![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল আছি ভাল থেকো, আমার ঠিকানায় চিঠি লিখো
যাদের বক্তৃতা দেয়ার সাহস নেই অথবা বক্তব্যে কি বলতে চাচ্ছেন বুঝতে পারছেন না তাদের জন্য কিছু টিপস। প্রথমে কে কে মঞ্চে আছেন তাদের নাম গরগর করে বলতে থাকুন। স্মরণশক্তি কম থাকলে ব্যানারের দিকে তাকিয়ে বলে ফেলুন। বক্তব্য দেয়ার যোগ্যতা না থাকলেও অনেকের তেল দেয়ার যোগ্যতা আছে। সেরকম ক্ষেত্রে বিভিন্ন নামের আগে বিশেষন লাগাতে পারেন। যেমন, সময়ের সাহসী সন্তান কুদ্দুস ভাই, বিশিষ্ট রূপবতী শকুনী বানু, পীরে কামেল মৌলানা আদা ব্যাপারী প্রমুখ। চার পাঁচ মিনিট ইন্ট্রোডিউসিং শেষে তারপর সালাম/আদাব/নমষ্কার দিন। আলোচনা সভার টপিক নিয়ে যদি আপনার জ্ঞান না থাকে কুনু সমস্যা নাই। মামা বাড়ি-নানা বাড়ির গল্প জুড়ে দিন। মাঝে মাঝে কয়েকটা সস্তা জোকস বলতে পারেন।শোকসভা হলে মায়া কান্না করতে হবে। মনে রাখতে হবে অভিনয়টা যাতে কেউ ধরতে না পারে। তবে বেশি আবেগী হলে চলবে না। কারণ পরক্ষণেই শোককে শক্তিতে পরিনত করতে হবে টাইপ বক্তব্য দিতে হবে। আন্দোলনে বক্তব্য দিলে, প্রথম লাইন থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ুন। ভাতে তরকারী কম পরলে যেমন গোশ্বা হয় কিংবা প্রেমিকা চুমু না দিলে যেমন অভিমান হয় তেমন হলে চলবে না। এমন ভাব ধরতে হবে যেন রাগে আপনি কাঁপছেন, খুব বেশি সমস্যা হলে বকর বকর করে হাবিজাবি কিছু বলে ফেলুন যাতে মানুষ আপনার কথা স্পষ্ট ধরতে না পারে। চিৎকার করে চিল্লানি দিন, দুই একটা গালিও দিয়ে ফেলতে পারেন ফাঁকে। আরেকটা কথা মনে রাখতে হবে, মিথ্যার ফুলঝুড়ি ছাড়া বক্তব্য হয় না। যাকে দু চোখে দেখতে পারেন না, প্রয়োজনে বক্তব্যের সময় তাকে প্রশংসার সাগরে ভাসাতে হবে। যার সাথে একটু পর গিয়ে মিটিং এ চা চু খাবেন বক্তব্যের প্রয়োজনে ধারালো কথায় তাকে কেটে ফেলতে হবে। এভাবে চুইংগামের মতো কথা টানতে টানতে ১ মিনিটের কথা ১ ঘন্টায় শেষ করতে পারবেন। বক্তব্য দিন, ভাল থাকুন। কারণ এ দেশে কাজের কাজীর চেয়ে প্যাচালের পাজীদের মূল্য খুবই বেশি।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৬
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
সুমন কর বলেছেন: