![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি করতে অনেক বোরিং লাগে। কিন্তু ২৪ ঘন্টায় দেখা দিবাস্বপ্ন গুলোর দলিল করতেই হয়।
সেদিন রাতে ঢাকায় আসার কোনো সুযোগ নেই কিন্তু আমাকে যে ফিরতেই হবে। হ্যাঁ আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে দুনিয়া দেখা তখনই সার্থক হবে যখন তা শুধু নিজের নয় নিজের ভালোবাসা মানুষটির চোখ দিয়ে তা দেখা হয়। আর আমার জন্য ঐটা নিশাত। প্রথম ইচ্ছার বিপরীতে যেতে এতো ভালো লাগছে যে জীবনের বাকি সব মুহূর্তকে হার মানাচ্ছে। ট্রাকের পিছনে বসে ঢাকায় ফিরার কালে সত্যিকারের এডভেঞ্চারের স্বাদ লাভ হলো। নিজেকে কেমন জানি পোয়েট্রিক মনে হচ্ছে। ভোর সকালে গিয়ে ঢাকায় পৌঁছালাম। বাসার কলিং বেল বাজিয়ে সবাইকে তুললাম। মা দরজা খুলে হা করে তাকিয়ে আছে আমার অবস্থা দেখে। দৌড়ে বাবার কাছে গেলাম। "বাবা তোমার প্রতিষ্ঠানে একটা পদে আমাকে এক্ষনি চাকরি দাও! জলদি!" বাবা এমন ভাবে গোল গোল চোখে তাকালেন যেন আমি উনার সম্পদের ভাগ চেয়ে বসেছি।
পুরো বাড়ি আগের মতো বিয়ের সাজে সজ্জিত। ভোর বেলায় অনেকটা নিশ্চুপ। নিশাতের বাসার দারোয়ানটা আমাকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। ব্যাটা আমাকে চিনতে পারছে না। অবশ্য এর জন্য আমি তাকে দুষতাম না। আমার যা অবস্থা হয়েছিল তখন যে কেউই দেখে ভয় পাবে। দারোয়ানের সাথে প্রায় দস্তাদস্তি করে ভিতরে ঢুকলাম। ঢুকেই "নিশাত! নিশাত!" বলে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে লাগলাম। আঙ্কেল আন্টি দরজা খুলে বের হয়ে আসলেন। নিশাত ততখনে উপরের ব্যালকনিতে। দূর থেকেই বুঝতে পারলাম পাজিটা কেঁদে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে। পিছনে ততখনে আমার পুরো পরিবার গাড়ি দিয়ে এসে জড়ো হলো। নিচে দাঁড়িয়েই নিশাতের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললাম "আই লাভ ইউ! তুমি আর কাউকে বিয়ে করতে পারবা না!"। হাত উঁচিয়ে সদ্য বাবা থেকে হাইজ্যাক করা এপয়েন্টমেন্ট লেটারটা তুলে ধরলাম। "জব!" বলে পাগলের মতো হেসে দিলাম। নিশাত ভিতরে চলে গেল। আঙ্কেল আমার দিকে এখনো স্ট্যাচু হয়ে তাকিয়ে আছে। শুধু আঙ্কেল না বাকি সবাই। নিশাত নিচে নেমে এসে সামনে দাঁড়ালো। আবারো চোখের কোণায় পানি জমতে শুরু করেছে। এবার আমিও কেঁদে দিলাম কিন্তু হাসছিও। "হ্যাঁ আমার দুনিয়াটা দেখা আরো অনেক বাকি। কিন্তু আমার দুনিয়াটা এখন তুমিই। সব কিছু ফেলে তাই আমি আমার নতুন স্বপ্নকে চেস করতে এসেছি। আই.. আই লাভ ইউ! প্লিজ ম্যারি মি?"। নিশাতের চোখ দিয়ে পানির ধারা বেড়ে গেলো কিন্তু মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। লাফ দিয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে উঠলো। বাহ্.. কি মুহূর্ত! এতো সূর্য উদয়ের দৃশ্যের মতো অপরূপ! ক্যাপচার করা অতীব প্রয়োজন! কিন্তু আমার ক্যামেরাটা জানি কই?
[কাঁচা হাতের লেখা। অনেক বেশি বড় করে ফেলার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আসলে লেখা স্টার্ট করলে থামতে মনই চায় না। ধর্য ধরে পুরোটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ]
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩০
ক্লোন বিটস্ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
রানা আমান বলেছেন: একটানে ছটি পর্ব সমান মুগ্ধতা নিয়ে পড়লুম। অসাধারণ লেখা । এটা কাঁচা হাতের লেখা হতেই পারেনা , লেখার সুঘ্রাণ বলছে লেখার হাত ভালোভাবেই পেকেছে । আরও লেখা ভবিষ্যতে আশা করছি ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
ক্লোন বিটস্ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া পুরোটা ধর্য্য ধরে পরার জন্য। ইনশাল্লাহ্ নেক্সট টাইম আরো ভালো গল্প উপহার দিতে পারবো।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২২
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: সত্যিই অসাধারণ লিখেছেন।