাবে ?৬ মাস বাহিরে যাই না।অর্থ তিনি এমন ভাবে কিতাবে মশগুল ছিলেন যে ৬মাস মাদ্রাসা মসজীদের বাহিরে যাবার দরকার পরে নাই।

পরে বয়ানকারী হজরতের ছাত্র উপস্হিত ছাত্রদের বললেন তোমরা তো ৬ মাস দুরে থাকুক ৬ঘন্টও এখানে বসে থাকতে পারবে না।

আশা করি কিসু আন্দাজ পাইসেন।

এখন ফাজায়েলে আমাল ছাড়া মুন্তাখাব হাদীস পড়া হয় ঐটার বেপারে আপনার মন্তব্য কি?(মনে হয় জানেন না)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৮

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ফাজায়েলে হাজ্জ্ব পৃষ্ঠা ২৫৮, ফাজায়েলে দুরুদ পৃষ্ঠা ১৩৮, বলা হয়েছে কবিতা শুনে রাসুলুল্লা (সঃ) এর হাত বের হয়ে এসেছে। (আস্তাগফিরুল্লাহ)।

কি বলবেন হাত বের হওয়া সমন্ধে ?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৭

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: তাবলীগী নেসাব ফাযায়েলে আমাল বইয়ের এই কথাগুলো কি বাতিল ও শিরক নয়?...

১) “ক্ষুধার্থ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে খাদ্যের আবেদন করে ঘুমিয়ে পড়লেন। সেই অবস্থায় তার নিকট রুটি আসল, ঘুমন্ত অবস্থায় ঐ ব্যক্তি অর্ধেক রুটি খাওয়ার পর জাগ্রত হয়ে বাকী অর্ধেক রুটি খেলেন।” ফাযায়েলে হ্‌জ্জ, পৃ:১৫৫-১৫৬।

২) জনৈক মহিলা ৩ জন খাদেম কর্তৃক মার খাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করলে, আওয়াজ আসল ধৈর্য ধর, ফল পাবে। এর পরেই অত্যাচারী খাদেমগণ মারা গেল। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৫৯।

৩) অর্থাভাবে বিপন্ন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে হাজির হয়ে সাহায্যের প্রার্থনা করায় তা কবুল হল। লোকটি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে দেখতে পেল যে, তার হাতে অনেকগুলো দিরহাম। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬২-৬৩।

৪) মদীনার মসজিদে আযান দেয়া অবস্থায় এক খাদেম মুয়াজ্জেমকে প্রহার করায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করল। প্রার্থনার তিনদিন পরই ঐ খাদেম মরা গেল। ফাযায়েলে হ্‌জ্জ, পৃ:১৬২-৬৩।

৫) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসায় ব্যর্থ হওয়ায় ঐ ব্যক্তির আত্মীয় (করডোভার এক মন্ত্রী) রোগ্যের আবেদন করে হুজুরের (সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরে পাঠ কার জন্য অসুস্থ ব্যক্তিকে পত্রসহ মদীনায় প্রেরণ করে। কবরের পার্শ্বে পত্র পাঠ করার পরেই রোগীর আরোগ্য লাভ হয়ে যায়। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬৭।

৬) কোন ব্যক্তি হুজুরের রওজায় আরজ করায় রওজা হতে হুজুরের হস্ত মোবারক বের হয়ে আসলে উহা চুম্বন করে সে ধন্য হল। নব্বই হাজার লোক উহা দেখতে পেল। আবদুল কাদের জিলানীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ:১৫৯।

আমি ফাযায়েলে বইটিকে শিরকি ও বিদআতি বই বলছি।তর্ক করার আগে জানেন যে বিদআত কাকে বলে। শিরক কাকে বলে। জানেন আগে। এই দুটো বিষয় অত্যন্ত ব্যাপক। কেউ যদি না জেনে করে থাকে তবে আলাদা বিষয় ,আল্লাহ্‌ মাফ করুন। কিন্তু জানার পরও বিদআতে লিপ্ত থাকা শয়তানেরই কাজ।

আল্লাহ্‌ আমাদের বিদআত ও শিরক থেকে হেফাযত করেন। ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত, সুক্ষ ও প্রকাশ্য শিরক থেকে হেফাজত করেন। আল্লাহ্‌ আমাদের ক্ষমা করেন। আমাদের সঠিক কথা বুঝার তৌফিক দান করেন।

১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০

অাতিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দিলে আমিও উপকৃত হতাম।
ভুল কি ধরাইয়া দেই নাই
@ কাঙাল মুর্শিদ: ভাই আপনি আমার পোস্ট গুলো পড়েও বুঝতে পারেন নাই তাবলীগ সম্পর্কে। আপনার জন্য সত্যিই আমার দু:খ হয়। দয়া করে ব্লগটি পুনরায় পড়ে আরও মন্তব্য করুন। তবে জেনে শুনে বুঝে করবেন।

১৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১২

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন:

১৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৩

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন:


ধৈর্য্য সহকারে লেকচারের প্রথম ৪ থেকে ৯ মিনিট শুনেন, আশ্চর্য হয়ে যাবেন ১০০%। এটা কোন যাদু মন্ত্র নয়।পুরা শুনলে জানতে পারবেন,নবীজি (সঃ) এর সালাত সম্পর্কে।
আপনার সালাত কি নবীজি (সঃ) এর মত ?

১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৪

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন:
তাবলীগ মানে দ্বীনের প্রচার করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর অপরিহার্য।

এই চিল্লা আর তাবলীগ কিন্তু এক জিনিস নয়। চিল্লার কিছু কার্য তাবলীগ এর অন্তর্ভুক্ত বাকি অধিকাংশই বিদআত এবং শিরক। যেমন মানুষকে ইসলামের জন্য ডাকা ভাল কাজ, নামাজী বানানো ভাল কাজ। কিন্তু মসজিদে গোল হয়ে বসা, প্রত্যেকদিন আমীর নির্বাচন, মাশোয়ারা, ৩, ৭, ১৫ বা ৪০ বা ১২০ নির্দিষ্ট দিনের জন্য বের হওয়া ইত্যাদি সব বিদআত। তাঁরা অর্থের বিকৃতি করে মানুষের কাছে প্রচার করে।

তাঁদের বইটি শিরকে ভরা। ফাজায়েলে আমল। এই শিরক করে যতই নামজী হোন, নম্র ভদ্র হোন কোন লাভ আছে? এই শিরকের কিছু কাহিনী তুলে ধরতে চাচ্ছি। যেই চিল্লার সংবিধান এই ফাজায়েলে আমল বই, আর এই বইয়ের লেখকের উদ্ভাবন হচ্ছে এই চিল্লা। কিভাবে মুসলমান এটা মেনে নেয় !!!

তাবলীগি নেসাব ফাযায়েলে আমাল নামক বইয়ের মধ্যে কাশফএর একধিক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। পাঠকদের জন্য আমরা এখানে মাত্র একটি ঘটনা উল্লেখ করছি।

শায়খ আবু ইয়াজিদ কুরতুবী (রঃ) বলেনঃ আমি শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি সত্তর হাজার বার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়ে সে দোযখের আগুন হইতে নাজাত পাইয়া যায়। আমি এই খবর শুনিয়া এক নেছাব অর্থাৎ সত্তর হাজার বার আমার স্ত্রীর জন্য পড়িলাম এবং কয়েক নেছাব আমার নিজের জন্য পড়িয়া আখেরাতের সম্বল করিয়া রাখিলাম। আমাদের নিকট এক যুবক থাকিত। তাহার সম্বন্ধে প্রসিদ্ধ ছিল যে, তাহার কাশ্ফ হয় এবং জান্নাত-জাহান্নামও সে দেখিতে পায়। ইহার সত্যতার ব্যাপারে আমার কিছুটা সন্দেহ ছিল। একবার সেই যুবক আমাদের সহিত খাওয়া-দাওয়ায় শরীক ছিল। এমতাবস্থায় হঠাৎ সে চিৎকার দিয়া উঠিল এবং তাহার শ্বাস বন্ধ হইয়া যাওয়ার উপক্রম হইল এবং সে বলিলঃ আমার মা দোযখে জ্বলিতেছে, আমি তাহার অবস্থা দেখিতে পাইয়াছি। কুরতুবী (রহঃ) বলেনঃ আমি তাহার অস্থির অবস্থা লক্ষ করিতেছিলাম। আমার খেয়াল হইল যে, একটি নেছাব তাহার মার জন্য বখশিয়া দেই। যাহা দ্বারা তাহার সত্যতার ব্যাপারেও আমার পরীক্ষা হইয়া যাইবে। অর্থাৎ তাহার কাশ্ফ হওয়ার ব্যাপারটাও পরীক্ষা হইয়া যাইবে। সুতরাং আমার জন্য পড়া সত্তর হাজারের নেছাবসমূহ হইতে একটি নেছাব তাহার মার জন্য বখশিয়া দিলাম। আমি আমার অন্তরে ইহা গোপন রাখিয়াছিলাম। কিন্তু ঐ যুবক তৎক্ষনাৎ বলতে লাগিল চাচা! আমার মা দোযখের আগুন হইতে রক্ষা পাইয়া গিয়াছে।

দেখুনঃ ফাযায়েলে আমাল, ১ম খন্ড, ১৩৫ পৃষ্ঠা, প্রথম প্রকাশ, অক্টোবর-২০০১ ইং। দারুল কিতাব, ৫০ বাংলা বাজার ঢাকা-১১০০ থেকে প্রকাশিত)

এমনি আরও অনেক শির্কী ও বিদআতী কথা ফাযায়েলে আমল বইটিতে রয়েছে, যা সচেতন পাঠক একটু খেয়াল করে বইটি পড়লে সহজেই ধরতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ! জান্নাত ও জাহান্নামের ব্যাপারে আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতে যেটুকু বলা হয়েছে, তা ব্যতীত অন্য কোন খবর জানার কোন উপায় নেই। কারণ এগুলো গায়েবী বিষয়। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আমাদেরকে যেটুকু বলেছেন, আমরা শুধু সেটুকুই জানি। সুতরাং কোন ব্যক্তি যদি এর অতিরিক্ত কিছু দাবী করে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। তা বিশ্বাস করা সুস্পষ্ট শির্ক। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
قُلْ لَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ وَلَوْ كُنْتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
হে নবী! আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ্ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম। ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধু একজন ভীতিপ্রদর্শক ও সুসংবাদাতা ঈমানদারদের জন্য। (সূরা আ’রাফঃ ১৮৮) আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ
আপনি বলুন: আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহ্র ভাণ্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। (সূরা আনআমঃ ৫০)
عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِنْ رَسُولٍ
“তিনি (আল্লাহ্‌) গায়েব সম্পর্কে অবগত। তিনি গায়েবের বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না। তবে তাঁর মনোনীত কোন রসূল ব্যতীত। (সূরা জিনঃ ২৬-২৭)
আসুন আমরা সকলে মিলে উক্ত যুবকের কাশফের ঘটনাটি কুরআন ও সহীহ হাদীছের আলোকে মূল্যায়ন করি।

