নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...
৩০শে ডিসেম্বর। সেদিন চললাম বারউডে মেট্রো আর ট্রেইনে চেপে। সেখানে পৌছে লাল নীল হলুদ সবুজ ঝলমলে চায়না টাউনেই এসে পড়লাম যেন। চারিদকে আলো ঝলোমলো। গান বাঁজছে, মিউজিক ড্রাম। সবাই খানাপিনা ঘুরাঘুরিতেই ব্যস্ত! এ যেন এক অন্য দুনিয়া। আনন্দে ভরা। দুঃখ বেদনার ছায়ায়ও নেই সেখানে। এই লাল নীল হলুদ আর বেগুনীর দুনিয়ায় তাড়াতাড়ি ছবি তুলে নিলাম কয়েকখানা।
আমরা অবশ্য ব্রাঞ্চ খেতেই সেখানে গেছিলাম সেদিন। এই রাইস কেক দেখে আমার বাংলাদেশের ভাঁপাপিঠাকেই মনে পড়ে সর্বদা। এর আগেও নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আমার এক আত্মীয়া এক গাদা এই জিনিস নিয়ে গিয়ে আমাদের প্রাণ ঝালাপালা করেছিলো। স্টিকি রাইসে মিষ্টি দিয়ে বানানো এই পিঠা তাদের কাছে যতই সুস্বাদু লাগুক আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনি কিন্তুক।
তবে হ্যাঁ তখন খুব একটা খিধা লাগেনি কাজেই কিছু খেতে চাচ্ছিলাম না। তবুও অনেক খুঁজে পেতে মুচমুচে ছোট ছোট ফ্রাই দেখে নিলাম ফ্রায়েড জিবলেটস। চিকেন শপ দেখে আর সাত পাঁচ চিন্তা করিনি। তারপর আয়েশ করে বসে ফ্রায়েড জিবলেটে এক কামড় দিতেই!!! এইডা কি!!!!!!!! আমার তো চক্ষু ছানাবড়া! এত বেঁছে চেঁছে ভেবে চিন্তে চিকেন শপে গিয়ে কিনা মুরগীর গিলা ভাঁজা!!!!!!!!!! ইয়াক থু থু থু। বাড়িতে জীবনে কোনোদিন রান্নায় এই জিনিস দেখলে আমি মুরগীর মাংসই আর খইনা আর সেই জিনিস টাকা দিয়ে কিনে খেয়ে ফেল্লাম এই বৈদেশ বিঁভুইএ এসে!!!!!! মুরগীর গিলার ইংলিশ জীবনে শিখিনি বটে তবে ইহজীবনে আর ভুলবোও না ইহাও সত্য।
আর রাগে এই জিনিসের ছবিও দিলাম না সলি।
যাইহোক এরপর নিলাম ড্রিংকস উইন্টার মেলন জ্যুস! ভাবলাম সারাজীবন আমাদের দেশে দেখলাম সামার মেলন মানে ওয়াটার মেলন। এটা মনে হয় উইন্টারে হয় তাই উইন্টার মেলন আর এখন এইখানে সামার কাজেই হয়ত উইন্টারে হওয়া মেলন গুলাই তারা স্টোর করে রেখে বানিয়ে বানিয়ে দিচ্ছে এতই ভালা জিনিস! সেদিন খুবই গরম পড়েছিলো। একদম ঝাঁ চকচকে আকাশ আর খা খা গরম রোদ্দুর! তাই সেই বরফ শীতল উইন্টারমেলন ড্রিংকসের স্মোকি সোয়াদ বড়ই ভালা লাগিলো। এরপর আমার সাথের একজন সঙ্গীকে বললাম বাহ! আমাদের দেশের ওয়াটার মেলন হয় সামারে আর এদের দেশের উইন্টার মেলন বুঝি হয় উইন্টারে? তিনি- হে হে হে হে হেহ!! এটা মেলন মানে উইন্টারমেলন। আমাদের দেশের চালকুমড়া!!!!!!!!!!
ইয়াক থু!!!!!!!!!!!!!! শেষে কিনা হেনো তেনো বলে তুই আমারে চালকুমড়ার জ্যুস খাওয়ালি শয়তান!!!!!!!!!!!!!!! সে তো হাসতে হাসতে শেষ! ওমন করো কেনো এটা আমার ফেবারেট ড্রিংকস! আমি- রাখ তোর ফেবারেট! তোর যত খুশি ফেবারেট খা আমারে খাওয়াইলি কেন!!!!!!!!!!!! রাগে দুঃখে আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না। গুগলে সার্চ দিয়েও দেখি এই মেলন আমাদের দেশের চালকুমড়া! তখন মনে পড়লো আমার মা, নানী, দাদী চালকুমড়ার হালুয়া বানাতো, বানাতো চালকুমড়ার মোরোব্বা! মনকে সান্তনা দিলাম, না না এই জিনিস খারাপ না, এই সব দিয়ে মানুষ মিষ্টদ্রব্যও বানায় আমাদের দেশে! যাইহোক কি আর করা!!! মনের সান্তনা আর কি। এরপর আমার শখ হলো আমি এবরিজিনালদের নাচ দেখবো! তারপর তাইরে নাইরে না না করে চললাম সারকুলার কি মিউজিয়ামে এবরিজিনালদের মিউজিয়াম দেখতে।
স্টেশনে নেমেই মিউজিয়ামে ঢোকার আগেই পেয়ে গেলাম এবরিজিনালদের ড্যান্স গ্রুপ মানে উনাদের স্ট্রিট আর্ট। তারা নানা রকম বাদ্যযন্ত্র বাঁজিয়ে নাকে মুখে গায়ে নক্সা একে নাচাগানা করছিলো। আমি তো তাদের আনন্দময় নাচ দেখে মুগ্ধ! অনেকেই নাচছিলো তাদের সাথে! আমার মন তাই দেখে নেচে উঠলো।ছুটে যেতে চাইলাম তাদের সাথে মানে নাচতে চাইলাম।
কিন্তু শেষ মেশ একটু ভয় লাগলো অমন ভূতের মতন সেজে আছে দেখেই বুঝি। তাই আর নাচা হলো না।
চললাম মিউজিয়ামে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেখানে শুধু বাইরেই ছবি তোলা যায়।
মিউজিয়ামের ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ!
মিউজিয়ামের সামনে এক চোখা টাইপ এক শিল্পকর্ম। ঝাঁ চকচকে রোদে ঝলমল করছিলো। আর রোদে পুড়ে ঘেমে কুচকুচা হয়ে তার সামনে আমাকে ছবি তুলতেই হলো।
আরও মনোহর ছিলো পাড় ঘেসে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল দৈত্যাকৃতি ধপধপে সাদা রং জাহাজ। তাই সেই প্রকান্ড জাহাজের সামনে দাঁড়িয়েই ছবি তুলতেই হবে।
এরপর বৈকালিক হাওয়ায় সার্কুলার কি সমুদ্রতীর পরিভ্রমন। হাওয়া ছিলো বটে তবে রোদও কম ছিলো না। বিশাল সব জাহাজ দাঁড়িয়ে দিলো তীরে।
একদিকে জাহাজের মেলা আরেকদিকে ওপেরা হাউজ আর সামনেই হার্বার ব্রীজ।
ভিউকার্ডে দেখা দৃশ্য আজ চোখের সামনে দাঁড়িয়ে। বিকেল বাড়তেই নানা রকম সাজসজ্জায় স্ট্রিট আর্টিস্টরা নেমে এলো রাস্তায়। একটা পুতুলের মত সাদা পোশাকের মেয়ে বাজাচ্ছিলো চাইনিজ বাঁশি।
গোল্ডেন বয় নামে একজন তো শূন্যে উঠে বসেছিলেন। তার এতই ভিডিও করেছি যে ছবিই তোলা হয়নি। তাই এটাই দিলাম শুধু।
যাইহোক আমরা পিজারিয়ায় খেলাম কিন্তু আসার সময় পে করতে ভুলে গেলাম! হা হা এমন আচানক কান্ড কখনও কেউ শুনেছে কিনা জানিনা। তবে আমি করলাম আর তারা কিছুই বললো না । বেরিয়ে এলাম এবং এরপর আরও দুই ঘন্টা কাটিয়ে দিলাম ওপেরা হাউজে গেলাম সেই পথে ফিরলাম একবারও মনে পড়লোনা যে খাবারের দাম দেইনি। রাতে ফিরে মনে পড়লো। আচ্ছা আমরা কি খাবারের টাকা পে করেছিলাম? শেষে ফোন দিলাম ঐ দোকানে। ওরা বললো ওকে নো প্রবলেম। যে কোনো সময় এসে দিয়ে গেলেই হবে। আমরা পরদিন গিয়ে সেই বিল পরিশোধ করলাম! .........
সেদিন ছিলো ৩১ শে ডিসেম্বর! গত বছর এই দিনে আমরা সেই দুপুর থাকতেই প্রস্তুতি নিয়ে ছুটেছিলাম মানলী বিচ ইলোরা রিসার্ভ না কি কোন এক জায়গায় এখন নামটা মনে পড়ছে না। সেখানে গিয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত থার্টি ফার্স্ট নাইট ফায়ার ওয়ার্ক দেখতে। দুপুর থেকেই সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলো হার্বার ব্রীজের আশেপাশের। ট্রেইনও বন্ধ ছিলো তবুও ছুটেছিলাম উবারে পায়ে হেঁটে একগাদা টাকা খরচ করে। ফিরেছিলাম রাত আড়াইটায়। রাত দুপুরে লোকজন রাস্তায় গিজগিজ করছিলো। বাস পাওয়াই যাচ্ছিলোনা। অনেক কষ্টে ফিরেছিলাম সেদিন। এবারেও ইচ্ছা ছিলো যত কষ্টই হোক ফায়ার ওয়ার্ক দেখতেই হবে। তবে সন্ধা থেকে টিপিশ টাপিশ বৃষ্টিতে সেই ইচ্ছায় খ্যান্ত দিতে হলো তাই বলে কি সাজুগুজু বেড়াবেড়ি বন্ধ থাকবে?
