নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সজল খান

সজল খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ষবরনে বস্ত্রহরন : অতীত-বর্তমান

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়
বর্ষবরনের অনুষ্টানে আবারো নারী
নিপীড়নের ঘটনা ঘটলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের ওপর
নির্যাতনের ঘটনা এবারে প্রথম ঘটলো
তা নয়। নববর্ষের সন্ধ্যায় যখন নারীদের
বিবস্ত্র করা হয় তখন কিছুদূরে পুলিশ
দাড়িয়ে ছিলো কিন্তু কোনো
ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের এই নীরবতার
কারন বোঝা খুব অস্পষ্ট নয়। যারা এই
অপকর্মের সাথে জড়িত তারা
পুলিশের চেয়েও ক্ষমতাশালী। কিন্তু
বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম এই যুবকদের
রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেনি।
বিডি নিউজের খবরে বলা হয়েছে
সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি
এলাকায় সংঘবদ্ধ একদল যুবক নারীদের
শ্লীলতাহানি ঘটায় বলে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তারা
বলেন, টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানের গেইটে কয়েকজন নারীর
শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় ৩০-৩৫
জনের ওই যুবকের দল। তারা কারও কারও
শাড়ি ধরেও টান দিয়েছিল। তখন পুলিশ
কয়েক দফা লাঠিপেটা করলেও
ভিড়ের মধ্যে ওই যুবকদের নিবৃত্ত করতে
পারেনি। ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটন
নন্দী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
থেকে যখন সবাই বের হচ্ছিল, তখন
গেইটে থাকা বহিরাগত ওই যুবকরা
নারীদের শ্লীলতাহানি ঘটায়।
ঘটনা যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
ঘটছে তা নয়। জাহাংগীরনগর ও জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে।
যারা ঘটিয়েছে তাদের রাজনৈতিক
পরিচয়ও জানা গেছে। ক্ষমতার
রাজনীতির ছায়ায় থাকার কারনে
তারা এ ধরনের অপকর্মের দু:সাহস
দেখাচ্ছে। আমরা সরকার সমর্থক
অনলাইন পোর্টাল বিডি নিউজের
রিপোর্টটি দেখে নেই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে
ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে
ছাত্রলীগের এক কর্মীকে
পিটিয়েছে ছাত্ররা। তবে
উত্ত্যক্তকারীর ছবি তোলায় লাঞ্ছিত
হয়েছেন এক সাংবাদিক। মঙ্গলবার
বিকালে ক্যাম্পাসের বৈশাখী
অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে
রাজধানীর চানখারপুল এলাকায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস উত্তরণ ও
অনির্বাণে এই ঘটনা ঘটে বলে
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
উত্ত্যক্ততার জন্য মারধরের শিকার
ছাত্রলীগকর্মী নাজমুল রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তার ছবি তুলতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন
বাংলা ট্রিবিউনের জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রোহান।
বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান,
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক সুরঞ্জনের সঙ্গে
থাকা সংগঠনের কয়েকজন কর্মী উত্তরণ
বাসে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছিল।
চানখারপুলে এলে সবাই মিলে
নাজমুলসহ কয়েকজনকে মারধর করে বাস
থেকে নামিয়ে দেয়। উত্তরণ বাসের
পেছনে থাকা অনির্বাণে ছিলেন
রোহান। তিনি নেমে ঘটনার ছবি
তুললে নাজমুলসহ কয়েকজন তার ওপর
চড়াও হয়।
রোহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “আলাউদ্দিন, চঞ্চল ও
নাজমুল আমার ক্যামেরা কেড়ে
নিয়ে ছবিগুলো মুছে দেয়। তারা
আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও
দিয়েছে।”
এই বিষয়ে সুরঞ্জন বলেন, “নাজমুল
নামের ছেলেটিকে আমি চিনি না।
তবে আলাউদ্দিন এবং চঞ্চল আমার
কর্মী। ছাত্রীদের ইভটিজিং করা
এবং সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার
ঘটনায় আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। এ
বিষয়ে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।”
দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের যে নেতা
ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস
দিচ্ছেন তিনিও ছাত্রী
নিপীড়নকারীদের সাথে ছিলেন।
এখন তিনি সাধু সেজে
উতক্তকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেয়ার কথা বলছেন। কিন্তু যখন ঘটনা
ঘটে তখন তিনি নীরব ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে
২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইংরেজি
নববর্ষের রাতে শাওন আকতার বাধান
নামে এক নারীকে বিবস্ত্র করা
হয়েছিলো। তখনও যে সোনার
ছেলেরা এই অপকর্ম করেছিলো
তারাও ক্ষমতার রাজনীতির সাথে
সম্পৃক্ত ছিলো। তখনও বর্তমান
ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো।
পুলিশ ছিলো নীরব। এ নিয়ে মামলা
হলেও আসামিরা সবাই মুক্তি
পেয়েছিলো। কারন প্রবল চাপের
কারনে বাধন নিজেই দেশ ছেড়ে চলে
যান।
এরও আগে ১৯৭৩ সালে শহীদ মিনারে
ছাত্রীদের হামলে পড়ার সাথে
ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে আছে।
তাদের বর্তমান উত্তারাধিকারীরা
সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায়
রেখেছে। এই ছাত্রলীগ তৈরি
করেছে ধর্ষনে সেঞ্চুরি করা
মানিককে। সত্যিই সোনা আর
মানিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে
ছাত্রলীগ। এরাই এখন শ্লোগান দেয়
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে দেশ
এগিয়ে যাচ্ছে বর্ষবরনে বস্ত্র হরন তার
আরেকটি উদহারন মাত্র।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৮

