নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে ভালকাজের পথ প্রদর্শন করল, তার জন্য রয়েছে এর সম্পাদনকারীর অনুরূপ সওয়াব” (সহীহ মুসলিম)

সাইফুল্লাহ্

সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২)তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩)কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)

সাইফুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিম হাকিম খাতরায় জান, নিম মোল্লা খাতরায় ঈমান

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

“গল্পটা অনেকদিন আগের শোনা। একদেশে এক মুঁচি ছিল, যে নির্দ্বীধায় মানুষের শরীরে অস্ত্রপাচার করত এবং তার মাধ্যমে অনেক রোগী ভালও হত। কিছুদিন পর সেই দেশে এক ডাক্তার আসল, কিন্তু কেউ সেই ডাক্তারের কাছে যায় না, কারন ডাক্তার সাহেব অনেক চিন্তা ভাবনা করেন আর অনেক সময় নিয়ে অস্ত্রপাচার করে থাকেন। অপরদিকে মুঁচি সাহেব তো অনেক সিদ্ধ হস্ত আর তার অনেক নাম ডাক। রোগী না পেতে পেতে ডাক্তার হতাস হয়ে গেল। এরপর অনেক চিন্তা ভাবনা করে ডাক্তার সাহেব একটা কাজ করল। সে মুঁচির কাছে গেল এবং তাকে বলল যেহেতু এই দেশে আমারা দুজনেই একই কাজ করি...তাই আসুন আমরা আমাদের ঞ্জান শেয়ার করি তাহলে তা দুজনেরই উপকারে আসবে। এই বলে ডাক্তার সাহেব যখন তাকে কাটাছেড়া করার বিপদজনক দিকগুলি শেয়ার করলেন। এরপর থেকে মুঁচি সাহেব আর অস্ত্রপাচার করতে পারে না, কারন এখন অস্ত্রপাচার করতে গেলেই তার হাত কাঁপে।............।“

গল্পটির সাথে আমি এটি সত্য ঘটনার বেশ মিল পেয়েছি। ঘটনাটি পৃথিবীর অন্যতম পবিত্র স্হান মদীনার। সেখানে মদীনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বড় শায়খকে কোন এক হালাকায় জিঞ্জাসা করা হয়েছিল, কুমিরের মাংশ খাওয়া জায়েজ কিনা? তিনি একটু চিন্তা করে বলেছিলেন, তার জানা নেই। অর্থাত্ ব্যাপারটা তাকে দেখে বলতে হবে। এত বড় একজন শায়খ যিনি অসংখ্য আলেমের ওস্তাদ, তিনি নিশ্চিত না হয়ে শরীয়তের এত ছোট্ট ব্যাপারেও ruling দিলেন না। অথচ আমাদের দেশে অনেক বড় বড় scholarly issues-এর ফতওয়া দিয়ে দিচ্ছেন এমন এমন ব্যাক্তি যাদের ইসলামের উপর academic পড়াশুনাই নেই। যেকোন প্রশ্ন আসলেই কোনএকটা ফরমেটে ফেলে উত্তর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কুমিরের মাংশ খাওয়ার ফতওয়া তো মামুলি ব্যাপার আরও বড় বড় ফতওয়া পাবেন ব্লগে বা ফেবুতেই। তবে আবদুল্লাহ শাহেদবা আবদুল্লাহিল হাদী. ভাইদের মত academic পড়াশুনা করে আসা ব্লগারদের কাছ থেকে পাবেন না, পাবেন এমন সব ব্লগারদের কাছথেকে যাদের ইসলামী শরীয়ার উপর academic পড়াশুনা তো দুরের কথা ইসলামের অনেক সাধারন ব্যাপারেও যাদের knowledge নেই।

আমাদের দেশে ভাল আলেম নেই তা নয়। যেমন নিচের ভিডিও লিংকে পাবেন, পৃথিবীযশা কিছু বাংলাভাষী আলেমের পরিচয়, যারা দ্বীন শিহ্মায় দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পরিভ্রমন করেছেন, কিন্তু প্রচারবিমুখতার কারনে এই প্রতিভাগুলোর সাথে আমরা অনেকেই অপরিচিত।

লিংকঃ link- Great Islamic scholars of BD

যারা ডঃ জাকির নায়েকের লেকচার শুনেছেন, তারা জেনে থাকবেন তার মত একজন বিশ্ববিখ্যাত দ্বায়ীও নিজেকে যোগ্য আলেম হিসাবে উল্লেখ না করে বরং তালেবী ইলমের একজন ছাত্র হিসাবেই উল্লেখ করে থাকেন। অথচ ঞ্জানের পরিধী, দ্বীন ইসলামের জন্য তার খেদমত এবং তার কাছে বিধর্মী/নাস্তিকদের নাস্তানাবুত হওয়ার কাহিনী দেখে অবাক না হয়ে পারা যায় না। তিনি নিজেও বিভিন্ন শুদ্ধ আক্বীদার আলেমদের মতামত উল্লেখপুর্বক কুরআন সুন্নাহর রেফারেন্স তুলে ধরেন।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক এরশাদ করেনঃ

“যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত, তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম। তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম। অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউই তাকে রক্ষা করার থাকত না। আর এটিতো মুত্তাকীদের জন্য এক নিশ্চিত উপদেশ। আর আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে কতক রয়েছে মিথ্যারোপকারী (কুরআনের প্রতি)।” (সূরা হাক্কাহঃ ৪৪-৪৯)

আবার পবিত্র কুরআন নাযিলের খুব কাছের একজন প্রত্যহ্মদর্শী ছিলেন আবুবকর (রাঃ)। কিন্তু তাকে যখন কুরআনের একটা শব্দের অর্থ জিঞ্জাসা করা হল (যে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত ছিলেন না) তিনি বললেন, “যদি আমি কুর’আন সম্পর্কে এমন কিছু বলি যা আমি জানি না, তাহলে কোন মাটি আমাকে বসবাসের জায়গা দেবে, কোন আকাশ ছায়া দেবে”? অথচ বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে তিনি যেকোন একটা উত্তর দিয়ে দিতে পারতেন।

উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেছেন, “ধর্মীয় ব্যাপারে তোমার মত প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হও”।

তাইতো অনেক আহ্মেপের সাথে ব্লগার মনপবন বলেছিলেনঃ মেডিক্যাল কলেজে হবু ডাক্তারদের পাঁচ বছর ধরে সিলেবাস শেষ করতে হয়, লেকচার নামের টর্চার সহ্য করতে হয়, লাশ কাটতে হয়। এরপর আবার কাগজে-কলমে পরীক্ষা দিতে হয়, হাতে-কলমে দিতে হয়, মুখে দিতে হয়। সবকিছুতে পাশ করে এমবিবিএস এর সনদ হাতে পেলে তবেই ডাক্তারী বিদ্যা জাহির করবার অনুমতি মেলে।

কিন্তু পোড়ার বঙ্গদেশে ইসলাম এমনই এক বিদ্যা যাকে ফুটপাথের মলমের ফিরিওয়ালা থেকে আদু-মন্ত্রী অবধি সবাই পাটায় পিষে ফতোয়া বের করে জনগণের কাছে বিতরণ করে। আপামর জনসাধারণ - মাওবাদী ছাত্র, বিসনেস এডমিন্সট্রেশনের শিক্ষক, সুদি ব্যাঙ্কের এমডি, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, সার্জন ডাক্তার, টেলিফোনের ইঞ্জিনিয়ার, ‘কাসুটি জিন্দেগি’-প্রান গৃহবধূ - কারো হাত থেকেই ইসলাম নিস্তার পায়না। প্রায় সবার ব্রেনেই ওহি আসে এবং সেটা ব্যবহার করে ‘ইসলাম কী’- এ ব্যাপারে নিজস্ব থিওরি তারা দাঁড় করান এবং এই থিওরিটাই ইসলামের নামে প্রচার করতে লেগে যান।“

ফলাফল - ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকারী এবং তার প্রয়োগে মহামারী। আমরা কুর’আনের কিছু আয়াত এবং কিছু বিক্ষিপ্ত হাদিস ব্যবহার করে ইসলাম বিষয়ক এমন একটা সিদ্ধান্ত নেই এবং প্রচার করি যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইসলামের মূল শিক্ষার বিপরীত।.

এজন্যই উর্দুতে বলা হয়,”নিম হাকিম খাতরায় জান, নিম মোল্লা খাতরায় ঈমান”। অর্থাত হাতুড়ে ডাক্তার জীবনের শত্রু আর হাতুড়ে আলেম ঈমানের শত্রু।

link- Great Islamic scholars of BD

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই পোস্টটি কি আপনার লেখা? না কোন মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর তা সংগ্রহ করেছেন?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: অন্যের লেখা হলে তো লেখকের নাম উল্লেখ করতাম.।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: এজন্যই উর্দুতে বলা হয়,”নিম হাকিম খাতরায় জান, নিম মোল্লা খাতরায় ঈমান”। অর্থাত হাতুড়ে ডাক্তার জীবনের শত্রু আর হাতুড়ে আলেম ঈমানের শত্রু।

-ধন্যবাদ পোস্টটি শেযার করার জন্য! আমিও আপনার কথার সাথে একমত। নিজে না জানলে অন্যের কাছ থেকে সেটা জেনে নিতে পারি, কিন্তু তাই বলে তো আর ভুল ব্যাখ্যা দিতে পারি না। আমাদের দেশে তো এখন পরগাছার মত আলেম গজাচ্ছে। যাদের না আছে জ্ঞান না আছে এলেম!

তবে প্রকৃত আলেম এবং এলেম ধারীকে মুসলিম হিসাবে অবশ্যই আমাদের সম্মান করা উচিত! কারন উনারাই তো হুজুর পাক (সাঃ) উত্তরসূড়ী! উনাদের কাছ থেকেই তো আমরা রাসুলে পাক (সাঃ) এর বানী শুনতে পাই!