কখনও না আর তাই থার্টিফাস্ট ইভের খানা পিনা সাজুগুজু ঠিকই চললো! আর বেড়িয়েও এলাম এদিক সেদিক।
বেড়াবেড়ির কিছু ছবির একটা
আরও একটা বেড়াবেড়ি ছবি।
কিন্তু বের হলে কিছু কিছু উলটা পাল্টা তো আমাকে করতেই হবে তাও আবার ফুড নিয়েই সেসব ঘটে। কাজেই ভুল করে বিফের বদলে পর্কের পুটিং অর্ডার দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে বসে রইলাম। খেয়েও ফেল্লাম এক চামচ। কিন্তু গিলে ফেলতেই বুঝে গেলাম এই বিফ সেই বিফ নহে। এটা যেন কেমন কেমন!! সাথে সাথে সেই পুটিং ছেড়ে ভো দৌড় দিলাম।
এত সাধের পুটিং খাওয়া আর হলো না আমার।
এই সেই হাসি হাসি মুখে পর্ক পুটিং নিয়ে খাবার আগে ছবি তোলার দৃশ্য। তবে মুখে দিয়ে সেই মুখবিকৃতির চেহারার ছবি কেউ তুললে সবার আগে হাসতে হাসতে মরতো কে সেটা আমি জানি।
১ তারিখ সারাদিন বাসায় কাটিয়ে দিলাম। এই বাসা ছেড়ে দিতে হবে। এইসব বাসা ভেঙ্গে স্টুডেন্ট একোমোডেশন হবে। কাজেই বাসা খুঁজতে হবে এবং পেতেই হবে। যদিও ৩০ তারিখে আমরা একটা বাসা দেখেছি এবং এক বাসার পিছে ২০ জন! কাজেই সেই বাসা হবেই না ধরেই নিয়েছি। তবুও এজেন্ট ফোন করে জানতে চাইলো আমরা নেবো কিনা তখনই বুঝলাম খাজনার চাইতে বাজনা বেশি মানে আনফার্নিশড বাসায় তিনারা একটু বেশিই ভাড়া চাইছিলো। সে যাইহোক আমি বাঙ্গালী বুদ্ধি খাটালাম!। বললাম ভাই বাসা আমার খুবই পছন্দ কিন্তু ভাড়াটা পছন্দ হলো না। এটা কমালেই আমরা আসবো। কিন্তু উনি এটা শুনেও কোনোই উত্তর দিলেন না। কাজেই কি আর করা। আরও কিছু বাসা অনলাইনে খুঁজতে খুঁজতে সারাদিন চলে গেলো।
২ তারিখটাও কাটলো। সারাদিন কেটে গেলো অবলীলায়।সব রেন্ট বাড়িগুলোতেই অনলাইনে ইনসপেকশন চেয়ে আমি সেদিন বিকালে একা একা বের হলাম। আশে পাশের লেক পার্ক শপিং সেন্টার ঘুরে ঘুরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলাম।
৩ তারিখেও বের হলাম একা একা! একা একা ঘুরি যখন তখন নানা কাহিনী ঘটে আমার জীবনে। দোাকনীদের সাথে গল্প লাগিয়ে দেই সুখ দুঃখের। সেদিন পছন্দ হয়ে গেলো একটা বডিকন ড্রেস। আমার বোন কি সুন্দর বডিকন পরে বারবি ডল হয়ে যায় আমাকেও কেমন লাগে একটু দেখি তো! এক গাদা লাল নীল হলুদ সবুজ বডিকন নিয়ে ট্রায়াল রুমে ঢুকলাম। প্রথমেই হলুদ ঝকঝকে একটা গায়ে চড়িয়েই আয়নার চোখ যেতেই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। টম এন্ড জেরী কার্টুনে মাঝে মাঝে ইয়া মোটা মোটা পা ওয়ালা কোনো মহিলার ছবি দেখাতো যার চেহারা কখনও দেখা যায়নি। তবে আয়নায় সেদিন নিজের চেহারা দেখে বুঝলাম সেই মোটা মোটা পাওয়ালা মহিলাটার অদেখা ছবিটা কেমন ছিলো!।
আর লাল নীল সবুজ কমলাগুলো টেরাই না করেই কাঁদো কাঁদো মুখে ফিরিয়ে দিলাম। দোকানীকে বললাম এটা আমার জন্য নহে। বারবিদের জন্য। সে সাথে সাথে একটা লাল টকটকে অপরুপা জ্যাকেট আমার গায়ে ধরে বললো, ওয়াও ইউ উইল লুক বিউটিফুল উইথ দিস ওয়ান! মানে বিক্রি করার ধান্ধা আর কি! যাইহোক আমার যে লাল টকটকা সোনালী ঝলমলা, রুপালি রুলরুলা এসব পছন্দ মহিলা বুঝলো কি করে!!! সাথে সাথে আমি লাফ দিয়ে সেই ১৯৯ ডলারের জামা স্পেশাল ডিসকাউন্ট নাকি দিয়ে দিলেন উনি উনার এমপ্লয়ী কার্ড দিয়ে ! উহা শুনে মুগ্ধ হয়ে নিয়ে নিলাম! যাইহোক বারবি না হতে পারি, লাল টকটকে জামা পরে হয়ে যাবো লালবি!
৪ তারিখ আমি সেদিন ব্লু মাউন্টেন যাবোই যাবো! এমনিতেই ছিলো ক্লাউডি ওয়েদার তার উপর শীত শীত ভাব! আমি সেই দোকানী মহিলার চুজ করে দেওয়া ওয়াও মার্কা রেড জ্যাকেট গায়ে চাপিয়ে নিলাম। বাহ আমি তখন বারবি হতে না পারা দুঃখ ভোলা লালবী।
যাইহোক আমরা গেলাম স্ট্রাথফিল্ডের স্টেশনে। পুরোনো বিষন্ন এক স্টেশন! সেখান বেশ খানিকটা সময় ওয়েট করেছিলাম আমরা। আসলো ধুকে ধুকে এক পুরানো ট্রেইন। সেই ট্রেইনের দরজা অটোমেটিক খুলে না। হাত দিয়ে টেনে খুলতে হয়। ভেতরের সিটগুলা বেগুনী রেক্সিনে মোড়ানো সোফার মত। আমরা আয়েশ করে গিয়ে বসলাম ট্রেইনে। আমরা হই মই করে কথা বলছিলাম। একজন এসে ইশারা দিয়ে বললো এক্সিউজ মি এটা কোয়াইট ক্যরেজ! আমি তো লজ্জায় শেষ! আমাদেরকে হাড়ি ডোম ভাবলো নাকি!! কিন্তু অন্য সব নতুন ট্রেইনগুলোর বাইরেই লেখা থাকে কোয়ায়েট ক্যারেজ! এটার লেখাটা ছিলো ভেতরে এক কোনায় ! তো সেটা কি আমাদের দোষ!!!
যাইহোক ব্লু মাউন্টেনে পৌছে হাঁড় কেপে গেলো ঠান্ডায় তবে প্রান ভরালো চোখ জুড়ালো!! এত অপরুপা চারিদিক। শুনশান নীরবতা নেমেছে সেখানে। স্টেশন থেকে একটু দূরে হাঁটতে হবে। আমি বেঁকে বসলাম! হাঁটবোই না। শেষে উবার ডেকে ব্লু মাউন্টেনে পৌছালাম আমরা!!
উবার আসবার অপেক্ষার সময়টুূকু ছবি তুলে কাটাতে হলো। এই ঘড়িটা আমার বিশেষ পছন্দ হয়েছিলো।
তার পাশে একটা সুন্দর লাল টুকটুক বেঞ্চও ছিলো আমার মনের মত!
টুরিস্টরা ভীড় করেছিলো সেই ব্লু মাউন্টেনের গাঁয়ে গাঁয়ে। পিচ্ছিল সিড়ি পথ। এবড়ো খেবড়ো পথ চলা! আমি ভয়ে শেষ! এইবার তো বুঝি হাড্ডিগুড্ডি ভেঙ্গে চৌচির হয়। কিন্তু অপরূপা সেই সৌন্দর্য্য দেখতে তো একটু কষ্ট করতেই হবে তাই না?
নামছিলাম গিরি খাত বেয়ে কিন্তু ভাবছিলাম উঠবো কিভাবে আবার এই খাড়া গিরিপথে!!!
অনেক নীচে বয়ে চলছিলো ঝরনার কলকল! স্বচ্ছ জলের ঝরণার কাছাকাছি তো আমাকে যেতেই হবে।
নীচে তরতরিয়ে নেমে গিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে সেই কঠিন পাথুরে পাহাড় দেখে ভাবছিলাম হায়হায় এই পাহাড় ধসে পড়লে তো গেছি!! এক্কেবারে সলিল সমাধির মত পাহাড় সমাধি হবে।
যাইহোক ঝরনার ধারে পৌছে তার কলতানে প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। গান গেয়ে উঠলাম, ঐ পাহাড়ের ঝরনা আমি ঘরে নাহি রই গো... উধাও হয়ে বই....
ছোট ঝরণা বড় ঝরনা ঝরণার শেষ নেই যেন সেখানে। একটা জিনিস দেখে বার বার বিমোহিত হই আমি এখানে সেটা হলো বিশালতা। প্রাচীন সব বিশালাকৃতি বাড়িঘর অফিস আদালত দোকান পাট দাঁড়িয়ে রয়েছে এখানে। দৈতাকৃতি পাহাড় জঙ্গল! পশু পাখি গুলোর সাইজ দেখেও মনে হয় ডাইনোসর আমল থেকেই বুঝি রয়েছে এরা।
যেখানেই যাই বাচ্চারা আমাকে বিশেষ পছন্দ করে। আমি ছবি তুলতে গেলাম তারা হাসিমুখে আমাকে ঘিরে দৌড়াতে লাগলো! হা হা কি মনোরোম তাই না?
