নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সজল আহমেদ

সজল আহমদখ

আমি কোন মহাপুরুষ নন যে নিজের সম্বন্ধে এতক্ষানি বাড়িয়ে বলব।নিজের সম্বন্ধে কিছুই বলার নেই।

সজল আহমদখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষন নং-৭১

০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

ঐ তরে যা কইলাম তাই করিস,নইলে কিন্তু এক্কেরে খাসি কইরা দিমু!খাসি কিরাম করে জানস?

ইমাম সাব ঘাড় নাড়িয়ে বল্ল,জানিনা।

আছমত রাজাকার বলতে লাগল, ঐ হারামীর বাচ্চা,তোরে খাসি করমু কিরাম শুন,তোর পায়জামা খুইলা ,ব্লেড দিয়া অন্ডকোশ ফাইরা বিচি বাইর কইরা ফেলমু।

শুন বড় ছাব তোর ১৪ বচ্চর বয়সের অপরুপ যৌবন প্রাপ্ত মাইয়াডারে গোসল করবার সময় দেখছে,তোর মাইয়ার যৌবন,রুপ দেইখা ছাবের পছন্দ অইছে,বেশি না আইজকা রাইতটার জন্যি বড়ছাবের কাছে তোর মাইয়ারে পাঠাইয়া দিবি নইলে বাপ মাইয়া ২ডারেই চীর জীবনের লাই খোজা কইরা দিমু।

—ইমাম সাহেব ঠায় দাঁড়িয়ে আছে যেন একটা ঠাটা(বর্জ্যপাত)তার মাথায় পড়ল।যেই মসজীদে এই তেত্রিশ বছর ধরে ইমামতি করছে সেই মসজীদেরই এক আনকোড়া মুছল্লি তাকে আজ হুমকি দিচ্ছে তার মেয়েকে বড় ছাহেবের যৌন উপঢৌকন হিসেবে পাঠাতে!আহা কি আফসুস!

ইমাম সাহেব আল্লাহ পাক কে ডাকছেন আর উপরের দিক চেয়ে হাঁটছেন,এখন গিয়ে কিভাবে একথা তার মেয়েকে বলবে যে মিলিটারির প্রধান অফিসার তার সাথে রাত্রি যাপন করতে চায়!

ঘরের সামনে এসে ইমাম সাহেব হঠাত্‍ বসে পড়লেন।পিতাকে হঠাত্‍ বসে পড়তে দেখে ইমাম সাহেবের মেয়ে রাহিমা দৌড়ে এসে পিতাকে প্রশ্ন করলেন,

আব্বা কি হইছে আপনার?

ইমাম।না কিছুনা

মেয়ে।শরীর খারাপ আব্বা?

ইমাম।না ,আছমত রাজাকারের লগে দেখা হইছিল মা।অয় কইছে!

রহিমা।কি কইছে আব্বা?

ইমাম।না কিছুনা!

রহিমা।আব্বা আপনি কনতো!(বিরক্ত মুখে)

ইমাম।মিলিটারির বড়ছাব নাকি তোরে খুব পছন্দ করছে আইজকা রাত্রে তোর তার কাছে যাইতে অইব মা!(ইমাম সাহেবের চোখে পানি।)শোন তুই আইজকা মাছায়(কাঠের তৈরী ঘরের ছাদ বিশেষ)পলায়া থাক।অরা খুঁজতে আসলে আমি বলমু রহিমা ঘরে নাই,নানা বাড়িত গেছে।

—আচ্ছা আব্বা আমি পলাইতেছি,আব্বা একটা কথা কই,আমিতো জীবনে পর্দার বাহির হইনায় ঐ পাকিস্তানি ব্যাডা আমারে দেখল ক্যামতে?

ইমাম সাহেব কিছুক্ষন ভেবে বল্ল,মন্কয় আছমত কইছে তোর কথা।যাহ মা কথা বাড়াইসনা পলা আগে পলা।

রহিমা পিতার নির্দেশ মত পালালো।

সন্ধ্যায় দেখা গেল আছমত রাজাকার আর কিছু মিলিটারি ইমাম সাহেবের বাড়ি এসেছে।আছমত ইমাম সাহেবেকে ডাক দিলেন।ইমাম সাহেব আছমত রাজাকারের গলা শুনে প্রায় দৌড় দিয়ে এলো।

ইমাম কে উদ্দেশ্য করে আছমত বল্ল,তোমার মাইয়া কই ওরে যাইতে কইলাম না?

—ওর নানা বাড়ি গ্যাছেগা ।বল্ল ঈমাম সাহেব।

আছমত প্রচন্ড রেগে ইমাম সাহেব কে বল্ল, ঐ হারামী তরে কি কইছিলাম মান্দির পুত?

