![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার আজকাল খুবি নর্মাল ঘটনা" -ডায়লগটা আমার দেয়া না, সদ্য দেখা একটা নাটকের। অনেকদিন বাংলাদেশী চ্যানেল দেখা হয়না, দেখতে পারবো এই লোভে কালকে রাতে একটু দেখতে বসলাম কি দেখা যায়। ইতিমধ্যে বেশীরভাগ টিভি নাটকের অবস্হা যে যা তা সেটা আইডিয়া ছিলো। কালকেরটা খুব সম্ভবত এটিএন বাংলা; একটা নাটক দেখাচ্ছে যেখানে একজন মহিলা উগ্র সাজ করে অসম্ভব বাজে অভিনয় দিয়ে ছোটবোনকে বুঝানোর চেষ্টা করছে কেন তার রায়হানের সাথে প্রেম করা উচিত। ছোটবোন ও ততোধিক বাজে অভিনয় দিয়ে 'না এ হয় না' করে যাচ্ছে। আমি ভাবতেছিলাম এই মেয়ে যে পোলার সাথে প্রেম করতে চাচ্ছেনা সে আসলে কতটা করুণ পোলা! তখনি ঢুম করে বড় বোনের ঐ ডায়লগ!! ডায়লগ শুনেই দেখলাম ছোট বোনের বিবেক পুরা ফকফকা! সে রাজী! তাই তো, এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ারতো করা যেতেই পারে! বুঝো!!!! [আগ্রহী দর্কশকরা দেখতে পারেন..নাটকের নাম 'বংশাল টু বারিধারা']।
এটি সদ্য দেখা তাই এটার কথা উল্ল্যেখ করলাম, তবে আমার মনে আছে ১ বছর আগেও আমাদের নাটকের মূল উপজীব্য বিষয়গুলোর মধ্যে একটা ছিলো পরকীয়া। মূলত ফারুকী ঘরানার ভাই-বেরাদারদের কিছুটা সূক্ষ্ণ, অনেকটাই স্থূল, ভাঁড়ামিপূর্ণ, অঅভিনীত নাটকগুলোতে এর প্রকোপ ছিলো চরম আকারে। বুইড়া বাচ্চাকাচ্চার বাপের অন্য মেয়েদের সাথে টাংকি মারা, অফিসের বিবাহিত বসের লুইচ্চামি, পাড়ার ইয়াং ছেলের বিবাহিত মহিলাদের সাথে প্রেম, বাচ্চার মায়ের মোবাইলে অন্যদের সাথে প্রেমালাপ খুবি স্বাভাবিক ভাবে বিভিন্ন নাটকে দেখানো হয়েছে এবং যথেষ্ট ফানি ও ইন্টারেস্টিংভাবেই দেখানো হয়েছে যাতে লোকজন দেখে মজা পান এবং এটিকে খুবি স্বাভাবিক মনে করেন! একটা নাটক দেখেছিলাম যেখানে এই ধরনের এক 'ফাউল' অভিনেতা পাড়ার বড় ভাই হাসান মাসুদের বউ বাধঁনকে রেগুলার ডিস্টার্ব করে। খুবি মজার(!) নাটক। হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার মতো। পরকীয়াকে এতটাই ইন্টারেস্টিংভাবে দেখানো হয়েছিলো অনেকেরই এই নাটক দেখে পাড়ার কোন এক ভাবীর সাথে টাংকি মারতে ইচ্ছা করবে!! মারজুক রাসেলকে আরেকটা নাটকে দেখেছিলাম এক বাচ্চার মা কে ফোন করে করে খাজুরা আলাপ করে এবং এটাই পুরা নাটক! এদের অভিনয় প্রতিভা ঢাকার জন্যই হয়তো এধরনের 'ফাউল' নাটকেই এরা অভিনয় করে যাচ্ছে। ফারুকীর ভাই-বেরাদারদের অধিকাংশ অভিনেতা/নেত্রীরাই অবশ্য বলেন, "আমাদেরতো কোন স্ক্রীপ্ট থাকেনা, আমরা রিয়েল লাইফের মতো করেই অভিনয় করি"। সব নাটকে তাঁদের একি ধরনের অভিনয় দেখলেই অবশ্য ব্যাপারটা বুঝা যায়। সব চরিত্রে নর্মাল লাইফের মতো করে কথা বলা তা যে অভিনয় না, এটা বুঝার ক্ষমতা তাদের নাই এবং এই সব ফা্উল অঅভিনয় করেই অনেকে এখন স্টার! তবে নাটকের চরিত্রের মতো যদি তাদের রিয়েল চরিত্র হয়ে থেকে তাহলে সেটা যথেষ্ঠ চিন্তার বিষয়। তাদের ব্যক্তিগত জীবনে তারা যা করুক তাতে কিছু আসে যায়না, কিন্তু ঘুরেফিরে সবসময় এইরকম চরি্ত্রে অভিনয় করা মানুষগুলোই কিন্তু আমাদের অনেকের চোখে আইডল বা হিরো। হিরোরা খুব মজা করে পরকীয়ার মতো বাজে কাজ করছে যার ফলে অনেকের চোখেই বাজে কাজ আর বাজে কাজ থাকছেনা, হয়ে উঠছে খুবি 'কুল' এবং আকর্ষনীয় কাজ।