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না, জিজ্ঞেস করলাম কারন, অনেকেই অন্যের লেখা নিজের নামে প্রকাশ করে দিচ্ছে কোন সুত্র উল্লেখ্য না করে।

যাইহোক, আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার একটা পোস্ট লেখার জন্য। অনেকদিন পর একটি সুলিখিত বিশ্লেষনমুলক লেখা পেলাম।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: আপনাকও ধন্যবাদ

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ভাই। আল্লাহ যেন অজ্ঞানতা থেকে আমাদের মুক্তি দেন।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

হানিফঢাকা বলেছেন: সুতরাং ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ভাবে না জেনে কিছু বলা ঠিক না। আপনি কোরআনের যে রেফারেন্স দিয়েছেন সেটা আল্লাহ নবী (সাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। সুতরাং নবী (সাঃ) এর পক্ষেও কোরআনের বাইরে গিয়ে নিজের মত করে বানানো কিছু বলা সম্ভব ছিলনা। আল্লাহ যদি নবী (সাঃ) কে এই কথা বলতে পারে, তবে না জেনে বুঝে ধর্ম সম্পর্কে কথা বললে আমাদের কি হবে সেটা সহজেই অনুমেয়। এই ব্যপারে কোন দ্বিমত নেই।
তবে আপনি যে ঘটনার রেফারেন্স দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে কিছু কথা না বললেই নয়। আপনার কথা অনুযায়ী সেই বিখ্যাত আলেম কে বলা হয়েছিল যে কুমিরের মাংস খাওয়া যাবে কিনা। এবং এর উত্তরে উনি বলেছেন তার জানা নেই। এইখানেই আমার প্রশ্ন। হারাম খাবেরে ব্যপারে কোরআন অত্যন্ত স্পষ্ট। এইখানে কোন রকম সন্দেহের আবকাশ দেখছিনা। আমি আপনাকে কোরআনের আয়াত গুলি এখানে উল্লেখ করে দেখাচ্ছি, আপনি নিজে পড়ে বলেন এইখানে বোঝার কোন স্মাস্যা আছে কি না?

১। তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। (৫ঃ৩)

২। তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, কি বস্তু তাদের জন্যে হালাল? বলে দিন, তোমাদের জন্যে পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হয়েছে। যেসব শিকারী জন্তুকে তোমরা প্রশিক্ষণ দান কর শিকারের প্রতি প্রেরণের জন্যে এবং ওদেরকে ঐ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দাও, যা আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। এমন শিকারী জন্তু যে শিকারকে তোমাদের জন্যে ধরে রাখে, তা খাও এবং তার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয় আল্লাহ সত্ত্বর হিসাব গ্রহণকারী।(৫ঃ৪)

৩। অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন রক্ত, শুকরের মাংস এবং যা জবাই কালে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারণ করা হয়েছে। অতঃপর কেউ সীমালঙ্ঘন কারী না হয়ে নিরুপায় হয়ে পড়লে তবে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(১৬ঃ১১৫)

৪। আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়। অতপর যে ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় যে অবাধ্যতা করে না এবং সীমালঙ্গন করে না, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল দয়ালু। (৬ঃ১৪৫)
আরও বলা হয়েছে ২:১৬৮, ৫ঃ১,৫ঃ৫,৫ঃ৯৬ আয়াতে। এইখানে না বুঝার কি আছে আপনি নিজেই বলেন। উনি এতবড় আলেম হয়ে কোরআনের এই আয়াত গুলি কি জানতেন না?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ভাল কথা, আচ্ছা তাহলে বলুন তো, কুরআনে বলা হল-
"কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়"(৬ঃ১৪৫)
তাহলে মরা মাছ কি খাওয়া যাবে??

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: না জেনে বা অল্প জেনে ফতওয়া দিলে কি অবস্হা হতে পারে একটি উদাহরনের মাধ্যমে আমরা দেখে নেইঃ

হযরত হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন “রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম একবার এক সম্প্রদায়ের আবর্জনা ফেলার স্হানে গমন করলেন । সেখানে এসে তিনি এর ওপর দাড়িয়ে প্রস্রাব করলেন । …. (তিরমিযী শরীফ ১৩ নং হাদিস)
এখন মনে করুন আপনি এই হাদিস শরীফ পড়লেন এবং conclusion draw করে সবাইকে বললেন রসুল (সাঃ) যেহেতু দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন এবং এটা সহীহ হাদিস গ্রন্থে আছে তাই দাড়িয়ে প্রশ্রাব করা জায়েজ।
এখন কিছুদিন পর আপনি তিরমিজী শরীফ আবার খুলে পড়া শুরু করলেন এবং এই হাদিসটি পেলেন :
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন “যে তোমাদের কাছে বর্ননা করবে যে রসুল (সাঃ) দাড়িয়ে প্রস্রাব করতেন , তোমরা তার কথা বিশ্বাস করবে না । তিনি কেবল বসেই প্রস্রাব করতেন । (তিরমিযী শরীফ ১২ নং হাদিস)
দ্বিতীয় নং হাদিস শরীফ পড়ে আপনি তো মহা সমস্যায় পড়লেন । কেননা আপনি প্রথম হাদিস শরীফ পড়ে আগেই conclusion draw করেছেন এবং আপনার বন্ধুদের বলেছেন । কিন্তু দেখা গেলো দুটো হাদিস সিহাহ সিত্তার হওয়া সত্বেও সাংঘর্ষিক(আপাতভাবে)।
চলুন দেখি আসলে ব্যাপারটা কি । প্রথম হাদিস শরীফের ব্যাখ্যা হলো রসুলের (সাঃ) একবার হাটুতে ব্যাথ্যা থাকার কারনে বসতে কষ্ট হচ্ছিল যে কারনে দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছিলেন। (হাকীম এবং বায়হাকীর রেওয়ায়েতে এটা প্রমান হয়) কিন্তু রাসুলের (সাঃ) সবসময়ের আমল এটা ছিল না । দুটো হাদিসের মধ্যে আসলে কোনো বিরোধ নেই । কিন্তু সমস্যা তখনই হবে যখন সবগুলো আয়াত/হাদীস না জেনে অথবা ফতওয়া দেবার যোগ্যতা অর্জন না করে অথবা যোগ্য আলেমদের মতামত না নিয়ে conclusion/ruling draw করা শুরু করব এবং তা প্রচার করা শুরু করব।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সময়-উপযোগী,উপকারী সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাইফুল্লাহ্ ,