এই শিরক বিদআত পূর্ণ চিল্লা কী মানা সম্ভব অন্তত যতক্ষণ আমার মধ্যে ইসলামের মূটামূটি জ্ঞান আছে? এই প্রশ্নের উত্তর হয় তো কমেন্টস এ পাবো কিন্তু তাতে না থাকবে দলিল না থাকবে যুক্তি।

১৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৬

তরুক মকতো বলেছেন: আপনার কথা অনুযায়ী আপনি বিদাত করছেন। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে দ্বীনের কথা বলার প্রচলন রসুল (স:) এর যুগে ছিল না।
ইউটিউবে ওয়াজ রেকর্ড করে ইসলাম প্রচারের ব্যবস্থা ছিল না। সুতরাং এগুলো বিদাত।

পুরো লেখাটা পরে বুঝলাম আপনি তাবলিগ জামাতে কখনো যাননি। এখানে যা কিছু লিখেছেন তার পুরোটাই বিভিন্নজনের কাছ থেকে শুনেছেন।

আপনার পুরা লেখায় কম জানা এবং ভুল জানা আর গোড়ামীর ছাপ সুস্পস্ট।

প্রত্যেক বৃহস্পতিবার কাকরাইল মসজিদে আসর থেকে এশা পর্যন্ত সময়টা একটু ব্যয় করেন। কিছুদিন তাবলিগে অংশগ্রহণ করে আসেন। তাদের ভুলগুলো ধরার জন্য আপনাকে এ পরিশ্রমটুকু করতে হবে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৯

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ফাজায়েলে হাজ্জ্ব পৃষ্ঠা ২৫৮, ফাজায়েলে দুরুদ পৃষ্ঠা ১৩৮, বলা হয়েছে কবিতা শুনে রাসুলুল্লা (সঃ) এর হাত বের হয়ে এসেছে। (আস্তাগফিরুল্লাহ)।

কি বলবেন হাত বের হওয়া সমন্ধে ?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৪

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: কাশফএর ঘটনা সমন্ধে আপনার উত্তর কি?

আপনার অজ্ঞতার জন্য জানাচ্ছিঃ বেদআত হয় ইবাদতে ।
ইন্টারনেট দাওয়াতের একটা মাধ্যম মাত্র, ইবাদত নয়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৬

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ভাই, কাকরাইল মসজিদে আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আমি তাবলীগই ভাইদের আন্তরিকতা, ধর্মভিরুতা নিয়ে প্রশ্ন করিনি। আমার দেখা কোন জামাত, তাবলীগই ভাইদের চেয়ে বেশি আন্তরিক ও দীনি কাজে নিবেদিত।তা আমার জানা নেই।

কিন্তু বেদআত গুলো সম্বন্ধে কি বলবেন?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন,
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ) رواه أبو داود والترمذى وقال حديث حسن صحيح
“তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭৬, তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]
আল্লাহ আমাদের হক কথা বুঝার তওফিক্ব দেন। আমীন।

১৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৩

মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: ভাই, গোফ রাখা সর্ম্পকে সুন্নত কি? ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞাণ খুব কম। আপনার প্রথম ভিডিওতে সম্মানিত বক্তার সুন্দর করে কাটা গোফ রাখা সম্পর্কে বলবেন একটু।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪০

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ভাই,গোঁফ ছোট করা মানে কিন্তু একেবারে কামিয়ে ফেলা নয়। উনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থকে পাশ করেছেন এবং একজন দ্বাঈ ইসলামিক সেন্টারের। উনারা দলিল ছাড়া কথা বলেন না। ওইসব আলেম থেকে সতর্ক থাকবেন যারা দলিল ছাড়া কথা বলে এবং মিথ্যা দলিল দেখায় জাল মিথ্যা হাদিস দিয়ে বর্ননা করে।

২০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১০

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: বিদআতের পরিনতি: সাহাল বিন সাদ (রা)বলেন, "আমি নবী করীম (সা) কে বলতে শুনেছি যে, (যখন আমি হাউজে কাউসারের পানি পান করাব তখন) "অবশ্যই আমার কাছে এমন কিছু লোক আসবে যাদের আমি চিনি, এবং তারাও আমাকে চিনতে পারব। অত:পর তাদের ও আমার মাঝে আড়াল করে দেয়া হবে। তখন আমি (ফেরেস্তাদের) বলব-এরাতো আমার উম্মত!" তখন আমাকে বলা হবে-আপনি জানেন না যে, তারা আপনার(মৃত্যুর) পর কি সব নতুন নতুন কাজের আবিস্কার করেছে। অত:পর আমি বলল-"যারা আমার পর আমার দ্বীনের পরিবর্তন সাধন করেছে, তারা দূর হোক, তারা দূর হোক।" (বুখারী শরীফ,হাদিস নং-৬৬৪৩)

২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৪

শুক্লপক্ষ বলেছেন: রাকি২০১১ বলেছেন: ভাই , রাসূলুল্লাহ (সা) এর জামানায় কি মাদ্রাসা ব্যবস্থা ছিল?? তাহলে বর্তমানের মাদ্রাসাগুলো কি বিদআত্?
সময়ের অভাবে লিখতে পারতেছিনা। ইনশাআল্লাহ পরে লিখব।
তবে বলি , You must know the difference between the Ahkam and administration. Don't mixture Ahkam with Administration.
ভাল থাকুন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৩

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: বিদআত কি?
বিদআত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল: اَلشَّيْءُ الْمُخْتَرَعُ عَلٰى غَيْرِ مِثَالٍ سَابِقٍ অর্থাৎ পূর্ববর্তী কোন নমুনা ছাড়াই নতুন আবিষকৃত বিষয়।[আন-নিহায়াহ, পৃঃ ৬৯, কাওয়ায়েদ

মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ১৭]

আর শরীয়তের পরিভাষায়- مَا أُحْدِثَ فِى دِيْنِ اللهِ وَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ عَامٌ وَلاَخَاصٌّ يَدُلُّ عَلَيْهِ অর্থাৎ আল্লাহ্‌র দ্বীনের মধ্যে নতুন করে যার প্রচলন করা হয়েছে এবং এর পক্ষে

শরীয়তের কোন ব্যাপক ও সাধারণ কিংবা খাস ও সুনির্দিষ্ট দলীল নেই।[কাওয়ায়েদ মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ২৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন,

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ) رواه أبو داود والترمذى وقال حديث حسن صحيح

“তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং

৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭- তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম তাঁর এক খুতবায় বলেছেন:

إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللهِ وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ وَشَرُّ الأُمُوْرِ مُحْدَثَاتُهَا وَكُلُّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلُّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ وَكُلُّ ضَلاَلَةٍ فِي النَّارِ. رواه مسلم والنسائى واللفظ للنسائى

“নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত

প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী, হাদীস নং

১৫৬০, হাদীসের শব্দ চয়ন নাসায়ী থেকে।]

হাদিসদুটো লক্ষ করেন বার বার। বলা হয়েছে
১. দ্বীনের মধ্যে
২. প্রত্যেক
৩. নতুন বিষয় বিদআত এবং
৪. প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা
৫. প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।

১.দ্বীনের মধ্যেঃ-

অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে। ধর্মের মাঝে। ইবাদতের মাঝে। এখানে সমাজের মাঝে বলা হয় নি। জীবন যাত্রার মানের ক্ষেত্রে বলা হয় নি। যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রে বলা হয়নি। জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন সংক্রান্ত ব্যবহারিক দুনিয়াবি জিনিসপত্রের কথা বলা হয় নি। বলা হয়েছে দ্বীনের মধ্যে।

আপনার প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ (সা) এর জামানায় কি মাদ্রাসা ব্যবস্থা ছিল?? তাহলে বর্তমানের মাদ্রাসাগুলো কি বিদআত্?

এরকম প্রশ্ন হতে পারেঃ ব্লগ,ফেসবুক, ইন্টার্নেট, রেলগাড়ি এগুলোও কি বিদআত?

আমার প্রশ্ন তাদেরই কাছেঃ-মাদ্রাসা, ফেসবুক, ইন্টার্নেট রেলগাড়ি ইত্যাদি কী দ্বীন? এগুলো কী ইবাদত হিসেবে করা হয়? এগুলো ব্যবহার না করলে কী কোনো গুনাহ আছে। এগুলো ব্যবহার করলে কী কোনো সোয়াব আছে?

আমার উত্তরঃ- মাদ্রাসা হচ্ছে দীনি শিক্ষার মাধ্যম।

ব্লগ,ফেসবুক ব্যবহার করে ইসলামের প্রচার বা তাবলীগ করা বিদআত নয়। ব্লগ,ফেসবুকে কোনো সোয়াব নাই গুনাহও নাই। ফেসবুক কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটার উপর গুনাহ এবং সওয়াব নির্ভর করে। আপনি খারাপ কাজ করলে গুনাহ। আর যদি ব্লগ, ফেসবুক ব্যবহার করে "ভাল কাজ" করেন তাহলে সওয়াব। সওয়াবটা কোথা থকে আসছে? "ভাল কাজ থেকে"ব্লগ, ফেসবুক থেকে নয়। এটা শুধুমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম মাত্র। আপনার কাছে বার্তা পৌঁছে দেবার মাধ্যম মাত্র।

এখন যদি কেউ বলে ব্লগ,ফেসবুকে ইসলাম প্রচার করলে প্রতিটি অক্ষর টাইপ করলে ১ নেকী তাহলে এটা বিদআতের মধ্যে পড়ে যাবে।

বুঝাতে না পারলে এটা অবশ্যই আমার ব্যার্থতা।

২২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১০

কলমদানি বলেছেন: السلام عليكم و رحمة الله و بركاته، أخى الفاضل لو كان عندك شيئاً من الحليب، فسقطت فيه بعض القذرات هل تترك كله(الحليب). من المعقول ان تحاول كيف تنقذ الحليب من القذرات و تستعمله فى فائدتك لأن الحليب من الطبيعى يفيد الناس،وهكذا عادة الناس،

لو نحن نسلم كل ما أنكرت من هذه الدعوة والتبليغ كما قلت، هل نحن نترك الدعوة التبليغ لأجل هذه البدعات القليلة، أو نحاول ان ننظف هذاالجهد المفيد للناس من البدعات،من المعقول أن ننظف هذا الجهد ، ونستعمله فى مجتمعنالنشر الدين والإسلام فى العالم كله،
و مثلما قال عالم الدهر تقى عثمانى فى كتابه المشهور (درس ترمذى) نقلا عن ابيه الشيخ أحمد شفيع (ينبغى على كل علماء الدين أن يناصر هذا الجهد العظيم ولا يتركهم خاليا عن العلماء ، بل يجالس معهم يبين أخطائهم و يصلح فى أمورهم الدينية، ولا يناقش هم من بعدهم،

لأن تقديم الدعوة أو النصيحة للأمة على وجه يقبلونه أيضاً من الحكمة،الذي يحتاج الداعى الإسلامى دائما فى حياته،

فعلينا يا أخى الكريم أن نصاحبهم و أن نبين أخطائهم حتى يقبلوا منا نصيحتنا، بدلا أن نبتعد منهم و نتفر منهم ونناقشهم من بعدهم،،

ندعو الله تعالى أن يرزقنا الهداية ويجمعنا فى كلمة واحدة.

২৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭

অগ্রপথিক... বলেছেন: আপনার কথা শুনে যা মনে হয়, তাতে বুঝা যায় আপনি আহলে হাদিস ,মানে সোদি আরবের অনুসারী, অবশ্য তাদেরকে আহলে হাদিস না বলে ,হাদিস অস্বীকার কারী বলা উচিৎ, কারণ তারা হাদিসের কিতাব থেকে হাদিসগুলো ছেটে ছেটে নতুন করে হাদিসের কিতাব লেখা শুরু করেছে। সহীহ না হলেই যে হাদিস বাদ যায়,তারা এ ধারনা কোথায় পেল আল্লাহই জানে,যেখানে হাদিসের ইমামরা অনেক হাদিস্কে দুর্বল জানার পরেও তা তাদের কিতাব থেকে বাদ দেন নি, কিন্তু হাল জামানার নব্য এই ফিত্নার জন্য আজ হাদিস্কেও ছুড়ে ফেলা হচ্ছে হাদিসের কিতাব্ থেকে। হাদিসের ইমামরা জানতেন কোন মানের হাদিসের প্রয়োগ কোথায় করা হয়,কিন্তু এ নিউ সালাফীরা(সালাফী না বলাই ভাল কারণ তারা খালাফী) আরো একদাপ এগিয়ে বলে বুখারী ,মুসলিম ব্যাতীত অন্যান্য কিতাবের হাদিস তারা মানতে সহজে রাজি নয়,তারা যেহেতু কাউকে অনুসরণ করতে চায় না,তাই তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন, বুখারী ও মুসলিম থেকে একটি হাদিস দেখাক যেখানে বলা হয়েছে, শুধু বুখারী ও মুসলিমের হাদিস সহীহ আর অন্যগুলো নয়।
আর আপনি যার লেকচার দেখাচ্ছেন,মানে মতিউর রহমান যে একজন ফিতবনাবাজ তা প্রায় স্কলের জানা আছে,উনি শুধু টিভিতেই বড় বড় কথা বলতে পারে,উনাকে উপমহাদেশের আলেমদের সাথে সরাসরি কথা বলার আহবান জানানো হয়েছে,কিন্তু উনার এ সাহস নেই যে আসবে।

আর আপনার তাবলীগের বিরুদ্ধে সমালোচনার জবাব পাবেন নিচের লিংকের বইটিতে-
Baseless Complaint and their Response-Tabligh

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১২

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আমি ভাই মহাম্মাদ (সঃ) এর অনুসারী।

সঠিক ইসলামকে খুজছি।

লিঙ্ক না দিয়ে উপরের পোস্টের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিলে আমার জন্য উপকার হয়।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২১

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ তারা যেহেতু কাউকে অনুসরণ করতে চায় না,তাই তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন, বুখারী ও মুসলিম থেকে একটি হাদিস দেখাক যেখানে বলা হয়েছে, শুধু বুখারী ও মুসলিমের হাদিস সহীহ আর অন্যগুলো নয়।

আমার প্রশ্নঃ আপনি যে কোন একটি হাদিস দেখান যেখানে বলা আছে মাজহাব ফরজ।

২৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

অগ্রপথিক... বলেছেন: আহলে হাদিসদের ভণ্ডামীর কিছু নমুনা দেখুন-
View this link
View this link
View this link
View this link
View this link
View this link

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৭

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: দেখার আশা রইল।

ফাজায়েলে হাজ্জ্ব পৃষ্ঠা ২৫৮, ফাজায়েলে দুরুদ পৃষ্ঠা ১৩৮, বলা হয়েছে কবিতা শুনে রাসুলুল্লা (সঃ) এর হাত বের হয়ে এসেছে। (আস্তাগফিরুল্লাহ)।

কি বলবেন হাত বের হওয়া সমন্ধে ?
চিল্লা বিদআত নয় কেন?
আপনার মন্তব্য আশা করছি?

২৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭

অগ্রপথিক... বলেছেন: নিচের চ্যানেল্টা থেকে ঘুরে আসেন, আপনার মাথা থেকে আহলে হাদিসের ভূত দূর হতে পারে-
Hanafi Fiqh Islamic channel

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৬

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আমার মাথায় সেরকম কোন ভুত নেই যে কিছু ভুল থাকলেও সেই মাজহাব কেই মানতে হবে সত্যটা জানার পরও।

আহলে হাদিসের যদি সমস্যা থেকে থাকে সেটা তাদের,আমার না।

২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৩

অগ্রপথিক... বলেছেন: আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করছি,এবং আপনাকে আহলে হাদিস হিসেবে ধরেই করছি,কারণ আপনার পোস্ট গুলো পড়ে এরচেয়ে অন্যকোন ধারণা আমি পোষণ করতে পারছি না। আর এতেই আপনি আপনার জবাব পেতে পারেন-


১)রাসুলুল্লাহ (সা) এর মসজিদ কি তাঁর যুগে পাকা ছিল? দামি পুরু পা দেবে-যাওয়া বাহারী কার্পেট ছিল সেই পাকা মেঝেতে? তাঁর খুতবার মিম্বারটি আপনাদের মসজিদটির মত মর্মর পাথরে বাধা ছিল?এগুলোর জবাব যদি হ্যাঁ হয় তাহলে সহীহ,সরীহ ও মুত্তাফাক আলাইহি হাদিস দ্বারা প্রমাণ করুন। পক্ষান্তরে যদি উত্তরে না বলেন তাহলে আপনারা মসজিদ পাকা করেন কেন? কেন তাতে দামি কার্পেট বিছান? সাহাবীদের মত তো আপনাদের পছন্দ হয় না। সুতরাং মরফূ,মুত্তাছিল,সহীহ,সরীহ ও মুত্তাফাক আলাইহি হাদিস দ্বারা প্রমাণ করুন। আরো একটি ব্যাপার! আপনাদের মসজিদের মিনারগুলো কিন্তু আকাশ ছুঁতে চায়। আকাশছোঁয়া মিনারের ব্যাপারটি হাদিসে আছে কি?

২)ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ) সম্পর্কে আপনাদের মন্তব্য কী? তিনি কি সুন্নাতের ইমাম ছিলেন? তিনি সুন্নাতের ইমাম হয়ে থাকলে তার উদ্ভাবিত মাযহাব সুন্নাত অনুযায়ী ছিল, না ছিল না? বিশেষ করে তাঁর যেসব রায় হানাফীদের সাথে মিলে যায়- এগুলোতে আপনাদের ধারণা কী? সেগুলো কী সহীহ? দেখুন ,হানাফী বিদ্বেষী হওয়ার দরুন সত্য বলতে যেন আবার বিব্রত না বোধ করেন। আপনারা নিশ্চয় হজ্ব করেন। হারামাইনের ইমাম, মসজিদে নামিরা ও আরাফার ইমামুল হুজ্বাজ কিন্তু হাম্বলী মাযহাব পন্থী। আপনাদের মাযহাব(!) মতে তাঁদের পেছেন নামাজ এবং তাঁদের নেতৃত্বে হজ্ব আদায় সহীহ হচ্ছে কি?
প্রথমত আপনাদের ঘোষণা মতে তাকলীদ করার অমার্জনীয় অপরাধের দরুন তারা কিন্তু মুশিরেক।দ্বিতীয়ত তারা ইমামের পেছনে কেরাত পড়ার পক্ষপাতী নন। সুতরাং এই মুশরেকদের(!) (আপনাদের ভাষ্যানুযায়ী) পেছেন হজ্ব ও নামাজ আদায় করলে কি সহীহ হবে? একটু মরফূ,মুত্তাছিল,সহীহ,সরীহ ও মুত্তাফাক আলাইহি হাদিস দ্বারা প্রমাণ করে দেখাবেন কি?

৩)আপনারা যে কোন মাসালা প্রমাণ করার জন্য সহীহ বুখারী ও মুসলিমের শর্ত লাগান। আচ্ছা বলুন তো,কোরআন হাদিসের কোথাও কি এমন নির্দেশ আছে যে-
" তোমরা বুখারী ও মুসলিমে যা পাবে তাই মানবে -অন্য কিছু নয়?"
উত্তর হ্যা হলে মরফু-মুত্তাসিল একখানা সহীহ হাদিস সনদ পেশ করুন,নতুবা কিসের ভিত্তিতে,কোন দলিলে আপনারা সহীহাইনের শর্ত করেন? বুখারী মুসলিমে যে সহীহ একথা কার? আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের(সা),নাকি অন্য কোন কারোর? অন্য কারো উদ্ধৃতি দিলে (আপনাদের ভাষ্য মোতাবেক) চলবে না কিন্তু।

৪)মরফূ,মুত্তাছিল,সহীহ,সরীহ ,মুত্তাফাক আলাইহি,সহীহাইন এই পরিভাষাগুলোর উতস কি কুরআন হাদিস,নাকি অন্য কোথাও এর উৎস? কুরআন হাদিসের বাইরে কারোর হলে সেটা তাকলীদ হয়ে যাবে কিন্তু। আপনারা আবার বলতে পারেন,"আমরা উসূলে হাদিস মানি"। আপনাদের কাছে তাহলে সবিনয় নিবেদন,উসুল মানলে তো উসুলের প্রবক্তা ইমামকেও মানা হল। এটা কি এক ধরনের তাকলীদ নয়?" রাখছ কিছু,ছাড়ছ বহু।" =p~

০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আপনার ১ নং প্রশ্নের উত্তর আমার উপরের উত্তরগুল দেখলেই পেয়ে যেতেন।

তার পরও বলি মসজিদ পাকা করা কি ইবাদত।বিদআত হয় ইবাদতে।

২ নং প্রশ্নের উত্তর
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ) সম্পর্কে আপনাদের মন্তব্য কী?