একটু অন্য কথা ঘুরে আসলাম। আমার মূল চিন্তা ছিলো মিডিয়াতে 'পরকীয়াকে উপস্হাপন' নিয়ে লেখা, কিন্তু মাঝখান থেকে কিছু অঅভিনেতাদের নিয়ে কথা বলে ফেললাম, এদের অন-স্ক্রীন কার্যকলাপ অবশ্য সম্পৃক্ত মূল বিষয়ের সাথে। মিডিয়াতে 'পরকীয়া' নিয়ে একদিন একজন মন্তব্য করেছিলেন, "ঠিকি আছে, পরকীয়া ইজ নাও এ পার্ট অফ সোসাইটি। চারপাশে যা হচ্ছে টিভিতে রিয়েল লাইফ তুলে আনা হচ্ছে!" কথা ঠিক, চারপাশে পরকীয়া হচ্ছে। আগেও কম বেশী হতো, ভবিষ্যতেও কম বেশী হবে। এই জিনিস পুরাপুরি বন্ধ করা সম্ভবনা। মিডিয়াতে দেখাক বা না দেখাক। ঘটনা কিন্তু মিডিয়াতে দেখানো নিয়ে না, ঘটনা এটাকে সবার সমানে এত সহজ, সরল ঘটনা হিসেবে উপস্হাপনা করা নিয়ে। এই জিনিস আদিকাল থেকেই আছে, তবে খারাপ দৃষ্টিতে দেখা হয়েছে সবসময়, কখনোই ইনডিরেক্টলীও উৎসাহিত করা হয়নি। আামাদের সবার মধ্যেই খারাপ প্রবৃত্তি রয়েছে, নিষিদ্ধ জিনিসে কম বেশী সবারই আকর্ষণ আছে, আমরা সবাই অনেককিছুই কল্পনা করি। কিন্তু আমরা আমাদের খারাপ প্রবৃত্তি দমন করে রাখি, নিষিদ্ধ জিনিস থেকে নিজেদের দূরে রাখি, মাথায় আসলেই একটা জিনিস করতে দৌড় দেইনা। কারণ আমাদের ধর্মীয়, সামাজীক, পারিবারিক শিক্ষা আমাদের শিখিয়েছে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল; কোনটা করা উচিত, কোনটা নয়। যে কোন নিষিদ্ধ সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ থাকে, কিন্তু ভয়, সংস্কার, বিবেক কাজ করে, যে কারণে সবাই নিষিদ্ধ সম্পর্কে জড়ায়না। সমস্যা ঘটে তখনি, যখন মানুষের মধ্যে সংস্কারটুকু কাজ করেনা। বিবেক বলতে ভুলে যায় ভুল হচ্ছে। নিষিদ্ধ কাজের পরিণাম মাথায় আসেনা। এইসব ভয় কেটে দেয়ার কাজ সবচেয়ে সহজে করতে পারে গণমাধ্যমগুলো। আপনি যতই বলুননা কেন যে, যারপাশে এইসব ঘটছেই, বরং সবাইকে দেখালে বা জানালেই ভালো, সাবধান হবে। আমি পুরোপুরি দ্ধিমত পোষণ করছি। কিছু জিনিস আড়ালে আবডালে থাকায় ভালো, সবার সামনে যত স্বাভাবিকভাবে উপস্হাপন করবেন, ততই এর খারাপ দিকটা মানুষের চোখ এড়াতে থাকবে। একটা ঘটনা মনে পড়লো পেপারে পড়েছিলাম, ইংল্যান্ডে কয়েক বছর আগে একটা সেক্স এডুকেশন বিল পাশ করানো হোল এই বলে যে, স্কুলের ছেলেমেয়েরাতো সেক্স করেই; বরং তাদের মধ্যে এই ব্যাপারে শিক্ষা দিলে খারাপ কিছু কম হবে, এরা সেইফ সেক্স করবে। ফলাফল, ২ বছরের মাথায় বাচ্চা পোলাপাইনদের মধ্যে উল্টাপাল্টা সেক্স করার প্রবনতা এবং প্রেগনেন্সির হার এমন বেড়ে গেলো যে পার্লামেন্ট এখন কিভাবে কি করা যায় সেটা নিয়ে টেনশিত! ঐ যে, আগে স্কুলের ১০টা পোলাপাইন করতো, বাকি ১০ জন ভয়ে/সংস্কারে করতোনা। কিন্তু এখন ২০ জনেই করে। কারণ সবার কাছেই এটা নর্মাল ব্যাপার।
পরকীয়ার ব্যাপারটাও আমার কাছে এমনি মনে হয়েছে। আগে ১০ জন করতো, এখন এমন সহজভাবে উপস্হাপন করা হচ্ছে যে বাকি ৯০ জনের মধ্যে অনেকেই আর তাদের অবদমিত কামনাবাসনাকে দমন করতে আগ্রহী নয়। আমাদের নাটকগুলোকে গালি দেয়ার আগেই অবশ্য আমাদের সাড়ে সর্বনাশ করে দিয়েছে হিন্দী সিরিয়ালগুলো। পশ্চিমা কালচার আমাদের সাথে যায়না, ওরা যাই দেখাক আমরা অত সহজে ফলোও করিনা। কিন্তু ভারত পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ায় আমাদের সাথে সংস্কৃতিতে অনেক মিল এবং এই জায়গাটাতেই আমাদের ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ওরা যা-ই