*অতৃপ্ত ভালবাসা*

০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

ভালবাসা সেটাতো রঙিন সুঁতোয় বাঁধা নীল নকশার ঘুড়িউড়ানোর মত।।কখনো উপরে উড়বে কখনো মাঝ পথে থেমে যাবে আবার কখনো বা নিচে পড়ে থেকেও উপড়ে উঠার র্ব্যথ চেষ্টা করবে।। সবাই ভালবাসা তৃপ্তি নিয়ে অনুভব করতে পারে না।।মনে হয় ঐশী আর রায়হান এর ভালবাসা যেন আকাশে ভেসে বেড়ানোর পর মাঝ পথে অতৃপ্ত রয়ে যাওয়া এক অজানা গল্প। ঐশী পড়ত ইন্টার ১ম র্বষে।।সে দেখতে খুব শান্ত স্বভাবের।।পড়ালেখায় ও বেশ ভাল এবং অনেক সুন্দরী ও বটে।।সে কলেজের দু এক ছেলে বা মেয়ের সাথে তেমন একটা বেশি কথার্বাতা বা মেলামেশা করত না।।আর সেই দুই এক জনের মাঝে রায়হান নামের একটা ছেলের সাথে কথা বলত মাঝে মাঝে পড়াশোনা নিয়ে।।রায়হান ও দেখতে শুনতে সব দিক দিয়ে ভাল ও চটপটে স্বাভাবের।।ঐশীর সাথে কথা বলতে বলতে এক সময় রায়হান তাঁর মায়ায় পড়ে ভালবেসে পেলে।।ঐশীও মনে মনে রায়হানকে পছন্দ করত।।খুব ঘটা করে প্রপোজ করা না হলেও চুপি চুপি তাদের ভালবাসাটা হয়ে গেল।।কয়েকজন বন্ধু বান্ধবীরা জানত তাদের সর্ম্পকটা।।রায়হান তাঁকে খুব ভালবাসত।।ঐশিকে পাওয়ার জন্য সে পড়ালেখা ছেড়ে চাকরিতে যোগদান করল।।সে তার পরিবারকে ভূলে ঐশীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ল।।খুব ভালভাবে চলছিল তাদের সর্ম্পক।।অসংখ্য উপহার দেওয়া নেওয়া ঘুড়ে বেড়ানো ও স্মৃতির পাতায় মোড়ানো অজস্র স্বপ্ন।।বছর খানেক এইভাবে চলতে থাকল তাদের চুপি চুপি ভালবাসা।।সত্য নাকি বাতাসের আগে চড়ায়।।ঠিক তেমনি তাদের সম্পকটা বাড়িতে জানাজানি হয়ে গেল।।তাদের দুজনকেই পরিবার থেকে অনেক চাপে রাখা হল।।তারপরে ও অনেক কষ্টে তাঁরা দুজনে দেখা করে।।এইভাবে কয় একমাস যাওয়ার পর তারা আবেগের বসে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পেলে।।পরর্বতিতে তারা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে ও করে পেলে।।এইভাবে চুপি চুপি বিয়ে করে বছর খানেক ভালোই কাটে তাদের।।কেমনে জানি তাদের পরিবার ব্যাপারটা জেনে যায়।।ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার সেটা মানতে নারাজ করে।।অবশেষে পরিবারের চাপে মেয়ে ছেলেকে ডির্ভোস দিয়ে পেলে।।সবশেষে ঐশী আর রায়হান এর জীবন এখন এক আকাশে দুই প্রান্তের ঘুড়ির মত।।মাঝখানে পড়ে রইল অনেক মিষ্টি মধুর স্মৃতি।।সবাই যে মূর্হুতে বিয়ে করে সংসার নিয়ে ব্যস্ত আজ তাঁরা সেখানে আসময়ে বিয়ে করে দুজন দুইদিকে ছড়িয়ে আছে।।অনেক ভালবেসেও যেন ভালবাসা আজও অতৃপ্ত রয়ে গেল।।

০ টি +০/-০