নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দীপ ছিলো, শিখা ছিলো, শুধু তুমি ছিলেনা বলে...

শায়মা

দিয়ে গেনু বসন্তেরও এই গানখানি বরষ ফুরায়ে যাবে ভুলে যাবে, ভুলে যাবে,ভুলে যাবে জানি...তবু তো ফাল্গুন রাতে, এ গানের বেদনাতে,আঁখি তব ছলো ছলো , সেই বহু মানি...

শায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড্রাফটে জমা অস্ট্রেলিয়ার গল্প এবং আমার ইদানিংকালের আলফা কথন :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০


শুভ্র সুন্দর ককাটু
২০২৩ এ অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারে বাসা নেবার পরের দিনগুলোতে এক মহানন্দের কারণ ঘটেছিলো আমার জীবনে তা হলো, বিশাল বিশাল সব সাদা ঝকঝকে বুদ্ধিদীপ্ত চোখের পাখিদের সাথে মিটিং সিটিং ও ইটিং এ। প্রথমদিনেই দরজা খুলতেই আমাকে দেখেই উড়ে আসলো একটা বিশাল বড় সাদা পাখি। এদের নাম নাকি ককাটু। সোজা ভাষায় কাকাতুয়া আর কি। ছোটবেলায় গান গেয়েছিলাম লাল ঝুটি কাকাতুয়া আর এ যে দেখছি হলুদ ঝুটি সাদা কাকাতুয়া! তো আমার এই অস্ট্রেলিয়ান কাকাতুয়া দেখে তো মহানন্দ। এমন কাকাতুয়া ইহজীবনে দেখিনি আমি।

দুই বন্ধু
আমি প্রথমে ভাবছিলাম অত বড় ঠোঁটে ঠোকর দেয় কিনা কে জানে? দেখলাম প্রতিবেশীদের কেউ কেউ তাদেরকে খাবার দিচ্ছে। আমিও ভয়ে ভয়ে একটু পাউরুটির টুকরো ছিড়ে দিলাম। সে তো মহা ভদ্রলোকের মত হাতে নিয়ে খেতে লাগলো। আমি তো অবাক! পাখি কিনা হাতে নিয়ে খাচ্ছে! যাইহোক এরপর উড়ে এলো আরও আরও ওদের ভাই বোন মা বাবারা। পুরো রেলিং ভরে গেলো। আমি তো মহানন্দে একদিকে খাবার দেই আর সবগুলা সেই দিকে যায় আবার দৌড়ে আরেকদিকে দেই আবার সব গুলা সেই দিকে হেঁটে হেঁটে যায়। পুরাই বার্ড পাপেট শো বা বার্ড ডান্স। আফসোস সেটা কেউ ভিডিও করে দেয়নি। :( তবে এই মহা সুন্দর অস্ট্রেলিয়ান ককাটু নিয়ে জানতে গেলে অবাক হতে হবে তাদের বুদ্ধিমত্তা ও কার্য্যকলাপে। তাদের ব্রেন ভালোই কাজ করে, মানুষের মতই অনেক কিছু বুঝতে পারে তারা।

পুরো পরিবার নিয়ে চলে এসেছেন

সেবারে প্রথমবার বলেই হয়ত ইন্টারেস্টিং চ্যাপ্টারটাই ছিলো আশেপাশের প্রতিবেশীদের বাড়িঘর ও তাদের কাজ কারবার পর্যবেক্ষন। আমার বাসার সামনের প্রতিবেশী ফ্যামিলীটাই সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ছিলো। লম্বা লম্বা কার্লী চুলের বিশালদেহি লোকটা বড়ই হাসিখুশি ও হাত নেড়ে ওয়েলকাম জানিয়েছিলো আমাদেরকে। তার বউ আর বড়সড় বাচ্চা মেয়েটাও বারান্দায় দাঁড়িয়ে উকি ঝুঁকি দিচ্ছিলো। তাদের বাড়ি সুসজ্জিত পর্দা আর গুরু গম্ভীর বিড়ালটা রেলিং এর উপর দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছিলো। সেদিন সানডে ছিলো তাই বোধ হয় আশেপাশে মানুষের একটু হলেও মুখ দেখা গিয়েছিলো তারপর মানডে মানে ওয়ার্কিং ডে হতেই দেখলাম ভোর সকাল থেকেই সকলই শুনশান। যে যার কাজে চলে গিয়েছিলো। বাসায় ছিলাম আমি আর আরও কিছু হাউজ ওয়াইফ বোধ হয় বা সেদিন তাদের ছুটি ছিলো।

আরেকটা মজার কাজ ছিলো আমার কাজের ফাকে ফাকে উদাস নয়নে দূরের রোড দিয়ে চলে যাওয়া গাড়ি ভ্যান মোটরসাইকেল দেখা ছাড়াও চোখে পড়ছিলো প্রামবুলেটরে করে হেঁটে যাওয়া মা, জিম করে হেঁটে যাওয়া ছেলে, বৃ্দ্ধা রমনীর ঠুক ঠুক চলে যাওয়া। পাশের বাসার সামনের ওয়ালের ভেতরে এক টুকরো আঙ্গিনায় কাপড় মেলে দেবার রড লাগানো ছিলো। সেখানে দেখলাম শাড়ি পরা আরেক মধ্যবয়স্ক নারী। তামিলনাড়ু বা এমন কোনো সাউথ ইন্ডিয়ান হবে বোধ হয়, বাগানের সেই রডগুলোতে শাড়ী কাপড় কাঁথা মেলে দিচ্ছিলো সে। হঠাৎ যেন এক টুকরো ইন্ডিয়া বাংলাদেশ উঠে এলো চোখের পাতায়।

এই মহিলার সাথে পরে রোজ বিকেলে আমার পার্কে দেখা হয়েছিলো মানে বাসার কাছেই পার্কে যে পার্ক বেয়ে যেতে হত আমাকে শপিং সেন্টারে। মহিলাটা শুধু হিন্দী বলতে পারে আমি হিন্দি বুঝি কিন্তু বলতে পারি না সে হিন্দি বলে কিন্তু ইংলিশ বলতেও পারে না বুঝতেও পারে না। কাজেই হাসি দিয়েই আমাদের কনট্যাক্ট চলছিলো। এই মহিলাটাকে আমার মনে হয় কোনোদিনও ভোলা হবে না।