ইমাম:—আমি আইসা দেখি ও বাড়িত নাই নানা বাড়িত চৈলা গেছে।

আছমত এ কথা শুনে ধপাস করে ইমাম সাহেবের বুকে লাথি মারল।

লাথিটা খেয়ে ইমাম সাহেব মাটিতে পড়ে গেল তার টুপিটা ছিটকে পড়ল প্রায় পাঁচ হাত দূরে,আর তজবিটা পড়ল মিলিটারিদের পায়ের সামনে।আছমত বন্দুকের নলটা ইমাম সাহেবের মাথায় ঠেকিয়ে চেচিয়ে বল্ল,শ্যালা মাদাচ্চোদ তুই মিথ্যা কৈতাছস কই লুকায়া রাখসস তাড়াতাড়ি ক!

ইমাম সাহেব ভয়ে ভয়ে বল্ল,অর নানা বাড়ি গ্যাছেগা কৈলাম তো।

আছমত রাজাকার মিলিটারিদের উদ্দেশ্য করে বল্ল,সাব ইয়ে সালে আচ্ছা মাদাচ্চোদ হ্যায় পাকড়াও সালেকো।

পরক্ষনে ঠাস,ঠাস করে কয়েকটি শব্দ হলো।ইমাম সাহেব আর্তনাদ করে উঠল,আল্লাহ গো!ইমাম সাহেবের মেয়ে মাছা থেকে লাফ মেরে নেমে এসে পিতার নিথর দেহের উপর লুটিয়ে পড়ে ,আব্বাগো আব্বা!আব্বা গো আব্বা !আব্বাগো আব্বা!মিলিটারির দল রহিমার মুখ চেপে ধরে অর একজন আরেকজন কে আনন্দের সহিত বলে,ইয়ে মাল আচ্ছা হ্যায়।রহিমাকে নিয়ে মিলিটারির দল ক্যাম্পে চলে যায় সাথে আছমত রাজাকার।বাড়িতে শুধু পড়ে থাকে ইমাম সাহেবের নিথর দেহ।

ক্যাম্পে পৌঁছে আছমত রাজাকার বড় ছাবের কাছে গিয়ে প্রায় ফিস ফিস শব্দে বল্ল,ছাব রহিমা আজায়ে!

বড় ছাবের মুখে আনন্দের হাসি।আছমত ও আনন্দের হাসি হেসে বলতে লাগল,ইয়ে মাল বড় আচ্ছা হ্যায় ছাব!বড় ছাব রহিমাকে তার সামনে নিয়ে আসতে বল্ল।কয়েকটা মিলিটারি রহিমাকে প্রায় টেনে হেঁচড়ে বড় ছাবের সম্মুক্ষে হাজির করল।

রহিমার সম্মুক্ষে পিছনে বড় ছাব ঘুরে ঘুরে হাঁটছে,তুমারা নাম কিয়া হ্যায়?

রহিমার মুখে কথা নেই।বড় ছাব রহিমাকে ধমক দিয়ে বল্ল,তুমার নাম কিয়া হ্যায়?

রহিমা তবুও কোন কথা বল্লনা হয়তবা রাগে শোকে হবে।

বড় ছাব রহিমার একটি হাত ধরে টেনে টেনে তার রুমে নিয়ে যেতে চাইল।রহিমা একটা হেচকা টান মেরে তার হাতটা ছাড়িযে নিলো।আবার বড় ছাব তার হাতটা জোড়ে ধরল।রহিমা স্বজোড়ে একটা কামড় দিলো বড় ছাবের হাতে,চিত্‍কার মেরে বল্ল তোর কি মা বোন নাই ঘরে?

বড় ছাব রহিমার চুলের গোছাটা একহাতে ধরে স্বজোড়ে একটা চড় বসাল রহিমার গালে।রহিমা মাটিত বসে পড়ল,দুইটা মিলিটারি তাকে মাটিতে শুইয়ে ফেল্ল এবং কয়েকটা মিলিটারি তার কাপড় চোপড় খুলতে লাগল।রহিমা আত্মচিত্‍কার করছে আর বলছে বাবা রে মারে ।মিলিটারিদের অনুনয় বিনয় করতে লাগল কিন্তু মিলিটারিরা তাতে কর্নপাত করলেন না।

প্রায় উলঙ্গ বড় ছাব তার গায়ের উপর ঝাপিয়ে পড়ল।রহিমা শুধু চিত্‍কার করছে,তার আত্মচিত্‍কার শুধু প্রতিধ্বনিত হচ্ছে কিন্তু কেউ আসছেনা তাকে সাহায্য করতে।কেউ নেই তাকে সাহায্য করবার মতো।

