![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন স্কুলে পড়তাম তখন অন্য সকল বিষয়ের পাশাপাশি ইসলাম শিক্ষা বইও পড়েছিলাম। ইসলাম শিক্ষা বইতে নবীজির জীবনী পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম কিভাবে প্রকাশ্য ইসলাম প্রচারে নামার পরে আবু লাহাবের পাথর নিক্ষেপে তার কপাল থেকে রক্ত ঝরিয়েছিল। তারপরেও তিনি ধৈর্য ধরে শান্ত ছিলেন। যা আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগের ঘটনা।
সেই ঘটনার প্রায় ১৫০০ বছর পরে একি সময়ে দুটি বিষয় যেন আশংকা জনক ভাবে ঘটে চলছে। আমরা যারা ব্লগে লিখি বা নিজেদের অনলাইন এক্তিভিস্ট ভাবি তাদের মধ্যে কিছু কিছু জনকে দেখা যায় যে নিজেদের মুক্ত মনা প্রমাণ করতে যে কোন ধর্মকেই কটাক্ষ করে সমালোচনায় লিপ্ত হচ্ছে। আবার সে বিষয়টি নিয়ে একদল মানুষ হত্যা করে চলছে। দুটি বিষয়ই ক্ষেত্র বিশেষে সবার মাঝে ভুল ধারণার জন্ম দিচ্ছে। সাধারণ যারা ইন্টারনেট কি জানেন না তাদের কাছে ব্লগ যেন কোন আলাদা জগত এবং ব্লগার কোন আলাদা জগতের বাসিন্দার মতই। তাদের কাছে একজন ব্লগার যেন দিন দিন ধর্ম অবমাননাকারী হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে। ব্লগ মানে যে শুধু ধর্ম নিয়ে লেখা লেখি না, ব্লগ মানে যে অন্যর বিশ্বাসকে আঘাত করা না, সে বিষয়টি যেন দিন দিন আড়াল হয়ে যাচ্ছে।
আবার যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে ব্লগার নামক মানুষ হত্যা করে চলছে তাদের কারনে শান্তির ধর্ম ইসলাম নিয়েও মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। কাফেরদের পাথরের আঘাতে প্রিয় নবীর পবিত্র রক্ত যখন ঝড়ে পরে তখন কি নবীজি অথবা তার সাহাবীরা ধরে ধরে কাফের হত্যা করেছিল? করেন নাই। তিনি ধৈর্য ধারন করেছেন। যেখানে স্বয়ং আল্লাহতালা সূরা বনী ইসরাইলের ৯৬ নম্বর আয়াতে বলেছেন :
قُلْ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ إِنَّهُ كَانَ بِعِبَادِهِ خَبِيرًا بَصِيرًا (96)
“হে রাসূল (আপনি ওদের) বলুন: তোমাদের ও আমার মাঝে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ-ই যথেষ্ট। তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন এবং সব কিছু দেখেন।" (১৭:৯৬)
আল্লাহ-তায়ালা এ আয়াতে কাফেরদের অযৌক্তিক অজুহাত ও গোঁড়ামির বিপরীতে রাসূল (সা.)কে সান্ত্বনা দেন। তিনি বলেন, তাদের এ ধরনের অযৌক্তিক কথায় আপনি কষ্ট পাবেন না; বরং তাদের বলুন: তোমাদের ঈমান আনা বা না আনায় আমার কিছু যায় আসে না এবং তোমাদের সমর্থনেরও কোনো প্রয়োজন আমার নেই। তোমরা ঈমান আনো বা না আনো, আমার সম্পর্কে আল্লাহ ভাল ভাবেই জানেন। তিনি আমার রেসালতের প্রত্যক্ষদর্শী।
যেখানে স্বয়ং আল্লাহতালা অযৌক্তিক কথায় নবীজিকে কষ্ট পেতে নিষেধ করেছেন, সেখানে এখন আমরা ধর্ম রক্ষায় আল্লাহ্ এবং নবীজির কথার বাইরে এসে মানুষ হত্যা করছি সেটা কতটা যুক্তি সঙ্গত আমার জানা নেই। ধর্মকে অবমাননা করা এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ হত্যা করা দুটি চর্চাই সামগ্রিক ভাবে ক্ষতিকর। তা যেমন একদিকে ধর্মকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করে অন্যদিকে ব্লগারদের ভুল ভাবে সবার কাছে পরিচিত করে।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
সজীববুরী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, এ বিষয়ে আমার ভুল হতে পারে। তাই সংশোধন করে দেওয়া হল।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
ইলুসন বলেছেন: এখন তো সেই অর্থে ব্লগার নাই, সবাই ফেসবুকে লিখে। আগে ব্লগে জনপ্রিয়তা পাবার জন্য ইসলাম বিদ্বেষী অনেকে লিখত। বিজ্ঞান দিয়ে যুক্তিতর্ক দিয়ে লেখা আমার ভাল লাগে কিন্তু ইসলামকে ব্যাঙ্গ করে লেখা ভাল লাগে না। কারো যদি মনে হয় যে আল্লাহ বলে কিছু নেই তাহল সে বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে প্রকাশ করুক। কিন্তু ইসলাম ও মহানবী (স)কে নিয়ে যখন গালি দেয়া হয় তখন আসলে তার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ হয়।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
ওয়াছেকুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন: ব্লগে লিখতে অারেকজনের ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করা হচ্ছে, ইসলামকে বিকৃত ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, আল্লাহর রাসুলকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা হচ্ছে, এরা কোন ধরনের ব্লগার বুঝিনা। সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের আর কোন পথ কি খোলা নাই ?
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
ওয়াছেকুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন: ব্লগে লিখতে অারেকজনের ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করা হচ্ছে, ইসলামকে বিকৃত ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, আল্লাহর রাসুলকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা হচ্ছে, এরা কোন ধরনের ব্লগার বুঝিনা। সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের আর কোন পথ কি খোলা নাই ?
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
নহে মিথ্যা বলেছেন: আমার যদি ভুল না হয় তাহলে পাথর নিক্ষেপে মহানবী (সাঃ) এর রক্ত মাটিতে পরার আগেই তিনি তা মুছে ফেলছিলেন কেননা যে মাটিতে নবী রাসূলদের রক্ত পরে সেখানে আল্লাহর আজাব নেমে আসে। অবশ্য সে সময় জিবরাইল (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ মহানবী (সাঃ) নিকট এসেছিলেন আজাব আনার অনুমতি নিতে কিন্তু মহানবী (সাঃ) সম্মতি দেন নাই।
আমার ভুল হতে পারে তবে আপনি আরেকবার একটু দেখুন।