বাসার পাশেই এক টুকরো পার্ক বনাম বাচ্চাদের খেলার জায়গা। সেখানে ছিলো এক দড়ির দোলনা। অনেকেই সেই দোলনায় শুয়ে শুয়ে বই পড়ে, শুয়েই থাকে, ঘুমিয়েও যায়। আমি তো সেটা কখনই করবো না। কিন্তু কিছুক্ষন বসে থাকতে দোষ কি? কিন্তু ওদের মত আমারও ঐ দড়ির দোলনায় শুয়ে শুয়ে বই পড়তে ইচ্ছে হলো। পারলাম না তাতে কি এক বিকেলে সেই দোলনায় শুয়ে বসেই কাটালাম। আর শুয়ে শুয়ে নিজেই ছবি তুললাম! কাউকে চান্সই দিলাম না।

অস্ট্রেলিয়া এসে বিচে যাবোনা তাই কি হয়? চললাম বন্ডাই বিচ। বাসে করে যাবার সময় এক মেয়ে তার ছোট্ট পাপী নিয়ে উঠলো বাসে। তাও আবার আমার সিটে আমার পাশেই। সেই পাপীর গলায় বাঁধা চেক কাপড়ের বেল্টে ঝুনঝুনি। আমার বাসায় আজীবন কুকুর বেড়াল মাছ পাখী থেকেছে তবে এই বৈদেশী পাপী আবার কখন কু করে বসে সেই চিন্তায় তটস্থ হয়ে বসে রইলাম।

বন্ডাই বীচে পৌছে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ। লোকজন সব সানবাথ করছে। নির্দ্বিধায় অবলীলায়। যাইহোক সেই সব ছবি দিতে পারলাম না। :( আমাদের বীচের সাথে এই বীচের সবচেয়ে বড় অমিল আর সবচেয়ে ভালো দিকটা ছিলো সাগরপাড়েই গোসল করা বা হাত মুখ ধুয়ে ফেলার ব্যবস্থা। গোসলের জন্য শাওয়ার আর হাত পা ধোবার জন্যও ট্যাপ আছে।

কিন্তু আজীবন আমাকে সবখানে গিয়ে নতুন জিনিসের সাথে ঝামেলা পাকাতেই হবে। কাজেই সেই ট্যাপে পা ধুতে গিয়ে আমি ট্যাপ খুলতেই পারিনা। একটা ছোট্ট বাচ্চা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার কান্ড দেখছিলো। আমি তাকে বললাম এ্যাই এটা কি করে খুলে? সাথে সাথে তার বাবা ভোজবাজীর মত উদয় হয়ে বললো এভাবে খুলে। আমি থ্যাংক ইউ দিয়ে ঐ বাচ্চার দিকে তাকালাম। সে তখনও অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। ভাবছিলো বোধ হয় এই বুড়ি ধাড়ী মেয়ে ট্যাপ খুলতে জানেনা কেনো? আমি তার দিকে তাকিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করলাম। সে বললো আর ইউ নিউ হেয়ার? আমি বললাম দেখো নিউ টিউ না আমি এটা খুলতে জানিনা। সে হাসলো। তাচ্ছিল্যের হাসি। ভাবলো বোধ হয় এত বড় হইছিস জানিস না কেনো?

এত এত সুন্দর সুন্দর অজানা নাজানা ফুলগুলি দেখে আমি প্রথমে বুঝতেই পারিনি সেগুলো সত্যিকারের নাকি মিথ্যেকারের ফুল? বাংলাদেশে হলে কিনে কিনে ঘরবাড়ি ভরে ফেলতাম। কিন্তু সেখানে কেউ আমাকে কিনতেই দিলোনা। তাই ফুলেদের সাথে ছবি তুলেই ক্ষ্যান্ত হতে হলো।

ফুলেদের মাঝে এই ছবিগুলি তুলে এনেছিলাম কবি আপুনি ছবির জন্য। সত্যি কিন্তু তাকেই আমার মনে পড়েছিলো।

এরপর গিয়েছিলাম এক পরিচিত মানুষের বাসায় দাওয়াৎ খেতে। তার বাসা বেশ দূরে। ট্রেনে করে যেতে প্রায় ঘন্টাখানেকের বেশি সময় লাগে। ট্রেনে উঠলো এক লাল চুলো মাটি ম্যান। সে তার রোলার স্কুটার আর এক বিশাল ব্যাগ প্যাক আর মাটি কাটা জিনিস নিয়ে উঠে পড়লো ! তারপর কিছুক্ষন চারিদিকে হা করে তাকিয়ে থাকে তারপর তার ফোনে কি যেন দেখে আর হো হো করে হেসে ওঠে, একা একাই কথা বলে আবার বিয়ারও খায়! আমি তো বাবাগো মাগো অবশ্য মনে মনে। সামনে সামনে আমি বিশাল সাহসী! পরে পুরা কেবিন চেঞ্জ করে পগার পার। অস্ট্রেলিয়ার ট্রেন খুবই ভদ্র সভ্য ও আরামদায়ক বটে। লোকজনেরাও বিশাল ভালোমানুষ ভদ্রলোক তবে বাচ্চাগুলো !!! বিশেষ করে ট্রেনে ওঠা বাচ্চাগুলোকে দেখে আমি ভাবছিলাম কবে ওরা ভদ্রলোক হবে!!! চিল্লাচিল্লি দৌড়াদৌড়ি গড়াগড়ি হুড়োহুড়ি এমনকি ঝুলাঝুলিও করতে থাকে অনেকেই। এমনকি আমি আরও এক কান্ডে বিস্মিত ও স্তম্ভিত! ট্রেন থামার সময়টুকুতে সব দরজা খুলে যায় এক বাচ্চা এক কেবিন থেকে বের হয়ে দৌড়ে কয়েক কেবিন পরে উঠছে দরজা দিয়ে। খেয়ে কি তাদের কাজ কম পড়লো? না মরার ইচ্ছা অনেক বেশি হলো সেই প্রশ্ন জানতে আশেপাশে মা বাবাদেরকে খুঁজে পাওয়া গেলো না। :(

মানুষের বাড়ির দাওয়াতের খানা পিনা :)
আর সবশেষে দিয়ে যাই চাইনিজদের কি যেন উৎসবের ডেকোরেশন চলছিলো। আর আমি দৌড়ে গিয়ে সেখানেই ছবি তুলাতুলি। কারণ আমার জামাটার সাথে সেই উৎসবের মিল আছে না??

চাইনিজদের উৎসব!!