দেখাক আমরা জান্তে-অজান্তে মেনে নিই। আমাদের মিডিয়া এক কাঠি সরেস হিসেবে ভারতীয় কালচার আমাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টায় রত। ওদের সিরিয়ালগুলোতে পরকীয়া, ফ্যামিলী পলিটিক্স ছাড়া তেমন কিছুই আসলে নেই। যেটা এখন আমাদের সিরিয়ালগুলোরও মূল উপজীব্য। অনেকেই খুবি উদারমনা এবং প্রগতিশীলভাবে এইসব মেনেও নিচ্ছে। অনেক আড্ডা-তর্কে পরকীয়ার স্বপক্ষেও কথা বলতে শুনেছি। যা করতে ইচ্ছা করে করা উচিত, মনের মিল না থাকলে ভালোবাসা খুঁজে ফেরা উচিত, শরীরের ডাকে সাড়া দিবেই টাইপ কথাবার্তা। হঠাৎ করে এইসব মনের অমিল গুলো, শরীরের আহবান বিবাহিত জীবনে এত বড় করে সবার সামনে দেখা দিচ্ছে কেন আমরা কি চিন্তা করেছি? মানুষের মধ্যে এইসব চিন্তা কেমন করে আসছে সেটা কি আমারা ভেবে দেখেছি? একজন বিবাহিত জীবনে সুখী মানুষের কাছেও কেন পরকীয়া আকর্ষনীয় চিন্তা? কেন অফিসের কলিগ বা আড্ডার বন্ধুরা কেউ পরকীয়া করলে তাকে খুব 'কুল' হিসেবে বরং উৎসাহ দেই? আমাদের মানসিকতার চরম অবনতি হয়েছে এটা অবশ্যই ঠিক, মিডিয়া এই অবনতিতে চরমভাবে রসদ দিয়ে যাচ্ছে। পরকীয়া কিছু মানুষের জীবন ধ্বংস করার বিপরীতে কয়টা মানুষের জীবন আসলে সত্যিকারভাবে সুখী করেছে? ধ্বংস এবং সৃষ্টির অনুপাতটা ৯৯:১ টাইপের কিছু প্রকাশ করবে বলে দেয়া যায়।
আমাদের দেশে এখনো মানুষের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজীক সংস্কার কিছুটা রয়ে গেছে তা-ই এখনো আমরা শারীরিক চাহিদার কাছে অন্য সবকিছুকে তুচ্ছ করে দিয়ে নিজেদের পশুর কাতারে নিয়ে যাইনা; তথাকথিত মানসিক শান্তি পেতে নিজের পরিবার-পরিজনকে ভুলে যাইনা; তাইতো আমাদের সামাজীক, পারিবারিক সততা নিয়ে পশ্চিমাদের কাছে এখনো গর্ব করা যায়। কিন্তু আস্তে আস্তে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পরকীয়ার কবলে পড়ে যেভাবে ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে, গর্ব করার মতো খুব বেশী দিন পাওয়া যাবেনা। পত্রিকা খুললেই যেভাবে পরকীয়ার কারণে বাচ্চা খুন, স্বামী খুন, স্ত্রী খুন, নির্যাতন, বিবাহ বিচ্ছেদ চোখে পড়ে ইদানীং.....আমাদের মনমানসিকতায় বিরাট পরিবর্তন আনা জরুরী হয়ে পড়েছে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৮
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৮
নষ্ট কবি বলেছেন: ভাল বলেছেন
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৯
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫০
শ।মসীর বলেছেন: মামা কালকে রাতে আমি এই নাটকের এ্যাড দেখলাম, এডিটর শালারে থাপড়াইটে মন চাইল, নানা দিক থেকে শর্ট থ্রো করাই মনে হয় এডিটিং, শালা হিন্দী সিরিয়াল দেইখা এইটাই শিখছে.........
নায়িকা গুলার যা না চেহারা
নাম রাখছে পেয়ারা -এই কথাটাই মনে হইল।
আরেকটা জিনিস, প্রচলিত আছে, আজকাল শরীর দিয়া ডিলি টিভিতে চেহারা দেখানো কোন ব্যাপারনা, এই নাটকের নায়িকাগুলার চেহারা দেইখা ঐ কথা বিশ্বাস না করার কোন কারন নেই........।
নাটকের ভিতরে কি আছে অবশ্য জানিনা .........।
সেক্স কে এই দেশে এখন একটা ফান হিসেবে পরিচয় করাইয়া দেয়ার চেস্টা চলছে ছলে বলে কৌশলে...........
অধিকাংশ মেয়েরাই মন মানসিকতায় পন্য সমতুল্য, পুরুষরা তাদেরকে পন্য বানানোর আগেই এখন তারা পন্য হয়ে বসে থাকে....