ঠিক বলেছেন ---- হাতুড়ে আলেম ঈমানের শত্রু।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: A little learning is a dangerous thing;
drink deep, or taste not the Pierian spring:
there shallow draughts intoxicate the brain,
and drinking largely sobers us again.

অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী,

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ভালই বলেছেন

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্্রিনিএই ব্যপারে আপানার কথার কোন দ্বিমত আমি করিনি। আমি শুধু জানতে চাচ্ছিলাম আপনি যে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তা কতটুকু সত্য। কারন কোরআনে স্পষ্ট আয়াত থাকার পরেও উনি কেন বলতে পারেন নি? অনেক সময় মানুষকে বোঝাবার জন্য মানুষ (বিশেষ করে হুজুরেরা) মিথ্যা গল্প বানায়। আপনার এই গল্পটা সেই রকমের কি না। এইটাই ছিল আমার মূল প্রশ্ন।

আপনি আমাকে প্রশ্ন করেছেন মরা মাছ কি খাওয়া যাবে? এটা কি কোন কুইজ ধরনের প্রশ্ন? আমি স্কলার না।আমি কোন ফতোয়া দেইনা বা ঐ ধরনের নুন্যতম যোগ্যতা আমার নেই। তবে আমার যে যোগ্যতা আছে তা হল আমি লেখাপড়া জানি, সুতরাং কেউ যদি কিছু বলে সেটা আমি যাচাই করতে পারি।

এবার আসি আপনার প্রশ্নে, ধরেন কেউ আমাকে যদি জানার জন্য এই ধরনের প্রশ্ন করে আমার উত্তর হবে নিম্নরূপঃ
কোরআনের ৬:১৪৫, ১৬:১১৫, ৫:৩ ইত্যাদি আয়াতে যে শব্দটা এসেছে তা হল "মৃত"- অর্থাৎ প্রকৃতিগত মৃত (Died naturally)। আরও বলা আছে "good and pure"। সুতরাং যেসব মাছ প্রকৃতগত ভাবে মারা যায়, অর্থাৎ ধরার আগেই প্রকৃতগতভাবে মৃত থাকে সেগুলি খাওয়া যাবেনা। ধরার পরে/ বা ধরার সময় মরে গেলেও কোন সমস্যা নাই। কোরআনের আয়াত দিয়ে আমি এতটুকু বুঝেছি এবং এই হচ্ছে আমার রেফারেন্স (যা আমি এখানে দিয়েছি)। এখন আপনার যদি আরও প্রশ্ন থাকে থাকে তাহলে আলেমের কাছে যান এবং তার দলীল কি তা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন। আমার জ্ঞান এখানেই সীমাবদ্ধ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যাটি সঠিক নয়। কারন আল্লাহ সমুদ্রের প্রানী খাওয়াকে নিচের আয়াত দ্বারা হালাল করেছেনঃ
"তোমাদের জন্য সমুদ্র শিকার ও তা খাওয়া হালাল করা হয়েছে।" - সূরা মাইদাহ (৫:৯৬) Ibn ‘Abbaas said: “ Sayduhu (lit. hunting, pursuit) refers to whatever is taken from it alive, and ta’aamuhu (lit. its food) means whatever is taken dead.

নিচের লিংকে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে। আমি একটু সারাংশ দিচ্ছি-
http://islamqa.info/en/1919

আপনি যদি দ্বীন ইসলামের আলেম হতেন তাহলে বুঝতেন এখানে কত ব্যাপক জিনিস বিবেচনা করার ব্যাপার আছে এবং এব্যাপারে কত রকমের মতভেদ আছে-
There are a few things – certain types of water animals – which some scholars exclude from the permission outlined above. These are:
Crocodiles. The correct view is that eating these is not allowed, because they have fangs and live on land – even though they may spend a lot of time in the water – so precedence should be given to the reason for forbidding it (it is a land animal that has fangs)."