তাহাদের লাল লাল সাজ আর লাল লাল আমি! :)

অস্ট্রেলিয়ার গল্পের সিরিজ লিখতে গিয়ে এই লেখাটা প্রকাশ করা হয়নি এতদিনেও। এটা ড্রাফটেই পড়ে ছিলো। তবে আজ কিছু মিছু একটা লিখে দেই ভেবেই প্রকাশ করতে যাচ্ছি এই লেখা। ইদানিংকালে নিজের সময়ের সাথে সাথে সব ব্লগার আপু ভাইয়ুদেরই সময় মনে হয় খুব কমে গেছে। দেখাই যাচ্ছে না আর আজকাল তেমন কাউকে। মিররমনিও মনে হয় অনেক অনেক বিজি নতুবা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। সাড়ে ভাইয়াও কম কম আসছে। ভূয়া মফিজ ভাইয়া জী এস ভাইয়ারাও আর আসেনা তেমন। করুনাধারা আপু মনিরা আপুরাও নেই নেই অবস্থায় আসে। জুন আপু তো মনে হয় বিদেশে গেলে আর আমাদেরকে ভাবেই না। :( আমি ব্লগের নানা সময়কাল দেখেছি। ব্লগার কমে যাওয়া স্মরনকালের সময়টাতে আমার মনে হয়েছিলো রাজাকার বিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী কিছু সময় আর এবারের ৫ই আগস্টের পরবর্তী সময়টাকেই। এখন তো ব্লগে তেমন কেউ লগ করে না বললেই চলে তবে ৫ ই আগস্টের আগে থেকেই যে গুরু গম্ভীর অবস্থা বিরাজ করছিলো তা পরবর্তীতে বেশ ঘোলা জল সাথে সাথে একেবারেই যেন তেতো হয়ে গিয়েছে। সারাক্ষন কচকচানি আর কার ভালো লাগে?

যাইহোক আজকাল আমার কারনে অকারনে হাসি পায়। যদিও খুব ছোট থেকেই আমি হাসিখুশি একজন বাচ্চা ছিলাম যে কিনা কলেজ লাইফে উপাধি পেয়েছিলাম হাসুবিবি। এরপর প্রায় এক যুগের পরে খেয়াল করে দেখেছিলাম আমি ততটা হাসি না যতটা আগে হাসতাম। আমরা চাচাতো মামাত ভাই বোনেরা কত কিছু উদ্ভট সব গল্প করে হেসে গড়িয়ে পড়তাম আমাদের ছেলেবেলায়। যত হাসির সব সিনেমা আর গল্পের বইগুলি আমাদের ছিলো অনেক প্রিয়। সেই আমি একটা সময় খেয়াল করেছিলাম আমার হাসি যেন আগের তুলনায় কমে গেছে। যাইহোক হাসি কমুক আর যাই হোক হাসতে আমি ভালোবাসি বটে। তাই বলে ইদানীং সব কি সব হচ্ছে আমার জীবনে যে মৃত বাড়িতেও গিয়ে আমার হাসি পাচ্ছে। বাচ্চাদের জন্য নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখতে গিয়েও হাসতে হাসতে চোখে পানি এসে যাচ্ছে। আজ সকালে তো আমার আমেরিকান কাজিনের সাথে ফোনে গল্প করতে গিয়ে হাসতে হাসতে দম বন্ধ হয়ে মরতে বসেছিলাম।

যাইহোক নিজে মরার আগে অন্যের মরাবাড়ির হাসির ঘটনাটাই বলি আগে এই শনিবার এক মরাবাড়িতে গেছি। চারিদিকে দুঃখের ছায়া। আমারও মন খারাপ ছিলো। হঠাৎ এক বুড়িমানুষ উনি মরাবাড়িতে কে যেন বিরিয়ানী দিয়েছেন সেটা সবাই খাচ্ছিলো তাই উনিও গিয়ে বসলেন টেবিলে। তার ছেলের বউ বললেন, আম্মা আপনে না এট্টু আগেই খাইলেন? সে বললো, হ্যাঁ আমি তোমার পাশে বসছি তুমি খাও। বুড়ি অশিতীপর বৃদ্ধা হলেও মর্ডাণ আছেন আজও। বউকে বললেন, আমি খেয়েছি বটে তবে তুমি তো আর খাওনি। আহারে কত দরদ বউটার জন্য! :) কিন্তু বউমাকে খাওয়াতে গিয়ে উনি নিজেই প্লেট বাড়িয়ে দিলেন। বৌমা কিপটার মত তার প্লেটে এক টেবিল চামচের একটুখানি পোলাও আর একটা রোস্টের তিনভাগের একভাগ তুলে দিতে না দিতেই উনি নিজেই জালি কাবাব নিয়ে ফেললেন ততক্ষনে। এক লোকমা মুখে দিয়েই তিনি হা হা করে উঠলেন। তার ঝাল লেগেছে। খেতে পারছে না। বৌমা তো তার দিকে কটোমটো করে তাকিয়ে আছেন। আমার তখনই পেট ফেটে হাসি আসছিলো। কিন্তু মৃতবাড়ি। চারিদিকে দুঃখের ছায়া। হাসবার কোনো উপায় নেই। তাই চুপ আছি বহু কষ্টে।

হঠাৎ শ্বাশুড়িআম্মা বললেন, মিষ্টি আছে মিষ্টি? বৌমা বললেন, চুপ করেন আম্মা এইখানে মিষ্টি নেই। শ্বাশুড়িআম্মা বোধ হয় বিরিয়ানী জালি কাবাব এসব খেয়ে ভুলেই গেছিলেন এটা বিয়ে বাড়ি না মরা বাড়ি। ঐ যে বলে না মানুষের মাঝে মাঝে রাগে শোকে দুঃখে ভীমরী ছুটে যায়। উনারও মনে হয় হয়েছিলো ঐ দশা ঝাল খেয়ে। আসলে উনার জীভে আলসার আছে। উনি এমনিতেই ঝাল কিছু খেতে পারেনা না এটা বুঝা গেলো কিছু পরে।

মিষ্টি আছে মিষ্টি আছে করাতে বৌমায়ের রাগ হয়ে গেলো বুঝি। বললেন, ঝাল লেগেছে তো পানি খান। এমনিতেই আপনের জিহ্বায় ঘা আছে। ঝাল খাইতে পারেন না। খাইলেন কেন? একটু আগে না লাঞ্চ করে আসলেন? বৌমায়ের বকা খেয়ে শ্বাশুড়ি আম্মা আমতা আমতা করে বলেন, আমি এই সব ভাত মাংস ধরিনি, হাতও দেইনি। তুমি খাবে? মানে তার এটো খেতে বলছেন। বৌমা তো তাকেও ঐ মৃত বাড়িতে চোখ দিয়েই বুঝি মেরে ফেলেন। তবুও শ্বাশুড়িআম্মার কিছু এলো গেলো না। সে বলে ঐ যে মিষ্টি দেখা যাচ্ছে। বৌমা বললেন কই যে শুনি? শ্বাশুড়ি বলেন ঐ যে সন্দেশ। । তার ছেলের বউটা বলছে আম্মাজান এইখানে মিষ্টি নেই। আপনি পানি খান। বৌমা যতই বলেন বুড়ি ততই আঙ্গুল দিয়ে টেবিলের মধ্যখানে দেখান।