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:০২
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: এই মেয়েগুলা অভিনয় কি জিনিস সেটাই জানেনা, অভিনয় করাতো দূরের কথা! আমাদের মিডিয়া একটা যৌন কোষাগারে পরিণত হয়তেছে দিনকে দিন। মেয়েরাই নিজেদের পণ্য বানায় দিচ্ছে আর এর সুযোগ নিচ্ছে কিছু লম্পট।
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৩
নতুন বলেছেন: মেয়েরা যদি নিজেরা তাদের মূল্য না বোঝে তা হলে কিভাবে তাদের বোঝাবেন?
মিডিয়ার লোকজন পাবলিক কি খাবে তাই বেচে... নৈতিকতার ধার ধারেনা... ব্যবসানিয়া কথা..
দেশের সামনে খারাবী আছৈ, যেই হারে নৈতিকঅধতন হইতে সমাজে...
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৭
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: খারাবীতো আমি বলবো এখনি চলে আসছে! মানুষের মানসিকতা যেভাবে চেন্জ হয়ছে, নৈতিকতা বলে কিছু আর নাই! এর পিছনে ছেলে-মেয়ে সকলেই সমানভাবে দায়ী।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১৮
অচিনপাখি বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: অনেক ধইন্যা
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৭
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: ব্যস্যারা যখন অভিনয়ে নামে।
আর দালালরা তখন পরিচালক হয়।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: তখন সেটা আর নাটক থাকেনা...। ফাউলামিতে পরিণত হয়।
৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪১
টুনা বলেছেন: সবটা পড়লাম। বর্তমানে আমাদের দেশে মিডিয়াগুলি ভারতের বেলেল্লাপনাকে টেক্কা মারার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ফারুকী নামের পরিচালকতো পরকীয়াকে প্রাতিস্ঠানিক রুপ দেবার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।বাইরে থাকার সুবাদে মাঝে মাঝে স্রেফ টাইম পাসের জন্য বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলের অনুস্ঠান দেখা হতো(এখন দেখিনা,কারন এদের নাটকে প্রায়শই বাংলা ভাষাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় যা আমার কাছে ভাঁড়ামি এবং বিরক্তিকর মনে হয়)।
ধন্যবাদ একটি প্রয়োজনীয় বিষয়ে সুচিন্তিত লেখা উপস্থাপনের জন্য।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: খুবি দু:জনক। মানুষ খারাপ জিনিসকে এমনভাবে উপস্হাপন করছে যে এটা ভালো, অন্যরাও এটা ভালোভাবেই মেনে নিচ্ছে। আমাদের নাটকগুলো খুবি নিম্নরুচির হয়ে যাচ্ছে। আর ফারুকী ঘরানার লোকজন প্রগতিশীলতার দোহাই দিয়ে যা ইচ্ছা তা করে বেড়াচ্ছে।
৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪
আমার_কথা বলেছেন: দেশের মানুষ এখন এইগুলার ভক্ত হয়ে রিয়েল লাইফ এ প্র্যাকটিস করছে। ভারতীয় চ্যানেল গুলান বন্ধ না করলে দেশ সর্বস্ব হারাবে। ভাববেন না আমি জামাত ।
"এখন দেশের স্বার্থেও ভারতের বিরোধিতা করা যায় না"
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: দেশের যে কোন সচেতন মানুষ আপনার মতোই চিন্তা করবে। ভারতীয় চ্যানেলের কুপ্রভাব অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বেশী কালচারাল হতে গিয়ে আমরা বরং বেশী আদিম হয়ে যাচ্ছি।
৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫১
যে আছো অন্তরে বলেছেন: ঐ নাটকটা দেখতে গিয়েও দেখিনাই। নাটকের নাম শুনেই বুঝছিলাম ভিতরে ঘাপলা আছে। আপনে তার প্রমাণ দিয়েই দিলেন। ধন্যবাদ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০০
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: দেখতে পারেন। যাকে তাকে দিয়ে, যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে একটা নাটক যে দাঁড় করানো যায়, সেটা আবার চ্যানেলগুলাও কিনে, স্পন্সরও পায় - এই জিনিস রিয়েলাইজ করবেন। অবশ্য বেশীরভাগ নাটকেরি একি অবস্হা।
১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০০
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: দেশ ভইরা গেল **লে ,এইগুলা তারই প্রমান।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৬
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: শালার টিনএজার থেকে বুইড়া, আনম্যারিড থেকে তিন বাচ্চার মা সবাই আজকাল লুলামি করে।
১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৩