এত বলি বাবুরা সর সর একটু ছবি তুলি। তারা বলে আমাদেরকে নিয়েই তোলো না!
ব্লু মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে গেলাম ছবি তুলতে।
যাইহোক ব্লু মাউন্টেনে ঘুরে ফিরে কাটলো সেদিন সারাদিন। বাসায় ফিরলাম রাত ৯ টার দিকে......
এরপরের দিনগুলোর গল্প নিয়ে আসবো আবার কোনো অবসরে.......
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪০
শায়মা বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ার প্রকৃতি মানে সুনীল আকাশ পরিশুদ্ধ বাতাস আর রঙিন পাখ পাখালী ফুল ফল। মন হরন করে!!
২| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: বড় ছবিগুলো দেখে চোখের আরাম!
এবারও একটা মিল পেলাম। আমিও গিলার ব্যাপারে তোমার মতোই।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫০
শায়মা বলেছেন: হা হা আর সেই গিলা আমাকে গিলতে হয়েছিলো জিবলেট কি জিনিশ না জানাতেই!
আপুনি সব ছবিগুলি বড় করতে গেলে আমার সকাল রাত বিকাল পার হয়ে যাবে।
এমনিতেই এনুয়াল শো পাপেট শো কাপেট শো নিয়ে এতই ঝামেলায় যে আছি!!!!!!!!!
৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১২
নীল-দর্পণ বলেছেন: গিলা ভাজা চালকুমড়ার জুস দিয়ে খেয়েছো তাও পেলেন ভাড়া দিয়ে গিয়ে…হাহাহাহাহা
চায়না বাঁশী হাতে জাপানী পুতুলটা যে মেলায় হারিয়ে যাওয়া তোমার বোনটা।
লাল জ্যাকেটটা কিন্তু বড়ই সৌন্দর্য হইছে। কী সুন্দর ছবি। আচ্ছা ট্রেনে লিখেপড়ে চুপ থাকতে বলে কেন? আমিতো ভাবতেই পারছি না একদম চুপচাপ হৈ হুল্লোড় নাই গাড়ী/ট্রেনে!
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৮
শায়মা বলেছেন: সেই তো !!!
ছি ছি ছ্যা ছ্যা!!!!!!!! গিলা যে কেউ এমনে ভাঁজে তা আমি স্বপ্নেও ভেবেছি কখনও!!!!!!!! থু থু
আর চালকুমড়ার ইংলিশও যে উইন্টার মেলন সেই কথাই বা কে কে জানে??
জাপানী বা চাইনিজ মেয়েটা। তবে পুরাই একটা পুতুল!!!
হ্যাঁ লাল জামা পরে আমি বড়ই খুশ!!!!!!
আপুনি সেই দেশে প্রতিটা ট্রেনেই কিছু কোয়ায়েট ক্যারেজ থাকে। মানে সেই সব ক্যারেজে সবাই চুপ চাপ থাকবে। বুড়াবুড়িদের ক্যারেজ আর কি। হই হুল্লোড় মোটেও পছন্দ না তাদের!
৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
এই সেই হাসি হাসি মুখে পর্ক পুটিং নিয়ে খাবার আগে ছবি তোলার দৃশ্য। তবে মুখে দিয়ে সেই মুখবিকৃতির চেহারার ছবি কেউ তুললে সবার আগে হাসতে হাসতে মরতো কে সেটা আমি জানি।
কে?
না হাসাটা অন্যায়, এ ঘটনায় হাসাটাই জায়েজ
তোমাকে সুন্দর লাগছে।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২২
শায়মা বলেছেন: হা হা কে হাসতে হাসতে মরতো তুমি বলোতো একটু ভেবে।
হা হা আমিও তো হাসছিলাম নিজের বোকামীতে নিজেই!!
কোন জামাটাই বলোতো??
গোলাপীটায় নাকি কালোটায় নাকি লালটায়???
৫| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
১, ২ আর ৩ তারিখের এদিক সেদিক ঘোরাঘুরির ছবি দাওনি কেনো?
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৩
শায়মা বলেছেন: কারণ একই জামাগুলি পরা ছিলো তো এদিক সেদিক করে তাই কি আর হবে সে সব দিয়ে??
৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
যেখানেই যাই বাচ্চারা আমাকে বিশেষ পছন্দ করে। আমি ছবি তুলতে গেলাম তারা হাসিমুখে আমাকে ঘিরে দৌড়াতে লাগলো! হা হা কি মনোরোম তাই না?
হ্যাঁ এই বিষয়টা খুবই কিউট!
ব্লু মাউন্টেনের সবুজের মাঝে লালবিকে ভালো লাগছে।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৮
শায়মা বলেছেন: হা হা কেমন নাম দিলাম লালবি।
তবে বডিকোন পরে নিজেকে পুরাই টম এন্ড জেরীর অদেখা কর্ত্রীর চেহারা দেখেছিলাম আয়নায়......
আচ্ছা তুমিও কি ব্লু মাউন্টেইনে গেছো?
৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: হা হা কে হাসতে হাসতে মরতো তুমি বলোতো একটু ভেবে।
কে সাচু? আরেকজন হতে পারতো, যে হয়তো তোমাকে অনেক পচাতো, আমি আর না বলি।
কোন জামাটাই বলোতো??
গোলাপীটায় নাকি কালোটায় নাকি লালটায়???
তুমিতো একটা প্রজাপতি।
সব রঙেই তোমাকে ভালো লাগে।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪০
শায়মা বলেছেন: হা হা সে বটে সাচুভাইয়ু। কিন্তু তিনি তো মনের দুঃখে মনে হয় বনে গেছেন। আর সহজে ফিরবেন না মনে হচ্ছে। আর একজন যার কথা না বলেও বললে সেটাই সে .......
হা হা তার মানে সব জামাতেই থুন্দল লাগছে!!!!!!!!!!!!
থ্যাংক ইউ থ্যাংকইউ !!!!
৮| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: রাইস কেক- যত যাই হোক, দেশি পিঠার সাথে অন্য কিছুর আসলে তুলনা হয় না।
ফ্রাইড জিবলেট - আমিও সেদিন জানলাম, আমরা যাকে মুরগির গিলা কলিজা ( গিলা, কলিজা, গলা, হার্ট) কে জিবলেট বলে। আমার আবার গিলা কলিজা ভুনা পছন্দ। ওদের ফ্রাই কেমন হবে বুঝতে পারছি না৷
উইন্টারমেলন- মেলন বলতে সবসময় আমিও তরমুজই ভাবতাম।
পিজারিয়ায় বিলের ব্যাপারটা ভালো লাগল। আপনি বাংলাদেশি যদি জানে, তাহলে ওদের বাংলাদেশি সম্পর্কে ধারণাটা আশা করি বেশ পজিটিভই হবে।
বিফ পুটিং - আমার পরিচিত এক বড় ভাই, এমন এক দুঃখে ভিয়েতনামের ভালো চাকরি ছেড়ে চলে এসেছিলেন। যেই মাংস খায়, সন্দেহ হয়।
দোকানে কোনো ড্রেস পছন্দ না হলে, আমিও ভাবি দোকানদার যা দিচ্ছে তাতে আমাকে ভালো লাগছে। আর লজ্জায় তা নিয়েও দেই, দাম যাই হোক।
মন দিয়ে পড়লাম, আপনার সাথে ঘুরে বেরালাম৷ পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০১
শায়মা বলেছেন: হা হা বুঝা যাচ্ছে তুমি মনোযোগী পাঠক ভাইয়ু!
শুধু কি পিঠা!! সেখানের মাংস ডিম কিছুই ভালো লাগে না আমার!
ভাইয়া মেলন বলতে তরমুজ না হোক বাংগী তো হবে। তা না সোজা চালকুমড়া!!!!!!!!! চিন্তা করো!
পিজারিয়াও অনেক ভালো। আমরা ভুল করেছি জেনেও তারা আমাদেরকে ভুল বুঝলো না।
(বিফ পুটিং - আমার পরিচিত এক বড় ভাই, এমন এক দুঃখে ভিয়েতনামের ভালো চাকরি ছেড়ে চলে এসেছিলেন। যেই মাংস খায়, সন্দেহ হয়।) হা হা এই দুঃখ কিন্তু কম না। ঠিকই করেছে সে।
(দোকানে কোনো ড্রেস পছন্দ না হলে, আমিও ভাবি দোকানদার যা দিচ্ছে তাতে আমাকে ভালো লাগছে। আর লজ্জায় তা নিয়েও দেই, দাম যাই হোক।)
না না ভাইয়া আসলে আমি যাই পরি তাই তো সুন্দল লাগে!!!!!!!! দেখলে না মিররমনি বললো আমি একটা প্রজাপতি!!!!!!!!!! হা হা
মন দিয়ে পড়েছো সে বুঝতেই পারছি!!! অনেক অনেক ভালোবাসা!!!
৯| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
রানার ব্লগ বলেছেন: দেশে তো আমের জুসের নামে কুমড়ার জুস খাও, বৈদ্যাশ গিয়া না হয় চাল কুমড়ার খাইলা।
পর্ক কিন্তু খারাপ না, একটু খাশি খাশি ভাব আছে, আমি শ্রিলংকা গিয়ে একবার টেস্ট করছিলাম।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪
শায়মা বলেছেন: ইয়াক থু!!!!!!!!!!!!! কি বলো খাসী খাসী না ঘাষী ঘাষী ভাব!!!!!!!!!
থু থু থু !!!!!!!!!!!!!!!
আর ঠিকই বলেছো মাটির কুমড়ার জ্যুস দেশে আর বৈদেশে গিয়া চালকুমড়ার জ্যুস!!!
তোমাকে দুই কুমড়াই মিক্স করে মিক্স কুমড়া জ্যুস খাওয়ানো হবে!!!!!!!!