আমি অনেক কষ্টে হাসি সামলাতে না সামলাতেই সে বলে ওঠে, ঐ যে বৌমা ঐখানে সন্দেশ দেখা যাচ্ছে। আমি চারিদিকে কোনো সন্দেশ দেখছিলাম না । শেষ বুঝলাম সে যেহেতু ভালো চোখে দেখে না তাই টেবিলের উপরে রাখা চারকোনা সাদা ধপধপে কিচেন টিস্যুকেই সাদা ধপধপে তার প্রিয় কাঁচা সন্দেশ ভেবেছেন! হা হা হা হা হা হা হা হা । বৌমা বলেন, ঐটা সন্দেশ না আম্মা। টিস্যু টিস্যুপেপার। আপনি পানি খান। ঐ মরা বাড়িতে এইসব দেখে কেমনে যে হাসি সামলালাম আল্লাহই জানে। চিন্তায় আছি নিজে মরে গেলেও হাসতে হাসতে হাসিভূত হয়ে জেগে উঠবো কিনা সেই কথা ভেবে।

একবার রাজীব নূর ভাইয়া ব্যান খেয়ে অনেক কান্না কাটি করে পোস্ট দিয়েছিলো ভাইয়া নাকি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখেছে ভাইয়াকে মডুভাইয়ু আনব্যান করে দিয়েছেন। সেটা নিয়ে একটু হাসাহাসি করায় আমাদের ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়া যে কিনা বোন বোন করে আমাকে কত ভালো ভালো খানাপিনার পোস্ট উৎসর্গ করতো সেই কিনা আমাকেই জন্মের মত ব্লক করে দিলো। রাজীব ভাইয়ার সেই কষ্টের দিনে আমি কেনো হাসলাম অমানবিকের মত সেই অপরাধে। :P হা হা সেই দুঃখের কথা লিখতে গিয়েও আমার আবারও হাসি পাচ্ছে। কি যে বিপদ হলো আমাকে নিয়ে। মাঝে মাঝে আমি আমার চেয়েও বড় বড় মানুষগুলোর কান্ড কীর্তি দেখে এই বুড়িকালেও হেসে ফেলি কেনো জানিনা। :( আসলেও জানিনা কিন্তউ :P

সেদিন লিখছিলাম বাচ্চাদের জন্য নাটকের স্ক্রিপ্ট। নাটকটা রুশ দেশের উপকথা ছোট্ট গোলরুটি। লিখতে লিখতে যখন কাকে গোলরুটি বানাবো আর কাকে বাঁদর আর কাকে হাতী কিংবা ভালুক এটা ভাবতে গিয়েই আমি হাসতে হাসতে হাসতে হাসতে এমনই করুণ দশায় পড়লাম যে বাড়ির লোকে কহে আমায় তাবিজ করেছে, পাড়া পড়শী কহে জ্বীনে ভূতে ধরেছে!!! :P আমার আলফা ভাইয়া নিশ্চয় গুরুগম্ভীর ভাবতে বসবে এই লেখা পড়লে আর মনে মনে বা নিজের মনেই পোস্টে লিখবে..... একজন শিক্ষক কেমন শয়তানের লাঠি হলে বাচ্চাদের স্ক্রিপ্ট লিখতে গিয়ে হাসে চিন্তা কইরা দেইখছেন!! হ্যাঁ!!!!!!!!!!!!!!! :P :P:P

আজ এইটুকুই থাক। কি আর করা ? কোথাও কেউ নেই। যাও আছে যারা তারা ব্যানে ব্যানে...... কাজেই আলফা লেখা লিখতেই থাকি....... :) আর আমার আলফাভাইয়া সে সব পড়ে পড়ে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে গালাগাল করতেই থাকুক। তবে মনে মনে ......

কোথাও আমাদের হারিয়ে যাবার নেই মানা মনে মনে ........ :)

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: হা হা হা পোস্ট দারুন হয়েছে। কিন্ত তারপরেও আলফা ছড়া, আলফা কথন কি জিনিষ তা এখনও বুঝবার পারলাম না !:#P

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শায়মা বলেছেন: এখনও বুঝবার পারলে না!!!!!!!!!!!!
আমি তো তোমাকে আগের পোস্টেই উত্তর দিয়ে দিয়েছিলাম! নিশ্চয় ফাঁকিবাজী পড়া লেখা করেছো!! :(


মানে পড়োনি!!!


পড়ো পড়ো ও গিয়ান অর্জন করো এবাউট আলফা কথন লিখন এবং জ্ঞিয়ানন! :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শায়মা বলেছেন: আর তুমি খুব খারাপ খুব খারাপ খুব খারাপ!!! X((


আলফাভাইয়ু আমাকে কত্ত ভালোবেসে একখানা লাইক দিলো!!!

তুমি দিলে??? B:-/

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৮

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ভুলে গিয়েছিলাম B-) । আগের পোস্টের কমেন্টের প্রতিউত্তর পড়েছি। কিন্তু তাও বুঝি নাই। আমার মনে হয় আপ্নেও বুঝেন নাই। মনে হইতাছে আলফা মানে কাউয়ার ঠ্যাং বগার ঠ্যাং বোঝানো হইসে। :`>

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫০

শায়মা বলেছেন: ছোটবেলায় নিশ্চয় আলফা বিটা গামা শুনেছো। এমনই ভাবে আলফা রশ্নী, মেডিটেশন আলফা এই রকমেরই সাথে সাথে যুগের ক্রমান্নয়ে আলফা কাব্যও ভাইয়া শিখিয়া ফেলিয়াছেন।

তবে সবার আগে জেনে নাও আলফা নারী কাহারা?

আমি নিশ্চিত ভাইয়ু এটা জানে না। ওকে বলছি শোনো
আলফা নারীরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, আত্মনির্ভরশীল, যুক্তিবাদী। নিজের ক্ষমতা,সীমাবদ্ধতা আর তিনি কী চান,এই দুই বিষয়ে স্পষ্ট জ্ঞান রাখেন ........... কাজেই বুঝো আমার আলফা কাব্য একজন আলফা নারী আমি দ্বারা সৃষ্ট হইয়াছে। কাজেই ইহা মোটেও কাউয়ার ঠ্যাং বগার ঠ্যাং নহে উহা একজন আলফা নারীর কাব্যের ভাষ্য! :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫২

শায়মা বলেছেন: আলফা নারীরা সবসময় কোনো না কোনো লক্ষ্য কেন্দ্র করে জীবন যাপন করেন ...... আহা আহা .....

