নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মীরসরাই[email protected]

সাইমুম

শখ : অতি সাধারণ। বই পড়া আর বিদেশ ভ্রমণ।

সাইমুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল রঙে আছে জাদু

২৩ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭

ডাচ পোস্ট-ইমপ্রেশনস্ট ভিনসেন্ট ভ্যানগঘ তার এক চিঠিতে লিখেছেন 'হলুদ আর কমলা রঙ ছাড়া নীলের অস্তিত্বই নেই। নীলে হলুদ আর কমলা তো আছেই। কিন্তু নীল রঙের উপমা যে নীল রঙই।' ইংলিশ রোমান্টিক লেখক জন রাসকিন তাই বলতেন, 'আনন্দের উৎস হিসেবে দেবতারা চির অমলিন নীল রঙকেই বেছে নিয়েছেন।'



প্রাচীন ফ্রেঞ্চ শব্দ bleu থেকে ইংরেজি blue শব্দটি এসেছে। এটাকে প্রাথমিক রঙগুলোর একটি ধরা হয়। ইংরেজি ভাষায় বরফ, পানি, আকাশ, ঠাণ্ডা, শান্ত ও দুঃখের অনুভূতি বোঝাতে নীল রঙ নির্দেশিত হয়। যেমন He is feeing blue. কারণ বৃষ্টি অথবা ঝড়ের সাথে নীল রঙের সল্ফপ্পর্কের রয়েছে। গ্রিক মিথলজি মতে, দেবতা জিউস দুঃখ পেলেই আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরাতেন আর রাগলে বজ্র সৃষ্টি করতেন।

আকাশ ও সাগরের পানি প্রায়ই নীল দেখায়। আফ্রিকান-আমেরিকানদের এক ধরনের মিউজিকস্টাইলও 'ব্লুজ' নামে পরিচিত।

নীল ও সাদা হচ্ছে ফিনল্যান্ড, গ্রিস, ইসরাইল, স্কটল্যান্ড ও নিকারাগুয়ার জাতীয় পতাকার রঙ। শুধু তাই নয়, বিশ্বের অনেক দেশের জাতীয় পতাকায় লাল বা অন্য রঙের সাথে নীল রঙ রয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতার রঙকেও নীল ধরা হয়। বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক দলের দলীয় রঙও নীল। ষাটের দশকের শুরুতে টিভিতে আমেরিকান বিমান বাহিনীর প্রচারিত জিঙ্গেল বেশ সাড়া জাগায় -



'They took the blue from the skies,

And the pretty girls eyes

And touch the Old Glory too;

And gave it to the men

Who proudly wear the U.S. Air Froces Blue!'



নীল রঙ অনেকেরই প্রিয়। এটা নাকি বিশ্বস্ত ও নির্ভরশীল। ইন্ডিগো বা ডিপ ব্লু রঙকে জ্ঞানের রহস্যময় সীমানার প্রতীক ধরা হয়। এ রঙ লৈঙ্গিক নিরপেক্ষ। নারী-পুরুষ এ রঙ ভালোবাসে। বিশ্ব- সংস্কৃতিতে রয়েছে নীলের প্রভাব। চীনারা মনে করে জঙ্গল, পূর্ব দিক ও বসন্ত ঋতুর সাথে রয়েছে নীল রঙের গভীর যোগাযোগ। ইরানে নীল, নীল-সবুজ ও সবুজ রঙ পবিত্র বিবেচিত। তারা মনে করে, এ রঙ তিনটি স্বর্গের প্রতীক। হিন্দুরা তাদের দেবতা কৃষ্ণের চামড়াকে প্রায় নীল হিসেবে উপস্থাপন করে। আমেরিকায় ডাকবাক্সের রঙ সাধারণত নীল রঙের হয়। মেক্সিকোয় নীল হলো শোকের প্রতীক। আজটেক সভ্যতায় নীল রঙ কোন কিছু উৎসর্গের প্রতীক বিবেচিত হত। গ্রিকরা এখনো শয়তানের কুনজর থেকে বাঁচতে নীল রঙের নেকলেস বা ব্রেসলেট পরে। বিশ্বের অনেক বিখ্যাত মসজিদ নীল রঙের। যেমন ইরানের তাব্রিজ, মিসরের কায়রো, আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরীফ, তুরস্কের ইস্তাম্বুল ও মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের নীল মসজিদ। ক্যাথলিকরাও ভার্জিন মেরির পোশাকের রঙ নীল হিসেবে উপস্থাপন করে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯

সাইমুম বলেছেন: সরি! বেশ কিছু বানান ভুল থাকায় এটি নতুন করে দিলাম। ফের সরি , অন্তত যারা পড়েছেন এবং কমেন্ট করেছেন।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৫১