ভাবসাধক বলেছেন: আস্তে আস্তে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পরকীয়ার কবলে পড়ে যেভাবে ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে, গর্ব করার মতো খুব বেশী দিন পাওয়া যাবেনা।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১১
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: খুবি দু:খজনক। এইগুলার পরিণতি বাচ্চা থেকে শুরু করে দুই পরিবারের সবার উপরে খারাপ প্রভাব ফেলে।
১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৭
মাকিন বলেছেন:
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৮
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন:
১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৭
যে আছো অন্তরে বলেছেন: হুম, বেশিরভাগ নাটকেরই একই অবস্থা। নতুন আর এক চলন শুরু হইসে- স্ক্রিপ্টবিহীন নাটক। ফারুকী যা হয় একটু বানায়, ফারুকীর কিছু গাধা টাইপ চেলা তাও পারে না। পরিশেষে যা দেখি, তার নাম নাটক নহে, হুদাই খানিকক্ষণের চেঁচামেচি, মোবাইলে লটরপটর আর পাশ্চাত্যের থেকে আমদানি করা কিছু উদ্ভট মিউজিকের প্যানপ্যানানি।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১০
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: ফারুকীর কিছু নাটক তাও চলে, এর ভাই বেরাদরদের নাটকগুলাতো নোংরামিতে ভর্তি। তারচেয়ে বড় কথা কোন কাহিনী নাই, কোন অভিনয় নাই। কিন্তু এইগুলায় এখন সব চ্যানেলে।
১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৫
আনন্দক্ষন বলেছেন: বিগত ৫ বছর যাবত নাকট নামে যা হয় , তা "অসহ্য" ছাড়া কোন মন্তব্যের ভেতর পরেনা।
খারাপ লাগে, যখন জাহিদ হাসানদের মতো প্রতিষ্ঠিত অভিনেতারাও পাগলামী-ছাগলামী টাইপ নাটকে অভিনয় করে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪০
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: ভালো নাটক এখন খুব রেয়ার হয়ে গেছে। বাজে নাটক সবাই খাচ্ছে এবং টাকার লোভে ভালো অভিনেতারাও এইসব নাটকেই অভিনয় করছে।
১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪২
নিবিড় বলেছেন: পরকীয়ার ব্যাপারটা এদের কাছে আসে যায় না বানিজ্যিকীকরণের কারণে।তথাকথিত আধুনিক ভাই বেরাদার গ্রুপ খুব সস্তা সেন্টিমেন্টগুলোকে উপজীব্য করে তুলে সেটাকে স্মার্টনেস হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত লাভের আশায় ।দেশ, জাতি আর সমাজের উপর প্রভাব নিয়ে এদের কারো কিছু যায় আসে না ।এটা সামাজিক বিনোদন মাধ্যমে যেমন প্রযোজ্য হচ্ছে তেমনি রাজনৈতিকভাবেও হচ্ছে প্রতিষ্ঠি্ত ।খারাপ লাগছে যে তরূণ সমাজ এই সব মানুষগুলোর জন্য একটা কনফিউজড জেনারেশনে বেড়ে উঠছে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৮
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: মিডিয়াতে যা দেখানো হবে তার একটা প্রভাব কিন্তু মানুষের মধ্যে পড়বেই। আগে বই-পুস্তক মানুষের চিন্তাভাবনা পরিবর্তনে সাহায্য করতো, এখন সেটা করে মিডিয়া। তরুণ সমাজ কি শিখছে তাহলে মিডিয়া থেকে? কিছু ফালতু লোকের বাণিজ্যকীকরণের নেতিবাচক প্রভাবটা কিন্তু একটা ফ্যামিলী ধ্বংস থেকে শুরু করে খুন খারাবীতেও নিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকা খুললেই প্রায়দিনে পরকীয়ার কারণে খুনের ঘটনা দেখা যায়।
১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০০
জীবন্মৃত০১ বলেছেন: আমাদের দেশে এখনো মানুষের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজীক সংস্কার কিছুটা রয়ে গেছে তা-ই এখনো আমরা শারীরিক চাহিদার কাছে অন্য সবকিছুকে তুচ্ছ করে দিয়ে নিজেদের পশুর কাতারে নিয়ে যাইনা; তথাকথিত মানসিক শান্তি পেতে নিজের পরিবার-পরিজনকে ভুলে যাইনা; তাইতো আমাদের সামাজীক, পারিবারিক সততা নিয়ে পশ্চিমাদের কাছে এখনো গর্ব করা যায়। কিন্তু আস্তে আস্তে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক পরকীয়ার কবলে পড়ে যেভাবে ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে, গর্ব করার মতো খুব বেশী দিন পাওয়া যাবেনা। পত্রিকা খুললেই যেভাবে পরকীয়ার কারণে বাচ্চা খুন, স্বামী খুন, স্ত্রী খুন, নির্যাতন, বিবাহ বিচ্ছেদ চোখে পড়ে ইদানীং.....আমাদের মনমানসিকতায় বিরাট পরিবর্তন আনা জরুরী হয়ে পড়েছে।----------------------------১০০% সহমত।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৫
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: অনেক ধইন্যা
১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২৯
স্বর্ণমৃগ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন!