আপনার জীবনের একটি নির্দিষ্ট মুখ্য উদ্দেশ্য রয়েছে, যা অর্জনের জন্য আপনি ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনার সবকিছুই সেই উদ্দেশ্যকে ঘিরে। হতে পারে সেটা আপনার চাকরি, সম্পর্ক, সন্তান, সামাজিকতা অথবা পদাধিকার বা অন্য যেকোনো লক্ষ্য। আপনি সহজেই হাল ছেড়ে দেন না কিংবা কোনো ব্যর্থতা আপনাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। বরং ব্যর্থতা আপনাকে নতুন শুরুর শক্তি যোগায়। সেসব ক্ষেত্রে আপনি ঝুঁকি নিতে ভয় পান না, সব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন হাসিমুখে। যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, পরিবর্তনে ভয় না পাওয়ার সাহসও আপনি রাখেন। আপনার সাহস অদম্য!



সূত্র চাহিলে সূত্র আনিয়া দেবো। :)



আলফা নারীরা উচ্চ মানসিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন

আপনি আপনার আবেগকে চিনতে, বুঝতে, নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। জানেন যে কোথায় কতটুকু আবেগ প্রকাশ করা যায়, কিংবা কখন আবেগকে প্রশ্রয় দিতে নেই। খুব সহজে মানুষ চিনতে পারেন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহজেই অন্যদের প্রভাবিত করতে পারেন।


গুড গুড ভেরী গুড!!!!!!!!! :) আরও জানিতে চাহো??

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মনে মনে হারিয়ে যেতে মানা নেই- ঠিক আছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

শায়মা বলেছেন: হা হা সেই তো ঠিকই তো!!!

মনে মনে বাঘ সিংহ হাতি ঘোড়া সব মারা যায় ........ খালি হাতেই ...... :)

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৮

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: পড়লাম ভালোই লাগলো

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৯

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু! :)

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: তুমি যেখানে খুশি যেতে পারো হারাতে পারো নিঝুম অরণ্যে, বসে থাকতে পারো প্রিয় কারো মুখোমুখি আলোছায়াময় কোন এক রেস্তোরায়, যার সাথে ইচ্ছে ঘুরে বেড়াতে পারো... শুধু জীবনানন্দ হয়ে যেওনা

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০০

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!

ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!


এটা কিন্তু আলফা পুরুষালী কাব্য হয়ে গেলো...... জীবানন্দ হতে নিষেধ করো কেনো??


:(

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অস্ট্রেলীয়ার আখ্যানের সাথে একরাস হাসির প্লট জুড়ে দিয়ে হায়ে দিলে। এই ব্রড সময়ে হাসাটা টনিকের মতো। সুন্দর ছবির কাকাতুয়াগুলো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০০

শায়মা বলেছেন: হা হা মরা বাড়িতেও হাসি আসলে কেমন বিপদ সে তুমি হলে বুঝতে......

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাচ্চারা বেশী হাসে। সব কিছুতেই হাসে। আপনিও সেই রকম। এই কারণে আগের পোস্টে জিজ্ঞেস করেছিলাম ডান হাত মাথার উপর দিয়ে নিয়ে বাম কান ধরতে পারেন কি না। আপনার এটা পারার কথা না। কারণ ৫ বছরের কম বয়সের বাচ্চারা ডান হাত মাথার উপর দিয়ে নিয়ে বাম কান ধরতে পারবে না। একইভাবে বাম হাতের ক্ষেত্রেও। আমাদের দেশের গ্রামের স্কুলগুলিতে আগে নাকি এইভাবে পরীক্ষা করা হত একটা বাচ্চা স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে কি না। একজনে বলেছে। সত্যি কি না জানি না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০২

শায়মা বলেছেন: ঐ

আমি বাত্তাদেল তিচাল!!!!!!!!!!!!


বাম হাত ডান হাত বাম কান ডান কান ধরতে লাগে???

দুই হাতে দুই কান ধরে দাঁড়া করাই রাখতে পারি। নিজের না!! অন্যের হি হি :)


৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ফুলের মাঝে আপনার ছবি ফাটাফটি হয়েছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৮

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!! :)

৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

আরাফআহনাফ বলেছেন: কাকাতুয়া পরিবারকে দেখে ভালো লাগলো।

কলেজ লাইফের হাসুবিবি এখনো যে হাসতে পারে হাসাতে পারে - এটাই তো যথার্থ।
মরা বাড়ীর ঘটনার চক্করে পড়লে রামগড়ুরের ছানাও হাসবে ।

বেশি বেশি করে লিখতে থাকো - আনন্দময় থাকুক জীবন - আমার, তোমার, সবার!!!

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৮

শায়মা বলেছেন: আরে ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!

কেমন আছো?????????


আসোই না কেনো আজকাল আর!!! :(

১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮

আমি সাজিদ বলেছেন: বাহ !

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

শায়মা বলেছেন: :) :) :)


কি বাহ???



পাখিগুলো নাকি আমার আলফা কথন!!!

১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:





ছবির কোয়ালিটি ভালো না, তারপরও দুটো ছবি শেয়ার করলাম।
একটা সময় ছিলো আমার ব্যালকনিতে রেগুলার একসাথে দল বেঁধে ২৫টা কাকাতুয়া আসতো।
কি যে সুন্দর!!
আমি তাদেরকে খাওয়াতাম।
সেইসব দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে।





১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪১

শায়মা বলেছেন: প্রথম প্রথম যেই এই শুভ্র সুন্দর ককাটু দেখবে সেই মুগ্ধ হয়ে যাবে! আর খাওয়াবেই!!!!!!!!!!

আর খাওয়ালে তারা কি করে তারপর সে সব কথা তো লিখতে ভুলেই গেছিলাম!!!

১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:









১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

শায়মা বলেছেন: খাওয়ালে তারপর তোমার বাসার নেট ছিড়লো না???
বারান্দার গাছ উপড়ে তুললো না????

১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩

আমি সাজিদ বলেছেন: বাহ মিরোরডডল। ক্রপ লেখা আছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

শায়মা বলেছেন: তোমার ক্রপও দেখা লাগবে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:





হা হা হা
আমিও দেখলাম সাজিদ।

কি করবো!!
আমাকে আড়ালে রাখার প্রচেষ্টা :)


১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক!!!