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বী এই আয়াত আমি জানি। আমার রেফারেন্সের সাথে এইটা কোথায় কনফ্লিক্ট করে তা বলবেন কি? আমি বলেছি প্রকৃতিগত মৃত (Died naturally) খাওয়া হারাম। আপনি যে আয়াত দিয়েছেন সেখানে পরিষ্কার বলা আছে তোমাদের জন্য সমুদ্র শিকার ও তা খাওয়া হালাল করা হয়েছে। মৃত প্রানী কেও শিকার করে?

সম্পূর্ণ আয়াত হচ্ছেঃ
তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকারসুমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে তোমাদের উপকারার্থে এবং তোমাদের এহরামকারীদের জন্যে হারাম করা হয়েছে স্থল শিকার যতক্ষণ এহরাম অবস্থায় থাক। আল্লাহকে ভয় কর, যার কাছে তোমরা একত্রিত হবে।

একটা প্রানী জতীয় যা শিকার করে খাবেন আরেকটা উদ্ভিদ জাতীয় যা হালাল।

ভাই তর্কের খাতিরে তর্ক করবেন না। আল্লাহ বলেছেন মৃত প্রাণী হারাম। আবার বলেছেন সমুদ্রের শিকার ও তা হালাল করা হয়েছে। তাহলে কি দাঁড়াল সমুদ্রে শিকার করে যা খাবেন তাই হালাল। দুইটা আয়াত একসাথে পড়লে অর্থ পরিষ্কার। কোথাও সমুদ্রের মৃত প্রানী হালাল হবার কোন ব্যতিক্রম কোরআনে দেওয়া আছে কি?

এইবার আপনার কুমিরের ব্যপারে আসি। আপনি বলেছেন "The correct view is that eating these is not allowed, because they have fangs and live on land"- আমারে বলেন আল্লাহ যে হালাল হারামের বিধান কোরআনে দিয়েছেন, সেখানে কোন আয়াত দ্বারা কুমির খাওয়া হারাম করা হয়েছে ( আমি আপনি খাইনা সেইটা ভিন্ন জিনিস, কিন্তু আল্লাহ এইটা হারাম করেছে কি না তা আমি জানতে চাই)

আপনি আলেম মানুষ আপনার কাছে আশা করি উত্তর পাব।
আপনি চাইলে Click This Link এই লিঙ্ক থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: যেহেতু আপনি এটাই জানেন না যে "হাদীস আল্লাহর ওহী"...... আপনি আগে এটা নিয়ে নিয়ে একটু পড়াশুনা করুন। তারপর নাহয় উসুলুল ফিক নিয়ে চিন্তা করবেন। :)

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: 1. ‘বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।‘(আল ইমরান: ৩১-৩২).
উপরের আয়াতে, যে, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের (সা.) দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে – তাকে আল্লাহ্ অবিশ্বাসী বলেছেন।

2.প্রেরণ করেছিলাম তাদেরকে নিদর্শনাবলী ও অবতীর্ণ গ্রন্থসহ এবং আপনার কাছে আমি স্মরণিকা অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি লোকদের সামনে ঐসব বিষয় বিবৃত করেন, যে গুলো তোদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।. [আন নাহল. ৪৪]
উপরের আয়াতে আল্লাহ্ রাসূলকে (সা.) অহীর ব্যাখ্যাকারী বলেছেন – আর কে না জানে আল্লাহ্ মানুষকে যেহেতু কেবল তাঁর ইবাদতের জন্যই বানিয়েছেন (৫১:৫৬) – আদৌ কিছু ব্যাখ্যা করতে হলে, ইবাদতই সর্বাগ্রে আসবে।

3. মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না’।(সুরা হুজুরাত:২)
এখানে আল্লাহ বলেছেন যে, রাসূলের (সা.)-এর কথার উপর কথা বললে [যার ভিতর ভিন্ন মত পোষণও আসবে] আমাদের আমল বরবাদ হয়ে যেতে পারে।

4. এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য। [আন নিসা: ১৩]

5. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।. [আন নিসা:৫৯]
এখানেও সকল বিষয় ফয়সালার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে নিয়ে যাওয়টাকে ঈমানের শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে

। ইসলামকে ভিতর থেকে ধ্বংস করতে চাওয়া মুসলিম বেশী যিন্দিকগণ ছাড়া, কারো বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে, এখানে আল্লাহর কাছে নিয়ে যাওয়া বলতে কুর’আনের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং রাসূলের (সা.) কাছে নিয়ে যাওয়া বলতে তাঁর হাদীস তথা সুন্নাহর কাছে নিয়ে যাওয়া বোঝানো হয়েছে!!

6.যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।. [আল আহযাব:২১]
উপরের আয়াতে রাসূল(সা.)-কে মডেল মনে করাটাকে ঈমানের শর্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে! আর যে সব ব্যাপারে তিনি মডেল হবেন, স্বাভাবিকভাবে তার ভিতর ইবাদতই আসবে সর্বাগ্রে।

7.অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হূষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।. [আন নিসা:৬৫]
এখানেও তাঁকে সকল বিষয়ে বিচারক সাব্যস্থ করাটাকে ঈমানের শর্ত করা হয়েছে!

