![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাকিব শাহরিয়ার। যেহেতু পৃথিবীর বুকে নিজের অস্তিত্ব অনুভব করি সেহেতু আমি একজন মানুষ। তবে বিবেকের কাঠ গড়ায় দাড়ালে কতটা হতে পেরেছি তা বলতে পারি না। তবুও আমি একজন মানুষ বা মানুষ হওয়ার প্রত্যাশায় তপস্যা রত এক সত্তা বলে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতেই বেশি সম্মান বোধ করি।
- হ্যা বলো।
- কি করছেন?
- কিছু না একটা খুব ভালো থিম এসছে মথায়, লিখছিলাম।
- আমি আপনাকে পাচবার কল করলাম।
- ওহ, মোবাইলটা সাইলেন্ট ছিলো তো টের পাইনি।
- এরকম উদাস হলে হবে? আপনি আমার কোনো খোজ খবর রাখেন না।
- কে বলল সকালে না ফোন দিলাম ঘুম থেকে উঠে।
- মনটা খুব খারাপ, কিছুই ভালো লাগছে না।
- কেন কি হয়েছে?
- কি হয়েছে জানি না।
- হা হা হা হা। কাব্য শুরু করেছো মনে হচ্ছে?
- আমি কি আর আপনার মত পারি।
- কে বলে পারো না। আমার লেখার অনুপ্রেরনা তো তুমিই। যখনি আমি কিবোর্ডে টাইপ করতে বসি তখনি আমার মনে হয় তুমি যেন আমার পাশে বসে বলছো লেখেন আপনি পারবেন।
- আপনি জানেন আপনার মধ্যে কি যেন একটা আছে যা আমাকে চুম্বুকের মত টানে। সারাদিন আপনার সামনে বসে থাকতে ইচ্ছে করে। আপনি খুব সহজে মানুষের মন ভালো করে দিতে পারেন।
- হুম দোয়া করো যাতে সব সময় পারি।
- আচ্ছা আম্মাকে বলেছেন?
- হ্যা আম্মা তো জানেই।
- না আমরা যে বিয়ে করলাম সেটা।
- না বলা হয়নি।
- বলবেন না?
- হুম কিছুদিন যাক, একটা জব পাই তার পরে বলব।
- আম্মা শুনলে কষ্ট পাবে না?
- হ্যা খুবই কষ্ট পাবে। কারন আমি একটা মাত্র ছেলে তো তাই।
- তাহলে এভাবে করলেন কেন? আপনি বড় একরোখা আর গোয়ার।
- এক ছেলেরা একটু গোয়ারই হয় জানো না?
- জানি আপনাকে দেখলেই বোঝা যায়, সা্রা জীবন জ্বালাবেন আমাকে। বিয়েটা কি একটু পরে করা যেত না?
- না সোনা বউ যেত না, কারন তুমি জানো আমি হিপোক্রট না। আমি ভিতরে যা বাইরে ও তা।
- হুম সে জন্যই আপনাকে এত ভালো লাগে। চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়।
- আমার না মাঝে মাঝে খুব অবাক লাগে আমাকে তুমি এত পছন্দ করো কেন? আমার না আছে চাল না আছে চুলো। তারপর আমি হচ্ছি একটা বদ রাগি মানুষ। সব সময় তোমার উপর সব কিছু চাপিয়ে দেই। তুমি ও সব কিছু খুশি মনে মেনে নাও। মেয়ে মানুষ এতো ভালো হতে পারে তা আমার আগে কখনো জানা ছিলো না, বিলিভ মি। তোমাকে যতবার দেখি মাধবী লতার মত মনে হয়। পড়েছো সমরেশের কালবেলা? আমি মাধবী লতার খুব ভক্ত ছিলাম। মনে মনে চাইতাম মাধবী লতার মত যদি আমার ও কেউ থাকতো।
- আমি মেয়ে মানুষ আমার এতো পড়ে টড়ে কাজ নাই। আপনি লেখেন, আপনি পড়েন কাজে দেবে। জানেন আপনার যেদিন লেখা বের হয় আমার এতো ভালো লাগে মনে হয় সবাই কে ডেকে বলি দেখো আমার সোনা বরের লেখা বের হয়েছে। সত্যি বলছি বিশ্বাস করবেন না আমি তিনচারবার করে পড়ি আপনার এক একটা লেখা। আপনি জানেন আপনার লেখা প্রত্যেকটা শব্দের এক একটা গন্ধ আছে। আমি পাই সে গন্ধ। আপনি যদি নাম ছাড়াও আপনার লেখা ছাপান আমি শব্দের গন্ধ শুকে বলে দিতে পারবো কোনটা আপনার লেখা।
- হা হা হা একটু বেশি প্রশংসা হয়ে যাচ্ছে না সোনা বউ?