ভাল লাগা রেখে গেলাম।
ভাল থাকুন।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৭
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন। তবে কথা হচ্ছে সমাজ দ্বারা মিডিয়া প্রভাবিত হচ্ছে নাকি মিডিয়া দ্বারা সমাজ! দুইটার মধ্যে সম্পর্কটা খতিয়ে দেখা দরকার!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৫১
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: দুটোই দুটো দ্বারা প্রভাবিত। একটা চক্রের মতো। কিন্তু মিডিয়া সমাজের নেতিবাচক দিক দ্বারা প্রভাবিত কেন হবে? কিছু নিষিদ্ধ বিষয় খুল্লামখুল্লা এবং আকর্ষনীয়ভাবে মিডিয়াতে প্রকাশ করলে ব্যাপারটা সবার কাছে খুব সহজ, স্বাভাবিকভাবে ধরা দিবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১৫
সায়েম মুন বলেছেন: ভালো লিখেছেন অন্ধ দাঁড়কাক।
আমার মনে হয় আমাদের দেশীয় মিডিয়ায় যেটা ফুটে উটছে সেটা সমাজে চলমান ঘটনাবলীর বহিঃপ্রকাশ। এখন এই প্রকাশটা সংযত করে করা গেলে ভালো হয়। সেই সাথে এর নেগেটিভ ইমপ্যাক্টগুলো বলে দিতে পারলে আরও ভালো হয়। যাতে সমাজে একটা সুফল আসে। শুধু হাসমসকরা দিয়ে যেন সেইসব নাটক শেষ না হয়।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৩
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আপনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে চিন্তা করলেতো আর এইসব নাটক কেউ বানাতো না। অসংযত প্রকাশকে নিয়ে বাণিজ্য করায় এদের মূল উদ্দ্যেশ্য। সমাজের সুফল নিয়ে মাথা ঘামানোর টাইম কই? মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৭
শয়তান বলেছেন: হাসান মাহবুব আর সায়েম মুন এর সাথে আরো যোগ করে দিচ্ছি .... পরকিয়াজনিত বাস্তবতা এই মুহুর্তে আরো অনেক বেশি ভয়ংকর . বিশেষ করে সমাজের লোয়ার লেভেলে রীতিমত মহামারী রূপে আবির্ভূত হয়েছে .
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৭
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আমি নিজেও একমত। চারপাশে এইরকম অনেক কাহিনীও দেখা হয়ছে। লোয়ার লেভেল শুধু না, আপার লেভেলেও ভয়াবহ। মিডল লেয়ারে একটু কম এবং এরাই আসলে নাটকগুলো দেখে। পরকীয়া অনেক আগে থেকেই ছিলো এবং থাকবেই। বাস্তবতা এটাই। কিন্তু আমার মনে হয়েছে মিডিয়া এটাকে এমনভাবে উপস্হাপন করছে যেখানে লোকজন নিরুৎসাহিত হওয়ার বদলে আরো উৎসাহিত বোধ করবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১৮
শয়তান বলেছেন: আপনে কি এখন আম্রিকাতে ?
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৮
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: হ ভাই
২২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৬
ফালতু-খান বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++
গত ঈদের নাটক "মানিব্যাগ" মৌ এর মত অভিনেত্রী এধরণের নাটকে কিভাবে অভিনয় করল বুঝলাম না।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫০
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: দেখি নাই। এখন সবাই এইসবেই অভিনয় করে। এর বাইরে কাহিনী ছাড়া নাটকই নাই।
২৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৯
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: ১০ ।০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০০
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: দেশ ভইরা গেল **লে ,এইগুলা তারই প্রমান।
।০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৬
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: শালার টিনএজার থেকে বুইড়া, আনম্যারিড থেকে তিন বাচ্চার মা সবাই আজকাল লুলামি করে।
হ ভাই তিক্ত সত্য
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৫১
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: স্যাড বাট ট্রু
২৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৫৫
শূন্যের গুনিতক বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন। তবে কথা হচ্ছে সমাজ দ্বারা মিডিয়া প্রভাবিত হচ্ছে নাকি মিডিয়া দ্বারা সমাজ! দুইটার মধ্যে সম্পর্কটা খতিয়ে দেখা দরকার! ---সহমত
