নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন হাইস্কুলে পড়তাম তখন দেখতাম,কোনএকটা হাইস্কুলের সাথে ঐ স্কুলের আশে পাশের হাইস্কুলগুলার রেশারেশি থাকতো।
আবার যখন কলেজে গেলাম,তখন দেখলাম এক কলেজের সাথে আরেক কলেজের রেশারেশি,রাগারাগি লেগেই আছে।কোন কলেজ আরেক কলেজের ভালো দেখতে পারতোনা বা ভালো চাইতো না।
এখন এই সমস্যাগুলা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় রেশারেশি,মারামারি,অন্য বিশ্ববিদ্যালইয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের হয়রানি,গাড়ি ভাঙচুর এগুলা লেগেই আছে।
সেদিন 'প্রথম আলো' পত্রিকাতে ঢাবি এবং জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই বিরাজমান সমস্যাটা সম্পর্কে পড়লাম। নিউজটা এরকম,
'মদ্যপানের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েক শিক্ষার্থীকে আটক করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ। তাঁদের নামধাম দিয়ে আবার জাবিতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েও দিয়েছে জাবি কর্তৃপক্ষ। এর কয়েক দিন আগে আবার জাবির কয়েক শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধেও মাদকসেবনের অভিযোগ। উভয় ঘটনার প্রতিবাদ করেছে শিক্ষার্থীরা। ঢাবির শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ভয়াবহ। হেনস্তার শিকার হওয়ার শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, জাবি ক্যাম্পাসে হিম উৎসবে গিয়েছিলেন। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় ফেরার গাড়ি না পেয়ে ক্যাম্পাসেই থেকে যান তাঁরা। রাতে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, টিএসসির আশপাশে বিভিন্ন জায়গায় বসে ছিলেন ভোরের অপেক্ষায়। এ সময় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসে তাঁদের হাতে মদের বোতল ধরিয়ে দিয়ে ছবি তুলে হেনস্তা করেন। জাবি শিক্ষার্থীকে ঢাবি কর্তৃপক্ষের দ্বারা পুলিশে দেওয়ার জের ধরে জাবি প্রশাসন এমনটা করেছে বলে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। সেখানে ঢাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী থাকলেও কেবল জাবির শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে দেওয়া হয়।'
দোষ না যতোটুকু ,তার চেয়ে বেশি ভয় হচ্ছে দুই বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে বিরাজমান রেশারেশি।আবার এমনো নাকি হচ্ছে যে, 'ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় জাবির বাস ভাঙচুর করা বা জাবি এলাকায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনাও ঘটছে। কিছুদিন আগে এক চিত্রগ্রাহকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে জাবির শিক্ষার্থীরা। '
এগুলা শুধু এই দুই বিশ্ববিদ্যালইয়ের মধ্যে না,আরো অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলাতেও, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে তো আরো বেশি দেখা যায় এগুলা।
কথা কাটাকাটি হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভাঙা ,শিক্ষার্থী পেটানো,মারামারি,- এগুলা হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো কিছু বলেই না,উল্টো আরো মদদ দিচ্ছে।
অথচ এগুলা কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় পর্যায়ের বিদ্যাপীঠ।
একটা জাতির ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নির্ভর করে ঐ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার উপর।আর এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা যদি হয় এমন, না জানি দেশের ভবিষ্যৎ টা হবে কেমন!!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৩
সাকলাইন তুষার বলেছেন: যারা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করে তাদের দোষ
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৭
কনফুসিয়াস বলেছেন: যারা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করে ওরাই ঠিক না থাকলে শিক্ষাব্যবস্থার আগে ওদের দিকে নজর দিতে হবে. তারপর এই কাল জয়ী বাণীটি বাস্তবে আমরা বিস্বাস করতে পারব।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৩
সাকলাইন তুষার বলেছেন: সঠিক বলেছেন
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪২
মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: শিক্ষকের অবস্থ্যা কি খুব ভালো আছে । কিছু শিক্ষক আছে যাদের চরিত্র এতো জঘন্য যেটা কল্পনা ও করা কঠিন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৫
সাকলাইন তুষার বলেছেন: একমত
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:২৩
বর্ণিল হিমু বলেছেন: সোনার ছেলেপেলে থাকলে এরকমই হবে.....
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
সাকলাইন তুষার বলেছেন: বুঝতে পেরেছি ভাই
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯
সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: এর জন্য মূলত দায়ী কিছু অতিউৎসাহী শিক্ষক , তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই সমস্যা লাগিয়ে দিয়েছে , আমি বিদেশে থাকি , এখানেও কিছুদিন ধরে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে এই সমস্যা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
সাকলাইন তুষার বলেছেন: কি আর বলবো ভাই!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এরকমই হয়।