সাইমুম বলেছেন: নীল রং নিয়ে কয়েকটি তথ্য

আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভন-বুরেন ১৮৩৭ সালে হোয়াইট হাউসে নীল রঙের সমাবেশ ঘটান। সেই থেকে হোয়াইট হাউসে একটি 'ক্লু-রুম রয়েছে।

টুথব্রাশের ক্ষেত্রে ফেভারিট কালার হচ্ছে নীল।

আইবিএমের ডিপ-ব্লু কম্পিউটারে রয়েছে ৩২টি প্রসেসর। এটা বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন গ্যারি কারপভের বিরুদ্ধে ছয়টি ম্যাচ খেলেছে। এ কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে ২০০ মিলিয়ন দাবার চাল দেয়ার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে 'ব্লু-জিন হচ্ছে সবচেয়ে দ্রুত সুপার কম্পিউটার। এটার রয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার প্রসেসর। প্রতি সেকেন্ডে এটা ২৮০ ট্রিলিয়ন অপারেশন চালাতে পারে।

শিশু অপব্যবহার সতর্কতার (চাইল্ড অ্যাবিউজ অ্যাওয়ারনেস) প্রতীক হচ্ছে নীল ফিতা।

পেঁচাই এক মাত্র পাখি যা নীল রঙ দেখতে পায়।

মাদকাসক্তি, খাওয়ার অনিয়ম, নিবীর্যতা ও অবসাদের মত মনস্তাত্ত্বিক রোগে ডাক্তাররা এখন সফলভাবে 'নীল আলো' ট্রিটমেন্ট প্রয়োগ করছেন।

যে ঘরের ভেতরের রঙ নীল, সে ঘরে নারী-পুরুষের প্রজনন মতা বাড়ে।

হাইকোয়ালিটির আলট্রামেরিন ব্লু রঙ তৈরি হয় আফগানিস্তানের লেপিস লাজুলি পাউডার থেকে।

১৯৯১ সালে তৈরি 'ব্লু' নামে ফিল্মটি আগাগোড়া নীল রঙের।

‘এলিস -ব্লু' হচ্ছে লাইট-গ্রে ব্লু' বা স্টিল ব্লু কালার।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থিউডর রুজভেল্টের মেয়ে এলিস রুজভেল্ট লংওয়ার্থ এ রঙ পছন্দ করতেন। যা আমেরিকার ফ্যাশন জগতে আলোড়ন তোলে।

নীল রঙের প্রতি মশা যে কোন রঙের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি আকৃষ্ট হয়।

সিরামিকসে কোবাল্ট অক্সাইড, কপার কার্বনেট ও আয়ন অক্সাইড নীল রঙেরই সৃষ্টি।

চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের পাহাড়ে নীল রঙের বাঘ পাওয়া যায়। এগুলোর মুখে সাদা-কালো স্ট্রাইপ রয়েছে।

১৯০১ থেকে ১৯০৪ সালের মধ্যে অঙ্কিত পাবলো পিকাসোর চিত্রশিল্পগুলি 'ব্লু পিরিয়ড' নামে পরিচিত। কারণ এসব চিত্রকর্মে শিল্পী নীল রঙের প্রাধান্য রেখেছেন। এগুলো বেশ উঁচুমানের বিমূর্ত শিল্প।

রানী-কিওপেট্রার প্রিয় রঙ ছিল নীল।

অটো রেসিংয়ে নীল রঙের পতাকা ব্যবহৃত হয়।

বিশ্বখ্যাত কোম্পানি ব্লু ক্র্রস, ব্লু শিল্ডস, ফোর্ড, দ্য গ্যাপ, আইবিএম, ইন্টেল, পেপসি, টিপানি অ্যান্ড কোং ও ব্যাংক রাকায়েত ইন্দোনেশিয়ার ফেভারিট কালার হচ্ছে নীল।

রুমের ভেতরে নীল রঙ লাগানো হলে রুমটি বড় দেখায়।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬

রোজারিও বলেছেন: দর্শনশাস্ত্রের একটি বই থেকে জানলাম, নীল হচ্ছে সততা, পবিত্রতা, বীরত্ব এবং গভীরতার প্রতীক। আসলে দেশ-কাল-পাত্র ভেদে রঙের অনেক মানে দাঁড়িয়ে যায়।

সাগর-নীল( নেভি-ব্লু) আমার খুব প্রিয় রঙ।

রঙ নিয়ে একটি পোস্ট দাঁড় করানোর জন্য অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ। ভাল থাকুন, আরও লিখুন।+

২৩ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৫২

সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ। কয়েকটি রং নিয়ে লিখার কথা ভাবছি।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

কবির চৌধুরী বলেছেন: রঙ নিয়ে তথ্যবহুল পোস্ট!
ভাল লাগলো................. ++

কিন্তু কষ্ট লাগে ভিজিটর সংখ্যা দেখে। X(

২৪ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:০৩

সাইমুম বলেছেন: কিছু করার নেই। কারণ তেলা মাথায় তেল ব্লগেও জায়েজ :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.