আমার উত্তরঃ
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ) সহ চার ইমামকেই আমি শ্রদ্ধা করি। ওনারা অনেক জ্ঞানী।ওনাদের তুলনা ওনারাই।

আপনাকে একটা কথা বলি আমি(জন্ম সুত্রে) হানাফি মাজহাবের অনুসারী।আর প্রশ্নের বাকি বিষয় নিয়ে কথা বলা অপ্রয়োজনীয় মনে করছি।

বরং আপনার কাছে আমার প্রশ্ন প্রত্যেক ইমাম কি একদম নির্ভুল?
যদি নাই হয় তাহলে যাচাই না করে কেন শুধু একজন ইমামে তাকলীদ করবেন।আর আপনার উত্তর যদি হয় ওনারা একদম নির্ভুল। তাহলে আর কথা না বাড়ানোই উত্তম মনে করছি।

৩ নং প্রশ্ন আহলে হাদিসকেই করলে ভাল হয়।

৪ নং প্রশ্নের পরে ইমো দেখে মনে হচ্ছে বিশাল বিজয় লাভ করেছেন।

আমি আসলে বিজয় লাভের জন্য পোষ্টটা দেইনি।আমার উদ্দেশ্য ছিল সত্যটা জানানো এবং ভুল হলে সত্যটা জানা।কিন্তু আপনি ভুল গুলো শুধরে না দিয়ে নিজেই সমস্যা তৈরি করছেন এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ টেনে আনছেন।

মরফূ,মুত্তাছিল,সহীহ,সরীহ ,মুত্তাফাক আলাইহি,সহীহাইন এই পরিভাষাগুলোর উতস কি কুরআন হাদিস,নাকি অন্য কোথাও এর উৎস? কুরআন হাদিসের বাইরে কারোর হলে সেটা তাকলীদ হয়ে যাবে কিন্তু।
আপনার কি মনে হয় ঐ উৎস গুলো একজন ইমাম থেকে এসেছে।যদি না হয় তাহলে আপনি একজন ইমামের তাকলীদ করবেন কেন? আমি তো চারজনকেই মানি। চার জনের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলে যেটা সহিহ হাদিস সেটা মানব। এটাই হয়া উচিৎ নয় কি ?

২৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৩

অগ্রপথিক... বলেছেন: আর আপনি তো দেখি ভালই আরবী রেফারেন্স দিচ্ছেন,(যদিও জানি আপনার পুরো লেখাটাই কপি-পেস্ট),তাহলে কলমদানির উত্তর দিচ্ছেন না কেন??

১) আর নবী করিম (সা) কে শত শত উয়ালামায়ে কেরাম বলেছেন স্বপনে দেখেছেন,তাহলে আপনি কি বলতে চান তারা সকলেই মিথ্যা বলেছেন,আর যেখানে সরাসরি হাদিসে আছে শয়তান নবীর সুরত ধরতে পারে না,সেখানে কেন আপনি হাদিস না মেনে কোথাকার কোন মতিউরের যুক্তি গ্রহণ করেছেন। তাজ্জব একই মুখে দুই কথা B:-)

২)নবী করিম(সা) যে হায়াতুন নবী তাকি আপনি স্বীকার করেন?

৩) আউলিয়া কিরামের কারামত কি আপনি অস্বীকার করেন?

৪)আর নবী করীম (সা) এর হাত মুরাবক যে বাহির হয়েছিল ,তা ইলিয়াছ (রহ) এর সাথে না,তা নবী বংশধর সাইয়েদ আহমদ কবীর(রহ) এর ঘটনা, এ ঘটনার চাক্ষুস সাক্ষী ছিলেন অনেকে এবং অনেকে তা তাদের কিতাবে উল্লখে করেছেন,এখন আপনার মতে সকলেই কি তারা শিরক করেছে?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫১

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ১. আপনি দুই কানে দুই রকম শুনেছেন আর উলটাপালটা বুঝেছেন। মানুষ যদি জোড় করে বুঝতে না চায় তাহলে তাকে কে বুঝাবে? শয়তান রাসুলুল্লাহ (স) এর সুরত ধরতে পারে না এটা ঠিক। এইবার আপনি বলেন আপনি কি রাসুলুল্লাহ (স) কে জীবিত দেখেছেন কোনো দিন? দেখেন নি। কিন্তু বর্ননা শুনেছেন। রাসুলুল্লাহ (স) এর সময় শয়তান এক গোত্রের নেতা সেজে কাফেরদের সাথে যোগ দেয়, কাফের রা তা বুঝতে পারে নাই। এখন আপনি বলেন আপনি রাসুলুল্লাহ (স) কেই দেখলেন না কোনো দরবেশ কে দেখলেন?শয়তান রাসুলুল্লাহ (স) এর সুরত ধরতে না পারলেও অন্য সুশ্রী মানুষের রূপ ধরে মিথ্যা তো বলতে পারে। আর রাসুলুল্লাহ (স) স্বপনে এসে তাঁর হাত বের হয়ে যাবে এই কথা বললেন????? এটা বিশ্বাস যোগ্য কথা? শয়তান তো নবীর সুরত ধরে আসে নাই, এসেছে দরবেশের সুরত ধরে আর এসে বলল আমিই নবী আর আপনি হৈ চৈ শুরু করলেন !!!!!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৫

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ২. কোরআনের একটা আয়াত " প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে", তারপর রাসুলুল্লাহ (স) মৃত্যবরনের দিন আবুবকর (র) এর উক্তি।

রাসুলুল্লাহ (স) কিভাবে কবরে জীবিত আছেন তা আমাদের জ্ঞান ও জানার বাইরে। দুনিয়ার মত জীবিত আছে নাকি পরলৌকিক গত জীবিত আছেন তা আমাদের জানা নাই। সুতরাং এমনটা ভাবা মোটেও ঠিক নয় যে রাসুলুল্লাহ (স) জীবিত আছেন আমাদের মত। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে তারপর জানাবো ইনশাআল্লাহ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৭

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ৩. আওলিয়া দের ক্যারামতি অস্বীকার করব কেনো? কিন্তু এমন কথা যা বানানো তা কি মানা সম্ভব? যেমন আমকে একজন বললেন শাহজালাল (র)নাকি জায়নামাজ বিছিয়ে সুরমা নদী পার হয়েছেন !! তো এমন ঘটনা কী প্রমান বা দলিল ছাড়া বিশ্বাস করা যায়? রাসুলুল্লাহ (স) কেও সেই মুজেজা দেয়া হয় নি যা সোলেয়মান (আ) ও ঈসা (আ) কে দেয়া হয়েছিল। তারপর আব্দুল কাদের জিলানী (র) নামে যেসব কেরামতির বর্ন না তা তো কুফরি কথা এমন কী আল্লাহ্‌র ক্ষমতা পর্যায়ে কথা (নাউযুবিল্লাহ, আউযুবিল্লাহ). আবোল তাবোল কিচ্ছা বানিয়ে কেরামতি নাম দিয়ে দিলেই হবে?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৭

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ৪. শায়খ মতিউর রহমানও বলেছেন যদি এই কথার প্রমান দেখাতে পারেন তাহলে মেনে নেবেন। আমিও মেনে নেব ইনশাআল্লাহ। কিন্তু তাঁদের ঐ অমুক তমুক কিতাবে আছে এই পর্যন্তই শেষ কিতাব আর দেখাতে পারে না !!! আমি একটা কিচ্ছার বই লিখে দেই আমার রেফারেন্স এ মানবেন?

২৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৬

অগ্রপথিক... বলেছেন: ভাই , আপনাকে আর কিছুই বলতে চাই না, চালিয়ে যান, যদি মনে করে থাকেন ইসলামের খুব খেদমত করে যাচ্ছেন (যেমনটা মনে করে আহলে হাদিসরা) তবে আপনাকে আর কিছু বলার নেই ,কারণ তাদেরকে বুঝানো আর উলো বনে মুক্তা ছড়ানো একই কাজ, তবে ১৫০-২০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই মতবাদ ইসলামের কতটুকু কল্যাণ বয়ে এনেছে এবং প্রচার-প্রসারে সাহায্য করেছে তা সচেতন মানুষ মাত্রই জানার কথা। তবে এতটুকু উপকার করতে পেরেছে,এই যে মুসলমানদের মাঝে ঝগড়া ফাসাদের এক বিস্তৃত ময়দান তৈরি করেছে। আপনি বলছেন ঈমামরা কি নির্ভুল,তাদের মাঝে যদি ভুল থাকে তাহলে সেটা নির্ণয় করার ক্ষমতা কি আপনার আছে,আপনি কি এতই প্রাজ্ঞ হয়ে গেছেন???!!

যাক আমার মত অজ্ঞ মানুষের কথা আপনার না শুনলেই চলবে, তবে আপনাকে অনুরোধ ইন্টারনেটে কিছু পেলেই তা নির্দিধায় মেনে না নিয়ে আপনার নিকটস্থ আলেমদের কাছে আগে তার সমাধান যেনে নিন,কারণ এটাই পূর্বসূরীদের আমল।
আর যদি আপনার সময় ও রুচি হয় তাহলে দয়া করে নিচের বইটির ভুমিকা আর বইটি খুব ভাল করে পড়ুন, দেখবেন তাকলীদ নিয়ে আপনি যে খারাপ ধারণা পোষণ করছেন সে ধারণা কতটুকু সঠিক এবং উম্মাহর প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি রকম আর আপনি যাদের কথা শুনে বিষ ছড়াচ্ছেন তাদেরটা কি রকম। দুই দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য আপনি বুঝতে পারবেন ইনশাল্লাহ-
১)নবিজীর নামাজ- ডঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইলিয়াছ ফয়সাল (মদীনা মুনাওয়ারাহ) -মাকতাবাতুল আশরাফ,বাংলাবাজার ,ঢাকা
২)তাকলীদ কি এবং কেন- মাকতাবাতুল আশরাফ,বাংলাবাজার ,ঢাকা

আপনাকে আবার বলছি প্রথম বইটির ভূমিকাটি খুব মনযোগ দিয়ে পড়ুন ,আর যদি পারেন ভূমিকা লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন,উনি একজন হাফেজে হাদীস এবং এই দেশেও পড়াশুনা করেছেন আবার আরবেও করেছেন।উনার তত্বাবধানে একটি পত্রিকা প্রকাশ হয় তা পড়তে পারেন ,তার ইন্টারনেট এডিশনও আছে,www.alkawsar.com
শুধু আপনার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য আজকে লগিন করেছি,তা নাহলে আমার কিছু কাজের জন্য হয়ত অনেকদিন ব্লগে ঢুকতে পারব না।ভালো থাকবেন এই কামনা রইল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০২

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন:
আমার লেখার বিষয় বিদআত নিয়ে ছিল।যারা বিষয়টার বিরোধিতা করলেন, আফসোস তারা সেই বিষয়টার কোন উত্তর দিলেন না ।

মাজহাব নিয়ে একটা কথা বলব,"আমি হানাফি মাজহাবি।"
ইমাম আবু হানিফা (রহ) নিজেই বলেছেন, যখন কোন সহিহ হাদিস পাও, সেটাই আমার মাজহাব।এ কথায় কি বুঝলেন ? সব হাদিস ওনার নাও জানা থাকতে পারে(এটাই স্বাভাবিক)।

আপনি বলছেন,তাদের মাঝে যদি ভুল থাকে তাহলে সেটা নির্ণয় করার ক্ষমতা কি আপনার আছে,আপনি কি এতই প্রাজ্ঞ হয়ে গেছেন???!!


আমার কথাঃ ভুল নির্নয়ের ক্ষমতা আমার থাকতে হবে কেন।ইমাম দের পরবর্তি সময়েও অনেক জ্ঞানী বাক্তিকে আল্লাহ্‌ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।আপনি আবার ভুল বুঝেন না, তাহলে আমি কি বলতে চাচ্ছি চার ইমাম (রহ) কম জ্ঞানী ছিলেন।অবশ্যই না ওনারা অনেক জ্ঞানী।

একটা উদাহরন দেই, এখন কার সময় একজন বিজ্ঞানের ছাত্র যদি বলে আমি নিউটনের চেয়ে বেশি জ্ঞানী কারন আমি নিউটনের সূত্র জানি সুত্রের ভুল গুলও জানি(পরবর্তি সময় তার সুত্রের কিছু কিছু ভুল অন্য বিজ্ঞানীরা বের করেছিল) তাহলে কি বলবেন ছাত্রটি ঠিক। ছাত্রটি হয়ত বিজ্ঞানী নিউটনের চেয়ে বেশি(ওই সূত্র সম্বন্ধে) জানে,কিন্তু সে কিন্তু নিউটনের চেয়ে জ্ঞানী হয়ে জাচ্ছেনা।কারন তার সময় রিসোর্স কম ছিল,কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে নিউটনের অবদান অভূতপূর্ব।এজন্য তাকে বলা হয়েছে ইতিহাসের সেরা বিজ্ঞানী।

একই ভাবে হাদিস গুলো কিন্তু পরবর্তীতে অনেক সহজলভ্য হয়েছে, যা চার ইমামের সময় ছিল না। হাদিস সংগ্রহ ওনাদের সময়ের পুর্বে শুরু হলেও শেষ হয়েছে কিন্তু ওনাদের মৃত্যুর অনেক পড়ে।তাই সব হাদিস সম্পর্কে ওনাদের ধারনা নাও থাকতে পারে।চার জন ইমামকেই আমি স্রদ্ধা করি,মান্য করি, ভালবাসি।

এখন আপনই বলেন সহিহ হাদিস জানার পরও আপনি কি সেটা করা থেকে বিরত থাকবেন।!!!!!!!

আল্লাহ্‌ আমাদের সহিহ পথে পরিচালিত করুন।আমীন।

২৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০১

অগ্রপথিক... বলেছেন: মহানবী(সাঃ) কে স্বপ্নে দেখা নিয়ে পক্ষে এবং বিপক্ষে উভয়ক্ষেত্রেই আলেমদের মতামত পাওয়া যায়। কিন্তু এর পক্ষেই অধিকাংশ আলেম আছেন, আর যারা এর বিপক্ষে তাদের বেশিরভাগই সালাফী মতবাদে বিশ্বাসী।বিশ্বাস নাহলে ফেকহের কিতাবগুলোতে এ বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছে তা দেখতে পারেন।
আপনি যদি সালাফী হন তাতে আমার বলার কিছু নেই, কারণ এটি ঈমানের কোন বিরাট অংশ নয়।
আর আপনি বলছেন আওলিয়াদের স্বপ্ন দেখার ঘটনাগুলোকে হাদীসের কিতাব থেকে রেফারেন্স দিতে, কিন্তু তা কিভাবে সম্ভব, কারণ হাদীসে উল্লেখ থাকে মহানবী(সাঃ) এবং সাহাবায়ে কিরামের ঘটনাবলী সেখানে কিভাবে স্থান পাবে আউলিয়া কেরামের জীবনী ,কারণ তাদের ঘটনাবলী সেখানে উল্লেখ করার জায়গা নয়,তাদের ঘটনাবলী উল্লেখ করার স্থান হলো ইতিহাস, তা নাহলে তো হাদীস এবং ইতিহাস মিশে যেত।
যেমন ইমাম বুখারী(রহ) মহানবী(সাঃ) কে স্বপ্ন দেখার কথা তাঁর হাদীসের কিতাবে উল্লেখ করেন নি, কিন্তু তাঁর আত্মজীবনীতে এবং তাঁর ছাত্রদের কাছে উল্লেখ করেছেন।
এখন আপনি যদি আঊলিয়া কিরামের নবীজী(সাঃ) কে দেখার বিষয়ে ঘটনাবলী খুঁজেন তাহলে শত শত কিতাব পাবেন, এর মধ্যে কয়েকটি কিতাবের নাম উল্লেখ করলাম-
১)মাওয়াহেবে-লাদুন্নিয়ার
২)আল-মুনকায মিনাদ দালাল- ইমাম গাযালী(রহ)
৩)মাদারেজুন নবুওয়াত- শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দেসি দেহলভী(রহ)
৪)তানবীরুল লাম'আম- মাওলানা আতীক ফেরেঙ্গীমহল্লী(রহ)
৫)হুলিয়াতুল আওলিয়া- হাফেজ আবু নয়ীম ইস্পাহানী(রহ)
৬)দলিলুল আরেফীন-খাজামুইনুদ্দীন চিশতী(রহ)
৭)সীরাতে আয়েম্মায়ে আরবাআ
৮)তারীখুল ফেকহ- আব্দুস সামাদ সারেম আজহারী(রহ)
৯)তারীখে বাগদাদী-আবু বকর বাগদাদী(রহ)
১০)আশ আতুল লুলময়া'ত
১১)কাশফুল মাহজুব
১২)ফসুসুল হেকাম- শায়খ মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (রহ)
১৩)মাকতুবাতে শায়খুল ইসলাম হোহাইন আহমদ মাদানী(রহ)
১৪)রাহতুল কুলুব
১৫)কাশফুয যুনুন
১৬)হিসনে হাসীন
১৭)মানাহেজুল হাসানাত- আল্লামা ইবনে ফাকেহানী(রহ)]
১৮)ওসয়ায়ে হোসাইনী-মুফতী মুহাম্মাদ সফী(রহ)
১৯)তবাক্কাতুল কোবরা- ইমাম ইয়াসেফী এবং তাজুদ্দীন সুবকী(রহ)
২০)নে'মাতে উযমা
২১)ফয়জুল বারী-আল্লামা কাশ্মীরী(রহ)
২২)তারীখে আলমে ইসলামী
২৩)মাহবুবুল কুলুব
২৪)ঊলামায়ে সলফ- হাবিবুর রহমান খান শিরওয়াবী(রহ)
২৫)আল হাবী- জালালুদ্দিন সূয়তী(রহ)
২৬)বুস্তানুল মুহাদ্দেসীন- শাহ আব্দুল আজীজ (রহ)
২৭)আরবাঈন- শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেসী দেহলভী(রহ)
২৮)আল বারাহীনুল কাতে'আ- মাওলানা রশীদ আহমদ গঙ্গোহী(রহ)
২৯)আসাহহুস সিয়ার- মাওলানা হাকীম আবুল বারাকাত দানাপুরী(রহ)
৩০) ওলামায়ে হিন্দ কা শানদার মাযী- মাওলানা মুহাম্মাদ মিয়া(রহ)
৩১) মালফুযাতে মাওলানা আশরাফ আলী থানভী(রহ)
৩২)শাওয়াহেদুন নবুওয়াত- আল্লামা আব্দুর-রহমান জামী(রহ)
৩৩)হেরেযে-ছামীন ফী মুবাশশারাতে নবী-ইল-আমীন- শাহ ওয়ালীউল্লাহ(রহ)
৩৪)হেকায়াতে আউলিয়া- মাওলানা আশরাফ আলী থাওনভী(রহ)
৩৫)তোহফাতুল আখরার
৩৬)আনওয়ারুল আউলিয়া
৩৭)সীরাতে সৈয়দ আহমদ শহীদ(রহ)-মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী(রহ)
৩৮)সীরাতে মুস্তাকীম-ইসমাঈল শহীদ(রহ)
৩৯)কাসিদাতুল বোরাদঈ-ইমার বুরসী(রহ)
৪০)নকশে হায়াত - হোসাইন আহমাদ মাদানী(রহ)
৪১)আল-বুরহানুল মুয়াইয়াদ-সাইয়েদ আহমাদ কবীর রেফায়ী(রহ)
ইতাদি.....................................................................



যাদের মাধ্যমে আজ আমরা ইসলাম পেলাম তাদের যদি আমরা অস্বীকার করি, আর নিজেদেরকে বেশী জ্ঞানী মনে করি তাহলে আর কি বলার আছে ?!
আর আপনি যদি ইতিহাসও হাদীসে খুঁজেন, তাহলে আমি আর কি বলব? এখন যদি আপনি বলেন স্পেন বিজয়ের কাহিনী তো হাদীসে নেই, তাই আমি এটি বিশ্বাস করব না তাহলে কি আর বলার আছে?
আপনার উল্লেখিত কয়েকজন ব্যক্তির কথা মেনে তো আমি হাজার হাজার আলেমদের অভিমতকে মিথ্যা বলতে পারি না।
আপনি কি বলতে চান যারা মহানবী(সাঃ)কে স্বপ্নে দেখেছে বলেছেন, তারা সবাই শিরক ও বিদায়াত করেছেন !!
আপনি কোরআন ও হাদীস থেকে পারলে দেখান, যেখানে সরাসরি বলা হয়েছে মহানবী(সাঃ) ওফাতের পর তাঁকে স্বপ্নে দেখা যাবে না।
এ বিষয়টি উহ্য র‍য়েছে বলেই তো আলেমদের মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের পূর্বসূরীরা কেউ এ জন্য একজন আরেক জন কে বিদায়াতী বলেননি,যা বলছেন আজ আপনারা।
যাক আপনার সাথে আর এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০২

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: যার স্বপ্ন দেখার তিনি স্বপ্ন দেখুক...............


