![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুড়ে পুড়ে নিঃশেষ সন্ধ্যের সলতে
অন্ধকার জলাশয়ের পাশে পড়ে আছে
কুপিবাতি দিন ।
অমা রাত্রিতে জ্বলে থাকা হ্যাজাক বেদনাগুলো
খুটে খুটে খায় সভ্যতার নাইলোটিকা ।
কাকে দেখাই সহস্র রাতচোরা পাখি ?
কৃত্তিম আলোর নিকটে সপে...
নদীরা শুঁকিয়ে গেছে ; খুলে রেখেছি সাতারের ডানা
হেঁটে হেঁটে চলে যায় ক্লান্ত ফড়িংগুলো ।
সবুজ প্রচ্ছদ থেকে উঁকি দেয় ভয়ের কাঠবিড়ালি
দূরে কোথাও গ্রীষ্মের ট্রেন ;
সাইরেন বাজিয়ে আসে ......
আনতারা, প্রজনন মৌসুমে যেভাবে তোমার—
শীতনিদ্রা দেখি— আমরা যেন কখনো
আলতা দীঘিতে সাঁতার কাটিনি
কিংবা লার্ক পাখীদের সাথে উড়ে যাইনি
ইনানী সমুদ্র সৈকতে।
পথের মাঝে কুঁড়িয়ে পাওয়া একটি সকাল’কে
আমার কেবল চুমু খেতে ইচ্ছে করে
আহা! জারুলিয়া...
আষাঢ়কে আমি মা ডেকে ফেলি। সারাদিন কেমন ঝরে যায়। ঝরেই যায় মায়ের মতোন। আমাদের ছিল বিত্তের অভাব। শুধু ছিল না জলের অভাব। মায়ের এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল। তিনি চৈত্রেও ঝরাতে...
যেনো আজ বৃষ্টি পড়বে
পড়তেই থাকবে
ভেতরে
বাইরে
পথে
ঘাঁটে
গল্পে
আড্ডায়
চায়ের কাপে
অনন্তকাল ধরে বৃষ্টি পড়বে ।
যেনো তুমি
যেনো আমি
তুলোর মতো মেঘ হয়ে
পাশাপাশি উড়ে যাবো...
যতদূর ছুটে যায় মেঘ-মৌন-দৃষ্টি
যতটা নিকটে চলে গেলে চেনা যায়
মানুষ। ততটা দূরত্বেই জন্ম নেয়
রঙ্গন। হিংসার অবিকল ছাঁচ নিয়ে
গড়ে ওঠে প্রতিটি মুখোশ। একদিন
নদীতে সাঁতার কেটে কেটে যারা পৌঁছে
যেতে চেয়েছিল...
বৃক্ষ হতে ঝরে গেছি সবুজ পাতা
অল্প অল্প হলুদ আদর মেখে
অনতিকাল পরে ফেরার সমন জারি হবে ভেবে
কাছে পিঠে চক্রাকারে ঘুরেছি
এই বৃষ্টি
এই রৌদ্র
আর ধুলোর চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা...
ফোরাত নদীর উপত্যাকায় ঘুমিয়ে থাকে কিছু
স্মৃতি, মানুষের মাথার খুলি।
আমি যতবার হাত দিয়ে কবিতা লিখি
অক্ষর গুলো মুছে মুছে যায়।
বুকের মাঝে হেঁটে বেড়ায় কিছু মানুষের পা
আমি আমার হাতকে চিনি না!
বার বার লিখে...
©somewhere in net ltd.