কে তুমি সাজিদ ভাইয়ুকে ডাকো?

আড়ালে আড়ালে থাকো!!!!!!!!!!!!!! :)

সাজিদভাইয়ু ক্রপে ক্রপে খুঁজে যায়!!!!!!!!!!

দেখিতে না পায়!!!!!!!!!!

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

আমি সাজিদ বলেছেন: কাকাতুয়ারা তোমাদের ফ্যান বুঝা যাচ্ছে আপুরা।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

শায়মা বলেছেন: এই সুন্দট বদমাইশ পাখিগুলোকে খানাপিনা দিলে তারা ফ্যান এসি সব হয়ে ঘরবাড়িতে লুট তরাজ শুরু করে দেয়!!!!!!!!!!!

১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫

ক্লোন রাফা বলেছেন: :) মিররডলের সাথে চক্রান্ত করে এই পোষ্ট করলেন নাকি⁉️ আমি এখন সব কিছুতে চক্রান্ত দেখতে পাই ! ( সৌজন্যে পলাতক রাজ্য সভাসদ) :) ;)

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

শায়মা বলেছেন: একদম মিররডলের সাথে চক্রান্ত করেই বলেছি আমি পোস্ট দিত্তি তুমি রাফা ভাইয়ুকে ধলাল দন্য ফাঁদ পাতো!!!!!!!!!! :)

১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ই নামে নাকি একটা চর বা দ্বীপ আছে ?

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৬

শায়মা বলেছেন: কোন নামে!!!

আলফা?

১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:





সাজিদ এবং রাফাকে থ্যাংকস।
যদিও দেখতে সুন্দর কিন্তু ওদের ঠোঁট খুব শার্প। এটা ওটা নষ্ট করে।

আমি কি করে বুঝতাম সেইম গ্রুপটাই আসে, কারণ গুনে গুনে পঁচিশটা একসাথে।
সবগুলো ধবধবে সাদা কিন্তু একটা ময়লা, কখনও নর্দমায় পড়েছিলো বা কিছু একটা হয়েছিলো।
তাই সেটা খুব ময়লা আর দুর্বল। এটাকে দেখেও বুঝতাম তারা একসাথে দলবদ্ধ হয়ে আসে।

একটা নির্দিষ্ট সময়ে তারা আসতো।
কিন্তু একদিন আমি সকালে অফিস যাবো রেডি হয়েছি এমন সময় নক নক নক।
গিয়ে দেখি দলছুট হয়ে একটা অসময়ে একা এসেছে। তাই জানালায় নক করে জানান দিচ্ছে।
মনে হয় ক্ষুধার্ত ছিলো। মায়া লাগে।
তারপর ওটাকে খাবার দিয়ে আমি অফিস যাই।

এরপর যখন সেই বাসা ছেড়ে চলে এলাম, শুরুতে আমার মন খারাপ লাগতো।
মনে হতো আমি যেমন তাদের মিস করি, তারাও কি সেইসময় আমাকে খুঁজতো!!!

মায়া বড্ড খারাপ জিনিস, কষ্ট দেয়।
সে মানুষের জন্যই হোক, অথবা পাখির জন্য।



১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

শায়মা বলেছেন: জানালা আর দরজার গ্লাসে পুরা মানুষের মত নক নক করে !!!!!!!!!!!!!!

মিররমনি আবার আসছি ২০শে ডিসেম্বরে...... :)

১৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমার জানলার পাশে কাক আসে
আর অবিশ্বাসের ছোঁয়া
তোমার রেলিং রোদ খেলে যায়
আর কাকাতুয়া।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!

কাকেরদের নিয়ে ছড়িতা লিখো!!!!!!! :)

২০| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫

আজব লিংকন বলেছেন: ইদানীং যাই দেখি হাসি পায়। মিষ্টি দেখেও হাসি পায়। যখনি মিষ্টি দেখি তখনি মনে হয় সেই মূহুর্ত, বুড়িআম্মার সোশানি ভরা গলায় বলছে, "মিষ্টি আছে মিষ্টি? " একদিন না একদিন মরতে হবে। তাই এখন মৃত্যুকে নিয়ে উপহাস আর হাসি ঠাট্টা করতে ভয় লাগে নাহ। পাগলা আব্বার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। khi khi khikzzz

পুরাতন কোন বন্ধু বা সার্কেলের মানুষদের সাথে দেখা হলে। যখন আলাপ হয় তখন অসম্পূর্ণ দুই একটা বাক্যে বলে যে দমফাটা হাসি শুরু হয়। সে হাসির কারণ বোঝার ক্ষমতা আশেপাশের অন্য মানুষদের নেই। তারা ভাবে এরা এভাবে উন্মাদের মতো হাসছে কেন? হয়তো এক যুগ পরে আমাদের দেখা হবে। তখন আমরা কেউ বলে উঠবো "মিষ্টি আছে মিষ্টি?"


বিঃদ্রঃ লেখার প্রশংসা, ছবির ভালো লাগা এবং তোমার লেখায় তোমার বলা গভীর অনুভূতিগুলোর জন্য আমাকে অন্য একটি মন্তব্য লিখতে হবে শায়মা আপা। পরে সময় করব লিখব।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৯

শায়মা বলেছেন: হা হা তোমার পাগলা আব্বা আর আমার বৌমার শ্বাশুড়ি!!! :)

ওকে ওকে শিঘ্রী সেই মন্তব্য লেখো!!!!!! :)

২১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:





বৌমা যতই বলেন বুড়ি ততই আঙ্গুল দিয়ে টেবিলের মধ্যখানে দেখান।


আহা!!! খারাপ লাগছে এই ভেবে একটা বয়সের পর মানুষ কেমন হয়ে যায়!
নিজের ওপর কোন কন্ট্রোল থাকে না, ভালো মন্দ বোঝার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
এটা যে মৃত বাড়ি উনি হয়তো সেটা বুঝতে পারছেন না, বা জানলেও ভুলে গেছে।
বয়স্ক মানুষের অনেক আচরণ শিশুদের মতো হয়ে যায়, তাই তাদের অনেক কিছুই কাউন্ট করতে হয়না।

হায়রে জীবন!!! কখন যে কার জীবনে কি পরিবর্তন আসে কেউ বলতে পারে না।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৬

শায়মা বলেছেন: হা হা যতই মায়া লাগুক আর যাই হোক এই গল্প সশরীরে দেখে আমার পক্ষে হাসি সামলানো কঠিন ছিলো! :P


তবুও কষ্ট করে সামলেছি! :(

২২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:





চাইনিজদের কি যেন উৎসবের ডেকোরেশন চলছিলো।

যদি ভুল না করে থাকি, চাইনিজ নিউ ইয়ার ছিলো।

ফুলের সাথে আপুর ছবিটা সুন্দর।

বাংলাদেশে ফুলের দোকানের পাশ থেকে যেতে কত সুঘ্রাণ!
কিন্তু এখানে ফুলে ঘ্রাণ নেই।



১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৭

শায়মা বলেছেন: ঠিক ঠিক নিউ ইয়ার ছিলো!