১০| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: খিদে না লাগলে কোন কিছুই ভালো লাগে না।খিদে কি জিনিস বুঝছে গাজা বাসি।খাদের জ্বালায় কোন কিছু না পেয়ে এখন ক্যাকটাস খায় তারা।
লাল জামা পরা ছবিগুলি দারুন।সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে এই পর্ব।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৬
শায়মা বলেছেন: আহারে ভাইয়া। গাজাবাসীরা ক্যাকটাস খায়! কি যে কষ্ট লাগে!! সব কষ্ট ভুলে বেঁচে থাকি আমরা। খায় দাই ঘুরি। আর তারা জীবন যুদ্ধে বিপর্যস্ত!!!
থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া!!! অনেক ভালোবাসা!!
১১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: এরপর আর একা যাবেন না।
আমাকে সাথে নিবেন। আমি আপনার ছবি তুলে দেবো। আমার খরচ আমিই দিবো। সেটা নিয়ে ভাববেন না।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৭
শায়মা বলেছেন: হা হা হা আমার সহজ সরল ভাইয়া।
হাসতে হাসতে মরলাম কমেন্ট পড়ে।
তোমার খরচ তুমিই দেবে!!! কেনো ফটোগ্রাফারের খরচটা নেবে না???
১২| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ছবিসমূহ দেখলাম।
০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৮
শায়মা বলেছেন: লেখাসমুহ পড়লে না ভাইুাজান?????
১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অস্ট্রেলিায়র গল্প ভালো লেগেছে, পরের দিনগুলোর গল্পের অপেক্ষায় রাইলাম।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২২
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়া আমার এই দীর্ঘতম পোস্ট পড়ার জন্য !
১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:২৮
আরইউ বলেছেন:
শায়মা,
আপনার লেখা পড়ে মনে মনে হাসলাম— ভালোই বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন বোঝা যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াতে যারা একদম হালাল খাবার খেতে চান তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় “নিজে করে খাওয়া”। এটা স্বাস্থ্যসম্মতও বটে। বাইরে খেতে চাইলে ইন্ডিয়ান, মিডল ইস্টার্ন ফুল হালাল। অনেক হাই-এন্ড রেস্টুরেন্টেও হালাল খাবারের অপশন আছে। আরেকটা অপশন ভেজিটেরিয়ান বা ভেগান ফুড খাওয়া। হার্ডকোর হালাল-হারাম যারা মেনে চলেন তাদের মনে রাখা উচিত ভেজিটেরিয়ান/ ভেগান ফুডে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হতে পারে।
এবার একটা গোপন কথা বলি— অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ পোল্ট্রি এবং অন্যান্য মিট প্রডাক্ট (বিফ, ল্যম্ব) হালাল উপায়ে স্লটার করা। ইট জাস্ট মেকস সেন্স, ইউ নো। অস্ট্রেলিয়ার মিটস প্রডাক্টের একটা বড় বাজার হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। লোকাল মার্কেটের জন্য “অ-হালাল“ আর এক্সপোর্ট মার্কেটের জন্য হালাল উপায়ে স্লটার করার কোন মানে হয়না! এখানে একটা নোট দেইঃ হালাল উপায়ে স্লটার করা মানেই এটা নয় যে রান্না করা ফুড হালাল কারণ অনেক সময় ধরুন বিফের সাথে পর্ক মেশানো হয়, অনেক সময় পর্ক ফ্যাট ব্যবহার করা হয়, ইত্যাদি। যাহোক, বাসায় রান্না করার জন্য মিট কিনতে চাইলে আমার মতে চোখ বুজে যেকোন দোকানের/ বুচারের কাছ থেকে চিকেন/ বিফ/ ল্যাম্ব কেনা যায়।
স্টিকি রাইস ব্যক্তিগতভাবে আমার একদমই পছন্দনা। অপেরা হাউজ/ সার্কুলার কি এলাকাটা আমার খুব বেশি কোলাহলময় মনে হয়। তবে ওখানকার একটা ভাইব আছে যা অন্য কোথাও পাওয়া যায়না।
সিডনির নিউ ইয়ার ফায়ারওয়ার্কস সারা বিশ্বে পরিচিত। ভালো স্পট থেকে দেখতে পেলে আসলেই অসাধারণ এক দৃশ্য। সুযোগ হলে একবার দেখা উচিত। অনেকে বিদেশ থেকে নিউ ইয়ারে সিডনি আসেই এটা দেখার জন্য। অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরেও ফায়ারওয়ার্কস হয়, লোক উপচে পরে; অজিদের ফায়ারওয়ার্কসপ্রিতী দেখে আমি অবাক হই। বেশ কয়েক ঘন্টা আগে এসে ৫-১০-১৫ মিনিটের আমি ফায়ারওয়ার্কসের জন্য বসে থাকে; বাসা থেকে পারলে চেয়ার-সোফা-লেপ-কম্বল নিয়ে আসে। আমি অবশ্য ফায়ারওয়ার্কসের ভক্ত নই।
অস্ট্রেলিয়া এমনিতেই বেশ এক্সপেন্সিভ একটা দেশ। তার উপরে জিনিস পত্রের দাম যে হারে বেড়েছে! তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন সম্ভবত হাউজিং ক্রাইসিস। রিসার্ভ ব্যংকের ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধির ফলে বাড়ি মালিকরা মর্টগেজের ভার ভাড়াটের উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে। আর গত কয়েক বছরে এত এত বেশি ইমিগ্রেন্ট অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে যে চাহিদা আর যোগানে ভারসাম্য নেই এখন। অনেক অজি এখন পার্কে তাবু খাটিয়ে, কারে, রাস্তায় থাকছে। জঘন্য একটা অবস্থা!
এখানকার পোশাকের দোকানগুলোর ছাড়ের (যেমন ৫০% ছাড়) ফাঁদে না পরাই ভালো। একদম গলাকাটা দাম; ২০০ ডলারের জিনিসের দাম ৪০০ ডলার লিখে ৫০% ছাড়ে ১৯৯.৫ ডলারে বিক্রি করবে। কিছু ছাড় অবশ্য আসলেই লেজিট! আর পোশাক জামা জুতা কেনার জন্য ডিএফও মোটামুটি ভালো জায়গা।
ব্লু মাউন্টেনস আমার পছন্দের জায়গার মাঝে একটা। বিশেষ করে হাইকিং বুশওয়াকিং এর জন্য চমৎকার। কিছু ট্রেইল আছে লম্বা— দুই, তিন লেগে যাবে শেষ করতে। বেশি সাপ খোপের ভয় থাকলে অবশ্য না যাওয়াই শ্রেয়! অন দ্যাট নোট, আপনি যদি শহর এলাকায় থাকেন তাহলে সাপ খোপ নিয়ে খুব একটা চিন্তার কিছু নেই। শহর থেকে বাইরে থাকলে এদের মেনে নিতেই হবে।
আপনার সিরিজটা ছবি আর বর্ননা ভালো হচ্ছে। পারলে আরেকটু ইন-ডেপ্থ অস্ট্রেলিয়ার মানুষজন, তাদের জীবন, তাদের ভাবনা, চিন্তা-চেতনা এসব লেখায় যোগ করতে পারেন। ৩য় প্যারার শব্দটা সম্ভবত ক্ষুধা, খিদে, বা খিদা।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম...
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯
শায়মা বলেছেন:
ভাইয়া
নিজেই করে খেয়েছি সত্যিই ই ই !!! আলু চাক চাক করে সিদ্ধ করে ভাজা ফ্রায়েজ। চেরী টোমাটো মাশরুম, চিকেন বিফ মাটন এসব। ইন্ডিয়ান কে খায় বৈদেশ গিয়ে!!!
তবুও খেয়েছিলাম লাকেম্বার খুশবু থেকে অবার্নের স্টুডেন্ট বিরিয়ানি থেকে। বাংলাদেশের মত সুস্বাদু নহে।
ভেগান তো জীবনেও হবোনা। আমি মাংসাশী প্রানী। মাংস ছাড়া আর মোটা হবার খানাপিনা ছাড়া আমার চলেই না।
আর গোপন কথাটা কি বললে ভাইয়া। শুনেই আমি ইন্নানিল্লাহ হয়ে গেলাম! গোপন কথাটি রহিলোনা গোপনে আর!!!
আমারও স্টিকি রাইস পছন্দ না আর ঐ রাইস কেক তো আরো বাজে। আর সারকুলার কি আর ওপেরা হাউজ আর যাই বলো কোলাহল বটে তবে আনন্দে সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছে এতেই মন ভালো করায়!
ভাইয়া লাস্ট ইয়ার আমরা ৩ টা থেকে বসে ছিলাম ফায়ার ওয়ার্কস দেখতে। এমনিতেই আমার বাচ্চাদের পছন্দের কান্ডগুলি বড় পছন্দের কাজেই এই ফায়ার ওয়ার্কস তো হবেই। অনেক অনেক অনেক ভালো লেগেছিলো অস্ট্রেলিয়ার ফায়ার ওয়ার্কস!!
কি বলো তাবু খাঁটিয়ে থাকছে!!! কি সর্বনাশ!!! ডি এফ ও আবার কি। জানিনা এটা জানিয়ে দিও আমাকে। নেক্সট টাইম সেখান থেকেই সব কিনে ফেলবো!
ভাইয়া সিডনীতে বনে জঙ্গলে সাপখোপ দেখিনি বটে তবে দেখেছিলাম এক শান্ত শিষ্ট ভদ্র সাপ। নিরীহ চোখে চেয়ে ছিলো আমার দিকে। মনে হয় ভয় পেয়েছিলো আমাকেই।
ভাইয়া, এটা মূলত আমার রোজনামচা। এই রোজনামচা শেষ হলে অস্ট্রেলিয়া থেকে শিখে আসা সব কিছু নিয়েই লিখবো একদিন।
পরের পর্বও এনে ফেলবো খুব শিঘ্রী শিঘ্রী।
১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ২:১৫
রানার ব্লগ বলেছেন: দুই কুমড়া মিক্স করে খাওয়ালে চিল্ড দিও। চিল্ড জুস আমার পছন্দের।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
শায়মা বলেছেন: তুমি ভালোই মিচকা আছো ভাইয়ু!!!!!!!!
