![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল আছি ভাল থেকো, আমার ঠিকানায় চিঠি লিখো
ঘুম থেকে উঠে অরুন চিন্তা করলো আজ সে একটি সিগারেট খাবে।
সিগারেট ছুঁয়ে দেখে না প্রায় মাস হতে চললো। দেশে ভাইরাস আসার পর থেকেই তার সিগোরেট খাওয়া বন্ধ। দোকানীর হাত ধরে ভাইরাস যদি তার মুখে চলে আসে। টিউশনি করে চলে অরুন। আস্ত একটি প্যাকেট কিনে কিনে সিগারেট খাবে সে সাহস নেই। আবার সিগারেটের প্যাকেট কিনলে দুই দিনের বেশি টেকেও না। আস্ত সিগারেটের প্যাকেট দেখে চোখ চকচক করে।
ঘর থেকেই বেড়িয়েই তাতানো রোদ। চোখ ধাধিয়ে নেয়। কত দিন পর বুক ভরে বাতাস নিলো অরুন। রাস্তায় খুব একটা মানুষজন নেই। যারাই আছে তাদের মুখে কাপড়ের মুখোশ আর কপালে আতঙ্কের ভাজ। অরুন হাঁটছে, পাশ দিয়ে একটা দমকা বাতাস চলে গেলো। একটা টঙ দোকানের সামনে থামলো সে।
দোকানে কোন কাস্টমার নেই। চা খাওয়ার বেঞ্চিতে মাছি পর্যন্ত নেই। শূন্য ফাঁকা। অরুনের মনে এক ধরনের হাহাকার তৈরি হলো। সিগারেট কি সে খাবে? সিদ্ধান্ত সে নিয়ে ফেলেছে। টঙ দোকানের দোকানি পিটপিট করে অরুনের দিকে চাইছে। অরুন আর থামেনি। ঘুম থেকে উঠার পর দিনের প্রথম কথা, “একটা সিগরেট দ্যান তো?”
সিগারেট হাতে পাওয়ার পর সে এটি কয়েক সেকেন্ডই জ্বালিয়ে নিলো। ফুসফুসে সিগারেটের ধোঁয়া প্রবেশের পর সে পরম শান্তি অনুভব করে। আনন্দে চোখ বুজে ফেলে। রাস্তা দিয়ে হাঁটছে অরুন। তার ভেতর একটা জমিদার ভাব চলে এসেছে। নিজেকে সে সুনামগঞ্জের জমিদার হাসন রাজা ভাবতে শুরু করলো। জমিদার হয়েও হাসন এতো দুঃখের গান লিখলো কেন? কান্দে হাসন রাজার মন মুনিয়া রে..
নাহ মন খারাপ করা যাবে না। বহুদিন পর আজ সে সিগারেট খাচ্ছে। ধোঁয়ার সাথে দুঃখগুলোকে উড়িয়ে দিতে হবে। রাস্তার পাশের মাঠে দুপুর রোদে খেলছে বাচ্চারা। তারাও কি আজ প্রথম ঘর থেকে বেড়ুলো না তারা ঘরেই ঢুকেনি। মাঠের এক কোনায় অরুন ল্যাটা মেরে বসে গেলো। মাঠে বসেই সিগারেটে আরেকটা টান দিলো অরুন। আহা কি সুখ!
ভাবতে ভাবতে একটা ক্রিকেট বল দরাম করে এসে তার মুখে লাগলো। অরুনের ঠোট থেকে সিগারেটটা মাটিতে পড়ে গেলো। “এই কুত্তার বাচ্চারা দেখে খেলতে পারস্ না?” মনের অজান্তেই গালিটা মুখ থেকে বেড়িয়ে আসলো। অরুন সাধারণত নীরিহ ছেলে। গালাগালি মারামারি দূরের কথা কারো সাতে-পাঁচেও থাকে না। আকস্মিক ঘটনাটা সে মানতে পারছে না।
সিগারেটটা ঘাসের উপর পড়েছে। কুন্ডলী পাকিয়ে ধোয়া উপর দিকে উঠে যাচ্ছে। সাদা ও মসৃন সে ধোয়া। এরা মানুষের ফুসফুসে ঢুকতে চায়না, যেন এ ধোয়া মেঘ ছুতে চায়। কি ভেবে অরুন আর সিগারেটটা তুললো না। বহুদিন পর তার একটি সিগারেট খাওয়া হয় নি।
১৯ চৈত্র, ১৪২৬ / বালুচর, সিলেট
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২২
খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: নয়াবাজারেই থাকি
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আর আমার করোনা তে বেশি সিগারেট খাওয়া হচ্ছে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:২৩
খলিলুর রহমান ফয়সাল বলেছেন: আমি ছাড়ি ছাড়ি করেও ছাড়তে পারছি না
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৭
দজিয়েব বলেছেন: ভাল্লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনি বালুচর পয়েন্টে কোথায় থাকেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর ওইদিকে নতুন বাজার যে জায়গাটা সেখান পর্যন্ত চিনি।
ভাল লাগল, সিলেটের কথা মনে করায়ে দিলেন।