![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হুদা একজন পাবলিক ভাই! আমারে নিয়া লিখার মত কিছু পাইলাম না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ছি। অনেক কিছু জানতে পারছি... মানুষটা কোন মহাপুরুষ ছিলেন না যে কোন ভুল ত্রুটি করতে পারবেন না। উনি একজন সাধারন মানুষ ছিলেন যিনি ভুলত্রুটির মধ্যে দিয়েই শুধু বাবার একটা কথা মনে রেখে এগিয়ে গিয়েছিলেন,
Honesty of purpose & sincerity of purpose !
তাই এক ভুলত্রুটি সহ মানুষটিই এই জাতিকে মুক্ত করতে পেরেছিলেন। কিন্তু উনার সেসব ছোটখাটো ভুলত্রুটি, একগুঁয়েমিকে ছুতো বানিয়ে আজ দেশের বেকুব রাজনীতিবিদদের নেতৃত্বে হুজুগে বাঙ্গালী উনাকে এত্তো নীচে নামাতে পারছে কিভাবে জানিনা। জাতি হিসেবে বাঙ্গালীকে নিয়ে আমি লজ্জিত।
ভাবছি মাঝে মাঝে পঠিত কিছু অংশ বন্ধুদের জন্যে তুলে দেব। আজ প্রথম অংশ দিলাম।
--------------------------------------------------------
বন্ধুবান্ধবরা বলে, "তোমার জীবনী লেখ।" সহকর্মীরা বলে, "রাজনৈতিক জীবনের ঘটনাগুলি লিখে রাখ, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।" আমার সহধর্মীনী একদিন জেলগেটে বসে বলল,
"বসেই তো আছ। লেখ তোমার জীবন কাহিনী।"
বললাম, "লিখতে যে পারিনা, আর কী-ই বা এমন করেছি যে লিখা যায়? আমার জীবনের ঘটনাগুলি জেনে জনসাধারনের কি কোন কাজে লাগবে? কিছুই তো করতে পারলাম না। শুধু এইটুকু বলতে পারি, নীতি ও আদর্শের জন্যে সামান্য একটু ত্যাগ স্বীকার করার চেষ্টা করেছি।"
একদিন সন্ধ্যায় বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে জমাদার সাহেব চলে গেলেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ছোট্ট কোঠায় বসে বসে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে ভাবছি, সোহরাওয়ার্দী সাহেবের কথা। কেমন করে তার সাথে আমার পরিচয় হল, কেমন করে তার সান্নিধ্য আমি পেয়েছিলাম। কিভাবে তিনি আমাকে কাজ করতে শিখিয়েছিলেন এবং কেমন করে তার স্নেহ আমি পেয়েছিলাম।
হঠাৎ মনে হল লিখতে ভালো না পারলেও ঘটনা যতদূর মনে আছে লিখে রাখতে আপত্তি কী? সময় তো কিছু কাটবে। বই ও কাগজ পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে চোখ দুইটাও ব্যথা হয়ে যায়। তাই খাতাটা নিয়ে লেখা শুরু করলাম। আমার অনেক কিছুই মনে আছে। স্মরণশক্তিও কিছুটা আছে। দিন তারিখ সামান্য এদিক ওদিক হতে পারে, তবে ঘটনাগুলি ঠিক হবে আশা করি। আমার স্ত্রী যার ডাকনাম রেণু- আমাকে কয়েকটা খাতাও কিনে জেলগেটে জমা দিয়ে গিয়েছিলো। জেল কতৃপক্ষ যথারীতি পরীক্ষা করে খাতা কয়টা আমাকে দিয়েছেন। রেণু আরও একদিন জেলগেটে বসে আমাকে অনুরোধ করেছিলো। তাই আজ লিখতে শুরু করলাম।
--------------------♣-----------------
পুরো পান্ডুলিপিটা পড়লে বুঝা যায় উনার স্মৃতিশক্তি শুধু ভালো না, যথেষ্ট ভালো ছিলো। সবার ভালো লাগলে ভবিষ্যতে আরও দেবো।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
ভবগুরে ছেলেটা বলেছেন: ভাই আপনার সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহমত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করলেই আওয়ামীলীগকে ভোট দিতে হবে এটা ভুল ধারনা। একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে অন্তত এটা বাবার কাছ থেকে শিখেছি। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে আপনার ধারনা একটু মনে হয় ভুল আছে। এ ব্যপারে আপনার সাথে কোন তর্কে যাব না। এটা পুঁথি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন না। তাই থিওরী কপচানো বাদ দেন।