এক কাজ করো মিক্সড কুমড়া জ্যুস তুমি নিজেই বানায় নিজেই খাও!
১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আচ্ছা তুমিও কি ব্লু মাউন্টেইনে গেছো?
বহুবার।
কতবার সংখ্যায় গুনে বলতে পারবো না।
বিডি থেকে যখনই কেউ আসে, তাদের নিয়ে মাস্ট ভিজিট ব্লু মাউন্টেইন।
সেভাবেও অনেক যাওয়া হয়েছে।
আবার ওই পথে সিডনির বাইরে যাওয়া আসা করলেও, ব্লু মাউন্টেইন একটু ঘুরে যাওয়া হয়।
ইকো পয়েন্ট ছাড়াও সেই এরিয়ায় আশেপাশে অনেক অনেক মাইন্ড ব্লোয়িং স্পট আছে দেখার জন্য।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ অনেকগুলো পয়েন্ট আছে শুনেছিলাম কিন্তু সেদিন এত লেট হয়ে গেছিলো যে আর কোথাও যাওয়া হলো না। নেক্সট টাইম আবার যাবো। যত্ত পয়েন্ট আছে তত্ত গুলোতেই!
১৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ইকো পয়েন্ট থেকে 15 km গেলেই Campbell Rhododendron Gardens Blackheath.
বিশাল পাহাড়ি এলাকা জুড়ে অনেক লুক আউট, ট্র্যাকিং, পিকনিক স্পট, যা চাও সব আছে।
সিজনে গেলে মাথা নষ্ট করা সুন্দর। নীচের গুগুল ইমেজে কিছু ছবি দেখো।
if you visit in autumn or springtime, you'll go crazy
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে অবশ্যই যাবো। স্প্রিং এ যাবো নিশ্চয়! কিন্তু তাহাদের স্প্রিং টাইম কোনটা??
আমি তো দুবারই সামারে গেলাম।
১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
লিংক যায়নি
https://www.rhodogarden.org.au/
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা দেখবো অবশ্যই !!!!!!!!!!
১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:০১
আরইউ বলেছেন:
ওহ, শিরোণামে অস্ট্রেলিয়া বানানটায় টাইপো আছে!
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
অস্ট্রেলিয়া বসেই রোজ রাতে রোজনামচা লিখে রাখতাম। এটা আমার আসলে ভ্রমন ব্লগ না এটা আমার রোজনামচা ব্লগ!
সেই সময় তাড়াহুড়ায় এই ভুলভাল বানান লিখে ফেলেছিলাম আর সেটাই কপি করে দিয়ে ফেলেছিলাম ভাইয়ু!
থ্যাংক ইউ মনে করিয়ে দেবার জন্য। কাল রাতে ঘুমিয়ে গেছিলাম পোস্ট দিয়ে তাই আর কমেন্টের জবাব দেইনি। তোমার বিশাল মন্তব্য নিয়ে কিছু বলার আছে আমার তাই সেটার জবাব পরে দিচ্ছি।
২০| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
তুমি যদি ট্র্যাকিং করতে চাও, এই ফুলের ঝোপ ঝাড়ের ভেতর দিয়েই তোমাকে যেতে হবে।
এটা অনেক ভালোলাগার একটা জায়গা।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১
শায়মা বলেছেন: এক্কেবারেই মনেরও রঙ লেগেছে গানটার মত ছবিগুলো!!!
বড়ই সৌন্দর্য্য!!
২১| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
কাওসার_সিদ্দিকী বলেছেন: ছবির পাশাপাশি/সাথে ভিডিও দিতে পারো তোমার ব্লগে।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩
শায়মা বলেছেন: ওকে ওকে টেরাইং করিবোক ভাইয়ু!
২২| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৪
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: অসাধারণ সুন্দর সব জায়গা সব আপা। যেতে ইচ্ছে করছে। স্কুটার নিয়ে অবশ্যই।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৪
শায়মা বলেছেন: হা হা যেখানেই যাও ব্লু মাউন্টেনে কিন্তু স্কুটার নিয়ে ওঠা যাবেনা ভাইয়া। হা হা
২৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অস্ট্রেলিয়ান পোলাও আর ক্যাঙ্গারুর রোস্ট খাও নাই!
যদি না খাও তাহলে আর ওখানে গিয়ে কি লাভ?
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫
শায়মা বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ান পোলাও আবার কি???
চারিদিকে তো শুধু ফ্রায়েড রাইস দেখেছি।
আর ক্যাঙ্গারুর রোস্ট!!!
না না খাইনি কিন্তু অনেক ক্যাঙ্গারুর মাংস বিক্রি হতে দেখেছি!
২৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পাহাড়ি মেয়ে নৃত্যের ভঙ্গিমায়
ছল ছল উচ্ছল চঞ্চল ঝর্ণা ধারা
নেমে আসে পাহাড়ের বুক চিড়ে
জানা নেই কার পানে ভালোবাসে কাহারে
সঙ্গম সন্ধানে অবিরাম তার ছুটে চলা আহারে
ধিনতা ধিনতা তাতা থৈ গিরিখাত পাহাড়ে
সবুজ বাননী পাখির কলতান
ফুলের সুভাস ভ্রমরের গান
সবকিছু বুকে লয়ে সাগরের সন্ধান
ফেনিল সাগরের বুকে তাই উঠে ঢেউ
আছড়ে পরে সমুদ্র সৈকতে
নদী সাগর মোহনা গঙ্গা যমুনা
নৌকো নদী চাঁদ পৃথিবী অভিকর্ষ
জোয়ার ভাটা ভালোবাসা স্নান
তুমি যেন এক নির্জন দ্বীপ
তোমায় ভালোবেসে হয় মোর উত্থান
পদ্যের ছন্দে ফাগুন হাওয়ায় মৃদুমন্দে
দোলে মন দোলে প্রাণ
এসেছে ফাগুন মনেতে আগুন
বসন্তের অনুরাগে মোরা দুজন
চালো গাই ভালোবাসা গান ।
একেবারে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া । নারী আর প্রকৃতি অপূর্ব সমন্বয় সঙ্গে নৃত্যের ভঙ্গিমা পাহাড় ঝর্ণা থরে থরে সাজানো শিলাদল সবুজ বৃক্ষ সাবলিল বর্ণনা চমৎকার।
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
কাব্য আর মন্তব্য পড়িয়া আমি তো ট্যারা হয়ে গেলাম!!!
হা হা থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ পোস্ট পড়ে ছবি দেখে কাব্য লিখে ফেলার জন্য!!!
২৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
আরইউ বলেছেন:
শায়মা,
শহর থেকে দূরে না গেলে ওয়াইল্ড লাইফ তেমন একটা দেখা যায়না। ট্যুরিস্টি এরিয়ায়তো ওয়াইল্ড লাইফ কম থাকবে স্বাভাবিকভাবেই। অনেকে মনে করে অস্ট্রেলিয়া মানেই এখানে সেখানে ক্যাংগারু। একদম ঠিক নয়। আমি জানিনা আপনি এখনো ওয়াইল্ড-এ ক্যাংগারু দেখেছেন কিনা।
ডিএফও হচ্ছে এক ধরণের শপিং সেন্টার। বিভিন্ন ব্রান্ডের জিনিসপত্র তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। সিডনি ডিএফওতে আমি কখনো যাইনি। তবে ওটা অলিম্পিক পার্ক এলাকার কাছাকাছি সম্ভবত। মিরর ভালো বলতে পারবে।
রোজনামচা চলুক...
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৮
শায়মা বলেছেন: ওকে ডিএফও খুঁজে বের করবো এরপর!
আমি ক্যাঙ্গারু দেখেছি কিন্তু কোথায় সেটা পরের পোস্টেই জানাবো ভাইয়া। তবে ময়ূর যে এত সুন্দর রঙের হতে পারে তা আমি কখনই চিড়িয়াখানার ময়ুর দেখে জানতামই না।
সব নিয়ে আসছি এর পরের পোস্টেই।
তবে অস্ট্রেলিয়ার সব পাখিরাই কি যে সুন্দর!!!!!!!
রোজ রোজ হানা দিতেন ইনি আর তাকে একটু বাদাম খাওয়াতেই উনি নেট ছিড়ে বারান্দার টবের গাছ উপড়ে শেষ করে ছেড়েছিলেন।
২৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৪
আরইউ বলেছেন:
ওটা একটা কোকা[হ]টু! ভিষণ দুষ্ট এগুলো। একবার মাথায় উঠতে দিলে আর নামতে চাননা ভদ্রলোকেরা।
সব পাখি সুন্দর না সম্ভবত। যেমন, আমার কাছে বিন চিকেন ভালো লাগেনা।
পরের পোস্টের অপেক্ষায়...
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৩
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া বিন চিকেনদের সাথে ছবি তুলেছিলাম। প্রথমে তাদের লম্বা ঠোঁট দেখে ভয় পেয়েছিলাম পরে বুঝলাম তারা ভী্তুর ডিম্ব!
একটা ভিডিও দেখেছিলাম এক লোক অস্ট্রেলিয়া গিয়ে বিন চিকেন ধরে রান্না করে খেয়েছিলো। হা হা এই কোকাটুগুলো এত সুন্দর! কেউ স্বপ্নেও তাদের খেতে পারবে না।
লরিকিট একটা পাখি আছে না?? কি যে সুন্দর!!!!!!!!!!!!
আর কোকাবুরা তো আসলেই এক বুড়া মানুষ মার্কা গুরুগম্ভীর!!!
স্যুভেনিয়র শপ থেকে সব পাখি নিয়ে এসেছি।
২৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৫
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: কেমন আছো শায়মা আপু?
ভ্রমণ কাহিনী পড়ে খুব ভালো লাগলো বেশ এনজয় করে। কিন্তু সমস্যা হল কিছু কিছু ছবি দেখা যাচ্ছিল না, তার জন্য পুরোপুরি উপভোগ করতে পারলাম না কিন্তু যতটুকু ছবি দেখতে পেরেছি এবং লেখা পড়তে পেরেছি বেশ ভালই লেগেছে!!