লেখক নিজেই স্বীকার করেছেন পরকীয়া জনীত ব্যাপারগুলো আগেও ঘটেছে, বর্তমানেও ঘটছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। আমার কথা হল যদি ব্যাপারগুলো সমাজের চলমান অবক্ষয় হিসেবে ধরে নিয়ে সেটার কুফল কিংবা শেষ পরিণতি নিয়ে বাস্তবমুখী কিছুইতো দেখানো উচিৎ। আমার দেখামতে ভাই বেরাদারদের নাটকগুলোতে এসকল বিষয় উপস্থাপন করা হয় শুধুমাত্র ভাঁরামীর উপকরণ হিসেবেই, কখনো শেষবেলায় এসবের মধুর পরিণতি দেখানো হয়না (আমি যতগুলা দেখেছি তার মধ্যে তুলনা করে বলছি, ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থী)। এতে করেতো মানুষ বরং এসবের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কেই ধারনা পাচ্ছে তাই না? সহজভাবেতো কোন ভাই বেরাদারদের কোন নাটকে এসবের উপস্থাপন দেখিনি। আর শিল্পকে বাস্তবতার ছাঁচে ফুটিয়ে তুলতে পারাটাই যদি প্রকৃত শিল্প হয় তাহলেতো আমি তাদের বাংলা ভাষার ব্যবহৃত রুপ( বাংলাদেশিদের জন্য) নাটকে ব্যাবহার করতেতো কোন সমস্যা দেখিনা। আমাদের শিল্প সংস্কৃতির সূচনা ঘটেছিল ভারতীয়দের হাত ধরে, তাই আমরা তখন কলকাতান বাংলাকে আমাদের সংস্কৃতির ধারক বানিয়ে ফেলেছিলাম; আপনিকি বলতে পারবেন যে বাংলাদেশীদের মধ্যে কয়জন সেই কলকাতান চলিত রীতির বাংলা ভাষায় ব্যাবহারিক জীবনে অভ্যস্থ? আমার মনে হয় সেটা ১ পার্সেন্ট এরো অনেক কম; যদি আমার কথা সত্যি হয় তাহলে আমরা আমাদের নাটকে কলকাতান (ইন্ডিয়ান) কালচার থেকে বের হয়ে নিজের প্রকৃত রূপটাকে ফুটিয়ে তোলাতেতো আমি দোষের কিছু দেখিনা। বাস্তবিক জীবনের খুঁটিনাটি ফুটিয়ে তোলাইতো শিল্প সংস্কৃতির প্রধান ধারক হওয়া উচিৎ তাইনা? তবে যদি তাদের মধ্যে এমন কিছু প্রবণতা থাকে যাতে পরকীয়াকে অথবা সামাজিক অবক্ষয়গুলোকে স্বাভাবিক অথবা ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা থাকে (যা আমি দেখিনি) তবে তা অবশ্যই নিন্দনিয় এবং বর্জনীয়। ব্যাক্তিগতভাবে আমার চলিত রীতির ভাষা ব্যাবহৃত নাটক পছন্দ করিনা, আমার কাছে ওইগুলা বরং ভাঁড়ামী, অবাস্তব এবং ইন্ডিয়ান কালচারের অন্ধ অনুকরণ মনে হয় যা এখনকার ডেইলি সোপ টাইপের কিছু নাটকে করা হচ্ছে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৭
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রথমত: পরকীয়াকে নাটকগুলোতে যথেষ্ট হালকাভাবেই দেখানো হয়েছে, বরং বেশ ফানিভাবেই দেখানো হয় এতে লোকজন ব্যাপারটাকে খুব হালকাভাবে নিচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে খুব ঘনঘন এই জিনিস দেখানো হচ্ছে। আমি আসলে সেটাই বলতে চেয়েছি। একটা খারাপ ব্যাপারকে বারবার মানুষের সামনে মজা করে দেখালে মানুষের মধ্যে এর ব্যাপারে যে নেতিবাচক ভয় বা সংস্কার ছিলো ঐটাই চলে যাবে। অনেকটা সেক্সের মতো, সেক্স জিনিসটা যত বেশী এবং যত সহজভাবে প্রেজেন্ট করা হবে, মানুষেরর এই ব্যাপারে সংস্কার তত কেটে যাবে। যতদিন এই ব্যাপারটার মধ্যে একটু রাখঢাক থাকবে, ততদিন ভয় বা সংস্কারের কারণে হলেও নিজেকে একটু সংযত রাখবে। তারপরেও এটা ঠিক যার করার সে করবেই, যার করারনা তাকেও উৎসাহিত না করার ব্যাপারে বলতে চেয়েছিলাম।
দ্বিতীয়ত: বাংলা ভাষার ব্যবহৃত রূপ নাটকে ব্যবহার করার ব্যাপারে আমার যে খুব আপত্তি আছে তা না। তবে শিল্পে সর্বদা পরিশুদ্ধ ভাষা ব্যবহারের চল চলে আসছে, কারণ ব্যবহৃত ভাষা এলাকাভেদে বা ব্যক্তিভেদে চেন্জ হয়ে যায়, সেইজন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ভাষাকেই আমরা মিডিয়াতে ব্যবহার করি। এরবাইরে আন্চলিক ভাষা আপনি চরিত্র অনুযায়ী প্রয়োগ করতেই পারেন। আর আপনি সাধারণত নাটকে ব্যবহৃত ভাষাকে কলকাতার ভাষা কিভাবে বলছেন??? কলকাতার ভাষার টান তো পুরা অন্যরকম, আমাদের এখানে কি সে ভাষা ব্যবহার করে? আমার ঘটনাক্রমে কলকাতা যাওয়া হয়েছিলো, সেখানের সাধারণ মানুষের কথা বলার স্টাইল পুরা অন্যরকম। ঐখানের চলিত ভাষাও ওদের নাটক-সিনেমায় পুরোপুরি ব্যবহৃত নয়, ওরাও যথেষ্ট পালিশ করে মিডিয়াতে কথা বলে। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে আমেরিকাতেও সবাই হলিউডের সিনেমার মতো করে কথা বলেনা, এখানেও অন্চলভেদে কথার স্টাইল অনেক চেন্জ হয়। মোটকথা সবজায়গাতেই চলিত ভাষার বিশুদ্ধ এবং সবার কাছে স্বীকৃত রূপটাকেই মিডিয়াতে ব্যবহার করা হয়।
২৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:৫৯
শূন্যের গুনিতক বলেছেন: রেকটি কথা, ভাই বেরাদারদের কোন নাটকে আমি পরকীয়ার কারনে কাউকে খুন করার কাহিনী দেখিনি। এগুলা আমাদের আগের নাটক অথবা চয়নিকা চৌধুরী টাইপ পরিচালকদের( যারা নিজেদের বাংলা নাটকের প্রকৃত/শৈল্পিক পরিচালক ভেবে থাকেন) নাটকেই দেখা যেত/যায়।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩১
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: না তা দেখানো হয়না, নাটকগুলো মেইনলী ফান নাটক। আমি খুন-খারাবীর কথাটা রিয়েল লাইফের উদাহরণ হিসেবে বলেছিলাম, প্রায় প্রতিদিন পেপারে আমরা যা দেখি তার উপরে ভিত্তি করে। ধন্যবাদ।
২৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪২
শায়মা বলেছেন: দুইটা বাচচার জন্যই খুব খারাপ লাগে।
এমন দুর্ভাগা মনে হয় কেউ না আর এই ধরণীর।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আমি গতকালকে একটা নিউজ পড়েছিলাম পেপারে, কিন্তু এইরকম নিউজ প্রায়ই আসছে ইদানীং!!! এর থেকে দু:জনক আর কি হতে পারে???
২৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:১২
দীপান্বিতা বলেছেন: মিডিয়াতে যারা আছেন তাদের আরেকটু সচেতন হতে হবে...আমাদের ছোটবেলা দূরদর্শনে কত ভাল ভাল উপন্যাস থেকে সিরিয়াল হত, জলপাইগুড়িতে থাকতে বিটিভিতে কত সুন্দর নাটক দেখতাম!...এখন আপনাদের ওখানেও আমাদের মতই একঘেয়ে সিরিয়াল চলছে...
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪১
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: ব্যাপারটা খুবি দু:জনক। আপনাদের কলকাতার চ্যানেলেও আমি দেখেছি, সচেতনতা অনেক দরকার।
আপনার জলপাইগুড়িতে ছিলেন??? ছোটবেলায় উত্তরাধিকার পড়ে খুব জলপাইগুড়ির স্বর্গছেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো! নিশ্চয় অসাধারণ দেখতে!
২৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:২৬
সোহরাব সুমন বলেছেন: এভাবেই রুচিশীলতা সমাজ থেকে এক সময় বিদায় নেবে মনে হচ্ছে, এই সব দেখার কী কেউই নাই ?
দাও ফিরিয়ে অরণ্য ..............................................!!!!
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৮
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: লও এ নগর
২৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫০
সুস্ময় সুমন বলেছেন: খুবই ভালো লিখেছেন। আমি নাটকের এই ঘরানার বিপক্ষে একেবারে প্রথম থেকেই।
অনেক আগে প্রথম আলোতে তারেক মাসুদ এর একটি লেখা পড়েছিলাম, যেখানে উনি বেশ স্পষ্ট করেই নাটকে এই ভাষা ও অভিনয় রীতির বিপক্ষে বলেছিলেন এবং উনি এর সাথে এও বলেছিলেন যে এই নাটক অথবা চলচ্চিত্র গুলা কখনোই কালোত্তীর্ণ হবেনা।
এই ধরনের নাটক এবং চলচ্চিত্র গুলো হয়তো মানুষকে ক্ষনিক বিনোদিত করতে পারে, কিন্তু কখনোই মানুষের মনে দীর্ঘস্হায়ী ছাপ ফেলতে পারেনা। কিন্তু এই কথাগুলো প্রযোজ্য একটু সচেতন মানুষের জন্য, যার প্রচন্ড অভাব আমি নিত্য প্রত্যক্ষ করি আমার চারপাশে। এই ভাষায় কথা বলাটা আজকাল ফ্যাশনে পরিণট হয়েছে.....এখন পরকিয়ার মত বাকি অশ্লীলতা এবং অসঙ্গতিগুলাও ফ্যাশনে পরিনত না হলেই বেচে যাই আমরা এবং পরবর্তী প্রজন্ম।
ভালো থাকবেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১১
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: দু:খজনকভাবে সব খারাপ জিনিস আজকাল ফ্যাশনে পরিণত হচ্ছে। আর ফ্যাশনে ঝুঁকতে গিয়ে সবাই সামাজীক এবং মানসিকভাবে অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
৩০| ০১ লা জুন, ২০১২ রাত ১২:০১
দীপান্বিতা বলেছেন: জলপাইগুড়িতে জীবনের খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছি, কিন্তু স্বর্গছেড়া যাওয়া হয়নি
খবর কি! নতুন পোস্ট দেন না কেন!
০১ লা জুন, ২০১২ রাত ১২:১১
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: সময় পাইনা, কোন লেখাও মাথায় আসছেনা তাই দেয়া হচ্ছেনা...
আমার একসময় জলপাইগুড়ি যাওয়ার শখ ছিলো...
৩১| ০১ লা জুন, ২০১২ দুপুর ১২:১৫
অপ্সরা বলেছেন:
০২ রা জুন, ২০১২ ভোর ৪:৪৬
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন:
৩২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৭
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: অনেক সুন্দর করে সুন্দর বিষয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
০৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৪
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: ভাল লিখেছেন।