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: প্রকৃত বিচার না হলে এ ধরণের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২০

সানোয়ারুল ইসলাম বলেছেন: এর জন্য শুধু ঐ পশু গুলোই দায়ী নয়। তারাতো কুত্তালিশ (পুলিশ) - কে পঞ্চাশ টাকার একটা করে নোট গুজে দিয়ে অন্য কোথাও আবার পশুগিরী করছে।তাদের কথা কিছুই বলার নাই।তাদের কে তৈরী করেছে ? তাদের এমন হওয়ার পেছনে এই সমাজ এই দেশ এই শিক্ষা ব্যবস্থা সব দায়ী।যে শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে তাতে ঐ পশুদের পাল ছাড়া একটা সভ্য মানুষও তৈরি হচ্ছে না।ঢাবিতে ৯৫% ছাত্রই ভাল জব আর লাইফ স্টাইল এর জন্য ভর্তি হতে চায়।ভাল জব পাবে না এই কথা বলা হলে কজন এখানে শিক্ষার জন্য আসত? দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন শিক্ষা দেয় ক্যমনে পেটে কিছু দিতে পারবে ক্যমনে কিছু মাল পাতি কামাই করতে পারবে ।প্রকৃত শিক্ষা এখানে দেওয়া হয় না।নৈতিকতা, জিবন বোধ,স্নেহশীলতা ,সম্মান দান আচরণ শিক্ষা ইত্যাদি আমরা গ্রামের ঐ মক্তবে পেয়েছি ।তাই বলা যায় গ্রামের ঐ মক্তব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা অধিক মর্যাদার অধিকারি,তার উস্তাদজি জাফর কায়কোবাদের থেকে অধিক সম্মানের অধিকারি ।সময় এসেছে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির জ্ঞান,দুনিয়ার জ্ঞান পেট চালানোর জ্ঞান (এজন্য বললাম যে যদি আর্টসে পড়েন মার্কেটিং, ইকোনোমিক্স ইংরেজি হাই চয়েস আবার সাইন্সে ম্যাথ,সিএসই বা ফার্মেসি। ছাত্ররা এই পড়া কেন পড়ে আর পড়ে কি শেখে জানাই যাচ্ছে) -এর পাশাপাশি জিবনের মানে শেখানো, নৈতিকতা শেখানো, খোদাভীতি তৈরির মাধ্যমে এরকম পশুর মত আচরণ বন্ধ করতে শেখানো জ্ঞানও সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়ার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.