নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মুক্ত মনের লেখক। আমার যা ভালোলাগে আমি তাই লেখার চেষ্টা করি।

শেখ সাকিবুল ইসলাম

আসসালামু আলাইকুম, আমি সাকিব। আমি একজন ব্লগার ও ইউটিউবার। আশাকরি আমার লেখা আপনাদের ভাল লাগবে।

শেখ সাকিবুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পা হারিয়ে কি পেলাম ? শেষ পর্ব

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:০৫

লেখকঃ শেখ সাকিবুল ইসলাম (কাল্পনিক গল্প)

একটা অদ্ভুত বিষয় হল রাতুলরা কোন রকমের পরিস্থিতিতে হেরে যাবার মানুষ নয়। সে নিজেকে সব রকমের পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে জানে। বাবা মা কে হারিয়ে সে এখন নিস্য কিন্তু ভেঙে পরেনি। এটাই রাতুলের ভালো দিক। তার বেশ কয়েক দিন মন খারাপ ছিল কিন্তু সব কিছু মেনে নিয়ে আবার সে সামনে এগিয়ে যেতে শুরু করলো। রাতুল এখন পড়াশুনার পাশাপাশি অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য একটি কোর্সে ভর্তি হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে সে একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনারে পরিণত হয়েছে। এখন সে পড়াশুনার পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করে। ছেলেটা দেখতে দেখতে খুব ব্যস্ত হয়ে পরেছে। ব্যস্ত হওয়াই ভাল তার জন্য নয়ত বাবা মা হারানোর কষ্টটা সে এত সহজে ভুলতে পারতনা। এভাবেই দেখতে দেখতে রাতুলের এস এস সি পরীক্ষা শেষ হলো। রাতুল এ+ পেয়েছে তার বন্ধুরা আর স্কুলের টিচাররা খুব খুশি। পরীক্ষার পর ৩ মাসের ছুটিতে আরো কিছু এডভান্স কোর্স করে নিয়েছে রাতুল। এর মধ্যে একটি মেয়ের সাথে তার খুব ভাল আলাপ হয়েছে। মেয়েটির নাম অধরা। রাতুলদের বাসার ২ গলি পরেই থাকে। আশ্চর্য ব্যপার রাতুল কখন খেয়াল করেনি। মেয়েটা অনেক সুন্দর। রাতুলের অনেক খেয়াল রাখে। রাতুলকে অধরা মাঝে মাঝে ফোন করে প্রশ্ন করে সে ঠিক মত খেয়েছে কিনা। যদিও রাতুল এখন একজন রান্নার লোক রেখেছে। আর মাঝে মাঝে চাচাদের বাসা থেকে ও খালাদের বাসা থেকে খাবার আসে। রাতুল মাঝে মাঝে অধরাদের বাসায় যায়। সেখানে গেলে অনেক আয়োজন হয়। কলেজে ভর্তির সময় রাতুল ও অধরা একসাথে উদয়ন কলেজে ভর্তি হয়। ওরা প্রতিদিন রিকসাতে করে কলেজে যায়। আবার একসাথে রিকসাতে করে বাসায় আসে। ঢাকা ভার্সিটি এলাকার ভিতর ছোট্ট একটি কলেজ উদয়ন। ভাল নাম ঢাক আছে কলেজের। কলেজের আসে পাশের পরিবেশ খুব ভাল। রাতুল ও অধরার মধ্যে বন্ধুত বেশ গভির হতে থাকে দিনের পড় দিন। ওরা আসে পাসে বেরাতেও যায় ছুটির দিন। একদিন হাতির ঝিল বেরিয়ে এসেছে ওরা। ওদের মধ্যে সম্পর্কটা দিন দিন গভির হচ্ছে। এর মধ্যে অধরা বলল তাকে কয়েক দিনের জন্য গ্রামের বাড়ি যেতে হবে। শুনে রাতুলের মন খারাপ হয়। কারন এখন অধরাই রাতুলের সব। অধরা যেদিন রওনা দেয় রাতুলের কেন জানি ভাল লাগছিলনা। তার পরেও কয়েক দিনের ব্যাপার ভেবে মনকে সান্ত্বনা দেয়। অধরাকে বাসে তুলে দেবার ২ ঘন্টা পর রাতুল অধরার ফোনে কল দেয় কিন্তু অধরা রিসিভ করেনা। এদিকে অধরা বাসে উঠার পর কেমন যেন ভয় পেয়ে যায়। বাস চালক খুব খারাপ ভাবে বাস চালাছে। হঠাত বাস একটি খাদে পরেযায়। অধরার মাথার পিছন থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে। ঠিক ওই সময় অধরার মোবাইলে কল দেয় রাতুল। ফোনটি বাজতেই থাকে। রাতুল যানেনা এই ফোন অধরা কোন দিন ধরতে পারবেনা। অসমাপ্ত, , ,

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.