তার আত্মচিত্‍কার শুনে পাশ থেকে কয়েকটি মিলিটারি শুধু দাঁত কেলিয়ে হাসছে।

একেক জন আসছে আর তাকে ভোগ করছে।রহিমা কাউকে কিছুই বলতে পারেনা।কথা বলার মতো সামান্য শক্তি তার নেই।

রহিমাকে প্রায় অর্ধমৃত ,এখন কেউ আসছেনা।রহিমার শক্তি ক্ষীন হয়ে এসেছে।পানির তৃষ্ঞায় তার ছাতি ফেঁটে যাচ্ছে।এ ঘরে কাউকে দেখা যাচ্ছেনা।শুধু আছমতকে দেখা গেল,আছমত লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রহিমার নগ্ন দেহের দিকে।রহিমা আছমতের কাছে পানি চাইল।আছমত পানি এনে রহিমাকে খাওয়াল।পরক্ষনে আছমত ও শকুনের মতো ঝাপিয়ে পড়ল রহিমার দেহের উপর।রহিমা বাক রোধ হয়ে গেল।রহিমা শুধু বল্ল,কাকা আপনিও?এরপর আর কিছু রহিমার মনে নাই।যখন রহিমার জ্ঞান ফিরল,রহিমা লক্ষ্য করল আছমত রাজাকার মৃত অবস্থায় তার পাশে পড়ে আছে।দূরে কয়েকটা মিলিটারির লাশ।রহিমার বাংলাদেশের একটা পতাকা তার গায়ে জড়ানো।আস্ত একটা সূর্য উঁকি দিয়েছে জানালার পাশে।সারা গ্রামে জয় বাংলা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

রহিমা আকাশের দিক তাকিয়ে অঝোড় নয়নে বল্ল,

এতক্ষন পর ফিইরা চাইলা মাওলা?

রহিমা উঠে দাড়াতে চাইল কিন্তু সে শক্তি তার নাই।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

আজীব ০০৭ বলেছেন: রহিমা উঠে দাড়াতে চাইল কিন্তু সে শক্তি তার নাই।

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

সজল আহমদখ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান

২| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

সজল আহমদখ বলেছেন: দুঃখিত পাঠক লেখার এক জায়গায় মেয়ের নাম রাজিয়া দিয়ে ফেলেছি

৩| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

মেছো বাঘ বলেছেন: রহিমা উঠে দাড়াতে চাইল কিন্তু সে শক্তি তার নাই। কোনো দিন থাকবেও না!!

০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১২

সজল আহমদখ বলেছেন: হ্যা ভাই :(

৪| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১০

এহসান সাবির বলেছেন: রহিমার বাংলাদেশের একটা পতাকা তার গায়ে জড়ানো।
আস্ত একটা সূর্য উঁকি দিয়েছে জানালার পাশে।

অদ্ভুত লিখেছেন।

+++++++++++++++++++++++++++

০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৪৯

সজল আহমদখ বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

৫| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১১

সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: আমরা বাঙালী! কতিপয় পাক... বহনকারীর জন্য আজো বাংলাটা পুরো স্বাধীন করতে পারিনি

০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৫৭

সজল আহমদখ বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৬| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: রহিমার বাংলাদেশের একটা পতাকা তার গায়ে জড়ানো।আস্ত একটা সূর্য উঁকি দিয়েছে জানালার পাশে।সারা গ্রামে জয় বাংলা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
রহিমা আকাশের দিক তাকিয়ে অঝোড় নয়নে বল্ল,
এতক্ষন পর ফিইরা চাইলা মাওলা



চমৎকার লিখেছেন।




০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৫৫

সজল আহমদখ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

৭| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:১৮

নতুন পাপী০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।হৃদয়কে নারা দেওয়ার মতো।তাই +++++

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

সজল আহমদখ বলেছেন: আপনাকে অনেক থ্যাংক্স ভাইয়া|

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

সজল আহমদখ বলেছেন: আপনাকে অনেক থ্যাংক্স ভাইয়া|

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

সজল আহমদখ বলেছেন: আপনাকে অনেক থ্যাংক্স ভাইয়া|

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

সজল আহমদখ বলেছেন: আপনাকে অনেক থ্যাংক্স ভাইয়া|

৮| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৫৮

শোয়াইব আহামাদ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন,

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

সজল আহমদখ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৯| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৫৮

শোয়াইব আহামাদ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন,

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

সজল আহমদখ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

১০| ১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪

তাসজিদ বলেছেন: মন খারাপ করা লেখা। কত নারী ৭১ এ নির্যাতিত হয়েছে তার খবর কে রাছে।

চমৎকার লেখনি আপনার।

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

সজল আহমদখ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.