- না সোনা বর একটুও বেশি হচ্ছে না। আমি জানি আপনি একদিন অনেক বড় রাইটার হবেন। তখন কত মেয়ে ঘুরবে আপনার পিছন পিছন অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য। এটা চিন্তা করলে হিংসায় আমার গা জ্বলে যায়। আপনার লেখা শুধু আমি পড়ব, আপনি কখনো এত বড় রাইটার হবেন না কেমন?
- আচ্ছা যাও সোনা বউ আমি কখনও খুব বড় রাইটার হবো না কেমন?
- না হবেন। তখন আমি সবাইকে বলব যে দেখেন আমার উনি কত বড় রাইটার। সবাই আপনাকে কত পছন্দ করবে। চারদিকে আপনার কত নাম ছড়িয়ে পড়বে। সাবাই আমাকে আপনার বউ বলবে ভাবতেই আমার আনন্দে চোখ দিয়ে পানি চলে আসে। প্রমিজ করেন আপনি সেদিন ও আমাকে এখনকার মত ভালোবাসবেন।
- তুমি কি ভালোবাসা মাপার যন্ত আবিষ্কার করেছো নাকি?
- কেন?
- তাইলে মেপে রাখতাম এখন কত কিলোগ্রাম ভালোবাসি। পরে ও তত কিলোগ্রামই বাসতাম একটু কম ও না বেশি ও না।
- দেখলেন আপনি কেমন চালাক? আমার প্রশ্নটা কত চালাকি করে পাশ কাটিয়ে গেলেন। থাক আপনার আর প্রমিজ করতে হবে না। আমি জানি পুরুষ মানুষ হচ্ছে হারামির জাত। বউ মারা গেলে পরেরদিনই আবার বিয়ে করে। আমি বুঝে গেছি আমি মারা গেলে পরের দিনই আপনি আবার বিয়ে করবেন।
- মারা গেলে তো হিসেব নিকেশ আলাদা তখন কি আর তুমি দেখতে আসবে নাকি?
- আসব না মানে? কবরে শুয়ে শুয়ে আভিশাপ দেব আপনার বউ এর যাতে প্রতি রাতে কোমড় ব্যাথা হয়; তার যাতে কোনোদিন বাচচা না হয়; সে যাতে একটা দজ্জাল আর খবিশ মহিলা হয় তখন আপনি বুঝবেন আমি কি ছিলাম আপনার লাইফে। মানুষের নিয়মই দাত থাকতে দাতের মর্যাদা দেয় না। আমার মত এত ভালো আপনার মত মূর্খ পন্ডিতকে আর কেউ বাসবে না।
- থামলে কেন বল বল আরও বল শুনতে খুবই ভালো লাগছে।
- আপনার লজ্জা করে না? এখনি আপনি আমার সামনে অন্য মেয়ের কথা বলেন?
- আমি কই বললাম তুমিই তো অতি কল্পনা করে বললে। আমি তো শুধু হাল ধরে ছিলাম দাড় তো তুমিই টানছিলে।
- ও আমি দাড় টেনে যেদিকে যাই আপনি বুঝি নৌকা সেদিকেই চালাবেন?
- কেনো নয়? নয়ত তো তুমি বলবে আমি ডমিনেটিং।
- আপনার সাথে কথায় পারা যায় না তবে আমি বুঝে গেছি আপনার উদ্দেশ্য কি।
- কি?
- আমি মরে গেলে আপনি বাচেন। বগল বাজাতে বাজাতে আর একটা বিয়ে করবেন। পুরুষ মানুষ আমি চিনি না। একটা হারামির জাত।
- হুম শুনোনি মা মরলে বাপ তাঐ।
- আপনি আর আমকে কোনোদিন ফোন দিবেন না।
- আচ্ছা।
- কোনো মিস কল ও দিবেন না
- আচ্ছা, আর কি কি করব না?