ফুলগুলো ঘ্রান নেই বলেই তো আমি মিথ্যেকারের ফুল ভেবেছিলাম! :(

২৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ফুলপরী লাগতাছে তোমারে আপু।

দোলনায় দুলতে আমারও ইচ্ছে হয় ।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৮

শায়মা বলেছেন: দোলনায় দোলা ছবি তো দিলামই না। বিচের ছবিও দেইনি!!!!!!! :)

তুমি দেখলে তো নাউজুবিল্লাহ ইন্নিনিল্লাহ করে দৌড় দিতে.....

২৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

জটিল ভাই বলেছেন:
সেলিব্রেসন পোস্ট মনে হচ্ছে? =p~

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৮

শায়মা বলেছেন: কিসের সেলিব্রেশন!!!

বলো বলো বলো!!!

২৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

প্রামানিক বলেছেন: লেখাও সুন্দর ফুলের ছবিও সুন্দর

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৯

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ ভাইয়ু!!!!!!!!!!!

২৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:





লেখক বলেছেন: খাওয়ালে তারপর তোমার বাসার নেট ছিড়লো না???
বারান্দার গাছ উপড়ে তুললো না????


নাহ! সেরকম কিছুই করেনি, ওরা লক্ষ্মী।
শুধু বারান্দা নোংরা করেছে :(

তবে আমি শুনেছি ফ্রেন্ডসদের কাছে যে ওরা অনেক ক্ষতি করে, অনেকের বাসায় অনেক কিছু নষ্ট করেছে এমন হিস্ট্রি আছে।


১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১০

শায়মা বলেছেন: এই বাাসার নেট ছিড়ে শেষ করেছিলো শেষ মেষ!!! :(



যাইহোক চিলেকোঠার প্রেম বই আকারে আসছে। যারা যারা পাঠকেরা ছিলো সবার নাম উৎসর্গে আছে। মানে নিকগুলি........ সত্যিকারের গুলি তো আর জানিনা....... জানলে দিয়ে দিতাম ঠিক ঠিক! :)

২৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০০

মিরোরডডল বলেছেন:





মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই নামে নাকি একটা চর বা দ্বীপ আছে ?


হ্যাঁ আছে, Cockatoo Island.

Latest news about it........




১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১২

শায়মা বলেছেন: এইখানে কি অনেক ককাটুরা থাকতো???

এইখানে কেমনে যাবো??

২৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫০

একলব্য২১ বলেছেন: শায়মা আপু,৷

ব্যস্ত। বই খাতায় মুখ গুজে আছি। কাছের মানুষদের এক সাথে দেখে আনন্দ/ শান্তি পেলেম।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫২

শায়মা বলেছেন: কাছের মানুষরা সব দূরে চলে যাচ্ছে.......


ওরে নীল দরিয়া গানের মতন.......

বেশি দিন আর একসাথে দেখা যাবে না........

ব্লগ বেঁচে থাকলে নতুন শিশুদের জন্ম হয়ে নতুবা জাতিস্মরের! হা হা

২৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫২

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা, মনে মনে...
ফুল ভার্সন দিয়ে আজ ঢুকতে পারলাম...

১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

শায়মা বলেছেন: গুড গুড!!!


এখন একখানা পোস্ট লিখে ফেলো!! :)

৩০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৯

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:

ভাতিজি, তুই কিরাম আচুইস?

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩৭

শায়মা বলেছেন: হা হা


৫১ মিনিটস জন্ম নিয়েই চাচা হই গেচুইন!!!

৩১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

ক্লোন রাফা বলেছেন:
সবাই কথা দিলো এবার সমাধান হয়ে যাবে (রাফা জিবন ফিরে পাবে নিশ্চিত) ।
কিন্তু তেত্রিশ বছরেও কেউ কথা রাখলো না‼️
কা. ভা. কিংবা ব্লগ টিম ‼️আমার নিক ফিরে পাওয়া মনে হয় হিমালয় জয় করার চাইতেও কঠিন ;)

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৩

শায়মা বলেছেন: ওহ এই কথা!!!


তোমার ইমেইল আইডি দিয়ে তো এমনিতেই নিক ফিরে পাওয়া যায়। কাভা ভাইয়ার পোস্ট আছে ব্লগেই। ফেসবুকে আছে ভাইয়া। তবুও যদি বলো হয়নি!!!:(

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আমি কথা বলেছি। তোমার কাজ দ্রুত হয়ে যাবে। একটু ওয়েট করো। ইনশাল্লাহ ৩৩ বছরের আগেই হবে। :)

৩২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৭

শায়মা বলেছেন: এই পোস্ট পড়ো ভাইয়া। মডু ভাইয়া কি বলে দেখো ...............

৩৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১১

নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:

ভাতিজি,

তোমার পোস্টে রসবোধ আছে প্রচুর পরিমাণে।
পাঠ করিলেই ইহা উপলব্ধি করিতে পারা যায়।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৫

শায়মা বলেছেন: তাই চাচ্চু হই গেলা!!!

গুড গুড !! ! তো নিজেও কিছু মিছু লেখো চাচ্চু!! আমরা পড়ি !!:)

৩৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১০

ক্লোন রাফা বলেছেন: ঐ চ্যাপ্টার কমপ্লিট করার পরেও সমাধান হয়নি ! অপেক্ষা করতে বলছে । সেই অপেক্ষাই করতেছি অধ্যাবদি ।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৩

শায়মা বলেছেন: অপেক্ষার অবসান হবে অচীরেই ভাইয়ু!

এমনই আশ্বাস পেয়েছি! তবে অপারগ হলে কিছু করার আছে নাকি জানিনা।:(

এই সব নিয়ে ব্লগ টিম একটু ঝামেলাই আছে ...... তাই একটু দেরী হচ্ছে।

তারপরও আশা হারাইও না ভাইয়ুজান!