8.আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম।! [আন নিসা :৬৯]

9.বলুনঃ আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তার উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর, তবে সৎ পথ পাবে। রসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে পৌছে দেয়া।. [আন নুর :৫৪]

10. O ye who believe! obey Allah, and obey the Messenger, and make not vain your deeds! [47:33]
এখানে আল্লাহকে এবং তাঁর সাথে রাসূলকে (সা.) না মানলে আমল বরবাদ হবার কথা বলা হয়েছে।

11. What Allah has bestowed on His Messenger (and taken away) from the people of the townships, belongs to Allah, to His Messenger and to kindred and orphans, the needy and the wayfarer; in order that it may not (merely) make a circuit between the wealthy among you. So take what the Messenger assigns to you, and deny yourselves that which he withholds from you. And fear Allah; for Allah is strict in Punishment. [59:7]

12. Deem not the summons of the Messenger among yourselves like the summons of one of you to another: Allah doth know those of you who slip away under shelter of some excuse: then let those beware who withstand the Messenger’s order, lest some trial befall them, or a grievous Penalty be inflicted on them. [24:63]
এখানে রাসূলকে (সা.) অবজ্ঞা করলে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে।

13. Obey Allah, and obey the Messenger, and beware (of evil): if ye do turn back, know ye that it is Our Messenger’s duty to proclaim (the Message) in the clearest manner. [5:92]

সবেশষে “যিন্দিকদের” জন্য একটা শক্ত আয়াত উল্লেখ করছি, যেখানে রাসূলের (সা.)-এঁর প্রতি আনুগত্যকে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে:

He who obeys the Messenger, obeys Allah; but if any turn away, We have not sent thee to watch over their (evil deeds).[4:80]
এই স্ট্যাটাসটা সৃষ্টিতে কেবল একজন মানুষকে দেয়া হয়েছে।

এসবেও যদি “কুর’আন অনলি” যিন্দিকদের না হয়, তবে বুঝতে হবে তারা জেগেই ঘুমাচ্ছে। কিছুতেই কোন “দলিল” গ্রহণ করতে তারা রাজী নয় – বরং তাদের কথা হচ্ছে: my way or no way!

পাঠক সুন্নাহর অপরিহার্যতা সম্বন্ধে আরো জানতে পড়ুন:

এহইয়াউস সুনান
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
সহযোগী অধ্যাপক, আল-হাদীস বিভাগ,
ইসলামী বিশ্বিবদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
২/২, দারুস সালাম, মীরপুর, ঢাকা।
ফোন: ৯০০৯৭৩৮

সবশেষে একটা হাদীসের বক্তব্য দিয়ে শেষ করছি যেখানে বলা হেয়েছ যে, “কেউ যাকে ভালোবাসবে, ক্বিয়ামতের দিন তার সাথেই সে থাকবে।”

আমি প্রাণপনে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাকে রাসূল(সা.)-এঁর সাথে রাখেন।

আপনারা কার সাথে থাকতে চান? নিও-মুতাযিলা ও “কুর’আন অনলি” যিন্দিকদের সাথে? (নাউযুবিল্লাহ্!)। নিশ্চয়ই না! আল্লাহ্ আমাদের সকলকে তাদের ও তাদের নেপথ্য প্রভুদের খপ্পর থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। আমীন!!

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি আগে আমার আগের প্রশ্নের উত্তর দেন। ঐযে কুমিরের প্রশ্ন...

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: ভাই আপনি মনে হয় আমার কমেন্ট ও লিংকগুলা ঠিকমত পড়েন নাই। পড়লে আবার এই প্রশ্ন তুলতেন না। আপনি বিশ্বাসই করেন না হাদীসও আল্লাহর পহ্ম থেকে ওহী, যা মুসলিমদের প্রথমিক বিশ্বাসগুলোর একটি। এবং মুসলিমগন একটি হাদীস অবিশ্বাস কারীকেও অমুসলিম মনে করে। সেখানে আপনার সাথে আর কিভাবে আলোচনা করা যায়। যার সাথে ১২৩৪ নিয়ে বৈপরীত্ব, তার সাথে ক্যালকুলাস নিয়ে আলোচনা করে লাভ আছে?