- কোনো টেক্সট ও করবেন না।
- হল এ কল পাঠাতে পারবো?
- না।
- বিভিন্ন অকেশনে ফুল? লাল গোলাপ?
- না।
- এফবি পোকিং, মেসেজ অর ইমেইল?
- উফ নো।
- আচ্ছা কতোদিন চলবে এই সব?
- সারা জীবন।
- ওকে, রাখি তাইলে। মনে থাকবে তো?
- হুম, আপনার কি ধারনা আমি আপনাকে আবার কল করবো?
- না।
- আপনার পায়ে ধরে পরে থাকবো?
- কখোনই না। এখন নারী স্বাধীনতার যুগ। বিশ্বায়নের এ যুগে মার্কেট ফ্ল্যাট হচ্ছে আস্তে আস্তে। এন্ট্রি ও একজিট রেস্ট্রিকশন কমছে। বাজার এখন পূর্ণ প্রতিযোগিতা মূলক। মানুষ গুলো আস্তে আস্তে পণ্য হয়ে যচ্ছে। জরায়ুর স্বাধীনতাবাদী আন্দোলন গুরুত্ব পাচ্ছে। তোমার জরায়ু কেন শুধু আমার কাছে বন্দি থাকবে? প্রতিদিন হাত বদলাবে আমার দেশের মা বোনেরা। থাইল্যান্ডের মত আমার দেশের ইকোনোমি ও দাড়াঁবে আমার দেশের মা বোনেদের জরায়ুর উপর। তারপর প্রগতিবাদী ইন্টেলেকচুয়ালরা গান লেখবে, যে মেয়েটা রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে তার অভিশাপ নিয়ে চলাই জীবন।
- ধ্যাত আপনি একটা পাগল।
- এটা আর নতুন কি? এই লাইনটার শতক পূরন হতে চললো আজ।
- আমাকে আর কখন ও ফোন দিবেন না
- সচেতন ভাবে দিব না, অবচেতন মনে চলে গেলে দুঃখিত।
- কেন, অবচেতন মনে আসবে কেন?
- অনেকদিনের অভ্যাস তো তাই। চুরের চুরি করার কোনো সুযোগ না থাকলে নিজের ঘরেই সিধ কেটে চুরি করে জানো না?
- আপনি অবচেতন মনে ও দিবেন না। আপনাকে আমি চিনি না? একটা হারামির হারামি। আমার জন্য কি আপনার মন পোড়ে?
- একটু ও না।
- পুরুষ মানুষ যে কি চিজ। আমারি ভুল হয়েছে। এত তাড়াতাড়ি আপনাকে বিয়ে করা আমার ঠিক হয়নি।
- এখন তো ঠিকটা বুঝতে পারছো তাই না? বিয়ের বয়স মাত্র কয়েকদিন হলো। কয়েকজন সাক্ষ্য রেখে আল্লাহর নামে শপথ করে করা বিয়ে, রেজিস্ট্রেশনও হয় নি এখনো তাই কোনো এক্সিট রেস্ট্রিকশন নাই। তুমি চলে গেলে আমি মামলা করতে পারবো না তাই উপন্যাস লিখব বিয়ে হলো কিন্তু বাসর হলো না। খুব ভালো নাম। বাজারে খুব কাটতি পাবে কি বলো? তোমাকে একটা সৈজন্য কপি পাঠিয়ে দেব কেমন? কারন তখন তো তুমি আর আমার বই কিনে পড়বা না, তাই না? উৎসর্গে লিখব আমার পরলোক গত প্রিয়ার প্রতি। অন্য কাউকে বিয়ে করা আর মারা যাওয়া তো একই।
- বক বক থামান তো। সব সময় বক বক ভালো লাগে না।
- ও আচ্ছা রাখছি তাইলে।
- হুম আর কোনোদিন ফোন দিবেন না কিন্তু।
- আচ্ছা জো হুকুম। সচেতন ভাবে দিব না।