৩৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

ক্লোন রাফা বলেছেন: Click This Link

১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪

শায়মা বলেছেন: এইটা কি ভাইয়ু!!! :(

৩৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

ক্লোন রাফা বলেছেন: Ok This is My Problem আমার Zaman ইউজার নেম ব্যাবহার করে “রাফা” ব্লগটি’তে
[email protected] email Address ব্যাবহার করেছিলাম । যে ইমেইলটা ব্যাবহার না করার কারনে ইয়াহু কতৃপক্ষ মেইলটি ডিএক্টিভট করে দিয়েছে । কাজেই সেই মেইলে কোন কোড বা ইনফর্মেশন দিলে পাওয়া সম্ভব নয়। অনুগ্রহ করে Zaman ইউজার নেমের লগ ইন কোড নতুন ইমেইল [email protected] -এ প্রেরন করুন । ধন্যবাদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৫

শায়মা বলেছেন: ওকে আমি জানাচ্ছি ভাইয়া। তবে তুমিও জানিয়েছো নিশ্চয়! তবে অবশ্যই আমি তোমার ইনফরমেশন আবার পাঠাচ্ছি। যদিও সবারটাই একই ভাবে চেষ্টা করা হয়! :)

৩৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বেশ বড় সাইজের সচিত্র পোষ্ট । কোথা হতে মন্তব্য লেখা শুরু করব সেটাই ভাবনার বিষয় । পড়তে বেশ সময় নিয়েছে । কাকাতুয়া দিয়েই না হয় লেখ শুরু করি ।
বেশ স্মার্ট ও সামাজিক পাখি, কাকাতুয়া মূলত অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনি অঞ্চলের স্থানীয় পাখী।
এদের মাথার উপর বিশেষ রঙিন ঝুটি থাকে, যা তাদের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম। সাদা কাকাতুয়া,
যার ঝুটি সাধারণত হলুদ রঙের হয়, দেখতে বেশ বড় ও মনোমুগ্ধকর শুনে ভাল লাগল। জানলামএই পাখিরা বিভিন্ন
ধরণের শব্দ করতে পারে এবং কিছু কিছু প্রজাতি মানুষের আওয়াজও অনুকরণ করতে পারে। একটি সাদা, হলুদ
ঝুটি কাকাতুয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলে , যা তোমার ছোটবেলার স্মৃতির "লাল ঝুটি কাকাতুয়া" গানের কথা মনে
করিয়ে দেয় শুনে ভাল লাগল। অস্ট্রেলিয়া হতে কাকাতুয়া নিয়ে আসতে না পারলেও এর কয়েকটা ঝুটি নিয়ে
আসলে মন্দ হতোনা :)

প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে আশেপাশের প্রতিবেশী এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, সামনের প্রতিবেশীর পরিবার এবং
তাদের শৌখিন আকর্ষণীয় বাড়ী পর্যবেক্ষন আর সুন্দর বর্ণনা দিয়েছ । নতুন জায়গায় মানুষের চলাফেরা, শিশুদের
খেলার পার্কে নিজের সময় কাটানো, এবং অদ্ভুত কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার বিবরন ভাল লাগল ।
বন্ডাই বিচে গিয়ে নতুন সংস্কৃতি দেখার অভিজ্ঞতা, আর সেখানে ছোট্ট একটি ছেলের সহায়তায় ট্যাপ চালানোর
ঘটনা তোমার সাথে আমাদের কাছেও মজার স্মৃতি হয়ে রইল। ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হলেও কিনতে না পারার
আক্ষেপ মেনে নেয়া যায়না কিছুতেই । যাহোক, নতুন জায়গার ছোট ছোট অভিজ্ঞতাগুলি যে মনে গেঁথে গেছে
সেটিই না হয় বড় পাওনা হয়ে থাক ।

লেখাটিতে একদিকে ফুলের প্রতি তোমার মুগ্ধতা যেমনি উঠে এসেছে অন্যদিকে ট্রেন ভ্রমণে দেখা কিছু অদ্ভুত
ও মজার অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ উঠে এসেছে, যা পাঠে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ফুলের প্রতি স্মৃতি ও
অনুভূতির প্রকাশ এর সাথে অস্ট্রেলিয়ার ট্রেনে দেখা রঙিন, কিছুটা অদ্ভুত যাত্রী এবং শিশুদের অবাধ, চঞ্চল
আচরণের বর্ণনা মজাদারভাবে তুলে ধরার বিবরনটি আনন্দ দিয়েছে । তোমার এই লেখাটিতে কৌতূহল,
বিস্ময় ও সামান্য ভীতির মিশ্র অনুভূতি জাগালেও আমাদেরকে তোমার সেই ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতায়
সহজেই যুক্ত করেছে ।

এই লেখাটিতে ব্লগের কমিউনিটিতে হারিয়ে যাওয়া বা যোগাযোগ কমে যাওয়ার বিষয়ে অনুভূতি সুন্দরভাবে
ব্যক্ত হয়েছে । ব্লগারদের আগের মতো একসঙ্গে না থাকা, সবার ব্যস্ত হয়ে যাওয়া, এবং তাদের হাসি-খুশি
সময়গুলোর স্মৃতির কথা তুলে ধরেছ , এই সময়ে আমিও যে হারিয়ে গিয়েছিলাম তা দেখলাম সহজেই ভুলে
গিয়েছ। যাহোক, মজার ছলে বলা কথা , জীবন এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যেখানে এমনকি মৃতবাড়িতেও
হাসির উদ্রেক হয়, কথাটির সাথে সহমত। একটা বাস্তব অভিজ্ঞতার বর্ণনায়, তুমি এক শাশুড়ি-বৌমার হাস্যকর
কথোপকথন খুব সুন্দরভাবেই তুলে ধরেছ, যেখানে মিষ্টি চাওয়ার ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে হাসির কারণ হয়।
এছাড়াও, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু মজার স্মৃতিচারও করেছ যেখানে
তুমি ব্যান, ব্লক, এবং কমিউনিটির মজাদার ঘটনার কথা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪১

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া এই ডিসেম্বরে আবার যাচ্ছি একটা দুইটা কাকাতুয়া ধরে ঝুটি কেটে নিয়ে আসবো হা হা হা ......





আর ভাইয়া তোমাকে ভুলে যাবো!!! তাই কি হয় কখনও!!! তুমি আছো আমাদের সকলের হৃদয়ে!!!!!!!!!! :)

৩৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৬

করুণাধারা বলেছেন: সময়ের বড় টানাটানির মধ্যে আছি। তাই এই মজাদার পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করতে পারছিনা। আপাতত ভালো লাগা টুকু জানিয়ে গেলাম।

১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৩

শায়মা বলেছেন: হা হা ঠিক ঠিক রিয়েল লাইফে আসল মজা বের হয়ে যায় তাই পোস্টে মজা লিখে রেখে দেই। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.