কবিতা শুনে নবীজির (সঃ) হাত বের হয়ে আসল
এটা নিয়ে কি বলবেন।

৩০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:২৩

অগ্রপথিক... বলেছেন: নিজের অবস্থা দিয়ে অন্যদের যাচাই করা ঠিক না, আপনার আমার নৈতিক ও অন্তরজগত খারাপ বলে আল্লাহওয়ালাদের নিজেদের সাথে মিলানো কখনোই ঠিক না, যা আপনারা এবং আপনাদের শায়েখরা করে যাচ্ছেন। নিজেরা অন্যদের প্রতি বিদ্বেষ রেখে যেমন চিন্তা করা যায় না রাসূলুল্লাহ(সা) কে স্বপ্নে দেখা,তেমনি অন্তরের পরিচ্ছনতা ব্যাতিত তা অবান্তর,যা আপনাদের শায়খদের কখনোই নেই, তারা সবস্ময় অন্যদের নিজেদের সমান মনে করে,কোথায় আগরতলা আর কোথায় তালতলা।

আপনার মনে কি আল্লাহর শক্তির পক্ষে সন্দেহ আছে,যদি না থাকে,তাহলে কেন তাঁর নেক বান্দাদের দ্বারা অলৌকিক কিছু দেখাতে পারবে না, আপনাদের কথা আর নাস্তিকদের কথার সাথে খুব একটা অমিল নেই। আল্লাহর কি সামর্থ নেই তার একজন নেক বান্দাকে নদীর উপর দিয়ে জায়নামাজ দিয়ে পারকরে দেবার। আল্লাহর শক্তির কি এতই অভাব। তাহলে তো কয়েকদিন পরে দেখা যাবে, আপনারা বলতে শুরু করেছেন,হাদিসে যেসব মোজেজা এবং সাহাবায়ে কেরামের কারামত কিংবা কোরআনে যেসব কিছু লোকের কারামত এবং নবীদের মোজেজার কথা উল্লেখ আছে,সব অন্য অর্থ করবেন। হায় আল্লাহ তুমি এই জগন্য ফেতনা থেকে আমাদের রক্ষা কর।

আপনাকে আবার অনুরোধ করছি আহলে হাদিস নামের এই ফেতনাবাজদের কাজ থেকে কিছু শোনার পর তা আলেমদের কাছে জিজ্ঞাসা করে নিন তা ঠিক আছে কিনা, আর আপনি যদি মনে করেন আলেমদের কি দরকার, দু একটা হাদিসের কিতাব বাংলায় অনুবাদ পড়ে আর কয়েকজনের লেকচার শুনে আমি নিজেই তো আলেম হয়ে গেছি,তাহলে আপনার আর হাতুড়ে ডাক্তারের সাথে খুব একটা পার্থক্য থাকবে না। আর এখানেও তো আপনি ঘুরে ফিরে তাকলীদই করছেন,একে তো অনুবাদকের অনুবাদকে সঠিক বলে ধরে নিয়ে আমল করছেন, আমল লেকচারারদের লেকচার শুনে তাই বিশ্বাস করছেন। ভালই- কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা আমি করলেই দোষ।


আর আপনি যে দলিল দলিল করেন, দলিল ঠিক না বেঠিক তা যাচাই করার যোগ্যতা কি আপনার আছে।

৩১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫৮

অগ্রপথিক... বলেছেন: http://www.youtube.com/user/ArchaicReality

http://www.youtube.com/user/MRAfWaunMuMeen

BLIND FOLLOWING DEVIATES

Tablighi Jamaat misconceptions

http://www.youtube.com/user/hanafifiqh

Madhhab


মতিউর সাহেবের ভিডিও যেহেতু দেখেন,তাই পাড়লে এগুলোও দেখার চেষটা করেন

৩২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৩

অগ্রপথিক... বলেছেন: নিজের মতের ও পথের বাইরে কোন কিছু গেলে কুফর, শিরক আর বিদায়াত বলার যে ফেতনা শুরু হয়েছে, বা আপনারা শুরু করেছেন, তা করার আগে নিজের মুখকে সামলানো উচিৎ, কারণ পূর্ববর্তীরা অন্যকে শিরিক্কারী কুফরীকারী বলার আগে অনেক কিছু চিন্তা করতেন, কিন্তু আজ আমাদের মুখ লাগামহীন হয়ে গেছে, আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াত দান করুন।

৩৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৬

অগ্রপথিক... বলেছেন: সাইয়েদ আহমাদ কবীর রেফায়ী(রহ) এর কবিতা শুনে যে,রাসূলুল্লাহ (সা) রোজা মুবারাক হতে হাত বের করেছিলেন,তা ইমাম জালালুদ্দিন সূয়তী(রহ) তার শায়েখ কামাল উদ্দিন থেকে,তিনি শায়েখ শামসুদ্দিন জাযিরী থেকে,তিনি শায়েখ য্যনুদ্দিন থেকে,তিনি শায়খ ইযুদ্দিন আহমদ ফারূকী থেকে,তিনি তাঁর পিতা শায়েখ আবু ইসহাক ইবরাহীম থেকে ও তিনি তাঁর শায়েখ ইযুদ্দিন ওমর (রহ) এর সনদে তাঁর কিতাব "শরফে মুখতেম" নামক কিতাবে উল্লখে করেছেন।

এছাড়া হাকিমুল উম্মাত আশরাফ আলী থানবী (রহ) তাঁর 'ইসলাহে ইনকেলাবে উম্মাত' নামক কিতাবে এবং সাইয়েদ আহমাদ কবীর রেফায়ী(রহ) এর "আল-বুরহানুল মুয়াইয়াদ" নামক কিতাবের ভূমিকায় এই কাহিনী আছে। এখন বিশ্বাস করা আর না করা আপনার ব্যাপার। কারণ এটি ঈমানের কোন বিষয় নয়,কিন্তু তাই বলে কি আপনি অন্যদের বিদায়াতী বলে আখ্যা দিতে পারেন। আর যেই শাইখুল হাদিস যাকারিয়া (রহ) যিনি আবু দাউদ শরীফের ব্যাখাকার তাঁর ইলমী মাকাম কি আপনি বা আমার মতো সাধারণ মানূষের যোগ্যতা আছে। তাই আবার আপনাকে বলছি কারো কথা শুনে উলামাদের সমালোচনা করা ঠিক নয়। একজন ইঞ্জিনিয়ার কিছু ডাক্তারী বই পড়ে যেমন ডাক্তার হয়ে যায় না বরং কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের তত্বাবধানে থাকার পর কেউ নিজেকে ডাক্তার বলতে পারে, ঠিক তেমনি ইলম অর্জন করতে হলে কারো নিকটে থেকে সরাসরি শেখা উচিৎ, তা না হলে একজন ইঞ্জিনিয়ার যদি কিছু ডাক্তারী বই পড়ে কাউকে প্রেসক্রিপশন লেখে দেয়,তাহলে একজন মানুষ যদি সে অনুযায়ী কোন ঔষদ খায় তাহলে রোগীর যে অবস্থা হবে ঠিক একই অবস্থা হবে আমাদের।
আর শাইখুল হাদিস যাকারিয়া (রহ) এর অনেক খলীফা আজো মক্কা-মদিনায় এখনো আছে।

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে প্রকাশ্য ,অপ্রকাশ্য,গত এবং অনাগত সকল ফিতনা থেকে রক্ষা করুন। আমিন

৩৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৫

অগ্রপথিক... বলেছেন: আপনার কথা শুনে সত্যিই হাসি পায়, ইমাম আবু হানিফা নিজে তাবেয়ী ছিলেন এবং তিনি সাহাবী এবং অন্যন্য তাবেয়ীদের সাহচর্য পেয়েছেন, আর কুফা নগরীতে এক-থেকে দেড় হাজার সাহাবী থাকতেন, তাঁদের অনুসৃত নিয়ম থেকেই তিনি তার ফিকাহ শাস্ত্র রচনা করেছেন। এখন কি আপনি বলতে চান সাহবীদের থেকে পরবর্তী যুগের ইমামদের হাদিসের জ্ঞান বেশি ছিল।

আরো মজার বিষয় হচ্ছে, হাদিসের প্রত্যেক ইমামরাই আমলের ক্ষেত্রে কোন না কোন ইমামের অনুশরণ করেছেন। তাদের কাছে যাকে পছন্দ হয়েছে এবং সঠিক বলে মনে হয়েছে তাকেই অনুসরণ করেছে,কিন্তু তাই বলে অন্য ইমামদের ভুল বলেন নি,যা তাদের মতকে উড়িয়ে দেননি,কিন্তু বর্তমান যামানায় মনে হয় ঘরে ঘরে ঈমাম জন্ম হয়ে গেছে,তাই তারা নিজেদের পক্ষে যে মত পেয়েছে তাকেই সহীহ আর তাদের মতের বিপক্ষে গেলেই তাদের দুর্বল বলা শুরু করেছে, যা পূর্বসূরীদের মতের সম্পূর্ণ খেলাফ। তাই আপনাকে আবার অনুরোধ করছি আলেমদের সাথে আগে কথা বলুন,আর পনাকে যে বইটি পড়তে বলেছি,তা একটু দয়া করে পড়ুন,হয়ত অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

৩৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৭

অগ্রপথিক... বলেছেন: আর দ্বিতীয়ত আরকটা বিষয় খেয়াল রাখুন, হাদিস দুর্বল হয় বর্ণনাকারীর বিশ্বস্ততা দ্বারা। এখন মনে করুন ইমাম আবু হানিফা পর্যন্ত বর্ণনাকারী সবাই শক্তশালী ছিলেন,কারণ তাঁর উস্তাদ সবাই খুব শক্তিশালী রাবী,কিন্তু তা হাদীস সংগ্রহ কারী ইমামদের নিকট পৌঁছবার আগে মাঝখানে কোন দুর্বল রাবী প্রবেশ করেছে,ফলে তা দুর্বল হাদিস বলে গন্য হয়েছে, এখন দোষ কি ইমাম আযমের নাকি রাবির।
একবার খলীফা আবু জাফর শুনতে পেলেন ইমাম সাহেব হাদিসের উপর কিয়াসকে প্রাধান্য দেন। তিনি এর কৈফিয়ত জানতে চাইলে,ইমাম সাহেব উত্তরে লেখেন-
" আমিরুল মুমিনীন, আপনি যা শুনেছেন তা সঠিক নয়। আমি সর্বপ্রথম কিতাবুল্লাহ অনুযায়ী আমল করি।অতঃপর সুন্নাতে রাসূল(সা) অনুযায়ী। অতপঃপর খুলাফায়ে রাশেদীনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এরপর অন্য সাহাবীদের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করি। সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে একাধিক মত থাকলে ইজতিহাদের মাধ্যমে কোন একটিকে গ্রহণ করি।' (ইবনু আবদিল বার,আল-ইনতিকা,পৃঃ ২৬৪-২৬৫)

এছাড়া আরেকটি নতুন বই পড়তে পারেন-" বিশ্ববরেণ্য মুহাদ্দিসগণের দৃষ্টিতে ইমাম আবু হানিফা(রহ)'।

৩৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৫৭

শুক্লপক্ষ বলেছেন: ভাই, আপনার লেখা পড়ে বুঝা যায় আপনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক লেখাপড়া করছেন এবং তার কারনেই আনেক প্রসিদ্ধ আলেমরা দাওয়াতে তাবলীগ নামক যে Administrative system টাকে সঠিক বলছেন তাকে সরাসরি বিদাত বলছেন।

আপনার দাবি কি এই নির্দেশ করেনা আপনি তাদের(প্রসিদ্ধ আলেম) চেয়ে বেশি এলেম শিক্ষা করেছেন????