অপর পাশ থেকে কেটে গেল ফোন। রুবাইয়ার আবার লেখা শুরু করেছে। অরনীর মেজাজ চরম গরম। ফোন রেখে শুয়ে পড়েছে। ঘন্টা খানেক ঘুমানোর পরও নিজের উপর বিরক্তি কাটছে না। এরম ভাবে ঝগড়া না করলে ও পারতো সে। কি আর এমন বলেছিলো রুবাইয়াত? সে তো মেয়েদের প্রসঙ্গ টানে নি টেনেছিলো অরনী নিজে। ভুলটা তার নিজের। আর মানুষটা যা আত্মভোলা, দেখা যাবে হয়ত খেতেই মনে নাই। একটা বদের হাড্ডি, ত্যারার ত্যারা, গোয়ারের গোয়ার; একবার বেকে বসলে আর সোজা করা যায় না। দেখা যাবে চুপে চুপে নিজে কষ্ট পাবে কিন্তু কাউকে কিছু বলবে না। কি লাভ কষ্ট পেয়ে আর একজনকে কষ্ট দিয়ে। মানুষ হিসেবে তো সে অতুলনীয় শুধু ঘাড়ের রগটা একটু ত্যারা এই আর কি। পুরুষ মানুষ একটু ত্যারামো করবেই; মেয়ে মানুষ মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে আবার ঠিক হয়ে যাবে বাধ্য ছেলের মত। এই না হলে সংসার করে মজা আছে? নিজেকে নিজে বুঝাচ্ছে অরনী। আসলে রুবাইয়াতের কন্ঠটা তার খুব শুনতে ইচ্ছে করছে। ইস ফোনটা ধরেই যদি রুবাইয়াত বলত সোনা বউ। রুবাইয়াতের মুখে এই শব্দটা অরনীর এত ভালো লাগে যে শুনলেই জানি ভিতরটা কেমন ধক করে উঠে। সে আর ঠিক থাকতে পারে না। কিন্তু কখন ও বলেনি রুবাইয়াত কে। ইচ্ছে করেই বলে নি। পুরুষের সব জানতে নেই। নিজের মানুষের সামনে আবার লজ্জা কিসের? তাই লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে সে ফোনটা করেই ফেললো।
- কি সোনা বউ কষ্ট হচ্ছে?
অরনীর ভিতরটা ফাকা হয়ে গিয়েছে কিছুক্ষণের জন্য। এজন্যই সে রুবাইয়াত কে এত পছন্দ করে। একটা বদের হাড্ডি। মুহূর্তেই বুঝে ফেলে অরনীর মনের নীরব ভাষা। একদমই রাগ করে থাকা যায় না। কতবার অরনী চেষ্টা করেছে এবার রুবাইয়াতকে একটা উচিত শিক্ষা দেবে। টানা তিনদিন ফোন বন্ধ করে রাখবে কিন্তু তিন ঘন্টার বেশি পারে নি। তিন ঘন্টা পরে ফোন দিয়ে দেখে রুবাইয়াত জানেই না যে সে ফোন বন্ধ করেছিলো। একটা ফোন দেয়ার প্রয়োজনও বোধ করেনি সে। এত খেপেছিলো অরণী যে ভেবাছিলো সপাং করে একটা লাগাবে গালে। সেদিনই প্রথম এ শব্দটা বলেছিলো রুবাইয়াত। প্রথম পাচ সেকেন্ড চুপ হয়ে গিয়েছিলো সে। বুঝতে পারেনি কি হচ্ছিল তার ভিতর। আনকরা এক অনুভূতি শব্দায়ন সম্ভব নয়। জ্বলন্ত আগুনে যেন কেউ পানি ঢেলে দিলো। মেয়ে পটাতে ওস্তাদ সে। বজ্জাতি সবই শিখে এসেছে মায়ের পেটে। সে জন্যই অরনীর যত ভয়। তার ব্যাক্তিত্বের ধার এত বেশি যে, যেকোনো মেয়ে ঘনিষ্ঠ হলেই তার প্রতি দূর্বল হয়ে যাবে। অরনী কি কম যায়? সব সময় চোখে চোখে রাখে তাকে। নিজের জিনিস টা নিজেকেই ধরে রাখতে হয়। কোনো মেয়েকে তার ধারে কাছে ঘেষতে দেয় না। বুবাইয়াতকে সাথে করে আরনী যখন ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায় তখন তার দুই চোখে মুখে যে পূর্ণতার অহংবোধ খেলা করে তা রুবাইয়াতের চোখ কে ফাকি দিতে পারে না।
- কি বউ মনি কথা বলবে না?
