নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নির্বাক লেখক

নির্বাক লেখক

অতঃপর সৈকত

অতঃপর সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যের ইমোশন আমাদের বিনোদনের খোঁড়াক যোগায়! সেটা হোক ফেসবুকে অথবা বাস্তবে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৩

একজন ফেসবুক ইউজারের নাম "আবুল মিয়া"। সে যদি তার "What's on your mind?"-এর জায়গায় লিখে--"মন টা ভীষণ খারাপ। নিজেকে খুব একা লাগছে"
তাহলে সেখানে কেও কমেন্ট এ বলবে--"হুদাই হুদাই ভাব লইস না। তোর মন বইলা কিছু আছে নাকি?" অথবা বলবে--"কিরে আবুইল্লা ভাবে উতাল দিসে নাকি?"
অনেক জ্ঞানী! ব্যাক্তি আবার কমেন্ট এই ইমো দিবে-- " "
কেও কেও আবার বলবে--"like+comment দুইটাই করলাম। পাশে থাইকো।"
আবুল মিয়া অপর প্রান্তে বসে বসে কমেন্ট গুলা দেখবে এবং জিদ্দের চোটে একাই একাই গুম হওয়ার চিন্তা করবে। নয়তো পোষ্ট ডিলেট দিয়ে নিজেই কিছুক্ষণ ভাববে-"খোদা উঠায়া লও মোরে"
সান্ত্বনা পাওয়ার জন্যও 'নাম' এর একটা ভূমিকা আছে।
আবুল,বাবুল,মোখলেস,কালা মিয়া,লাল মিয়া,কলিম খা..এই টাইপের নামের মানুষরা সাধারণত সান্ত্বনা পায় না। নামের খোঁটা সে শুনবেই। সুখে থাকলেও দুঃখে থাকলেও।
বাঙালি বড়ই রসিক জাতি। রসবোধের চরম সীমায় আমরা এক নিমিষেই যেতে পারি।
এইতো সেদিন এক হিন্দু পরিবারের বৃদ্ধ লোক মারা গেলো। নাম ছিল পরাণ ঘোষ।
তার বাড়িতে গিয়ে দেখি তার নাতী মোবাইলে গান শুনছে আর মাথা দুলাচ্ছে! গানের শিরোনাম ছিল--"পরাণ যায় জ্বলিয়া রে,পরাণ যায় জ্বলিয়া"
সান্ত্বনা আর দেওয়া হইল না তাকে। সান্ত্বনা পাওয়ার মত অবস্থা সে রাখে নাই।
চলে আসার সময় এক লোক কে জিজ্ঞেস করলাম--"আচ্ছা ভাই, পরাণ চাচা ক্যামনে মারা গেল? কোন অসুখ করছিল নাকি হার্ট এটাক?"
সে জবাব দিলো--"আর গরীব মানুষের মরা! খালি চোখ দুইডা বন্ধ করলো আর মইরা গেল!"
সান্ত্বনা দেওয়ার মুড একেবারেই ততক্ষণে ভ্যানিশ! হাসি আটকে রাখাই কষ্ট হচ্ছিল!
আমরা সত্যি অনেক কিউট জাতি। অন্যের ইমোশন আমাদের বিনোদনের খোঁড়াক যোগায়! সেটা হোক ফেসবুকে অথবা বাস্তবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.