নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মীরসরাই[email protected]

সাইমুম

শখ : অতি সাধারণ। বই পড়া আর বিদেশ ভ্রমণ।

সাইমুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শব্দের পোস্টমর্টেম -১৪১ (ভাতার)

২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

ভাতার শব্দটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। বর্তমানে এটাকে কেউ কেউ গালি অর্থে ব্যবহার করলেও শুরুতে এটা মোটেও গালি ছিল না। বরং ভাতার শব্দটি দিয়ে স্বামীকেই বোঝাতো।



এটার আভিধানিক অর্থ 'যে ভর্ত বা ভাত দেয়'। শব্দটির গঠন হচ্ছে সংস্কৃত ভর্ত্তৃ > বা ভর্তা > + বাংলা ' আর'।



ভারতীয় উপমহাদেশের মাতৃতান্ত্রিক সমাজ কৃষিসমাজে ঢোকার পর থেকে নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান গৌণ হয়ে যেতে থাকে। তার বিচরণের স্থান হয়ে যায় শুধু গৃহ। আর নারীকে ভাত দেওয়ার বা তার জীবন ধারণের দায়িত্ব বর্তালো পুরুষের উপর। এভাবে পুরুষ হয়ে গেল স্ত্রীর ভাতার। এ কারণে স্ত্রী বেঁচে থাকতে স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকে ভাতারখাকী বা ভাতারখাগী গালি দেওয়া হতো (ড্যাকরার ভীমরতি হয়েছে, ভাতারখাগীর ভাতার মেয়ে মানুষ ধরে গুদামে রাখতে পারে, ড্যাকরার সে রকম তো একদিন দেখলামনা - দীনবল্পব্দু মিত্র)। ভাতারখাকি, ভাতারখাগি বানানভেদ।



বিবাহিতা নারীকে বিধবা বলে গালি হিসেবেও ভাতারখাকি বলা হয়।

এ ভাতার থেকে ভাতারকামড়া নামের একটি বাংলা চালু রয়েছে। এটার অর্থ স্বামীকে আঁকড়িয়ে রাখে যে নারী বা স্বামীর উপর প্রতিপত্তিশালিনী (তুই যে ভাতারকামড়া তুই আবার অন্য নোকলে দিবি - দীনবন্ধু মিত্র)।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২২

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
+++ (১৪১)

---------------------
অট:

লাস্ট কমেন্টের লাইন দুটো কার লেখা? আপনার নিজের?
মনের কপাট ধরে মিছেমিছি দ্বন্দ্ব
শুরু নেই যার, তার মনে করো শেষ।

ভাল লাগলো কিন্তু আমি কোন ভাবেই গদ্যের কোন প্রসঙ্গে এটার মিল পেলেন বুঝিনি।

২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৬

সাইমুম বলেছেন: না একজন কবি বন্ধুর। তার প্রশংসা করলে সে এই লাইন দুটো বলতো। পরে বুঝতে পারলাম : একজন কবি হিসেবে সে নিজেকে ফুল ফোটার সঙ্গে তুলনা করতো। অর্থাৎ কে কি বললো, তাতে ফুলের কিছু যায় আসে না। সে তার নিজের নিয়মে ঠিকই ফোটে। কারণ এক অর্থে ফুলের শুরুও নেই। আবার শেষও নেই।

বন্ধুর পুরো কবিতাটি পড়লে এটা ঠিকই ধরতে পারতেন। ভুলটা আমারই। কারণ মাথা ও লেজকাটা অবস্থায় দুটি পংক্তি তুলে দিয়েছি আর কবি হিসেবে অসঙ্গতিটুকু ঠিকই ধরে ফেলেছেন।

যাই হোক, আমি এটা বোঝাতে চেয়েছি, আমাদের মতো রেজিস্টার্ড আবালদের কথায় আপনি ভড়কে না গিয়ে নিজের নিয়মে নিজেকে ফুলের মতই বিকশিত করুন। কবিদের শুরুও নেই, শেষও নেই। কারণ তারা কবি।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪২

শিপু ভাই বলেছেন: হাহাহাহাহা
গ্রাম দ্যাশে ঝগড়ার সময় এক মহিলা আরেক মহিলাকে বলে,
" আমি কি তোর ভাতারের কামাই খাই?"

২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৭

সাইমুম বলেছেন: গ্রামীণ নারী এখন ভাতার শব্দটি ধের রেখেছেন।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৪৪

অপ্রিয় সত্য ৭০০ বলেছেন: :) +

২১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৮

সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭

ময়নামতি বলেছেন: ভাইজান হাজবেন্ড ভাতার না হয়ে আলু ভর্তা হলে ভাল ...


বেশী করে আলু খান ভাতের উপর চাপ কমান

বেশী করে বাইরে যান , স্বামীর উপর দায় কমান....এই আর কি..

২১ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাইমুম বলেছেন: যা যুগ পড়েছে, তাতে ভাতারের আরেক নাম 'আলু ভর্তা' হয়ে যেতেও পারে :P :P

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৩৬

বৈকুন্ঠ বলেছেন: তুই যে ভাতারকামড়া তুই আবার অন্য নোকলে দিবি - দীনবন্ধু মিত্র

নোকলে শব্দটার অর্থ কি?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫০

সাইমুম বলেছেন: 'লোক' শব্দের গ্রামীণ উচ্চারণ 'নোক'। যেমন করে লেবু হয়ে যায় 'নেবু'।
এখানে 'নোকলে' মানে লোক-কে হতে পারে। মূল বাক্যটি এ মুহূর্তে হাতে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.