সব সময় এমন হাসি খুশি থেকো, শুভকামনা জানবে
০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৯
শায়মা বলেছেন: আমি ভালো আছি বিপাশামনি!!!
কিছু ছবি দেখা যায় না যখন তোমার নেট স্লো থাকে। কারণ বড় ছবিগুলো ইমগুর দিয়ে দিলে এমন হয়।
অনেক অনেক ভালোবাসা!
২৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:১৫
মোঃ মোক্তার হাসান সবুজ বলেছেন: লেখাটা অনেক মজা পাইলাম
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু লেখাটা পড়ার জন্য।
২৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন, সেটা জানতে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
শায়মা বলেছেন: সব পড়েছো আমার সহজ সরল ভাইয়ু ????
এইবার অস্ট্রেলিয়া গেলে কিন্তু আমার সাথে যাচ্ছো। মনে আছে??
আমরা গিয়ে আরইউ ভাইয়ার বাসায় উঠবো।
৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪১
মিরোরডডল বলেছেন:
আরইউ বলেছেন:
ডিএফও হচ্ছে এক ধরণের শপিং সেন্টার। বিভিন্ন ব্রান্ডের জিনিসপত্র তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। সিডনি ডিএফওতে আমি কখনো যাইনি। তবে ওটা অলিম্পিক পার্ক এলাকার কাছাকাছি সম্ভবত। মিরর ভালো বলতে পারবে।
হ্যাঁ ওটা অলিম্পিক পার্কের কাছাকাছি।
এতো বছরেও আমার মাত্র দুই তিনবার যাওয়া হয়েছে কারণ ওটা আমার কনভিনিয়েন্ট লোকেশন না।
কোন এক পোষ্টে আরইউর আজ দুপুরের এক কমেন্ট পড়ে হাসলাম।
উফ!!! পারেও বাবা
ধৈর্য আছে অনেক।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
শায়মা বলেছেন: এরপরের বার যাবো ডিএফও।
আরইউ ভাইয়ার মনে হচ্ছে সারা অস্ট্রেলিয়া মুখস্থ!!!!!!
আর তুমি আঝ দুপুরে হেসেছো???
কাল রাতে আমি মরেই গেছিলাম হাসতে হাসতে এক গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের পোস্টে কমেন্ট দেখে।
এইটা যে বদ্ধ পাগল সে আমি অনেক আগেই বুঝেছিলাম।
আর আরইউ ভাইয়া যুক্তিতে লইয়ার /ব্যারিস্টার আর তেমনি মজার। হাসাতে হাসাতে মেরে ফেলে।
৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
যাকে নিয়ে কাল রাতের কাহিনী, এই পোষ্টে গেলে দেখবে গত মাসেই ওকে আমার চেনা হয়ে গেছে। কমেন্টগুলো পড়লেই জানবে। তার পোষ্টে আমি আগেও যাইনি, আর যাবোও না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৬
শায়মা বলেছেন: হা হা আমি পড়ে এলাম।
মিডল সাহেব, প্লেজ, মন্ত বড় বড় বিশারদদের সাথে ওঠা বসা হা হা হা হা মরে যাবো আমি।
এখানে অবশ্য উনি বড় একজন বিশারদকে পেয়েছে যার জন্য কাল রাতে উনি তিড়িং বিড়িং ঘোড়ায় চড়িং করে এমনই একজনের সাথে লেগেছিলেন যিনি বড় বিশারদের বাবা।
৩২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লাল জামার সাথে কালো রঙের মালা পড়লে ভালো হতো।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
শায়মা বলেছেন: এটাও কি কম ভালো???
কি সুন্দর ক্রিম মুনস্টোনের মালা পরেছি আমি!!!!
কই লুকায় থাকো ভাইয়া????
এর আগের পর্ব পড়ো শিঘ্রী!!
৩৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫২
মিরোরডডল বলেছেন:
সেই পোষ্টে মার্শর প্রতিমন্তব্যগুলোও পারফেক্ট হয়েছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৫৮
শায়মা বলেছেন: আমার একজন ব্লগ গুরু ছিলো। সে বলেছিলো যুক্তিবান মানুষের সাথে যুক্তি চলে তর্ক চলে। তাদের ঘায়েল করাও সম্ভব।
একমা্ত্র ব্রেইন ডিফেক্ট আছে যাদের তাদের সাথে জয় লাভ সম্ভব নহে। তারা হলো পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়। তিনিও
বড় বড় বিশারদ ধরা নাম্বার ওয়ান উন্মাদ! এই উন্মাদকে যতই পারফেক্ট উত্তর দাও সে ধেউ ধেই করে নাচবে তার মন্ত আর সন্ত দিয়ে।
৩৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩
করুণাধারা বলেছেন: ছবিগুলো দেখতে দেখতে তোমার সাথে ঘুরলাম! আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে এর মধ্যে কোন জায়গায় যেতে চাও, আমি এক মুহুর্ত না ভেবে বলে দিতাম, ওই পাহাড়ের ঝরনা ধারার কাছে...
ভাবছি দেশের পিজারিয়ায় খাবার পর এভাবে দাম না দিয়ে বের হয়ে গেলে কী হতে পারতো! দোকানের লোকেরা ঘিরে ধরতো আর অন্য যারা খেতে এসেছিল তারা নানা মন্তব্য করত, যেমন "দেখে তো মনে হয় ভালো মানুষের মেয়ে। এইভাবে মনে হয় বিনা পয়সায় খেয়ে বেড়ায়।"
আবার বলোনা, সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি!
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৯
শায়মা বলেছেন: আসলেই আপুনি ঐ পাহাড়ের ঝরনাগুলোর একটা এটা। আরও অনেক ঝরনাই ছিলো। আমি তো পারলে ঐ ঝরনার একদম কাছাকাছি যাই। পরে অবশ্য সেই চিন্তা বাদ দিলাম। নেক্সট টাইম সহজ সরল ভাইয়ুমনির সাথে তোমাকেও নিয়ে যাবো ওকে আপুনি???
আর পিজারিয়া মনে হয় আমাদের মনে না পড়লে ওদের জীবনেও মনে পড়তো না কে খেয়ে চলে গেলো দাম না দিয়ে। কিন্তু আমরা যে ঐ কাজ নিজেরাও কি করে করেছিলাম সেটা ভেবেই আমি শেষ। এমন ভুল কেউ করে!!!!!
হা হা
তারপরেও সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি।
কেউ খেয়ে দেয়ে দাম না দিয়ে চলে যাবে আর হাবার মত বসে থাকবে নাকি??? ঠিকই করবে ঘাড় ধরবে। ওমন হাবার দেশের মত কাজ করে নিজেরাই বোকা হবার দরকার নেই। একদম চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
৩৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: এইবার সেলফি স্টিক সাথে নিয়া ভ্লগ করেন। খানাদানার বিষয়ে হালাল/ভেগান আইটেম খুজবেন তাইলে আর কোন উদ্ভট সমস্যায় পড়বেন না।
অট ঃ ব্লগে এম ডি মুসা নামে নতুন এক বিনোদনের দেখলাম উদ্ভব হয়েছে। তিনি কোন দুর্বোধ্য ভাষায় পোস্ট বা কমেন্ট লিখেন , তা আমার বোঝার বাইরে। আর যাই হোক ভাষাটা আমার বাংলা বলে মনে হয় না, যদিও অক্ষরগুলো বাংলা
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪২
শায়মা বলেছেন: আরে সেল্ফি নিয়ে কে ঘোরে। কত হেলপী আছে চারদিকে!!!! তাদের দিয়েই তোলাবো ভাইয়ু!!!!!!
হা হা নতুন বিনোদন এত নতুন না সে আগেও কিছুদিন এইভাবে তাইরে নাইরে তানা তানা করে গেছিলো। মাঝে মাঝে উদয় হন।
তার দূর্বোধ্য ভাষা আর দূর্বোধ্য গিয়ান গরিমায় আমি ভীষনভাবে বিনোদিত!
মনে হয় এই ভাষার উদ্ভাবক উনি নিজেই! উনার নামের সাথে মিলাইয়া এই ভাষার নাম মুসিবত ভাষা। অবশ্য শুধু মুসিবত নহে বড় মুসিবত ভাষা!
৩৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
আরইউ বলেছেন:
মিররের দেয়া লিংক ধরে গিয়ে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যগুলো পড়লাম (ধন্যবাদ মিরর)। কবিতা সচরাচর পড়া হয়না বলে মার্শের লেখার সাথে খুব একটা পরিচিত নই। কিন্তু মার্শ যেভাবে প্রতিমন্তব্য করেছেন তা খুবই ভালো লেগেছে।
যাহোক সব পড়ে শুনে বুঝে আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। ওনার বাংলার যে অবস্থা তাতে হয় নিকটা কোন অশিক্ষিত লোক চালাচ্ছে অথবা লোকটার কোন ধরণের ডিজেবেলিটি আছে। সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের আচরণ, বক্তব্য এমন হয়না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৪
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া উনার উদ্ভাবিত ভাষ্যের নাম খুঁজিটা পাইয়াছি। সেই ভাষার নাম মুসিবত ভাষা।
৩৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
আরইউ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইয়া বিন চিকেনদের সাথে ছবি তুলেছিলাম। প্রথমে তাদের লম্বা ঠোঁট দেখে ভয় পেয়েছিলাম পরে বুঝলাম তারা ভী্তুর ডিম্ব!
একটা ভিডিও দেখেছিলাম এক লোক অস্ট্রেলিয়া গিয়ে বিন চিকেন ধরে রান্না করে খেয়েছিলো। হা হা এই কোকাটুগুলো এত সুন্দর! কেউ স্বপ্নেও তাদের খেতে পারবে না।
লরিকিট একটা পাখি আছে না?? কি যে সুন্দর!!!!!!!!!!!!
আর কোকাবুরা তো আসলেই এক বুড়া মানুষ মার্কা গুরুগম্ভীর!!!
