![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রায়হান খুব মেধাবী ছাত্র । ক্লাসের ফার্স্টবয়
থেকে তাকে কেউ টপকাতে পারে না । এ জন্য তার
ক্লাসমেট ছেলেগুলো হিংসায় জ্বলেপুড়ে মরত । রায়হান
দেখতেও খারাপ নয় । তাই তার ক্লাসের মেয়েগুলোও তার
জন্য ফিদা হয়ে থাকতো । এরই মধ্যে অনেক প্রোপজও
এসেছে , কিন্তু রায়হান তা গ্রহণ করার মতো ছেলে নয় ।
সবাইকে সে ফিরিয়ে দিয়েছে । সবাই ভাবত রায়হান ভাব
মারত । আসলে তা মোটেও নয় । রায়হান এসব প্রেম
ভালবাসায় বিশ্বাসী নয় । রায়হান এবার স্কুল জীবন শেষ
করে , কলেজ জীবনে পা দিয়েছে মাত্র । কলেজে উঠেও
তার অবস্থা ঠিক আগের মতোই । যথারিথী সে কলেজেও
ফার্স্টবয় । কলেজে উঠেই তার অনেক ফ্রেন্ড হয়ে গেল ।
একদিন রায়হানকে তার ফ্রেন্ড সার্কেল এর একজন
প্রোপজ করে বসল । মেয়েটির নাম প্রতিমা ।
দেখতে শুনতে মোটামোটি ভালই ছিল প্রতিমা । প্রথম
প্রথম রায়হানকে তার ভালবাসার
কথা ইশারা ইঙিতে বুঝালেও রায়হান তা পাত্তা দিত
না । শেষে একদিন প্রতিমা ঠিক করে তার ভালবাসার
কথা সরাসরি জানাবে । পরদিন
প্রতিমা কলেজে গিয়ে রায়হানের সাথে দেখা হয় ।
-রায়হান
-কি বলবে?
-না মানে তোমাকে একটা কথা বলার ছিল
-কি কথা?
-এখন না, ক্লাস শেষে কলেজের সামনে থেকো, তখন বলব
-আচ্ছা
এরপর প্রতিমা আর রায়হান দুজনই ক্লাসে চলে যায় ।
রায়হানের মাথায় কিছু কাজ করছে না । পুরো ক্লাস
আনমনা হয়ে রইল । এদিকে প্রতিমার মনে বিরাট
উত্তেজনা কাজ করছে । ক্লাস যেনো আজকে শেষ
হতে চাইছে না । অবশেষে ক্লাস
শেষে দেখা হলো দুজনার ।
-প্রতিমা কি বলতে চাইছিলে?
-.....
-কি হলো? কথা বলো
-.....
-আচ্ছা, আমি যাই
-রায়হান আমি তোমাকে ভালবাসি
-সরি প্রতিমা
-কেন?
-আমি এটা গ্রহণ করতে পারলাম না
-কেন? আমি কি দোষ করেছি?
-আমি এইসব বিষয়ে বিশ্বাসী নয় । আমার সাথে এইসব
বিষয়ে আর কথা বলবে না ।
রায়হান চলে যায় । প্রতিমা মনে মনে অনেক কষ্ট পায় ,
তবুও কাঊকে কিছু বুঝতে দেয় না । এদিকে বাড়ি আসার
পর রায়হানের ও কোন কিছুতে মনযোগ বসছে না । শুধুই
প্রতিমাকে নিয়ে ভাবছে । মেয়েটা দেখতে শুনতেও
তো খারাপ না , রায়হান নিজের মনকে নিজেই প্রশ্ন
করে । রায়হান বুঝতে পারে ও প্রতিমার প্রতি দুর্বল
হয়ে পড়েছে । পরদিন রায়হান ও
কলেজে গিয়ে প্রতিমাকে জানিয়ে দেয় সেও
প্রতিমাকে ভালবাসে । এভাবেই চলতে থাকে তাদের
প্রেম । আস্তে আস্তে রায়হান এর এইচ
এসসি পরিক্ষা ঘনিয়ে আসে । রায়হান প্রতিমার
প্রতি এতই দুর্বল
হয়ে পড়ে যে প্রতি মিনিটে মিনিটে প্রতিমার খবর নেয় ।
রায়হান পরিক্ষার জন্য তেমন প্রস্থুতি নিতে না পারায়
তার রেজাল্টও তেমন সুবিধাজনক হয় না । রায়হান কোন
ভার্সিটিতে চান্স পায় না । অন্যদিকে প্রতিমাও
রায়হানকে দিন দিন ইগনোর করতে শুরু করে । একদিন
প্রতিমা রায়হানের সাথে ব্রেক আপ করে ।
রায়হানকে বলে "দেখো রায়হান তুমার সাথে সম্পর্ক
রাখা আর সম্ভব না, তুমার জীবনের কোন লক্ষ্য নেই " ।
রায়হানের বুক ভেঙে খান খান হয়ে যায় ।
এদিকে পরিবারের জন্যও রায়হান হয়ে উঠে বোঝা,
একটি বেকার যুবক ।
©somewhere in net ltd.