- থাক আর ন্যাকামি করতে হবে না। অরনী বুঝতে দিতে চাইছে না যে তার রাগ পড়েছে। কিছুক্ষণ রাগ করে থাকাই ভালো আদর পাওয়া যায়।
- আচ্ছা তোমার নাক কি লাল হয়ে গেছে?
- আমি কি আয়না ধরে বসে আছি আমার সামনে?
- তুমি জানো রাগলে আর কাদলে তোমার নাক লাল হয়ে যায় তখন তোমাকে যা ভালো লাগে।
- না
- তুমি জানবে কি করে তুমি কি আর তোমাকে দেখো? দেখিতো আমি।
- হুম
- এই সোনা বউ আমার উপর রাগ করে তুমি থাকতে পারবে?
- (আবার ঝাকুনি খায় অরনী) না।
- কষ্ট হয় না?
- হুম
- তাইলে রাগ করো কেন?
- জানি না।
- এবার রাগ কমেছে?
- না, আপনি খেয়েছেন?
- না।
- তা খাবেন কেন? আলসার বানাবেন তারপর ভোগাবেন আমাকে।
- তুমি ভোগবে কেন?
- এমা আপনি কষ্ট পেলে আমি কি নাচব নাকি?
- আমি কষ্ট পেলে তুমি খুব কষ্ট পাও?
- হুম খুব।
- লক্ষী বউ আমার খেয়েছো?
- না, রোমমেটরা সবাই এক সাথে বসব খেতে। খাবার দেখেই মনে হলো আপনার কথা। আপনি তো এখন ও খান নি। আপনাকে রেখে আমি খাই কি করে? ফোন না দিলে তো রাগ করে বসে থাকবেন খাবেন না আমি ফোন দেইনি বলে আবার আমাকে ফোন ও দিবেন না। আমি আপনাকে চিনি না। আর কি না কি খান মেসে তার কোনো ঠিক নাই। কাজের বুয়ার রান্না খাওয়া যায়? এই আপনি কবে বাসা নেবেন? আমার ভালো লাগে না আমি থাকতে আপনি বুয়ার হাতের রান্না খান তা।
- হুম সোনা আমি ও ভাবি কবে একটা জব পাব কবে বাসা নেব।
- গোসল হয়েছে আপনার ভেগাবন্ড?
- না
- ঊহু এ জন্যই তো গা থেকে দূর্গন্ধ বের হচ্ছে। যান গোসল করে আসেন।
- এত শাষণ করছো কেন?
- আহা যান তো কথা বাড়াবেন না। এত দেরি করে গোসল করলে ঠান্ডা লাগবে।
- আচ্ছা যাচ্ছি।
অরনী প্রায়ই এ রকম ছোট খাট শাষণ করে রুবাইয়াতকে। রুবাইয়াত ও হাসি মুখে মেনে নিয়েছে সেটা। কারন জীবনের সবগুলো শেয়ার নিজের হাতে নিয়ে নিলে জীবনটা একটা আনলিমিটেড কোম্পানি হয়ে যায়, যার কারো কাছে কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না। দায়বদ্ধতাহীন জীবন নাটাই ছেড়া ঘুড়ির মতই। অবুঝ আকাশে ভাসতে থাকে এক অজানা গন্তব্যে। তাই কিছুটা শেয়ার থাকুক অরনীর হাতে। সে শেয়ার গুলো দিয়েই রুবাইয়াতের জীবনটা দায়বদ্ধ থাকুক অরনীর কাছে। এটাই রুবাইয়াতের প্রত্যশা।
(চলবে)
০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২২
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: হা হাহা হা হা হা
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
আর.হক বলেছেন: চলছি.............. হাবিজাবি চিন্তা মধ্য দিয়ে
০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: অভিন্দন সাথে চলার জন্য। অসুন আমরা হাবিজাবি চিন্তায় জীবন পথে চলি।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: বাহ, সুন্দর লিখেছেন।
আপনাকে অনুসরণে রাখলাম, খুব খিয়াল কৈরা।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ, অপনার অনুপ্রেরনা সাথে থাকল।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৬
রাজু মাষ্টার বলেছেন: এইখানে লাইক এর বাটন ডা নাই কেন ?
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: আছে তো। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: