![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ বাঙালী। এর চেয়ে আর বড় পরিচয় আমার কাছে নেই।
পৃথিবীতে Love এর কোন সায়েন্টিফিকলি এবং ধর্মীয় যুক্তিসজ্ঞত ব্যাখ্যা নাই। ইসলাম ধর্মে, হিন্দু ধর্মে, বৌদ্ধ ধর্মে, খ্রিষ্ট্র ধর্মে কোথাও love এর কথা বলা নাই।
ইসলাম ধর্মে বলা আছে “স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না” (সূরা আল মায়িদা: ৫)
এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।
৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে।
সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে।
যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে। এটা হারাম।
জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক হারাম। (সূরা ইসরা আয়াতঃ ৩২) (সূরা ফুরকানঃ ৬৮)
জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ।
বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।
বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়।
কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। (সূরা বাকারাঃ১৬৫)
পবিত্র কুরআন শরীফে ৬৯ বার ভালোবাসা শব্দ বা ধারণাটি উল্লেখিত হয়েছে। সেখানেও চার প্রকার ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। তবে তা উপরের প্রকারভেদের মতো নয়।
ক) বিষয়-আসয়ের প্রতি ভালোবাসা: তারা এই পৃথিবীকে ভালোবাসে পরকালকে ভালোবাসে না – আল্লাহ বিশ্বাসত্যাগীদেরকে পথ দেখান না (১৬:১০৭)।
খ) মানবিক ভালোবাসা: আজিজের স্ত্রী ক্রীতদাসকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে আর সেই ক্রীতদাস তাকে হিংস্র ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি ওই নারী ধ্বংস হচ্ছে (১২:৩০)।
গ) আল্লাহ’র প্রতি ভালোবাসা: আল্লাহ’র প্রতি ভালোবাসার কারণে শ্রমজীবী, অনাথ এবং বন্দীকে তারা খাবার দেয় (৭৬:৮)।
ঘ) মানুষের প্রতি আল্লাহ’র ভালোবাসা: আল্লাহ’র জন্য তোমার সম্পদকে ব্যবহার করো, ধ্বংসের জন্য তোমার হাতকে ব্যবহার করো না কিন্তু ভালো কাজ করো। যারা ভালো কাজ করে, তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন (২:১৯৫)।
সহী হাদিস ও কুরআনের মতে ভালোবাসা শুধু মাত্র আল্লাহর জন্যে। তবে যেহেতু এটার সংজ্ঞা নেই সেহেতু আপনি বাবা-মা, বিয়ের পরে স্ত্রীর, ভাই-বোন, প্রতিবেশি, ইত্যাদি সবার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য, আদর-শাসন ও আন্তরিকতা-মানবতা কে এক প্রকার ভালোবাসা বলতে পারেন। তবে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসা শুধু আল্লাহর জন্যে।
হিন্দু ধর্মে, অর্থাৎ ভগবদ গীতায়(হিন্দুদের মূল ধর্মীয় গ্রন্থ) ভালোবাসাকে মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ভালোবাসাই সবকিছু। তবে সেখানে দু’প্রকার ভালোবাসার কথা আছে। ঈশ্বরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এবং মানুষের প্রতি ঈশ্বরের ভালোবাসা। একটি অন্যটির সাথে সম্পর্কযুক্ত।
I)মানুষ যেভাবেই চেষ্টা করুক না কেন তাদের ভালোবাসাকে আমি ভালোবাসা দিয়ে উত্তর দিই। যে পথেই তারা চেষ্টা করুক, সেটা অবশেষে আমার দিকে ফিরে আসে। (গীতা ৪:১১)
II)আমি শুরু এবং শেষ, আদি এবং পরিণতি, আশ্রয় গৃহ এবং সত্য প্রেমিক, গর্ভাশয় এবং মৃত্যুহীন বীজ। (গীতা ৯:১৮)
III)তুমি যদি তোমার মনকে আমার দিকে ফেরাও, আর সমস্ত অন্তকরণ দিয়ে আমাকে মান্য করো, তবে নিশ্চয়ই তুমি আমাকে পাবে; এটি আমার প্রতিজ্ঞা, কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি। (গীতা ১৮:৬৫)
তবে হিন্দুধর্মের রামায়ন, কৃষায়ন্ত্রন, মহাভারতে এটার একটু বেশিই ব্যাখ্যা আছে।
বৌদ্ধ ধর্মে, যেখানে ভালোবাসাকে আত্মিক মুক্তির পথ হিসেবে ধরা হয়, বলা হয়েছে জীবে প্রেম করার কথা। জীবে প্রেমই ঈশ্বরের আরাধনা। ছোট বড় সভ্য অসভ্য ইতর প্রাণী – সকল জীবকেই সমানভাবে দেখা হয়েছে। বৌদ্ধা ধর্মীয় নেতা দালাই লামা বলেছিলেন, দয়াই তার ধর্ম। বলা বাহুল্য, বৌদ্ধ ধর্মকেও ভালোবাসা বা প্রেমের ধর্ম বলা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মেও চার প্রকার ভালোবাসার শিক্ষা দেওয়া হয়: ভালোবাসা বা প্রেম (love/ love kindness), করুণা (compassion), সহানুভূতি (sympathetic joy) এবং প্রশান্তি (equanimity)। বৌদ্ধ ধর্মের ভাষা পালিতে এগুলোকে একসাথে ‘ব্রহ্মবিহার’ বলা হয়, যার অর্থ দাঁড়ায় ঈশ্বরাশ্রয় বা ঈশ্বরসদৃশ। ‘যাকে ভালোবাসো তাকে মুক্তি দাও’ – কথাটি প্রধানত বৌদ্ধ ধর্মের কথা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে বৌদ্ধ ধর্মে কি love এর কথা বলে নাই? অবশ্যই বলছে। "ত্রিপিটক" বৌদ্ধদের ধর্মীয় গ্রন্থের নাম যা পালি ভাষায় লিখিত। গৌতম বুদ্ধ ত্রিপিটক -এ বারবারই প্রানী ও মানব প্রেম তথা মানবতার কথা বলছেন। তিনি সেখানে কি বুঝাতে এই কথা বলেছেন তা আপনারা গৌতম বুদ্ধের জীবন বৃত্তান্ত পড়লেই বুঝতে পারবেন।
খ্রীষ্ট ধর্মে তথা বাইবেলে যীশু নিঃশর্ত ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কথা বলেছেন, “যারা তোমাকে ভালোবাসে, যদি শুধু তাদেরকেই তুমি ভালোবাসো, তবে সেখানে কৃতীত্বের কী আছে? পাপীরাও কী তা-ই করে না?” (লুক ৬:৩২) খ্রিষ্টবিশ্বাসীরা মূলত “ঈশ্বর নিজেই প্রেম” বলে বিশ্বাস করেন। ঈশ্বরকেই সকল ভালোবাসার উৎস বলে জানেন।
এক নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দীক্ষা নিয়ে থাকেন খ্রিষ্টবিশ্বাসীরা। বাইবেলে বলা আছে: “ভালোবাসা ধৈর্য্য ধরে, দয়া করে, হিংসা করে না, গর্ব করে না, অহংকার করে না, খারাপ ব্যবহার করে না, নিজের সুবিধার চেষ্টা করে না, রাগ করে না, কারও খারাপ ব্যবহারের কথা মনে রাখে না, খারাপ কিছু নিয়ে আনন্দ করে না বরং যা সত্য তাতে আনন্দ করে। ভালোবাসা সবকিছুই সহ্য করে, সকলকেই বিশ্বাস করতে আগ্রহী, সব কিছুতে আশা রাখে আর সব অবস্থায় স্থির থাকে।” (১করিন্থীয় ১৩:৪-৭)