আমি বড় হবার আগ পর্যন্ত বাবা আমাকে এটা নিয়ে কিছু কখনো সিরিয়াসলি বুঝাতে বসেন নি। জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে পরিস্থিতি অনুযায়ী , কখনো বা ঘুম পাড়ানী গল্পের মত একটু একটু করে কোন উপক্রমনিকা না দিয়েই সংলাপ বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মত করে বলতেন। হঠাৎ করেই বড় হয়ে একদিন টের পেলাম জিনিসটা কিভাবে যেনো আমি বুঝতে পারছি। এই কয়েক মাস আগে অবশেষে বাবা এবং আরও মুক্তিযোদ্ধা বন্ধুরা যখন আমাদের বাসায় শাহবাগ আন্দোলনের সময় খুব বেশি আড্ডা দেবার সময় আমাকে আসলেই টাইটেল সহকারে বললেন যে, "শোন সাকিব এমন একটা দেশ হবে যেখানে গরীব মেরে এলিট মানুষের রাজধানী আলোকবর্ণে সাজবে না। হিন্দু মুস্লিমের নামে দাঙ্গা হবেনা। সবাই একসাথে ভাই বোন মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ... খাদ্যের অভাবে একদল লোক মরবেনা যখন আরেকদল লোক আয়েশে থাকবে। কোটায় ফেলে একদল মানুষকে সমাজের নীচে ফেলে রাখা হবে না... (আরও বেশ কিছু কথা বলেছিলেন, এখন সব ল্কখতে গেলে আঙ্গুল ব্যথা হয়ে যাবে ভাই। ) ............
এটাই ছিলো আমাদের স্বপ্ন যার জন্যে একদিকে যুদ্ধ করেছি আর অন্যদিকে গভীর রাতে জানের ঝুঁকি নিয়ে রাজাকারের শকুন চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রামে গ্রামে জঙ্গলের ভেতর হারিকেন জ্বালিয়ে মানুষদের একত্র করে বুঝিয়েছি যে কেন যুদ্ধ করতে হবে। এটাই মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনা ছিলো।"
-------------
লক্ষ্য করুন এখানে বর্তমান আওয়ামীলীগকে ভোট দেবার কথা নেই। তখন বাংলার তথা পুর্ব পাকিস্তানের একটাই দল ছিলো আওয়ামী মুসলিম লীগ, তাই তাদের নেতৃত্বেই আন্দোলন বলেন যুদ্ধ বলেন সব হইতো। আমাদের কন্ঠ পশ্চিম পাকিস্তান আর বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেবার সবেধন নীলমনি একটাই দল ছিল।
তাই বলে শেখ হাসিনাকে ভোট দেবার কোন দরকার নাই। কিন্তু ভুলেও ভাববেন না বঙ্গবন্ধু ছাড়া এতো সহজে বাঙ্গালী স্বাধীনতার মুখ দেখতো। উনি না থাকলে মাটির মানুষ হোসেন শহিদ সোহ্রাওয়ার্দী আর মাওলানা ভাসানী একলা পুর্ব পাকিস্তানের মানুষকে কখনো জঘন্য কুটনিতিক পশ্চিমাদের কাছ থেকে মুক্ত করতে পারতেন না। কেন সেটা আমি আপনাকে বোঝাবোনা। একজন বাংলাদেশী হিসেবে নিজেদের জাতির ইতিহাস জেনে নেয়া আপনার নাগরিক দায়িত্ব, আশা করি নিজেই জেনে নেবেন।
আর আমি উনার AUTOBIOGRAPHY-র আরও অনুচ্ছেদ দিতে থাকবো ইনশাআল্লাহ্, এটা পড়তে থাকলেও বুঝতে পারবেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পুর্ণ অনন্য এটা জাতীয় প্ল্যান। এর উপর আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি কিংবা কোন দলেরি পৈতৃক দখল নাই।
ভালো থাকবেন।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
ওবায়দুল হক মাহমুদ বলেছেন: অনেক কষ্টের দিনলিপি তে ছোট্ট দুটি সুখবর
(১) আমাদের বয়ষ্ক বুয়া রাশেদের মা'র নাতি কে ৩৬ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার ।
(২) বাসার পিছে থাকা কিশোরী মেয়েটিকেও সুস্থ ও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ।
Click This Link
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
ভবগুরে ছেলেটা বলেছেন: শুনে বড় ভালো লাগলো মাহমুদ ভাই !
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: আওয়ামী লীগ সম্বন্ধে, অন্তত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সম্বন্ধে আমাদের একটি প্রাথমিক ভুল ধারণা হোলো যে এটি একটি "রাজনীতিক" দল। আওয়ামী লীগ মূলত একটি স্পিরিচুয়াল প্রজেক্ট যার মঞ্জিলে মকসুদ হোলো একটা বিলিফ-সিস্টেম। রাজনীতি, ক্ষমতা, ভোট - এসব খুবই গুরুত্বপুর্ণ কিন্তু আসলে এই বিলিফ-সিস্টেমের ইনএভিটেবল এক্সটেনশান মাত্র।
যে কোনো বিলিফ সিস্টেমের জন্য একটা অতি-সরলীকৃত ন্যারেটিভ আবশ্যক। আওয়ামী বিলিফ সিস্টেমের এ ন্যারেটিভ শুরু হয় এই সিদ্ধান্ত দিয়ে যে বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না কোনদিনও। লক্ষ্য করুন সিদ্ধান্তটি: এটি কিন্তু এমন নয় যে বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সবচেয়ে বড় নায়ক বরং তিনি নিজেই স্বাধীনতার embodiment, তিনি নিজেই স্বাধীনতা। এই বিশ্বাস থেকে জন্ম হয় এক মিথিকাল মেসায়ানিক ক্যারেক্টারের, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি না হলে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না, তাই আমাদের অস্তিত্ব তার ত্যাগ ও অবদানের উপর নির্ভরশীল। তিনি সকল "অপরাধের" উর্ধ্বে - কিছু ভুল-ভ্রান্তি হয়েছিলো হয়তো কিন্তু সেগুলো অনিবার্য ছিলো, fatalism যার একমাত্র ব্যাখ্যা। এই ভুলের সাথে সবের সংযোগ আছে-বিশ্বপ্রেক্ষাপটের সংযোগ আছে (কোল্ড-ওয়ার সময়ের নেতা তিনি)- নিজের দলের সংযোগ আছে (সবাই পায় সোনার খনি কিন্তু আমি পাইছি চোরের খনি) - দলের বাইরের সংযোগ আছে (স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির কার্যকলাপ) - শুধু তার নিজের সংযোগ নাই
আওয়ামী লীগ আপনার কাছে ভোট চায় না, এতো বড় একটা স্পিরিচুয়াল প্রজেক্টের জন্য একটা ভোট কোনো ভাবেই যথেষ্ট না। লীগ চায় আপনি এই বিলিফ সিস্টেমের মুরিদ হন, ভোট এমনিই আসবে, লীগ মানেন কিংবা বাম।
একটা রাজনৈতিক দল তাকে ভোট না দিলে ওই ভোটারকে গাধা ভাবে, কিন্তু আওয়ামী লীগ আপনার মাঝে গিল্ট কনশাস তৈরী করে। আমারে ভোট দিয়েন না অসুবিধা নাই, কিন্তু আমার ন্যারেটিভরে আপনি যদি না নেন তাহলে আপনি মুক্তিযুদ্ধের সাথে, বাঙালিত্বের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। লীগ আপনার আত্মারে শুদ্ধি দিতে চায়। আমাদের জাতীয় জীবনে শ্রদ্ধার ও প্রয়োজনের আবেগ ও সিম্বলগুলোর তাই "পবিত্রকরণ" করে, ধর্মের মতোন। ভাষা-শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোই যথেষ্ট না, এই শ্রদ্ধা যদি আপনার মধ্যে পবিত্রতার অনুভুতি না জাগায় আপনি সিদ্ধি পাবেন না। শ্রদ্ধার সাথে পবিত্রতার ডিভোর্স নাই, থাকতে পারে না। গালভরা নাম দেয়া হয় এই স্পিরিচুয়াল প্রজেক্টের: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
(ফেসবুক থেকে)