আপনার এই বিভ্রান্তির জন্যই আপনি মনগড়া একটি উসুলে ফীকহের নীতি বানিয়ে নিয়েছেন, যেটা বুঝা যায়-- কুরআনের একটি আয়ার পড়ে আপনার যা বুঝে আসে তাই হল এর ব্যাখ্যা, তাইতো আপনি মুল আরবীর এবং সহীহ হাদীসের তোয়াক্বা না করেই, কোন ব্যাক্তির করা কুরআনের ভাবানুবাদের উপর নিজের মস্তিস্ক নিঃসৃত ব্যাখ্যা আরোপ করে একটি ফতওয়া দিয়ে দিচ্ছেন।

অথচ --
কুরআন মজীদে বারংবার এরশাদ করা হয়েছে যে, মহিমাময় আল্লাহ তাঁর রাসুলকে (সাঃ) দুইটি বিষয় প্রদান করেছেন: একটি কিতাব বা পুস্তক এবং দ্বিতীয়টি হিকমাহ বা প্রঞ্জা। (সুরা বাকারা ১২৯,১৫১,২৩১; আল ইমরান-১৬৪, সুরা নিসা-১১৩; সুরা আহযাব-৩৪; সুরা জুমুআহ-২)। এখানে পুস্তক বা কিতাব হল কুরআনুল কারীম, যা হুবহু ওহীর শব্দে ও বাক্যে সংকলিত হয়েছে। আর হিকমাহ বা প্রঞ্জা হল ওহীর মাধ্যমে প্রদত্ত অতিরিক্ত প্রয়োগিক ঞ্জান যা হাদীস নামে সংকলিত হয়েছে। কাজেই ইসলামে ওহী দুই প্রকার কুরআন ও হাদীস। মুলত এ দুটিই (কুরআন ও হাদীস) ইসলামের তথ্যের মুল উত্স। ওহী/জীবরাইল (আঃ) রাসুলুল্লাহর (সাঃ) পর আর কারও কাছে আসেননি এবং অন্যকোন উত্স থেকেও মুল ইসলাম আসেনি। তাই সকল ইসলামিক বিশ্বাস, মুলনীতি, বিধিবিধান, গবেষনা বা ঐক্যমত্য এই ওহীর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়ে থাকে।

[আমার পোস্টে বিখ্যাত আলেমদের এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখা একটি বইয়ের লিংকও দিয়েছিলাম আপনি পড়েন নি বলেই মনে হচ্ছে-http://www.islamqa.com/en/ref/77243
http://www.shorolpoth.com/wp-content/uploads/2012/10/hadiser-name-jaliati-INTRODUCTION.pdf]

*****************ভাই যেহ্মেতে আপনার সতর্কতা জরুরী**********************

কুরআন অধ্যয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরী। সতর্কতার অভাবে এক্ষেত্রে যথেষ্ট ভুল-ত্রুটি হয়ে যেতেপারে; কেননা অনেক সময় কুরআনের কোন বক্তব্যের সাধারণ অর্থ কেউ বুঝে থাকতে পারেন, অথচ ঐ বক্তব্য দ্বারা বিশেষ অর্থটিই উদ্দেশ্য, সাধারণ ও ব্যাপক অর্থ নয়। কখনো পাঠক বুঝে থাকতে পারেন এমন অর্থ যা বুঝানো কুরআনের উদ্ধেশ্য নয়। এমনটি সাহাবাগণের কারো কারো ক্ষেত্রে ঘটেছিল।

আয়েশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘‘কিয়ামতের দিন যার হিসাব নেয়া হবে তার আযাব হবে।’’ আমি বললাম, আল্লাহ কি বলেন নি,

‘‘অতঃপর অত্যন্ত সহজভাবেই তার হিসাব নিকাশ করা হবে। [১৭]’’

তিনি বললেন, ‘‘এটা সে হিসাব নয়, বরং এটা শুধু উপস্থাপন মাত্র। কিয়ামতের দিন যার হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে নেয়া হবে, তার আযাব হবে।’’ [১৮] এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আয়েশা রা. হিসাবের সাধারণ ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছিলেন যা কম বেশী সব ধরনের হিসাবকে অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্পষ্ট করে দিলেন যে, আয়াতে উল্লিখিত হিসাব মানে হল – মুমিন ব্যক্তির কাছে তার আমল উপস্থাপন, যাতে সে আল্লাহর সে অনুগ্রহ অনুধাবন করতে পারে যা তিনি দুনিয়ায় তার দোষ গোপন করার মাধ্যমে এবং আখিরাতে ক্ষমা করার মাধ্যম করেছিলেন [১৯]।

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রা. বলেন, যখন অবতীর্ণ হল

‘‘যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানকে যুলম দ্বারা মিশ্রিত করেনি।’’

আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে তার নিজের উপর যুলম করে নি? তিনি বললেন, ‘‘আয়াতটির ব্যাপারে তোমরা যা বলছ বিষয়টি তেমন নয়, বরং যুলম মানে এখানে শির্ক। তোমরা কি শোন নি লুকমান তার ছেলেকে বলছিলেন,

“হে বৎস, তুমি আল্লাহর সাথে শরীক করো না, নিশ্চয় শির্ক বড় যুলম।’’ [সূরা লুকমান : ১৩] [২০]

এ ধরনের উদাহরণ অনেক। তবে এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ভুল হয়ে থাকতে পারে। যেমন :

১. চিন্তা-গবেষণার ত্রুটির কারণে অনুধাবনে ত্রুটি।
২. যে সব মৌলিক বিষয় একজন মুসলিমের জানা থাকা উচিত, তা জানা না থাকার কারণে কুরআন বুঝার ক্ষেত্রে ত্রুটি।
৩. প্রবৃত্তির অনুবর্তী হওয়ার কারণে সৃষ্ট ত্রুটি। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোন ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা ও আকীদায় পূর্ব থেকেই একটি বিষয় স্থির হয়ে আছে, যে কোন ভাবেই সে নিজের ধারণাটি কুরআনের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। ফলে আয়াত দ্বারা সেভাবে বুঝা না গেলেও সে নিজের আকীদা ও পূর্বাহ্নে স্থিরীকৃত বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আয়াতের বিপরীত অর্থ বুঝে থাকে। অথচ মুলিম মাত্রই উচিত হল সর্বাবস্থায় আল্লাহর মাকসুদ ও প্রতিপাদ্য বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝে নেয়া। কেননা সঠিকভাবে বুঝার জন্য ব্যক্তির সদিচ্ছা, সত্যানুসন্ধিৎসা এবং ভেতর ও বাহিরের সত্যিকার তাকওয়া থাকা প্রয়োজন। প্রবৃত্তির অনুসরণ, দুনিয়া পূজা, প্রশংসা পাওয়ার লোভ ও তাকওয়া বিসর্জন ইত্যদির উপস্থিতিতে সঠিক বুঝ ও উপলব্ধি কখনোই আসবে না [২১]।

আরেকটি কথা স্মরণ রাখতে হবে ,কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার মানে এটা নয় যে, ব্যক্তি নিজেকে মুফাসসির হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন, তাই এখন থেকে আলেমগণের তাফসীর না দেখে এবং ভালভাবে বুঝে না নিয়েই প্রত্যেক আয়াতের ব্যাখ্যায় নিজ অভিমত পেশ করবেন না। ভুলে গেলে চলবে না, তাফসীর মানেই হল আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক উদ্দিষ্ট অর্থের বর্ণনা, সঠিক নিয়ম-নীতির আলোকে তাফসীর করা না হলে ভুল করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

ইবন আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

‘‘যে ব্যক্তি কোন জ্ঞান ছাড়া কুরআনের ব্যাপারে বক্তব্য প্রদান করে, সে জাহান্নামে তার স্থান বেছে নিল।’’ [২২]

আবু বকর সিদ্দীক রা. বলেন,

‘কোন্ যমীন আমাকে আশ্রয় দেবে আর কোন্ আকাশ আমাকে ছায়া দান করবে যদি আমি আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে এমন কিছূ বলি যা আমি জানি না’। [২৩]

উবায়দুল্লাহ ইবন মুসলিম ইবন ইয়াসার তার বাবার কাছ থেকে বর্ণনা করে বলেন,‘যখন তুমি আল্লাহ সম্পর্কে বক্তব্য দেবে তখন থেমে গিয়ে দেখ, এর পূর্বে ও পরে কি আছে।’ প্রখ্যাত তাবেয়ী মাসরুক বলেন,‘তাফসীর করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাক; কেননা তাতো আল্লাহর পক্ষ থেকে বর্ণনা ছাড়া আর কিছু নয়।’ সাহাবা এবং তাবেয়ীগণের এ সকল বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় তারা তাফসীরের ক্ষেত্রে ইলম ও জ্ঞান ছাড়া কথা বলতে কি বিশাল সতর্কতা অবলম্বন করতেন [২৪]।

[১৭] সূরা আল-ইনশিকাক : ৮
[১৮] সহীহ বুখারী, কিতাব : তাফসীরুল কুরআন, বাব:আল্লাহর বাণী فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا , হাদীস নং ৪৫৫৮, সহীহ মুসলিম, কিতাব : জান্নাত, এর নিয়ামত ও জান্নাতবাসীদেও বর্ণনা, বাব : (আমলের) হিসাব সাব্যস্তকরণ, হাদীস নং ৫১২২
[১৯] হাফিয ইবন হাজা, ফাতহুল বারী, হাদীস নং ৬০৫৬
[২০] সহীহ বুখারী, কিতাব : তাফসীরুল কুরআন, বাব : আল্লাহর বাণী وَلَقَدْ آتَيْنَا لُقْمَانَ الْحِكْمَةَ হাদীস নং ৩১৭৫, সহীহ মুসলিম, কিতাব :আল-ঈমান, বাব : ঈমানের সত্যতা ও ইখলাস, হাদীস নং ১৭৮
[২১] ইমাম ইবনুল কাইয়েম, ই‘লামুল মুয়াক্কিয়ীন, ১/৮৭
[২২] সুনান আত-তিরমিযী, কিতাব : তাফসীরুল কুরআন, বাব :যিনি নিজ মতামত দ্বারা কুরআনের তাফসীর করেন তার ব্যাপারে যা এসেছে, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীস ‘হাসান সহীহ’, হাদীস নং ২৮৭৪
[২৩] ইমাম আল-বায়হাকী, শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং ২২০০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং ৪১৫০-৪১৫১, জামি‘উল আহাদীস, হাদীস নং ২৭৩০২
[২৪] মুকাদ্দিমাত ইবন তাইমিয়াহ ফিত-তাফসীর, মাজমু‘ আল-ফাতাওয়া, ১৩/৩৭৪

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.