এবার আসি সায়েন্টিস্টদের মতে ভালোবাসা কি সেটা জানতে। পৃথিবীর কিছু কিছু সায়েন্টিস্ট Love এর সংজ্ঞা দিয়েছেন। তাদের মতে যৌন কর্মকান্ড করার উদ্দেশ্যে যে সম্পর্ক তৈরী হয় সেটাই love। তবে এটা শুধু মাত্র একটা scientific theory. আর "science doesn't mean a theory. Science is true proof on a certain thing."- নাহিদ পারভেজ(ভাষন ৩০: ০৮/১০/১৫) সুতরাং সায়েন্স এটার ব্যাখ্যা আর প্রমান দেই নাই।
আভির্ধানিকভাবে Love শব্দটা আসছে সংস্কৃত শব্দ lubhiyath থেকে, যার অর্থ ইচ্ছা /কামনা/বাসনা। আর এটার মূল ভিত্তি হচ্ছে সেক্স। এখন আমরা অনেকেই সেক্স এর অর্থ উল্টাটা জানি। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে সেক্স মানে কে পুরুষ কে নারী সেটা বুঝাইতে সেক্স শব্দটা আসে। physics এর সুত্র মতে আমরা জানি, বিপরীতধর্মী পদার্থ পরস্পরকে আকর্ষন করে আর একইধর্মী পদার্থ পরস্পরকে বিকর্ষিত করে। সুতরাং একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি আর একজন নারী একজন পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক।
একটা মা তার মেয়ে সন্তানের চেয়ে ছেলে সন্তানকে বেশি ভালোবাসে reason sex. একটা বাবা তার ছেলে সন্তানের চেয়ে মেয়ে সন্তানকে বেশি আদর করে reason sex. এক্ষেত্রে জেনেটিক্স কারনও আছে।
কিন্তু একটা অপরিচিত মেয়েকে কিংবা ছেলেকে ভালোবাসার মানে হচ্ছে সেক্স and for doing sexual activities. so there's no scientific or religious definition about love..!! আর যেখানে কোন এটার কোন প্রমান নাই সেহেতু সেটা আমি কেন করব।
তাছাড়া আমরা মনে করি +জানি + মানিও যে, একটা মেয়ে আর একটা ছেলের মধ্যকার বন্ধুত্ত্বের চেয়ে বেশি কিছু মানে love(বাস্তব চিত্রে)। কিন্তু সেটা কেন এবং কি এমন বেশি জিনিসটাই love?
Ans: একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বন্ধু অবস্থায় সব করতে পারবে কিন্তু তাদের মাঝে physically sexual activities করার কোন অধিকার থাকে না। আর এটাই করার নাম এবং একটা অত্যধুনিক শব্দ love, যা পুরাই অযৌক্তিক একটা কাজ। যেটার কোন দরকারই নাই। in totally একটা ভালোবাসা হইতাছে একটা মূল্যহীন যুক্তিহীন ভিত্তিহীন কর্ম যেটার ব্যাখ্যা না আছে কোন ধর্মীয় গ্রন্থে(হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ ব্যাতীত), না আছে কোন সায়েন্টিফিক প্রমান। সুতরাং যারা এই কর্মে বিশ্বাসী অথবা এই কর্ম সাধনকারী, আমার মতে তারা এক প্রকার hlaf brain damaged human. আর আমরা কি সব আজাইরা love করি বলে!! :o its just a one kind of joke or entertainment!!
যেখানে love বলতে কিছুই নাই, সেখানে love আমাদের মতে দুই প্রকার। একটা হচ্ছে real love আরকেটা হচ্ছে fake love.
যেখানে love এর কোন সংজ্ঞা নেই সেখানে কিভাবে love দুই প্রকার হয়? এটা একপ্রকার philosophical thoughts যা মানুষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন ও যুক্তিহীন এবং প্রমান ও সংজ্ঞাহীন।
যদি কারো কাছে এর যুক্তি থাকে দয়া করে আমাকে জানান।
©somewhere in net ltd.