![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ৪ঠা মার্চ কুষ্টিয়া-পাবনারজেলার সংযোগ স্থাপনকারী ভেড়ামারা -পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ শতবর্ষ পূরণ করল । ১৯১৫ সালের এই দিনে পদ্মায় পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে রেলওয়ে ব্রিজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। সেই থেকে এই ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
অবিভক্ত ভারত সরকার আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ সহজ করতে এই ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১৯১০-১১ সালে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ব্রিজটি উদ্বোধন করেন। তাঁর নামেই ব্রিজটির নামকরণ করা হয় ‘হার্ডিঞ্জ ব্রিজ’। ব্রিজটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (৩ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার ১৬৪ রুপি)। ১৫টি স্প্যানের এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৯৪০ ফুট। ব্রিজ দিয়ে শুধু ট্রেন চলাচলের জন্য পাশাপাশি দুটি ব্রডগেজ রেললাইন রয়েছে। তবে রাখা হয়েছে পায়ে হাঁটার পথ। বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিজটিতে বোমা মারা হয়। এতে ১২ নম্বর স্প্যানটির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তা মেরামত করা হয়।
এই ব্রিজ ঘিরেই দেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিত পায় ভেড়ামারা ও পাকশী । গড়ে উঠে রেলশহর পাকশী। ‘দেশের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যমণ্ডিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ আমাদের অতিগুরুত্বপূর্ণস্থাপনা। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সেতুটি দেখার জন্য আসছেন । সরকারি সহায়তা পেলে এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে ।
©somewhere in net ltd.