আবার কখনো কখনো মনে হয়েছে আপনি বিদাত সম্পকীত সব জ্ঞান অর্জন করেছেন, আর এই সম্পর্কিত কিছুই বাকিনাই, তাই কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়াই সরসরি এই দাবি করেছেন। তাতে ঐ আলেমদের কে অবমাননা করা হলোনা???

আমার অনুরোধ রইলো ইসলাম সম্পর্কে আরো ভালভাবে জানুন এবং ধর্ম সম্পর্কিত ব্যাপার গুলোর ক্ষেত্রে বগ্ল বা ইনটারনেটকে জ্ঞানের উৎস হিসেবে পুজি না করে প্রসিদ্ধ কিতাব গুলো পড়ুন।

আমার কোন কথা আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ করবেন।

আল্লাহ্‌পাক আমাদের সকলকে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন ও আমল করার তৌফিক দান করুন।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫১

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন:
বিদাতের সংজ্ঞা আপনি ভালো ভাবে দেখেন, তার পর আপনি বলেন চিল্লার বিদাত কি না।

চিল্লা বিদআত কথাটা আমার না অনেক বড় বড় আলেমের।

১ শাইখ আবদ আল আযিয ইবন বায বলেন,

জামায়াত আল তাবলীগ; তারা আকিদা সম্পর্কে যথাযোগ্য ধারণা রাখে না, কাজেই তাদের সাথে বের হওয়ার অনুমতি নেই, তবে যার ইলম আছে এবং আহল সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ’র আকিদাহ সম্পর্কে যার সঠিকতা নির্ণয়ের এবং তা বুঝার ক্ষমতা আছে সে ব্যতীত, কেননা সে তাদেরকে পথ দেখাতে পারবে, উপদেশ দিতে পারবে এবং ভালো কাজে তাদের সাথে সাহায্যও করতে পারবে কারণ তারা খুবই কর্মপরায়ণ। কিন্তু তাদের আরও অনেক ইলম অর্জন করা প্রয়োজন এবং তাওহীদ ও সুন্নাহ সম্পর্কে পথ নির্দেশনা দেবার ক্ষমতা রাখে এমন ব্যক্তিদের দরকার। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রহমত দান করুন ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝার ক্ষমতা দিয়ে এবং তা ধরে রাখার কাজে দৃঢ়তা দান করুন।

মাযমু ফাতাওয়া আল শাইখ ইবন বায, ৮/৩৩১

২ শাইখ সালিহ আল ফাওযান বলেন,

আল্লাহর জন্যে বের হওয়া বলতে তারা যে ধরণের বের হওয়াকে বুঝে থাকে আসলে তা নয়। আল্লাহর জন্যে বের হওয়া বা আল্লাহর রাস্তা বলতে বোঝায় জিহাদের জন্যে বের হওয়াকে। তারা বের হওয়ার জন্যে যেভাবে আহবান করে থাকে তা একটি বিদ’আত যা সালাফদের থেকে বর্ণিত নেই, অর্থাৎ সালাফদের কেউ এভাবে বের হওয়ার জন্যে আহবান করেন নি। আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকার জন্যে বের হওয়াকে কয়েকটি দিনের মাঝে সীমাবদ্ধ করা যায় না, বরং একজন মানুষ তার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে লোকদের আল্লাহর দিকে আহবান করবে, তার এই সামর্থ্যকে সে কোন নির্দিষ্ট কিছু দিন যেমন চল্লিশ দিন বা এর কিছু বেশি বা কম অথবা কোন দলের মাঝে সীমাবদ্ধ করবে না।

অনুরূপভাবে, একজন দায়ীর অবশ্যই ইলম থাকতে হবে। একজন লোকের অনুমতি নেই সে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করবে অথচ যে একজন অজ্ঞ মূর্খ বা জাহেল। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, “(হে নবী,এদের) তুমি বলে দাও, এ হচ্ছে আমার পথ; আমি মানুষদের আল্লাহর দিকে আহবান করি; আমি ও আমার অনুসারীরা পূর্ণাংগ সচেতনতার সাথেই আহবান জানাই; আল্লাহ তায়ালা মহান, পবিত্র এবং আমি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই”। [সূরা ইউসুফ ১০৮]

দ্রষ্টব্য; “সচেতনতার সাথেই আহবান জানাই”, এ আহবান হতে হবে ইলমের সাথে কারণ একজন আহবানকারী যেদিকে লোকদেরকে আহবান করছে তা সম্পর্কে তাকে অবশ্যই জানতে হবে। তাকে জানতে হবে কোনটি ফরয, মুস্তাহাব, হারাম আর কোনটি মাকরুহ। তাকে জানতে হবে শিরক সম্পর্কে; পাপকার্য, কুফর, অনৈতিকতা, অবাধ্যতা সম্পর্কে। অন্যায়ের এবং মন্দ কাজের কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় সে সম্পর্কেও তাকে অবশ্যই জানতে হবে।

এ ধরণের বের হওয়া(চল্লিশ দিন কিংবা চার মাস) মানুষকে ইলম অর্জন থেকে বিঘ্নিত করে এবং এটি একটি ভুল, কারণ ইলম অর্জন করা একটি অত্যাবশ্যক বা ফরয কাজ, আর এটা কেবলমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই অর্জন করা যায়, অনুপ্রেরণার মাধ্যমে নয়। এটা হল এক প্রকার ভুল পথে চালিত সুফী মিথ(myth), কেননা ইলম ছাড়া আমল হল ভুল পথে চলা বা পথভ্রষ্টতা আর শিক্ষা অর্জনের প্রক্রিয়া ছাড়া ইলম অর্জনের আশা করা একটি বিভ্রম ব্যতীত আর কিছু নয়।

- সালাস মিহাদারাত ফিল-ইলম ওয়াল দাওয়াহ থেকে।

আল্লাহ্‌ সবচেয়ে ভালো জানেন।

আল্লাহ্‌ আমাদের জানার বোঝার তৌফক দান করুন।

৩৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৩১

অগ্রপথিক... বলেছেন: কবিতা শুনে নবীজির (সঃ) হাত বের হয়ে আসল এটা নিয়ে কি বলবেন।

এর জবাব ৩৩ নং কমেন্টে দেখুন

৩৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫৭

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: আপনারে বলার কিছু নাই ।... আপনার বুঝার অনেক ভূল আছে ।


অগ্রপথিক আপনারে সালাম...আপনার প্রচেষ্টা প্রশংসাযোগ্য ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩৩

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: ভাই আমার ভুল থাকলে আপনার মুসলিম হিসাবে দায়িত্ব কিন্তু আমাকে ভুলটা শুধরে দেওয়া।



অগ্রপথিক আপনারে সালাম...আপনার প্রচেষ্টা প্রশংসাযোগ্য ।


কথাটা আমিও মানছি।

৩৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৮

অগ্রপথিক... বলেছেন: চিল্লা কোথায় পেলেন? এটির শরয়ী অবস্থান কী?******

উত্তরঃ এ সবই কুরআন ও হাদীসের নস থেকে নেওয়া। কোনটিই নবোদ্ভাবিত কিছু নয়। শরীয়তের সুস্পষ্ট ও সুক্ষ্ম দলীল দ্বারা এসব সুস্পষ্ট প্রমাণিত।

তবে, শরয়ী দলীল জানার আগে দলীল নিষ্কর্ষণের উপায় বা সূত্র জানা অপরিহার্য। কেননা, সূত্র-জ্ঞানের অভাবও অনেক ক্ষেত্রে এসব প্রশ্নের উদ্ভাবক।

তাই বলছি, কুরআন থেকে দলীল বা প্রমাণ উদ্ভাবনের মূলসূত্র ৪টিঃ
১) কুরআনী শব্দ বা বাক্যের আভিধানিক অর্থ।
২) কুরআনী শব্দের ব্যবহারের ভিন্নতা।
৩) কুরআনী শব্দের সুপ্ত আবেদন বা নির্দেশনা।
৪) কুরআনী শব্দের উদ্দেশ্য। (নূরুল আনওয়ার, পৃষ্ঠাঃ ১৩)

উক্ত নিয়ামনুসারে কুরআন ভিত্তিক চিল্লার দলীলঃ
১) و إذ واعدنا موسي أربعين ليلة
যখন আমি মূসা আলাইহিস সালামকে ৪০রজনীর প্রতিশ্রুতি দিলাম (সূরা বাকারাহ, আয়াতঃ ৫১)

২) و وعدنا موسي ثلثين ليلة و أتممناها بعشر فتم ميقات ربه أربعين ليلة
অর্থঃ আর আমি মূসা আলাইহিস সালামকে ৩০রাতের ওয়াদা দিয়েছি, আর তা পূর্ণ করেছি আরো ১০বাড়িয়ে, ফলে তার মেয়াদ পূর্ণ হলো ৪০রজনীতে। (সূরা আ'রাফ, আয়াতঃ ১৪২)

উক্ত আয়াতে চিল্লার (৪০ দিন) শেষে ঘর ছেড়ে তূর পাহাড়ে হিজরতের মাধ্যমে তাওরাত দিয়েছেন।
***********************************************************************************

হাদীস ভিত্তিক চিল্লার প্রমাণঃ

১) عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلي الله عليه و سلم : من صلي لله أربعين يوما في جماعة يدرك التكبيرة الأولي كتبت له برائتان: براءة من النار، و براءة من النفاق. (رواه الترمذي، باب ما جاء في فصل التكبيرة الأولي، رقم 241 قال الحافظ المنذري: رواه الترمذي و قال: لا أعلم أحدا رفعه إلا ما روي مسلم بن قتيبة عن طعمة عن عمرو قال المعلي رحمه الله: و مسلم و طعمة و بقية رواته ثقات، الترغيب 1/263)ـ
অর্থঃ হযরত আনাস ইবেন মালেক রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ৪০দিন তাকবীরে উলার সঙ্গে জামাতে নামায পড়ে সে দু'টি পরোয়ানা লাভ করবে।
ক) জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরোয়ানা
খ) মুনাফেকী থেকে মুক্তির পরোয়ানা (তিরমিযী শরীফ)