স্যুভেনিয়র শপ থেকে সব পাখি নিয়ে এসেছি।
সেই ছবিগুলো কোথায়? পরের কোন পর্বে আসছে নাকি! হ্যাঁ, নিউজে দেখেছিলাম, এইশান ডিসেন্টের এক ভদ্রলোক সম্ভবত বিন চিকেন ধরেছিল খাওয়ার জন্য। লরিকেট খুবই কালারফুল। কোকাবুরা একটু উদাস টাইপের। একটা পেঁচা গোত্রের পাখি আছে নাম ফ্রগমাউথ। এরা অনেক সময় রাতে রাস্তার মাঝে এসে চুপচাপ বসে থাকে, গাড়ি দেখলেও উড়ে পালায়না। রাস্তায় কী এক যন্ত্রণা বলুন!
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫২
শায়মা বলেছেন: পরের পর্বে যেই আলিফ লায়লা মার্কা সব ছবি আনবো তাহা দেখে কবি সেলিমভাইয়ু কবি থেকে ছবি হয়ে যায় কিনা চিন্তায় আছি ভাইয়া। হা হা
তবে বিন চিকেনের ছবিও আনবো নাকি?? আচ্ছা আনবো না হয়।
তাহলে সেই লোক ধরেছিলো কিন্তু খেতে পারেনি। যাক বেঁচে গেলো বিন চিকেন এই ভয়ানক লোক থেকে।
ফ্রগমাউথের মুখ কি ফ্রগের মত নাকি? যাই সার্চ দিয়ে দেখে আসি। তবে ভাইয়া একখানে গেছিলাম এক ইউনিভার্সিটির ডরমিটারী সাইডে, সেখানে গিয়ে গিরগিটি দেখে দেখে আমি তো ভয়ে শেষ। চারিদিকে এত গিরগিটি আছে বাপরে!!!
৩৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি এই ব্লগারের কোন লেখা পড়িনি, তাই লেখা কেমন সেটা জানিই না।
তবে যেটা মনে হয়েছে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য দেখে, নিজেকে বিশেষ কিছু একটা মনে করার প্রবণতা।
অন্যদের সম্পর্কে বুঝে না বুঝে জাজ করে মন্তব্য করেন। যেটা ঠিক না।
কারো পোষ্টের তার কমেন্ট থেকে জেনেছি বয়স মিড টুয়েন্টি, এই বয়সের মানুষ সাধারণত প্রাণবন্ত হয় কিন্তু তার ক্ষেত্রে বয়সের তুলনায় একটা সবজান্তা ভাব।
আমি ইউজ্যালি এভাবে কাউকে বলিনা কিন্তু তাকে নিয়ে বলতে হলো, যেহেতু সে আমাকে না জেনেই সেই পোষ্টে নেগেটিভ কমেন্ট করেছ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৫
শায়মা বলেছেন: এই ব্লগো এর লেখা না পড়ো মন্ত তো পড়েছো তাতেই চলিবেক। মুসিবত ভাষা বিষয়ক জ্ঞানার্জন করেছো!
নেগেটিভ ঠিক না মথায় গন্ডগোল!
৩৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৫
আরইউ বলেছেন:
কে জানে রিপিট অফেন্ডার কিনা। আগে হয়ত ধরে খেয়েছে কারো চোখে পরেনি!
ফ্রগমাউথ দেখতে কিউট! লিজার্ড দেখে ভয়ের কিছু নেই। ওরা নিজেদের মনে থাকে—সাধারণত কারো সাতে পাঁচে নেই ওরা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া গিরগিটি তো লিজার্ডের বাবা। কি যে ভয় লাগে আমার! আমি নরমাল টিকটিকি দেখলেই নাই হয়ে যাই সেখান থেকে।
আর অস্ট্রেলিয়ায় গিরিগিটি ভরা।
৪০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২২
আরইউ বলেছেন:
@মিরর,
বেচারার মন্তব্য আর মন্তব্যের জবাব পরে যা বুঝলাম তিনি কাউকে তার মনের কথা বুঝিয়ে বলতে পারেননা। ওনার মন্তব্যের মানে বুঝতে গেলে মাথা ব্যাথা হয়ে যায়! বানান ভুল সবারই হয়; আমি আইপ্যাড থেকে লিখি, অনেক সময় টাইপো থাকে। ভুল এক কথা আর বাক্য ঠিকমত শেষ করতে না পারা, পুরো কথা না লিখেই বাক্য শেষ করে দেয়া অন্য জিনিস। কেউ যদি লেখে “আমি গরু” তাহলে আমরা পাঠকরা কিভাবে বুঝবো যিনি বলছেন তিনি “আমি গরুর মাংস পছন্দ করি“ বলতে চেয়েছেন না নিজকেই গরু হিসেবে আইডেন্টিফাই করতে চাইছেন!
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯
শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা ভাইয়া আমি গলু আদোআদো ততা বলি কালন আমাল বুদ্ধি ২ বতলেল।
সেদিন রুপক বিধৌত সাধু ভাইয়া বলেছে শকুনের দোয়ায় গরু মরে না। সে বলে আপনে নিজেকে তো গলু বনাইলেনো..... হা হা হা
কারণ নিজে গলু তো তাই অন্যকে গলু বানালেও কত্ত লাগে।
৪১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০১
স্প্যানকড বলেছেন: ইরান তুরান বাংলাদেশ ছেড়ে সিধা অস্ট্রেলিয়া ! খুব ফুর্তি করছেন দেখে ভালো লাগছে । আশেপাশে কিন্তু সুন্দর সমুদ্র সৈকত আছে যেতে পারেন । নীল জলে দাপাদাপি মাথার উপরে স্বচ্ছ নীল আসমানে উড়ছে অজ্ঞাতনামা শঙ্খচিল । একটা গান মনে পড়ে গেল আমি শুনেছি সেদিন নাকি তুমি তুমি মিলে... ( মৌসুমী ভৌমিক ) ।ওকে, ফুর্তি করুন মাস্তি করুন এমন প্রানবন্ত চমৎকার থাকুন আজীবন
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:২১
শায়মা বলেছেন: ইরান তুরানেও যাবো ভাইয়ু!!! তবে অস্ট্রেলিয়া অবশ্য সাধে যাইনা। কারণে কারনেই যাই। হ্যাঁ সমুদ্র সৈকতেরই দেশ অস্ট্রেলিয়া। অনেক সুন্দর সব বীচ আছে।
৪২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কাটছে কেমন তোমার দিন?
মনে হয় স্বপ্ন রঙিন!
আনন্দে তাই লিখছো যেন
তোমার প্রজাপতি ক্ষণ।
। ফুলে ফুলে যেমন করে
তুমিও ঠিক তেমন করে
বসন্তের অনুরাগে রঙের বাহার
দুচোখে মোর লাগে যে ঘুর
তোমার নেশা যায় বেড়ে ফাল্গুনে
যেন সহস্র বছর ধরে কাল গুনে
গতরাতে বৃষ্টি ছিলো তোমার আমার প্রণয়ের আহবান
আ জ সকালে তাই শুণা গেল কোকিলের কুহুগান
কাজের মাঝে ডুবে থেকেও যায় কি ভুলা ?
তোমার আমার অভিসার বসন্তগান ...
আমার অংবং কবিতা পড়ে ওমন ই হবার কথা । এবারেরটা কেমন হলো?
মিউজিয়ামের ভেতরটা দেখা হলো না। তোমাকেই দেখা হলো। লাল ড্রেসটা বেশি ভালো হয়েছে। আর প্রথম ছবিটাতো কবিতার ছবি হওয়ার মতো । ফলমূল খেলে হয়তো হালাল খাবার খাওয়া হবে ।
০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৬
শায়মা বলেছেন: এবারেরটাও অংবং হয়েছে ভাইয়ু!
আর শুধু ফলমূল খেয়ে থাকতে পারবো না।
৪৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ছবিগুলি।
০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৬
শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ.......
৪৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দাবী
তুমিছাড়া যেন পথহারা এক পথিক আমি
তুমিহীনতায় আমি হয়ে যেতে পারি বিপথগামী ।
অবজ্ঞার জল দিয়ে তবু চাইনা তোমায়
অন্যরা যারা ফায়দা নিয়েছে,
ওরা প্রেমিক ছিলনা কোনদিন — ছিল সুযোগ সন্ধানী
ফায়দা লাভের মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে হয়তো ঢেলে দিয়েছে অবজ্ঞার জল
তোমাকে নিরুপায় করে শিকার করেছে— করেছে বধ
জানি তোমার হৃদয়ের ছোট্ট ঘরে আমার বাস
ভালোবাসার বিনিময়ে ওগো চেয়েছি যে তোমার হাত
আমি চাইনি কোনা কালিমা— তোমার ললাটে থাক
তুমি জানো তোমাকে কাছে পাবার জন্য
আমি থেকে যেতে পারি সঙ্গমহীন— সহস্র রাত
তবু যেন চলে না যাও তবু যেন থাকো মোর পাশে
তোমার কী নেই মনে অনন্ত প্রেমে— আমাদের বিনিদ্ররাত
এমন যৌবনে এমন করে ক’জনে পারে বলো
এখন আমি জানি প্রেমের পরণতি সঙ্গমেহবে —
এখনও আমি খুঁজি পূর্ণিমারাত —পূর্ণিমা চাঁদ
যে পূর্ণিমায় হবে, তোমার আমার মোলাকাত।
প্রেমের আলিঙ্গনে আমরা হবো এক দেহ এক প্রাণ
আমরা মিশে যাবো যেমন করে মিশে যায় নদী — সাগরে
আমরা যে ছুঁয়েছি মোহনা কয়েকবার
এবার আমরা হযে যাবো — একাকার,
এসেছে বসন্ত মনে তাই আনন্দ
এখন আর যে খুব বেশি দূরে নয়
যেন আমাদের খুব কাছাকাছি — বসন্তের অনুরাগ
এবার তুমি আমার হবে —
গল্প কবিতায় ভালোবেসে আমার কথা কবে ...
তাহলে নিজে রান্না করে খেতে হবে যে। তাছাড়া ওখানে পর্ক পর্কের তেল যা দারুন ভাবে নিষিদ্ধ খেতে হবে । আমি হারাম বেচে চলার চেষ্টা করি। আসলে এমনিতেই কত ভুল কত পাপ হয় জানা না জানা আমি চাই দেহটা পবিত্র থাক। টাকা দিয়ে হারাম জিনিস কেনা যুক্তিসংগত নয় । তোমার রান্নার হাত রেসিপি সহযোগে ব্যস্ত থাক এই শুভকামনা ।
০৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৪
শায়মা বলেছেন: গুড গুড পাপ বাড়িয়ে লাভ নেই।
৪৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩
রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: তুমি ভালোই মিচকা আছো ভাইয়ু!!!!!!!!
এক কাজ করো মিক্সড কুমড়া জ্যুস তুমি নিজেই বানায় নিজেই খাও!
খাওয়ানোর কথা বলে পরে অস্বিকার করা টা মোটেও ভালো আতিথিয়তার লক্ষন নহে ।
০৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৩
শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক তোমার জন্য করল্লার জ্যুস বানাই.... যাই।
৪৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একটা গানের পাখি হারিয়ে গেলো
আসবে না আর ফিরে,
যে চলে যায় মরণের উপারে
সে কী আর ফিরে আসে, পাখি যায় মরে
তবুও বেঁচে থাকে গান যুগ যুগ ধরে,
শিউলি ঝরে যায় শিশির ভেজা ঘাসে
পাখি যে গেছে মরে গাইবে না আর গান
উড়বে না আর বসন্ত হাওয়ায় হাওয়ায়
তাই জুড়োবে না প্রাণ , শ্রবণে তার গান
লাগতো যে ভালো খুব
তার গাওয়া গান । নির্মম মৃত্যু হলো তার
কতটা দুঃখ পেলে মানুষ নিজেই মরে যায়
বসে বসে ভাবি , কী ছিল তার দাবি
কি হলে মরতো না সে
কেন যে হলেন তিনি অনন্যোপায়, হায় !
কতটা দুঃখ পেলে মানুষ এমন মরে যায়।
১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১১
শায়মা বলেছেন: গানের পাখীর জন্য সুন্দর কবিতা!
সে আর ফিরবে না...
৪৭| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
ইখতামিন বলেছেন: সুন্দর
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
শায়মা বলেছেন: ইখতামিন ভাইয়ু!!!
এখনও আসো !!!
কেমন আছো? কি করছো? কোথায় আছো?? কোনো খবরই আর জানিনা।
৪৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:১৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: দারুন, পোষ্টটি আমি অফলাইনে পড়েছিলাম, মন্তব্য করা হয়নি । ছবি এবং লেখা দুই ভাল লাগল। বেশ এঞ্জয় করেছেন মনে হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
পরবর্তী পোস্ট ডায়েরী স্টাইলে লেখা আছে। কিন্তু পোস্ট স্টাইলে যে লিখবো সেই সময় নাই জীবনে। জীবন হঠাৎ বেশি বেশি ব্যস্ততাময় হয়ে উঠেছে। এতটুকু ছুটি নেই !
যাইহোক পরবর্তী পর্ব পাবলিশ করে ফেলবো ইনশা আল্লাহ তাড়াতাড়ি।
তবে ইফতারী পোস্টও আমার জমে যাচ্ছে তো।
কি যে করি!!
৪৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
কি যে করি!!
কি আর করবে!
পোষ্ট দিয়ে দাও।
আমরা একটু আড্ডা দেই।
২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
শায়মা বলেছেন: কোনটা দেবো?
অস্ট্রেলিয়া ৩ নাকি ইফতার???
৫০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
যেটা রেডি আছে সেটাই দাও।
কিন্তু দাওতো কিছু!
২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
শায়মা বলেছেন: দিচ্ছি দিচ্ছি!!!
লিখতে লিখতে ঘুমাই যাই আজকাল তো!!!!!!!!
স্কুল বন্ধ হয়নি। একটার পর একটা অনুষ্ঠান। ইফতারের পর মনে হয় ইফতার না গাঞ্জা খেলাম নাকি!! ঘুমে ঢুলে পড়ি!
৫১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:০৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যা আছে তাই দাও
যেটা সহজ তোমার কাছে
তোমার সাথে বলতে কথা
সবাই যেন মুখিয়ে আছে
অব্যক্ত সব মনের কথা
বলে যদি তৃষ্ণা মেটে প্রাণের
সেটাই কি আর কম পাওয়া?
ইচ্ছে হলে জুড়ে দিও আবৃত্তি, নাচ কিংবা গানের লিংক
কিছুটা সময় বের করো
সময় দাও কথোপকথনে কাটিয়ে দাও
আনন্দ বেলা
তবুও তো হবে জানা
ইফতার খানাপিনা
কিংবা ভ্রমণ কাহিনী
যা পারো মনে রেখো
কথা আছে যে আমারো
.....................
যদি পারো এখনই দাও
কালবিলম্ব আর করো না
প্রিয়ংবদা, সঙ্গ তোমার মধুর মতো
আনন্দ প্রহর এবার ডেকে আনো।
২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শায়মা বলেছেন: হা হা
এখন না তোমার তারাবী পড়তে যাবার কথা ভাইয়ু কবি!!!
৫২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
লিখতে লিখতে ঘুমাই যাই আজকাল তো!!!!!!!!
'লিখতে লিখতে ঘুমাই যাই আজকাল'
এই পর্যন্ত ঠিক ছিলো।
যেই বললে আজকাল তো
তখন কিন্তু এটা মুসিবত ভাষা হয়ে গেলো।
সঠিক হবে
'আজকাল তো লিখতে লিখতে ঘুমাই যাই'
২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০০
শায়মা বলেছেন: হা হা জানো না আমি ঢঙ্গী! তাই একটু ঢং ঢাং করে ঐভাবে বলি তো!!!!!!!!
হা হা হা হা
আগে ঈদের কেনাকাটা গিফটস এসব নিয়েও পোস্ট দিতাম। যখন সামুর সোনার যুগ আছিল।
তখন কোনো গোমড়ামুখো রামগড়ুরের ছানারা কুমড়োপটাশ বুড়ারা ছিলো না সামুতে।
আজকাল তো হরিদাম কুমড়োপটাশ বানান খটাশে ভরে গেছে সামু প্রাঙ্গন!
৫৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
you don't need to worry about who's here or not.
তুমি তোমার মতো পোষ্ট দাও।
যারা পড়ার পড়বে।
অন্যরা কে কি বললো, হু কেয়ারস!
২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১১
শায়মা বলেছেন: নো কেয়ারস!!!
কিন্তু তাতেও প্রবলেম!!
ভাবলাম ছবিগুলো আপলোড করে দিয়ে দেই পোস্ট।
পোস্ট করুন এ ক্লিক করার আগে দেখি মশা মাছির মত ছোট ছোট পিকচারস। এর পরের পোস্টখানা মূলত আমার সাজুগুজু গয়নাগাটি এসব যদি এমন খুদি খুদি দেখা যায় তাহলে চলবে??
তাই ইমগুর করতে বসলাম!
৫৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তারাবী নামায/ এশার নামায এখানে রাত সাড়ে আট ঘটিকায় । আর আমি না থাকলে অন্যরা পড়বে ।
২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৬
শায়মা বলেছেন: হুম তাহা বটে তাহা বটে!
তবে কালও শেষ করতে পারিনি পোস্টটা!
আজ ইনশা আল্লাহ করবো!!!
৫৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৩
রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: তুমি ভালোই মিচকা আছো ভাইয়ু!!!!!!!!
নাহ, যেদিন তোমাকে ছাড়াতে পারবো ওই দিন একটা পার্টি দেব ।
২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৪৭
শায়মা বলেছেন: আহা আসছেন আমার সাধুবাবা!
৫৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৫৪
ইখতামিন বলেছেন:
এইতো ভালো আছি.. তেমন কিছু করছি না.. এই শহরেই আছি..
০২ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১১
শায়মা বলেছেন: তেমন কিছু করছো না? তো কেমন কিছু করছো?
যাইহোক কতজনকে মনে পড়ে, কোথায় আছে তারা? কেমন আছে?
ইশতিয়াক চয়ন কোথায় গায়েব হয়ে গেলো?
আকাশটালাল? সেও লাপাত্তা।
আর ঐ যে একটা মেয়ে ছিলো। কি যেন নামটা? তাকেও মনে পড়ে।
আরও মনে পড়ে ধীবর ভাইয়া, অরুনাভ ভাইয়া কত মানুষ হারিয়ে গেছে এই ব্লগ থেকে....
৫৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবীর সব মিউজিয়ামেই বোধহয় ভেতরে ছবি তোলা নিষেধ।
থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য বিশ্বের বহু দেশ থেকে পর্যটকগণ সিডনিতে আসে। ঐ সময়ের সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে বিমান ও হোটেল ভাড়া অস্বাভাবিক উচ্চ থাকে। অনেক আগে টিকেট করা থাকলে সেটা অন্য কথা। বছরের প্রথম দিনটি (মধ্যরাত) সবার আগে উদযাপনের একটি অদৃশ্য প্রতিযোগিতা থাকে। জাপানের পরেই অস্ট্রেলিয়া সেটা উদযাপন করে।
সিডনিতে আগে একবার গিয়েছিলাম, কিন্তু তখন ব্লু মাউন্টেনে যাওয়া হয়নি। এর পরের বার গেলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৪১
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া। আমিও লাস্ট ইয়ার একদম কাছে থেেকেই দেখেছিলাম।
আর ব্লু মাউন্টেন অনেক অনেক সুন্দর! অবশ্যই যাবে এইবার।
৫৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭
আরাফআহনাফ বলেছেন: বড়ই সৌন্দর্য্য!!
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০
শায়মা বলেছেন: আরে এতদিন পর কোথা থেকে এলে ভাইয়া??
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
মায়াস্পর্শ বলেছেন: কত্তো সুন্দর সবকিছু।