২)عن عبد الله قال حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم، وهو الصادق المصدوق، قال: إن أحدكم يجمع في بطن أمه أربعين يوماً، ثم علقة مثل ذلك، ثم يكون مضغة مثل ذلك، ثم يبعث الله ملكاً فيؤمر بأربعة: برزقه وأجله، وشقي أو سعيد، فوالله إن أحدكم - أو: الرجل - يعمل بعمل أهل النار، حتى ما يكون بينه وبينها غير باع أو ذراع، فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل أهل الجنة فيدخلها، وإن الرجل ليعمل بعمل أهل الجنة، حتى ما يكون بينه وبينها غير ذراع أو ذراعين، فيسبق عليه الكتاب، فيعمل بعمل أهل النار فيدخلها (رواه البخاري، كتاب القدرـ رقم الحديث 1226/6221)ـ

উক্ত হাদীসে মায়ের উদরে প্রতি চিল্লায় শিশুর শারীরিক পরিবর্তনের কথা বর্ণিত হয়েছে। মায়ের পেটে যেমন ৩চিল্লা অবস্থানের পর শিশু প্রাণ পায় তেমন চিল্লার পেটে মানবজীবন ঈমানীপ্রাণ পায়।

৩)عن أبي هريرة قال: رباط يوم في سبيل الله أحب إلي من أن أوافق ليلة القدر في أحد المسجدين، مسجد الحرام، ومسجد رسول الله صلى الله عليه وسلم، ومن رابط ثلاثة أيام في سبيل الله فقد رابط، ومن رابط أربعين يوما فقد استكمل الرباط. (مصنف عبد الرزاق، الجزء الثاني و العشرون في باب ما جاء في فضل الرباط)ـ

৪)عن ابن عمر رضي الله عنهما : أنه قدم على عمر من الرباط ، فقال : كم رابطت ؟ قال : ثلاثين يوما ، فقال عمر : عزمت عليك ألا رجعت حتى تتمها أربعين يوما .

৫) عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: "تمام الرباط أربعون يوما". وفيه أيضا حدثنا عيسى بن يونس عن معاوية بن يحيى الصدفي عن يحيى بن الحرث الرماني عن مكحول قال: "قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تمام الرباط أربعون يوما. (في مصنف ابن أبي شيبة جزء 45)ـ

৬)عن يزيد بن أبي حبيب يقول: "جاء رجل من الأنصار إلى عمر بن الخطاب فقال أين كنت؟ قال في الرباط، قال كم رابطت؟ قال ثلاثين، قال فهلا أتممت أربعين. (في مصنف عبد الرزاق)ـ

৭) عن أبي أمامة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "تمام الرباط أربعين يوما، ومن رابط أربعين يوما لم يبع ولم يشتر ولم يحدث حدثا خرج من ذنوبه كيوم ولدته أمه. (معجم الكبير جزء 20 )ـ


উক্ত হাদীস ৫টিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে, আল্লাহর রাস্তার ন্যুনতম পূর্ণ মেয়াদ ৪০ দিন। আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

৮)عن واثلة بن الأسقع قال ـ قال لي رسول الله صلي الله عليه و سلم و تهاجر؟ قلت ـ نعم ـ قال هجرة البادية أو هجرة الباتة؟ قلت ـ أيهما أقضل؟ قال ــ هجرة الباتة و هجرة الباتة أن تثبت مع رسول الله و هجرة البادية أن برجع إلي باديتك (أخرح الكبراني في المعجم الكبير) ـ

উল্লেখিত হাদীসটি থেকে ২টি জিনিস বুঝা যায়ঃ
১) নির্দিষ্ট কিছু দিনের জন্য হিজরতের বিধান, চাই তা ৪০দিন হোক, কিংবা কমবেশী।
২) হিজরতে বাত্তার যে বর্ণনা দেওয় হয়েছে সে অনুযায়ী উম্মেতর জন্য এখন হিজরতে বাত্তাহ করার কোন সুরতই থাকতে পারে না, তবে হিজরতে বাদিয়াহর সুরত অদ্যাবধি বাকী আছে। যেমনঃ ৩ দিন, ১০ দিন, ৪০ দিন, ৪ মাস, ৭ মাস, ১ বছর, ৩ বছর, ইত্যাদি। যদি দ্বীনকে সমুন্নত রাখার উদ্দেশ্যে দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা, শিক্ষা দেওয়া বা পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে হিজরত করা হয়, তবে তা এই হাদীসের আলোকে 'হিজরতে বাদিয়া'র অন্তর্ভুক্ত হবে। তেমনি ভাবে ১০ বা ১২ বছরের জন্য মাদ্রাসা ইত্যাদিতে দ্বীনী উলূম হাসিল করার উদ্দেশ্যে নিজের প্রিয় এলাকা ছাড়াও হিজরতে বাদিয়ার অন্তর্ভুক্ত।


আরেকটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন চিল্লা একটি ফার্সি শব্দ। উর্দুতেও এর বেশ প্রচলন রয়েছে। যেহেতু আমাদের দেশে ইসলামের দাওয়াত পৌছানোর জন্য যে ধর্মপ্রচারক বা দায়ীরা এসেছিলেন, তাদের অনেকেরই মাতৃভাষা ফার্সি ছিলো। সেই ধারাবাহিকতায় কিছু কিছু ফার্সি শব্দ এখনো আমাদের রগ-রেষায় মিশে আছে।

চিল্লার আভিধানিক অর্থঃ চল্লিশ, চল্লিশ কেন্দ্রিক কোন স্থান, কাল বা পাত্র।
আর পারিভাষিক অর্থ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণে বিভিন্ন হতে পারে। তবে, দাওয়াত ও তাবলীগের দৃষ্টিকোণে এর অর্থ হলো, "নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট জায়গায় সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে আমীরের পূর্ণ আনুগত্ব মেনে ৪০ দিন অতিবাহিত করা"।

ার যারা তাবলীগ করে তারা চিল্লাকে ইবাদত হিসেবে মনে করেনা ,বরং যেহেতু কোরআন হাদিসে চল্লিশ দিনের উল্লেখ আছে,তাই একে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে, যেমনটা প্রথম হাদিসে উল্লখে আছে,আর এ কথা তো জানা কথা যারা চিল্লায় যায় তাদেরকে তাকবীরে উলার সাথে নামাজ পড়ার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়,যাতে নামাজের সাথে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায়, আপনি মাদ্রাসাকে যেই দৃষ্টিতে দেখছেন তারাও ঠিক একই দৃষ্টিতে চিল্লাকে দেখে।


তারপরেও যারা এ নিঃসার্থ ভাইদের সমালোচনায় মুখর,তাদের ার কি বলার আছে,আর তাবলীগের যারা স্মলোচনা করে তারা বেশিরভাগই জমাতী ার আহলে হাদিস, যারা নিজেদের ছাড়া অন্যদেরকে বাতিল মনে করে। আল্লাহ এদেরকে হেদায়েত দান করুন। আমিন

৪০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০০

অগ্রপথিক... বলেছেন: আপনি কাশফ নিয়ে যেহেতু বলেছেন তাই আপনাকে কিছু বলা প্রয়োজন-

"হযরত আবু জাফর হতে বর্ণিত, হযরত আবু বকর(রা),হুজুর (সা) ও জিবরীল আমিনের কথপোকথন শুনতে পেতেন,তবে দেখতে পেতেন না। (কানযুল উম্মাল,খন্ডঃ৬, পৃঃ ৩১১)


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর(রা) হতে বর্ণিত..................একদিন হযরত উমর (রা) জুমার মিম্বরে খুৎবা দিচ্ছিলেন,এমন সময় খুৎবার মাঝেই তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন,হে সারিয়া পাহাড়ের দিকে আসো। এভাবে তিনিবার বললেন। কিছুদিন পরে যখন মুসলিম বাহিনীর দূত মদীনায় আগমন করল তখন উমর (রা) তার কাছে যুদ্ধের খোজখবর জিজ্ঞাসা করলেন। দূত আরয করল হে আমিরুল মুমেনিন! একদিন আমাদের পরাজয় আসন্ন হয়ে পড়েছিলো। এমন সময় হঠাত এক আওয়াজ শুনতে পেলাম,যেন কেউ আমাদেরকে লক্ষ্য করে ব্লছে,হে সারিয়া! পাহাড়ের দিকে সরে আসো। তিনবার আমরা এই আওয়াজ শুনতে পেলাম। অতঃপর আমরা পাহাড়ের পিছন দিয়ে আওবস্থান করলাম,তখন আল্লাহপাক মুশরিকদের শোচনীয় পরাজয় দান করলেন। লোকেরা তখন বললো,এজন্যই বুঝি খুৎবার মাঝে আপনি,"হে সারিয়া! পাহাড়ের দিকে সরে আসো বলে চিৎকার করে উঠেছিলেন।
হযরত সারিয়া যে পাহাড়ের পাদদেশে লড়াই করেছিলেন, সেটা আজমের নাহাওয়ান্দ এলাকার পাহাড়। আল ইছাবাহ গ্রন্থে ইবনে হাজার এ বর্ণনাকে নির্ভরযোগ্য বলে রায় দিয়েছেন।" (তারিখুল খুলাফা-ইমাম জালালুদ্দিন সুয়তী)


এখন আপনি বলেন যারা এ ঘটনাগুলো উল্লেখ করেছেন তাদের আপনি কি বলবেন। আগে কাস্ফ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে তারপর কাউকে বিদায়াতী বলার চেষ্টা করবেন।আল্লাহ তা'আলা মাঝে মাঝে তার প্রিয় বান্দাদের অনেক কিছুই জানিয়ে দেন,যাকে বলা হয় ইলহাম ার ইলহামের একটি রূপ হচ্ছে কাশফ।

৪১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩০

হতাসের কথা বলেছেন: আমি জানি না তাবলীগ ওয়ালারা রাসুলের এই সহীহ হাদিস টি অবঙ্গা করে কি করে

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন,
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ) رواه أبو داود والترمذى وقال حديث حسن صحيح
“তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭৬, তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।

১০ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১:০৬

বিভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: আমারও একই প্রশ্ন???

৪২| ০৩ রা জুন, ২০১২ সকাল ১১:৩৫

কাজী রাসেল বলেছেন: এই শালা হল রানী ভিক্টোরিয়ার আহলে হাদিসের এজেন্ট। সুতরাং মুসলমান ভাইয়েরা সাবধান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.